Sunday, April 24, 2011

অফার

* নকিয়া : বাংলা নতুন বছরে নকিয়া উৎসব চলছে। এখন নকিয়ার ১৬১৬ অথবা ১২৮০ মডেলের যেকোনো একটি মোবাইল হ্যান্ডসেট কিনে ক্রেতারা জিতে নিতে পারেন নানা উপহার।
* বসুন্ধরা সিটি : রাজধানীর পান্থপথে অবস্থিত বসুন্ধরা সিটি শপিংমলে স্বল্পসংখ্যক দোকান বরাদ্দ চলছে। বুকিং দিলেই ক্রেতারা পাবেন ২৫ শতাংশ মূল্য ছাড় ও একটি এলসিডি টিভি।
* এলজি : এলজি-বাটারফ্লাই শো-রুম কিংবা অনুমোদিত ডিলার থেকে নূ্যনতম ১০ হাজার টাকা মূল্যের যেকোনো এলজি-বাটারফ্লাই পণ্য কিনলেই ক্রেতারা পাবেন একটি ডিসকাউন্ট খাম। খুললেই পাবেন বিভিন্ন অঙ্কের নিশ্চিত ডিসকাউন্ট।
* বাংলালিংক : এখন বাংলালিংক দেশ সংযোগের গ্রাহকরা বিনামূল্যে পাবেন ৩৫০ টাকার টকটাইম এবং ৫০০টি এসএমএস

হরভজন ঘূর্ণি-জাদুতে শীর্ষে মুম্বাই

ভারত চ্যাম্পিয়ন হলেও বিশ্বকাপে জ্বলে উঠতে পারেননি হরভজন সিং। কিন্তু আইপিএলে তাঁর ঘূর্ণি-জাদুতেই মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের জয়ের সোপান রচিত। তাও আবার ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের দলের বিপক্ষে। ১৮ রানে ৫ উইকেট নেওয়া হরভজনের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সুবাদে ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসকে ৮ রানে হারিয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। পঞ্চম ম্যাচে চতুর্থ জয়ের সুবাদে শচীন টেন্ডুলকারের দল আপাতত পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। অন্যদিকে সমান ম্যাচে তৃতীয় হারে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চেন্নাইয়ের অবস্থান নিচের দিক থেকে দ্বিতীয় অর্থাৎ নবম স্থানে।
টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নিয়েছিলেন ধোনি। কিন্তু 'টাইম' ম্যাগাজিনের বছরের সেরা ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় ঠাঁই করে নেওয়া 'ক্যাপ্টেন কুল'-এর দিনটা ভালো কাটেনি। গতবার মুম্বাইকে হারিয়ে চেন্নাই চ্যাম্পিয়ন হলেও এবারের দ্বৈরথে টেন্ডুলকারের দলেরই জয়ের উল্লাস। 'লিটল জিনিয়াস' মাত্র ৫ রান করে ফিরে গেলেও রোহিত শর্মার ৪৮ বলে ৮৭ রানের 'ঝড়' আর অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের ২৬ বলে অপরাজিত ৩১ রানের দায়িত্বশীল ইনিংসের সুবাদে মুম্বাইয়ের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ১৬৪। জবাব দিতে নেমে ওপেনার মাইক হাসি (৪১) আর বদ্রিনাথ (৭১*) অনেক চেষ্টা করলেও ৯ উইকেটে ১৫৬ রানের বেশি করতে পারেনি চেন্নাই।
ম্যাচশেষে ম্যাচের সেরা হরভজন জানিয়েছেন, 'ফিল্ডিং করতে নামার সময় ভেবেছিলাম চেন্নাইয়ের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে আমাদের আরো ১৫-২০ রান বেশি করা উচিত ছিল।' কিন্তু দারুণ ফিল্ডিং করে এই লক্ষ্যকেই চেন্নাইয়ের সামনে কঠিন বানিয়ে তুলেছে টেন্ডুলকারের দল। বিশেষ করে তাদের ক্যাচিং ছিল অসাধারণ। হরভজনের বিশ্বাস দুটো দুর্দান্ত ক্যাচই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছে, '(কিয়েরন) পোলার্ড দারুণ একটা ক্যাচ নিয়ে হাসিকে ফিরিয়েছে। আমার মনে হয় তখনই ম্যাচের ভাগ্য আমাদের দিকে ঘুরে গেছে। এরপর রোহিতও চমৎকার ক্যাচে ধোনিকে ফিরিয়ে দিয়েছে।' বল হাতে ফর্মে ফিরতে পেরেও 'ভাজ্জি' দারুণ খুশি, 'যেখানে একটা উইকেট পাওয়াই আমার জন্য কষ্টকর হয়ে পড়েছিল সেখানে পাঁচ উইকেট পেয়ে সত্যিই খুব ভালো লাগছে। আমি ধীর-স্থির ছিলাম। জানতাম যে বল যেখানে ফেলছি ব্যাটসম্যান সে জায়গায় মারবেই। তবে একই সঙ্গে জানতাম সে (বলের লাইন) মিস করলেই আমি উইকেট পাব।' যদিও ভারতের সেরা স্পিনারের ধারণা, ওয়াংখেড়ের পিচ থেকে বাড়তি সাহায্য পেয়েছেন তিনি, 'এই পিচটা ভারতের সেরা। লাল মাটি সিম বোলারদের সাহায্য করেছে, স্পিনারদের জন্য ভালো বাউন্স ছিল, আবার ব্যাটসম্যানদেরও শট খেলতে সমস্যা হয়নি।' হরভজনের অধিনায়ক টেন্ডুলকারও পুরো দলের ফিল্ডিংয়ের পাশাপাশি আলাদা করে রোহিত শর্মা আর পোলার্ডের ক্যাচ দুটোর প্রশংসা করেছেন অকুণ্ঠে। মাত্র ৩ রান করে রোহিতের দারুণ ক্যাচে পরিণত ধোনিরও ধারণা দুই দলের ব্যবধান গড়ে দিতে ফিল্ডিংয়ের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি, 'আমাদের ব্যাটিং আর ফিল্ডিংও ভালো ছিল। কিন্তু ওই ফিল্ডিংই (দুই দলের মধ্যে) ব্যবধান গড়ে দিয়েছে। ওরা দুটো অসাধারণ ক্যাচ নিয়েছে।

