Monday, April 18, 2011

হট গার্ল ইয়ানা ( Hot Girl Yana Gupta)

মুনি্ন ও শিলাদের ভিত কাঁপাতে আবারও বলিউডের গানে অভিনয় করতে যাচ্ছেন ইয়ানা গুপ্তা। 'বাবুজি... জারা ধীরে চলো' খ্যাত ভারতীয় বংশোদ্ভূত চেকপ্রজাতন্ত্রের এই অভিনেত্রী নিজেকে শীর্ষ আইটেম গার্ল বলে দাবি করেন। তার মতে, ফিল্মপাড়ার সবচেয়ে আবেদনময়ী আইটেম গার্ল তিনি। অভিনয়ে উত্তাপ ছড়ানোর ক্ষেত্রে যে কোনো অভিনেত্রীর চেয়ে তিনি এগিয়ে। এরকম চরিত্রে তার সামনে আর কেউ নেই

দুই পকেটমার

মফস্বলের এক বৈশাখী মেলা থেকে পকেট মারে তাজিন আহমেদ আর হুমায়রা হিমু। যে লোকের পকেট তারা মারে তার পকেট থেকে পাওয়া যায় একটি মানিব্যাগ আর একটি মোবাইল। মানিব্যাগে ছিল ওই লোকের একটি বাচ্চার ছবি। সে ছবি দেখে তাজিনের অতীতের কিছু ইতিহাস মনে পড়ে এবং তারা সিদ্ধান্ত নেয়, জিনিসপত্রগুলো ওই লোকের কাছে ফিরিয়ে দেবে। এমনি করে চলে নাটকের গল্প। সাইফুল বারীর গল্প অবলম্বনে নাট্যরূপ দিয়েছেন ওমর ফারুক এবং পরিচালনা করেছেন শাহাদত আলম ভুবন। 'এক মেলা দুই পকেট' শিরোনামের নাটকটিতে আরও অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত। নাটক প্রসঙ্গে হিমু জানান, জামিলা আর কামিলা গ্রাম থেকে শহরে এসেছে। ভাগ্যের পরিহাসে আজ তারা পকেটমার। তবে অন্য পকেটমারের চেয়ে তারা কিছুটা ব্যতিক্রম। আশা করি, নাটকটি সবার ভালো লাগবে।

