Monday, May 13, 2013

১৪১০ কিলোমিটার দূরে ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। চট্টগ্রাম থেকে এক হাজার ৪১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করা ঘূর্ণিঝড়টি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর- উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

নিম্নচাপ থেকে শনিবার সৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর সতর্কতা সঙ্কেত জারি করা হয়েছে। শনিবার চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৮০০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করা নিম্নচাপ একশ’ ১০ কিলোমিটার এগিয়ে ঘূর্ণিঝড় মহাসেনে রূপ নেয়, যা উৎপত্তিস্থল থেকে বর্তমানে চারশ’ কি.মি. এগিয়ে এসেছে।

তৃতীয় শতকে শ্রীলঙ্কা শাসন করা রাজা মহাসেনের নামে এই ঝড়ের নামকরণ ‘মহাসেন’ করেছে এস্কাপ (ইএসসিএপি) প্যানেল। তথ্য সংরক্ষণ ও বোঝানোর সুবিধার জন্য ঝড়গুলোর নাম আগেই ঠিক করে রাখা হয়।

নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার পর থেকেই আবহাওয়া অধিদপ্তর বিশেষ বুলেটিন প্রচার করতে শুরু করে।

রোববার রাতে আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে (ক্রমিক নম্বর-৮) বলা হয়, “দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’ উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৪১০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিম, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৩৩০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিম এবং মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৩৪৫ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কি.মি.-এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝড়োহাওয়ার আকারে ৮৮ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্যের কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মংলা সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত  দেখিয়ে যেতে  বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের  কাছাকাছি  থেকে  সাবধানে চলাচল ও তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করার জন্য পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী সাইক্লোনের আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছে, “মঙ্গলবার বিকেল নাগাদ মহাসেন মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ এবং সংলগ্ন বাংলাদেশ উপকূলের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে।”

দেশটির নৌ ও বিমান বাহিনীর যৌথ টাইফুন সতর্কতা কেন্দ্রের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬৬ কি.মি. পর্যন্ত উঠতে পারে।

মহাসেন মোকাবিলায় প্রস্তুতি
এদিকে ‘মহাসেন’ দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে। দুই জেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এসএম আবদুল কাদেরের নেতৃত্বে চট্টগ্রামে গঠিত কমিটিতে সেনাবাহিনী, সিটি কর্পোরেশন, ফায়ার সার্ভিসসহ ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কমিটির প্রতিনিধিদের রাখা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক আবদুল মান্নান বলেন, “উপকূলে মহাসেনের আঘাত হানার আশঙ্কায় ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।”

ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় কক্সবাজারে স্বাস্থ্য বিভাগের সব কর্মকর্তার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সিভিল সার্জন ডা. কাজল কান্তি বড়ুয়া জানান, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে ১১৩টি জরুরি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিন বলেন, “দুর্যোগ মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে বিভিন্ন দপ্তরের সমন্বয়ে মাইকিংয়ের পাশাপাশি সকল প্রকার ট্রলার সাগরে না যাওয়ার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।”

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার উপকূলে ফিরতে শুরু করেছে।

Sunday, May 12, 2013

স্বস্থির জয়ে জিম্বাবুয়ে সফর শেষ করলো টাইগাররা

দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি জিতে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ১-১ ব্যবধানে সিরিজ ড্র করেছে বাংলাদেশ। টস জেতা মুশফিকুর রহিমরা প্রথমে ব্যাট করে সাত উইকেটে ১৬৮ রান সংগ্রহ করে। জবাবে সাকিব আল হাসান ও আবদুর রাজ্জাকের দুর্দান্ত বোলিংয়ে নয় উইকেটে ১৩৬ রানে থামে জিম্বাবুয়ে। হার ৩৪ রানের।

স্কোর কার্ডঃ

বাংলাদেশ ১৬৮/৭ (২০ ওভার)
তামিম ৪৩(৩০), সাকিব ৪০(২৮), নাসির ২৭(২৩)
উথসিয়া ১৫/২, ভিটোরি ২৬/১, মুসাঙ্গেওয়ে ২৯/১

জিম্বাবুয়ে ১৩৪/৯ (২০ ওভার)
সিবান্দা ৩২(১৯), রাজা ৩২(৩০)
সাকিব ২২/৪, রাজ্জাক ১৮/২, শফিউল ২০/২


