Sunday, July 3, 2011

বুদ্ধিমান লাল শিয়াল

কানাডার প্রিন্স আলবার্ট ন্যাশনাল পার্কে হালকা তুষার ঝরছে। এই মৃদু বরফ বৃষ্টির মধ্যে একটা লাল খেঁকশিয়াল ইতস্তত ঘুরে বেড়াচ্ছে, তার মুখে শক্তভাবে ধরা একটু আগে শিকার করা একটা খরগোশের পা। বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ডেভিড হেনরি, যিনি বেশ কিছুক্ষণ ধরেই প্রাণীটিকে পর্যবেক্ষণ করছেন। একটুও অবাক হলেন না যখন দেখলেন খেঁকশিয়ালটা একটা গর্ত খুঁড়ে তার মধ্যে হাড়টা রেখে বরফ দিয়ে ঢেকে দিয়েছে। তিনি জানেন, খেঁকশিয়ালরা শীতের শুরুতে এভাবেই সতর্কতার সঙ্গে তাদের খাবার জমিয়ে রাখে। কিন্তু তারপরই খেঁকশিয়ালটিকে নিজের নাকটা ব্যবহার করতে দেখে হেনরি রীতিমতো চমকে উঠলেন। নাক দিয়ে বরফ ঘষতে ঘষতে যে পথে সে এখানে ফিরে এসেছে ঠিক সে পথ ধরে আস্তে আস্তে ফিরে চলল। হেনরি পরবর্তীতে ব্যাখ্যা করেন, 'তার ট্র্যাক মুছে ফেলার জন্য সে তার নাকটাকে যেন একটা রঙের ব্রাসের মতো ব্যবহার করছিল।' কার এমন সাধ্য ট্র্যাক ধরে অনুসরণ করে খেঁকশিয়ালের খাবার খুঁজে পায়।

লিকুইড পেনসিল!

শার্পি নামের একটি কোম্পানি 'লিকুইড পেনসিল' নামে এক ধরনের পেনসিল আবিষ্কার করেছে। এ পেনসিল দিয়ে কলমের মতো লেখা যাবে, পেনসিলের মতো আঁকাবুঁকি করা যাবে আবার চাইলে তা ইরেজারের মতো মুছেও ফেলা যাবে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে শার্পির পেনসিল বাজারে আসছে। সূত্রে জানা গেছে, শার্পি লিকুইড পেনসিল ব্যবহার করে লেখা হবে কলমে আর লেখার পর সেটা মুছে দেওয়া যাবে, আর লেখা শেষ হলে সেটা মার্কারের মতো স্থায়ী হবে। এ পেনসিলের কালি তরল গ্রাফাইট ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, সাধারণ পেনসিলে শক্ত গ্রাফাইট ব্যবহার করা হয়। শার্পি পেনসিলে একবার লেখা হলে তিন দিন পর কালি শুকিয়ে একেবারে কলমের কালির মতোই হয়ে যায়। তবে শুকিয়ে যাওয়ার আগেই সেটি মুছেও ফেলা যায় সাধারণ ইরেজারের মতোই। পেনসিলটি বাজারজাত করার পর এ দাম ধার্য করা হয়েছে প্যাকেট প্রতি ৫ ডলার।

আকর্ষণীয় সুন্দরী জেটা জোনস

'দ্য মাস্ক অব জরো'খ্যাত হলিউড অভিনেত্রী ক্যাথরিন জেটা জোনসের বয়স এখন ৪১ বছর। এ বয়সেও সে অসাধারণ সুন্দরী। সম্প্রতি একটি জরিপে রায় হয়েছে, জেটা জোনস সর্বকালের সুন্দরীদের মধ্যে চতুর্থ স্থানে আছেন। আমেরিকা এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এ জরিপ চালানো হয়। জরিপে প্রথম অবস্থানে আছেন অড্রে হেপবার্ন। 'ব্রেকফাস্ট অ্যাট টিফানি'খ্যাত এই তারকা মারা গেছেন ১৯৯৩ সালে। দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন এলিজাবেথ টেলর। আর তৃতীয় অবস্থানে আছেন প্রিন্সেস ডায়ানা। এই দুই সুন্দরীও এখন জীবিত নেই। অর্থাৎ এই জরিপ অনুযায়ী জীবিতদের মধ্যে ক্যাথরিন জেটা জোনসই এখন একমাত্র সেরা সুন্দরী। এ প্রসঙ্গে জেটা জোনস বলেন, 'এই ফলাফল আমার প্রতি ভক্তদের ভালোবাসা। আমি তাদের ভালোবাসা গ্রহণ করছি। আমি ভবিষ্যতে ভক্তদের ভালোবাসার প্রতিদান দেওয়ার চেষ্টা করব।'

