Wednesday, April 20, 2011

সোনমের 'গুডি বয়'!

তবে কি শেষ পর্যন্ত সুপাত্রের সন্ধান পেয়ে গেছেন বলিউড অভিনেত্রী সোনম কাপুর? অন্তত কাছের বন্ধুদের কাছে নাকি এমনটাই বলে বেড়াচ্ছেন 'আই হেট লাভ স্টোরিজ'খ্যাত এই তারকা। বলিউড চিত্রনির্মাতা পুণিত মালহোত্রার মাঝে নিজের 'মিস্টার পারফেক্ট' খুঁজে পেয়েছেন সোনম-সম্প্রতি এমন গুজবই চাউর হয়েছে বলিউড টিনসেলে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, 'আই হেট লাভ স্টোরিজ' ছবির পরিচালক পুণিতের সঙ্গে ছবিটিতে কাজ করেছেন সোনম। পুণিতের স্বভাব নাকি বিলকুলই সোনমের উল্টা এবং পুণিতের স্বভাবের এই বৈপরীত্যই নাকি সোনমকে তার কাছে এনে দিয়েছে। সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, পুণিত এমনিতেই খুব নরম স্বভাবের। সোনমের প্রতি অনেক বেশি কেয়ারিংও তিনি। সমপ্রতি সোনম অসুস্থ হয়ে পড়লে পুরোটা সময়ই নাকি তার পাশে ছিলেন পুণিত। আর এর মধ্য দিয়ে সোনমের বাবা অনিল কাপুরের মনও তিনি জয় করে নিয়েছেন।
এদিকে জানা গেছে, সোনম এমন একজন বয়ফ্রেন্ড খুঁজে পাওয়ায় কাপুর পরিবারের সদস্যরাও নাকি বেশ খুশি। সব মিলিয়ে অনেকেই মন্তব্য করেছেন, অদূর ভবিষ্যতেই হয়তো শানাইয়ের সুর বেজে উঠবে এই জুটির জীবনে।

এই দল দিয়েই বিশ্বকাপ জেতা সম্ভব

বিদায় শব্দটির অন্তরালে সব সময়ই লুকিয়ে থাকে কষ্ট, বেদনা আর যন্ত্রণা। যেকোনো বিদায়ই কাঁদায়। বিদায় মানেই হৃদয়ে রক্তক্ষরণ। তবে কাল বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে কাঁদেননি কোচ জেমি সিডন্স। কিন্তু তার চোখ ছলছল করছিল, আর তা দেখে বোঝার বাকি থাকে না। বাংলাদেশ দলের সঙ্গে সাড়ে তিন বছরের স্মৃতি কী সহজেই ভোলা যায়। তাই তো বিদায় বেলায় সিডন্স বললেন, 'আমি এই দেশ এবং এখানকার সাধারণ মানুষকে ভালবেসে ফেলেছি।' গতকাল এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সিডন্সের হাতে একটি ক্রেস্ট তুলে দেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ সময় তিনি বলেন, 'সিডন্স অনেক ভালো কোচ। তার দ্বারা দলের অনেক উন্নতি হয়েছে। তাকে পেয়ে আমরা গর্বিত। চুক্তি শেষ। আমি অনেক ভাগ্যবান। দলের এমন পর্যায়ে বিসিবি প্রধানের পদে আছি। এখন নতুন কোচ আসবে। তবে সিডন্সের অবদান ভোলার মতো নয়।' অনুষ্ঠানে ছিলেন বিসিবির মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন চেয়ারম্যান জালার ইউনুস এবং বিসিবির সিইও মঞ্জুর আহমেদ ছাড়াও অন্যান্য বোর্ড কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তবে ছিলেন না কোনো ক্রিকেটার। এ সময় গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বলেন, 'সিডন্স দলকে একটি নির্দিষ্ট মজবুত অবস্থানে নিয়ে গেছে। ক্রিকেটাররা এখন মানসিক দিক দিয়ে অনেক শক্ত হয়েছে।' ভাগ্যই বটে সিডন্সের! কেননা এই প্রথম বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচ আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায়ী সংবর্ধনা পেলেন তিনি। এর আগে মুদাচ্ছের নজর, মহিন্দর অমরনাথ, গর্ডন গ্রিনিজ, এডি বার্লো, ট্রেভার চ্যাপেল, মহসিন কামাল ও ডেভ হোয়াটমোর বিদায়ী সংবর্ধনার পরিবর্তে তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়েই দেশে ফিরেছেন। তাই বিদায়বেলায় বিসিবির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন তিনি। সিডন্স বলেন, 'বাংলাদেশে আমি অসাধারণ সময় কাটিয়েছি। আন্তর্জাতিক দলের কোচ হওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য বিসিবির কাছে আমি কৃতজ্ঞ।' তবে সিডন্স চুম্বক কথাটি বলেছেন কয়েকদিন আগে। তিনি বাংলাদেশ দল সম্পর্কে বলেছেন, 'বর্তমানে এই দলের ক্রিকেটারদের গড় বয়স ২২-২৩। আগামী চার বছরে এই দল আরও পরিণত হবে। আমার বিশ্বাস সঠিক পথে পরিচালিত করলে এ দলই বিশ্বকাপ জিততে পারে।' হোয়াটমোরের বিদায়ের পর ২০০৭ সালের অক্টোবরে দায়িত্ব নেন সিডন্স। তার তত্ত্বাবধানে ৮৪ ওয়ানডে খেলেছে বাংলাদেশ। ৩১টি ম্যাচে জয়, আর হার ৫৩। ১৯ টেস্টে জয় ২টি। বাংলাদেশের মতো তরুণ দলের জন্য এই সাফল্য ছোট করে দেখার উপায় নেই। আগামী শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিবেন সিডন্স। এখনো নতুন চাকরি ঠিক হয়নি। তবে বিদায়বেলায় জানালেন নিউজিল্যান্ড নতুন ঠিকানা হয়ে যেতে পারে।

