Wednesday, April 6, 2011

বলিউডে আবারও মুন্নিঝড়

দাবাং চলচ্চিত্রের 'মুনি্ন বাদনাম হুয়ি...' গানটির বদৌলতে আইটেম গার্ল হিসেবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পেঁৗছেছেন মালাইকা অরোরা। খুব শীঘ্রই আবারও তাকে ঝড় তুলতে দেখা যাবে বলিউডে। ইতোমধ্যে দাবাংয়ের পরবর্তী সিকিউয়েল তৈরির প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ছবিটির প্রযোজক আরবাজ খান বলেছেন, দর্শকদের কথা চিন্তা করে আইটেম গার্ল চরিত্রে মালাইকাকেই নেওয়া হয়েছে। আরও একবার মুনি্নঝড় তুলতে চাই।

খেলবেন না মাশরাফি?

নিয়তি, নাকি অদৃষ্টের অবিচার? ফিজিও ‘আনফিট’ বলে দেওয়ায় বিশ্বকাপের দলে ছিলেন না। মাঝখানে চলে গেছে প্রায় দুই মাস। এখন যখন অস্ট্রেলিয়া সিরিজের দলে সুযোগ পেলেন, এবার নিজেকে নিজেরই মনে হচ্ছে ‘আনফিট’! অস্ট্রেলিয়া সিরিজের দল থেকে তাই সরে দাঁড়ানোর চিন্তা করছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। শুধু এই সিরিজই নয়। শিগগিরই হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করাবেন বলে ২০১১ সালটাই বোধহয় হারিয়ে যাচ্ছে তাঁর ক্যারিয়ার থেকে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, অস্ট্রেলিয়া সিরিজে না খেলার সিদ্ধান্ত একরকম নিয়েই ফেলেছেন মাশরাফি। অনুশীলনে দুর্বল বোধ করছেন। লাইন-লেংথে খুব একটা সমস্যা না হলেও বোলিংয়ে পাচ্ছেন না পূর্ণ গতি। এ অবস্থায় দলে থেকে যাওয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে নামা উচিত হবে কি না, তা নিয়ে খোদ মাশরাফিই দ্বিধাদ্বন্দ্বে। স্ট্যান্ডবাই বোলার নাজমুল হোসেনকে তাই নিজ থেকেই বলেছেন খেলার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে। কথা বলেছেন কোচ জেমি সিডন্সের সঙ্গেও। সব শুনে এবং অনুশীলনে মাশরাফির অবস্থা দেখে কোচ তাঁকে বলেছেন, সমস্যা মনে করলে দল থেকে সরে যাওয়াই ভালো। আর যদি মাশরাফি আত্মবিশ্বাসী থাকেন, এসব সমস্যা কাটিয়ে উঠে খেলা সম্ভব, তাহলে দলে থাকতে পারেন। তবে সিদ্ধান্ত যেটাই হোক, সেটা মাশরাফিকেই নিতে বলেছেন সিডন্স। খেলতে চাইলে দল তাঁকে স্বাগত জানাবে, খেলতে না চাইলে বিকল্প ভাববে। এর আগে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের সঙ্গেও এসব নিয়ে কথা হয়েছে মাশরাফির।
অস্ট্রেলিয়া সিরিজের দলে ডাক পাওয়ার পর মাশরাফি বোর্ডকে জানিয়েছিলেন, পুরোপুরি ফিট না হলে তিনি সিরিজটা খেলবেন না। গত ২৯ মার্চ থেকে দলের সঙ্গে অনুশীলন করে এবং দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে ফিটনেসের সমস্যাটা ধরতে পারছেন নিজেই। প্রায় দেড় মাস ধরে ফিটনেস ট্রেনিংয়ের বাইরে, শারীরিক শক্তি তাই পুরোপুরি পাচ্ছেন না। বিশেষ করে বোলিংয়ের সময় ডান হাঁটুতে শক্তি পাচ্ছেন কম, এক ধরনের শব্দও হচ্ছে। এই হাঁটুর ইনজুরির কারণেই বিশ্বকাপে খেলা হয়নি মাশরাফির।
