Friday, August 27, 2010

মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি

মডেল টেস্ট-১  অংশ-৪
মেডিকেল কলেজে ভর্তিচ্ছু প্রিয় শিক্ষার্থীরা, গতকালের পর আজ মডেল টেস্টটির ৪র্থ অংশ ছাপা হলো।
১৭। সন্নিবেশ সংখ্যা কাকে বলে?
ক. কঠিন অবস্থার রসায়নে দ্বিমাত্রিকভাবে একটি পরমাণুর পাশে যতটি পরমাণু আছে, তাকে ওই পরমাণুর সন্নিবেশ সংখ্যা বলে।
খ. কঠিন অবস্থার রসায়নে একমাত্রিকভাবে যতটি পরমাণুর পাশে যতটি অণু আছে, তাকে বলে ওই পরমাণুর সন্নিবেশ সংখ্যা।
গ. কঠিন অবস্থার রসায়নে ত্রিমাত্রিকভাবে একটি পরমাণুর সঙ্গে যতটি পরমাণু থাকে, ওই পরমাণু সংখ্যাকে সে পরমাণুর সন্নিবেশ সংখ্যা বলে।
ঘ. কঠিন অবস্থার রসায়নে পঞ্চম মাত্রিকভাবে পাঁচটি পরমাণুর সঙ্গে যতটি পরমাণু থাকে, ওই পরমাণু সংখ্যাকে সে পরমাণুর সন্নিবেশ সংখ্যা বলে।
১৮। কোনটি ডট গুণন? এর অপর নাম কী?
ক. দুটি ভেকটরের গুণফল যদি একটি স্কেলার রাশি হয়, তবে এই গুণফলকে স্কেলার গুণন বা ডট গুণন বলে। ডট গুণনের অপর নাম স্কেলার গুণন।
খ. দুটি ভেকটরের গুণফল যদি একটি পূর্ণ সংখ্যা হয়, তবে এই গুণফলকে স্কেলার গুণন বা ডট গুণন বলে। ডট গুণনের অপর নাম স্কেলার গুণন।
গ. তিনটি ভেকটরের গুণফল যদি তিনটি পূর্ণ সংখ্যা হয়, তবে এই গুণফলকে স্কেলার বা ডট গুণন বলে। ডট গুণনের অপর নাম স্কেলার গুণন।
ঘ. চারটি ভেকটরের গুণফল যদি তিনটি পূর্ণ সংখ্যা হয়, তবে এই গুণফলকে স্কেলার বা ডট গুণফল বলে।
ডট গুণনের অপর নাম ভেকটর গুণন।
১৯। শূন্যস্থানটি পূরণ করো।
She—into tears (burst).
ক. She burst into tears.
খ. She bursted into tears.
গ. She had burst into tears.
ঘ. She bursting into tears.
২০। নিচের কোন তথ্যটি সঠিক নয়?
ক. He is sure for success.
খ. She was ordered to be hung.
গ. She has done a mistake.
ঘ. Please wait until I come back.
২১। নাসিকার কাজ কী?
(ক) প্রশ্বাস বায়ু প্রবেশে সাহায্য করে। (খ) প্রশ্বাস বাতাসে যেসব ধূলিকণা বা রোগজীবাণু থাকে, সেই ধুলাবালিকে লোম ও শ্লেষ্মাঝিল্লি ছাঁকনির মতো করে ছাঁকতে সাহায্য করে।
(গ) নাসাপথ অতিক্রমকারী বাতাস কিছুটা গরম ও আর্দ্র হয়ে ফুসফুসে ঢুকে যায়। (ঘ) স্বরতন্ত্রী কাঁপার জন্য স্বরের সৃষ্টি হয়।
২২। কোনটি পেশিকলার সাধারণ বৈশিষ্ট্য নয়?
(ক) এই কলার কোষগুলো লম্বা সুতার মতো
(খ) কোষগুলোতে সুস্পষ্ট নিউক্লিয়াস রয়েছে
(গ) পেশিকলার প্রায় ৩ শতাংশ পানি
(ঘ) সারকোপ্লাজমের মধ্যে পরস্পর সমান্তরালভাবে মাইয়োফিব্রিল নামে অনেকগুলো উপতন্তু রয়েছে।
২৩। মিউকোষা থেকে ভিলাই নামের আঙুলের মতো কিছু অভিক্ষেপ বের হয়। কোথা থেকে এই অভিক্ষেপ বের হয়?
(ক) পাকস্থলীর কলাস্থান থেকে (খ) ক্ষুদ্রান্তের কলাস্থান থেকে (গ) বৃক্কের মিউকোষা থেকে
(ঘ) বৃক্ক নালিকা থেকে।

মডেল টেস্ট-১: অংশ-৪ সঠিক উত্তর: ১৭. গ ১৮. ক ১৯. খ ২০. ক ২১. ঘ ২২. গ ২৩. খ।

রাশিফল

কন্যা আজকের এই তারিখে জন্মগ্রহণ করায় পাশ্চাত্য মতে আপনি কন্যা রাশির জাতক-জাতিকা। আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যা ৫ ও ৯। গুরুত্বপূর্ণ দিন মঙ্গল ও বুধবার। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আপনার রাশিতে আজকের পূর্বাভাস


