Thursday, February 21, 2013

ঢাকায় আর্টিকুলেটেড বাস চলাচল শুরু

দেশে প্রথমবারের মতো যাত্রী পরিবহনকারী বিশেষ ধরনের আর্টিকুলেটেড বাস চলাচল শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে রাজধানীর ফার্মগেটে নতুন ধরনের এই বাস চলাচলের উদ্বোধন করেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আপাতত ঢাকায় এ রকম ১০টি বাস চলবে বলে জানা গেছে। গতকাল উদ্বোধনের পর যোগাযোগমন্ত্রী টিকিট কেটে আর্টিকুলেটেড বাসে চড়ে ফার্মগেট থেকে বনানী সেতু ভবন পর্যন্ত যান। উদ্বোধনকালে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা মহানগরীতে যাত্রীসাধারণের পরিবহন সংকট নিরসনে এ বাস ভূমিকা রাখবে। পরে তা চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল ও রংপুরে চালু করা হবে। অনুষ্ঠানে বিআরটিসি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ হেল করিম, সড়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব মঈনউদ্দিনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিআরটিসি সূত্রে জানা গেছে, এপ্রিলের মধ্যে আরো ৪০টি বাস দেশে পৌঁছানোর কথা। এগুলো পর্যায়ক্রমে সব বিভাগীয় শহরে চালু করা হবে। প্রতিটি আর্টিকুলেটেড বাসে আসনসংখ্যা ১৩০। রাজধানীতে আর্টিকুলেটেড বাস সার্ভিস জয়দেবপুর চৌরাস্তা-ঢাকা বাইপাস-জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়-টঙ্গী-আবদুল্লাহপুর-উত্তরা-হাজিক্যাম্প-আর্মি স্টেডিয়াম-কাকলী-বিজয় সরণি-ফার্মগেট-শাহবাগ-মৎস্য ভবন- প্রেসক্লাব-জিরো পয়েন্ট রুটে চলাচল করবে।

কফির ভুসিতে চলে গাড়ি

অকেজো মনে করে যেসব জিনিস আমরা ফেলে দিই, সেসব জিনিসকে কাজে লাগানোর চেষ্টা এখন বিশ্বজুড়ে বেশ জনপ্রিয়। তেমনই একটি বাতিল জিনিসকে গাড়ির জ্বালানি হিসেবে অনায়াসে কাজে লাগানো হচ্ছে। সেই গাড়ির গতিও কম নয়। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬৫ মাইল। গাড়িটির জ্বালানি হিসেবে কাজে লাগানো সেই জিনিসটি আসলে কফি বীজের ভুসি। কফির ভুসিচালিত এই গাড়িটির মালিক উত্তর-পূর্ব ইংল্যান্ডের অধিবাসী মার্টিন বেকন। এ ধরনের গাড়ি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬৫ মাইল গতিতে চলার ঘটনাও এটাই প্রথম। ফলে গাড়িটি ইতিমধ্যেই গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের নজরে পড়েছে। মূলত, কফি প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা থেকে উৎপাদিত ভুসির গুটিগুলো এ ধরনের গাড়ির জ্বালানি হিসেবে কাজ করা হয়। গাড়ির পেছনের একটি অংশে চারকোলের আগুন দিয়ে ভুসিতে তাপ দেওয়া হয়। এর ফলে কার্বন মনোঙ্াইড এবং হাইড্রোজেন গ্যাস উৎপন্ন হয়। এ গ্যাস ঠাণ্ডা করে গাড়ির জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