এ অবস্থায় অনুশীলন চালিয়ে গেলেও মাশরাফি আজ দলের সঙ্গে হোটেলে উঠবেন না। আগামীকাল অনুশীলনে নিজের অবস্থাটা শেষবারের মতো বুঝে অস্ট্রেলিয়া সিরিজে খেলার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। সিদ্ধান্তটা ‘না-বোধক’ হওয়ার আভাস মাশরাফির কথায়ও আছে, ‘১৩০-১৩৫ কিমি গতিতে বল করতে পারলে ভালো হতো। এখন সম্ভবত ১২৫-এর বেশি উঠছে না। একটু দুর্বলতাও অনুভব করছি। এ অবস্থায় অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের বিপক্ষে সিরিজ খেলা কঠিন। তবে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’
ফিটনেস সমস্যার সঙ্গে স্ত্রী আর নবজাতক সন্তান নিয়েও কঠিন সময় পার করছেন মাশরাফি। শারীরিকভাবে কারও অবস্থাই এখনো পুরোপুরি ভালো নয়। এ অবস্থায় পরিবারকে সময় দেওয়াটাও জরুরি। কিন্তু সিরিজ খেললে থাকতে হবে দলের সঙ্গে হোটেলে। অসুস্থ স্ত্রী-সন্তান ফেলে সেটা মানসিকভাবে কতটা স্বস্তির হবে, ভেবে দেখতে হচ্ছে সেটিও। আর যদি থাকেনও, দলকে কি দিতে পারবেন শতভাগ? সবকিছু ভেবে মাশরাফি হয়তো কালকের মধ্যেই অস্ট্রেলিয়া সিরিজ খেলার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন বোর্ডকে।
তবে একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছেন এর মধ্যেই। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে খেলুন আর না-ই খেলুন, অস্ট্রেলিয়া গিয়ে এ মাসের মধ্যেই করে ফেলবেন হাঁটুর অস্ত্রোপচার। অস্ত্রোপচারের পর পুরোপুরি সুস্থ হতে ছয় থেকে আট মাস সময় লাগবে। সে ক্ষেত্রে আগামী জুলাই-আগস্টে জিম্বাবুয়ে সফর এবং এরপর অক্টোবরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোম সিরিজটাও কাটাতে হবে মাঠের বাইরে বসে। যদি নভেম্বরের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন, এ বছর তার জন্য অবশিষ্ট থাকবে কেবল ডিসেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে হোম সিরিজ।
মাশরাফি অবশ্য সব হিসাব-নিকাশ করেই নিয়েছেন অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত, ‘অপারেশন করানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি। দু-এক দিনের মধ্যে বোর্ডকে সেটা জানাব। এ বছর খেলা একটু কম আছে, সে জন্যই চাচ্ছি সময়টা কাজে লাগাতে। এ মাসের ২০-২২ তারিখেও যদি অপারেশন করতে পারি, আশা করি, পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজটা খেলতে পারব।’
তাহলে আবার শুরু হচ্ছে মাশরাফির জন্য অপেক্ষা!

