স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি করা যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় গত
শনিবার রাতে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার টরকীর চর গ্রামে গৃহবধূ ঝিনুক বেগমের
মুখে কাপড় বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ঝিনুক বেগম অভিযোগ করেন, শনিবার
রাত সাড়ে ১০টার দিকে যৌতুকের টাকা নিয়ে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে তাঁর স্বামী ও
শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে পিটিয়ে জখম করেন। নির্যাতন সইতে না পেরে
কান্নাকাটি ও চিৎকার শুরু করলে তাঁর মুখে কাপড় বেঁধে বেদম মারপিট করা হয়।
এতে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এরপর তাঁর আর কিছু মনে নেই।
এ ঘটনায় গতকাল সোমবার সকালে ঝিনুক বেগমের বাবা রুহুল আমিন ঘরামি বাদী হয়ে
মেয়ের স্বামী জসিম হাওলাদার, ভাশুর লিটন হাওলাদার ও শ্বশুর মজিবর
হাওলাদারকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে গৌরনদী থানায় একটি
মামলা দায়ের করেন।
টরকীর চর গ্রামের বাসিন্দা মনির হোসেন, জবেদ আলী ব্যাপারীসহ কয়েকজন জানান,
গত রোববার সকালে ঝিনুককে বাড়ির আঙিনায় অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাঁকে
উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আবদুস সালাম
দেওয়ান জানান, রোগীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে এবং
মুখমণ্ডল থেকে কীটনাশকের দুর্গন্ধ পাওয়া গেছে। তবে কীটনাশক পানের কোনো
লক্ষণ ছিল না।
অভিযোগের ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে কাউকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তবে মুঠোফোনে
অভিযোগ অস্বীকার করে জসিম হাওলাদার বলেন, ঝগড়াঝাঁটি হয়েছে—এ কথা সত্য।
কিন্তু নির্যাতনের অভিযোগ সত্য নয়।
গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।