মিরপুর বিআরটিসি বাস কাউন্টারের সামনে নাজিয়া সুলতানা তার বয়স্ক মাকে নিয়ে
দীর্ঘক্ষণ বাসের অপেক্ষায় ছিলেন। পাশে যাত্রী ছাউনি থাকলেও সেখানে মাকে
বসানোর সুযোগ পান না নাজিয়া। ছাউনির অর্ধেকজুড়ে 'অলি জেনারেল স্টোর'। বাকি
জায়গায় পত্রিকাসহ বিভিন্ন পণ্যের হকাররা নিজেদের পসরা সাজিয়ে বসেছে।
ভোগান্তির কারণে অনেকটা বিরক্তি প্রকাশ করেই নাজিয়া বলেন, 'শহরে এখন শুধু
নামেই যাত্রী ছাউনি আছে। কিন্তু এর অধিকাংশই ব্যবহার হচ্ছে ব্যবসায়িক
কাজে।'
এ তো গেল মিরপুর এলাকার চিত্র। কিন্তু পথ চলতে গিয়ে গোটা রাজধানীতেই সরকারি
অর্থায়নে নির্মিত যাত্রী ছাউনিগুলো আর সাধারণ যাত্রীদের কাজে আসছে না।
এগুলো যে শুধু ব্যবসায়িক কাজেই ব্যবহার হচ্ছে, তা নয়, যাত্রীদের বদলে অনেক
সময় পুলিশ সদস্যদেরও দল বেঁধে ছাউনিগুলোতে অলস সময় কাটাতে দেখা যায়। বিশেষ
করে প্রেসক্লাব ও শাহবাগ এলাকায় এটি নিয়মিত ব্যাপার। অন্যদিকে বেসরকারি
মোবাইল ফোন কোম্পানিসহ বিভিন্ন পণ্যের বিশাল বিলবোর্ডও এখন গিলে খাচ্ছে
নগরীর যাত্রী ছাউনিগুলো। কিন্তু এদিকে যেন দৃষ্টি দেওয়ার কেউ নেই। ঢাকায়
নির্মিত অধিকাংশ যাত্রী ছাউনিই বর্তমানে ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার হচ্ছে। ফলে
যাত্রী ছাউনিতে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রী ও ক্লান্ত পথচারীরা এখন আর এগুলো
ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন না। যাত্রী ছাউনিগুলোতে মূলত মোবাইল ফোন রিচার্জ,
জেনারেল স্টোর, ওষুধের দোকান, ফাস্টফুডের দোকানসহ বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা গড়ে
তোলা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিটি করপোরেশনের কাছ থেকে প্রথমে বড়
ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো যাত্রী ছাউনিগুলো লিজ নেন। পরবর্তীতে এ
প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে চুক্তি অনুযায়ী বিভিন্ন এলাকার মাঝারি শ্রেণীর
ব্যবসায়ীরা মাসিক ভাড়ার ভিত্তিতে যাত্রী ছাউনিগুলো খুচরা দোকানদারদের ভাড়া
দেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৯৮৫-৮৬ সালে ঢাকা সিটি করপোরেশন (ডিসিসি) নগরীতে
প্রায় দেড়শ' যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করে। সে সময় চুক্তির মাধ্যমে ডিসিসির
সম্পত্তি বিভাগ থেকে যাত্রী ছাউনির একটি অংশে সংবাদপত্রের দোকান তৈরি করা
যাবে এমন ব্যবস্থা রাখা হয়। এ চুক্তির মেয়াদ ২০১৩-১৪ সালে শেষ হওয়ার কথা।
কিন্তু শুধু সংবাদপত্রের দোকান তৈরির কথা থাকলেও পরে অবৈধভাবে যাত্রী
ছাউনিগুলোর বাণিজ্যিক ব্যবহার শুরু হতে থাকে। ডিসিসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে,
তারা যাত্রী ছাউনি থেকে কয়েকবার অবৈধ স্থাপনাগুলো সরিয়ে ফেলার উদ্যোগ
নিয়েছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা আদালতের ইনজেকশন নিয়ে ডিসিসিকে তাদের অবৈধ
স্থাপনা ভেঙে ফেলা থেকে বিরত রাখেন। ডিসিসি জানায়, বর্তমানে নগরীতে ডিসিসির
মাত্র ২৫ থেকে ৩০টির মতো যাত্রী ছাউনি অবশিষ্ট আছে। এ ব্যাপারে ঢাকা উত্তর
সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন বিপন কুমার সাহা
বাংলাদেশ প্রতিদিনের কাছে বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, 'অসাধু
ব্যবসায়ীরা কোর্ট থেকে স্টে অর্ডার নিয়ে যাত্রী ছাউনিতে অবৈধ স্থাপনা
নির্মাণ করছেন। আমরা চাই যাত্রীদের সুবিধার্থে দেশের বড় কর্পোরেট
প্রতিষ্ঠানগুলো যাত্রী ছাউনি নির্মাণে এগিয়ে আসবে। এতে ছাউনিগুলোতে অন্যরা
দোকান তৈরির সুযোগ পাবেন না এবং যাত্রীরাও আর ভোগান্তির শিকার হবেন না।
সম্প্রতি মিরপুর ১১ থেকে ১০ নম্বর পর্যন্ত তিনটি যাত্রী ছাউনি ঘুরে দেখা
যায়, এগুলোর উল্লেখযোগ্য পরিমাণ জায়গায় গড়ে উঠেছে খাবার ও ওষুধের দোকান। ১০
নম্বর এলাকার সিটি করপোরেশন কার্যালয়ের সামনেই যাত্রী ছাউনিতে গড়ে উঠেছে
'অলি' নামক জেনারেল স্টোর। এ ছাউনির সামনে অবস্থিত বিআরটিসি কাউন্টারে
অপেক্ষমাণ যাত্রীদের যাত্রী ছাউনির পর্যাপ্ত জায়গার অভাবে প্রধান সড়কেই
ঝুঁকি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এ ব্যাপারে দোকানের মালিক মুন্না জনান,
বছরখানেক আগে 'নেপচুন' নামক একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এ
যাত্রী ছাউনিতে দোকান নির্মাণের জন্য জমা বাবদ ৫০ হাজার টাকা জমা দেন। মাসে
তাকে ভাড়া দিতে হয় আরও ৪ হাজার টাকা। এখানে দাঁড়িয়ে থাকা এক যাত্রী বলেন,
'যাত্রী ছাউনির অবৈধ স্থাপনার কারণে রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে সাধারণ
যাত্রীদের বাসের অপেক্ষায় দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। তবে বেশি কষ্ট হয়
নারী, শিশু ও বয়স্কদের। দোকানের মালিক মুন্না বলেন, 'লোকসমাগম বেশি হওয়ায়
২০১২ এর বিশ্বকাপের পর এ জায়গাটিতে দোকান দিয়েছি। ব্যবসা ভালো হচ্ছে।' একই
দিন সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নগরীর ধানমন্ডি সিটি কলেজের সামনের যাত্রী
