Thursday, April 21, 2011

ভয়ঙ্কর হন্তারক

মানুষ হচ্ছে সৃষ্টির সেরা জীব। আর তাই পৃথিবীর সব প্রাণীকেই মানুষ কোনো না কোনো কৌশলে বশ করতে পারে। বিষাক্ত সাপ থেকে শুরু করে পানির কুমির-হাঙ্গরকেও মানুষ ধরে ধরে চিড়িয়াখানায় রেখেছে। ক্ষেত্রবিশেষে বিষাক্ত ও ভয়ঙ্কর সব প্রাণীকেও বানাচ্ছে পোষ্য। সব প্রাণীকে মানুষ বশে আনতে পারলেও কিছু কিছু প্রাণী প্রতিবছর বিপুলসংখ্যক মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী। সে প্রাণীগুলোর কিছু আছে ভয়ঙ্কর কিছু একেবারেই নিপাট নিরীহ। যেসব প্রাণীর কারণে পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় তেমনি কিছু ভয়ঙ্কর হন্তারক প্রাণীর কথা জানাচ্ছেন_ নবাব আমিন

মশা : দেখতে শুনতে অন্য প্রাণীদের মতো ভয়ঙ্কর নয়। নেহায়েতই গোবেচারা টাইপের প্রাণী মশার কামড়ে আপাত দৃষ্টিতে খুব বেশি ব্যথা লাগে না। কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্য প্রতি বছর বিশ লাখেরও বেশি মানুষ মারা যায় এই ক্ষুদ্র জীবাণু বাহকের কামড়ে। সব মশার কামড়ে মানুষ না মরলেও অ্যানোফিলিস স্ত্রী মশা ম্যালেরিয়ার পরজীবী বহন করে। এই মশা কামড়ালে মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়। সে জীবাণু রক্তের হিমোগ্লোবিন ধ্বংস করে ফেলে। ফলে মানুষ প্রাণ হারায়। আবার সাম্প্রতিক সময়ে এডিস মশার দাপটে ডেঙ্গু জ্বরে অসংখ্য প্রাণহানি ঘটে। এর বাইরেও মশা বহু রোগের প্রধান কারণ।
এশিয়ান গোখরা
: একে বলা হয় কিং কোবরা। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত এবং ভয়ঙ্কর সাপ। এশিয়ান গোখরার মতো বিষ আফ্রিকার গহিন জঙ্গলের সাপেরও নেই। এশিয়ান গোখরার ছোবলে মুহূর্তের মধ্যেই মানুষের মৃত্যু ঘটে। প্রতি বছর এই গোখরার ছোবলে মারা যায় প্রায় পঞ্চাশ হাজার মানুষ।
অস্ট্রেলিয়ান বক্স জেলিফিশ : দেখতে শুনতে তুলতুলে এবং বেশ নান্দনিক। সাগরের বুকে যখন এঁকেবেঁকে চলে তখন এর রূপে মুগ্ধ না হয়ে পারা যায় না। কিন্তু সাগর-নর্তকী নামে জেলিফিশের খ্যাতি থাকলেও অস্ট্রেলিয়ার বক্স জেলিফিশের পরিচিতিটা নান্দনিকতার চেয়ে ভয়াবহতার কারণেই বেশি। অস্ট্রেলিয়ান এই বক্স জেলিফিশের প্রতিটি বিষাক্ত রজ্জুতে আছে ৫০ হাজার কাঁটা। আর ৬০ জন মানুষ মারা যেতে পারে এমন বিষ বহন করে একেকটি জেলিফিশ। প্রতিবছর অসংখ্য মানুষের মৃত্যুর কারণ হয় এই বিষাক্ত মাছ। সাধারণত ডুবুরি ও শৌখিন সমুদ্রচারী কিংবা জাহাজডুবিতে আক্রান্তরা এর শিকার হয়।
শ্বেত হাঙ্গর : এরা এমনিতেই ভয়ঙ্কর। মশা কিংবা জেলিফিশের মতো গোবেচারা টাইপ ভয়ঙ্কর নয়, এরা চরিত্রগতভাবেই বিশাল, ধ্বংসাত্মক এবং ভয়ঙ্কর। মাথার খুলিতে ঘ্রাণ ক্যাপসুল থাকায় অনেক দূর থেকে মানুষের রক্তের গন্ধ পায়। এদের আছে তিন হাজার বিষাক্ত দাঁত। মানুষখেকো প্রাণীর তালিকায় এরা তাই চার নম্বরে। এ ধরনের প্রাণীদের আক্রমণের শিকার হলে কোনোমতেই বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। রীতিমতো হাড়গোড় গুঁড়ো করে গিলে ফেলে এরা।
আফ্রিকান সিংহ : আফ্রিকান সিংহের রাজ্যে মানুষের কোনো ক্ষমতা নেই বললেই চলে। এ সিংহের সামনে পড়ে কেউ বেঁচে এসেছে, এমন রেকর্ড নেই।
লোনাজলের কুমির : পানিতে বসবাসকারী আরেক ভয়ঙ্কর প্রাণী হচ্ছে কুমির। লোনা পানিতে ভয়ানক দাপটে শাসন করা এ কুমির পানির সমান্তরালে ভেসে থাকতে পারে। শিকার কোনোভাবেই বুঝতে পারে না তার উপস্থিতি। ফলে সহজেই তাকে হজম করে ফেলে কুমির।
হাতি : হাতিকে পোষ মানানো গেলেও সব হাতিকেই পোষ মানানো যায় না। আর আকৃতির বিশালতার কারণে হাতি সবসময়ই ধ্বংসলীলার কারণ হয়। আর বন্যহাতি মানুষসহ অন্য প্রাণী হত্যায় দারুণ ভয়ঙ্কর।
শ্বেত ভল্লুক : বরফ অঞ্চলের প্রাণীবৈচিত্র্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর নাম হচ্ছে শ্বেত ভল্লুক। এ ধরনের ভল্লুকরা সবচেয়ে বেশি হিংস্র আর রক্তপিপাসু হয়ে থাকে। মেরু অঞ্চলের প্রাণীর মধ্যে এদের সবচেয়ে বেশি ভয়ানক মনে করা হয়। এরা মানুষের রক্তের গন্ধে যেন পাগল হয়ে যায়।
সোনা ব্যাঙ : হন্তারক প্রাণীর মধ্যে আরেকটি হচ্ছে সোনা ব্যাঙ। দেখতে যতটা সুন্দর তার চেয়েও কয়েক গুণ বেশি বিষাক্ত এই প্রাণীটি। তেলতেলে এ ছোট্ট প্রাণীর গায়ে থাকে বিষ, যা অন্তত ১০ জন মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