ম্যান অফ দ্যা ম্যাচঃ সাকিব আল হাসান
ম্যান অফ দ্যা সিরিজঃ সাকিব আল হাসান

উপকূলমুখী ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মহাসেন ধেয়ে আসছে উপকূলের দিকে। এখন অবস্থান করছে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৪৪৫ কিলোমিটার দূরে।

মহাসেন ঘণীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। উত্তাল সাগরে বহাল রয়েছে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত।

রোববার দুপুরে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝড়োহাওয়ার আকারে ৮৮ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর প্রচণ্ড উত্তাল।

শনিবার চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৮০০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করা নিম্নচাপ একশ’ দশ কিলোমিটার এগিয়ে ঘূর্ণিঝড় মহাসেনে রূপ নেয়, যা উৎপত্তিস্থল থেকে বর্তমানে চারশ’ কি.মি. অগ্রসর হয়েছে।

তৃতীয় শতকে শ্রীলংকা শাসন করা রাজা মহাসেনের নামে এই ঝড়ের নামকরণ ‘মহাসেন’ করেছে এস্কাপ (ইএসসিএপি) প্যানেল। তথ্য সংরক্ষণ ও বোঝানোর সুবিধার জন্য ঝড়গুলোর নাম আগেই ঠিক করে রাখা হয়।

শনিবার দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত মহাসেন উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৪৪৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিম, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৩৬০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিম এবং মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৩৯০ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী সাইক্লোনের আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছে, মঙ্গলবার বিকেল নাগাদ মহাসেন মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ এবং সংলগ্ন বাংলাদেশ উপকূলের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের নৌ ও বিমান বাহিনীর যৌথ টাইফুন সতর্কতা কেন্দ্রের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬৬ কি.মি. পর্যন্ত উঠতে পারে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়, বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্যের কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মংলা সমুদ্রবন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার সমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হযেছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর

‘এরা নাকি অনলাইন সাংবাদিক’

সাংবাদিক পরিচয়ে নগরীর কোতয়ালী থানার দেবপাহাড় এলাকায় অনলাইন সংবাদপত্রের অফিস খুলেছিলেন কয়েকজন যুবক। অনলাইন সংবাদপত্রের নাম ‘মোহনা টুয়েণ্টিফোর.কম’। একইসঙ্গে ছিল সংবাদ মোহনা নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ও। ভূইফোঁড় এসব প্রতিষ্ঠানের পরিচয়ে সরকারী-বেসরকারী, রাজনৈতিক বিভিন্ন কর্মসূচীও কাভার করতেন তারা।

কিন্তু শুক্রবার রাতে একটি অপহরণের ঘটনা তাদের মুখোশ উন্মোচন করেছে।

শুক্রবার রাতে ‍কথিত অনলাইন সাংবাদিক নামধারী কয়েকজন দুর্বৃত্ত বেল্লাল হোসেন নামে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের একজন কারারক্ষীকে আটকে রেখে দু’লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। জানতে পেরে পুলিশ হানা দেয় কথিত ওই ‍অনলাইন সংবাদপত্র অফিসের কার্যালয়ে। পুলিশ দেখে পাশের বাড়ির ছাদে উঠে পালিয়ে যায় কথিত ওই অনলাইন সংবাদপত্রের কথিত ব্যুরো প্রধান। ধরা পড়েন সাংবাদিক নামধারী তিন প্রতারক।

কোতয়ালী থানার ওসি একেএম মহিউদ্দিন সেলিম বাংলানিউজকে বলেন, ‘অনলাইন সংবাদপত্রের নামে অফিস খুলে তারা মাদকের ব্যবসা করত। বিভিন্ন ধরনের মেয়ে নিয়ে আসত ‍অফিসের ভেতর। লোকজনকে জিম্মি করে টাকাপয়সা আদায় করত। এরা নাকি অনলাইন সাংবাদিক।’

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার ছগীর মিয়া বাংলানিউজকে জানান, কারারক্ষী বেল্লাল শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে তার বাসা থেকে বের হয়ে রুবেল নামে তার এক ভাতিজাকে খোঁজার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে কৌশলে বেল্লালকে অপহরণ করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