ছাউনিটিতে অবৈধভাবে জেনারেল স্টোর, মোবাইল ফোন রিচার্জের দোকান ও ফটোকপির
দোকান গড়ে উঠেছে। এতে গণপরিবহনের জন্য অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীসহ সাধারণ
যাত্রীদের ছাউনির ব্যবহারের বদলে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
এ ছাড়া কলেজ গেটের সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল ও আসাদগেটে 'আড়ং'-এর উল্টোদিকের
যাত্রী ছাউনিগুলোতে ওষুধ ও খাবারের দোকান তৈরি করা হয়েছে। ঢাকার পুরনো ও
অপরিষ্কার যাত্রী ছাউনিগুলোর ভগ্নদশাই বলে দেয়, বহু আগে নির্মাণের কারণে এর
বেশির ভাগই এখন ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া নোংরা পরিবেশের কারণে
অব্যবহৃত থাকায় অনেক ছাউনিতে মাদকাসক্ত ও ভবঘুরে মানুষ থাকতে শুরু করেছেন।
Thursday, January 10, 2013
বেদখলে নগরীর সরকারি যাত্রী ছাউনি
তীব্র শৈত্যপ্রবাহে কাবু দেশ, ৫৭ বছরের রেকর্ড ভেঙ্গে তাপমাত্রা ৩.২
নজীরবহীন শৈত্যপ্রবাহে কাবু হয়ে গেছ বাংলাদেশ। কনকনে শীত আর প্রবল
কুয়াশার ফলে ঢাকাসহ সারা দেশেই কয়েকদিন ধরে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে।
দিনের বেলাও হেডলাইট চালিয়ে গাড়ি চালাচ্ছেন চালকরা। বিশেষ করে হিমালয়ের নিকটবর্তী হওয়ায় দেশের উত্তরাঞ্চলে ঘন কুয়াশার জন্য কয়েকদিন ধরে সূর্য দেখা যাচ্ছে না। বাংলাদেশে গত ৪৫ বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বুধবার, ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে শুধুমাত্র জানুয়ারি মাস বিবেচনায় এটি ৫৭ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। ১৯৫৫ সালে দিনাজপুরে রেকর্ড করা হয়েছিল ৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এর আগে ১৯৬৮ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল শ্রীমঙ্গলে ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ শাহ আলম চীনের সংবাদ মাধ্যম সিনহুয়াকে বলেন, তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে কমে গিয়েছে। ঢাকা থেকে ৩৩৮ কিলোমিটার দূরের দিনাজপুর জেলায় তাপমাত্রা কমে ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে দাঁড়িয়েছে। তিনি জানান, বুধবার রাজধানী ঢাকার রেকর্ড করা তাপমাত্রা ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ১৯৬৪ সালের পর থেকে সর্বনিম্ন। সেসময় ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দিনের বেলাও হেডলাইট চালিয়ে গাড়ি চালাচ্ছেন চালকরা। বিশেষ করে হিমালয়ের নিকটবর্তী হওয়ায় দেশের উত্তরাঞ্চলে ঘন কুয়াশার জন্য কয়েকদিন ধরে সূর্য দেখা যাচ্ছে না। বাংলাদেশে গত ৪৫ বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বুধবার, ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে শুধুমাত্র জানুয়ারি মাস বিবেচনায় এটি ৫৭ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। ১৯৫৫ সালে দিনাজপুরে রেকর্ড করা হয়েছিল ৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এর আগে ১৯৬৮ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল শ্রীমঙ্গলে ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ শাহ আলম চীনের সংবাদ মাধ্যম সিনহুয়াকে বলেন, তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে কমে গিয়েছে। ঢাকা থেকে ৩৩৮ কিলোমিটার দূরের দিনাজপুর জেলায় তাপমাত্রা কমে ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে দাঁড়িয়েছে। তিনি জানান, বুধবার রাজধানী ঢাকার রেকর্ড করা তাপমাত্রা ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ১৯৬৪ সালের পর থেকে সর্বনিম্ন। সেসময় ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মার্শাল ও মেহরাবের ডাবল সেঞ্চুরি
সুসময় পার করছেন মার্শাল আইয়ুব। ব্যাট হাতে নেমেই আলো ছড়াচ্ছেন এই তরুণ
ক্রিকেটার। বিশেষ করে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল)। বিসিএল এখন
মার্শালময়। আগের দুই ম্যাচের মতো বিসিএলের তৃতীয় ম্যাচেও সেঞ্চুরি করেছেন
মার্শাল। এবার সেঞ্চুরিতে থেমে থাকেননি মার্শাল, প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে
ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন বিসিএলে। ২৫১ রানে ব্যাট করে এখন ধীর পায়ে এগোচ্ছেন
ট্রিপল সেঞ্চুরির দিকে। বগুড়া শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ওয়ালটন সেন্ট্রাল
জোনের পক্ষে মার্শালই ডাবল সেঞ্চুরি করেননি, সাবেক টেস্ট ক্রিকেটার মেহরাব
হোসেন জুনিয়রও ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন। মেহরাব ব্যাট করছেন ২০৬ রানে। দুজন
কাল ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের পুরোটা সময় ব্যাট করলে ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোনের
বিপক্ষে ৪ উইকেটে ৫২৮ রান তুলেছে সেন্ট্রাল জোন। রান পাহাড়ে চড়ে সেন্ট্রাল
জোনের বিসিএলের ফাইনাল খেলা অনেকটাই নিশ্চিত।
ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনের কথা লিখতে হলে লিখতে হবে শুধু মার্শাল আইয়ুবের কথা। বিসিএলের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ান প্রথম দুই ম্যাচেও সেঞ্চুরি করেন। প্রথম ম্যাচে প্রাইম ব্যাংক সাউথ জোনের বিপক্ষে করেছিলেন ১২৫ রান এবং দ্বিতীয় ম্যাচে বিসিবি নর্থ জোনের বিপক্ষে ১৩১ রান করেন মার্শাল। গতকাল ২৫১ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন মার্শাল ৩২৩ বলে ২৭ বাউন্ডারি ও ৩ ওভার বাউন্ডারিতে। ম্যাচের প্রথম দিন অপরাজিত ছিলেন ৯৫ রানে। দিনের শুরুতেই আসরের টানা তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন মার্শাল ১৪৩ বলে। এরপর ১৫০ রান করেন নতুন বল নেওয়ার পর ২৫৭ বলে। ডাবল সেঞ্চুরি করেন ২৬৮ বলে ১৯ বাউন্ডারি ও ২ ওভার বাউন্ডারিতে। ১৪তম ওয়ালটন জাতীয় ক্রিকেটেও মার্শাল একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন। ২০৬ রানের ইনিংসটি খেলেছিলেন আসরের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রামের বিপক্ষে। মেহরাব ২০৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ৩৫১ বলে ২৬ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায়। ম্যাচের প্রথমদিন অপরাজিত ছিলেন ৭৫ রানে। সেঞ্চুরি করেন লাঞ্চ বিরতির আগে ১৯৮ বলে। ১৫০ করেন ২৫৭ বলে ২১ বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারিতে এবং ডাবল সেঞ্চুরি করেন ৩৪৪ বলে ২৫ বাউন্ডারি ও ২ ওভার বাউন্ডারিতে।
এই দুই ব্যাটসম্যান জুটি বাঁধেন ৫৬ রানে ৪ উইকেটের পতনের পর। এরপর দুজনে অবিচ্ছিন্ন থেকে ১১৮.৪ ওভার ব্যাটিং করেন। দুজনে জুটি বেঁধে রান করেন ৪৭২। যা বাংলাদেশের সব ধরনের উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি। এ ছাড়া এটাই প্রথম বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে চার শতাধিক রানের জুটি এবং প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে চতুর্থর্ সর্বোচ্চ রানের জুটি। চতুর্থ উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রানের জুটি ভারতের বিজয় হাজারে ও গুল মোহাম্মদের, ৫৭৭ রান। বারোদার পক্ষে ১৯৪৬-৪৭ সালে করেছিলেন দুজনে। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৫০০ রানের জুটি রয়েছে তিনটি। সব ধরনের উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি কুমারা সাঙ্গাকারা ও মাহেলা জয়াবর্ধনের, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৬২৪, ২০০৬ সালে কলম্বোয়। ডাবল সেঞ্চুরি ২০ হাজার টাকা করে বোনাস পেয়েছেন দুই ক্রিকেটার। ডাবল সেঞ্চুরি উচ্ছসিত মার্শাল আইয়ুব বলেন, 'আমার লক্ষ্য জাতীয় দলে খেলা। আমি সে লক্ষ্যেই ব্যাটিং করছি। ডাবল সেঞ্চুরি করতে পেরে আমার ভালো লাগছে।' জুটি গড়ার ব্যাখ্যায় মেহরাব বলেন, 'মার্শাল অসাধারণ ফর্মে রয়েছেন। সে তিন ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছেন। কাল অসাধারণ ব্যাটিং করেছেন তিনি। ৫৬ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর আমাদের টার্গেট ছিল একটি জুটি গড়ে দলকে একটি শক্ত অবস্থানে নিয়ে যাওয়া।'
ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনের কথা লিখতে হলে লিখতে হবে শুধু মার্শাল আইয়ুবের কথা। বিসিএলের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ান প্রথম দুই ম্যাচেও সেঞ্চুরি করেন। প্রথম ম্যাচে প্রাইম ব্যাংক সাউথ জোনের বিপক্ষে করেছিলেন ১২৫ রান এবং দ্বিতীয় ম্যাচে বিসিবি নর্থ জোনের বিপক্ষে ১৩১ রান করেন মার্শাল। গতকাল ২৫১ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন মার্শাল ৩২৩ বলে ২৭ বাউন্ডারি ও ৩ ওভার বাউন্ডারিতে। ম্যাচের প্রথম দিন অপরাজিত ছিলেন ৯৫ রানে। দিনের শুরুতেই আসরের টানা তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন মার্শাল ১৪৩ বলে। এরপর ১৫০ রান করেন নতুন বল নেওয়ার পর ২৫৭ বলে। ডাবল সেঞ্চুরি করেন ২৬৮ বলে ১৯ বাউন্ডারি ও ২ ওভার বাউন্ডারিতে। ১৪তম ওয়ালটন জাতীয় ক্রিকেটেও মার্শাল একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন। ২০৬ রানের ইনিংসটি খেলেছিলেন আসরের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রামের বিপক্ষে। মেহরাব ২০৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ৩৫১ বলে ২৬ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায়। ম্যাচের প্রথমদিন অপরাজিত ছিলেন ৭৫ রানে। সেঞ্চুরি করেন লাঞ্চ বিরতির আগে ১৯৮ বলে। ১৫০ করেন ২৫৭ বলে ২১ বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারিতে এবং ডাবল সেঞ্চুরি করেন ৩৪৪ বলে ২৫ বাউন্ডারি ও ২ ওভার বাউন্ডারিতে।
