Friday, April 5, 2013

হজে যেতে চাইলে প্রস্তুতি নিতে হবে এখনই

জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৪ অক্টোবর পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। এবার যাঁরা হজে যেতে চান, তাঁদের এখনই প্রস্তুতি শুরু করা দরকার। অন্তত মানসিক প্রস্তুতি।
বাংলাদেশ থেকে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়া যায়। হজে যেতে চাইলে ৩০ মে তারিখের মধ্যে নির্ধারিত ব্যাংকে টাকা জমা দিতে হবে।
এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় অনুমোদিত হজ এজেন্সির মাধ্যমে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ১৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালনের জন্য সৌদি আরব যেতে পারবেন।
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও হজ পরিচালক মো. বজলুল হক বিশ্বাস জানান, এবার হজে যেতে চাইলে নিজ উদ্যোগে আন্তর্জাতিক পাসপোর্ট তৈরি করতে হবে। সরকারি বা বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যেভাবেই যান না কেন কোথায় এবং কীভাবে থাকবেন, তা আগেই জেনে নেওয়া জরুরি। হজ প্যাকেজে সৌদি আরবে যাওয়া-আসা, মক্কা-মদিনায় থাকা-খাওয়াসহ প্যাকেজ সুবিধাগুলো চুক্তিপত্রে বুঝে নিতে হবে। প্রয়োজনে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে আলাপ করুন। পড়ে, বুঝে, যাচাই করে চুক্তিপত্রে সই করুন। হজের প্রয়োজনীয় তথ্য www.hajj.gov.bd এ ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
হজ পরিচালক আরও জানান, গত পাঁচ বছরের মধ্যে হজ পালন করলে সৌদি সরকার এবার তাঁদের হজ ভিসা দেবে না। আর হজ প্যাকেজে ফিতরা (ফিতরা মানে স্থানান্তর) পদ্ধতিও নিষিদ্ধ করেছে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ।

এবার কত টাকা লাগবে
সরকারি ব্যবস্থাপনায় দুটি হজ প্যাকেজ রয়েছে। একটি প্যাকেজে হজযাত্রীর খরচ হবে তিন লাখ ৪৭ হাজার ২৭ টাকা। অন্যটিতে খরচ হবে দুই লাখ ৭৮ হাজার ৭৪২ টাকা। এ ছাড়া কোরবানির জন্য প্রতিটি প্যাকেজে আরও খরচ হবে (৪৫০ রিয়াল) প্রায় ১০ হাজার টাকা।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় একাধিক প্যাকেজ রয়েছে। ন্যূনতম প্যাকেজ হলো দুই লাখ ৭৮ হাজার ৭৪২ টাকা। এ ছাড়া তিন লাখ ৪৫ হাজার টাকা থেকে আরও বেশি টাকার প্যাকেজ রয়েছে।

পরামর্শ
• ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত হজ এজেন্সির তালিকা www.haab-bd.com ঠিকানায়ও পাওয়া যাবে।
• কোন কোন এজেন্সির বিরুদ্ধে সৌদি হজ মন্ত্রণালয়ের অভিযোগ রয়েছে তা যাচাই করুন।
• হজ প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য তথ্য ঢাকার আশকোনা হজ অফিসে দেওয়া হয়।
• মক্কায় বাসার দূরত্ব নির্ধারিত হয় কাবা শরিফ থেকে। আর মদিনায় মসজিদে নববী থেকে। বাসস্থান কত দূর, তার ওপর নির্ভর করে হজের ব্যয়ের টাকা। অর্থাৎ কাবা শরিফ থেকে বাসার দূরত্ব কম হলে খরচ বেড়ে যাবে। যত বেশি দূরত্ব হবে, খরচও তত কম হবে। এসব বিষয় বিবেচনায় রেখে হজের প্যাকেজ ঠিক করুন।
ভাষার ভিন্নতা, নতুন দেশ, নতুন পরিস্থিতির কারণে কিছুসংখ্যক হজযাত্রী সমস্যায় পড়ে থাকেন। কয়েকবার হজ পালন করেছেন—এমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, কিছুটা ধারণা থাকলে, সচেতন হলে অনেক সমস্যা দূর করা যায়। পাঠকের সুবিধার্থে তাঁদের কিছু পরামর্শ:
• আপনার নাম-ঠিকানা পাসপোর্টে ঠিক আছে কি না, যাচাই করে নিন। ২০ কপি ছবি সংগ্রহে রাখুন।
• কোনোভাবেই মধ্যস্বত্বভোগী, দালাল বা তথাকথিত মোয়াল্লেমের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হবেন না।
• সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যেভাবেই হজে যান না কেন, হজ প্যাকেজের সুবিধা কী কী, ভালোভাবে বুঝে যাচাই করুন। কিছু খরচ নির্দিষ্ট আছে, যেমন বিমানভাড়া ও মোয়াল্লেম ফি। বাকি টাকা মক্কা-মদিনায় বাসস্থানের জন্য। হাজিদের আবাসন কোথায় হবে তার স্বচ্ছ ধারণা দেশ থেকেই জেনে রাখা প্রয়োজন।
• কিছু হজযাত্রী হেঁটে হজের আমলগুলো করে থাকেন। যেমন মক্কা থেকে মিনার দূরত্ব প্রায় আট কিলোমিটার। আরাফাত থেকে মুজদালিফার দূরত্ব প্রায় নয় কিলোমিটার। মুজদালিফা থেকে মিনার দূরত্ব প্রায় সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার। এসব স্থানবিশেষে হেঁটে যেতে আপনার এক থেকে দুই ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।
• মাহরাম (যেসব পুরুষের সঙ্গে দেখা করা জায়েজ। যেমন স্বামী, বাবা, আপন ভাই, আপন চাচা-মামা, ছেলে ইত্যাদি) ছাড়া নারী হজযাত্রী এককভাবে হজে গমনের যোগ্য বিবেচিত হবেন না; নারী হজযাত্রীকে মাহরামের সঙ্গে একত্রে টাকা জমা দিতে হবে।
• প্রয়োজনীয় বইপুস্তক, হজ গাইড সংগ্রহ করে পড়ুন। কয়েক বছর ধরে প্রথম আলো হজযাত্রীদের সহায়ক হজ গাইড প্রকাশ করে বিনা মূল্যে তা বিতরণ করে। এটি প্রথম আলোর কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করতে পারেন। অথবা, হজের আগে হজক্যাম্পে হজযাত্রীদের হাতে পৌঁছেও দেওয়া হয়।