মেষ

মেষ (২১ মার্চ—২০ এপ্রিল)

শিক্ষা ক্ষেত্রে কারও কারও বৃত্তি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। প্রিয়জনের কাছ থেকে পছন্দের জিনিস উপহার পেতে পারেন। কোনো আইনি সমস্যার সমাধান হতে পারে। প্রেমের বিয়েতে অভিভাবকের সম্মতি পাবেন।

বৃষ

বৃষ (২১ এপ্রিল—২১ মে)

বৈদেশিক বাণিজ্যে শুভ যোগাযোগ ঘটতে পারে। বেকারদের কেউ কেউ আজ নতুন কাজের সন্ধান পাবেন। পাওনা আদায়ে তত্পর হোন। চাকরিতে শুভ পরিবর্তনের সম্ভাবনা আছে। রাজনৈতিক তত্পরতা শুভ।

মিথুন

মিথুন (২২ মে—২১ জুন)

ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে তেজীভাব বিরাজ করবে। পাওনা আদায় করতে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে পারেন। যৌথ বিনিয়োগ শুভ। প্রেমের ক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বীর আবির্ভাব ঘটতে পারে। দূরের যাত্রা শুভ।

কর্কট

কর্কট (২২ জুন—২২ জুলাই)

সৃজনশীল কাজের জন্য প্রশংসিত হবেন। ব্যবসায়িক লেনদেনে আপনার স্বার্থ অক্ষুণ্ন থাকবে। প্রতিবেশীর সঙ্গে বিরোধের অবসান হতে পারে। পরকীয়ার অপবাদ ঘুচবে। আজ আকস্মিকভাবে অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাবনা আছে।

সিংহ

সিংহ (২৩ জুলাই—২৩ আগস্ট)

ব্যবসায়িক লেনদেনে আপনার স্বার্থ অক্ষুণ্ন থাকবে। বেকারদের কারও কারও কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা আছে। আপনি একজন সংগীতশিল্পী হয়ে থাকলে আজ এ ক্ষেত্রে সম্মাননা পেতে পারেন। দূরের যাত্রা শুভ।

কন্যা

কন্যা (২৪ আগস্ট—২৩ সেপ্টেম্বর)

বেকারদের কারও কারও ব্যবসায়িক উদ্যোগ ফলপ্রসূ হতে পারে। যৌথ কাজে সাফল্যের সম্ভাবনা আছে। কোনো ঘনিষ্ঠ বন্ধুর কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা পেতে পারেন। প্রেমের বিয়েতে অভিভাবকের সম্মতি পাবেন।

তুলা

তুলা (২৪ সেপ্টেম্বর—২৩ অক্টোবর)

কর্মস্থলে কারও প্ররোচনায় ভুল সিদ্ধান্ত গৃহীত হতে পারে। নতুন চাকরিতে প্রশিক্ষণের সুযোগ আসতে পারে। আজ আপনার অর্থভাগ্য বিশেষ শুভ। প্রেমের ক্ষেত্রে ইতিবাচক সাড়া পাবেন। দূরের যাত্রা শুভ।

বৃশ্চিক

বৃশ্চিক (২৪ অক্টোবর—২২ নভেম্বর)

শিক্ষা ক্ষেত্রে বৃত্তি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। পাওনা আদায়ে অন্যের সহযোগিতা পাবেন। বেকারদের কেউ কেউ ঝুঁকিপূর্ণ বিদেশ যাত্রায় সফল হবেন। প্রাক্তন প্রেমিক-প্রেমিকার সঙ্গে আকস্মিকভাবে সাক্ষাৎ ঘটতে পারে।

ধনু

ধনু (২৩ নভেম্বর—২১ ডিসেম্বর)

পেশাগত দ্বন্দ্বের অবসান হবে। বেকারদের কারও কারও জন্য আজ সুখবর আছে। ব্যবসায়িক চুক্তি সম্পাদনের জন্য দিনটি শুভ। পরিবারের কোনো সদস্য আপনার বিপক্ষে অবস্থান নিতে পারে। আর্থিক লেনদেন শুভ।

মকর

মকর (২২ ডিসেম্বর—২০ জানুয়ারি)

শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হবেন। ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে তেজীভাব বিরাজ করবে। ভেঙে যাওয়া প্রেমের সম্পর্ক জোড়া লাগতে পারে।

কুম্ভ

কুম্ভ (২১ জানুয়ারি—১৮ ফেব্রুয়ারি)

ব্যবসায়িক তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে লাভবান হবেন। আজ আকস্মিকভাবে অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাবনা আছে। বেকারদের কারও কারও বিদেশ যাত্রার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হতে পারে। দূরের যাত্রা শুভ।

মীন

মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি—২০ মার্চ)

ব্যবসায়ে মূলধনের অভাব দূর হবে। পাওনা আদায় করতে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে পারেন। চাকরিতে শুভ পরিবর্তনের সম্ভাবনা আছে। শিল্পকলা কিংবা সাহিত্যকর্মের জন্য সম্মাননা পেতে পারেন।