ঠাণ্ডা মাথায় খুন

প্রথম ছবিতে দেখা যাচ্ছে, তামিল গেরিলা নেতা ভেলুপিল্লাই প্রভাকরণের ছেলে বালাচন্দ্রন প্রভাকরণ (১২) শ্রীলঙ্কার কোনো এক বাঙ্কারে আটকাবস্থায় বসে আছে। গায়ে লুঙ্গির মতো কিছু একটা জড়ানো। হাতে খাবারের প্যাকেট। পাশে পানির মগ। পরের ছবিতে প্যাকেট থেকে বের করে কিছু একটা মুখে পুরছে সে। শেষ ছবিতে মাটিতে নিথর পড়ে আছে তার দেহ। বুকে পাঁচটি গুলির চিহ্ন। তিনটি ছবিই তোলা হয়েছে ২০০৯ সালের ১৯ মে, সকাল ১০টা ১৪ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা ১ মিনিটের মধ্যে। এদিন প্রায় একই সময়ে প্রভাকরণকেও হত্যা করা হয় এবং তার হত্যার মধ্য দিয়েই তামিলদের পরাস্ত করে বিজয়ী হয় সরকারি বাহিনী। ব্রিটিশ পরিচালক ক্যালাম ম্যাক্রে নির্মিত 'নো ফায়ার জোন' তথ্যচিত্রের সুবাদে গত মঙ্গলবার ছবিগুলো সবার সামনে এসেছে। একই সঙ্গে তামিলবিরোধী অভিযানে সরকারি বাহিনীর সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগটিও নতুন করে সামনে এসেছে। শুরু থেকেই সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ক্রস ফায়ারে পড়ে মারা গেছে বালাচন্দ্রন। তবে ম্যাক্রের দাবি, বালাচন্দ্রনকে ঠাণ্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে। 

Wednesday, February 20, 2013

সোনার চেয়ে দামি উল্কার খোঁজে মানুষের ঢল!

এক খণ্ড উল্কাপিণ্ড সোনার চেয়েও দামি হতে পারে। আর তাই উল্কাপিণ্ডের খোঁজে রাশিয়ার উরাল পাহাড়ের দিকে ছুটছে মানুষ। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রাশিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় উরাল এলাকায় ১৫ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকালে প্রচণ্ড বিস্ফোরণের পর আকাশ থেকে জলন্ত একটি বস্তু এসে পড়েছে। বিস্ফোরণের ধাক্কায় জানালার কাঁচ ভেঙে এক হাজার ২০০ জন মানুষ আহত হয়েছে এবং তিন কোটি ডলারেরও বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন দেশটির কর্মকর্তারা। এ বস্তুটি উল্কাপিণ্ড বলে নিশ্চিত করেছেন গবেষকেরা।
মস্কো থেকে ১৫শ’ কিলোমিটার পূবের শিল্প শহর চেলিয়াবিনস্কে আকাশে উজ্জ্বল আলো ছড়িয়ে উল্কাপিণ্ডটি কাছাকাছি কোথাও মাটিতে এসে আঘাত হানে। পরে জানা যায়, চেলিয়াবিনস্কের শহর চেবারকুলের কাছে একটি লেকে এসে পড়েছে বৃহদাকারের এ উল্কা। উল্কাটি সাদা ধোঁয়ার একটি দীর্ঘ রেখা রেখে যায়, যা ২শ’ কিলোমিটার দূরের ইয়েকেটেরিনবার্গ শহর থেকেও দেখা গেছে। উল্কাপিণ্ডের ছোটো ছোটো টুকরার সন্ধানে এখন মানুষ ছুটছে ওই এলাকায়।
ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিখণ্ড উল্কা অনেক দামে বিক্রি করা যাবে। তাই উল্কা সন্ধানী অনেক মানুষ বরফ, তুষারের মধ্যেও খুঁজে ফিরছেন দামি এক টুকরো উল্কাপিণ্ড।
দিমিত্রি কাচকেইন নামের এক শৌখিন উল্কাসন্ধানীর ভাষ্য, এক টুকরো বা স্রেফ এক গ্রাম উল্কা বা মহাজাগতিক পদার্থের একটি ক্ষুদ্র খন্ডের দাম হতে পারে ৬৬ হাজার রুবল বা প্রায় আড়াই হাজার মার্কিন ডলার যা সোনার চেয়ে ৪০ গুণ দামি। তবে শুধু বাজার মূল্য হিসেবেই উল্কাকে বিবেচনা করা যাবে না। যত বেশি খণ্ড সংগ্রহ করা যাবে দাম তত বেশি চড়া হবে।
সবার আগে উরাল ফেডারেল ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা ৫৩ খণ্ড উল্কা খুঁজে পাওয়ার ঘোষণা দেন। গবেষকেরা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েছেন যে, ছোটো একটি উল্কাপিণ্ডের টুকরো এগুলো।
গবেষকেরা যে টুকরোগুলো পেয়েছেন সেগুলোর আকার খুবই ছোটো। তবে গবেষকেরা আশা করছেন, উল্কাখণ্ডটির আরও বড় টুকরা হয়ত তাঁরা খুঁজে পাবেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চেলিয়াবিনস্কের আশপাশের এলাকা থেকে ২০ হাজারের বেশি মানুষ উল্কাপিণ্ডের খোঁজে নেমেছে। উল্কাসন্ধানীরা অনেকেই এ বস্তুটিকে মহামূল্যবান মনে করছেন। তাই তাঁরা কোনো টুকরো পেলে বিক্রি করতে নারাজ। তাঁরা উল্কাপিণ্ডের টুকরা খুঁজে পেলে স্মারক হিসেবে নিজের কাছে রেখে দিতে চান।
এদিকে, উল্কা নিয়ে অনলাইনে কেনা-বেচা বেশ জমজমাট হওয়ার বিষয়টিও চোখে পড়ছে।