দুধের ইউনিয়ন কানিহারি

চরবাঘাদারিয়া গ্রামের গোলাম মোস্তফা (৩৫)। ছয়-সাত বছর আগে মোস্তফার সংসারের অবস্থা তেমন ভালো ছিল না। কৃষিকাজের পাশাপাশি মহিষ ও গাভী পালন শুরু করেন তিনি। মহিষ আর গাভীর দুধ বিক্রি করে গোলাম মোস্তফার এখন হয়েছে পাকা বাড়ি। অর্থনৈতিকভাবে তিনি এখন স্বাবলম্বী। বর্তমানে গোলাম মোস্তফার দুধেল ৬টি মহিষ রয়েছে। শুধু গোলাম মোস্তফা নয়, গফরগাঁও-ময়মনসিংহ খানবাহাদুর ইসমাইল রোডের ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার কানিহারি ইউনিয়নের প্রায় ১৪টি গ্রামকে বলা চলে দুধের গ্রাম। চরবাঘাদারিয়া, ডাকবাঘাদারিয়া, বাঘাদারিয়া, থাপনহালা, গোবিন্দপুর, দেওপাড়া, কুষ্টিয়া, সুলতানপুর, বেরতা, তালতলা, কানিহারি, বরকান্দা ও বহুলিয়াকান্দা গ্রামসহ পুরো ইউনিয়নের প্রায় ৩ হাজার পরিবার মহিষ ও গাভীর দুধ বিক্রি করে সংসার চালায়। তবে একটু সম্পদশালী মানুষ কৃষি কাজও করে। এ ইউনিয়নের নতুনবাজার ও আহম্মদাবাদ বাজারে প্রতিদিন বসে দুধের হাট। বেপারিরা দুধ কিনে নিয়ে যায় ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, মোহনগঞ্জ, শেরপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। প্রতিদিন ভোর থেকেই দুধওয়ালা বেপারিরা কাঁধে বার নিয়ে ছুটে চলে দুধ ক্রয় করতে। গত মঙ্গলবার কথা হয় দুধ বেপারি রমজান মিয়ার (৪৫) সঙ্গে। তিনি জানান, প্রতিদিন নতুন বাজার ও আহম্মদাবাদ বাজার থেকে প্রায় দুই আড়াইশ মণ দুধ বিক্রি হয়। কানিহারি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রতন বলেন, দুধ ব্যবসায়ী সমিতির রেজিস্ট্রিভুক্ত সদস্য সংখ্যা শতাধিক। গাভী ও মহিষ পালন করতে খরচের তুলনায় দুধের দাম কম পায় পালনকারীরা। এছাড়া দুধের দাম প্রায় সময় উঠানামা করে। এখন অবশ্য দুধের দাম একটু ভালো বলে তিনি জানান। আহম্মদাবাদ বাজারের ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম জানান, আগে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথের আহম্মদাবাদ রেলস্টেশনে কয়েকটি ট্রেন থামত। বর্তমানে একটি ট্রেনের স্টপেজ রয়েছে। তাও এই ট্রেন কখন আসে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাই বিভিন্ন স্থানে দুধ পরিবহনে সমস্যা হয় তাদের। চরবাঘাদারিয়া গ্রামে মহিষ ও গাভী পালন করেন মফিজ উদ্দিন। বর্তমানে তার ৩৫টি মহিষ রয়েছে বলে জানান। তিনি বলেন, প্রতিদিন এসব মহিষ ও গাভী ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে চরে দলবেঁধে নিয়ে যেতে হয়। নাজনীন (২৫) নামে এক গৃহবধূ। তার স্বামী ছাদিকুর রহমানকে দুধেল গাভী পালনে সহায়তা করেন। এমনকি দুধ দোহানোর কাজ করেন গ্রামের অনেক গৃহবধূ। গত মঙ্গলবার সরেজমিন দেখা যায়, ব্রহ্মপুত্র নদের ওপাড়ে শত শত মহিষের বাতান। গাভী ও মহিষ পালনে ব্যস্ত রাখালরাও। হতদরিদ্র আ. জব্বারের বাড়িভিটা ও একটি দুধেল মহিষ সম্বল। এ মহিষের দুধ বিক্রি করে চলে সংসার। নতুন বাজারের ব্যবসায়ী হারুন বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হলে এ ইউনিয়নের দুধ বিক্রির সঙ্গে জড়িতদের সমস্যার সমাধান হতো।

ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে খেলতে চায় পাকিস্তান

ভারতের সঙ্গে ক্রিকেট সম্পর্ক নতুন করে শুরু করার জন্য যেন উন্মুখ হয়ে পড়েছে পাকিস্তান। কিছুদিন আগে তাদের অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদি বলেছিলেন, পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের আইপিএলে সুযোগ দেওয়া উচিত তাহলে দু'দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে। এবার ভারতের সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজ আয়োজনের জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। তারা পাকিস্তান কিংবা অন্য যেকোন দেশে ভারতের সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজ আয়োজনের জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
পাকিস্তান চেয়েছিল টেস্ট সিরিজ আয়োজন করতে। তবে ভারতের ব্যস্ত ক্রিকেট শিডিউলের জন্য তা এ বছর কোনভাবেই সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চিফ অপারেটিং সুবহান আহমেদ। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ' এ বছর যে পূর্ণাঙ্গ টেস্ট সিরিজ আয়োজন সম্ভব নয় তা আমরাও বুঝি। কিন্তু পাক-ভারত ক্রিকেট বন্ধনকে আবারো জোড়া লাগাতে এ বছরের কোন এক সময় পাকিস্তানে বা অন্য কোথাও পাঁচটি কিংবা তিনটি ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ আয়োজন করতে আমরা খুবই আগ্রহী।' তিনি আরো বলেন, 'আমরা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে এ বিষয়ে ই-মেইলের মাধ্যমে আমাদের ইচ্ছার কথা জানিয়েছি। তারাও জবাব দিয়েছে। তবে এখন তারা আইপিএল নিয়ে ব্যস্ত। তাই আইপিএল শেষ হয়ে গেলে আমরা এ বিষয়ে আলোচনা শুরু করব।'