রাসায়নিক মেশানো মুড়ি নদীতে

ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করায় তিন হাজার ৭০০ কেজি মুড়ি গতকাল বৃহস্পতিবার বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলেছেন ভেজালবিরোধী ভ্রাম্যমাণ আদালত। ঢাকার কেরানীগঞ্জের জিঞ্জিরায় কয়েকটি মুড়ির কারখানা থেকে এসব মুড়ি জব্দ করা হয়। আদালত এসব কারখানার চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডও দেন।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত জিঞ্জিরা ফেরিঘাট এলাকায় এম হোসেন মুড়ির কারখানায় অভিযান চালান। সেখানে মুড়ি ভাজার আগে চাল লবণ-পানি দিয়ে এক দিন ভিজিয়ে রাখা হয়। পরে চাল চুলায় গরম করার সময় ৫০ কেজি চালে ১০০ গ্রাম সোডিয়াম হাইড্রোসালফাইট বা হাইড্রোজ (রাসায়নিক পদার্থ) ব্যবহার করা হয়। এ অপরাধে আদালত ওই কারখানার মালিক আবু তাহেরকে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। ওই কারখানার এক হাজার ২০০ কেজি মুড়ি নদীতে ফেলা হয়।
পরে আদালত পাশের বিছমিল্লাহ মুড়ির কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৭৩ কেজি হাইড্রোজ উদ্ধার করেন। কারখানাটির এক হাজার কেজি মুড়ি বুড়িগঙ্গায় ফেলা হয়। হাইড্রোজ ব্যবহার করার অপরাধে ওই কারখানার কর্মচারী জিল্লুর রহমানকে ছয় মাস ও রিপন দাসকে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। একই এলাকার হাবি বাল্লু মিয়ার মুড়ির কারখানায় অভিযান চালিয়ে আদালত হাইড্রোজ ব্যবহার করা দেড় হাজার কেজি মুড়ি বুড়িগঙ্গায় ফেলেন। কারখানাটি থেকে প্রায় সাড়ে তিন কেজি হাইড্রোজ উদ্ধার করা হয়। ওই কারখানার মালিক মীর জাহান সাংবাদিকদের বলেন, মুড়ি সাদা করতে হাইড্রোজ ব্যবহার করা হয়। আদালত মীর জাহানকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
আদালত পরিচালনাকারী ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আল-আমীন বলেন, খাবারে নিষিদ্ধ রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করার অপরাধে বিশুদ্ধ খাদ্য অধ্যাদেশ, ১৯৫৯-এর ৬-এ ধারা অনুযায়ী চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
অভিযানে অংশ নেওয়া বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তা এস এম আবু সাঈদ প্রথম আলোকে বলেন, হাইড্রোজ একটি শক্তিশালী ক্ষার। এটা পেটে গেলে তা মানবদেহের রক্তের শ্বেতকণিকা, হিমোগ্লোবিনসহ গুণাগুণ নষ্ট করে ফেলে।
এদিকে ঢাকা সিটি করপোরেশন পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত গতকাল রাজধানীর উত্তর শাহজাহানপুরের হোসেন আল রহমানিয়া বিরিয়ানি ও কাবাব ঘরে অভিযান চালান। সেখানে কাবাবের সঙ্গে নিষিদ্ধ রং মেশানোর বিষয়টি হাতেনাতে ধরা হয়। এ অপরাধে আদালত হোটেলের মালিক শরিফুর রহমানকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। পরে আদালত পাশের বিছমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজের ফ্রিজে পুরোনো ইফতারি দেখে প্রতিষ্ঠানটিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। নিষিদ্ধ লাল রং ব্যবহার করায় মতিঝিলের শাহী জাফরান হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।
এরপর আদালত খিলগাঁওয়ের রূপম অটো মুড়ি কারখানায় অভিযান চালান। মুড়ি ভাজতে হাইড্রোজ ব্যবহারের কারণে কারখানাটিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।