হজ প্যাকেজে খরচের ভিন্নতা কেন?
প্যাকেজে সৌদি আরবে হজের জন্য অবস্থানের মেয়াদ, বিমানের ধরন (সরাসরি না অন্য বিমানবন্দর হয়ে সৌদি আরবে পৌঁছাবে), মক্কায় বাসার ধরন এবং তা কাবা শরিফ থেকে কত দূর, বাসায় লিফট আছে কি নেই, বাসা না হোটেল, খাবারের ব্যবস্থা আছে বা নেই, ঐতিহাসিক স্থানে বেড়ানোর ব্যবস্থা আছে বা নেই, কোরবানি আছে বা নেই ইত্যাদির ওপর নির্ভর করে। একইভাবে মদিনার ক্ষেত্রেও বিষয়টি প্রযোজ্য। আবার মিনায় তাঁবুতে বা আজিজিয়ায় থাকা কিংবা না থাকা ইত্যাদির ওপর নির্ভর করে হজের খরচের টাকার অঙ্ক।

সরকারি ব্যবস্থাপনা
প্যাকেজ ১: সৌদি আরবের ভিসা, বিমানে যাওয়া-আসা, মক্কায় কাবা শরিফ থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার ২০০ মিটার ও মদিনায় মসজিদে নববী থেকে সর্বোচ্চ ৬০০ মিটারের মধ্যে তাসরিয়াযুক্ত (সৌদি হজ মন্ত্রণালয়ের যাচাই করা বাসস্থান) বাসায় থাকার ব্যবস্থা।
প্যাকেজ ২: সৌদি আরবের ভিসা, বিমানে যাওয়া-আসা, মক্কায় কাবা শরিফ থেকে সর্বোচ্চ দুই হাজার মিটার ও মদিনায় মসজিদে নববী থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার মিটারের মধ্যে তাসরিয়াযুক্ত বাড়িতে আবাসন।
এ ছাড়া উভয় প্যাকেজে মক্কায় ও মদিনায় সৌদি নিয়ম অনুযায়ী একটি খাট, একটি বেড, একটি বালিশ ও একটি কম্বল (কক্ষ শীতাতপনিয়ন্ত্রিত হবে, কোনো কোনো কক্ষে অতিরিক্ত পাখা থাকতে পারে), পাঁচ থেকে আটজনের জন্য একটি সংযুক্ত সাধারণ গোসলখানা-শৌচাগার, মিনায় তাঁবুতে প্রত্যেক হাজির জন্য জায়গা, জেদ্দা-মক্কা-মদিনা-মিনা-আরাফাতের ময়দানে যাওয়া-আসার জন্য পরিবহন, মক্কা ও মদিনায় সাধারণ চিকিৎসা, ফ্লাইটের আগে ঢাকার আশকোনা হজ ক্যাম্পে থাকার ব্যবস্থা, হজের আহকাম-আরকান সম্পর্কে নিবিড় প্রশিক্ষণ, বইপুস্তক সরবরাহ প্রভৃতি সুবিধা পাবেন হাজিরা। প্রতি ৪৫ জন হাজির জন্য একজন গাইড নিয়োগ করা হবে।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় খরচের খাত
দুই ধরনের প্যাকেজেই প্রতি হজযাত্রীর জন্য বিমানভাড়া এক লাখ ২২ হাজার ৮২৭ টাকা, জেদ্দা-মক্কা-মদিনা-মিনা-আরাফাতের যাতায়াত ব্যয়, মিনায় তাঁবু ভাড়া ও মোয়াল্লেম ফি ২৪ হাজার ৩৩৯ টাকা, খাওয়ার খরচ ১৮ হাজার ৩৭৫ টাকা, মিনা-আরাফাতে মোয়াল্লেমের অতিরিক্ত খরচ ১৬ হাজার ৮০০ টাকা, হজ গাইড সাত হাজার ৫৪৪ টাকা, মিনা আরাফাতে ট্রেন ভাড়া পাঁচ হাজার ২৫০ টাকা, স্থানীয় সেবামূল্য ৮০০ টাকা, হজ প্রশিক্ষণ ফি ৩০০ টাকা ও আপৎকালীন তহবিল ২০০ টাকা। এ ছাড়া প্রতি হজযাত্রীর জন্য মক্কা-মদিনায় বাড়িভাড়া একটি প্যাকেজে এক লাখ ৫০ হাজার ৫৯১ টাকা, অন্য প্যাকেজে ৮৩ হাজার ৭৯০ টাকা।

বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় খরচের খাত
হজ এজেন্সির মাধ্যমে প্রত্যেক হজযাত্রীর জন্য বিমানভাড়া এক লাখ ২২ হাজার ৮২৭ টাকা, জেদ্দা-মক্কা-মদিনা-মিনা-আরাফাতের যাতায়াত ব্যয়, মিনায় তাঁবু ভাড়া ও মোয়াল্লেম ফি ২৪ হাজার ৩৩৯ টাকা, স্থানীয় সেবামূল্য ৮০০ টাকা, প্রশিক্ষণ ফি ৩০০ টাকা ও আপৎকালীন তহবিল ২০০ টাকা খরচ হবে। এ ছাড়া মক্কা-মদিনায় বাড়িভাড়া, মিনা-আরাফাতে মোয়াল্লেমের অতিরিক্ত খরচ, মিনা-আরাফাতে ট্রেন ভাড়া, হজ গাইড, খাওয়া ও কোরবানির খরচ এজেন্সি প্যাকেজ অনুযায়ী ঠিক করে থাকে।

হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ
বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সিগুলোর সংগঠন হলো হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)। হাবের মূল কাজ হলো সৌদি ও বাংলাদেশ সরকারের হজ ও ওমরাহ নীতিমালা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা। হাবের ওয়েবসাইট www.haab-bd.com. ঠিকানা: সাত্তার সেন্টার (১৬ তম তলা), হোটেল ভিক্টোরি, ৩০/এ নয়াপল্টন, ভিআইপি রোড, ঢাকা।

হজের টাকা কোন ব্যাংকে জমা দেবেন
হজের ব্যয় বাবদ টাকা নিম্নলিখিত ব্যাংকের যেকোনো শাখায় জমা দেওয়া যাবেঃ ১. সোনালী ব্যাংক লিমিটেড ২. অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড ৩. জনতা ব্যাংক লিমিটেড ৪. রূপালী ব্যাংক লিমিটেড ৫. পূবালী ব্যাংক লিমিটেড ৬. বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক লিমিটেড ৭. রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, রাজশাহী ৮. আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড ৯. ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড ১০. দি সিটি ব্যাংক লিমিটেড ১১. প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড ১২. প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড ১৩. মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড ১৪. স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড ১৫. ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড ১৬. ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড ১৭. ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড ১৮. সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড ১৯. শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড ২০. ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড ২১. ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) লিমিটেড ২২. এক্সিম ব্যাংক লিমিটেড ২৩. স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক লিমিটেড।

পাসপোর্ট বানাবেন যেখানে
ঢাকায় আগারগাঁওয়ে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় অবস্থিত। এটিসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় মোট ৩৩টি আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে। হজযাত্রীরা নিজ নিজ জেলা অনুযায়ী পাসপোর্ট অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়সহ আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে পাসপোর্ট বানাতে পারবেন। এ ছাড়া প্রতিটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাসপোর্টের আলাদা শাখা রয়েছে, সেখান থেকেও ওই জেলায় বসবাসকারীরা পাসপোর্ট বানাতে পারবেন। আবেদনপত্রসহ আরও তথ্য www.passport.gov.bd ঠিকানায় পাওয়া যাবে।

হজের আবেদনপত্র
হজের আবেদনপত্র জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জেলা ও বিভাগীয় কার্যালয়, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দ্বীনি দাওয়াত বিভাগের কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়, তালিকাভুক্ত ২৩টি ব্যাংকের শাখা (যেখানে টাকা জমা দিতে হবে) এবং বাংলাদেশ সচিবালয়, ভবন নম্বর ৮, হজ শাখা, কক্ষ নম্বর ১০৩, ঢাকায় হজ অফিস, আশকোনা থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ এবং জমা করা যাবে। এ ছাড়া www.hajj.gov.bd ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে ফরম পূরণ করে ডাউনলোড ও প্রিন্ট আউট নিয়ে স্বাক্ষরসহ ওই সব কার্যালয়ের যেকোনোটিতে জমা দেওয়া যাবে। আবেদনপত্র আগামী ৪ জুনের মধ্যে জমা দিতে হবে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গেলে নিজ নিজ এজেন্সি থেকে আবেদন সংগ্রহ ও জমা দেওয়া যাবে ৩০ মে তারিখের মধ্যে।

স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও প্রতিষেধক
হজে যাওয়ার আগে প্রত্যেক হজযাত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালসহ বিভিন্ন জেলায় সরকারি মেডিকেল কলেজের হাসপাতাল, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, ঢাকায় সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও প্রতিষেধক নিতে হবে। এ ছাড়া হজের আগে উত্তরা আশকোনা, হজ অফিসেও এ কাজটি সম্পন্ন করা হয়।
প্রত্যেক হজযাত্রীর জন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষা, মেনিনজাইটিস ও ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিষেধক টিকা এবং স্বাস্থ্যসনদ গ্রহণ বাধ্যতামূলক। হজে যাওয়ার আগে এই স্বাস্থ্যসনদ নিতে হবে। আর ৭৫ বছর বা ততোধিক বয়স্ক হজযাত্রীদের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে গঠিত বোর্ডের বিশেষ স্বাস্থ্যসনদ গ্রহণ বাধ্যতামূলক।
সৌদি আরবে বিমানবন্দরে পৌঁছে প্রত্যেক হজযাত্রীকে স্বাস্থ্য সনদ, পরিচয়পত্র এবং কবজি বেল্ট বহন করতে হয়। এটি বাধ্যতামূলক। তাই হজের আবেদনপত্রে স্বাস্থ্যসম্পর্কিত তথ্য যথাযথভাবে পূরণ করা জরুরি।