দুশ্চিন্তায়...

 দুশ্চিন্তা যেন পিছু ছাড়ছে না বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠীর। আইপিএল ক্রিকেট লীগে তার দল রাজস্থান রয়েলস একের পর এক ম্যাচ হারছে। এতে মনোকষ্টে ভুগছেন শিল্পা। বিশেষ করে শাহরুখ খানের দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপরীতে পরপর দু'ম্যাচে তার দল হেরে যাওয়ায় আরও ভেঙে পড়েছেন তিনি। তাই কেকেআর'র সঙ্গে দ্বিতীয় ম্যাচের সময় মাঠেই ছিলেন না তিনি। অথচ প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রাজস্থান। যাই হোক, শিল্পা এখন তাকিয়ে আছেন পরবর্তী ম্যাচগুলোর দিকে।

Tuesday, April 19, 2011

প্রতারণার দায়ে যুক্তরাষ্ট্রে তিনটি ওয়েবসাইট বন্ধ

প্রতারণা, মানি লন্ডারিংয়ের পাশাপাশি অবৈধভাবে জুয়া খেলা পরিচালনার অভিযোগে তিনটি ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। এ ছাড়া অনলাইনে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কেনাবেচার নামে ব্যবহারকারীদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে ওয়েবসাইটগুলোর বিরুদ্ধে। ফুল টিল্ট পোকার, পোকার স্টার ও অ্যাবসলিউট পোকার নামের এই সাইটগুলো মূলত অনলাইনভিত্তিক জুয়া খেলার ওয়েবসাইট হিসেবে পরিচিত। শুধু ওয়েবসাইট তিনটি বন্ধ করাই নয়, অবৈধভাবে জুয়া খেলা পরিচালনার মাধ্যমে লেনদেন করা অর্থ ফিরে পাওয়ার জন্য ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার জরিমানাও করা হয়েছে তাদের। 