চার লাখ গরু, দেখভালে ১০ জন

পথের দুধারের যেকোনো বাড়িতে তাকালেই চোখে পড়বে গরু ও গোয়ালঘর। সড়কে গরু, মাঠে চরছে গরু। গরুকে পরম যত্নে খাওয়ানো বা স্নান করানোর দৃশ্যও শাহজাদপুর উপজেলার যেকোনো গ্রামের অতি সাধারণ ছবি।
৩২৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের শাহজাদপুরে সরকারি হিসাবে গরুর সংখ্যা তিন লাখ ৭১ হাজার ৮৫টি। এর ৯০ শতাংশই আবার গাভি। তাই পশুর রোগ অ্যানথ্রাক্স (তড়কা) নিয়ে এই এলাকার মানুষই সবচেয়ে বেশি ভাবনায় আছে। সংসারের ভরসা আদরের গরুর অসুখ হলে শাহজাদপুরের মানুষও যেন অসুস্থ হয়ে যায়।
খামারিদের দেওয়া তথ্যমতে, দুগ্ধ উত্পাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেডের (মিল্ক ভিটা) মোট তরল দুধের শতকরা ৮৫ ভাগই যায় এখান থেকে। এ ছাড়া ব্র্যাক, আফতাব, আকিজ, অ্যামো, প্রাণ, বিক্রমপুর ডেইরিসহ আরও অনেক বেসরকারি সংস্থা এ এলাকা থেকে দুধ নেয়। গরুই হচ্ছে এ উপজেলার মানুষের জীবিকার প্রধান মাধ্যম। কিন্তু স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, শাহজাদপুরের প্রতি সরকারের প্রাণিসম্পদ কর্তৃপক্ষের বাড়তি কোনো যত্ন নেই। প্রাপ্ত তথ্য তাদের বক্তব্যকেই সমর্থন করে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, গরু অসুস্থ হলে প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের লোকজনকে পাওয়া যায় না।
গবাদিপশুর ব্যবস্থাপনার অবস্থা যে বিশেষ ভালো নয়, তার স্বীকারোক্তি পাওয়া গেল উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আলতাফ হোসেনের কথাতেই। হতাশার সঙ্গে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, দেশের অন্য সব উপজেলায় গড়ে ১৫ থেকে ২০ হাজার গরু আছে। কিন্তু এই উপজেলায় গরুর সংখ্যা পৌনে চার লাখ। অন্য উপজেলার মতোই এখানে মোট জনবল মাত্র ১০। এত কম লোক দিয়ে এখানে সেবা দেওয়া কঠিন।
আলতাফ হোসেন বলেন, ‘এখানে একজনমাত্র চিকিত্সক। তিনি কীভাবে পৌনে চার লাখ গরুর চিকিত্সার দায়িত্ব নেবেন?’
অন্যান্য উপজেলা, মিল্ক ভিটা, মানবমুক্তিসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে লোক এনে আপাতত ভ্যাকসিন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে জানিয়ে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এভাবে ধার করে তো চলা যায় না।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাবিবুর রহমানও একই কথা বললেন। তিনি বলেন, অন্তত ১০ জন চিকিত্সক এবং ৪২ জন মাঠকর্মী দরকার। ইউএনও জানান, যখনই (ঊর্ধ্বতন) কেউ এ এলাকা পরিদর্শনে এসেছেন, তাঁকে মৌখিকভাবে এ কথা জানানো হয়েছে। এবার ঊর্ধ্বতন মহলকে তিনি চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানাবেন।
শাহজাদপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাসিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, নানা রকম অসুখ-বিসুখের কারণে অনেকেই খামারের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। সরকারের এ ব্যাপারে বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া দরকার।
শাহজাদপুরের পোতাজিয়া ইউনিয়নের টিআর বন্দর এলাকার খামারি রফিকুল ইসলামও মনে করেন, জনবল বৃদ্ধি ও বিশেষ পরিকল্পনা দরকার। প্রথম আলোকে তিনি বললেন, এই এলাকায় লোকজন যেহেতু গরুর ওপর নির্ভর করে বেঁচে থাকে, তাই এখানে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া উচিত।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, দেশের সবচেয়ে বেশি গবাদিপশু সিরাজগঞ্জ জেলায়। এখানে জনবল বাড়ানোটা বিশেষ জরুরি। ১৯৮২ সালের জনবলকাঠামো দিয়েই এখনো অধিদপ্তর চলছে। মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে এ বিষয়ে অনেক চিঠি দেওয়া হয়েছে।
সমন্বয়হীনতা, পরস্পরকে দোষারোপ: উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার অভিযোগ, শাহজাদপুরের বেশির ভাগ দুধ নেয় মিল্ক ভিটা। এ ছাড়া অনেক বেসরকারি সংস্থা এখানে কাজ করে। কিন্তু গরুর কোনো অসুখ-বিসুখ হলে দেখভাল করতে হয় প্রাণিসম্পদ কার্যালয়কেই। অথচ মিল্ক ভিটা খামারিদের কাছ থেকে চিকিত্সা বাবদ টাকা কেটে নেয়।
