Monday, May 2, 2011

মনেপ্রাণে ভারতীয়

বলিউডে পা রাখার পর থেকেই বিভিন্ন ইস্যুতে নিজেকে বিতর্কিত করেছেন ইয়ানা গুপ্তা। সম্প্রতি নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হন ভারতীয় বংশোদ্ভূত চেক প্রজাতন্ত্রের আবেদনময়ী এই আইটেম গার্ল। এ প্রসঙ্গে ইয়ানা বলেছেন, জন্মসূত্রে না হলেও মনেপ্রাণে আমি ভারতীয়। এদেশের সংস্কৃতির সঙ্গে পুরোপুরি মিশে গেছি। তাছাড়া ক্যারিয়ারের স্বর্ণযুগটা পার করছি বলিউডেই।

আফ্রিদির জয়গান

নিজেদের মাটিতে খেলতে না পারা, অন্তর্কলহ এবং ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মতো ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়ে পাকিস্তানের ক্রিকেট। তার পরও আফ্রিদির নেতৃত্বে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল পর্যন্ত দুর্দান্ত লড়েছে তারা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে পাঁচ ম্যাচের তিনটিতে জিতে ইতোমধ্যে সিরিজ জয়ও নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান। এতে নতুন করে আশার আলো দেখছেন দেশটির ক্রিকেটবোদ্ধারা। পাশাপাশি মিডিয়ায় চলছে আফ্রিদির জয়গান।

রাজধানীতে দুই ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট গ্রেফতার

রাজধানীর কদমতলীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নামে অভিযান চালানোর সময় দুই ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেটকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের নাম কাজী শফিকুর রহমান (৩০) ও মোহাম্মদ স্বপন (৩২)। শফিকুর ইসলামিক টেলিভিশনের সহকারী ব্যবস্থাপক (সেলস) বলে জানা গেছে। গতকাল বিকালে দক্ষিণ দনিয়ার সওদাগরবাড়ি মোড়ে হলুদ-মরিচ ভাঙানোর একাধিক কারখানায় অভিযানের নামে টাকা নিতে গেলে স্থানীয়রা তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
কদমতলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম জানান, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে শফিকুরের কাছ থেকে একটি পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তাতে তার নামসহ ইসলামিক টেলিভিশনের সহকারী ব্যবস্থাপক (সেলস) পদবি উল্লেখ আছে। তারা বেশ কিছুদিন ধরে এ এলাকায় সাধারণ ব্যবসায়ীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়েছেন।

Sunday, May 1, 2011

NEW WAY TO EARN MONEY IN ONLINE

SIGN UP LINK : http://www.sitetalk.com/boundola100

www.sitetalk.com – it’s like face book, twitter. Also include site talk messenger.
www.sitetalkmail.com – it’s like yahoo, gmail.
www.sitetalkmall.com – it’s web shop / online shopping mall. Here 4000brand product
include worldwide.
www.sitetalktravel.com – it’s worldwide traveling way.
www.sitetalkcare.com – it’s link redcrient society.
www.oxfordprograme.co.uk – it’s online line based education way for worldwide.
Also searing sitetalk sim, sitetalk insurance and sitetalk real-estate.
www.presidentclub.biz – it’s our personal webenar here all information include
sitetalk and unaico.
www.unaico.com – it’s our main company website. When u sitetalk include in any link
then here open ur back office.
www.mysitecost.com – here uses every website value.
www.alexa.com – here u see every website ranking , so searching every website and
decision make. So that earn more money within 2 years million.
 
 BY BOUNDOLA


Sitetalk as like facebook. Online social network service, but these two sites have big difference. The difference is sitetalk give us online money earning support to build up our won career. 
Granted earn money for this site.

So friends lets start earning on http://www.Sitetalk.com/boundola100

Detail: http://www.mediafire.com/?ihqm1ucf3t930cx
             http://www.mediafire.com/?7pacyr48nanb4vj

any question or information in sitetalk. Call Bengali leaders
Hot Line no-  +8801922264747
            boundola@gmail.com

যৌন নির্যাতনের অভিযোগ...