অন্ধত্ব সারাতে ইনজেকশন

এটাকে বিশাল বড় ঘটনাই বলতে হবে। বিজ্ঞানীরা একটি নতুন ইনজেকশন আবিষ্কার করেছেন, যা দিয়ে অন্ধত্ব সারানো সম্ভব। অন্তত বিজ্ঞানীরা তা-ই দাবি করছেন। যুক্তরাজ্যের ব্র্যাডফোর্ডে অবস্থিত ইয়র্কশায়ার চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের নেতৃত্বে বহুজাতিক একটি দল নতুন ধরনের ইনজেকশনটি উদ্ভাবন করেছেন। ইতিমধ্যে তাঁরা এ ইনজেকশন পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করে ভালো ফল পেয়েছেন। আর এ চিকিৎসায় খরচ হবে দুই হাজার পাউন্ড স্টার্লিং। সানডে এঙ্প্রেস পত্রিকায় গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। গতকাল সোমবার এ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতের পত্রিকা টাইমস অব ইন্ডিয়া।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিজ্ঞানীরা এমন একটি জৈবযৌগ উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছেন, যা বহু হরমোন এবং ভিটামিন-ডি'র সমন্বয়ে গঠিত। যা প্রয়োগে চোখের রেটিনায় উদ্দীপনাময় প্রবাহ সৃষ্টি হয়। এ জৈবযৌগটি চোখের পেছন দিকের কোনো শিরায় রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে গেলে যে আকস্মিক দৃষ্টিহীনতা দেখা দেয় তা প্রতিরোধে সক্ষম।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ চিকিৎসা পদ্ধতি সফলভাবে ব্যবহার করা গেলে ডায়াবেটিস ও বার্ধক্যজনিত দৃষ্টিহীনতা নিবারণে তা সহায়ক হবে। প্রতিবেদনে বলা হয়, এ চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহারে ইতিমধ্যে কয়েকজন রোগীর দৃষ্টিহীনতা দূর হয়েছে। এঁদের মধ্যে দুজন হলেন, ৫২ বছর বয়সী ক্যারল জনিস এবং ৮৩ বছর বয়সী মার্গারেট শিয়ার্ড।

ইয়র্কশায়ার চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসাবিজ্ঞানী শফিক রেহমান বলেন, এ গবেষণার ফলাফলকে 'বিস্ময়কর' উল্লেখ করে বলেন, দৃষ্টিহীনতা দূর করতে তা আরো ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা যাবে। লিডস হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের কনসালট্যান্ট অলিভার ব্যাকহাউস এ উদ্ভাবনকে স্বাগত জানান। আর যুক্তরাজ্যের রয়্যাল ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ব্লাইন্ড পিপল এ ঘটনাকে বড় ধরনের অগ্রগতি বলে অভিনন্দন জানিয়েছে। 

নতুন জেনেলিয়া

পাল্টে যাচ্ছেন বলিউড অভিনেত্রী জেনেলিয়া ডি সুজা। দুষ্টু স্বভাবের মিষ্টি মেয়ের চরিত্রে আর নয়। এবার তিনি অভিনয় করবেন অ্যাকশনধর্মী ছবির মারদাঙ্গা চরিত্রে। সম্প্রতি নতুন একটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন জেনেলিয়া। ছবির নাম 'ঊর্মি'। নির্মাণ করবেন সন্তোষ সিবা। আর এই ছবিতে নাম ভূমিকায় রয়েছেন এই সুহাসিনী। গল্পটি একটি মুসলিম পরিবারকে নিয়ে। জেনেলিয়ার বিপরীতে ছবিতে অভিনয় করবেন দক্ষিণী নায়ক পৃথি্বরাজ সুকুমারন। ছবিটি নির্মিত হবে মালায়াম, তামিল আর ইংলিশ ভাষায়। 

নগর বিড়ম্বনা

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে এরকম দৃশ্য প্রায়ই দেখা যায়। সাপ হাতে কিছু মহিলা ভয় দেখায় পথচারীদের। টাকা দাবি করে। তারা পেশায় বেদে। তাদের সাপ খেলায় মানুষের আর আগ্রহ নেই। অর্থ কামাইয়ের বিকল্প পথ হিসেবে এই পথ বেছে নিয়েছে তারা। এদের সাবধানে এড়িয়ে চলুন।