প্রেমের বিয়েই কাল হয়েছিল সুহেলের!

সিলেটে হত্যাকান্ডের তিনদিনেও ব্যবসায়ী সুহেলের খণ্ডিত মস্তকের সন্ধান পায়নি পুলিশ। হত্যাকান্ডের ঘটনায় পুলিশ শ্বশুর-শ্যালকসহ ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। গতকাল তাদেরকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে। পুলিশের ধারণা স্ত্রীকে মারধর ও প্রেমের বিয়ে মেনে নিতে না পেরেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন সুহেলকে পরিকল্পিতভাবে খুন করে শরীর থেকে মস্তক আলাদা করে গুম করে দিয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেট কোতোয়ালী থানার এসআই আবদুর রহিম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্ত্রীকে নির্যাতন ও প্রেমের বিয়ে মেনে না নিতে পেরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন এ খুনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। গ্রেপ্তারকৃত সুুহেলের শ্বশুর ও অন্যান্যদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যা রহস্য উদঘাটন হতে পারে বলে দাবি করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত সোমবার দুপুরে শহরতলীর কান্দিরগাঁও ইউনিয়নের ডালুয়া বিল থেকে সুহেলের মস্তকবিহীন লাশ উদ্ধার করে কোতয়ালী থানা পুলিশ।

এক পলক

ভারতীয় নাগরিক আটক

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ করার দায়ে মুন্সীপুর বিজিবি সদস্যরা এক ভারতীয়কে আটক করেছে। গতকাল তাকে কোর্টে চালান দেওয়া হয়। বিজিবি সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার চাপড়া থানার হাটখোলা গ্রামের এরশাদ হালসানা (২৮) উপজেলার মুন্সীপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করার সময় বিজিবির হাতে ধরা পড়ে। গতকাল সকালে দামুড়হুদা থানায় সোপর্দ করা হলে পুলিশ তাকে কোর্টে চালান করে।
 