যুবরাজের দিনে দিল্লির জয়

যুবরাজ সিংয়ের দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের পরও হেরেছে তার দল পুনে ওয়ারিয়র্স। তিন ম্যাচে প্রথম জয়ের দেখা পেল শেবাগের দিল্লী ডেয়ার ডেভিলস। হেরেও শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে পুনে। বিশ্বকাপের সেরা ক্রিকেটার যুবরাজ তার পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা রয়েছে আইপিএলেও। কাল ৩২ বলে ৬৬ রানের সাইক্লোন ইনিংসের পর বল হাতেও নিয়েছেন চার উইকেট। দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন পুনের ওপেনার জেসে রাইডারও। যুবরাজ ও রাইডারের জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে ১৮৭ রান করে পুনে। কিন্তু শেবাগের ব্যাট হাসলে যে দুর্গম পথ হয়ে যায় পুষ্পসজ্জা। তাই কিনা কাল পুনের দেয়া ১৮৭ রানের পাহাড়েও অনায়াসে পেঁৗছে গেল দিল্লী ডেয়ার ডেভিলস। শেবাগ ২৩ বলে করেন ৩৭ রান। এই জয়ে পয়েন্ট তালিকার তলানি থেকে এক ধাপ উপরে উঠে এলো শেবাগের দল।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল নির্বাচনে অস্বচ্ছতার অভিযোগ

আগামী মাসে নিজেদের দেশে পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি টি-২০, পাঁচটি ওয়ানডে ও দুটি টেস্ট ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড। দল থেকে বাদ পড়েছেন ক্রিসে গেইল, শিবনারায়ণ চন্দরপল ও রামনরেশ সারওয়ানের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা। আর জায়গা করে নিয়েছেন অনেকগুলো তরুণ ক্রিকেটার যাদের অনেকেরই এখনো আন্তর্জাতিক অভিষেকই হয়নি। পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী একটি দলের বিপক্ষে এমন একটি দল নির্বাচনকে ঘিরে অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলেছেন দেশটির ক্রিকেটারদের সংগঠন ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডবি্লউআইপিএ)।
ডবি্লউআইপিএ দল নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে প্রধানত দেশ সেরা ওই তিন ক্রিকেটারকে বাদ দেওয়ার কারণেই। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি জানায়, 'খেলোয়াড় নির্বাচনে সাধারনত গুরুত্ব দেওয়া হয় পারফরমেন্স, প্রস্তুতি ও ফিটনেসের উপর। এটি বেশ উদ্বেগের কারণ যে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে দল নির্বাচনে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে অজানা কোন বিষয়। তাই খেলোয়াড়দের অন্য বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত।'
তবে ডবি্লউআইপিএর এ অস্বচ্ছতার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড। বোর্ডের প্রধান নির্বাহী আর্নেস্ট হিলারী বলেন, 'দলের সিনিয়র খেলোয়াড়দের বাদ দেওয়ার বিষয়টিকে অতিরঞ্জিত করে তুলে ধরা হচ্ছে। ব্যাপারটি আর কিছুই নয়, বোর্ডের নতুন নির্বাচন নীতি অনুসারে আগামী দুই বছর সীমিত ওভারের আন্তর্জাতিক ম্যাচে অনভিজ্ঞদের সুযোগ দেওয়ার জন্যই এমনটি করা হয়েছে।'