ক্রিকেটার শাহরুখ

এলেন, দেখলেন এবং জয়ও করলেন।

আরও স্পষ্ট করে বললে, জয় হলো সেই 'অভিনয়'-এরই। কি-না করলেন শাহরুখ খান। ম্যাচের পর সারা মাঠ পরিক্রমা। দর্শকদের উদ্দেশে ফ্লাইং কিস। এগুলো করেই থাকেন। কিন্তু অবাক হতে হলো, যখন পুলিশের দড়ি টপকে হঠাৎ উইকেটের কাছে চলে গেলেন তিনি। পাশের উইকেটে তখন প্র্যাকটিস সারছেন ইউসুফ পাঠান। হঠাৎ হাতে বল তুলে নিলেন 'কিং খান'। স্পিনারের ভঙ্গিমায় দৌড়ে এসে একের পর এক বল করতে শুরু করলেন পাঠানকে। ইউসুফও তখন ধুমধাড়াক্কা পেটাচ্ছেন শাহরুখকে। গ্যালারিজুড়ে দর্শক তখন ক্রিকেটার শাহরুখকে দেখে আনন্দে মাতোয়ারা। তখনো হয়তো কেউ জানেন না, আরও কি স্মরণীয় মুহূর্ত অপেক্ষা করছে।
পাঠান ব্যাট করছিলেন। হঠাৎ তার পিঠে হাত দিয়ে ডাকলেন একজন। পাঠান মুখ ফিরিয়ে দেখেন দাঁড়িয়ে আছেন সুনীল গাভাসকার। চাইতে হলো না, পাঠান নিজেই ব্যাটটা তুলে দিলেন গাভাস্কারের হাতে। শাহরুখ বল করছেন, ব্যাটে গাভাসকার।
না, এখানেও শেষ নয়। হঠাৎ দেখা গেল বল হাতে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন শেন ওয়ার্ন। ওয়ার্নকে দেখেই বুদ্ধিমান গাভাসকার ব্যাটটা তুলে দিলেন শাহরুখের হাতে। চার-পাঁচটা বল। অবাক করার মতো বিষয়, শাহরুখ দুটো বল বাউন্ডারির বাইরেও পাঠালেন। বিস্মিত ওয়ার্ন দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরলেন বলিউড বাদশাকে। মোট কথা, রাজস্থান রয়েলসকে নাস্তানাবুদ করে কলকাতা নাইট রাইডার্সের রবিবারের জয়ে ইডেন হয়ে রইল বেশ কিছু স্মরণীয় মুহূর্তের সাক্ষী। যা হয়তো দাদা-হীন [সৌরভ গাঙ্গুলি] ইডেনের পরম প্রাপ্তি।
কিছুতেই মেলানো যাচ্ছিল না ছবিটা। এই তো সপ্তাহও হয়নি। ফাঁকা গ্যালারি, ফাঁকা ইডেন। লোক হয়নি দেখে বিস্মিত শাহরুখ রাত একটায়ও 'কেঁদে' যাচ্ছেন। সৌরভহীন ইডেন যে তাকে এভাবে ধাক্কা দেবে, ভাবতেই পারেননি। প্রথম দিনই বুঝে গিয়েছিলেন, 'দাদা'-কে মাঠে না আনতে পারলে সর্বনাশ। তাই চেষ্টাও করেছিলেন_ পারেননি। যাই হোক, পরের খেলায় স্টেডিয়ামজুড়ে উপচেপড়া ভিড়। তাই শাহরুখ নিজে বল-ব্যাট করে দর্শকদের বাড়তি আনন্দ দিলেন। দর্শকও হেসে-খেলে মাঠ ছাড়লেন।



আংটি চুরি ( Pop singer Sakira )


মেক্সিকোতে এক কনসার্টে গাওয়ার সময় পপতারকা শাকিরার হাতের আংটি চুরি করেছেন তারই এক ভক্ত। কনসার্টে গান গাওয়ার এক ফাঁকে শাকিরা তার ভক্তদের মাঝে হাঁটছিলেন। সে সময় ওই ভক্ত শাকিরার সঙ্গে করমর্দনের সুযোগে আংটিটি ছিনিয়ে নেন। প্রাথমিক অবস্থায় তিনি আংটি চুরির ঘটনাটি বুঝতে পারেননি। কনসার্ট শেষ হওয়ার পর আঙ্গুলে আংটি না দেখে বিচলিত হন তিনি। পরে তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই আংটিটি আমার বয়ফ্রেন্ডের দেওয়া। অন্য সব অলঙ্কার হারিয়ে গেলে আমার কষ্ট হতো না। পরবর্তী সময়ে ইউটিউবে এ ঘটনার একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। সেখানে দেখা গেছে, আংটি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাটি। আর তা দেখে প্রচণ্ড অবাক হয়েছিলেন শাকিরা। তবে তারপরও পারফরমেন্স বন্ধ না করে গান চালিয়ে গেছেন তিনি। এই আংটিটি শাকিরাকে দিয়েছিলেন তারই বয়ফ্রেন্ড ও ফুটবল তারকা জেরার্ড পিক।

কালো গোলাপ আছে, নাকি নাই?