রাত ৮টার দিকে রাত ৮টার দিকে কারারক্ষী বেলাল ফোন করে আরেক কারারক্ষীকে জানায়, তিনজন সাংবাদিক তাকে নগরীর দেবপাহাড় এলাকায় মোহনা সংবাদ নামে একটি পত্রিকার অফিসে আটকে রেখেছে। দু’লক্ষ টাকা না দিলে তাকে ছাড়বেনা বলে জানিয়েছে ওই সাংবাদিকরা। এসময় কারারক্ষী বেলাল তাকে ‌উদ্ধারের আকুতি জানায়। ঘটনাটি জানতে পেরে জেল সুপার তাৎক্ষণিকভাবে কোতয়ালী থানার ওসিকে অবহিত করেন।

বেল্লাল তার স্ত্রীকেও একইভাবে ঘটনাটি জানায়। বেল্লালের স্ত্রীও কোতয়ালী থানার ওসিকে বিষয়টি অবহিত করেন।

এরপর রাতে ওসি’র নেতৃত্বে একদল পুলিশ দেবপাহাড় এলাকায় কথিত অনলাইন সংবাদপত্র কার্যালয়ে অভিযান চালায়। অভিযানের বিষয়টি আঁচ করতে পেরে কথিত ব্যুরো প্রধান জাহাঙ্গীরসহ ৬-৭জন পাশের বাসার ছাদে লাফিয়ে পড়ে পালিয়ে যান। পুলিশ ওই কার্যালয় থেকে তিনজনকে আটক করেন এবং বেল্লালকে মুক্ত করেন।

আটক তিন দুর্বৃত্ত হল, কুতুব উদ্দিন (৩৫), ওয়াসিম (২৯) এবং কফিল উদ্দিন (২৫)।

কোতয়ালী থানার ওসি একেএম মহিউদ্দিন সেলিম বাংলানিউজকে বলেন, ‘প্রথমে যখন পুলিশ ওই কার্যালয়ে যায় তখন তারা সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে হুমকি ধমকি দেয়া শুরু করেন। এরপর তারা যখন বুঝতে পারে, পুলিশের হাত থেকে এবার তাদের রক্ষা ‍নাই, তখন পালাতে শুরু করে।’

ওসি জানান, সাংবাদিক নামধারী এসব দুর্বৃত্তের কারণে এলাকাবাসীও বিরক্ত ছিল। আটকের পর এলাকার লোকজন কথিত তিন সাংবাদিককে গণপিটুনি দেয়ার চেষ্টা করেন। পুলিশ এসময় উপস্থিত জনতাকে সরিয়ে তাদের জনরোষের হাত থেকে রক্ষা করেন।

কোতয়ালী থানার ওসি (তদন্ত) সদীপ কুমার দাশ বাংলানিউজকে বলেন, ‘ভাতিজা রুবেলকে খুঁজতে গিয়ে চকবাজার এলাকায় অপসাংবাদিকদের কবলে পড়েন কারারক্ষী বেল্লাল। তারা ভাতিজার জন্য নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার কথা বলে কৌশলে তাকে অফিসে নিয়ে গিয়ে জিম্মি করে রাখে। অবশ্য পরে রুবেল ফিরে এসেছেন।’

কথিত অনলাইন সংবাদপত্র কার্যালয় থেকে উদ্ধার করা মালামালের মধ্যে আছে, ৮ বোতল ফেনসিডিল, ৩২০ পিস ইয়াবা, নগদ ৩২ হাজার ৪’শ টাকা, একটি কম্পিউটার, একটি নোটবুক ও একটি ল্যাপটপ, একটি স্ক্যানার, একটি ডিজিটাল ক্যামেরা, রেভিনিউ স্ট্যাম্প, দু’টি ক্রিকেটের স্ট্যাম্প সাইজের লাঠিসহ আরও বিভিন্ন জিনিসপত্র।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর

Saturday, May 11, 2013

রেশমা এখন পুরোপুরি সুস্থ

সাভারের রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে ১৭তম দিনে জীবিত উদ্ধার হওয়া রেশমা পুরোপুরি সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তিনি স্বাভাবিক খাবার খেতে শুরু করেছেন। তবে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে আরও কয়েকটা দিন তাঁকে হাসপাতালে থাকতে হবে।
রেশমা এখন সাভারের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে চিকিত্সাধীন।
সিএমএইচের উপসহকারী পরিচালক মেজর ফখরুল আলম সকাল ১০টায় প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘রেশমার সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ স্বাভাবিক আছে। তাঁর সব ধরনের শারীরিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে। সব রিপোর্ট ভালো। তিনি স্বাভাবিক খাওয়া-দাওয়া শুরু করেছেন। সব মিলিয়ে তাঁর অবস্থা চমৎকার।’
এর আগে সকাল সাতটায় রেশমার সঙ্গে দেখা করেন তাঁর ছোট ভাই সাদেকুল। তিনি পেশায় একজন রিকশাচালক।
সাদেকুল প্রথম আলো ডটকমকে জানান, তিনি রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় রিকশা চালান। রেশমার উদ্ধার হওয়ার খবর পেয়ে গতকাল রাতে তিনি ঢাকা থেকে সাভারের উদ্দেশে রওনা হন। তবে সাভারে পৌঁছাতে অনেক রাত হয়ে যাওয়ায় গতকাল তিনি রেশমার সঙ্গে দেখা করতে পারেননি।
আজ সকাল সাতটার দিকে তিনি রেশমার সঙ্গে দেখা করেন। রেশমা তাঁকে দেখে আনন্দিত হয়ে কিছুক্ষণ হাসেন। এর পরই কেঁদে ওঠেন রেশমা। সুস্থ স্বাভাবিক অবস্থায় বোনকে ফিরে পাওয়ায় সরকারসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানান সাদেকুল। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে রেশমা সবার ছোট।

মতিঝিলে বিদেশি পিস্তলসহ আটক ৩

রাজধানীর মতিঝিল এলাকা থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ২টি ম্যাগজিন ও ৫ রাউন্ড গুলিসহ ৩ যুবককে আটক করেছে র‌্যাব।

শনিবার দুপুরের এ ঘটনা রাতে নিশ্চিত করে ৠাব।

আটককৃতরা হচ্ছেন, রাজু (২৪), আতিকুল ইসলাম (২২) ও তৌফিক (২৩)।

র‌্যাব ১০-এর মেজর মামুন বাংলানিউজকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুপুরে অস্ত্র বেচাকেনার সময় একটি বিদেশি পিস্তল, ২টি ম্যাগজিন ও ৫ রাউন্ড গুলিসহ ৩ জনকে আটক করা হয়। তিন যুবকের মধ্যে রাজু ও আতিকুল চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে এগুলো বিক্রির উদ্দেশ্যে মতিঝিল এলাকার তৌফিকের কাছে নিয়ে আসেন। এ সময় র‌্যাবের একটি দল তাদের আটক করে।

৬ জুন পবিত্র শবে মেরাজ

আরবী মাস রজব এর চাঁদ দেখা গেছে । সে হিসেবে শনিবার জমাদিউস সানি মাস শেষ হয়ে আগামীকাল রোববার থেকে শুরু হচ্ছে রজব মাস। আর এ মাসের বিশেষ তাৎপর্য হচ্ছে, এ মাসেই ইসলাম ধর্মের মহামহিমান্বিত রজনী শবে মে’রাজ। আগামী ৬ জুন পবিত্র শবে মেরাজ পালিত হবে।

শনিবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মোকাররমের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির এক সভায় এ কথা জানানো হয়।

সভায় ১৪৩৪ হিজরি সনের পবিত্র রজব মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে প্রাপ্ত সব তথ্য পর্যালোচনা করা হয়।