ভারতের কোচ হওয়ার কথা ভাবছেন না ফ্লেমিং

গ্যারি কারস্টেনের উত্তরসূরি হিসেবে কদিন ধরেই অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, ডানকান ফ্লেচারের পাশাপাশি শোনা যাচ্ছে নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের কথাও। কিন্তু ফ্লেমিং নিজেই জানিয়েছেন, ফুলটাইম কোচিং করানোর বিষয়টি নাকি তিনি ভাবার সময়ই পাচ্ছেন না, 'চেন্নাই সুপার কিংসকে কোচিং করানো বেশ উপভোগ করছি। হাতে এখন কাজের শেষ নেই। দারুণ অভিজ্ঞতা হচ্ছে আমার। তবে কোচিং ক্যারিয়ার নিয়ে আমি এখনো খুব বেশি কিছু ভাবিনি। এটা (কোচিং ক্যারিয়ার) এমন একটা বিষয় যা পরেও ভাবা যাবে।'
২৮ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ভারতকে ওয়ানডে বিশ্বকাপ উপহার দিয়েছেন গ্যারি কারস্টেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর থেকে এখনো অবশ্য কোনো জাতীয় দলের কোচ হননি ফ্লেমিং। বর্তমানে তিনি চেন্নাইয়ের কোচ। এ পর্বও দুই মাসের বেশি নয়। তাই কোচ হিসেবেও নিজেকে শিক্ষানবিসই মনে করেন ফ্লেমিং।