আবারো ঝলসে উঠলেন সাকিব

বিশ্বকাপে নামের প্রতি সুবিচার করে পারফর্ম করতে পারেননি বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। সদ্য সমাপ্ত অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজেও নিজের ছায়া থেকে বের হয়ে আসতে পারেননি তিনি। তাই বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডারের মুকুটটিও হারাতে হয়েছে তাকে। আর সেই ক্ষোভেই কিনা আইপিএলে বারবার ঝলসে উঠছেন সাকিব। নিজের প্রথম ম্যাচে জয়পুরে রাজস্থানের বিরুদ্ধে ৩১ রানে নিয়েছিলেন ২ উইকেট। গতকাল আবারো সেই রাজস্থানের বিরুদ্ধেই কোলকাতার ইডেন গার্ডেনে পেলেন ২ দুই উইকেট। তবে গতকাল সাকিবের সামনে সুযোগ এসেছিল হ্যাটট্রিকের। হ্যাটট্রিক করতে না পারলেও বাংলাদেশের অধিনায়কের পারফরম্যান্সে দারুণ খুশি কলকাতাবাসী। তাছাড়া সাকিব প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে আইপিএলের পরপর দুই ম্যাচে মাঠে নামলেন। এর আগে মাশরাফি ও আশরাফুল একটি করে ম্যাচ খেলেছিলেন। তবে সাকিবের যে পারফরম্যান্স তাতে পরের ম্যাচেগুলোতেও কোলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে তিনি যে মাঠে নামবেন _তা অনেকটা নিশ্চিতই বলা যায়।
গতকাল কলকাতার বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ৮১ রানে অলআউট হয় রাজস্থান রয়্যালস। ৩ উইকেট নিয়েছেন কলকাতার বালাজি। ৮২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে কোলকাতা নাইট রাইডার্স অধিনায়ক গৌতম গম্ভীরের ৩৫ ও মনোজ তিওয়ারির ৩০ রানে ৩৭ বল হাতে রেখেই সহজে ৮ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। এ জয়ের ফলে কোলকাতা চার খেলায় ছয় পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠে এল।