টি-টোয়েন্টিতেও হারে শুরু বাংলাদেশের

জিম্বাবুয়ের ছুড়ে দেয়া ১৬৯ রানের লক্ষ্যে নেমে জয়ের কাছে গিয়েও ব্যর্থ হলো বাংলাদেশ। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৬ রানে হেরেছে তারা। জিম্বাবুয়ে: ১৬৮/৫ (২০ ওভার)
বাংলাদেশ: ১৬২/৮ (২০ ওভার)
ফল: জিম্বাবুয়ে ৬ রানে জয়ী
২ রানে তামিমকে প্রথম ওভারেই আউট করেন ব্রায়ান ভিটরি। এরপর শামসুর রহমানকে নিয়ে দারুণ ব্যাট করছেন সাকিব। ৩৪ বলে আট চারে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ফিফটি পেয়েছেন তিনি। ৪০ বলে আট চার ও দুই ছয়ে ৬৫ রানে প্রসপার উতসেয়ার শিকার হন সাকিব। পরের বলে ‍অভিষেক ফিফটি পান শামসুর, ৪৮ বলে সাত চার ও এক ছয়ে এ অর্জন করেন। আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি, উতসেয়ার দ্বিতীয় শিকার হন ৫৩ রানে।
পরের ওভারে প্রথম ও শেষ বলে মুশফিকুর রহিম সিঙ্গেল নিতে গেলে নাসির হোসেন ও মাহমুদ উল্লাহ রান আউট হন। জিয়াউর রহমান ২ রানে উইকেট হারান। শেষ ওভারের প্রথম বলে মাঠ ছাড়েন মুশফিক। পাঁচ বলে ১০ রানের দরকার থাকলেও আব্দুর রাজ্জাক ও সোহাগ গাজী সফল হননি।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নামে জিম্বাবুয়ে। হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ও ব্রেন্ডন টেলরের ব্যাটে পাঁচ উইকেটে ১৬৮ রান করে তারা।
প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে ওপেনার ভুসি সিবান্দাকে সাজঘরে পাঠান সোহাগ গাজী। এরপর মাসাকাদজাকে নিয়ে অধিনায়ক টেলর ৭৫ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন। ২৫ বলে ছয় চার ও এক ছয়ে সাকিব আল হাসানের কাছে উইকেট হারান টেলর। ৬ রানে মাহমুদ উল্লাহর শিকার হন শন উইলিয়ামস। শফিউল ইসলামের পেসে সাকিবের তালুবন্দি হন সিকান্দার রাজা (১৪)।
সপ্তম টি-টোয়েন্টি ফিফটি গড়ে খুব বেশি এগোতে পারেননি হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। ৪৮ বলে চারটি চার ও এক ছক্কায় ৫৯ রানে সাকিবকে উইকেট দেন তিনি। ১৪ বলে তিন চার ও এক ছয়ে ২৬ রানে ম্যালকম ওয়ালার টিকে ছিলেন। অপর প্রান্তে টিনোটেন্ডা মুতুম্বজি ১২ রানে অপরাজিত ছিলেন।
সাকিব সর্বোচ্চ দুটি উইকেট দখল করেন। একটি করে পেয়েছেন মাহমুদ উল্লাহ, শফিউল ও গাজী।
মোহাম্মদ আশরাফুলের পরিবর্তে দলে অন্তর্ভুক্তি হয়েছে শামসুর রহমানের।
জিম্বাবুয়ে দল: ব্রেন্ডন টেলর (অধিনায়ক), টেন্ডাই চাতারা, হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, মুতুম্বজি, পানিআঙ্গারা, ভুসি সিবান্দা, সিকান্দার রাজা, প্রসপার উতসেয়া, ব্রায়ান ভিটরি, ম্যালকম ওয়ালার ও শন উইলিয়ামস।
বাংলাদেশ দল: মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক), আব্দুর রাজ্জাক, সাকিব আল হাসান, মাহমুদ উল্লাহ, নাসির হোসেন, শফিউল ইসলাম, সাজিদুল ইসলাম, শামসুর রহমান, সোহাগ গাজী, তামিম ইকবাল ও জিয়াউর রহমান।

টেকনাফে ৯ লক্ষাধিক টাকার মাদকদ্রব্য জব্দ

কক্সবাজারের টেকনাফে ৯ লাখ ১৬ হাজার টাকা মূল্যের মিয়ানমারে তৈরি মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

রোববার বিকাল ৫টার দিকে টেকনাফের নাফ নদীর ২ নং সুইচ গেইট এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।

জব্দ করা মাদকদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ১ হাজার ৩২০ ক্যান আন্দামান গোল্ড বিয়ার, ৩২ বোতল ম্যান্ডেলা বিয়ার, ২৪ বোতল ম্যান্ডেলা রাম মদ, ১৬ বোতল ড্রাগন মদ, ২৩৭ বোতল গোল্ডেন কান্ট্রি ড্রাইজিং।

এসময় একটি নৌকা ও ২৭টি পানির ফিল্টারও জব্দ করা হয়েছে।

বিজিবি‘র টেকনাফস্থ ৪২ ব্যাটালিয়নের উপ-পরিচালক ক্যাপ্টন এইচ কামরুল হাসান বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, বিজিবি’র টেকনাফ বিওপির হাবিলদার মো. জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে বিশেষ টহল দল নাফ নদীতে অভিযান চালিয়ে এসব মাদকদ্রব্য জব্দ করে। এ ঘটনায় ২ জনকে পলাতক আসামী করে টেকনাফ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন, টেকনাফের নাজির পাড়ার মৃত আব্দুল বাশার নাগুর ছেলে মোহাম্মদ জাকির (৩০) ও মৃত আব্দুল হোসেনের ছেলে সাবের আহমেদ (৩২)।

সর্তকতার দুদিনের মাথায় টিলা ধস!

