ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে রাস্তা তৈরির অন্যতম উপকরণ হিসেবে ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকের পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু হয়েছে। রাজ্যে কল্যাণীর পর হুগলির চন্দননগরের একটি রাস্তাও সম্প্রতি এভাবে তৈরি করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নতুন এ পদ্ধতিতে রাস্তা তৈরির খরচ কম হবে, রাস্তার স্থায়িত্ব বাড়বে, সর্বোপরি দূষণ থেকে পরিবেশকে রক্ষা করা যাবে। ইন্ডিয়ান প্লাস্টিক ফেডারেশন এবং প্লাস্টিক ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন যৌথভাবে চন্দননগর পৌর শহরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের দুলেপাড়া মেইন রোডটিকে (৭০০ মিটার) ওই পদ্ধতিতে বানিয়েছে। খোয়া, পাথর, বিটুমিনের সঙ্গে মেশানো হয়েছে বর্জ্য প্লাস্টিকের গুঁড়ো। চন্দননগর পৌর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান অমিয় দাস বলেন, দৈনন্দিন জীবনে প্লাস্টিকের ব্যবহার বাড়ছে কিন্তু ব্যবহারের পর প্লাস্টিকের নানা জিনিস অসতর্কভাবে যত্রতত্র ফেলে দেওয়ায় পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। পরিবেশকে রক্ষা করতে ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক দিয়ে রাস্তা নির্মাণের প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়। পরীক্ষামূলক একটি রাস্তা এ পদ্ধতিতে করা হলো। এতে খরচ কম এবং রাস্তার স্থায়িত্বও বাড়বে বলে আশা করছি। পৌরসভা সূত্রের খবর, নতুন পদ্ধতিতে তৈরি রাস্তাটির স্থায়িত্ব আগের থেকে ভালো হলে পরবর্তী সময়ে চন্দননগরের সব রাস্তা এ প্রযুক্তিতে তৈরি করা হবে। ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর প্লাস্টিকস ইন দ্য এনভায়রনমেন্টের সিনিয়র টেকনিক্যাল ম্যানেজার তুষারকান্তি বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পরিবেশ বাঁচাতে ফেলে দেওয়া প্লাস্টিককে কিভাবে কাজে লাগানো যায় তার জন্য ভারতীয় বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন। তারা দেখেছেন, বর্জ্য প্লাস্টিক গুঁড়ো করে বিটুমিনের সঙ্গে মিশিয়ে রাস্তা তৈরি করা হলে সেই রাস্তার স্থায়িত্ব বাড়বে, গরমে রাস্তার পিচ গলে যাবে না। সর্বোপরি রাস্তা তৈরির খরচ কমে যাবে। তিনি বলেন, এক কিলোমিটার রাস্তা তৈরিতে ১ টন প্লাস্টিক গুঁড়ো লাগে। নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় বিটুমিনের সঙ্গে প্লাস্টিকের গুঁড়োর মিশ্রণ তৈরি করা হয়। তামিলনাড়ু, কর্নাটক, মুম্বাই, দিলি্লতে এ ধরনের রাস্তা আছে। এর আগে পশ্চিমবঙ্গেও এমন রাস্তা হয়েছে কল্যাণীতে
No comments:
Post a Comment