অভিষেকের বিপরীতে জেনেলিয়া

প্রথমবারের মতো জুটি বেঁধে অভিনয় করতে যাচ্ছেন অভিষেক বচ্চন এবং জেনেলিয়া ডিসুজা। রোহিত শেঠীর নতুন ছবিতে তারা জুটিবদ্ধ হচ্ছেন। ছবির নাম 'বোল বচ্চন'। এটা ১৯৭৯ সালের 'গোলমাল' ছবির অনুকরণে নির্মিত হবে। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন আমোল পালেকার। আরও ছিলেন বিন্দিয়া দোস্বামী দত্ত এবং উৎপল দত্ত।
অভিষেক বচ্চনের বিপরীতে অভিনয় প্রসঙ্গে জেনেলিয়া ডিসুজা বলেন, 'এটা আমার জন্য অনেক বড় একটি সুযোগ। আমি ব্যক্তিগতভাবে অভিষেকের ভক্ত। তাই তার বিপরীতে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে
দারুণ লাগছে।'
অভিষেক বলেন, 'জেনেলিয়া এখনো উঠতি তারকা। তবুও ওর বিপরীতে অভিনয় করছি। কারণ সে ভালো অভিনেত্রী। মনোযোগ দিয়ে অভিনয় করে। ভবিষ্যতে তার অনেক সম্ভাবনা আছে।'

কারিনাকে নিয়ে বিতর্ক!

 বলিউডের জিরো ফিগারখ্যাত অভিনেত্রী কারিনা কাপুরকে নিয়ে একটার পর একটা বিতর্ক লেগেই আছে। তবে তিনি সবচেয়ে বেশী বিতর্কীত হয়েছেন সাইফ আলী খানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে। দু'দিন পরপরই সাইফের সঙ্গে কাদা ছোড়াছুড়ি করেন কারিনা। সম্পর্ক ভেঙে ফেলারও একাধিকবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু যখন মিডিয়ায় তাদের সম্পর্ক ভাঙন নিয়ে খবর প্রকাশ হয় তখন আবার ঘোষণা দেন সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার। যেমন সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছেন তিনি সাইফকে আগামী বছরের ভ্যালেন্টাইন দিবসে বিয়ে করবেন। শুধু তাই নয়, ঘোষণা দিয়ে সাইফের সঙ্গে গোপন অবসরও কাটাচ্ছেন। কিন্তু দু'দিন হলো আবার খবর বেরিয়েছে, তাদের সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। আসলে হচ্ছেটা কি?

একা থাকাই ভালো

একাই ভালো আছেন বলিউড অভিনেত্রী বিপাশা বসু। জন আব্রাহামের সঙ্গে নয় বছরের প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে গেছে নয় মাস আগে। এখন একাই আছেন। বিপাশা বলেন, 'আমি এখন একাই থাকতে চাই। কারণ একা থাকতেই ভালো লাগছে। আমি এখন শুধু কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে চাই। এর বাইরে আর কিছু
ভাবছি না।'
যে জনকে ছেড়ে বিপাশা এখন একা থাকতে চাইছেন সেই জনকে ছাড়া কোনোকিছুই একসময় ভাবতে পারতেন না। ম্যাচিং করে পোশাক পরতেন। চুলের রংও দু'জন মিলিয়ে করতেন। কিন্তু এখন তারা উল্টোমুখী হয়ে আছেন। সে যাই হোক, জনের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানার পর বিপাশা এখন একটি নতুন জিনিস উপলব্ধি করছেন। তাকে নিয়ে অনেক পুরুষই নাকি মনোযোগী। তারা বিপাশার কাছে ঘেঁষতে চাইছেন, মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করছেন। কিন্তু বিপাশা আপাতত কোনো সম্পর্কে জড়াতে চাইছেন না।

পোশাকের কারণে ছবি নিষিদ্ধ!