Tuesday, April 5, 2011

যুবরাজের দ্বিতীয় ইনিংস

বিশ্বকাপ জয় করে এবার নিজের জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতে যাচ্ছেন যুবরাজ সিং। সব কিছু ঠিক থাকলে খুব শীঘ্রই তাকে বিয়ের পিঁড়িতে দেখা যাবে। ছেলের বিয়ের জন্য উতলা মা শবনম। ইতোমধ্যে পাত্রী খোঁজা শুরু করেছেন তিনি। তবে পাত্রী চূড়ান্তের বিষয়টি ছেড়ে দিয়েছেন যুবরাজের ওপর। মা বলেছেন, জীবন সঙ্গিনী হিসেবে তাকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে যে আমার ছেলের ক্যারিয়ার ও ক্রিকেটকে প্রাধান্য দেবে।

প্রেমের তিন বছরে নির্ঝর-তানজিকার বিয়ে

চুটিয়ে প্রেম করার পর তিন বছর পূর্তিতে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা এনামুল করিম নির্ঝর ও অভিনেত্রী তানজিকা। রবিবার রাতে গুলশানে ঘরোয়াভাবে তাদের কাবিন হয়। এ সময় উভয় পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। এনামুল করিম নির্ঝরের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। তিন বছর আগে তানজিকার সঙ্গে মন দেওয়া-নেওয়া শুরু হলে নির্ঝর তার স্ত্রীকে তালাক দেন। রুদ্র নামে নির্ঝরের একটি সন্তানও রয়েছে। কোনো কোনো সূত্রে জানা যায়, তানজিকারও এটি দ্বিতীয় বিয়ে। দুই মাস পরে বিবাহত্তোর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে বলে নবদম্পতি জানান। বিয়ে প্রসঙ্গে তানজিকা বলেন, শুরুতেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম প্রেমের তিন বছর পূর্তিতে বিয়ে করব। বিয়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করলাম। অবশ্য নির্ঝর কিছু বলতে রাজি হননি। তানজিকা বলেন, ও আসলে একটু লাজুক স্বভাবের, বিয়ে করায় বেশি লজ্জা পাচ্ছে। তাই আপাতত কিছু বলতে পারছে না।

মেহেদি গাছে মানুষের মাথা!

অলৌকিক কত ঘটনাই না ঘটছে দেশ-বিদেশে। চোখে পড়ছে কত না অলৌকিক দৃশ্য। এবার অলৌকিক একটি ঘটনা নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় চলছে হুলুস্থুল। মেহেদি গাছে মানুষের মাথার আকৃতি। যা দেখতে অনেকটা ফুলের মতো। আর এ গাছটি উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের নরসিংহপুর গ্রামের হাজী নূরুল ইসলামের বাড়িতে। যা দেখতে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছে বহু মানুষ। এলাকাবাসী জানায়, ওই বাড়ির একটি মেহেদি গাছের ডালে আলাদা আলাদা জায়গায় ১০-১২টি মানুষের মাথার আকৃতি দেখা যাচ্ছে। গত তিন দিনে ওই গাছে মাথাগুলো ফুটে ওঠে। বাড়ির মালিক নূরুল ইসলাম বলেন, গত বুধবার সকালে মুজাহিদ (৮) নামে এক শিশু উঠানে খেলা করতে গিয়ে মেহেদি গাছের কাছে হোঁচট খেয়ে পড়ে যায়। তখন সে মেহেদি গাছের ডালে মানুষের মাথার আকৃতির ছোট আকারের কিছু ফুল দেখতে পায়। মুজাহিদ গাছের মাথাযুক্ত একটি পাতা ছিঁড়ে আমার কাছে আনে। আমি মানুষের মাথার আকৃতির ফুলটি দেখে চমকে যাই। তাৎক্ষণিক বিষয়টি আমি স্থানীয় মাদ্রাসার এক হুজুরকে জানাই। তিনি গাছের পাতা না ছিঁড়তে পরামর্শ দেন। এ ব্যাপারে চুন্টা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। নিজে দেখিনি। সুযোগ পেলে দেখে আসব।অনুসন্ধিৎসু বিজ্ঞানচক্রের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিয়াজুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, 'এটা খুবই সাধারণ ঘটনা'। 'জেনসিং' নামে এক ধরনের গাছ রয়েছে যা দেখতে হুবহু মানুষের মাথার আকৃতির। কখনো কখনো মুলাতেও মানুষের মাথার আকৃতি দেখা যায়। তিনি গ্রামবাসীকে গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানান।