গিলক্রিস্টের কাছে ক্লাব নয়, দেশই বড়

দেশ বড় না ক্লাব-প্রশ্ন তুলে দিয়েছে এবারের আইপিএল। ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজের জন্য লঙ্কান বোর্ড ৫ মে'র মধ্যে দেশে ফিরতে বলেছিল কুমার সাঙ্গাকারাদের। এতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন শ্রীলঙ্কার খেলোয়াড়রা। পরে ভারতীয় বোর্ডের চাপে ৫-এর বদলে ১৮ মে দেশে ফিরতে বলা হয় সাঙ্গাকারাদের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিয়েরন পোলার্ডও আইপিএলের জন্য খেলছেন না পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ। আর সাবেক ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক ক্রিস গেইল প্রথম দুই ওয়ানডেতে সুযোগ না পেয়ে চলে এসেছেন আইপিএল খেলতে। তাই তাঁর ওপর খেপেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড। এমন সময়ই সর্বকালের সেরা উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান অ্যাডাম গিলক্রিস্ট জানালেন, তাঁর মতে ক্লাব নয়, সবার কাছে দেশের গুরুত্বই বেশি হওয়া উচিত, 'আমি বিশ্বাস করি সব ক্রিকেটারেরই সবার আগে দেশকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। আইপিএলে খেলার আমন্ত্রণ পাওয়াটা আমাদের জন্য সৌভাগ্যের কিন্তু আমরা এই সুযোগটা পেয়েছি দেশের হয়ে ভালো খেলার কারণেই।' অবশ্য দেশ আর ক্লাবের মধ্যে কোনো একটাকে বেছে নেওয়ার ব্যাপারটি যে জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার মতো নয় সে কথাও স্বীকার করেছেন আইপিএলে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের অধিনায়ক, 'শেষ পর্যন্ত এটা সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটার আর সে দেশের বোর্ডের সমঝোতার ব্যাপার।' পিটিআই

শ্বশুরের গানে সালমার কণ্ঠ

সালমার সর্বশেষ একক 'বৃন্দাবন' প্রকাশিত হয়েছে গত বছর। অ্যালবামের গানগুলো পছন্দ করেন শ্রোতা। আসছে ঈদে নতুন অ্যালবাম প্রকাশ করার পরিকল্পনা করেছেন ক্লোজআপ ওয়ান খ্যাত এই গায়িকা। এটি হবে সালমার ষষ্ঠ একক। সালমা জানান, তাঁর প্রথম একক অ্যালবামের সুরকার-সংগীত পরিচালক শওকত আলী ইমন এ অ্যালবামেও সংগীত করবেন। গানের কথা থাকবে বিভিন্ন গীতিকারের। তবে এবারের অ্যালবামের একটি বিষয় সালমার কাছে একেবারেই আলাদা। এ অ্যালবামে সালমা গাইবেন তাঁর শ্বশুর মোস্তাফিজুর রহমান ফিজুর লেখা গান।
সালমা বলেন, 'আমার শ্বশুর অনেক গান লিখে গেছেন। কিছু গান আমি হাতে পেয়েছি। গানগুলোর কথা আমার বেশ মনে ধরেছে। আর তাই সেখান থেকে দু-একটি গান আমার অ্যালবামেও রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

গরমের বলিউড

যতই চরম হোক গরম, থাকতে হবে ঠাণ্ডা। দেখতে যেন তাজাই লাগে। দেখা যাক, বলিউডের নায়িকারা কেমন সাজ পোশাক নিচ্ছেন এই গরমে
কারিনা কাপুর
পোশাকটার রং উপচে পড়ছে। ম্যাঙ্ইি তো বলে পোশাকটাকে। ছিমছাম লাগছে খুব। নজরও কাড়ছে।

ক্যাটরিনা কাইফ
বার্বি হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ক্যাট এই সময়ে। দেখতে বাচ্চা বাচ্চা লাগে। গরমের এত ভালো আর হয় না। কী আরামেই না বসে আছে গোল গলা টি-শার্ট আর খাটো চেক স্কার্ট পরে! পায়ে গলিয়েছে স্নিকার। আর চুলের হলুদ ব্যান্ডটা তো ওকে রীতিমতো আদুরী করে তুলেছে।

শিল্পা শেঠি
পা দেখাতে ভালোবাসেন শিল্পা। মানতেই হবে দেখতে ভালো। ফ্রকটার রং যেমন ভালো, আরামও পাচ্ছেন মনে হয়।

সোনম কাপুর
দীর্ঘাঙ্গী, মায়াবী চেহারার মেয়েটা পরেছে অ্যাংলোদের মতো একটা পোশাক। আবার মনে হয় সম্ভ্রান্ত ব্রিটিশ রমণী।