অনেক খামারিও একই অভিযোগ করলেন। রেশমবাড়ী গ্রামের খামারমালিক আবদুস সামাদ ফকির বলেন, মিল্ক ভিটা ও প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই। কেউই ঠিকমতো কাজ করে না।
চিথুলিয়া গ্রামের খামারমালিক নুরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, টাকা ছাড়া প্রাণিসম্পদ বিভাগের লোকজন ভ্যাকসিন (প্রতিষেধক) দেন না। চর চিথুলিয়া গ্রামের কোমেলা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের বাড়ির পাঁচটি গরু মারা গেছে। তাঁর ছেলে আবদুল হামিদ অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত। কোমেলা অভিযোগ করেন, তাঁদের বাড়িতে টিকা দিতে এত দিন কেউ আসেননি। তবে পাঁচটি গরু মারা যাওয়ার পর মিল্ক ভিটার লোকজন টিকা দিয়ে গেছেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন বলেন, এখানকার বেশির ভাগ খামারিই মিল্ক ভিটায় দুধ দেন। কাজেই টিকা দেওয়ার দায়িত্ব তাঁদের।
আলতাফ হোসেন মিল্ক ভিটার বিরুদ্ধে তাঁদের সঙ্গে সমন্বয় না করার অভিযোগ করে বলেন, ‘তারা কোন এলাকায় টিকা দিচ্ছে, আমরা জানি না। তারা হয়তো কোনো এলাকায় ১০০ গরুর মধ্যে তাদের সমিতির ৮০টি গরুকে টিকা দেয়, ২০টি বাকি রেখে আসে। আমরা ওই এলাকায় গিয়ে শুনি, সেখানে টিকা দেওয়া হয়ে গেছে। কিন্তু ২০টি গরু ঝুঁকিতেই থেকে যায়। কাজেই আমাদের সমন্বিতভাবে কাজ করা উচিত।’
আলতাফ হোসেন আরও বলেন, বিভিন্ন এনজিও গ্রামে নতুন গরু নিয়ে আসে, যা তাঁদের জানানো হয় না। সেগুলোও টিকার বাইরে থেকে যায়।
কিন্তু মিল্ক ভিটার ব্যবস্থাপক (সমিতি) আ ফ ম ইদ্রিস এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি উল্টো প্রাণিসম্পদ বিভাগকে দায়ী করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘সর্বশেষ হিসাবে মিল্ক ভিটার সমিতিগুলোর আওতায় শাহজাদপুরে ৭৮ হাজার গরু আছে। এগুলো দেখভালের জন্য আমাদের আটজন সার্জন ও ৬০ জন মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা আছেন। আমরা গত অর্থবছরে ৫১ হাজার তড়কার টিকা দিয়েছি। এর মধ্যে শতকরা ৯০ ভাগই দেওয়া হয়েছে শাহজাদপুরে। কিন্তু তাঁরা সারা জেলায়ও তো এত টিকা দেননি।’
সমন্বয়হীনতার অভিযোগ সম্পর্কে ইদ্রিস বলেন, ‘আমরা কখন কোন এলাকায় টিকা দিই, সেই অনুলিপি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়।’
গরুর চিকিত্সার জন্য মিল্ক ভিটা কর্তৃপক্ষের কমিশন কেটে রাখার ব্যাপারে ব্যবস্থাপক বলেন, ‘ক্যাটল ডেভেলপমেন্ট ফান্ড বা সিডিএফ (গবাদিপশু উন্নয়ন তহবিলের) হিসেবে আমরা প্রতি লিটার দুধের দাম দেওয়ার সময় ২৫ পয়সা করে কেটে রাখি। এর মধ্যে জাত উন্নয়ন, কৃত্রিম প্রজননসহ সবকিছু আছে। চিকিত্সার জন্য আলাদা করে টাকা কাটা হয় না। আর কোথাও কোনো গরু অসুস্থ হয়েছে শুনলেই আমরা ছুটে যাই।’
অ্যানথ্রাক্স পরিস্থিতি: গবাদিপশুর অ্যানথ্রাক্স সংক্রমণের মাত্রা কমে এলেও মানুষের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা এখনো বাড়ছে। গতকাল ১৯ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে বেলকুচিতে রয়েছেন ছয়জন, কামারখন্দে পাঁচজন এবং শাহজাদপুরে আটজন। এ নিয়ে সিরাজগঞ্জে মোট ১৪১ জন এই রোগে আক্রান্ত হলেন। আক্রান্ত ব্যক্তিরা সবাই অসুস্থ গরু জবাই বা কাটাকাটি করেছেন কিংবা মাংস খেয়েছেন।
জেলার সিভিল সার্জন নুরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। পুরোনো আক্রান্তদের ঘা শুকিয়ে আসছে। নতুন করে যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের রক্ত সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। নতুন করে কোনো আক্রান্ত এলাকা না পাওয়া গেলে ঢাকা থেকে আসা টিমগুলো ফেরত যাবে।’
শাহজাদপুরের অ্যানথ্রাক্স-পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন বলেন, গরুর সংখ্যা বেশি বলে এই এলাকায় অ্যানথ্রাক্সের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। আপাতত বাইরে থেকে এনে মোট ৮০ জন লোক নিয়ে আক্রান্ত এলাকা ও এর আশপাশে টিকা দেওয়া কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সব গরুকে টিকা দিতে ১৫ দিন লেগে যাবে। তিনিও পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে বলে দাবি করেন।