রূপকথার রাজ্যে রাজা, রানী, দৈত্য, দানব, উড়ন্ত পক্সখীরাজ ঘোড়া আরও কত কি-ই না আছে! রূপকথার পৃথিবী শুধু শিশু নয় ছোট-বড় সবার কাছেই ভীষণ প্রিয়। সেই রূপকথার রাজ্যের আরেক রাজার নাম 'ব্লাক রোজ'। ব্লাক রোজ বা কালো গোলাপ কিংবদন্তি হয়ে আছে প্রায় শত বছর ধরে। আজও সে আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করছে। একটা সময় কালো গোলাপ নিয়ে মাতামাতির অন্ত ছিল না। উনিশ শতকের গোড়ার দিকে ফ্লাওয়ার্স ল্যাঙ্গুয়েজ সৃষ্টি হয়। এ সময় কালো গোলাপ মৃত্যু, ঘৃণা, বিদায় এবং ভয়ের প্রতীক হয়ে ওঠে। শুধু তাই নয়, জীবনের লম্বা সময় অতিবাহিত করাকেও কালো গোলাপ দিয়ে বোঝানো হতো। তবে কালো গোলাপ যে শুধু খারাপ অর্থেই ব্যবহার হতো, তা নয়। খুব প্রিয় বন্ধুকে বা যুদ্ধে গমনরত সৈনিককেও কালো গোলাপ দেওয়া হতো আগের দিনে। কিন্তু সত্য হলো, যে কালো গোলাপ নিয়ে এত মাতামাতি, প্রকৃতপক্ষে তার কোনো অস্তিত্ব আছে কি? সত্যিই নেই। অনেকটা 'মোল্লার গরু খাতায় আছে, গোয়ালে নেই' অবস্থা আর কি। তাই কালো গোলাপকে রূপকথার গোলাপ বলাই বোধ হয় ভালো। কালো গোলাপ নামে কোনো ফুলই নেই। কালো টিউলিপ নামে যে ফুলকে আমরা চিনি, সেটা আসলে খুব গাঢ় বেগুনি রংয়ের ফুল। আর যুগ যুগ ধরে মানুষ যেটাকে কালো গোলাপ বলে জানে, সেটা আসলে গাঢ় লাল রংয়ের গোলাপ। যুগে যুগে কালো গোলাপ ধ্বংস-রহস্যময়তা ও মোহিনীশক্তির প্রতীক হিসেবেও স্বীকৃতি পেয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসী সৈন্যরা কালো গোলাপকে কল্যাণের প্রতীক হিসেবে গণ্য করত। এছাড়া কালো গোলাপ নিয়ে রচিত হয়েছে রোমান্স ও রহস্যময় গল্প। তৈরি হয়েছে ইন দ্য ফরেস্ট অব দ্য নাইট, ডেমন ইন মাই ভিউ, কার্টারেড মিরর, মিডনাইট প্রিবেটরের মতো সায়েন্স ফিকশন। আমাদের দেশেও তৈরি হয়েছে 'কালো গোলাপ' নামে একটি বাংলা সিনেমা। ভিক্টোরিয়ান যুগে কালো গোলাপের প্রচলন ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। ফ্যাশন সচেতনদের তালিকায় ঠাঁই নেয় কালো গোলাপ। বিশ শতকে শৈল্পিক নিদর্শনের দৃষ্টান্ত হিসেবেও কালো গোলাপ বিশেষ মূল্য পায়। অনেকের মতে কালো গোলাপের অভাবনীয় ও অনৈসর্গিক রং আধ্যাতিক শক্তিসম্পন্ন হওয়ার প্রত্যাশায় মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে। প্রাচীন যুগেও নাকি অভিজাত তরুণীদের স্নানঘরে সৌরভের জন্য রাখা হতো কালো গোলাপ। সম্প্রতি চীনের উদ্ভিদবিজ্ঞানীরা গবেষণা করে উৎপন্ন করেছেন নীল গোলাপ। অদূর ভবিষ্যতে হয়তো তারা সত্যি সত্যিই কালো গোলাপ উৎপন্ন করবেন।