গণধোলাই

টঙ্গীর টিঅ্যান্ডটি ইয়াকুব আলী মার্কেটে চুরি করে পালানোর সময় আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। তার নাম বিপ্লব। জানা গেছে ,গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় টঙ্গী কালীগঞ্জ সড়কের টিঅ্যান্ডটি এলাকায় আল মদিনা সু স্টোরে ঢুকে একটি মোবাইল ও ১ হাজার ৫০০ টাকা চুরি করে পালানোর সময় সন্দেহ হলে পাশের দোকানদার শাহাদাত ও আশপাশের ব্যবসায়ীরা মালামালসহ তাকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।

জরিমানা

নারায়ণগঞ্জে দুটি মিষ্টির দোকান ও একটি সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। গতকাল দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাকসুদা খন্দকার ভেজালবিরোধী ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেন।

ঘেরাও

সিদ্ধিরগঞ্জে একটি সমিতির ৫ হাজার গ্রাহক আন্দোলনে নেমেছে। ওই সমিতির কাছে তাদের জমা রয়েছে প্রায় ৭ কোটি টাকা। সমিতির টাকা আত্মসাৎকারী সোবাহান ফকিরের পক্ষ নিয়ে একটি কুচক্রি মহল সদস্যদের নানা হুমকি-ধামকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। গতকাল বেলা ১১টায় আদামজীর কদমতলী মধ্যপাড়ার সোবাহান ফকিরের বাড়ি ঘেরাও করে বাড়ির সামনে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ করে সমিতির সদস্যরা।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান

কাগজ না থাকা, দক্ষ জনবল সংকট, নোংরা পরিবেশসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে শিবচর পৌর এলাকার ৭টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে অভিযান চালায়।

র‌্যাব পরিচয়ে চাঁদা

আখাউড়ায় র‌্যাব পরিচয়ে চাঁদা চাইতে গেলে এক যুবককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা। মঙ্গলবার রাতে রেলওয়ে পূর্ব কলোনি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটক যুবকের নাম বশির আহমদ। তার বাড়ি ভৈরবের ভৈরবপুর গ্রামে।

প্রতারণার অভিযোগে আটক

পঞ্চগড়ে সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে কামরুজ্জামান (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে শহরের স্টেডিয়াম এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় স্টেডিয়ামে সেনাবাহিনীতে লোক নিয়োগের পরীক্ষা চলছিল।

স্বামী-স্ত্রীর কারাদণ্ড

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে মাদকদ্রব্য তৈরির অভিযোগে স্বামী-স্ত্রীকে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। জানা গেছে, গতকাল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ভোলাহাট থানা পুলিশ ২ নম্বর গোহালবাড়ী ইউনিয়নের মুন্সীগঞ্জ গ্রামের ঝগড়ুর ছেলে মাদক ব্যবসায়ী আবুল কাসেমের (৫৪) বাড়িতে অভিযান চালিয়ে চোলাইমদ তৈরির সময় কাসেম ও তার স্ত্রী সরিফুনকে (৪০) ৩০ লিটার মদ ও উপকরণসহ গ্রেফতার করে।

জামায়াত নেতা গ্রেফতার


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশ ছাড়া করাসহ নির্বাচিত মহাজোট সরকারকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সাতক্ষীরার শীর্ষ জামায়াত নেতা মাওলানা মনিরুল ইসলাম বেল্লালীকে (৪০) পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সম্প্রতি মাওলানা বেল্লালী সদর উপজেলার ধুলিহরে জামায়াত কর্তৃক একটি ওয়াজ মাহফিলে বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য ও প্রধানমন্ত্রীকে দেশ ছাড়া করা হবে বলে হুমকি দিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন।

ডিসি অফিস ঘেরাও

যুদ্ধাপরাধীদের অবিলম্বে বিচারসহ ১৫ দফা দাবিতে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ঠাকুরগাঁও জেলার উদ্যোগে গতকাল শহরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ডিসি অফিস ঘেরাও করে। বিক্ষোভকারীরা ১৫ দফা দাবি সংবলিত একটি স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে প্রেরণ করে।

অস্ত্র ব্যবসায়ী গ্রেফতার


গত মঙ্গলবার রাতে র‌্যাব-৮ অভিযান চালিয়ে বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার পশ্চিম কলাগাছিয়া গ্রামের আবদুর রাজ্জাক হাওলাদারকে ওয়ান শুটার গানসহ গ্রেফতার করেছে। র‌্যাব জানায়, রাজ্জাক তাদের কাছে স্বীকার করেছে সে দীর্ঘদিন ধরে অস্ত্র ব্যবসা করে আসছে। সে সমপ্রতি পটুয়াখালীর কেওড়াবুনিয়া গ্রামের নুরুল হকের কাছে একটি পিস্তল বিক্রি করেছে।