কে হচ্ছেন ক্রিকেটে নতুন কোচ

জেমি সিডন্সের পালা শেষ। আগামী জুন মাসে তার সঙ্গে চুক্তি শেষ হচ্ছে। তবে তিনি যে আর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের কোচ থাকছেন না তা পুরোপুরি নিশ্চিত হয়ে গেছে। ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাহী কমিটির সভায় পরিচালকরা সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জেমির বদলে নতুন কোচ নিয়োগ দেওয়া হবে। মিডিয়া ম্যানেজার জালাল ইউনুস বলেছেন, এখন থেকেই তারা কোচ খোঁজা শুরু করে দিয়েছেন। কথা হচ্ছে নতুন কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেবেন কে? বিদেশি না দেশি কাউকে পছন্দের তালিকায় রেখেছেন, এ ব্যাপারে বিসিবির কেউ মুখ না খুললেও তারা বিদেশি কোচকে প্রাধান্য দিচ্ছেন তা তাদের কথা-বার্তায় বোঝা যাচ্ছে। বিসিবি নির্দিষ্ট করে কারও নাম উচ্চারণ না করলেও দক্ষিণ আফ্রিকার খ্যাতনামা ক্রিকেটার জন্ডি রোর্ডসের নাম জোরালোভাবে শোনা যাচ্ছে। বোর্ড সভাপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল নাকি ব্যক্তিগতভাবে তাকেই পছন্দ করছেন। অবশ্য বোর্ডের আগ্রহ থাকলেও জন্ডি রাজি হবেন কিনা তা দেখার বিষয় রয়েছে। কেননা বিশ্বকাপের আগে আফ্রিকান এ ক্রিকেটারকে ফিল্ডিং কোচের দায়িত্ব দিতে চেয়েছিল বিসিবি। সবকিছু ঠিকঠাকও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু পারিশ্রমিক জটিলতার কারণে জন্ডি আর বাংলাদেশে উড়ে আসেননি। কোচের তালিকায় নিউজিল্যান্ড ও ভারতীয় এক সাবেক ক্রিকেটারের নামও শোনা যাচ্ছে।
এদিকে আবার বেশ কজন পরিচালক নাকি মত দিয়েছেন দেশের সাবেক কোনো ক্রিকেটারকে কোচের দায়িত্ব দিতে। দায়িত্ব থেকে অব্যাহত নেওয়া জাতীয় দলের ডেপুটি কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের নাম প্রস্তাবও করেছেন কেউ কেউ। গেল প্রিমিয়ার লিগে সুজনের প্রশিক্ষণে আবাহনী শিরোপা জয় করে। তাছাড়া ডেপুটি কোচের দায়িত্ব পালন একেবারে খারাপও করেননি। অনেক ক্রিকেটারই সুজনের কর্মকাণ্ডে ভূয়সী অবশ্য সুজনের দায়িত্বটা স্বল্প না দীর্ঘমেয়াদি হবে তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। এ কারণে কিছুদিন আগে এক টিভি চ্যানেলে সুজন স্পষ্ট করেই বলেছেন, কোচের দায়িত্ব নিতে তার আপত্তি নেই। এ যোগ্যতা তার ভালো মতোই রয়েছে। কিন্তু তাকে দায়িত্ব দিলে বেশ কটি শর্ত দেবেন বিসিবিকে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে তার চুক্তির মেয়াদ দীর্ঘমেয়াদি হতে হবে। সুজন বলেন, বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য দেশি, কোচের ভাষা একটা বড় ফ্যাক্টর, ক্রিকেটাররা অনেক সময় ভাষা বোঝার না কারণে ঠিকমতো অনুশীলন করতে পারে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশে তো দীর্ঘ দিন ধরেই বিদেশি কোচের প্রশিক্ষণ রয়েছে। কিন্তু মানের দিক দিয়ে তো আহামরি কোনো পরিবর্তন ঘটছে না। উদাহরণ হিসেবে তিনি সিডন্সের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, চার বছর ধরে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরও জেমিতো মানের দিক দিয়ে বড় কোনো পরিবর্তন ঘটাতে পারেনি। অথচ তার পেছনে অঢেল অর্থতো ব্যয় হয়েছে। যাক দেশি বা বিদেশি হোক ক্রিকেটে বাংলাদেশ একজন নতুন কোচ খুঁজে পাচ্ছে। কথা উঠেছে যিনিই দায়িত্ব পান না কেন, তাকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হবে কিনা? অমর নাথ, গ্রিনিজ, হোয়াইটমোর বা জেমি বাংলাদেশ যে কজন আলোচিত কোচ ছিলেন তাদের দায়িত্বে কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ রয়েছে। তারপর আবার কোচকে কর্মকর্তারা এমনভাবে ব্যবহার করেন যে যোগ্যতা না থাকার পরও তারা কোনো কোনো ক্রিকেটারকে জাতীয় দলে খেলার সুযোগ করে দেন। যার পরিণামে মাঠে ফলাফর তেমন সুখকর হয় না। সুতরাং দেশের কথা চিন্তা করে কর্মকর্তাদের ব্যাপারটি গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

'ওপেনিং বা ওয়ানডাউনেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি'