পাসপোর্ট
পাঁচ বছরের মধ্যে হজ পালন করলে সৌদি সরকার এবার তাঁদের হজ ভিসা দেবে না। নিজ উদ্যোগে আন্তর্জাতিক পাসপোর্ট তৈরি করুন। পাসপোর্টের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে নবায়ন করুন। টাকা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ মে। এই তারিখের আগেই পাসপোর্টের বিষয়টি নিশ্চিত করুন

মাধ্যম
সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমে হজে যাওয়া যায়। উভয় ব্যবস্থাপনায় একাধিক প্যাকেজ রয়েছে। এর মধ্যে ন্যূনতম খরচ দুই লাখ ৭৮ হাজার ৭৪২ টাকা। মক্কার কাবা শরিফ এবং মদিনার মসজিদে নববী থেকে বাসস্থান কত দূর, তার ওপর নির্ভর করে টাকার অঙ্ক

টাকা জমা
টাকা জমা দেওয়ার আগে বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীরা এজেন্সিগুলো যাচাই করে নিন। কোনো কোনো এজেন্সির বিরুদ্ধে সৌদি হজ মন্ত্রণালয়ের অভিযোগ রয়েছে। সরকারি বা বেসরকারি ব্যবস্থাপনা অনুযায়ী নির্ধারিত ২৩ ব্যাংকের শাখায় টাকা জমা দিন। রসিদ ছাড়া কাউকে টাকা দেবেন না

নিয়মকানুন
প্রয়োজনীয় বইপুস্তক, হজ গাইড সংগ্রহ করে পড়ুন। যাঁরা হজে গেছেন, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করুন। হজ ক্যাম্প, আশকোনা, ঢাকা এবং জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যালয় ও www.hajj.gov.bd ঠিকানায় হজ বিষয়ে যাবতীয় তথ্য পাবেন

এক নজরে হজের কার্যক্রম
হজ শব্দের আভিধানিক অর্থ ইচ্ছা করা। এর পারিভাষিক অর্থ আল্লাহ তাআলাকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে শরিয়তের নিয়মানুসারে নির্দিষ্ট সময়ে পবিত্র কাবা শরিফ ও সংশ্লিষ্ট স্থানসমূহ জিয়ারত করা। ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম স্তম্ভ হজ
১. ইহরাম বাঁধা ২. ৭-৮ জিলহজ মিনায় অবস্থান ৩. ৯ জিলহজ সূর্যোদয়ের পরে মিনা থেকে আরাফাতে অবস্থান, সূর্যাস্তের পরে মুজদালিফায় যাওয়া ৪. ৯ জিলহজ মুজদালিফায় রাত যাপন ৫. ১০ জিলহজ মিনায় বড় জামারাকে (শয়তান) কঙ্কর মারা, কোরবানি করা, মাথার চুল ফেলে দেওয়া ৬. ১২ জিলহজের মধ্যে তাওয়াফ জিয়ারত, সাঈ করা ৭. ১১, ১২ জিলহজ মিনায় জামারাকে (শয়তান) কঙ্কর মারা ৮. বিদায়ী তাওয়াফ
সূত্র: হজ মন্ত্রণালয়, সৌদি আরব

হজবিষয়ক যেকোনো তথ্য
পরিচালক, হজ অফিস, আশকোনা, উত্তরা, ঢাকা (ফোন: ৮৯৫৮৪৬২ ও ৭৯১২৩৯১) এবং ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে (ফোন: ৭১৬৩৬৭৮, ৯৫১২২৩৯, ৯৫১২২৩৮, ৭১৬০৩৯৭) যোগাযোগ করে যেকোনো তথ্য নিতে পারেন। এ ছাড়া প্রতিটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়, জেলার উপপরিচালক এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে

স্ত্রী-শোকে নয় খুন

ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যে স্ত্রীর শোকে আক্রান্ত এক মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি আজ বৃহস্পতিবার চার নারী ও পাঁচ শিশুকে হত্যা করেছেন।
এএফপির বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানায়, ওই রাজ্যের জশপুর জেলার বেহরাতলি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জশপুরের পুলিশপ্রধান গোবর্ধন সিং দারো এএফপিকে টেলিফোনে বলেন, বেহরাতলির পাণ্ডু নাগেসিয়াকে তাঁর স্ত্রী ছেড়ে চলে যাওয়ার পর তাঁর কিছু মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। আজ বৃহস্পতিবার তিনি তাঁর নয় প্রতিবেশীকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন।
গোবর্ধন সিং বলেন, ৩৫ বছর বয়সী পাণ্ডু দুই থেকে নয় বছর বয়সী পাঁচ মেয়ে-শিশু, ২৫ বছর বয়সী একজন এবং ষাটোর্ধ্ব দুজন নারীকে হত্যা করেছেন।
পুলিশপ্রধান বলেন, ‘পাণ্ডু প্রথম ২৫ বছর বয়সী নারী ও তাঁর দুই বছর বয়সী মেয়েকে কুঠার দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। এরপর বাকিদের ওপর হামলা চালান।’
পুলিশপ্রধান নিশ্চিত করেন, কুঠারসহ পাণ্ডুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Tuesday, April 2, 2013