কোপারনিকাস স্মরণে গুগলের ডুডল

১৯ ফেব্রুয়ারি ছিল প্রখ্যাত জ্যোতির্বিদ নিকোলাস কোপারনিকাসের জন্মদিন। অনুসন্ধান সেবাদাতা গুগল হোমপেজে তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ একটি ডুডল তৈরি করেছিল। এ ডুডলে সূর্যকে কেন্দ্র করে গ্রহের আবর্তন দেখানো হয়। খবর ‘গার্ডিয়ান’-এর।
জ্যোতির্বিজ্ঞানের এ প্রবাদপুরুষের জন্ম হয়েছিল ১৪৭৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি, পোল্যান্ডে—এমন ধারণাই প্রচলিত। পোল্যান্ডের তুরিন শহরে ধনী এক ব্যবসায়ী পরিবারে তাঁর জন্ম।
১৭ বছর বয়সে কোপারনিকাস ক্রাকাউ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। এরপর তিনি ইতালির বলোনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ধর্ম আইন পড়া শেষ করার পাশাপাশি বিখ্যাত গণিতবিদ ও পণ্ডিতদের কাছ থেকে গণিত ও জ্যোতির্বিদ্যা বিষয়েও পারদর্শিতা অর্জন করেন। পরে তিনি পদুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন ও চিকিত্সাবিজ্ঞানে পড়াশোনা করেন।
১৬ শতকেই জ্যোতির্বিদ নিকোলাস কোপারনিকাস জানিয়েছিলেন, পৃথিবী সূর্যের চারদিকে আবর্তিত হয়। ওই সময় ধারণা করা হতো, বিশ্বের কেন্দ্রেই আছে আমাদের পৃথিবী।
কোপারনিকাসের এ বৈপ্লবিক ধারণা সেসময়ের যাজকেরা মানতে পারেননি। ১৫৪৩ সালের মে মাসে গবেষণারত অবস্থায় তাঁকে হত্যা করা হয়। মারা যাওয়ার সময় তাঁর বৈপ্লবিক এ গবেষণাপত্র তাঁর হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
পোল্যান্ডের বাল্টিক কোস্টের ফ্রমব্রোক ক্যাথেড্রালের মেঝের নিচে তাঁকে সমাহিত করা হয়। সেসময়ের ধর্মযাজকেরা কোপারনিকাসের নতুন তত্ত্ব ধর্মবিরোধী বলে মানতে না পারলেও পরে তাঁর সে গবেষণা সত্য প্রমাণিত করেছেন গবেষকেরা। গবেষকেরা প্রমাণ করেছেন, সৌরজগতের প্রাণকেন্দ্র সূর্য। আর সূর্যকে কেন্দ্র করেই ঘুরছে পৃথিবীসহ অন্যান্য গ্রহ। কোপারনিকাসের গবেষণায় কোনো ভুল ছিল না।
৫০০ বছর আগে জ্যোতির্বিদ নিকোলাস কোপারনিকাসের যে আবিষ্কারকে বাতিল করে দিয়েছিলেন রোমান ক্যাথলিক চার্চের যাজকেরা, ২০১০ সালে এসে সেই সময়ের একজন নায়ক হিসেবে তাঁকে আবার সম্মানের সঙ্গে পুনরায় সমাধিস্থ করেছেন পোলিশ যাজকেরা।
২০০৫ সালে খুঁজে পাওয়া তাঁর মাথার খুলি ও হাড়; যেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল, সেখানেই আবার ধর্মীয় রীতি মেনে তাঁকে সমাধিস্থ করেন যাজকেরা। প্রচলিত আছে, কোপারনিকাস ওই গির্জাতেই চিকিত্সক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