সিলেট নগরীর হাজারীবাগে একটি টিলা ধসে গেছে। এতে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে কয়েকটি পরিবার। ভূমিধসের আশঙ্কা প্রকাশ করে আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বুলেটিন দেওয়ার দু’দিনের মাথায় শনিবার এ ঘটনা ঘটলো।

দু’দিন আগে আবহওয়া অধিদফতরের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ভারী বর্ষণের ফলে সিলেটের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।

বুলেটিনে জানানো হয়, কালবৈশাখীর প্রভাবে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। ভারী বৃষ্টির ফলে সিলেট বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।

সিলেটের নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, হাজারীবাগে ধসে পড়া টিলা পরিদর্শন করেছেন তিনি। এ ব্যাপারে ঝুঁকি এড়াতে ওই স্থানের বসবাসরতদের সড়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন।

ঘটনার পরই টিলা সংলগ্ন দু’টি পরিবার বসতভিটা ছেড়ে গেছে বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে।

শুধু হাজারীবাগই নয়, নগরীর সকল পাহাড় ও টিলার পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস বেড়েছে। ধসের আশঙ্কা সত্ত্বেও নগরী ও আশপাশের কয়েক হাজার মানুষ মৃত্যুঝুঁকি নিয়েই বসবাস করছেন পাহাড়-টিলার পাদদেশে।

ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে- নগরীর উপকণ্ঠের বালুচর, হাজারীবাগ, বিমানবন্দর সড়ক, খাদিমপাড়া, খাদিমনগর, মেজরটিলা, মংলিরপাড় ও ইসলামপুর। এসব এলাকার বিভিন্ন টিলার পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে কয়েকশ’ পরিবার।

গত বছরের জানুয়ারিতে সেভ দ্য হেরিটেজের এক জরিপে দেখা গেছে, সিলেটে টিলার পাদদেশে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করায় ১০ হাজার লোক ঝুঁকিতে রয়েছেন।
এ ছাড়া জৈন্তাপুর উপজেলার নয়াখেল, আঞ্জা গ্রাম ফেঞ্চুগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলায় বিভিন্ন টিলা ও পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন আরও কয়েক সহস্রাধিক লোক।

তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও কোথাও পাহাড়- টিলার পাদদেশে বসতকারী ঘর-বাড়ির কোনো তালিকা নেই।

জানা গেছে, প্রতি বর্ষা মৌসুম এলেই টানা বৃষ্টিতে দেখা দেয় টিলাধসের ঝুঁকি। বিভিন্ন সময়ে টিলাধসে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের উচ্ছেদে বিচ্ছিন্ন কিছু অভিযান চালানো হলেও তাদের পুনর্বাসনে নেওয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ। ফলে ফের টিলার পাদদেশে ঘর নির্মাণ করেছেন ভূমিহীনরা।

গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে সিলেটে টিলাধসের যে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে এতে দুর্ঘটনা ঘটলে উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর মতো সরঞ্জামাদিও সিলেটে নেই বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক পরিমল কুণ্ডু।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘‘দুর্ঘটনা ঘটার আগে বসতি সরিয়ে দিতে হবে। আর উদ্ধার তৎপরতা চালানো জন্য দরকার বড় কোনো সরঞ্জাম।”

তিনি বলেন, “মাটি কাটতে যে কঠিন সরঞ্জামগুলো দরকার, সিলেটে সেগুলোও নেই। সিলেটে রয়েছে শুধু কোদাল আর বেলচা।”

বেলা’র সিলেটের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী শাহ সাহেদা আখতার বাংলানিউজকে বলেন, টিলা কাটার ফলে ধস হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দায়িত্বহীনতা এর জন্য দায়ী বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সাহেদা বলেন, ‘‘সিলেটে নির্বিচারে টিলা কাটা হচ্ছে। এ অবস্থায় অনবরত বৃষ্টিপাতে টিলার ধস ঘটছে।’’