পুঁজিবাজার ছেড়ে এবার আইপিএল 'বাজি'তে

পুঁজিবাজারে অব্যাহত দরপতনে ক্ষতিগ্রস্ত রাজশাহীর কিছু ব্যবসায়ী মেতে উঠেছেন আইপিএল (ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ) বাজিতে। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় এখন জমজমাট এ বাজির আসর।
শেয়ারবাজারে বড় অংকের বিনিয়োগ করে ক্ষতিগ্রস্ত বেসরকারি সংস্থার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, শেয়ারবাজারের অবস্থা যেহেতু ভালো নয়, তাই তার এখন আগ্রহ 'বাজি'র দিকে। তার ভাষায় 'এটি বিনা পুঁজির' বিজনেস। এক সাবেক ক্রিকেটারের মাধ্যমে তিনি জড়িয়ে পড়েছেন এই বিনা পুঁজির ব্যবসায়। সাহেববাজার এলাকার মিলন নামের এক তরুণ জানান, লেখাপড়ার পাশাপাশি তিনি শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করেছেন। গত ডিসেম্বরে শেয়ারবাজারের চড়াই-উৎরাইয়ের পর বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সময় ঝুঁকে পড়েন বাজির দিকে। আইপিএল শুরু হওয়ার পর এখন পুরোপুরি ঝুঁকে পড়েছেন ক্রিকেট বাজিতে। সংশ্লিষ্টরা জানান, মঙ্গলবার দিলি্ল ডেয়ারডেভিলস বনাম ডেকান চার্জাসের খেলায় বাজির দর ওঠে এক হাজার টাকার বিপরীতে দেড় হাজার টাকা। পরের খেলা ব্যাঙ্গালুরু বনাম রাজস্থানের মধ্যকার বাজির দর ওঠে এক হাজারের বিপরীতে ১ হাজার ৬০০ টাকা। প্রতিটি খেলায় এ ধরনের বাজি উঠছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন বলেন, এ ধরনের বাজির কোনো খবর তার জানা নেই। থানায় এ ধরনের কোনো অভিযোগও কেউ করেননি।

কৈ কোরাল

মাছটির নাম 'কৈ কোরাল'। দিনকয়েক আগে ৩২০ কেজি ওজনের এ মাছটি ধরা পড়ে উপকূলের জেলেদের জালে। চট্টগ্রামের কাজির দেউরি বাজারে মাছটি নিলামে কেনেন ব্যবসায়ী আলী মিন্টু। আজ মাছটি কেটে বিক্রির ঘোষণা দেন তিনি। দাম নির্ধারণ করেন প্রতি কেজি ৬০০ টাকা। তিনি জানান, মাছ কাটার আগেই অর্ধেক বিক্রি হয়ে গেছে

গেইলের সিদ্ধান্তে অবাক বোর্ড

ক্রিস গেইল খেলছেন না পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টেস্ট সিরিজে। আইপিএল খেলতে তিনি ভারতে পাড়ি জমাচ্ছেন। রয়াল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে খেলতে আসছেন তিনি। এ খবরে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেতে পারেন আফ্রিদি। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না ক্রিস গেইলের সিদ্ধান্ত। পাকিস্তানের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে এবং দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য ক্রিস গেইলকে তাদের খুব প্রয়োজন ছিল। কিন্তু ক্রিস গেইল রয়াল চ্যালেঞ্জার্সের ডার্ক ন্যানসের পরিবর্তে খেলতে আসছেন। দেশের ওপর আইপিএলকে গুরুত্ব দেওয়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড অবাক হয়েছে। তবে তার পথে বোর্ড বাধা হয়ে দাঁড়াবে না বলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, 'গেইল যে কারণ দেখিয়ে নিজেকে বর্তমান সিরিজের জন্য অনুপস্থিত বলে ঘোষণা করেছেন বোর্ড কখনোই তা গ্রহণ করবে না। কিন্তু তিনি যদি তার পছন্দ ইতোমধ্যেই নির্ধারণ করে থাকেন তবে বোর্ড তার পথে বাধা হয়েও দাঁড়াবে না।' কিন্তু ক্রিকেট বোর্ড মনে করছে, একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ক্রিস গেইলের উচিত ছিল দেশের পাশে থাকা। বিশেষ করে ডোয়াইন ব্রাভো এবং কিরন পোলার্ড যখন নিজেদের সিরিজ থেকে সরিয়ে নিয়েছেন তখন গেইলের আঘাতটা খুব বড় হয়েই দেখা দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের কাছে। ক্রিস গেইল কি তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবেন দেশের স্বার্থে? বোর্ড অবশ্য কোনো কিছু পরিবর্তনের কথা বলছে না। কিন্তু দেশের কথা চিন্তা করে গেইল তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতেও পারেন। এখন দেখা যাক, গেইলের কাছে অর্থই বড় হয়ে দেখা দেয় নাকি দেশ!