স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার পশ্চিম বড়িবাড়ি এলাকা থেকে গতকাল সোমবার স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। অপরদিকে কালিয়াকৈর উপজেলার রূপনগর এলাকার একটি খাল থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন কাপাসিয়ার পশ্চিম বড়িবাড়ি এলাকার আবদুল বারেকের ছেলে মো. আলআমিন (২২) ও তাঁর স্ত্রী পলি আক্তার (১৮) এবং কালিয়াকৈরের রূপনগর এলাকার আবদুর রউফের ছেলে কামাল হোসেন (৩২)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, জামালপুরের গোড়াকান্দা এলাকার আলাল উদ্দিনের মেয়ে পলি আক্তারের সঙ্গে দেড় বছর আগে কাপাসিয়ার আলআমিনের বিয়ে হয়। গত রোববার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় তাঁরা নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে একই শাড়ি গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কাপাসিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, আলআমিনের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে এবং নিহতদের লাশের সুরতহাল করে বোঝা যাচ্ছে, ঘটনাটি আত্মহত্যা। তবে ঘটনার কারণ জানা যায়নি।

যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূর মুখে কাপড় বেঁধে নির্যাতন

স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি করা যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় গত শনিবার রাতে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার টরকীর চর গ্রামে গৃহবধূ ঝিনুক বেগমের মুখে কাপড় বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ঝিনুক বেগম অভিযোগ করেন, শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে যৌতুকের টাকা নিয়ে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে পিটিয়ে জখম করেন। নির্যাতন সইতে না পেরে কান্নাকাটি ও চিৎকার শুরু করলে তাঁর মুখে কাপড় বেঁধে বেদম মারপিট করা হয়। এতে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এরপর তাঁর আর কিছু মনে নেই।
এ ঘটনায় গতকাল সোমবার সকালে ঝিনুক বেগমের বাবা রুহুল আমিন ঘরামি বাদী হয়ে মেয়ের স্বামী জসিম হাওলাদার, ভাশুর লিটন হাওলাদার ও শ্বশুর মজিবর হাওলাদারকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে গৌরনদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
টরকীর চর গ্রামের বাসিন্দা মনির হোসেন, জবেদ আলী ব্যাপারীসহ কয়েকজন জানান, গত রোববার সকালে ঝিনুককে বাড়ির আঙিনায় অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আবদুস সালাম দেওয়ান জানান, রোগীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে এবং মুখমণ্ডল থেকে কীটনাশকের দুর্গন্ধ পাওয়া গেছে। তবে কীটনাশক পানের কোনো লক্ষণ ছিল না।
অভিযোগের ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে কাউকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তবে মুঠোফোনে অভিযোগ অস্বীকার করে জসিম হাওলাদার বলেন, ঝগড়াঝাঁটি হয়েছে—এ কথা সত্য। কিন্তু নির্যাতনের অভিযোগ সত্য নয়।
গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

প্রথম দিনে অনুপস্থিত ৯২৯৭, বহিষ্কার ৩৩

উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে সারা দেশে গতকাল সোমবার শুরু হয়েছে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। পরীক্ষার প্রথম দিনে ১০ বোর্ডে অনুপস্থিত ছিল নয় হাজার ২৯৭ জন শিক্ষার্থী এবং বহিষ্কৃত হয়েছে ৩৩ জন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণকক্ষের হিসাব অনুযায়ী অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঢাকা বোর্ডে এক হাজার ৬২৩, রাজশাহীতে এক হাজার ১১৬, যশোরে ৮৪৬, কুমিল্লায় ৮৪১, চট্টগ্রামে ৬৯৭, সিলেটে ৩৭৩, বরিশালে ৩১৪, দিনাজপুরে ৬৬৩, মাদ্রাসা বোর্ডে এক হাজার ৫০৪ এবং কারিগরি বোর্ডে এক হাজার ৩২০ পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।
বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ২০ জনই কারিগরি বোর্ডের শিক্ষার্থী। বাকিদের মধ্যে নয়জন মাদ্রাসার, দুজন কুমিল্লার, একজন সিলেটের ও দিনাজপুর বোর্ডের একজন শিক্ষার্থী। নিয়ন্ত্রণকক্ষ জানিয়েছে, তাদের কাছে কোনো ধরনের অস্বাভাবিক খবর আসেনি।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ঢাকা কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি আবারও পরীক্ষার সময়ে হরতাল না দেওয়ার জন্য রাজনৈতিক দলসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি পরীক্ষার সময়ে হরতালের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক, শিক্ষাবিদ, পেশাজীবী, সুশীল সমাজসহ সর্বস্তরের সচেতন জনগণের প্রতি সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।
এ সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এম গোলাম ফারুক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফাহিমা খাতুন, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তাসলিমা বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এবার আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীন আলিম ও কারিগরি বোর্ডের অধীন এইচএসসি (ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা) পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ১০ লাখ ১২ হাজার ৫৮১ জন।

‘ভগবান যেন চোখটি ভালো করে দেন’