সুখ-দুঃখ, ভালো-মন্দ, উত্থান-পতন_ সবকিছুকে সঙ্গী করেই বহতা নদীর মতো বয়ে চলে জীবন। সৃষ্টির শুরু থেকে প্রতিটি মানুষের জীবনেই চলছে আলো-আঁধারের অদৃশ্য খেলা। আলোর নিচে যেমন লুকিয়ে থাকে অন্ধকার, ঠিক তেমনি দুঃখের পরেই অপেক্ষা করে সীমাহীন সুখ। তাই তো সাহসীরা জীবনের উত্থান-পতনকে খুব স্বাভাবিক একটি ঘটনা বলেই মেনে নেন। কষ্টের সময় তারা কখনো লক্ষ্যভ্রষ্ট হন না। প্রকৃত সাহসীরা কখনো পরাজয় বরণও করেন না। আত্মবিশ্বাসই তাদের সম্বল। এমনি একজন সাহসী, আত্মবিশ্বাসী ক্রিকেটার শাহরিয়ার নাফিস। ২০০৫ সালে অভিষেকের পর থেকে ছয় বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে উত্থান-পতন এসেছে। পাড়ি দিতে হয়েছে অনেক বন্ধুর পথ। কিন্তু নাফিস তার লক্ষ্যে ছিলেন অবিচল। তাই তো 'আইসিএল' নামক ঝড় তার বর্ণাঢ্য ক্রিকেট ক্যারিয়ার থেকে দুই বছর কেড়ে নিলেও ঠিকই আবার দলে জায়গা করে নিয়েছেন স্বীয় প্রতিভায়। কিন্তু দলে তার সেই আগের অবস্থান (ওপেনিং) এখনো ফিরে পাননি। এখন তাকে ব্যাটিংয়ে নামতে হয় তিন অথবা চার নম্বরে। তবে এ নিয়ে মাথাব্যথা নেই তার। দলের জন্য পারফরম্যান্স করতে পেরেই দারুণ খুশি নাফিস। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, 'ব্যাটিং পজিসন নিয়ে সমস্যা নেই। আমি ওপেনার হলেও গত দুই বছর ঘরোয়া লিগে তিন নম্বরে ব্যাটিং করেছি। সদ্য সমাপ্ত অস্ট্রেলিয়া সিরিজেও তিন নম্বরে ব্যাটিং করেছি। আবার বিশ্বকাপে চার নম্বরে খেলেছি। তাছাড়া আমার কাছে এক এবং তিন নম্বর ব্যাটিং অর্ডারের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। তবে আমি ওপেনিং অথবা ওয়ানডাউনে ব্যাটিং করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।'
২০০৭ ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপে শাহরিয়ার নাফিস ছিলেন হাবিবুল বাশারের ডেপুটি। সে আসরে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করে খেলতে না পারলেও এবার ঘরের মাটিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ নিয়ে তার স্বপ্ন ছিল অনেক। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, 'ইচ্ছা ছিল অনেক ভালো করার। কিন্তু আমি সুযোগ পেয়েছি শেষ দুটি ম্যাচে খেলার। তার মধ্যে একটি ম্যাচে ভালো করেছি। নেদারল্যান্ডের বিরুদ্ধে সে ম্যাচে দলও জয় পেয়েছে। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আমি ভালো করতে পারিনি। দলও মাত্র ৭৮ রানে অলআউট হয়েছে। তাই খুব খারাপ লেগেছে।'
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স নিয়ে দর্শকদের অসন্তুষ্টি থাকলেও নাফিস তা মানতে রাজি নন। তিনি বলেন, 'টার্গেট অনুযায়ী তিনটি জয় তো আমরা পেয়েছি। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হার দুটি খুব বাজে হয়েছে এটা সত্য।'
সদ্য সমাপ্ত অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজে বাংলাদেশ 'হোয়াইটওয়াশ' হওয়ার লজ্জা পেলেও শেষ দুটি ম্যাচেই হাফ সেঞ্চুরি করেছেন নাফিস। তাই বাতাসে গুঞ্জরিত হচ্ছে এবার নাফিসের কাঁধেই আসছে অধিনায়কত্বের গুরুদায়িত্ব। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, 'আমি ওসব নিয়ে কোনো চিন্তা করছি না। আমার টার্গেট ভালো খেলা। আপাতত আমার সব চিন্তা ব্যাটিং নিয়ে, ক্যারিয়ারের উন্নতি নিয়ে। কিভাবে ব্যাটিং করলে আরও উন্নতি করা যাবে, কিভাবে ফিল্ডিং করলে আরও ভালো ফিল্ডার হতে পারব এ নিয়েই আমি ব্যস্ত থাকতে চাই। তাছাড়া আমার দৃষ্টিতে সাকিব তো ভালোই দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে।'