বলিউডের খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা মহেশ ভাটের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগ এনেছেন পাকিস্তানের আলোচিত নায়িকা মীরা। সম্প্রতি এ অভিযোগ এনে মুম্বাইয়ের একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনও করেছেন তিনি। এতে তিনি বলেন, 'মহেশ ভাট তার ছবিতে আমাকে অভিনয় করার জন্য প্রস্তাব দিয়ে পাকিস্তান থেকে ডেকে এনেছেন। লিখিত চুক্তি হওয়ার আগেই এখন তিনি আমাকে তার ছবি থেকে বাদ দিয়ে অন্য অভিনেত্রীকে নিতে চাইছেন। এর প্রতিবাদ করলে তিনি আমাকে মুম্বাইয়ের একটি হোটেলে আসতে বলেন। হোটেলে গেলে তিনি দরজা বন্ধ করে আমার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। জোরপূর্বক আমার ওপর যৌন নির্যাতন চালান। এছাড়া আমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। আমাকে ভারত থেকে পাকিস্তানে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন। আমাকে নিয়ে অনেকে অনেক কথাই বলে থাকেন। কিন্তু সত্যটা কেউ জানতে পারেন না। আজ আমি সত্য জানাতে এসেছি।' কথাগুলো বলতে বলতে মীরা কেঁদে ফেলেন। মহেশ ভাটের বিরুদ্ধে এর আগেও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু এসব বিষয়ে কখনোই মাথা ঘামান না তিনি।

মাত্র এক রাত

৭ বছরের প্রেম শেষে বিয়ে করতে যাচ্ছেন কায়রা নাইটলে। আর মাত্র একটি রাত। তারপরই কুমারিত্বকে বিদায় জানাবেন। তাই এই রাতটি তার কাছে বিশেষ গুরুত্ব পেল। গুরুত্বপূর্ণ রাতেই ঘটে গেল এক অঘটন। সেটা কি? জানা যাবে আগামী ৫ জুন। এদিন মুক্তি পাবে মেসি তাজেদিন পরিচালিত ছবি 'লাস্ট নাইট'। এই ছবির মাধ্যমে অনেকদিন পর পর্দায় আসছেন কায়রা। তাই কায়রা ভক্তদের জন্য বিরাট সুখবর এটি। ছবিতে কায়রার বিপরীতে অভিনয় করেছেন স্যাম ওর্থথিংটন। আরও আছেন এভা মেন্ডেস, গুলিয়ামু কানেট প্রমুখ। ছবিটি নাটকীয় গল্পের, তবে রোমান্টিক।

রুপকথার বিয়ে


পৃথিবীতে নাকি রূপকথার মৃত্যু হয়েছে। ধুলোয় মিশে গেছে

আবেগ, রোমান্স আর প্রণয়কথন। শেষবার পৃথিবী তা দেখেছিল চার্লস ও ডায়ানার বিয়ের দিন। আর প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে প্যারিসে সেই রূপকথারও অকাল মৃত্যু হয়েছিল। কেউ কি ভেবেছিল ৩০ বছর পর আবার সেই রূপকথা ফিরে আসবে? তাও আবার ডায়ানারই ছেলে উইলিয়াম আর সাধারণ ঘরের মেয়ে কেটের বিয়েতে। ২৯ এপ্রিল গোটা পৃথিবী অবাক চোখে তাকিয়ে দেখল ভালোবাসার দুর্বার শক্তিতে অতি সাধারণ কেট কিভাবে হয়ে ওঠলো ব্রিটিশ রাজ পরিবারের উত্তরাধিকারী প্রিন্স

উইলিয়ামের ঘরণী। ব্রিটিশদের সঙ্গে সঙ্গে ঘোটা বিশ্ব

অবাক বিস্ময়ে দেখেছে কিভাবে ভালোবাসার বন্যায় ভেসেছে লন্ডন। এমন রূপকথার দেখা সচরাচর মেলে না। আর এ জন্যই তা এত দুর্লভ। চার্লস-ডায়ানার মতো আর একটি রূপকথার অমর চরিত্র হয়ে সবার সামনে ধরা দিলেন উইলিয়াম ও কেট।

তোমাকে অপূর্ব দেখাচ্ছে

প্রিন্স সবার আগেই চলে এসেছেন। একে একে আসেন অন্যরাও। তবুও তার দেখা নেই। উইলিয়ামকে বেশ কিছুসময় অপেক্ষা করিয়ে সব শেষে এলেন কনে কেট। বিয়ের পোশাক পরে ওয়েস্টসমিনিস্টার অ্যাবের সামনে গাড়ি থেকে নামলেন কেট। ততক্ষণে ফিস্ফাস গুঞ্জন শুরু হয়ে গেছে। ভাবিকে দেখে উচ্ছ্বসিত হ্যারি বড় ভাইকে বললেন, 'সে এসে গেছে।' উইলিয়ামের পাশে এসে দাঁড়ালেন কেট। তার দিকে এক ঝলক তাকিয়ে কেটের কানে কানে উইলিয়াম বললেন, 'তোমাকে অপূর্ব দেখাচ্ছে।'