‘ভগবানের কাছে একটাই চাওয়া, আমার মেয়ের চোখটি যেন ভালো করে দেন। আমার মেয়ে যেন আবার আগের মতো হয়, আবার পড়ালেখা করতে পারে।’ এই চাওয়া অন্তু বড়ুয়ার মা শিল্পী বড়ুয়ার। অন্তু বড়ুয়া নগরের জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গত ২৮ মার্চ চট্টগ্রামে ১৮-দলীয় জোটের টানা ৩৬ ঘণ্টা হরতালের সময় ককটেল বিস্ফোরণে চোখে আঘাত পায় অন্তু। গত রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে অন্তুকে ভর্তি করা হয় রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে। গতকাল সোমবার বিকেলে অন্তুর চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ড বসে। ছয় সদস্যবিশিষ্ট এই বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অন্তুর চিকিৎসা আপাতত এই হাসপাতালেই চলবে। কাল বুধবার আবার অন্তুর সার্বিক বিষয়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।
গতকাল দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে কথা হলো অন্তু মা-বাবার সঙ্গে। হাসপাতালের শয্যায় বিমর্ষ অন্তু। গণমাধ্যমের কর্মীদের প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে কিছুটাও বিরক্তও সে।
গতকাল স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, স্বাস্থ্যসচিব এম এম নিয়াজউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক জুলফিকার আলীসহ অনেকেই অন্তু বড়ুয়াকে দেখতে হাসপাতালে যান। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া থেকে শুরু করে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দেন তাঁরা।
হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক দীন মো. নুরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, বর্তমানে অন্তুর ৭০ শতাংশ দৃষ্টি ঠিক আছে। তবে তার চোখের অবস্থা আরও খারাপ হবে কি না, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। ছয় মাস থেকে এক বছর পরে গিয়ে তা হয়তো বলা যাবে। চোখের আঘাতের ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে রেটিনা, কর্নিয়া, লেন্সে ক্ষতি হতে পারে। এ কারণে গ্লুকোমা হতে পারে, চোখে ছানিও পড়তে পারে।
চিকিৎসকেরা জানালেন, অন্তুর চোখের বাইরের দিকে পাঁচটি সেলাই দিতে হয়েছে। ব্যান্ডেজ খোলা হলেও সে ভালো করে তাকাতে পারছে না। ঝাপসা দেখছে।
অন্তুর মা বলেন, ‘আমার মেয়ে চোখ হারাতে বসেছে। এর যে কী যন্ত্রণা, তা আমি বুঝতে পারছি। আর কোনো মাকে বা অভিভাবককে যেন এই পরিস্থিতির মুখে পড়তে না হয়।’
পাশে বসা অন্তুর বাবা ব্যাংক কর্মকর্তা অঞ্জন বড়ুয়া বলেন, ‘সরকার অপরাধীদের শাস্তি দেবে। আমরা সরকারের কাছে জীবনের নিরাপত্তা চাই।’
প্রধানমন্ত্রী অন্তুর চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়ায় অন্তুর বাবা ও মা প্রধানমন্ত্রী এবং সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

সাত দিনের রিমান্ডে তিন ব্লগার


ইন্টারনেটে বিভিন্ন ব্লগে ইসলাম ধর্ম নিয়ে উসকানিমূলক মন্তব্য ও কটূক্তি করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া তিন ব্লগারকে সাত দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার দুপুুরে ঢাকার মহানগর হাকিম তারেক মইনুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন: মশিউর রহমান বিপ্লব, রাসেল পারভেজ ও সুব্রত শুভ। গতকাল রাতে রাজধানীর ইন্দিরা রোড, মনিপুরিপাড়া ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন পলাশী এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
ডিবি পুলিশ আজ দুপুরে ওই তিনজনকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে। আদালত প্রত্যেকের জন্য সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে, তাঁদের জামিনের আবেদন করা হলে আদালত তা নাকচ করে দেন।
আজ দুপুর ১২টায় মিন্টো রোডে ডিবির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ওই তিনজনের কাছ থেকে একটি ডেস্কটপ কম্পিউটার, একটি ল্যাপটপ, দুটি ইন্টারনেট সংযোগের মডেম ও একটি এক্সটারনাল হার্ডডিস্ক উদ্ধার করা হয়েছে।
মিডিয়া সেন্টার থেকে জানানো হয়, মশিউর রহমান বিপ্লব ফেসবুকে ‘আল্লামা শয়তান’ নামে, সামহয়্যারইন ও নাগরিক ব্লগে ‘শয়তান’ এবং আমার ব্লগে ‘নেমেসিস’ ছদ্মনামে লেখালেখি করেন। রাসেল পারভেজ আমার ব্লগে ‘রাসেল পারভেজ’, সামহয়্যারইন ব্লগে ‘রাসেল’ ও ‘অপবাক’ ছদ্মনামে লেখালেখি করেন। আর সুব্রত শুভ সামহয়্যারইন ব্লগে ‘সাদা মুখোশ’, আমার ব্লগে ‘সুব্রত শুভ’, নাগরিক ব্লগে ‘আজাদ’, ইস্টেশন ব্লগে ‘লালু কসাই’ ছদ্মনামে লিখতেন। প্রকৃতিবাদে বিশ্বাসী এই ব্লগাররা ইন্টারনেটে বিভিন্ন ব্লগে তাঁদের লেখালেখির মাধ্যমে ইসলামসহ বিভিন্ন ধর্মের প্রবর্তকদের বিতর্কিতভাবে উপস্থাপন করে ধর্মপ্রাণ মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করে আসছিলেন।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে ডিবির পশ্চিম ও উত্তর বিভাগের উপকমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম জানান, গোপন খবরের ভিত্তিতে ডিবির অতিরিক্ত উপকমিশনার মশিউর রহমান, মো. শহীদুল্লাহ, মানস কুমার পোদ্দারের নেতৃত্বে একটি দল গতকাল সোমবার রাত পৌনে ১০টায় ফার্মগেটের ইন্দিরা রোড ও মনিপুরিপাড়া এলাকা থেকে মশিউর রহমান ও রাসেল পারভেজকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁদের তথ্যের ভিত্তিতে দিবাগত রাত পৌনে তিনটার দিকে পলাশী মোড় থেকে সুব্রত শুভকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উপকমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামের ভাষ্য, ডিবির সাইবার ক্রাইম ইউনিট দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন ইন্টারনেট ব্যবহার করে ধর্ম নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য লিখতেন। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও হার্ডডিস্ক থেকে এর প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাঁদের আইনের আওতায় নেওয়া হয়েছে।
কথিত ‘নাস্তিক’ ব্লগারদের গ্রেপ্তার ও শাস্তিসহ ১৩ দফা দাবিতে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচির সঙ্গে এই গ্রেপ্তারের কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কি না, জানতে চাইলে মোল্যা নজরুল ইসলাম জানান, হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের সঙ্গে এর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। আইনের পরিপন্থী কাজ করায় ও অন্যের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