প্লাস্টিকের রাস্তা

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে রাস্তা তৈরির অন্যতম উপকরণ হিসেবে ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকের পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু হয়েছে। রাজ্যে কল্যাণীর পর হুগলির চন্দননগরের একটি রাস্তাও সম্প্রতি এভাবে তৈরি করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নতুন এ পদ্ধতিতে রাস্তা তৈরির খরচ কম হবে, রাস্তার স্থায়িত্ব বাড়বে, সর্বোপরি দূষণ থেকে পরিবেশকে রক্ষা করা যাবে। ইন্ডিয়ান প্লাস্টিক ফেডারেশন এবং প্লাস্টিক ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন যৌথভাবে চন্দননগর পৌর শহরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের দুলেপাড়া মেইন রোডটিকে (৭০০ মিটার) ওই পদ্ধতিতে বানিয়েছে। খোয়া, পাথর, বিটুমিনের সঙ্গে মেশানো হয়েছে বর্জ্য প্লাস্টিকের গুঁড়ো। চন্দননগর পৌর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান অমিয় দাস বলেন, দৈনন্দিন জীবনে প্লাস্টিকের ব্যবহার বাড়ছে কিন্তু ব্যবহারের পর প্লাস্টিকের নানা জিনিস অসতর্কভাবে যত্রতত্র ফেলে দেওয়ায় পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। পরিবেশকে রক্ষা করতে ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক দিয়ে রাস্তা নির্মাণের প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়। পরীক্ষামূলক একটি রাস্তা এ পদ্ধতিতে করা হলো। এতে খরচ কম এবং রাস্তার স্থায়িত্বও বাড়বে বলে আশা করছি। পৌরসভা সূত্রের খবর, নতুন পদ্ধতিতে তৈরি রাস্তাটির স্থায়িত্ব আগের থেকে ভালো হলে পরবর্তী সময়ে চন্দননগরের সব রাস্তা এ প্রযুক্তিতে তৈরি করা হবে। ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর প্লাস্টিকস ইন দ্য এনভায়রনমেন্টের সিনিয়র টেকনিক্যাল ম্যানেজার তুষারকান্তি বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পরিবেশ বাঁচাতে ফেলে দেওয়া প্লাস্টিককে কিভাবে কাজে লাগানো যায় তার জন্য ভারতীয় বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন। তারা দেখেছেন, বর্জ্য প্লাস্টিক গুঁড়ো করে বিটুমিনের সঙ্গে মিশিয়ে রাস্তা তৈরি করা হলে সেই রাস্তার স্থায়িত্ব বাড়বে, গরমে রাস্তার পিচ গলে যাবে না। সর্বোপরি রাস্তা তৈরির খরচ কমে যাবে। তিনি বলেন, এক কিলোমিটার রাস্তা তৈরিতে ১ টন প্লাস্টিক গুঁড়ো লাগে। নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় বিটুমিনের সঙ্গে প্লাস্টিকের গুঁড়োর মিশ্রণ তৈরি করা হয়। তামিলনাড়ু, কর্নাটক, মুম্বাই, দিলি্লতে এ ধরনের রাস্তা আছে। এর আগে পশ্চিমবঙ্গেও এমন রাস্তা হয়েছে কল্যাণীতে

টাকার পাহাড়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা

টাকার সাগরে ভাসছে ভারতীয় ক্রিকেটাররা। এমনিতেই তাদের অর্থের শেষ ছিল না। তারপর আবার বিশ্বকাপ জয়ের পর ধোনিদের জন্য কত যে পুরস্কার ঘোষণা করা হচ্ছে তার কোনো হিসাব নেই। শনিবার শিরোপা নিশ্চিত করার পরই মাঠে প্রত্যেক ক্রিকেটারের জন্য ১ কোটি রুপির নগদ অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়। ব্যবসায়ীরাও থেমে থাকছেন না তারাও ধোনিদের হাতে নগদ অর্থের পুরস্কার তুলে দিতে চাচ্ছেন।
বিখ্যাত টাটা কোম্পানি কিছুদিনের মধ্যে ক্রিকেটারদের সংবর্ধনার আয়োজন করবে। তাও আবার দেশ ছাড়িয়ে সুদূর লস এঞ্জেলসে। আগামী মাসেই ক্রিকেটারদের পরিবার-পরিজন নিয়ে লস এঞ্জেলসে উড়ে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছে টাটা গ্রুপ। ধোনিদের কত টাকার অর্থ তুলে দেওয়া হবে তা জানা না গেলেও ভারতীয় এক বার্তা সংস্থা ধারণা করছে টাটা গ্রুপ প্রত্যেক ক্রিকেটারের জন্য ৫ কোটি রুপি করে তুলে দিতে পারে। অন্য ব্যবসায়ীরাও অর্থ, গাড়ি, এমনকি তৈরি করা বাড়িও তুলে দেবেন বিশ্বজয়ীদের হাতে। এদিকে আবার বিজ্ঞাপন সংস্থাগুলো বসে নেই। তারাও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মডেল হওয়ার জন্য ক্রিকেটারদের অফার দিতে শুরু করেছে। মডেলে পারিশ্রমিকের দিক দিয়ে বলিউড তারকারা এগিয়ে ছিলেন। বিশ্ব জয়ের পর ধোনিরা তাদের অনেক পেছনে ফেলে দিয়েছে। কেননা দলে নিয়মিত না খেলার পরও ইউসুফ পাঠান ও শ্রীশান্তকে এক কোম্পানিই মডেলের জন্য ৫ কোটি রুপির অফার দিয়েছে। সেক্ষেত্রে শচীন, ধোনি, শেবাগ মানের খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক কতো হবে তা কি কেউ ভেবে দেখেছে!