বর্তমানে ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে কোচ নিয়ে। জেমি সিডন্সের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এখন নতুন কে হচ্ছেন তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। কোচ দেশি হোক বা বিদেশি কেউ হোক তা নিয়ে যেন মাথাব্যথা নেই নাফিসের। তিনি বলেন, 'কোনো কোচের সঙ্গে খেলতে আমার অসুবিধা হয়নি, আশা করছি হবেও না। তাই এ বিষয় নিয়ে আমার বলার কিছু নেই। কোচ যেই হোক না কেন আমার লক্ষ্য থাকে তার কাছ থেকে শতভাগ আদায় করে নেওয়া। আগেও আমি এই কাজটিই করেছি, ভবিষ্যতেও করব।'
বাংলাদেশের পরবর্তী সিরিজ জুলাইয়ে, জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে। এর আগে প্রায় তিন মাস সময় পাবেন ক্রিকেটার। এই সময়টা কিভাবে অতিবাহিত করবেন? এ প্রশ্নে নাফিস বলেন, 'প্রথম এক সপ্তাহ বিশ্রাম নেব। তারপর এক মাস ফিটনেস ট্রেনিং করব। তারপর বাকি সময়টা ব্যাটিং প্র্যাকটিস করব। তবে আমার মনে হয় কয়েক দিনের মধ্যেই বিসিবি থেকে অফিসিয়ালি কোনো নির্দেশনা দিতে পারে।'
বিশ্বকাপে ৫৮ ও ৭৮ রানের দুটি লজ্জা। তারপর অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে 'হোয়াইটওয়াশ'_ সব মিলে একটা খারাপ সময় পার করছেন ক্রিকেটাররা। এমন সময় ক্রিকেটারদের কি করা উচিত? এ প্রশ্নে বাংলাদেশ দলে সিনিয়র এ ক্রিকেটার বলেন, 'সবাই আমরা এমনিতেই কঠোর পরিশ্রম করি। তবে আমাদের পরিশ্রমের মাত্রা আরও অনেক বাড়াতে হবে। প্রত্যেকটি সুযোগ যতাযথ ব্যবহার করতে হবে। আর তাহলে এমনিতেই ফলাফল ভালো হবে বলে আমি মনে করি।' অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ফিরে পাওয়া আত্মবিশ্বাসটা আগামী জিম্বাবুয়ে সফরে দারুণ কাজে আসবে বলে মনে করেন শাহরিয়ার নাফিস।

Sunday, April 17, 2011

টেন্ডুলকারের সেঞ্চুরি মানেই দলের হার!