গানে গানে নাড়া প্রাণে

কৈশোর পেরিয়ে সবে তারুণ্যে পা রেখেছেন। আশপাশের দশ গাঁয়ের লোকে তাঁকে এক নামে চেনে। জিয়া, পুরো নাম জিয়ারুল ইসলাম। কুঁকড়া চুলের, ছোটখাটো গড়নের মানুষ। জারিগানের দল নিয়ে যিনি ঘুরে বেড়ান গ্রাম থেকে গ্রামে। নিজে গান না, কিন্তু তাঁর লেখা গান দিয়ে মানুষকে সচেতন করে তোলার চেষ্টা করেন। মানুষের মাঝে সামাজিক দায়িত্ববোধ ও সচেতনতা গড়ে তোলেন। বিনিময়ে নিজে কিছু নেন না। গানের দলের পাশাপাশি পড়াশোনাও চালিয়ে যাচ্ছেন জিয়া। এবার এইচএসসি পাস করেছেন।
জিয়ারুল ইসলামের (১৯) বাড়ি রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার ভুটকা গ্রামে। বাবা কৃষক। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। কিশোর বয়সেই পারিবারিক ও সামাজিক আচার-অনুষ্ঠানে নানা অসংগতি ভাবিয়ে তোলে জিয়াকে। চারপাশের পরিবেশকে সুন্দর রাখতে হলে কী করতে হবে, বাল্যবিবাহ ও যৌতুকপ্রথা রোধে কী কী করণীয়, তার সবই পাঠ্যবইয়ে লেখা আছে। কিন্তু ওই পর্যন্তই। কেউ সেসব মানে না। তখন থেকেই মনে মনে নিজের গ্রামকে বদলে ফেলার পণ করেন। সেই আজ থেকে বছর পাঁচেক আগের কথা।
ভাবতে শুরু করেন জিয়া—কীভাবে মানুষকে বদলের পথে আনা যায়। একসময় একটা পথও বেরিয়ে গেল। বিনোদনই সহজ উপায়, যার মাধ্যমে গাঁয়ের সহজ-সরল মানুষগুলোর কাছে পৌঁছানো যাবে। কিন্তু টাকা পাবেন কোথায়! বাবার কাছে হাত পেতে তেমন সাড়া মিলল না। গেলেন বড় ভাই আলমগীর ইসলামের কাছে। ভাই তাঁকে আশ্বস্ত করলেন। শুরুতে কয়েকজনকে নিয়ে একটি জারিগানের দল গঠন করলেন। গানের দলের জন্য বড় ভাইয়ের কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে হারমোনিয়াম, ঢোল, একতারা, মন্দিরা কিনলেন। নিজেই লিখলেন সামাজিক সচেতনতামূলক গান। জারিগানের দলটি প্রথমে ভুটকা গ্রামের কয়েকটি বাড়িতে গান করল। পরে গেল পাশের গ্রামে। এভাবে একে একে গঙ্গাচড়ার ৬৭টি গ্রামে দল নিয়ে ছুটে বেড়িয়েছেন জিয়া।
স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা না থাকলে, কম বয়সে মেয়েদের বিয়ে দিলে কী কী ক্ষতি হয়—সেসব নিয়ে নাটিকা বানালেন জিয়া। যৌতুকপ্রথার বিরুদ্ধেও রচনা করলেন নাটিকা। মানুষের বাড়ির উঠোনে পরিবেশন করলেন। জিয়ার এসব সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডে সর্বশেষ সংযোজন—ইভ টিজিং। গত বছর বড় ভাইয়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে একটি প্রজেক্টর কিনেছেন। রাতের বেলা প্রজেক্টরে গ্রামবাসীকে তথ্যচিত্রও দেখাচ্ছেন জিয়া।
জিয়ার কর্মকাণ্ড দেখে উপজেলার বুড়িরহাট এলাকার কারমাইকেল কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী মেরিনা বেগম বললেন, ‘জিয়ার মতো সবাই যদি এভাবে সামান্য কিছু কাজ করত তাহলে গ্রামগুলো সুন্দর হয়ে উঠত।’ একই এলাকার সরকারি বেগম রোকেয়া মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী বিউটি খাতুন বলেন, সরকারি-বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান বছরের পর বছর অনেক টাকা খরচ করছে। কিন্তু গ্রামের এক তরুণ নিজ উদ্যোগে যে কাজটি করছেন, তাতে গ্রামের দৃশ্যপট পাল্টে যেতে শুরু করেছে।
ভুটকা গ্রামের লাল মিয়া বলেন, ‘হামার জিয়ারুল শিখাইল কেমন করি ভালো পরিবেশে বাস করা যায়।’ কিষানি কবিতা রানী বলেন, ‘হামরা আগোত ঝোপঝাড়ে প্রাকৃতিক কাজ সারছি। কিন্তু জিয়া তাঁর গানের দল নিয়া গান গায়া বিনোদন দিয়া মানুষগুলাক সচেতন করার চেষ্টা করছেন।’
জিয়ারুল ইসলাম এ বছর গঙ্গাচড়া ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন। মানবিক বিভাগে তিনি জিপিএ-৪ দশমিক ১০ পেয়েছেন। ২০০৫ সালে যখন তিনি গঙ্গাচড়া মডেল হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র, তখনই দলবল নিয়ে নেমে পড়েছিলেন। তিনি গান লিখে দেন। দলের লোকজন সেসব গেয়ে শোনায়। সে জন্য কারও কাছ থেকে টাকা-পয়সা নেন না। উল্টো বাড়িতে কয়েকজন ছেলেমেয়েকে পড়িয়ে যে টাকা পান, সেটা দলের লোকদের পেছনে খরচ করেন।
জিয়ার গানের দলের সদস্য সাতজন। তাঁরা হলেন আনোয়ার হোসেন, গোলাম মোস্তফা, প্রফুল্ল চন্দ্র, জগদীশ চন্দ্র, অনন্ত চন্দ্র, রবীন চন্দ্র ও রত্না পারভিন। তাঁরা জানান, জিয়ারুলের সঙ্গে এই কাজ করে তাঁরা আনন্দ পান। তাই বিনিময়ে কিছু চান না। বড় কথা হলো, এভাবে মানুষকে কিছুটা হলেও জাগিয়ে তোলা যাচ্ছে।
জিয়ারুল বলেন, ‘সামান্য অভ্যাস পরিবর্তন করলেই মানুষ বদলাতে পারে। বদলে যেতে পারে গ্রামের দৃশ্যপট। এতে খুব একটা টাকার প্রয়োজন পড়ে না।’ এসব কাজ করে আপনার লাভ কী—জানতে চাইলে বলেন, ‘সব সময় নিজের লাভ দেখলে কি ভালো কাজ করা সম্ভব! সমাজ উপকৃত হলে এর চেয়ে বড় লাভ কী হতে পারে।’ গঙ্গাচড়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘কিশোর বয়স থেকে জিয়া এখনো যে কাজটি করে চলেছেন, এর কোনো তুলনা হয় না।’
উপজেলা চেয়ারম্যান মজিবর রহমান প্রামাণিক বলেন, ‘শুনেছি, কিশোর বয়স থেকে এমন কাজ করে আসছে ছেলেটা। গানের দল নিয়ে হাটে-মাঠে ঘুরে বেড়ায়। আবার পড়াশোনাও করে।’