হ্যাক হয়েছে বার্গার কিংয়ের টুইটার অ্যাকাউন্ট

যুক্তরাষ্ট্রের ফাস্টফুড প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বার্গার কিংয়ের টুইটার অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হয়েছে। অবশ্য কে বা কারা এ হ্যাকিং করেছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানায়নি প্রতিষ্ঠানটি। খবর বিবিসি অনলাইনের।
হ্যাকাররা বার্গার কিংয়ের টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে সেখানে আরেকটি ফাস্টফুড কোম্পানি ম্যাকডোনাল্ডসের লোগো বসিয়েছে। হ্যাক হয়ে যাওয়া অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করা হয়েছে যে, বার্গার কিং কিনে নিয়েছে ম্যাকডোনাল্ড।
হ্যাক হয়ে গেছে বলে টুইটার কর্তৃপক্ষের কাছে @BurgerKing নামের এ অ্যাকাউন্টটি বাতিল করে দেওয়ার অনুরোধ করেছে বার্গার কিং কর্তৃপক্ষ। বার্গার কিংয়ের ফেসবুক পাতায় ক্ষমা প্রার্থনা করার কথাও জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফাস্টফুড নির্মাতাপ্রতিষ্ঠানটি।
বার্গার কিং কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হ্যাক হয়ে যাওয়ায় এ অ্যাকাউন্টটি নিয়ে তাদের আর কিছু করার নেই।

টেইলরের দারুণ শতক, নিউজিল্যান্ড ২৬৯

স্ব-আরোপিত নির্বাসন থেকে ফিরেই শতকের দেখা পেলেন রস টেইলর।তাঁর অনবদ্য এক শতকের ওপর ভর করেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে স্কোরবোর্ডকে দারুণ চেহারা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ধীর হলেও নির্ধারিত ৫০ ওভারে কিউইদের সংগ্রহ ২৬৯ রান। টেইলরের ব্যাট থেকে এসেছে ১০০ রান। ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ৭৪ ও কেইন উইলিয়ামসনের ৩৩ রান টেইলরের পাশাপাশি বড় সংগ্রহে রাখে সহায়ক ভূমিকা।
নেপিয়ারে আজ ভোরে টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নিয়েছিলেন ইংলিশ অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক। অধিনায়কের সিদ্ধান্তটি যে ভুল ছিল না, তা প্রমাণে বেশি সময় নেননি ইংলিশ বোলাররা। প্রথমেই দলীয় ২১ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড। ওই পরিস্থিতিতে উইলিয়ামসনের সঙ্গে ৭২ এলিয়টের সঙ্গে ৫২ ও ম্যাককালামের সঙ্গে ১০০ রানের তিনটি দারুণ জুটি গড়ে দলকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যান রস টেইলর। ১১৭ বলে গড়ে তোলা টেইলরের ১০০ রানের ইনিংসটিতে ছিল নয়টি চার ও একটি ছয়ের মার।
জেমস অ্যান্ডারসন ছিলেন সবচেয়ে সফল ইংলিশ বোলার। তিনি ৩৪ রানের বিনিময়ে তুলে নেন ৫ উইকেট। এছাড়াও ক্রিস ওকস ৩টি এবং স্টিভেন ফিন ও স্টুয়ার্ট ব্রড তুলে নেন একটি করে উইকেট।
এদিকে এই প্রতিবেদন লেখার সময় নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহের জবাব দিতে মাঠে নেমেছিল ইংলিশরা। অবশ্য তাদের রান সংগ্রহের গতি কিছুটা ধীর। সাত ওভার শেষে ২৭ রান সংগ্রহ করলেও ইংল্যান্ডের স্বস্তির বিষয় যে তারা কোনো উইকেট হারায়নি। 