হূদয় ভাঙ্গা ঢেউ ছবির খলনায়ক যে পোশাক ব্যবহার করেছেন, তা বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও নেতাদের ব্যবহূত পোশাকের সঙ্গে মিলে যায়। এ ধরনের পোশাক নেতিবাচক চরিত্রে ব্যবহার করলে অনেকের মনেই আঘাত লাগতে পারে। সেন্সর বোর্ড মনে করে, চলচ্চিত্রে এ ধরনের পোশাকের ব্যবহার গ্রহণযোগ্য নয়। তাই ছবিটিকে প্রদর্শনের অযোগ্য বলে ঘোষণা করা হয়েছে।’ হূদয় ভাঙ্গা ঢেউ ছবিটিকে অযোগ্য ঘোষণা করার কারণ হিসেবে এভাবেই বললেন সেন্সর বোর্ডের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সদস্য।
সম্প্রতি সেন্সর বোর্ড পোশাকের কারণে ব্যয়বহুল ছবি হূদয় ভাঙ্গা ঢেউকে নিষিদ্ধ করেছে। ছবিটির পরিচালক গাজী মাজহারুল আনোয়ার বলেন, ‘খলনায়কের গায়ের একটি পোশাকের ব্যাপারে সেন্সর বোর্ড আপত্তি জানিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমরা আপিল করেছি। আপিল বোর্ড এখন হূদয় ভাঙ্গা ঢেউ ছবির ভাগ্য নির্ধারণ করবেন।’
ব্যয়বহুল এই ছবির কারিগরি সুবিধা দিয়েছে ভারতের মুম্বাইয়ের একাধিক প্রতিষ্ঠান। নাচের দৃশ্যগুলোর নির্দেশনা দিয়েছেন বলিউডের ছবির কোরিওগ্রাফার। মারপিটের দৃশ্যায়ন করা হয়েছে বলিউডের সহযোগিতা নিয়ে। গানের দৃশ্যায়নের পেছনে খরচ করা হয়েছে অর্ধকোটি টাকারও বেশি।
ছবির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন অনন্ত, বর্ষা, আলমগীরসহ আরও অনেকে।

অ্যালবামের জন্য মুঠোফোনে গান আহ্বান

সোলসের নতুন অ্যালবামের ১২ নম্বর গানের জন্য মুঠোফোনে গান ও সুর আহ্বান করা হচ্ছে। রোজার ঈদেই আসছে সোলসের নতুন অ্যালবাম জ্যাম। শুরুতে অ্যালবামের গানগুলো শোনা যাবে মুঠোফোনে, আর এই সুযোগটি পাবেন গ্রামীণফোনের যেকোনো গ্রাহক। পরে তা পাওয়া যাবে সিডি আকারে। এ ব্যাপারে সম্প্রতি সোলসের সঙ্গে মুঠোফোন প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
জানা গেছে, আগামী ১৭ আগস্ট গ্রামীণফোনের মিউজিক রেডিওর মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রকাশিত হবে জ্যাম। প্রথম দুই মাস শ্রোতারা গ্রামীণফোন মিউজিক রেডিওতে শুনতে পাবেন গানগুলো। মুঠোফোনের মাধ্যমে গানগুলো ডাউনলোড করা যাবে। দুই মাস পর অ্যালবামটি সিডি আকারে পাওয়া যাবে।
সোলসের অন্যতম সদস্য পার্থ বড়ুয়া বললেন, ‘আমাদের অ্যালবামের ১১টি গান তৈরি হয়েছে। গ্রামীণফোনের মাধ্যমে শ্রোতাদের কাছ থেকে গানের কথা ও সুর আহ্বানের মধ্য দিয়ে আমরা অনেক নতুন গীতিকার ও সুরকার পাব। এটা এক ধরনের ট্যালেন্ট হান্ট। সোলসের পরবর্তী অ্যালবামেও এখান থেকে গান রাখা হবে।’
মুঠোফোনের মাধ্যমে অ্যালবাম প্রকাশের ব্যাপারে পার্থ বড়ুয়া বলেন, ‘পাইরেসির দোহাই দিয়ে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো কিন্তু ঠিকই ব্যবসা করে যাচ্ছে। আর এখানে প্রতারিত হচ্ছেন শুধু শিল্পী, সুরকার ও গীতিকার। নিজেদের রক্ষা করতে আমরা মুঠোফোনে অ্যালবাম প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
গ্রামীণফোনের উপপরিচালক (মার্কেট কমিউনিকেশনস) সাজিদ রিজওয়ান বললেন, ‘আগামী ১২ থেকে ৩০ জুলাই গ্রামীণফোনের মিউজিক রেডিওর মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছ থেকে সোলসের জ্যাম অ্যালবামের দ্বাদশ গানটির জন্য কথা ও সুর আহ্বান করা হবে। আগ্রহীরা এ সময় নিজেদের কাজগুলো মুঠোফোনের মাধ্যমে পাঠাতে পারবেন। এরপর একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কথা ও সুর চূড়ান্ত করা হবে।’
জ্যাম অ্যালবামে গানের কথা লিখেছেন লতিফুল ইসলাম শিবলী, কবির বকুল, আশরাফ বাবু, টি আই অন্তর, রানা ও রনি।