 শাকিরাকে জরিমানা


‘ওয়াকা ওয়াকা’র সুর মূর্ছনা এখনো মিলায়নি। এরই মধ্যে খবরের শিরোনাম হয়ে গেলেন গায়িকা শাকিরা। একটি মিউজিক ভিডিওর চিত্রধারণের জন্য গিয়েছিলেন স্পেনে। সেখানে ঐতিহাসিক একটি ঝরনার নিচে উদ্দাম নৃত্যের কিছু চিত্র ধারণ করা হয়। এ সময় প্রিয় তারকাকে দেখতে ভক্তরা ভিড় জমায়। তাঁর সঙ্গে নাচে-গানে মেতে ওঠে ভক্তরা। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন নিরাপত্তাকর্মীরা। ভক্তদের হটিয়ে শাকিরার শুটিং বন্ধ করে দেন তাঁরা। এখানেই শেষ নয়, বিনা অনুমতিতে শুটিং করার দায়ে নগর কর্তৃপক্ষ শাকিরাকে জরিমানা করে।

Profiles - Making your profile easier to find

Profiles - Making your profile easier to find

My Computer আরো দ্রুত চালু করুন

অনেকের PC তে My Compute চালু হতে একটু সময় নেয়।

আমরা অনেকেই Computer এ Network Drive ব্যবহার করি না। আর ব্যবহার করলেও তা My computer এ Show করাই না।

আবার আমাদের অনেকের Remote Registry দরকার হয় না।

নিচের দুটি পদ্ধতি দুটো Apply করলে আশা করি আপনার My computer টি আরো দ্রুত চালু হবে।

১. My Computer –> Tools –> Folder Options –> View চালু করুন “Automatically search for network files and folders" এর সামনে একটি ক্লিক চেক করা থাকে, এটি তুলে দিন। এবং

২. Run –> regedit রেজিস্ট্রি এড্টির চালু হবে।

HKEY_LOCAL_MACHINE –> Software –> Microsoft –> Windows –> Current Version –> Explorer –> RemoteComputer –> NameSpace এর {D6277990-4C6A-11CF-8D87-00AA0060F5BF} এর Keyটি মুছে দিন। এবার computer Restart দিন।

কম্পিউটার চালান রান কমান্ড এর সাহায্যে

আপনি আপনার কম্পিউটারটি যদি রান কমান্ড দিয়ে চালাতে চান তাহলে নিচের রান কমান্ডগুলো আপনাকে অনেক সহায়তা করবে। তাপর আপনার ইচ্ছেমতো রান কমান্ড দিয়ে কম্পিউটার চালান।