১১০০ কোটি টাকা হাতিয়ে দেশ থেকে লাপাত্তা

টেরিটাওয়েল (তোয়ালেজাতীয় পণ্য) উৎপাদক বিসমিল্লাহ গ্রুপ দেশের পাঁচটি ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে প্রায় ১১০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। অর্থ হাতাতে হল-মার্কের মতোই কৌশল নেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরও নতুন ফন্দিফিকির। ব্যাংক খাতে এই নতুন কেলেঙ্কারির আলোচনা এখন সর্বত্রই।
বিসমিল্লাহ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হচ্ছেন খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরী। চেয়ারম্যান তাঁর স্ত্রী নওরীন হাসিব। তাঁরা দুজনই এখন দেশের বাইরে। ব্যাংকিং সূত্রগুলো বলছে, প্রায় ১১০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে গেছেন গ্রুপটির মালিকেরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, জালিয়াতিতে বিসমিল্লাহর যাত্রা অবশ্য শুরু হয়েছিল হল-মার্কের আরও আগে। তবে এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যে টাকার অঙ্কে তারা হল-মার্ককে ছাড়াতে পারেনি। কিন্তু ভুয়া রপ্তানি দেখানো, বিদেশে প্রতিষ্ঠান তৈরি করে তার মাধ্যমে অতিমূল্যায়ন করে বাংলাদেশ থেকে আমদানি এবং এর মাধ্যমে রপ্তানিকে উৎসাহিত করতে সরকারের দেওয়া নগদ সহায়তা হাতিয়ে নেওয়ার মতো পন্থা তৈরি করে হল-মার্ক থেকে এগিয়ে গেছে বিসমিল্লাহ। এর পাশাপাশি হল-মার্কের মতোই নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের খোলা স্থানীয় এলসি (ঋণপত্র) দিয়ে আরেক (এটাও নিজস্ব) প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি নিয়ে বিল তৈরি করে (অ্যাকোমুডেশন বিল) তা ব্যাংকে জমার মাধ্যমে অর্থ বের করে নেওয়া হয়েছে।
বিসমিল্লাহর লেনদেনের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে ইতিমধ্যে ব্যাংকগুলো থেকে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত হয়েছেন। এর মধ্যে একটি ব্যাংকের একজন উপব্যবস্থাপনা পরিচালকও রয়েছেন। সর্বশেষ তথ্য অনুসারে এই ঋণ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে রাষ্ট্রমালিকানাধীন জনতা, বেসরকারি প্রাইম, শাহজালাল, প্রিমিয়ার, যমুনা ও সাউথইস্ট ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ পরিদর্শনে অনিয়ম ও জালিয়াতির সব চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। নতুন এই কেলেঙ্কারির ফলে ব্যাংক খাতের ওপর যাতে কোনো বিরূপ প্রভাব না পড়ে সে জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক ভেতরে ভেতরে ব্যাংকগুলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে বেশ কিছু সমন্বয়ও হয়েছে।
জালিয়াতির নানা কৌশল: বিসমিল্লাহ গ্রুপের অন্যতম দুটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে বিসমিল্লাহ টাওয়েলস ও আলফা কম্পোজিট টাওয়েলস। আলফা টাওয়েলস ২০১২ সালের ২৪ এপ্রিল থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত প্রাইম ব্যাংকের মতিঝিল শাখা থেকে ৯২ কোটি ৫৯ লাখ টাকার ৮২টি রপ্তানি বিলের বিপরীতে ২৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা ঋণ নেয়। একইভাবে বিসমিল্লাহ টাওয়েলসের ২৭ মে থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত ৮৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকার ৬১টি রপ্তানি বিলের বিপরীতে প্রাইম ব্যাংক ২৬ কোটি ৭১ লাখ টাকা ঋণ দেয়।