Sunday, April 3, 2011

নেওয়ার কথা ২৭০০ নিচ্ছে ৮০০০ টাকা!

রাজশাহীর চারটি কলেজ এবার অনার্সে (স্নাতক) ভর্তির অনুমোদন পেয়েছে। এ সব কলেজে ভর্তি করা হয়েছে ৬০০ শিক্ষার্থী। অভিযোগ উঠেছে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত ৩৬ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, অতিরিক্ত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দেওয়ার জন্য এই অর্থ আদায় করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ, দুর্গাপুরের দাওকান্দি ডিগ্রি কলেজ, মোহনপুরের মোহনপুর ডিগ্রি কলেজ ও নগরীর কোর্ট ডিগ্রি কলেজে অনার্স কোর্স চালুর অনুমোদন দেয়। অনুমোদন দেওয়ার সময় ভর্তি ফি, সেশন ফি, স্কাউটস ফি, রেজিস্ট্রেশন ফিসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক ফি বাবদ প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে বার্ষিক সর্বোচ্চ ২ হাজার ৭০০ টাকা আদায় করা যাবে বলে নিয়ম বেধে দেয়। অভিযোগ উঠেছে, এ নিয়ম উপেক্ষা করে চারটি কলেজে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে সর্বনিম্ন ৮ হাজার টাকা করে আদায় করেছে। জানা গেছে, ভবানীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে এ বছর অনার্সে ৪টি বিষয়ে ২০০ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে। ভর্তির সময় তাদের কাছ থেকে আদায় করা হয়েছে ৮ হাজার ৭০০ টাকা করে। এর মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত ফি আদায় করা হয়েছে ২ হাজার ৭০০ টাকা। বাকি ৬ হাজার টাকা করে আদায় করা হয়েছে কলেজের শিক্ষকদের অতিরিক্ত বেতন পরিশোধ করতে। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, অনার্স বিষয়ের জন্য আলাদা কোনো শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়নি। কলেজের শিক্ষকরা তাদের নির্ধারিত ক্লাসের বাইরে অনার্সের ক্লাস নেবেন। তাদের বাড়তি পরিশ্রমের জন্য অতিরিক্ত এই টাকা আদায় করা হয়েছে। দাওকান্দি ডিগ্রি কলেজে অনার্সের ৩টি বিষয়ে ১৫০ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে নেওয়ার কথা ৪ লাখ ৫ হাজার টাকা। কিন্তু আদায় করা হয়েছে ১৩ লাখ ৫ হাজার টাকা। এ ব্যাপারে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হোসেন দাবি করেছেন, কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হয়েছে। অন্য দুটি কলেজেও অতিরিক্ত হারে ফি নেওয়া হয়েছে।