চিফ সিলেক্টরের তালিকায় বাদশা

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড নতুন মুখের সন্ধানে নেমেছে। জেমি সিডন্সের চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় নতুন কোচ খুঁজে বেড়াচ্ছে বোর্ড। অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক কোনো ক্রিকেটার নতুন কোচের দায়িত্ব পেতে পারেন। তবে এ মুহূর্তে বিদেশি কাউকে না পেলে আপাতত দেশি কাউকে কোচের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। এক্ষেত্রে খালেদ মাহমুদ সুজন ও মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর নামই জোরেশোরে উচ্চারিত হচ্ছে। বেসরকারি এক চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সুজন বলেছেন, কোচ হতে তার কোনো আপত্তি নেই। তবে বোর্ড তাকে দায়িত্ব দিতে চাইলে কিছু শর্ত জুড়ে দেবেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্র জানিয়েছে, চুক্তির মেয়াদ দীর্ঘমেয়াদি না হলে সুজন কোচের অফার পেলে তা প্রত্যাখ্যান করবেন।
এ তো গেল কোচের কথা। জাতীয় দলের সিলেকশন কমিটির মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। পুরোপুরিভাবে এ কমিটি ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আগের কমিটির চিফ সিলেক্টর রফিকুল আলম ও তার সহযোগী জাহিদ রাজ্জাক মাসুমের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ যে বাড়ানো হচ্ছে না তা নিশ্চিত। অবশ্য অন্য সদস্য আকরাম খানের সঙ্গে নতুন করে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে। রফিকুল আলমের পরিবর্তে আকরামকে প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব দেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। বোর্ডের মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসও এ ধরনের আভাস দিয়েছেন। আকরামের সহযোগী হিসেবে সাবেক তিন অধিনায়ক নাইমুর রহমান দুর্জয়, খালেদ মাসুদ পাইলট ও হাবিবুল বাশারের নামও শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু বোর্ডের বেশ ক'জন পরিচালকের আপত্তির কারণে আকরাম খানকে প্রধান নির্বাচক পদে না রাখার সম্ভাবনার কথাও শোনা যাচ্ছে। কথা হচ্ছে, আকরাম যদি চিফ সিলেক্টরের দায়িত্ব না পান তাহলে কি তিনি তার জুনিয়র কারও নেতৃত্ব মেনে নেবেন? এ ব্যাপারে আকরাম সাংবাদিকদের কাছে মন্তব্য না করলেও তার এক ঘনিষ্ঠজন জানিয়েছেন, চিফ না হলে আকরামের সিলেকশন কমিটিতে থাকার প্রশ্নই ওঠে না। এদিকে বিসিবির দায়িত্বশীল এক সূত্র জানিয়েছে, তারা চিফ সিলেক্টর পদে আরও সিনিয়র কাউকে খুঁজছেন। ইতোমধ্যে আশির দশকে জাতীয় দলের ক্রিকেটার জাহাঙ্গীর শাহ বাদশার সঙ্গে বোর্ড সভাপতি আলাপও করেছেন। বাদশাকে নিয়ে বোর্ড পরিচালকদের মাঝে মতানৈক্য রয়েছে। কেননা দীর্ঘদিন ধরেই তিনি ক্রিকেটের একেবারে বাইরে। অন্য সাবেকরা নিয়মিত খেলা দেখতে মাঠে হাজির হলেও তাকে মাঠে দেখা যায় না। বিশেষ করে জাতীয় দলের বর্তমান অনেক ক্রিকেটারই বাদশা যে ক্রিকেটার ছিলেন তা জানেনই না। এ ধরনের ক্রিকেট-বিচ্ছিন্ন এক লোককে দায়িত্ব দেওয়া ঠিক হবে না বলে বেশ ক'জন পরিচালকই বোর্ড সভাপতির কাছে সুপারিশ করেছেন। আর কমিটিতে সহযোগী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে এক পাইলট ছাড়া বোর্ড নাকি কারও সঙ্গে আলাপই করেনি। অর্থাৎ নতুন কমিটিতে পাইলট যে থাকছেন তা অনেকটা নিশ্চিতই বলা যায়।