বেয়াড়া ঘোড়া
রাজসিক ঘোড়ার গাড়িতে তখন প্রাসাদে যাচ্ছেন নবদম্পতি। সামনে-পেছনে সারিবদ্ধ অশ্বারোহী। রাস্তার দু'ধারে হাজার মানুষের আকাশ ফাটানো চিৎকারে এক কালো ঘোড়ার মেজাজ গেল বিগড়ে। লাফিয়ে উঠে পিঠ থেকে ফেলেই দিল আরোহীকে। তাকে ধরে বাগে আনার চেষ্টা করলেন ওই ভূপতিত রক্ষী। লাভ হলো না। নবদম্পতির গাড়িকে পেরিয়ে ঘোড়া দিল দৌড়। গোটা সময়টায় হতভম্ব কেটকে সামলালেন।

পথ দেখায়...
মাকে স্মরণ করেই নিজের নতুন জীবনের পথ চলা শুরু করলেন রাজপুত্র উইলিয়াম। ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে বিয়ের প্রথা শুরু হয় ডায়নাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে। উইলিয়ামের নিজের পছন্দ করা রাগবি দলের 'অ্যানথেম'-এর কথা দিয়েই এদিন ডায়ানাকে স্মরণ করে ব্রিটেন। সজল চোখে উইলিয়াম গেয়ে ওঠেন 'আমার পথ দেখায় তোমারই কথা...'

মহাকাশ থেকে শুভেচ্ছা
উইলিয়াম আর কেটের বিয়েকে ঘিরে উৎসাহ শুধু পৃথিবীর গণ্ডিতেই আবদ্ধ নেই, শুভেচ্ছা বার্তা ভেসে এসেছে সুদূর মহাকাশ থেকেও। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন নভোচারীরা।

গুগলেও বিয়ে
উইলিয়াম এবং কেটের বিয়ে নিয়ে ঠিক কতটা উচ্ছ্বসিত বিশ্ববাসী তার আঁচ এদিন পাওয়া যায় গুগল দেখেই। বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় এই তথ্য অনুসন্ধান ওয়েবসাইটটি এদিন বিয়ে উপলক্ষে বিশেষ চিত্র বা 'ডুডুল' দিয়ে সাজিয়েছিল নিজেদের সাইটটি। কোনো বিয়ে উপলক্ষে এই সাজ এবারই প্রথম।

গাড়ি কাহিনী
মোটরগাড়িতে যাওয়া, ঘোড়ার গাড়িতে ফেরা। রাজপরিবারের বিয়ের গাড়ি কাহিনীটি বেশ মজাদার। বিয়ের পর চার ঘোড়ায় টানা যে ল্যান্ডোগাড়িতে কেট-উইলিয়াম প্রাসাদের পথ ধরলেন, সেটি কিন্তু ১৯০২ সালের সৃষ্টি। বিয়ের পর এই গাড়িতেই প্রাসাদে ফিরেছিলেন উইলিয়ামের বাবা-মা।

এবং বিপত্তি
কেট-উইলিয়ামের বিয়ের দিন ৪৩ জনকে গ্রেফতার করে লন্ডন পুলিশ। শান্তি ভঙ্গ, মাতলামি, চুরি, নিগ্রহ এমন নানা অভিযোগে ধরা হয়েছে তাদের। এমনিতেই শহরে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি ছিল। সব মসৃণভাবে যাতে হয়, সেটা তো দেখতে হবে! আবার রাজপরিবারের বিয়ের কিছু 'প্রতিবাদী'ও জড়ো হচ্ছিলেন লন্ডনে। পুলিশ অবস্থা সামলেছে। দু'জন প্রতিবাদীকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তারা।