‘পুলিশ কনস্টেবলরা তখন কী করছিলেন?’


‘আমার বাবা যখন শিবিরের কর্মীদের হাতে মার খাচ্ছিলেন, তখন তাঁর সঙ্গে থাকা পুলিশ কনস্টেবলরা কী করছিলেন? এ প্রশ্নটি আমার মনে বারবার ঘুরপাক খাচ্ছে।’
আজ মঙ্গলবার এ কথা বলছিলেন রাজশাহীতে শিবিরকর্মীদের বেদম পিটুনিতে আহত উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে ফয়সাল সিদ্দিকী (২৬)।  তিনি বলেন, ‘কেবল পুলিশ নয়, ঘটনাস্থলে তো র্যাবও মোতায়েন ছিল, তারা কেন এগিয়ে আসেনি? এ কথা গতকাল সিএমএইচে (সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল) বাবাকে দেখতে আসা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে করেছিলাম। এর কোনো উত্তর মেলেনি।’
প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে ফয়সাল জানান, ওই দিন ঘটনাস্থল উপশহর পুলিশ ফাঁড়িতে সকাল থেকে দায়িত্ব পালন করছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। একটি পিকআপ ভ্যানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন চালকসহ আরও ১৩ জন পুলিশ সদস্য। ভ্যানের সামনের আসনে বসেছিলেন জাহাঙ্গীর। জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা যখন মিছিল বের করে চার রাস্তার মোড়ে এসে ককটেল ছুড়তে থাকেন, তখন পিকআপের পেছন থেকে পুলিশ কনস্টেবলরা বের হয়ে গেলেও কোনো পাল্টা জবাব দেননি; বরং ঘটনাস্থল থেকে তাঁরা সরে যান। এই সুযোগে তাঁর বাবা জাহাঙ্গীর আলমকে একা পেয়ে হামলা চালান জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা।
ফয়সাল অভিযোগ করেন, সকাল ১০টার দিকে তাঁর বাবা ওই হামলার শিকার হলেও পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁদের কোনো খবর দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, ‘ঝর্ণা নামের এক মহিলা ঘটনাস্থল থেকে বাবাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান এবং তিনিই আমাদের বাসায় খবর দেন।’
রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতকোত্তর করা ফয়সালের প্রথমে ধারণা ছিল, রাজশাহী শহরের ভদ্রা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন তাঁরা। তাই রাজশাহী শহরে জাহাঙ্গীর আলমের যথেষ্ট পরিচিতি আছে। এ জন্য তাঁর বাবা হয়তো সামান্য আহত হতে পারেন। কিন্তু এই হামলা যে এতটা ভায়বহ, তা বুঝতে পারেননি।
ফয়সালের মতে, শিবিরের বেশির ভাগ কর্মীই বাইরে থেকে এসে এ ধরনের হামলার কাজ করে থাকেন। সম্প্রতি রাজশাহী শহরে যেসব শিবিরকর্মী এসব ঘটনা ঘটাচ্ছেন, অজ্ঞাত কারণে তাঁরা প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এই হামলার সঙ্গে স্থানীয় শিবিরের কিছু নেতা-কর্মী জড়িত থাকতে পারেন বলে ফয়সালের সন্দেহ।
এ ব্যাপারে বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান মুঠোফোনে প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, জাহাঙ্গীরের সঙ্গে থাকা ১২ জন কনস্টেবলের মধ্যে ছয়জনই নতুন নিয়োগ পেয়েছেন। শিবিরের আক্রমণে বিচলিত হয়ে তাঁরা পাল্টা অ্যাকশনে যেতে পারেননি। এ ঘটনায় এজাহারভুক্ত ২৩ ও অজ্ঞাত ৩৫ জনকে আসামি করে গতকাল রাত ১১টায় একটি মামলা হয়েছে। জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া রিভলবারটি উদ্ধার করা গেছে। হামলার সঙ্গে জড়িত থাকা সোহান নামের একজনকে চাপাতিসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এদিকে সিএমএইচে চিকিত্সাধীন জাহাঙ্গীর আলমের শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো জানিয়ে ফয়সাল বলেন, ‘চিকিত্সকেরা জানিয়েছেন, আমার বাবার মাথা থেঁতলে যাওয়ায় আঠা না দিয়ে নয়টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। ফেটে গেলে হয়তো বিপদ হতে পারত। তবে উচ্চমাত্রায় ডায়াবেটিসের কারণে ভীতি এখনো কাটেনি। মাঝেমধ্যে জ্ঞান ফিরলেও এ জন্যই আবার অচেতন হয়ে পড়ছেন তিনি। তাই চিকিত্সকেরা এখনো বাবাকে আইসিইউতে রেখেছেন।