এই দুই ব্যাটসম্যান জুটি বাঁধেন ৫৬ রানে ৪ উইকেটের পতনের পর। এরপর দুজনে অবিচ্ছিন্ন থেকে ১১৮.৪ ওভার ব্যাটিং করেন। দুজনে জুটি বেঁধে রান করেন ৪৭২। যা বাংলাদেশের সব ধরনের উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি। এ ছাড়া এটাই প্রথম বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে চার শতাধিক রানের জুটি এবং প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে চতুর্থর্ সর্বোচ্চ রানের জুটি। চতুর্থ উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রানের জুটি ভারতের বিজয় হাজারে ও গুল মোহাম্মদের, ৫৭৭ রান। বারোদার পক্ষে ১৯৪৬-৪৭ সালে করেছিলেন দুজনে। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৫০০ রানের জুটি রয়েছে তিনটি। সব ধরনের উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি কুমারা সাঙ্গাকারা ও মাহেলা জয়াবর্ধনের, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৬২৪, ২০০৬ সালে কলম্বোয়। ডাবল সেঞ্চুরি ২০ হাজার টাকা করে বোনাস পেয়েছেন দুই ক্রিকেটার। ডাবল সেঞ্চুরি উচ্ছসিত মার্শাল আইয়ুব বলেন, 'আমার লক্ষ্য জাতীয় দলে খেলা। আমি সে লক্ষ্যেই ব্যাটিং করছি। ডাবল সেঞ্চুরি করতে পেরে আমার ভালো লাগছে।' জুটি গড়ার ব্যাখ্যায় মেহরাব বলেন, 'মার্শাল অসাধারণ ফর্মে রয়েছেন। সে তিন ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছেন। কাল অসাধারণ ব্যাটিং করেছেন তিনি। ৫৬ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর আমাদের টার্গেট ছিল একটি জুটি গড়ে দলকে একটি শক্ত অবস্থানে নিয়ে যাওয়া।'
সাকিবকে পেছনে ফেললেন হাফিজ
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত সিরিজে হেরেছে কিন্তু দাপুটে পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেছেন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। তিন ম্যাচের মধ্যে দুটিতেই ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। তিন ম্যাচে সাত নম্বরে ব্যাটিং করেও ২০৩ রান করেছেন ধোনি। এর মধ্যে দুই ম্যাচেই ছিলেন অপরাজিত। দুর্দান্ত এই পারফরম্যান্সের জন্য আইসিসির কাছ থেকেও একটা পুরস্কার পেয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক। আইসিসি প্রকাশিত সর্বশেষ ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে দুই ধাপ উন্নতি হয়েছে তার। ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এখন চতুর্থ স্থানে ধোনি। র্যাংকিংয়ে উন্নতি ঘটানো ভারতের অপর দুই খেলোয়াড় সুরেশ রায়না ২৬তম (একধাপ উন্নতি) ও যুবরাজ সিং ৪১তম। অন্যদিকে এক ধাপ নিয়ে নেমে গেছেন বিরাট কোহলি। এখন তিনি রয়েছেন তৃতীয় স্থানে।
ব্যাটিংয়ে সবচেয়ে বেশি উন্নতি হয়েছে পাকিস্তানি ওপেনার নাসির জামশেদের। ৪৫ ধাপ ওপরে উঠে তিনি রয়েছেন ৩১তম স্থানে। চেন্নাই ও কলকাতায় পর পর দুটি সেঞ্চুরিসহ উভয় দলের মধ্যেই সিরিজে সর্বোচ্চ ২৪১ রান করেন তিনি। ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কারও পেয়েছেন এই পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান। খেলোয়াড়ি জীবনের সেরা ৫৮৮ রেটিং পয়েন্ট অর্জন করেন নাসির। ব্যাটিংয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে দুই প্রোটিয়াস ব্যাটসম্যান হাশিম আমলা ও এবিডি ভিলিয়ার্স। আইসিসি ওয়ানডে বোলিং র্যাংকিংয়ে সেরা বিশে ভারতের একমাত্র বোলার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। গতকাল প্রকাশিত র্যাংকিংয়ে দুই ধাপ অবনমন হয়ে তিনি রয়েছেন সপ্তম স্থানে। ভারতীয় পেসার ইশান্ত শর্মা ২৪ ধাপ এগিয়ে রয়েছেন ৭২তম স্থানে। আর পাকিস্তানের দুই বোলার সাঈদ আজমল ও মোহাম্মদ হাফিজ রয়েছেন যথাক্রমে তালিকার প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে। সিরিজে ১০.৭৫ গড়ে মোট ৮ উইকেট নেওয়া শীর্ষ বোলার আজমল খেলোয়াড়ি জীবনের সেরা ৮০১ রেটিং পয়েন্ট অর্জন করেছেন। অল রাউন্ডারের তালিকায় দুই ধাপ এগিয়ে ভারতের রবীন্দ জাদেজা রয়েছেন সপ্তম স্থানে। আর সাকিবকে পেছনে ফেলে শীর্ষে রয়েছেন পাকিস্তানের হাফিজ।
Monday, December 19, 2011
শীতে দুই জেলায় আরও নয়জনের মৃত্যু ( Please Help to Helpless People in this Winter)
অব্যাহত শৈত্যপ্রবাহে গত ৭২ ঘণ্টায় কুড়িগ্রামে আটজন ও খুলনায় গতকাল রোববার একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় শীতজনিত ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। হতদরিদ্র লাখ লাখ মানুষ তীব্র শীতে নাকাল হয়ে পড়েছে।
প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক, আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
কুড়িগ্রাম: এ জেলার বিভিন্ন এলাকায় গত ৭২ ঘণ্টায় শীতজনিত অসুস্থতায় আরও অন্তত আটজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা হলেন: চিলমারী উপজেলার রমনাগ্রামের বদিউজ্জামান (৭০), রৌমারী উপজেরার ফকিরপাড়া গ্রামের আবদুল কাদের (৫৭), নাগেশ্বরী পৌরসভার চামটারপাড় গ্রামের আজিমুদ্দিন (৬২), একই উপজেলার সাতানা গ্রামের জমির উদ্দিন (৬৫), কচাকাটার ইন্দ্রো গ্রামের সোলায়মান (৮৫), চিলমারী উপজেলার পশ্চিম চিলমারী গ্রামের আমুদ্দি (৭৫) ও রাজারহাট উপজেলার মাস্টারপাড়া গ্রামের রহিমা বেওয়া (৬০), এবং উলিপুর উপজেলার হাতিয়ার রামরামপুর গ্রামের মিছির উদ্দিন (৭১)। এ নিয়ে জেলায় গত দুই সপ্তাহে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মুত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১৩ জনে।
হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) নজরুল ইসলাম জানান, তীব্র শীতের কারণে হাইপার টেনশন, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও অন্তর্বিভাগে রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে।
এ অঞ্চলের হতদরিদ্র প্রায় আট লাখ মানুষ শীতবস্ত্রের অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। গতকাল সারা দিন ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল চারদিক।
খুলনা: শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে গতকাল খুলনার দাকোপ উপজেলার কালাবগি গ্রামের কালাচাঁদ সরদার (৮১) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অন্তত ছয় শিশু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও জীবিতেষ বিশ্বাস বলেন, চলতি শৈতপ্রবাহের কারণে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে আজ (গতকাল) সকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ছয়টি শিশু ভর্তি হয়েছে। তবে এখন এরা আশঙ্কামুক্ত।
পঞ্চগড়: দেশের সবচেয়ে উত্তরের এ জেলায় শৈত্যপ্রবাহ আর ঘন কুয়াশা ক্রমেই বাড়ছে। এ কারণে জনজীবনে দুর্ভোগও বাড়ছে। দিনের অধিকাংশ সময়ই সূর্যের মুখ দেখা যায় না। দিনের বেলা আকাশ ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকে। রাতে ঝরছে কুয়াশা-বৃষ্টি। এক সপ্তাহ ধরে হাঁড়কাঁপানো শীতে জেলার সব শ্রেণী-পেশা ও বয়সের মানুষের জীবনে অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। দিনের বেলা ৭ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠানামা করলেও রাতে তাপমাত্রা আরও নিচে নেমে যায়। শীতে বৃদ্ধ ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি কাহিল হয়ে পড়েছে।
গত দুই দিনের তীব্র শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩০ শিশু পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এরা ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত।
পঞ্চগড় ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্রে জানা গেছে, শীতের কবল থেকে মানুষকে রক্ষার জন্য দুই হাজার ৩০০ কম্বল জেলার পাঁচটি উপজেলায় বিতরণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আরও ১০ হাজার কম্বল চেয়ে ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করা শুরু হয়েছে। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রয়োজনের তুলনায় তা খুবই কম।
এদিকে, তীব্র শীতে আগাম জাতের আলু ও ধানের চারায় কোল্ড ইনজুরি রোগ দেখা দিয়েছে। কৃষি বিভাগ কৃষকদের বীজতলায় ওষুধ স্প্রে করার পরামর্শ দিয়েছে।
নড়াইল: এখানে দুই দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। গতকাল সকাল ছয়টার দিকে নড়াইলে ছয় দশমিক শূন্য ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। শীতে সবচেয়ে বেশি বেকাদায় পড়েছে বস্তির বাসিন্দারা। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে এখন পর্যন্ত শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়নি।
জেলা ত্রাণ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে এক হাজার ১০০ কম্বল পাওয়া গেছে। এখনো বিতরণ শুরু হয়নি।
সিভিল সার্জন আবদুস সামাদ জানান, শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। শীতের কারণে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা হাসপাতালে আসতে শুরু করেছে।
রংপুর: জেলার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান বললেন, ‘শীতার্ত মানুষ ভিড় করছে ঠিকই, কিন্তু কম্বল না থাকলে আমরা কোথা থেকে দেব। ইতিমধ্যে জেলার আট উপজেলা ও তিন পৌরসভায় মাত্র সাড়ে পাঁচ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। ৫০ হাজার কম্বল চেয়ে ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
ফরিদপুর: জেলা আবহাওয়া কার্যালয়ের দায়িত্বরত কর্মকর্তা সুরজুল আমীন বলেন, এ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গত শনিবার এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৭ রেকর্ড করা হয়। তবে আজ সোমবার থেকে অবস্থার উন্নতি ঘটতে পারে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) অরুণ চন্দ্র মহোত্তম বলেন, গত সপ্তাহে নয়টি উপজেলার শীতার্ত মানুষের মধ্যে তিন হাজার ৭৭২টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও পাঁচ হাজার কম্বল চেয়ে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে ফোন করা হয়েছে।
সৈয়দপুর: নীলফামারীর সৈয়দপুরে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আরও কমবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত তিন দিন ধরে এ অঞ্চলে সূর্যের মুখ দেখা যাচ্ছে না।
সরকারিভাবে এ উপজেলায় শীতার্তদের মাঝে বিলি করতে ২৫০ ও পৌরসভা এলাকায় ২৮০টি কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক, আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