আনন্দের ফোয়ারা
গ্রামের মেয়ের বিয়ে। তাও আবার রাজবাড়িতে। এর চেয়ে আনন্দের কিছু হয় নাকি? তাই গোটা বাকলবারি গ্রামই যেন উত্তাল হয়ে গেল কেট মিডলটনের বিয়েতে। শত শত মানুষ কাজকর্ম ভুলে পড়ে রইল শহরতলি বাকলবারির এক বিশাল সবুজ মাঠে। সেই মাঠের এক প্রান্তে টাঙানো মস্ত টিভি পর্দায় তাদের চোখ তখন মুগ্ধ এবং অপলক। তাদের গ্রামের মেয়ে কেট যে সেখানে পর্দাজুড়ে নতুন জীবনের প্রবেশপথে। হ্যাঁ, এই বাকলবারি গ্রামেরই মেয়ে রাজকন্যা কেট। এ কারণেই গ্রামের মানুষের ঢল নামে এদিন বাকলবাড়িতে। কেটের গ্রামের মানুষজনের এ আনন্দ যদি দেখতেন কেট!

উইলিয়াম ও কেটের নয়া উপাধি
বিয়ের পর নতুন উপাধি পেলেন প্রিন্স উইলিয়াম ও ক্যাথরিন মিডলটন। ডিউক অব কেমব্রিজ এবং ডাচেস অব কেমব্রিজ। বাকিংহাম প্যালেস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তবে কেবল একটি উপাধিতেই আবদ্ধ থাকছেন না প্রিন্স উইলিয়াম। ডিউক অব কেমব্রিজ ছাড়াও তার মুকুটে যুক্ত হচ্ছে আরও দুটি
নতুন পালক। আর্ল অব স্ট্র্যাথিয়ার্ন
এবং ব্যারন ক্যারিকফার্গাস।

৯০ শতাংশ ফ্লাইট বাতিল

ভারতে অভ্যন্তরীণ বিমান পরিবহন সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার ৮০০ পাইলট গতকালও তাদের ধর্মঘট অব্যাহত রেখেছে। আর পাইলট সংকটের কারণে এ পর্যন্ত ৯০ শতাংশ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এতে করে দেশটির বিমান চলাচল হুমকির মুখে পড়েছে। এদিকে কাজে যোগ দেওয়ার হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য ধর্মঘটী নয় পাইলটকে চাকরিচ্যুত করেছে এয়ার ইন্ডিয়ার ব্যবস্থাপনা কার্যালয়। বেতন-ভাতা বৃদ্ধি ও কাজের উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবিতে বুধবার থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন পাইলটরা। ২০০৭ সালে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্স ও এয়ার ইন্ডিয়াকে একীভূত করা হয়। এর আগে শুক্রবার এয়ার ইন্ডিয়ার ব্যবস্থাপনা কার্যালয় পাইলটদের কর্মবিরতি তুলে নিয়ে বিকাল ৫টার মধ্যে কাজে যোগ দেওয়ার আলটিমেটাম দেয়। এ সময়ের মধ্যে কাজে যোগ না দিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ। তবে আদালতের এ নির্দেশ ও কারাদণ্ডের হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও পাইলটদের মধ্যে কাজে ফেরার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। বরং পাইলটদের সমিতি আইসিপিএর সভাপতি রিশাভ কাপুর বলেন, আমরা জেলেই যেতে চাই, এয়ার ইন্ডিয়ার ৩১ হাজার কর্মচারী জেলে যেতে প্রস্তুত।