এবার রানী মুখার্জি

বর্তমানে জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে অভিনেত্রীদের তুলনায় কোনো অংশে কম যান না বলিউডের আইটেম গার্লরা। ইতোমধ্যে এ রকম চরিত্রে অভিনয় করে খ্যাতির শীর্ষে পেঁৗছে গেছেন ইয়ানা গুপ্তা, মালাইকা অরোরা এমনকি ক্যাটরিনা কাইফও। এবার এ দলে যোগ দিতে যাচ্ছেন রানী মুখার্জি। হাউজফুল ছবির পরবর্তী সিকুয়েলে আইটেম গার্ল হিসেবে দেখা যাবে রানীকে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, এ রকম চরিত্রে কখনই অভিনয় করিনি। চেষ্টা করব নিজের সেরাটা উপহার দিতে।

হাজার টাকার নোট নিয়ে...

এক হাজার টাকার নোট নিয়ে ব্যাংকপাড়ায় চলছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। গত ডিসেম্বর থেকেই এই নোটের সংকট শুরু। শেয়ার কেলেঙ্কারির ঘটনার পরপরই ব্যাংকে ও মুদ্রাবাজারে এক হাজার টাকার নোটের স্বল্পতাও লক্ষ্য করা গেছে। ফলে খোদ কেন্দ্রীয় ব্যাংকও বিষয়টি নিয়ে ভাবনায়। এ পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মুরশিদ কুলী খান।
বৈঠকের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বাজারে এক হাজার টাকার নোটের স্বল্পতা সংশ্লিষ্ট সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে। হঠাৎ করে এই সংকটে উদ্বেগও প্রকাশ করেন অনেকে। তবে বৈঠকে উপস্থিত প্রায় সবাইই মনে করছেন, শেয়ারবাজারের সঙ্গে এর একটি যোগসূত্র আছে। নোটগুলো ব্যাংকে বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিবর্তে ব্যক্তির হাতে সঞ্চিত থাকতে পারে বলেও বৈঠকে অভিমত ব্যক্ত করা হয়। সে কারণে এই নোটগুলো আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ফিরিয়ে আনার উপায় বের করা অথবা একেবারে বাজার থেকে তুলে নেওয়া যায় কি না, তা ভাবা হচ্ছে। এই নোটটি বাজার থেকে তুলে নেওয়ার পক্ষেই বৈঠকে উপস্থিত অনেকে মত দেন। এক সপ্তাহের মধ্যে এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে সূত্র জানায়।

জুলাইতে ১২ হাজার টাকায় দেশি ল্যাপটপ, উৎপাদন আগামী মাসে

জুলাইতেই কম দামে ল্যাপটপ ছাড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেলিফোন শিল্প সংস্থা (টেশিস)। এ লক্ষ্যে আগামী মাসে উৎপাদন শুরু করতে যাচ্ছে সংস্থাটি। টেশিস প্রতিমাসে ১০ হাজার ল্যাপটপ উৎপাদন করবে। তিন মডেলের ল্যাপটপের দাম হবে যথাক্রমে ১২, ১৮ ও ২৭ হাজার টাকা।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু গতকাল এ তথ্য জানিয়েছেন। সংসদ ভবনে কমিটির বৈঠক শেষে তিনি আরও জানান, মোবাইল ফোনসেট, সিমকার্ড ও ইন্টারনেট গ্রাহকদের উপর ভ্যাট কমানোর সুপারিশ করা হয়েছে। ইনু বলেন, ইন্টারনেট গ্রাহকরা ১৫ শতাংশ ভ্যাট দেন। এক্ষেত্রে তাদের ছাড় দেওয়া হলে ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়বে। অন্যদিকে মোবাইল ফোনের ব্যবহার বাড়লে সরকারের রাজস্ব আয়ও বাড়বে। এ কারণেই আসন্ন বাজেটে সিমকার্ড ও হ্যান্ডসেটের ওপর ভ্যাট কমানোর সুপারিশ করেছে কমিটি।