Tuesday, April 2, 2013

ফিসপ্লেট উপড়ে ফেলায় তূর্ণা নিশীথা লাইনচ্যুত



ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী তূর্ণা-নিশীথা ট্রেনের একটি ইঞ্জিনসহ ছয়টি বগি আজ মঙ্গলবার ভোররাতে লাইনচ্যুত হয়েছে। হরতালের প্রথম প্রহরে রেললাইনের ফিসপ্লেট উপড়ে ফেলায় কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার শ্রীমন্তপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন।
এ ঘটনায় ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট ও ময়মনসিংহ রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী মহানগর প্রভাতী এবং চট্টগ্রাম থেকে সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেসের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে।
বেলা দুইটার দিকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী দুর্ঘটনাস্থল শ্রীমন্তপুরে পৌঁছে। আর চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনটিও এ সময় শ্রীমন্তপুরে যায়। সেখানে যাত্রীরা ট্রেন বদল করে নিজ নিজ গন্তব্যে যান।
কুমিল্লা রেলওয়ের স্টেশনমাস্টার মোহাম্মদ হোসেন মজুমদার প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, খবর পেয়ে লাকসাম ও আখাউড়া থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন সকাল সাড়ে আটটার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে। বিকেল নাগাদ মেরামত কাজ শেষ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
স্টেশনমাস্টার মোহাম্মদ হোসেন মজুমদার আরও বলেন, তূর্ণা-নিশীথা ট্রেনটি কুমিল্লা থেকে রাত চারটা ২৫ মিনিটে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। কুমিল্লার শ্রীমন্তপুরে পৌঁছার পর ট্রেনটির একটি ইঞ্জিন ও পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়। রেললাইনের ফিসপ্লেট উপড়ে ফেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার কারণে কুমিল্লার রসুলপুর এলাকায় নোয়াখালী এক্সপ্রেস ট্রেন ও আখাউড়া রেলজংশনে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী মেইল ট্রেন আটকা পড়েছে।
ট্রেনের যাত্রী আবুল খায়ের গ্রুপের বিপণন বিভাগে কর্মরত খোরশেদ আলম বলেন, ‘আমি ছিলাম ট্রেনটির একেবারে পেছনের বগিতে। হঠাত্ ট্রেনের বিকট এক শব্দ হয়। পরে জানতে পারি, ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এ সময় যাত্রীরা চিত্কার করে নেমে যান। তখন অনেকে কমবেশি আহত হন।’
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ২০০৭ সালের ২ আগস্ট উপকূল ট্রেনকে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষাকারী স্থানীয় বাসিন্দা রকিবুল হাসান জানান, আগেও একই জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটেছিল।
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট ও ছাত্রশিবির আজ সারা দেশে হরতাল ডেকেছে। এই হরতালে আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য দুর্বৃত্তরা নাশকতা করেছে বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।