কুড়িগ্রাম: এ জেলার বিভিন্ন এলাকায় গত ৭২ ঘণ্টায় শীতজনিত অসুস্থতায় আরও অন্তত আটজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা হলেন: চিলমারী উপজেলার রমনাগ্রামের বদিউজ্জামান (৭০), রৌমারী উপজেরার ফকিরপাড়া গ্রামের আবদুল কাদের (৫৭), নাগেশ্বরী পৌরসভার চামটারপাড় গ্রামের আজিমুদ্দিন (৬২), একই উপজেলার সাতানা গ্রামের জমির উদ্দিন (৬৫), কচাকাটার ইন্দ্রো গ্রামের সোলায়মান (৮৫), চিলমারী উপজেলার পশ্চিম চিলমারী গ্রামের আমুদ্দি (৭৫) ও রাজারহাট উপজেলার মাস্টারপাড়া গ্রামের রহিমা বেওয়া (৬০), এবং উলিপুর উপজেলার হাতিয়ার রামরামপুর গ্রামের মিছির উদ্দিন (৭১)। এ নিয়ে জেলায় গত দুই সপ্তাহে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মুত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১৩ জনে।
হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) নজরুল ইসলাম জানান, তীব্র শীতের কারণে হাইপার টেনশন, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও অন্তর্বিভাগে রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে।
এ অঞ্চলের হতদরিদ্র প্রায় আট লাখ মানুষ শীতবস্ত্রের অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। গতকাল সারা দিন ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল চারদিক।
খুলনা: শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে গতকাল খুলনার দাকোপ উপজেলার কালাবগি গ্রামের কালাচাঁদ সরদার (৮১) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অন্তত ছয় শিশু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও জীবিতেষ বিশ্বাস বলেন, চলতি শৈতপ্রবাহের কারণে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে আজ (গতকাল) সকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ছয়টি শিশু ভর্তি হয়েছে। তবে এখন এরা আশঙ্কামুক্ত।
পঞ্চগড়: দেশের সবচেয়ে উত্তরের এ জেলায় শৈত্যপ্রবাহ আর ঘন কুয়াশা ক্রমেই বাড়ছে। এ কারণে জনজীবনে দুর্ভোগও বাড়ছে। দিনের অধিকাংশ সময়ই সূর্যের মুখ দেখা যায় না। দিনের বেলা আকাশ ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকে। রাতে ঝরছে কুয়াশা-বৃষ্টি। এক সপ্তাহ ধরে হাঁড়কাঁপানো শীতে জেলার সব শ্রেণী-পেশা ও বয়সের মানুষের জীবনে অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। দিনের বেলা ৭ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠানামা করলেও রাতে তাপমাত্রা আরও নিচে নেমে যায়। শীতে বৃদ্ধ ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি কাহিল হয়ে পড়েছে।
গত দুই দিনের তীব্র শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩০ শিশু পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এরা ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত।
পঞ্চগড় ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্রে জানা গেছে, শীতের কবল থেকে মানুষকে রক্ষার জন্য দুই হাজার ৩০০ কম্বল জেলার পাঁচটি উপজেলায় বিতরণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আরও ১০ হাজার কম্বল চেয়ে ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করা শুরু হয়েছে। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রয়োজনের তুলনায় তা খুবই কম।
এদিকে, তীব্র শীতে আগাম জাতের আলু ও ধানের চারায় কোল্ড ইনজুরি রোগ দেখা দিয়েছে। কৃষি বিভাগ কৃষকদের বীজতলায় ওষুধ স্প্রে করার পরামর্শ দিয়েছে।
নড়াইল: এখানে দুই দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। গতকাল সকাল ছয়টার দিকে নড়াইলে ছয় দশমিক শূন্য ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। শীতে সবচেয়ে বেশি বেকাদায় পড়েছে বস্তির বাসিন্দারা। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে এখন পর্যন্ত শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়নি।
জেলা ত্রাণ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে এক হাজার ১০০ কম্বল পাওয়া গেছে। এখনো বিতরণ শুরু হয়নি।
সিভিল সার্জন আবদুস সামাদ জানান, শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। শীতের কারণে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা হাসপাতালে আসতে শুরু করেছে।
রংপুর: জেলার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান বললেন, ‘শীতার্ত মানুষ ভিড় করছে ঠিকই, কিন্তু কম্বল না থাকলে আমরা কোথা থেকে দেব। ইতিমধ্যে জেলার আট উপজেলা ও তিন পৌরসভায় মাত্র সাড়ে পাঁচ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। ৫০ হাজার কম্বল চেয়ে ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
ফরিদপুর: জেলা আবহাওয়া কার্যালয়ের দায়িত্বরত কর্মকর্তা সুরজুল আমীন বলেন, এ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গত শনিবার এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৭ রেকর্ড করা হয়। তবে আজ সোমবার থেকে অবস্থার উন্নতি ঘটতে পারে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) অরুণ চন্দ্র মহোত্তম বলেন, গত সপ্তাহে নয়টি উপজেলার শীতার্ত মানুষের মধ্যে তিন হাজার ৭৭২টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও পাঁচ হাজার কম্বল চেয়ে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে ফোন করা হয়েছে।
সৈয়দপুর: নীলফামারীর সৈয়দপুরে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আরও কমবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত তিন দিন ধরে এ অঞ্চলে সূর্যের মুখ দেখা যাচ্ছে না।
সরকারিভাবে এ উপজেলায় শীতার্তদের মাঝে বিলি করতে ২৫০ ও পৌরসভা এলাকায় ২৮০টি কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
Sunday, September 4, 2011
শাহরুখের 'ঈদ পার্টি'
শাহরুখ বলেন, 'এর আগে কখনোই বড় আয়োজনে ঈদ উদযাপন করা হয়নি আমার। তবে এবার ঘটা করেই উৎসবটি পালন করলাম।' তিনি আরও বলেছেন, 'এবার আমার সন্তানদের সঙ্গে ঈদের নামাজও পড়লাম। আমার ছেলে আরিয়ান এবং মেয়ে সুহানার বয়স এখন ১৪ এবং ১১। আমি যে ধর্মের অনুসারী সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানার যথেষ্ট বয়স হয়েছে তাদের। ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে তাদের জানানোর জন্য আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে চাই। মূলত এই উদ্দেশ্যেই
ঈদ পার্টি করলাম।'৪৫ বছর বয়সী এই তারকার দুটি সন্তান, ছেলে আরিয়ান এবং মেয়ে সুহানা জন্মেছিল যথাক্রমে ১৯৯৭ এবং ২০০০ সালে।
বাঘ নিয়ে বিপাকে চেয়ারম্যান
বরিশালের গৌরনদী উপজেলার চাঁদশী ইউনিয়নের গোবর্ধন গ্রামে ধরা পড়েছে একটি অসুস্থ মেছো বাঘ। গত দু'দিন ধরে সেটি রয়েছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কৃষ্ণকান্ত দে'র হেফাজতে। বাঘটি দেখার জন্য সেখানে ভিড় করছে বহু মানুষ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বালিয়ারপাড় গ্রামের পানচাষি সিরাজ হাওলাদার শুক্রবার সকালে গোবর্ধন এলাকায় তার পান বরজে গিয়ে প্রায় ৪ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি অসুস্থ মেছো বাঘ দেখতে পান। খবর পেয়ে এলাকাবাসী সেটি দেখার জন্য পান বরজে ভিড় করে। কিন্তু কেউই বাঘটিকে ধরার সাহস করেনি। পরে চাঁদশী ইউপি চেয়ারম্যান কৃষ্ণকান্ত দে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঘটিকে ধরে বস্তাবন্দি করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা পশু হাসপাতালে নিয়ে যান। পশু চিকিৎসক মো. শাহ্ আলমের চিকিৎসা শেষে মেছো বাঘটি ইউপি চেয়ারম্যান তার বাড়িতে নিয়ে পোল্ট্রি ফার্মের ভেতর শিকল ও রশি দিয়ে বেঁধে রাখেন। ইউপি চেয়ারম্যান কৃষ্ণকান্ত দে জানান, মেছো বাঘটি নিয়ে তিনি বিপাকে পড়েছেন। বাঘটি দেখার জন্য বহু মানুষ তার বাড়িতে ভিড় করছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বালিয়ারপাড় গ্রামের পানচাষি সিরাজ হাওলাদার শুক্রবার সকালে গোবর্ধন এলাকায় তার পান বরজে গিয়ে প্রায় ৪ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি অসুস্থ মেছো বাঘ দেখতে পান। খবর পেয়ে এলাকাবাসী সেটি দেখার জন্য পান বরজে ভিড় করে। কিন্তু কেউই বাঘটিকে ধরার সাহস করেনি। পরে চাঁদশী ইউপি চেয়ারম্যান কৃষ্ণকান্ত দে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঘটিকে ধরে বস্তাবন্দি করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা পশু হাসপাতালে নিয়ে যান। পশু চিকিৎসক মো. শাহ্ আলমের চিকিৎসা শেষে মেছো বাঘটি ইউপি চেয়ারম্যান তার বাড়িতে নিয়ে পোল্ট্রি ফার্মের ভেতর শিকল ও রশি দিয়ে বেঁধে রাখেন। ইউপি চেয়ারম্যান কৃষ্ণকান্ত দে জানান, মেছো বাঘটি নিয়ে তিনি বিপাকে পড়েছেন। বাঘটি দেখার জন্য বহু মানুষ তার বাড়িতে ভিড় করছে।
মহাশূন্যে হীরার গ্রহ
হীরার আবার গ্রহ হয় নাকি? অবিশ্বাস্য শোনালেও মহাকাশের নানা রহস্য দিনদিন মানুষকে আরও বেশি অবাক করে তুলছে। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এমন একটি নতুন গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন, যাকে বলা হচ্ছে হীরার গ্রহ। পৃথিবী থেকে চার হাজার আলোকবর্ষ দূরে এ গ্রহের অবস্থান এ গ্রহে নাকি হীরা রয়েছে ঘনীভূত অবস্থায়।
অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, জার্মানি, ব্রিটেন এবং আমেরিকার একদল মহাকাশ বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, তারা এমন এক গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন, যা সম্পূর্ণ হীরা দিয়ে তৈরি। যে গ্রহের রন্ধ্রে রন্ধ্রে রয়েছে মূল্যবান দামি রত্ন।