press start button and press run or press win key+r

and then one of these command for follewing purpose

Calc-----------–Calculator

Cfgwiz32-------–ISDN Configuration Wizard

Charmap---------character Map

Chkdisk--------–Repair damaged files
Cleanmgr-------–Cleans up hard drives
Clipbrd---------Windows Clipboard viewer
Control---------Displays Control Panel
Cmd------------–Opens a new Command Window
Control mouse--–Used to control mouse properties
Dcomcnfg-------–DCOM user security
Debug----------–Assembly language programming tool
Defrag---------–Defragmentation tool
Drwatson-------–Records programs crash & snapshots
Dxdiag---------–DirectX Diagnostic Utility
Explorer-------–Windows Explorer
Fontview---------–Graphical font view
Fsmgmt.msc-------—Used to open shared folders
Firewall.cpl—-----Used to configure windows firewall
Ftp---------------ftp.exe program
Hostname---------–Returns Computer’s name
Hdwwiz.cpl-------—Used to run Add Hardware wizard
Ipconfig---------–Displays IP configuration for all network adapters
Logoff-----------—Used to logoff the computer
MMC--------------–Microsoft Management Console
Msconfig---------–Configuration to edit startup files
Mstsc------------—Used to access remote desktop
Mrc---------------Malicious Software Removal Tool
Msinfo32---------–Microsoft System Information Utility
Nbtstat----------–Displays stats and current connections using NetBIOS over TCP/IP
Netstat----------–Displays all active network connections
Nslookup---------–Returns your local DNS server

স্যামসাং বাজারে নিয়ে এলো অধিক ব্যাটারী ক্ষমতা সম্পন্ন নতুন ল্যাপটপ

সারা বিশ্বের প্রযুক্তি বাজারে অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান স্যামসাং নতুন তিনটি ভিন্ন মডেলের ল্যাপটপ বাজারে নিয়ে এসেছে। এই তিনটি মডেল হলো স্যামসাং এন ২১০, এন ১৪৮ এবং আর ৪২৮। এই তিনটি মডেলের মধ্যে স্যামসাং এন ২১০ ল্যাপটপটি ১২ ঘন্টা* ব্যাটারী ব্যাক আপ দিতে সক্ষম।

অন্যদিকে, এন ১৪৮ মডেলটি সাড়ে আট ঘন্টা* এবং আর ৪২৮ মডেলটি সাড়ে তিন ঘন্টার বেশী ব্যাক আপ দিতে পারে। এই অসাধারণ ব্যাটারী ক্ষমতার মূল কারণ হচ্ছে ল্যাপটপে সংযুক্ত পাওয়ার সেভিং এল ই ডি মনিটর। এছাড়াও স্যামসাং - এর নিজস্ব এনহ্যান্স্ড ব্যাটারী লাইফ সল্যুশনও এই অধিক ব্যাটারী ক্ষমতার জন্য সহায়ক ভুমিকা পালন করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক প্রশ্ন-উত্তর পর্বে উপস্থিত ছিলেন, স্যামসাং-এর ঢাকা ব্রাঞ্চ অফিসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জনাব লি, আইটি-র সেলস এবং মার্কেটিং ম্যানেজার জনাব সাইদুর রহমান, ইন্ডেক্স আইটি লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আজিজ রহমান এবং ইন্ডেক্স আইটি লিমিটেডের ডিরেক্টর- ফিন্যান্স এবং স্ট্র্যাটেজির আশিক উল ইসলাম। তারা মূলত নতুন পণ্যের মূল বৈশিষ্ট্যগুলো এবং বাংলাদেশের বাজারে তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাগুলো নিয়ে নিয়ে কথা বলেন ।

অধিক ব্যাটারী ক্ষমতা ছাড়াও স্যামসাং - এর নতুন লাপটপ গুলিতে আরোও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। স্যামসাং এন ২১০ এবং এন ১৪৮ মডেল গুলিতে ১০.১” এলইডি এন্টি-রিফ্লেক্টর মনিটর রয়েছে যা সিনেমা বা ছবি দেখার সময় আপনাকে রঙ এবং ছবির সর্ব্বোচ্চ গুণগত মান সম্পর্কে নিশ্চয়তা দেবে। এছাড়া ইজি রেজ্যুলেশন ম্যানেজার- এর সাহায্যে আপনি ল্যাপটপ - এর ছবির রেজুল্যুশন অতি সহজেই পরিবর্তন করতে পারবেন।

স্যামসাং এন ২১০ এবং এন ১৪৮ নেটবুক দুটির অন্যান্য বৈশিষ্ট্য গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো এগুলো ডিজিটাল ওয়েব ক্যামেরা সহ পাওয়া যায়। এই নেটবুক দুটি ইন্টেল - এর সর্বাধুনিক এটম এন ৪৫০ প্রসেসর দ্বারা চালিত হয়।

স্যামসাং - এর নিয়ে আসা অন্য ল্যাপটপটি হচ্ছে স্যামসাং আর ৪২৮। এই লাপটপটি ইন্টেল পেন্টিয়াম প্রসেসর টি ৪৪০০ দ্বারা পরিচালিত। মাত্র ২.২৬ কিলোগ্রাম ওজনের এই লাপটপটিতে একটি ১৪.০’ এলইডি এইচডি মনিটর রয়েছে। এই তিনটি নতুন মডেলের লাপটপেই স্যামসাং কয়েকটি সফটওয়্যার সংযুক্ত করেছে। এই সফটওয়্যারগুলি হলো এডোব রিডার, ইজি নেটওয়ার্ক ম্যানেজার, ইজি স্পিড আপ ম্যানেজার, স্যামসাং সাপোর্ট সেন্টার, স্যামসাং আপডেট প্লাস, প্রভৃতি।