আশরাফুলের এনার্জি প্রডিউসার ফ্যান

বাংলাদেশের বিদ্যুতের ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর থানার সিংজুরী ইউনিয়নের মুকুন্দপুর গ্রামের দেওয়ান মো. শওকত ওসমানের ছেলে ডি এম আশরাফুল আলম তার ভগ্নীপতি দেওয়ান মো. ফরিদ উদ্দিনের সহায়তায় দীর্ঘদিন গবেষণার পর মো. আবুল হোসেন, মো. বাবুল হোসেন এবং আ. ছাত্তার নামের ৩ জনকে নিয়ে কাজ করে আবিষ্কার করলেন এনার্জি প্রডিউসার ফ্যান (ইপিএফ)। এই ফ্যান দেখতে সাধারণ ফ্যানের মতোই। এই ফ্যান তৈরিতে তিনি ব্যবহার করেছেন ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স, কেমিক্যাল এবং নিজের তৈরি কয়েকটি মেকানিক্যাল সূত্র। এসব ফ্যান বাইরের কোনো বিদ্যুৎ ছাড়াই দুটি বাল্ব জ্বালাতে সক্ষম। তবে এর জন্য ফ্যানগুলো চালাতে কোনো অতিরিক্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হয় না। অর্থাৎ বাল্ব দুটি জ্বালাতে যে বিদ্যুতের প্রয়োজন তা এই ফ্যান থেকেই উৎপন্ন হয়। শুধু তাই নয়, এই ফ্যানে রয়েছে বিদ্যুৎ সঞ্চয় রাখার ব্যবস্থা। অর্থাৎ যখন আমাদের বাল্ব জ্বালানোর কোনো প্রয়োজন হবে না তখন ওই বন্ধ থাকা বাল্বের বিদ্যুৎ সঞ্চয় হতে থাকবে এবং পরে যখন বিদ্যুৎ থাকবে না তখন এই সঞ্চিত বিদ্যুৎ থেকেই একঘণ্টা পর্যন্ত দুটি বাল্ব অথবা একটি বাল্ব জ্বলবে এবং একটি ফ্যান চলবে। তাই এখন যেসব ফ্যান ব্যবহার করা হচ্ছে এর পরিবর্তে যদি আমরা এই এনার্জি প্রডিউসার ফ্যান (ইপিএফ) ব্যবহার করি তবে শীতের সময়ের মতো গরমের সময়েও বিদ্যুতের ঘাটতি কম থাকবে বলে তিনি মনে করেন। এখানে উল্লেখ্য, তিনি দীর্ঘ ৫ বছর যাবৎ নিজের আবিষ্কৃত এনার্জি স্টেপ-আপ ডিভাইস (ইএসইউডি) নামের একটি যন্ত্র নিয়ে গবেষণা করছেন। আর এর সফলতার জন্য তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। যন্ত্রটি তৈরি করতে তিনি বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল, বিজ্ঞানী ডেনিয়েল এবং নিজের আবিষ্কৃত কয়েকটি মেকানিক্যাল সূত্র ব্যবহার করেন। এই ডিভাইসটির কাজ হচ্ছে ইনপুট বিদ্যুৎ শক্তিকে বহুগুণে বৃদ্ধি করে আউটপুট করা। তিনি বলেন, এর কাজ সফলতার সঙ্গে শেষ হওয়ার পর যদি ডিভাইসটি ছোট বড় সব মিল-কারখানা, মার্কেট এবং অ্যাপার্টমেন্টে ব্যবহার করা হয়, তবে বিদ্যুৎ খরচ শতকরা ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ কমে আসবে। অর্থাৎ এখন যেখানে ১০০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হচ্ছে সেখানে মাত্র ১৫ থেকে ২০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করলেই চলবে। ফলে সাশ্রয় হবে ৮০ থেকে ৮৫ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ। যা দিয়ে আরও ছোটখাটো কারখানা চালানো সম্ভব। শুধু তাই নয়, এ ডিভাইসে থাকবে ব্যাকআপ ক্ষমতা। অর্থাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলে এটি ৬০ থেকে ৯০ মিনিট পর্যন্ত ব্যাকআপ দেবে। ফলে লোডশেডিংয়েও কোনো ভোগান্তির শিকার হতে হবে না। ডিভাইসটি দেশের বিদ্যুৎ ঘাটতি পূরণ করতে এক যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা করেন।
বাংলাদেশের বিদ্যুতের সমস্যা দূর করতে তিনি যে প্রযুক্তির উদ্ভাবন করেছেন তার পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করতে তিনি সরকারি-বেসরকারিভাবে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।

কোন প্রাণী কতদিন বাঁচে

প্রাণীর নাম আয়ু
মানুষ : ১১৪ বছর
গরিলা : ৩৯.৩ বছর
বাঘ : ৩১.১০ বছর
কচ্ছপ (টরটয়েড) : ১১৬ বছর
কাছিম (টার্টল) : ৫০০ বছর
তিমি : ৮৭ বছর
কন্ডুর শকুন : ৭২ বছর
দাঁড়কাক : ৬৯ বছর
স্বাদু পানির মুসেল : ৬০ বছর
গন্ডার : ৪০ বছর
নোয়া জাতের অজগর :৩৯ বছর
পায়রা : ৩৫ বছর
ফিতাকৃমি বা টেপওয়াম : ৩৫ বছর
হাতি : ৭০ বছর