ট্যাক্সি চালিয়ে বিখ্যাত বাংলাদেশের শামীম

নিউইয়র্ক থেকে লস অ্যাঞ্জেলেসের দূরত্ব দুই হাজার ৭৪০ মাইল। এই পথে টানা ছয় দিন গাড়ি চালিয়ে ইতিহাসের অংশ হলেন বাংলাদেশি ট্যাক্সিচালক মোহাম্মদ আলম ওরফে শামীম। আর এ ইতিহাস তিনি সৃষ্টি করেছেন জন বেলিটস্কি ও ড্যান উইবেন নামের যুক্তরাষ্ট্রের দুই নাগরিকের জন্য। ঘটনাটি গোটা আমেরিকায় ব্যাপক কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে।
ঘটনার শুরু ড্যান উইবেন (৩২) কিভাবে তাঁর জন্মদিন কাটাবেন তা নিয়ে। অনেক জল্পনা-কল্পনার পর সিদ্ধান্ত নেন নিউইয়র্ক থেকে ট্যাক্সিতে করে তাঁরা লস অ্যাঞ্জেলেস ভ্রমণের মধ্য দিয়ে জন্মদিন উদ্যাপন করবেন। যেই ভাবা সেই কাজ। তাঁরা পাঁচ হাজার ডলারে ভাড়া করেন শামীমের ট্যাক্সি তবে জ্বালানি ও পথের সব ধরনের ব্যয়ও তাঁরা বহন করবেন বলে জানান। এ প্রস্তাবে রাজি হন শামীম। ১৬ এপ্রিল রাত ১১টায় লাগোয়ার্ডিয়া এয়ারপোর্ট থেকে যাত্রা শুরু হয়। ছয় দিন পর ২২ এপ্রিল লস অ্যাঞ্জেলেস সিটিতে গিয়ে পৌঁছেন তাঁরা। টিভি, রেডিও ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকরা তাঁদের এ চ্যালেঞ্জিং যাত্রার অভিজ্ঞতার কথা জানতে চান। সেটি ফলাও করে প্রচারও হয়।
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলম শামীম ১৪ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রে যান ডিভি লটারি জিতে। ১২ বছর ধরে নিউইয়র্ক সিটিতে তিনি ট্যাক্সি চালাচ্ছেন। শামীম তাঁর প্রতিক্রিয়ায় জানান, 'বিষয়টিকে আমি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম। যখন লস অ্যাঞ্জেলেসে পৌঁছি তখন সে এক লঙ্কাকাণ্ড ব্যাপার। মিডিয়াকর্মীরা ঘিরে ধরেন আমাদের।' তিনি বলেন, জিপিএসের (গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম) নির্দেশে গাড়ি চালিয়েছেন বিধায় কোনো অসুবিধা হয়নি।
জন বেলিটস্কি বলেন, 'বন্ধুর জন্মদিন এমনভাবে পালন করতে চেয়েছিলাম, যা হবে মজার, ঝুঁকিপূর্ণ এবং চমকপ্রদ। এবং সেটি ঘটল।'
উল্লেখ্য, নিউইয়র্ক সিটির ৪৪ হাজার ক্যাবচালকের মধ্যে প্রায় ১২ হাজার বাংলাদেশি। এর আগে যাত্রীর ফেলে যাওয়া বিপুল অর্থ ও স্বর্ণালংকার ফিরিয়ে দিয়ে বাংলাদেশি ওসমান চৌধুরীসহ বেশ কজন যে সততার পরিচয় দেন, তা গোটা যুক্তরাষ্ট্রে আলোচিত হয়।