আইপিএলে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি করেও দলকে জেতাতে পারলেন না টেন্ডুলকার!
‘আর কত বিস্ময় জমা রেখেছেন শচীন টেন্ডুলকার’—এই প্রশ্নটাও এখন পুরোনো হয়ে গেছে। বর্তমানে ক্রিকেট-বিশ্বের সবচেয়ে ‘পুরোনো’ ক্রিকেটার রাঙিয়ে যাচ্ছেন খেলাটির নবতম সংস্করণও। তিন অঙ্কের দেখা কেন পাচ্ছিলেন না, এটাই ছিল বিস্ময়ের। অবশেষে পেলেন। তাঁর শততম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরির অপেক্ষায় যখন পুরো ক্রিকেট-বিশ্ব, টেন্ডুলকার তুলে নিলেন টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সেঞ্চুরি। দেখালেন বয়স ৩৮ ছুঁইছুঁই হতে পারে, কিন্তু এখনো শেখার ক্ষুধাটা মরে যায়নি। প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির দিনে টেন্ডুলকারের ব্যাট থেকে বেরোলো প্রথম ‘হেলিকপ্টার শট’, দেখা গেল আরও কিছু আনঅর্থোডক্স শট।
তবে দিন শেষে তাঁর প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি ছাপিয়ে বড় হয়ে উঠছে দলের পরাজয়। টেন্ডুলকারের সেঞ্চুরি মানেই দলের পরাজয়—ক্যারিয়ারজুড়েই এই অপবাদ তাঁর সঙ্গী। গত বছর দুয়েকের অতিমানবীয় পারফরম্যান্সে একটু চাপা পড়ে গিয়েছিল। গুঞ্জনটা আবার উঠেছে বিশ্বকাপ থেকে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরিতে হারতে হারতে টাই করল ভারত, হারল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। পরশু প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড় গড়ল মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। কিন্তু সঙ্গী সেই হারের বেদনা। গুঞ্জনটা তাই আরেকটু জোরালো হচ্ছে—টেন্ডুলকারের সেঞ্চুরি মানেই দলের পরাজয়।
দ্বিমত করার মতো কাউকে খুব একটা মনে হয় পাওয়া যাবে না। তবে প্রচলিত এই কথার সত্যতা কতটুকু? পরিসংখ্যান কিন্তু এই দাবিকে খুব একটা সমর্থন করছে না। আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরিগুলোর কথাই ধরুন। টেন্ডুলকারের ৫১ টেস্ট সেঞ্চুরির মাত্র ১১টিতেই হেরেছে ভারত, জিতেছে ২০টিতে। বাকি ২০টিতে ড্র। ‘টেন্ডুলকার সেঞ্চুরি করলেই দল হারে’—এই কথাটা সবচেয়ে বেশি শোনা যায় ওয়ানডেতে। অথচ এই অপবাদটা কতটা অন্যায্য দেখুন, ৪৮ ওয়ানডে সেঞ্চুরির ৩৩টিতেই কিন্তু জিতেছে ভারত! হার আছে ১৩টি, কিন্তু ৪৮ সেঞ্চুরির ১৩টিতে হার কি খুব বেশি কিছু! হয়তো টেন্ডুলকার বলেই ব্যাপারটা বেশি করে চোখে লাগে। হয়তো তাঁর অতিমানবীয় কীর্তিগুলো এখন এতটাই স্বাভাবিক হয়ে গেছে যে আলাদা কিছু মনে হয় না, বরং সামান্য ছিদ্রগুলোকেই বড় বলে মনে হয়!
এর চেয়েও বড় কথা, দল হারলে টেন্ডুলকারের কতটুকুই বা করার আছে, নিজের দায়িত্ব তো তিনি শতভাগই পালন করছেন! অবশ্য সংশয়বাদীরা এসব মানবেন কেন? পরশুর পর তাঁরা বরং পেয়ে গেছেন নতুন হাতিয়ার। টেন্ডুলকার সেঞ্চুরি মানেই দলের হার, টি-টোয়েন্টিতে এই কথাটা তো শতভাগ সত্যি!
এই দিনেই অবশ্য একটা সুখবরও শুনেছেন টেন্ডুলকার। ভারতরত্নটা মনে হয় পেয়ে যাচ্ছেন ‘ভারতের রত্ন।’ ভারতের ক্রীড়ামন্ত্রী অজয় মাকান জানিয়েছেন, ভারতরত্ন পাওয়ার মানদণ্ডে ক্রীড়াকেও অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে। সুপারিশ যদি মেনে নেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সবার আগে তো টেন্ডুলকারেরই পাওয়ার কথা!