নিয়ম অনুসারে পণ্য জাহাজীকরণের পর ১২০ দিনের মধ্যে এই বিলের টাকা দেশে আসার কথা। কিন্তু তা দেশে প্রত্যাবাসন হয়ে আসেনি। সবগুলো রপ্তানিই হয়েছে এলসি (ঋণপত্র) নয়, চুক্তির (এক্সপোর্ট বা সেল কন্ট্রাক্ট) বিপরীতে। মজার ব্যাপার হলো, ক্রেতা ও বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান সবগুলোর মালিকপক্ষ একই। বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, চুক্তিগুলোতে দেখা যায় সরবরাহকারী হিসেবে আলফা কম্পোজিট ও বিসমিল্লাহ টাওয়েলসের নাম রয়েছে। আর আমদানিকারক হিসেবে দুবাইয়ের ব্যাঙ্গলুজ মিডলইস্টের নাম আছে। সরবরাহকারী দুই কোম্পানির পক্ষে কোম্পানির চেয়ারম্যান নওরীন হাবীব স্বাক্ষর করেছেন। আর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর থাকলেও নাম বা সিল দেওয়া নেই। ফলে সত্যতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
এখানেই শেষ নয়। প্রথম আলোর নিজস্ব অনুসন্ধানে হাতে এসেছে সিঙ্গাপুর ও দুবাইয়ের ব্যাঙ্গলুজের কিছু প্রমাণাদি। যাতে দেখা যাচ্ছে, খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরী এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক।
বাংলাদেশ ব্যাংক এই ৫৫ কোটি ৪২ লাখ টাকার ঋণকে গুণগতমানে ক্ষতিজনক পর্যায়ে খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত করতে বলেছে প্রাইম ব্যাংককে।
আবার বিসমিল্লাহ টাওয়েলস ও আলফা কম্পোজিট টাওয়েলস প্রাইম ব্যাংক থেকে স্বীকৃত বিলের বিপরীতে ১৭৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকার ঋণ সৃষ্টি করে। নির্ধারিত সময়ে তা পরিশোধ না হওয়ায় পরে তা ফোর্ডস ঋণ তৈরি করে ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ ক্ষেত্রে ফোর্সড ঋণকে পরিশোধের অতিরিক্ত সময় দেওয়ায় এই পুরো অর্থই ক্ষতিজনক পর্যায়ে খেলাপি চিহ্নিত করতে বলেছে। এটা কেবল প্রাইম ব্যাংকের গুলশান শাখার মাধ্যমে অর্থ জালিয়াতির তথ্য।
অন্যদিকে, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ৬৪ কোটি ৮১ লাখ টাকার ৬৭টি রপ্তানি বিলের মূল্য দীর্ঘদিন ধরে পরিশোধ করা হয়নি। আবুধাবি কমার্শিয়াল ব্যাংকে বিলগুলো সংরক্ষিত রয়েছে। আমদানিকারক গ্রাহক বিলগুলো সংগ্রহ না করায় ২০১২ সালের ৫ ডিসেম্বর আবুধাবি কমার্শিয়াল ব্যাংক চিঠি দিয়ে রপ্তানি ডকুমেন্টসমূহ (প্রমাণাদি) ব্যাংকের কাছে ফেরত পাঠিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলেছে, এখানে রপ্তানিকারক, আমদানিকারক ও ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার যোগসাজশে ভুয়া ডকুমেন্ট তৈরি করে রপ্তানির বিপরীতে (ফরেন ডকুমেন্ট বিল পারচেজ বা এফডিবিপি) ব্যাংক থেকে এই অর্থ আত্মসাৎ করেছে বলে প্রতীয়মান হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসব ঋণের মধ্য থেকে প্রিমিয়ার ব্যাংককে ৫৯ কোটি ২১ টাকার ঋণকে খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত করতে নির্দেশ দিয়েছে।
বিভিন্ন ব্যাংকে দায়দেনা ও শাস্তি: বিসমিল্লাহ গ্রুপ এভাবে নানা ফন্দিফিকির করে জনতা ব্যাংক থেকে মোট (ফান্ডেড বা ঋণ ও নন ফান্ডেড বা গ্যারান্টি জাতীয়) ঋণ সৃষ্টি করেছে ৩৯২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, প্রাইম ব্যাংকে এক শাখাতেই ৩০৬ কোটি ২২ লাখ টাকা, যমুনা ব্যাংকে ১৬৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা, শাহজালাল ব্যাংকে ১৪৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ও প্রিমিয়ার ব্যাংকে ৬২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