NEW WAY TO EARN MONEY IN ONLINE

Saturday, April 23, 2011

গেইল ঝড়ে বিধ্বস্ত কলকাতা

ক্রিস গেইল এসেই যেন নিজের রূপটা দেখিয়ে নিলেন আইপিএলকে। মাত্র ৫৪ বল থেকে ৭টি ছয় ও ৯টি চার মেরে করলেন ৯৮ রান। এরপর? অনেকক্ষণ ঠেকে ছিলেন তিনি ৯৮ রানে। বিরাট কোহলি চাইলে গেইলের সেঞ্চুরিটা আটকে দিতে পারতেন। কিন্তু তিনি সহযাত্রীর এই বিরল সম্মান থেকে বঞ্চিত হওয়া মেনে নিতে চাইলেন না। কোহলি ১৮তম ওভারের প্রথম বলেই চার মেরে নিজেদের স্কোর নিয়ে গেলেন ১৭০ রানে। এর আগে কলকাতা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে করেছিল ১৭১ রান। গেইলের ৯৮। বিজয়ের জন্য প্রয়োজন আর মাত্র ২ রান। ইকবাল আব্দুল্লার চারটি বল ঠেকিয়ে দিলেন কোহলি। কিন্তু ইকবাল পঞ্চম বলটি হোয়াইট দিয়ে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলেন সবার মনে। এমনকি কোহলি নিজেই বিরক্তি প্রকাশ করছিলেন বার বার। তবে শেষ বলটি হলো কোন রান ছাড়াই। উনিশতম ওভারটি করতে এলেন সাকিব আল হাসান। প্রথম বলেই স্ট্রাইকে থাকা ক্রিস গেইল চার মারলেন। সেই সঙ্গে গ্যালারি যেন নতুন করে জেগে উঠল। ৫৫ বলে ১০২ রানের ইনিংস খেললেন ক্রিস গেইল। সঙ্গে থাকা কোহলি করেছেন ২৩ বলে ৩০ এবং এর আগে দিলশান করেছেন ৩১ বলে ৩৮ রান। শচীন টেন্ডুলকার কিছুদিন আগেই করেছিলেন সেঞ্চুরি। মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের অধিনায়ক সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছিলেন শেষ বলে। ক্রিস গেইলও অনেকটা তাই করলেন। দেশ থেকে একরকম অভিমান করে চলে আসার ক্যারিবীয় এই তারকা রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালুরুর পক্ষে খেলতে নেমেই প্রমাণ করলেন নিজেকে। সেই সঙ্গে আইপিএল জমিয়েও তুললেন। বর্তমানে পয়েন্ট টেবিলে ৬ ম্যাচ থেকে ২ জয় নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে বাঙ্গালুরু। শীর্ষে থাকা কলকাতা নেমে গেছে দ্বিতীয় স্থানে। তারা ৬ ম্যাচ থেকে জয় পেয়েছে ৩টিতে।
গেইল ঝড় শুরু হওয়ার আগে গৌতম গাম্ভীরের ৩৮ বলে ৪৮ এবং ক্যালিসের ৪২ বলে ৪০ রান কলকাতাকে মোটামুটি নিরাপদ সংগ্রহই এনে দিয়েছিল। কিন্তু ক্রিস গেইল যে তার স্বভাবসুলভ ঝড় নিয়ে মাঠে উপস্থিত হবেন তা কে জানতো? জানেনি বলেই গতকাল কলকাতা নাইট রাইডার্স হেরে গেল ৯ উইকেটে। আরবিন্দ ২ এবং সাঈদ ও ভেট্টরি একটি করে উইকেট নিয়েছিলেন রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালুরুর পক্ষে। কলাকাতার পক্ষে একমাত্র উইকেটটি নিয়েছেন বালাজি। কিন্তু কোন লাভ হয়নি কেকেআরের। শাহরুখ খান মাঠে দাঁড়িয়ে দেখলেন নিজের দলের পরাজয়। ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন সেঞ্চুরি করা ক্রিস গেইল।

নতুন প্রেমে মন মজাইয়া...

জন আব্রাহামের সঙ্গে বিপাশা বসুর দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ভেস্তে গেছে খুব বেশিদিন হয়নি। খবর রটেছে, এই বিচ্ছেদের কষ্ট ভুলতে বিপাশা নাকি এবার 'সিঙ্গুলারিটি' ছবিতে তার সহ-তারকা জশ হার্নেটের কাছাকাছি আসার চেষ্টা করছেন। ছবিটির শুটিংয়ের বাইরেও প্রচুর সময় তারা একসঙ্গেই কাটাচ্ছেন। খবর ইন্দো-এশিয়ান নিউজ সার্ভিসের।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, হলিউডি ছবি 'সিঙ্গুলারিটি'তে একসঙ্গে অভিনয় করছেন বিপাশা ও জশ। ভারতের মধ্যপ্রদেশে ছবিটির শুটিং করছেন তারা। শুটিংয়ের সময় তো বটেই, শুটিং শেষেও প্রচুর সময় তারা একে অপরের সানি্নধ্যেই থাকছেন।