মাধ্যাকর্ষণের প্রভাবে নক্ষত্রদের চলার পথে ঘুরপাক খেতে খেতে একটি নক্ষত্র গ্রহে রূপান্তরিত হয়েছে। ছোট এ গ্রহটি চওড়ায় ৪০ হাজার মাইলের কম, পৃথিবীর ব্যাসের পাঁচগুণ। অর্থাৎ আমাদের সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ বৃহস্পতির চেয়ে ২০ গুণ বেশি ঘন। কিন্তু এ নক্ষত্রটি অবিরাম ঘুরতে থাকা তারকারাজির এত কাছাকাছি ছিল যে, যদি এর আকার আরেকটু বড় হত তা হলে মাধ্যাকর্ষণ প্রভাব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেত। তারপরও কি প্রচণ্ড গতি তার। প্রতি মিনিটে এ গ্রহটি ঘোরে ১০ হাজার বার। অর্থাৎ মাত্র ২ ঘণ্টা ১০ মিনিটের মধ্যে এ গ্রহটি তার নক্ষত্রটিকে একবার করে পরিভ্রমণ করছে। বিজ্ঞানী দলের অন্যতম অস্ট্রেলিয়ার কমনওয়েলথ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অর্গানাইজেশনের ড. মিচেল কিথ বললেন, সন্ধান পাওয়া গ্রহটি ছোট, মূলত কার্বন এবং অক্সিজেন মিশ্রিত। গ্রহটির ভেতরের সব পদার্থই স্ফটিকে পরিণত হয়েছে। যা হীরার সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। উল্লেখ্য, কার্বন ঘন হওয়ার মাধ্যমেই হীরা তৈরি হয়। তাই বিজ্ঞানীরা বলছেন, গ্রহটিতে কার্বনের ঘনত্ব অত্যন্ত বেশি হওয়ায় এর ভূপৃষ্ঠ সম্ভবত হীরায় পরিণত হয়েছে।
সন্ধান পাওয়া নক্ষত্রটির বৈজ্ঞানিক কোনো নাম এখনো দেওয়া হয়নি। অবশ্য এরই মধ্যে একে হীরক গ্রহ বলে ডাকছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ অত্যন্ত উজ্জ্বল দেখতে গ্রহটিকে দূর থেকে দেখলে মনে হয়, যেন মহাকাশের অসীম শূন্যে একখণ্ড হীরার টুকরো জ্বলজ্বল করে জ্বলছে।
অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থিত ৬৪ মিটার লম্বা, বিশাল আকারের পার্কস রেডিও টেলিস্কোপ দিয়ে মহাশূন্যে এ রকম একটি নক্ষত্রের ওপর নজর রাখা হচ্ছিল। এমন সময় বিজ্ঞানীদের চোখে পড়ে নতুন এ গ্রহটি। এখন প্রশ্ন হলো, এ হীরক গ্রহে কি কোনো দিন পেঁৗছানো সম্ভব হবে? আপাতত সেটি অসম্ভব বলেই মনে হচ্ছে। কারণ এটি পৃথিবী থেকে চার হাজার আলোকবর্ষ দূরে। আর এক আলোকবর্ষ মানে ১০ ট্রিলিয়ন কিলোমিটার। তাই টুইংকেল টুইংকেল লিটল স্টার, হাউ আই ওয়ান্ডার হোয়াট ইউ আর্থ শিশুদের মতো বিজ্ঞানীদের মনের এ প্রশ্নটিও ঘুরপাক খাবে আরও বহুদিন। রকমারি ডেস্ক
অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, জার্মানি, ব্রিটেন এবং আমেরিকার একদল মহাকাশ বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, তারা এমন এক গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন, যা সম্পূর্ণ হীরা দিয়ে তৈরি। যে গ্রহের রন্ধ্রে রন্ধ্রে রয়েছে মূল্যবান দামি রত্ন।
মাধ্যাকর্ষণের প্রভাবে নক্ষত্রদের চলার পথে ঘুরপাক খেতে খেতে একটি নক্ষত্র গ্রহে রূপান্তরিত হয়েছে। ছোট এ গ্রহটি চওড়ায় ৪০ হাজার মাইলের কম, পৃথিবীর ব্যাসের পাঁচগুণ। অর্থাৎ আমাদের সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ বৃহস্পতির চেয়ে ২০ গুণ বেশি ঘন। কিন্তু এ নক্ষত্রটি অবিরাম ঘুরতে থাকা তারকারাজির এত কাছাকাছি ছিল যে, যদি এর আকার আরেকটু বড় হত তা হলে মাধ্যাকর্ষণ প্রভাব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেত। তারপরও কি প্রচণ্ড গতি তার। প্রতি মিনিটে এ গ্রহটি ঘোরে ১০ হাজার বার। অর্থাৎ মাত্র ২ ঘণ্টা ১০ মিনিটের মধ্যে এ গ্রহটি তার নক্ষত্রটিকে একবার করে পরিভ্রমণ করছে। বিজ্ঞানী দলের অন্যতম অস্ট্রেলিয়ার কমনওয়েলথ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অর্গানাইজেশনের ড. মিচেল কিথ বললেন, সন্ধান পাওয়া গ্রহটি ছোট, মূলত কার্বন এবং অক্সিজেন মিশ্রিত। গ্রহটির ভেতরের সব পদার্থই স্ফটিকে পরিণত হয়েছে। যা হীরার সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। উল্লেখ্য, কার্বন ঘন হওয়ার মাধ্যমেই হীরা তৈরি হয়। তাই বিজ্ঞানীরা বলছেন, গ্রহটিতে কার্বনের ঘনত্ব অত্যন্ত বেশি হওয়ায় এর ভূপৃষ্ঠ সম্ভবত হীরায় পরিণত হয়েছে।
সন্ধান পাওয়া নক্ষত্রটির বৈজ্ঞানিক কোনো নাম এখনো দেওয়া হয়নি। অবশ্য এরই মধ্যে একে হীরক গ্রহ বলে ডাকছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ অত্যন্ত উজ্জ্বল দেখতে গ্রহটিকে দূর থেকে দেখলে মনে হয়, যেন মহাকাশের অসীম শূন্যে একখণ্ড হীরার টুকরো জ্বলজ্বল করে জ্বলছে।
অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থিত ৬৪ মিটার লম্বা, বিশাল আকারের পার্কস রেডিও টেলিস্কোপ দিয়ে মহাশূন্যে এ রকম একটি নক্ষত্রের ওপর নজর রাখা হচ্ছিল। এমন সময় বিজ্ঞানীদের চোখে পড়ে নতুন এ গ্রহটি। এখন প্রশ্ন হলো, এ হীরক গ্রহে কি কোনো দিন পেঁৗছানো সম্ভব হবে? আপাতত সেটি অসম্ভব বলেই মনে হচ্ছে। কারণ এটি পৃথিবী থেকে চার হাজার আলোকবর্ষ দূরে। আর এক আলোকবর্ষ মানে ১০ ট্রিলিয়ন কিলোমিটার। তাই টুইংকেল টুইংকেল লিটল স্টার, হাউ আই ওয়ান্ডার হোয়াট ইউ আর্থ শিশুদের মতো বিজ্ঞানীদের মনের এ প্রশ্নটিও ঘুরপাক খাবে আরও বহুদিন। রকমারি ডেস্ক
সৌভাগ্যে পূর্ণিমা-ইমন
্বআবারও পূর্ণিমার বিপরীতে অভিনয় করবেন ইমন। এফ আই মানিকের 'সৌভাগ্য' ছবিতে তৃতীয়বারের মতো একসঙ্গে অভিনয় করবেন তারা। জানা গেছে, ইমন ও পূর্ণিমাকে ভেবেই ছবির গল্প লেখা হয়েছে। গল্পে পারিবারিক নানা টানাপড়েন শুরু হবে তখন তা সামাল দিতে সামনে এসে দাঁড়াবে ওরা দুজন। ছবিতে আরও অভিনয় করবেন ডিপজল, মৌসুমী, রেসী ও আমিন খান। পূর্ণিমা বলেন, 'ইমন আমার অনেক পরে চলচ্চিত্রে এলেও ওর সঙ্গে বোঝাপড়াটা বেশ ভালো। আশা করি, আমাদের একসঙ্গে কাজ করাটা দর্শক বেশ উপভোগ করবেন।' শীঘ্রই ছবিটির কাজ শুরু হবে।
ঐশ্বরিয়ার লিগ্যাল নোটিশ
Subscribe to:
Posts (Atom)