এই সব জালিয়াতির কারণে যমুনা ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল হোসেন ও দিলকুশার শাখা ব্যবস্থাপককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রিমিয়ার ব্যাংকের মতিঝিল শাখার ব্যবস্থাপককে বরখাস্ত করে প্রধান কার্যালয়ে কয়েক দিন আটকে রাখা হয়। পরে ফৌজদারি মামলা করে তাঁকে থানায় হস্তান্তর করা হয়। প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, প্রধান কার্যালয়ের যথাযথ পর্যালোচনা ও যাচাই ছাড়াই এই ঋণের অনুমোদন হয়। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ২০১১ সালে ১৩ নভেম্বর আলফা কম্পোজিটের অনুকূলে ২২ কোটি টাকার ঋণসীমা অনুমোদনও করে। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের তদারকি ও মনিটরিংয়ের ব্যর্থতার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছে। প্রাইম ব্যাংক, জনতা ও শাহজালাল ব্যাংকে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে।
এসব বিষয়ে যমুনা ব্যাংকের সদ্য যোগ দেওয়া এমডি শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর সঙ্গে কথা বলছি। কীভাবে টাকাটা আদায় করা যায় তা সম্মিলিতভাবেই করণীয় ঠিক করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, তাঁরা শুনেছেন দুবাইতে সোলেমান চৌধুরী হোটেল ব্যবসা করছেন। তাঁর সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে।
জনতা ব্যাংকের এমডি এস এম আমিনুর রহমান বলেন, তাদের হিন্দুল ওয়ালি টেক্সটাইল মিল ও আলফা কম্পোজিট মিলে ঋণ আছে। এই দুই প্রতিষ্ঠানেরই রপ্তানি কার্যক্রম চলছে। তবে প্রত্যাবাসনে কিছুটা ধীরগতি আছে। উল্লেখ্য, হিন্দুল ওয়ালিও বিসমিল্লাহর স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান।
আর প্রিমিয়ার ব্যাংকের এমডি মাজেদুর রহমান বলেন, অর্থ আদায়ের বিষয়টি এখন পুরো আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে চলে গেছে।
মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী বিসমিল্লাহ গ্রুপের পরিচালক ছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তিন মাস আগে তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি থাকাকালে নানা ধরনের জালিয়াতি হয়েছে—এমন প্রশ্নে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আমি প্রশাসন দেখতাম। আর ব্যবসায়িক দিকগুলো প্রতিষ্ঠানের এমডি দেখতেন।’
মাস দুয়েক আগে চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বিসমিল্লাহ গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আকবর মুত্তাকি। যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এখন বেশির ভাগ কর্মকর্তারাই চাকরি থেকে সরে যাচ্ছেন ও গেছেন। উৎপাদন প্রক্রিয়া ঠিক আছে কি না সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কিছু হয়তো হয়। আর মালিকপক্ষ দেশে আসবে কি না প্রশ্নে জবাব মেলে বলা কঠিন, বোধ হয় না।
অন্যদিকে কয়েক দফা চেষ্টার পর প্রাইম ব্যাংকের এমডি এহসান খসরুর সঙ্গে কথা হয়। কিন্তু তিনি খেলার মাঠে রয়েছেন এবং তখন কিছু শুনতে চান না বলে ফোনটি কেটে দেন। ফলে বিষয়বস্তুও তাঁকে জানানো যায়নি।