ফিসপ্লেট উপড়ে ফেলায় তূর্ণা নিশীথা লাইনচ্যুত



ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী তূর্ণা-নিশীথা ট্রেনের একটি ইঞ্জিনসহ ছয়টি বগি আজ মঙ্গলবার ভোররাতে লাইনচ্যুত হয়েছে। হরতালের প্রথম প্রহরে রেললাইনের ফিসপ্লেট উপড়ে ফেলায় কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার শ্রীমন্তপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন।
এ ঘটনায় ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট ও ময়মনসিংহ রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী মহানগর প্রভাতী এবং চট্টগ্রাম থেকে সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেসের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে।
বেলা দুইটার দিকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী দুর্ঘটনাস্থল শ্রীমন্তপুরে পৌঁছে। আর চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনটিও এ সময় শ্রীমন্তপুরে যায়। সেখানে যাত্রীরা ট্রেন বদল করে নিজ নিজ গন্তব্যে যান।
কুমিল্লা রেলওয়ের স্টেশনমাস্টার মোহাম্মদ হোসেন মজুমদার প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, খবর পেয়ে লাকসাম ও আখাউড়া থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন সকাল সাড়ে আটটার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে। বিকেল নাগাদ মেরামত কাজ শেষ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
স্টেশনমাস্টার মোহাম্মদ হোসেন মজুমদার আরও বলেন, তূর্ণা-নিশীথা ট্রেনটি কুমিল্লা থেকে রাত চারটা ২৫ মিনিটে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। কুমিল্লার শ্রীমন্তপুরে পৌঁছার পর ট্রেনটির একটি ইঞ্জিন ও পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়। রেললাইনের ফিসপ্লেট উপড়ে ফেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার কারণে কুমিল্লার রসুলপুর এলাকায় নোয়াখালী এক্সপ্রেস ট্রেন ও আখাউড়া রেলজংশনে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী মেইল ট্রেন আটকা পড়েছে।
ট্রেনের যাত্রী আবুল খায়ের গ্রুপের বিপণন বিভাগে কর্মরত খোরশেদ আলম বলেন, ‘আমি ছিলাম ট্রেনটির একেবারে পেছনের বগিতে। হঠাত্ ট্রেনের বিকট এক শব্দ হয়। পরে জানতে পারি, ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এ সময় যাত্রীরা চিত্কার করে নেমে যান। তখন অনেকে কমবেশি আহত হন।’
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ২০০৭ সালের ২ আগস্ট উপকূল ট্রেনকে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষাকারী স্থানীয় বাসিন্দা রকিবুল হাসান জানান, আগেও একই জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটেছিল।
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট ও ছাত্রশিবির আজ সারা দেশে হরতাল ডেকেছে। এই হরতালে আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য দুর্বৃত্তরা নাশকতা করেছে বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।

Monday, April 1, 2013

শেয়ারবাজারে বড় ধরনের দরপতন হয়েছে

দেশের শেয়ারবাজারে আজ সোমবার বড় ধরনের দরপতন হয়েছে। বেলা আড়াইটায় দিনের লেনদেন শেষে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রায় সব কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। ফলে সূচকের বড় পতন লক্ষ করা গেছে। এর প্রতিবাদে মতিঝিলে ডিএসইর সামনে বিক্ষোভ করেছেন বিনিয়োগকারীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ দরপতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলতে থাকলে বেলা দুইটার দিকে বিনিয়োগকারীরা ডিএসইর সামনে রাস্তায় নেমে আসেন। তাঁরা দরপতনের প্রতিবাদে এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও ডিএসইর সভাপতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজান উর রশিদ চৌধুরী প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, বাজারে অব্যাহতভাবে দরপতন চলছে। এ বিষয়ে বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ সংশ্লিষ্টরা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। উল্টো দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের বিভিন্ন সময়ের দায়িত্বহীন কথাবার্তা ও সিদ্ধান্ত বাজারে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। ফলে দরপতন ত্বরান্বিত হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা নিষ্ক্রিয় রয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ডিএসই সূত্রে জানা যায়, আজ দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক গতকালের চেয়ে ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ অর্থাত্ ১৩২ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেন হওয়া ২৬৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৩৯টির দাম কমেছে, বেড়েছে মাত্র ১১টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। আজ এই স্টক এক্সচেঞ্জে ১৩৮ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।