দ্রাবিড়ের ‘৪০০’

ক্যারিয়ারে অনেক মাইলফলক ছুঁয়েছেন, ব্যাট হাতে অর্জন করেছেন অনেক কিছু। পরশু ব্যতিক্রমী আর অদ্ভুত এক মাইলফলক ছুঁলেন রাহুল দ্রাবিড়। টেস্ট ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে উইকেটের এক প্রান্ত থেকে দেখেছেন আরেক প্রান্তে ৪০০তম উইকেটের পতন। শুরুটা ছিল সৌরভ গাঙ্গুলীর আউট দেখে, ১৯৯৬ সালে লর্ডসে অভিষেক ইনিংসে নন-স্ট্রাইক প্রান্ত থেকে সৌরভকে বোল্ড হতে দেখেছিলেন অ্যালান মুলালির বলে। ২৬৩তম ইনিংসে ‘দর্শক’ দ্রাবিড়ের ৪০০তম উইকেট অভিনব মুকুন্দ। সঙ্গী ব্যাটসম্যানকে আউট হতে দেখলে কারও নিশ্চয়ই ভালো লাগে না। তবে ওই ‘৪০০’ সংখ্যাটাই আবার ব্যাট হাতে দ্রাবিড়ের অসাধারণ মনোযোগ আর দৃঢ়তার প্রতীক। রেকর্ডটা তাই গর্বেরও। এমনি কি আর তিনি ‘দ্য ওয়াল’!
৫৫ রানে আউট হয়ে নিজের ওপর নিশ্চয়ই বিরক্ত হয়েছেন দ্রাবিড়, তবে এই ইনিংসটা পরশু আরেকটি রেকর্ডের দিকেও আরেক ধাপ এগিয়ে নিয়েছে তাঁকে। শচীন টেন্ডুলকারকে (৫৯) ছাড়িয়ে টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ফিফটি আপাতত এককভাবে দ্রাবিড়ের (৬০)। দীর্ঘদিন ধরে রেকর্ডটি ধরে রাখা অ্যালান বোর্ডার এখন ঢিলছোড়া দূরত্বে (৬৩)। ‘ছোট্ট’ আরেকটা অর্জনও এসেছে পরশু। লক্ষ্মণের সঙ্গে ৬৫ রানের জুটির পথে পেছনে ফেলেছেন ডেসমন্ড হেইন্স ও রিচি রিচার্ডসনের জুটিকে (৩৬৫০)। দ্রাবিড়-লক্ষ্মণ জুটির চেয়ে (৩৬৮২) বেশি রান আছে এখন আর ১০ জুটির। এর একটিতেও আছেন দ্রাবিড়। শচীন টেন্ডুলকারের সঙ্গে জুটিতে তাঁর রান ৬৩৫২, আর মাত্র ১৩১ রান করলেই হেইন্স-গ্রিনিজ জুটিকে পেছনে ফেলে টেস্ট ইতিহাসের সফলতম জুটি হয়ে যাবেন দুই ভারতীয় গ্রেট। ওই রেকর্ডটা স্রেফ সময়ের ব্যাপার।
‘দর্শক ব্যাটসম্যান’ রেকর্ডের ৪০০ ক্লাবে খুব শিগগির একজন সঙ্গী পেয়ে যাবেন দ্রাবিড়। বারবাডোজ টেস্টের চতুর্থ ইনিংসের আগ পর্যন্ত ৩৯৪ জন ব্যাটসম্যানকে আউট হতে দেখেছেন শিবনারায়ণ চন্দরপল। সেরা পাঁচজনের তালিকা পাশে দেওয়া হলো। অনেকের কৌতূহল থাকতে পারে, তালিকার ষষ্ঠ জনের নামটাও তাই জানানো যাক—৩১৮ সঙ্গীকে আউট হতে দেখেছেন শচীন টেন্ডুলকার।

ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়ে পার হলো অর্থবছরের শেষ সপ্তাহ

দেশের শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখী ভাবের মধ্য দিয়ে ২০১০-১১ অর্থবছর শেষ হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে শেয়ারবাজারে মন্দাভাব শুরু হয়। কিন্তু জুন মাসের শেষ সপ্তাহে বাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। এ সময়ে বাজারে মূল্য সূচক, দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ ও বাজার মূলধন বেশ খানিকটা বেড়েছে। এ সময় লেনদেন করা বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দামও বেড়েছে।
বাজার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, বাজারে তারল্য সংকটের পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার অভাবে দীর্ঘদিন ধরে বাজারে মন্দাভাব ছিল। কিন্তু সদ্য শুরু হওয়া ২০১১-১২ অর্থবছরে ঘোষিত বাজেটে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের মাধ্যমে অপ্রদর্শিত আয় বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ায় বাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ আমানতের হারের ক্ষেত্রে কিছুটা শিথিলতা দেখানোয় বাজারে তারল্য সংকট কিছুটা কেটে যাবে এমন আশা করছেন বিনিয়োগকারীরা। আর এসব কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা আস্থা বেড়েছে। এর ফলে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অপ্রদর্শিত আয় বিনিয়োগের মাধ্যমে বৈধ করার সুযোগ দেওয়ায় বাজারে সাময়িকভাবে ঊর্ধ্বমুখীভাব দেখা যেতে পারে। তবে বাজারে স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে হলে তারল্য সংকট কাটানোর পাশাপাশি ভালো শেয়ারের সরবরাহ বাড়াতে হবে। তা না হলে দীর্ঘমেয়াদে বাজারে স্থিতিশীলতা ধরে রাখা যাবে না। তারা বাজারে স্থিতিশীলতা আনার স্বার্থে ধীরে ধীরে সরকারি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বাজারে ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছেন। একই সঙ্গে যেসব কোম্পানির শেয়ার বাজারে আসার অপেক্ষায় রয়েছে, সেগুলো দ্রুত বাজারে আনার ব্যবস্থা করতে হবে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে পাঁচ দিনে ডিএসইতে চার হাজার দুই কোটি ৭৯ লাখ টাকার ৪১ কোটি ৯০ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহের মোট লেনদেন দুই হাজার ২১৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকার ২৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকার তুলনায় ৮০ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেশি। অর্থবছরের শেষ সপ্তাহে অর্থাৎ গত সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে ৮০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহের গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিল প্রায় ৪৪২ কোটি টাকা।
সপ্তাহের শুরুর দিন রোববার ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল দুই লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ৮৫ হাজার কোটি টাকায়। আর সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ছিল পাঁচ হাজার ৮৪৭ দশমিক ২৬ পয়েন্ট। সপ্তাহের শেষে তা বেড়ে ছয় হাজার ১১৭ দশমিক ২৩ পয়েন্টে উন্নীত হয়েছে। এ হিসাবে মূল্যসূচক ২৩৪ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট বেড়েছে। শতাংশের হিসাবে যা ৪ দশমিক ৬২ শতাংশ। এ সপ্তাহে লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দর বেড়েছে। এ সময়ে দাম বেড়েছে ২২৩টির, কমেছে ৩৯টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে সাতটি কোম্পানির শেয়ারের দর।
সপ্তাহের লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে ছিল ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, মবিল যমুনা, সাউথইস্ট ব্যাংক, এমআই সিমেন্ট, গ্রামীণফোন, বেক্সিমকো লিমিটেড, আফতাব অটোমোবাইল, ওয়ান ব্যাংক, লংকা বাংলা ফাইন্যান্স ও ন্যাশনাল ব্যাংক।
দাম বাড়ার দিক থেকে শীর্ষে ছিল ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, স্কয়ার টেক্সটাইল, বিচ হ্যাচারি, এমআই সিমেন্ট, কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স, পিপলস ইন্স্যুরেন্স, সাউথইস্ট ব্যাংক এবং মার্কেন্টাইল ব্যাংক।