বোনের পর এবার মৃত্যু আতঙ্কে ভাই

বোনকে হারিয়েছি। এবার নিজের জীবন নিয়েই শঙ্কায় আছি। গ্রেফতারের পর বৃহস্পতিবার কোর্টের এজলাসে দাঁড়িয়ে রেজা আমার দিকে এমনভাবে তাকাচ্ছিল যেন এখনই পারলে মেরে ফেলে। পরে বিভিন্ন সময় নানা লোক দিয়ে আমাকে হেনস্থা করার চেষ্টা করেছে। উকিলের কক্ষে বসা অবস্থায় রেজার বড় বোন আমাকে উল্টো পুলিশের ভয় দেখিয়েছে।' গতকাল এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথাগুলো বলছিলেন নিহত কামরুন্নাহার নাদিয়ার (৩৫) একমাত্র ছোট ভাই শাহরিয়ার সিরাজ সুজন। এদিকে গতকাল সকাল ১০টার দিকে পুলিশ তালা ভেঙে তল্লাশি চালায় রেজার রায়েরবাজার ৯০/এ হাতেমবাগের ভাড়া বাসায়। তবে ওই বাসা থেকে দুটি লাঠি ছাড়া আর কিছু উদ্ধার করতে পারেনি। ঘটনার এক সপ্তাহ পর গতকাল আদালতের অনুমতিক্রমে পুলিশ ওই বাসায় তল্লাশি করে। তবে বাসায় দুটি লাঠি পেলেও তা জব্দ করেনি পুলিশ। তবে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ওই বাসার দারোয়ান ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওইদিন দুপুর ১২টা ও বিকাল ৪টার দিকে রেজাউলের ছোট ভাই জুয়েল ওই বাসায় গিয়েছিল। ওই সময় সে দুটি বস্তা নিয়ে বের হয়ে যায়। নিহতের ভাই সুজন এ প্রতিবেদককে বলেন, 'ওইদিন কয়েকজন হিজড়া নিয়ে আদালতের বিভিন্ন স্থানে হাজির হয়েছিলেন রেজার বড় বোন। হিজড়ারা নাম ধরেই আমাকে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজতে থাকে। আসামি জামিন নিয়ে কোনোভাবে আসতে পারলে সে আমার অনেক বড় ক্ষতি করতে পারে।' জানা গেছে, গত তিন মাস আগে কক্সবাজার থেকে ঢাকায় ফেরার পথে নাদিয়াকে মেরে ফেলতে চেয়েছিলেন রেজা। ওই সময় তাদের গাড়িচালক মোশাররফ নাদিয়াকে রেজার হাত থেকে রক্ষা করেন। এ কারণে রেজা মোশারফের ওপর চড়াও হন। পরে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেন রেজা। এদিকে মামলা দায়েরের পর থেকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রহস্যজনক আচরণ করছেন। শুরু থেকেই মামলার ব্যাপারে তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জামাই আদরেই সময় পার করছেন রিমান্ডে থাকা আসামি শফিকুর রহমান ওরফে রেজা। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর রেজার আত্মীয়স্বজন তার সঙ্গে দেখা করার জন্য হাজারীবাগ থানায় আসছেন। পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন কোনো নিয়মের বালাই নেই সেখানে। দর্শনার্থীরা আসামি রেজার সঙ্গে দেখা করা ছাড়াও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ থানার পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বসে হাসি-ঠাট্টা করে সময় পার করছেন। এছাড়া শুক্রবার একটি টিভি চ্যানেলে ফুটেজ দেওয়ার জন্য পুরোপুরি মেকআপ করেই ক্যামেরার সামনে আসেন রেজা। অশোভন আচরণ করেন ওই মিডিয়া কর্মীদের সঙ্গে। এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, এসব বিষয়ে তিনি অবগত নন। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। মামলার অগ্রগতির ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে ওসি জানান, রেজা অত্যন্ত ধূর্ত। সে একবার খুনের ব্যাপারে স্বীকার করলেও অন্য সময় তা অস্বীকার করছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে সব বলা সম্ভব হচ্ছে না। প্রসঙ্গত, স্ত্রী নাদিয়ার লাশ নিয়ে গাড়িতে করে ৯ ঘণ্টা ঘোরার পর ২৪ এপ্রিল শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে আটক হন রেজা।

সবার চোখ এখন মধুচন্দ্রিমায়

উইলিয়াম-কেট দম্পতির মধুচন্দ্রিমার দিকে এখন সবার চোখ। এই সেদিন শুক্রবার সম্পন্ন হলো তাদের ঐতিহাসিক বিয়ে। এমন রাজকীয় এক বিয়ের পর সবার প্রশ্ন, কোথায় কাটাবেন একান্ত সময় এ দম্পতি?