প্রাথমিক বৃত্তির তালিকা প্রকাশ

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তি বণ্টনের তালিকা আজ বুধবার প্রকাশ করা হয়েছে। এবার মোট ৫৪ হাজার ৫৩০ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছে। এর মধ্যে মেধাভিত্তিক (টেলেন্টপুল) বৃত্তি পেয়েছে ১৯ হাজার ৯৮০ জন, আর সাধারণ বৃত্তি পেয়েছে ৩১ হাজার ৪৬৮ জন।
আজ বেলা দেড়টার দিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী আফছারুল আমীন নিজ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তালিকা প্রকাশ করেন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েব সাইটে (www.dpe.gov.bd) এই তালিকা দেখা যাবে।
মন্ত্রী জানান, ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ৯ জন, চট্টগ্রামে ১১ হাজার ২১ জন, রাজশাহীতে ৭ হাজার ৬৭৩ জন, খুলনায় ৬ হাজার ১৯৭ জন, রংপুরে ৫ হাজার ৯৮৮ জন, সিলেটে ৩ হাজার ৮৩৬ জন এবং বরিশাল বিভাগে ৩ হাজার ৮০৬ জন বৃত্তি পেয়েছে।

কত বড় হতে পারে জাহাজ

বিশ্বের কনটেইনারবাহী জাহাজের আকার বড় হচ্ছে। তবে কতটা বড় হচ্ছে, তার বিবরণ দিলে বিষয়টা বিস্ময়ের মনে হতে পারে। বলা হচ্ছে, এশিয়ায় যে পরিমাণ পণ্য উৎপাদিত হয় এবং ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে যে পরিমাণ পণ্য ভোগ করা হয়, তার বড় একটা অংশ নির্মিতব্য ‘ট্রিপল ই’ জাহাজে আনা-নেওয়া করা সম্ভব হতে পারে।
ট্রিপল ই জাহাজের নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান ডেনমার্কের মারসক লাইন। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আইভিন্ড কোল্ডিং জানান, প্রাথমিকভাবে ১০টি জাহাজ নির্মাণ করা হচ্ছে। আগামী বছরের মধ্যে এর সব কটিই সাগরে ভাসানোর কথা। এর একটি আগামী জুনে সাগরে ভাসবে। জাহাজটির দৈর্ঘ্য ৪০০ মিটার, প্রস্থ ৫৯ মিটার, উচ্চতা ৭৩ মিটার।
ট্রিপল ই জাহাজ তৈরি করতে ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ারের প্রায় আট গুণ ইস্পাত ব্যবহার করা হয়েছে। আর জাহাজটি ২০ ফুটের (টিইইউ) ১৮ হাজার মালবাহী কনটেইনার ধারণ করতে পারবে।
জাহাজের সেই কনটেইনারগুলোকে যদি নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে রাখা হয়, তাহলে তা সেখানকার বিলবোর্ড ও সড়কবাতির খুঁটি, এমনকি ভবনের চেয়েও উঁচু হয়ে যাবে। সহজ করে বলা যায়, জাহাজের ফাঁকা কনটেইনারগুলোর ভেতরে যে পরিমাণ জায়গা থাকবে, তাতে অনায়াসে ৩৬ হাজার গাড়ি রাখা যাবে।
সত্তরের দশকেও ইউএলসিসি নামের ৪০০ মিটারের কনটেইনারবাহী জাহাজ নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে সাগরে চলাচলের এক দশক পূর্ণ করার আগেই সেগুলো বিকল হয়ে যায়। অপেক্ষাকৃত ছোট কয়েকটি ইউএলসিসি এখনো চলাচল করছে।
২৫ বছর আগে নির্মাণ করা হয় পোস্ট-পানামাম্যাক্স নামের কনটেইনারবাহী জাহাজ। সেটি ২০ ফুটের (টিইইউ) চার হাজার ৩০০ কনটেইনার বহন করতে পারত। গত নভেম্বরে সাগরে ভাসানো হয় মার্কো পলো নামের জাহাজ। এটি ১৬ হাজার ২০টি কনটেইনার বহনে সক্ষম।