মধুচন্দ্রিমায় উইলিয়াম-কেট দম্পতি যাবেন এতে সন্দেহ নেই। কারণ, আগেই বলা হয়েছে বিয়ের পর ঠিক হবে কোথায় কাটাবেন তারা মধুচন্দ্রিমা। সে অনুযায়ী গতকাল এ সিদ্ধান্ত পাকাপোক্ত হওয়ার কথা। তবে এ ক্ষেত্রে নাকি কেটের প্রস্তাবিত স্থানকেই গুরুত্ব দেবেন প্রিন্স উইলিয়াম। দীর্ঘ ১০ বছর টানা প্রণয়ের পর উইলিয়ামের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন কেট। রানী এলিজাবেথও তাদের এ ভালোবাসার মূল্য দিয়েছেন যথাযথ। অথচ উইলিয়ামের মা-বাবা প্রিন্সেস ডায়ানা আর প্রিন্স চার্লসের ক্ষেত্রে চিত্রটা ছিল পুরোপুরি ভিন্ন। তাদের অনেক দিনের ভালোবাসার পরিণতিটা যদিও আনুষ্ঠানিক বিয়েতে রূপ নেয়, কিন্তু এ ভালোবাসাকে প্রথম দিকে মেনে নিতে পারেননি রানী এলিজাবেথ। সেদিক দিয়ে উইলিয়াম-কেটের ভাগ্যটা ভালোই বলা চলে। বিয়ের আগের যে অধ্যায়, তাতে লুকিয়ে-চুরিয়ে বিভিন্ন জায়গায় সময়ও কাটিয়েছেন তারা। তাই বলে তা তো আর মধুচন্দ্রিমা নয়। তাই মধুচন্দ্রিমার আনন্দ থেকে নিজেকে বঞ্চিত করতে চান না দুজনের কেউ। সে অনুযায়ী কোথায় মধুচন্দ্রিমায় একান্তে সময় কাটানো যায়, এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে কথাও হয়েছে। তবে সময়টা যেখানেই কাটান না কেন, তা হতে হবে কোনো একটা দ্বীপ। তাও আবার হতে হবে নির্জন। নতুন কোনো সিদ্ধান্ত না হলে জায়গাটি হতে পারে সিসিলি, কেনিয়া বা ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুজতিক দ্বীপ। অবশ্য তালিকায় আছে আরও নাম_অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ এলাকার দ্বীপ এলাকা, গ্রিসের কোর্ফু দ্বীপ, তাসকানের অবকাশ যাপন কেন্দ্র এবং নিজ দেশেরই দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের সিলি দ্বীপপুঞ্জ। কোথায় মধুচন্দ্রিমায় যাবেন এ নিয়ে ঔৎসুক্যের শেষ নেই মানুষের মধ্যে। বাজিকররা এ নিয়ে ধরেছেন বাজিও। এরই মধ্যে তারা মুজতিককে শীর্ষ পছন্দ ধরে বাজির খাতা খুলেছেন। এর পরই রয়েছে জর্ডান, সিসিলি ও অস্ট্রেলিয়ার নাম। ব্রিটেনের ইতিহাসে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ আনুষ্ঠানিকতায় শুক্রবার উইলিয়াম স্ত্রী হিসেবে বরণ করে নেন বান্ধবী কেট মিডলটনকে। মধুচন্দ্রিমার বিষয়টি সুরাহা হলে ফলাফল হয়ে যাবে বাজিকরদের মধ্যেও। তাই তো অনেক বাজিকরেরই ঘুম হারাম হয়ে গেছে এ নিয়ে। কারণ এখনো যে মধুচন্দ্রিমার বিষয়টি খোলামেলা হয়নি। তবে যা-ই ঘটুক, গণমাধ্যম যেন পিছু ছাড়ছে না কেট-উইলিয়ামকে। তাদের প্রতি গণমাধ্যমের এমন আগ্রহ মনে করিয়ে দেয় প্রিন্সেস ডায়ানার কথা। কারণ এর চেয়েও খানিকটা বেশিই গণমাধ্যমের আগ্রহ ছিল তার প্রতি। ব্রিটিশ রাজপরিবারের সাড়ে ৩০০ বছরের ইতিহাসে রাজবধূদের মধ্যে কেট মিডলটন সবচেয়ে সৌভাগ্যশালী। কারণ তিনিই প্রথম নারী, যিনি রাজপরিবারে জায়গা করে নিয়েছেন একেবারে সাধারণ এক পরিবার থেকে। আর শুধু এ জন্যই নাকি ব্রিটিশদের কাছে জনপ্রিয়তা বেড়েছে প্রিন্স উইলিয়ামের। অবশ্য প্রিন্সেস ডায়ানাও এসেছিলেন সাধারণ পরিবার থেকেই। তবে ব্রিটেনে তাদের পরিবারের ছিল আলাদা আভিজাত্য। যত সাধারণ পরিবার থেকেই কেট আসুন না কেন, তিনি যে এখন রাজপরিবারের অংশ। আর এমন একটি বিয়েতে মধুচন্দ্রিমা থাকবে না, তা কি হয়? তাই তো বিশ্বের নজর এখন সেদিকেই। দেখা যাক কবে আসে সেই শুভক্ষণ। সূত্র : স্কাইনিউজ ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম।