Sunday, April 17, 2011

সাকিবে মুগ্ধ শাহরুখ

বাংলাদেশ সদ্যসমাপ্ত সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার কাছে 'হোয়াইটওয়াটশ' হওয়ার পর সবার ধারণা ছিল সাকিবকে কলকাতা নাইট রাইডার্সের অতিরিক্ত তালিকাতেই থাকতে হবে। তাছাড়া রাজস্থানের বিরুদ্ধে মাঠে নামানোর তো প্রশ্নই ওঠে না। কেননা রাজস্থানের তারকা ক্রিকেটার শেন ওয়াটসন কয়েকদিন আগেই যেভাবে বাংলাদেশি বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালিয়েছেন, তাই সাকিবকে না নেওয়াটা স্বাভাবিকই ছিল। তবে সে াতের বিপরীতে দাঁড়িয়েও যে সাকিব অস্ট্রেলিয়ার সিরিজে ভালো করেছেন, তাই 'কিনা পাছে লোকে কিছু বলে' তা চিন্তা না করে বাংলাদেশের অধিনায়ককে একাদশে রেখেছিলেন কলকাতার কোচ ডেভ হোয়াটমোর। সাকিবও তার সাবেক গুরুর সম্মান রেখেছেন দুই উইকেট নিয়ে। তাছাড়া ফর্মের তুঙ্গে থাকা শেন ওয়াটসনের উইকেটটি নিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। ঠিক সময়মতো ওয়াটসনকে আউট করতে না পারলে রাজস্থানের রান যে আরও অনেক বেশি হতো তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই প্রথম ম্যাচেই দুই উইকেট পাওয়ায় সাকিবের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট কলকাতা নাইট রাইডার্সের মালিক বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। সাকিবের ওপর দারুণ খুশি কলকাতার দর্শকও। আর এ কারণেই আজকের ম্যাচেও মাঠে দেখা যেতে পারে বাংলাদেশের অধিনায়ককে। ইডেন গার্ডেনে ফিরতি ম্যাচে আজ রাজস্থান রয়েলসের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে কলকাতা নাইট রাইডার্স।
তিন ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শাহরুখের দল ইতোমধ্যেই পয়েন্ট তালিকার চতুর্থ স্থানে চলে এসেছে ।

Saturday, April 16, 2011

'স্কাট তিশমা'র ইংরেজি গানে বর্ষবরণ

পরনে ছিল তার কালো রঙের মিনি স্কার্ট। উদ্ধত ভঙ্গিতে নাচছিলেন তিনি। এসেছিলেন বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করতে। অথচ কণ্ঠে ছিল তার ইংরেজি গান : 'ইটস মাই লাইফ'! পাঠক কথা হচ্ছে শিল্পী তিশমাকে নিয়ে। বৃহস্পতিবার নন্দন পার্কে 'প্রাণ ফ্রুটো' (একটি সফট ড্রিয়ং কোম্পানি) আয়োজিত বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে গান করতে এসেছিলেন এই শিল্পী। নন্দন পার্ক থেকে বিকালবেলা সরাসরি অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করা হয়। অনুষ্ঠানে শিল্পী তিশমার গাওয়া বিদেশি ভাষার গান ও পরিহিত পোশাকের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন পার্কে আগত দর্শক ও টিভি দর্শকরা। এদিন বৈশাখের উদযাপনে নন্দন পার্কে পরিবার-পরিজন নিয়ে হাজির হন হাজারো মানুষ। তাদের অনেকেই বৈশাখের দিন শিল্পী তিশমার পরিহিত পোশাক ও অন্য সংস্কৃতির গাওয়া গানে বিব্রত বোধ করেন। নন্দন পার্ক থেকে আগত দর্শক আসাদুর রহমান গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিন অফিসে ফোন করে এই প্রতিবেদককে বলেন, 'নববর্ষের দিন মা ও পরিবারকে নিয়ে গিয়েছিলাম নন্দন পার্কে । কিন্তু তিশমার উদ্ধত পরিবেশনায় বিব্রত হতে হয়। শিল্পীর গান পরিবেশনার একপর্যায়ে বাধ্য হয়েই পরিবারকে নিয়ে পার্ক থেকে বের হয়ে আসি।' আসাদুর বলেন, বছরের প্রথম দিনে অপসংস্কৃতি কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির গান পরিবেশন করা গেলেই দর্শকরা অনুষ্ঠানটি উপভোগ করতেন।

সাকিব আল হাসানকে অভিনন্দন

আইপিএলে কলকাতার নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলতে নেমে নিজের প্রথম ওভারেই উইকেট তুলে নিলেন সাকিব আল হাসান। তাকে অভিনন্দন জানাতে ছুটে এলেন অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর

সোনাক্ষির জয়জয়কার

দাবাং ছবি দিয়েই বলিউড কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী সোনাক্ষি সিনহা। জানিয়েছিলেন তার আগমনী বার্তা। ইতোমধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন ভক্তদের হৃদয়ে। এবার নাচের মাধ্যমে মাতালেন মঞ্চ। সম্প্রতি মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় তিনটি আইটেম গানে নাচেন সোনাক্ষি। মনোমুঙ্কর নাচ দেখে সবাই তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। এক্ষেত্রে কেউ কেউ তাকে হালের সেনসেশন দীপিকার চেয়েও এগিয়ে রাখেন। সোনাক্ষির এই জয়জয়কার কতদিন থাকে সেটাই দেখার অপেক্ষা।

রগচটা শোয়েব!

ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই নানা কারণে বিতর্কিত হয়েছেন পাকিস্তানের শোয়েব আকতার। বিতর্কের সেই ধারাবাহিকতা এবারের বিশ্বকাপেও বজায় ছিল। গ্রুপ পর্যায়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে রস টেলরের দুটি ক্যাচই ফেলে দেন উইকেটকিপার কামরান আকমল। পরবর্তীতে টেলরের ব্যাটিং কারিশমাই ত্বরান্বিত করে পাকদের পরাজয়। রাগের বশে বিরতির সময় কামরানকে লাথি মারেন শোয়েব। পরিণতিতে পরবর্তী ম্যাচগুলোতে তাকে আর প্রথম একাদশে দেখা যায়নি।

রণবীরের নতুন নায়িকা

অনুরাগ বসুর বহু প্রতীক্ষিত ছবি 'বরফি'তে দেখা যাবে এক নতুন নায়িকাকে। কলকাতায় এসে অনুরাগ জানিয়েছিলেন, নতুন নায়িকা হিসেবে তিনি বাঙালি মুখ খুঁজছেন। কিন্তু শেষমেশ তিনি বাঙালি নন, নায়িকা নিয়েছেন ভারতের দক্ষিণ থেকে। নায়িকার নাম ইলিনা ডি'ক্রুজ। তামিল ছবির একজন জনপ্রিয় নায়িকা তিনি। এবার অভিনয় করবেন রণবীর কাপুরের বিপরীতে। ছবিতে দেখা যাবে রণবীরকে পাওয়ার জন্য প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার সঙ্গে যুদ্ধ করছেন তিনি। ছবির শুটিং শুরু হয়েছে।

তরমুজ কাহিনী

গ্রীষ্মের শুরু থেকেই বাজারে স্তূপাকারে সাজানো থাকে তরমুজ। জ্ঞানীর বচনে তরমুজকে বলা হয় ফলের রাজা। এ ফল ত্বক ভেজা রাখে। তরমুজ ভিটামিন 'এ' ও 'সি'-সমৃদ্ধ ফল। এর ৯৭ ভাগই জলীয় অংশ। গরমে ক্রমাগত ঘাম হওয়ার জন্য যে জলীয় অংশ শরীর থেকে বেরিয়ে যায়, তা পূরণ করতে সাহায্য করে তরমুজ। তাছাড়া তরমুজের আরও অনেক গুণ আছে। সমপ্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে তরমুজ শরীরে উত্তেজক হিসেবেও কাজ করে। কাঁঠাল আরেকটি পুষ্টিকর ফল। বাজারে প্রথমে কাঁচা কাঁঠাল ও পরে পাকা কাঁঠাল পাওয়া যায়। কাঁচা কাঁঠাল তরকারি হিসেবে বেশ ভালো, পুষ্টিকর আর সুস্বাদু। পাকা কাঁঠালে আছে শর্করা, আমিষ, ভিটামিন ও খনিজ লবণ। অনেক এলাকার মানুষ ভাতের বিকল্প পাকা কাঁঠাল খেয়ে থাকে। আর কাঁঠালের বিচিও খেতে যেমন স্বাদ তেমনি পুষ্টিগুণে অনন্য। লিচুর মৌসুম খুব বেশি সময় স্থায়ী হয় না। সুস্বাদু ফল হিসেবে এর জনপ্রিয়তাও অনেক বেশি। লিচু একটি উৎকৃষ্ট ফল। এতে আছে ভিটামিন ও খনিজ লবণ। তাই দাম বেশি হলেও যতটা সামর্থ্যে কুলায় লিচু খাওয়া উচিত।
গ্রীষ্মকালীন ফলের রাজা আম। পুরো বর্ষাজুড়েই বাজারে আমের আমদানি থাকে। তাছাড়া এ ফল সারাবছরই পাওয়া যায়। ১০০ গ্রাম পাকা আমে ১০০-১,৫০০ আইইউ ভিটামিন 'এ' থাকে। জামে লৌহ থাকে সবচেয়ে বেশি। বলা হয় জাম খেলে রক্ত পরিষ্কার হয়। আরেকটি ভিটামিন 'সি'যুক্ত ফল হলো আনারস। সর্দি-কাশি ও জ্বর হলে আনারস খেলে উপকার হয় এবং জ্বরের তাপমাত্রা কমিয়ে আনে। গরম দুপুরে শর্করা, প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ লবণসমৃদ্ধ এক গ্লাস বেলের শরবত খেলে কার না প্রাণ জুড়ায়! কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বেলের জুড়ি নেই। ছোট শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই খেতে পারেন। ১০০ গ্রাম কলায় থাকে ১৫৩ কিলোক্যালরি শক্তি ও শর্করা।

রহস্যময় নিউপোর্ট টাওয়ার

বিশ্বে রয়েছে নানা ধরনের রহস্যঘেরা জায়গা, স্থাপত্য কিংবা ভবন। রহস্যঘেরা নিউপোর্ট টাওয়ার তার মধ্যে অন্যতম। রোড দ্বীপে অবস্থিত এই পুরনো টাওয়ারটি সম্পূর্ণ পাথরের তৈরি। রোড দ্বীপের অধিবাসীরা এ জন্য এই টাওয়ারকে old Stone Mill, Viking Power, land mark Power ইত্যাদি নামে অভিহিত করে থাকে। রহস্যময় এই টাওয়ারটির উচ্চতা ২৪ ফুট, যদিও টাওয়ারটি সংলগ্ন ছোট ছোট আরও অনেক টাওয়ার রয়েছে। টাওয়ারটি ১৭ শতকের দিকে পুনরায় সংস্কার করা হলেও তৈরি করা হয়েছে ১১ শতকের দিকে। আটটি পিলার, ৬টি দরজার সমন্বয়ে নিউপট্ টাওয়ারটি তৈরি করা হয়েছে। পিলারগুলোর গায়ে ডোরাকাটা দাগে অঙ্কন করা হয়েছে নানা প্রজাতির প্রাণীর ছবি, নাম ও আরও অনেক কিছু। জিম ব্রানডন নামক একজন আমেরিকান গবেষক ও প্রকৌশলী নিউপোর্ট টাওয়ারকে কেন রহস্যজনক টাওয়ার বলা হয় এর কারণ অনুসন্ধান করার চেষ্টা করেছেন। ব্রানডন প্রাচীন এই টাওয়ারের নানা উপকরণ, লেখা, কারুকার্য নিয়ে প্রায় ১ বছর গবেষণা করে দেখেছেন যে, নিউপট্ টাওয়ারটি যে পাথর দ্বারা তৈরি করা হয়েছে তা প্রাচীন ম্যাগনেট জাতীয় পাথর। এই ম্যাগনেট জাতীয় পাথরের গায়ে রয়েছে চৌম্বক ক্ষমতা যা সহজেই লৌহ জাতীয় পদার্থকে আকৃষ্ট করতে পারে। ম্যাগনেট ছাড়াও টাওয়ারের ৩য় ও ৪র্থ তলার মানুষের পায়ের চিহ্ন, প্রাচীন নকশা, মানুষের মাথার খুলি ইত্যাদি পাওয়া যায়। এ থেকে অনুমান করা যায় যে, প্রাচীনকালে এই টাওয়ারটিতে মানুষ হত্যা করা হতো। কোনো পাপাচার বা অপরাধের জন্য অপরাধী ব্যক্তিকে এখানেই ফাঁসিতে ঝুলানো হতো বলে একাধিক সূত্রে তথ্য পাওয়া যায়। ১৯৪৬ সালে অধ্যাপক P. Lovfold নামক একজন গবেষক সুইডেন ও নরওয়েতে ১৪ ফুট উচ্চতা সমমানের টাওয়ারের অস্তিত্ব আবিষ্কার করেন। নিউপট্ টাওয়ারের সঙ্গে এদের অন্তঃমিল হলো একই ধরনের ও একই সময়ের তৈরি বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। নিউপোর্ট টাওয়ারের মাঝে যেসব হস্তলিখিত পাথর পাওয়া গেছে তা চীনা ভাষায় লিখিত বলে তাত্তি্বকরা একমত পোষণ করেন। পর্যটকদের প্রশ্ন হতে পারে নিউপোর্ট টাওয়ারটি আসলে কোথায় অবস্থিত? নিউপোর্ট টাওয়ারের অবস্থান আমেরিকায় কিন্তু তৈরি করেছেন চীনা শাসকরা। রহস্যজনক এই টাওয়ারের মাঝে এখনো মানুষের শরীরের আভাস পাওয়া যায়। কাছে থেকে মনে হয় ভেতরে কোনো যুবক দাঁড়িয়ে কাউকে কাছে ডাকছে...।

শরীরে তিলের তাৎপর্য

মানুষের শরীরের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন রকম তিল হতে পারে। স্থানভেদে এসব তিল বিভিন্ন তাৎপর্য বহন করে। কারও ক্ষেত্রে শুভ। আবার কারও ক্ষেত্রে অশুভ। এ তাৎপর্য নির্ভর করে চারটি বিষয়ের ওপর। সেগুলো হলো_ আয়তন, রং, কেশময়তা ও আকার। অর্থাৎ চারটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে ফলাফল। তিল খুব বেশি গাঢ় রংয়ের হলে ফল অশুভ। তিলের ওপর লোম বেশি হলে লক্ষণ অশুভ। স্থানভেদে এসব তিলের তাৎপর্য পাল্টে যায়। বিভিন্ন জার্নাল, পঞ্জিকা এবং এ সংক্রান্ত সর্বশেষ গবেষণালব্ধ তথ্যাদি নিয়ে লিখেছেন_ শামছুল হক রাসেল
গাল : ডান গালে তিল সৌভাগ্যের প্রতীক। বিবাহিত জীবনে এরা খুব সুখী হয়। অপরদিকে কোনো নারীর বাঁ গালে তিল থাকলে দাম্পত্য জীবন নিরানন্দে কাটে। এদের কারও কারও কাছে সাফল্য ধরা দেয় ঠিকই, কিন্তু তা বহু কাঠখড় পোড়ানোর পর। ততদিনে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য অনেক দূর চলে যায়।
চিবুক : চিবুকের যে কোনোদিকে তিল থাকা অতি সৌভাগ্যের লক্ষণ। চিবুকে তিলধারীরা খুব সহজে জনপ্রিয়তা পায়। রাজনীতিতে তাদের শক্ত অবস্থান হয়। পাশাপাশি তারা আর্থিক সৌভাগ্যবান হন। তারা প্রেমিক মনের হন। তবে অতিরঞ্জিত হওয়ার কারণে প্রেমিক-প্রেমিকার দূরত্ব বাড়ে।
কান : ডান কানে তিলধারীরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত হন। বিশেষ করে পিতা-মাতার প্রতি একনিষ্ঠ হন। বাঁ কানে তিল দায়িত্বজ্ঞানহীনতা নির্দেশ করে।
চোখ : ডান চোখের ভেতরে কিংবা আশপাশে তিল তীক্ষ্ন বুদ্ধি-বিবেচনা বোঝায়। তারা আবার কখনো কখনো নিষ্ঠুরও হন। তবে বৈষয়িক কর্মকাণ্ডে সফল হন। বাঁ চোখে তিলধারীকে সাধারণত কর্ম ও ব্যক্তিজীবনে দুর্ভোগে পড়েন। বা চোখে তিলের কারণে দাম্পত্যে সন্দেহ বাড়তে পারে। শেষ বয়সে স্বাস্থ্যহানি ঘটতে পারে।
পিঠ : পিঠে তিল থাকা উদারতার লক্ষণ। এরা দয়ালু ক্ষমতাবান সাহসী ও দৃঢ়চেতা হন। এরা যেমন পরামর্শ শোনেন, অন্যকে পরামর্শ দিতেও পছন্দ করেন। যুক্তিতর্কে তাদের সঙ্গে পেরে ওঠা কঠিন। আর পিঠের নিচের দিকে তিল থাকলে এরা কিছুটা আরামপ্রিয় হন; বিপরীত লিঙ্গের প্রতি দুর্ণিবার আকর্ষণ থাকে। পিঠের নিচ দিকে তিলধারী মেয়েরা হন যথেষ্ট আবেদনময়ী।
বাহু : ডান বাহুতে তিল থাকা সৌভাগ্যের পরিচায়ক। এরা বুদ্ধি ও শক্তিতে বেশ এগিয়ে থাকেন। আর্থিকভাবেও স্বাচ্ছন্দ্যে থাকেন। এদের দাম্পত্য জীবন হয় মধুর। বাম বাহুতে তিল থাকলে দুর্ভাগ্য পিছু ছাড়তে চায় না।
গোড়ালি : গোড়ালিতে তিলধারীরা পণ্ডিত মনষ্ক হন। মেয়েদের গোড়ালিতে তিল থাকলে কাজ-কর্মে চটপটে হন। বিশেষ করে রান্না-বান্নায় পারদর্শী হন।
পেট : পেটে তিল থাকা শুভ নয়। সাধারণত পেটে তিলধারীরা অলস ও কামুক স্বভাবের হন। তাদের আচার-আচরণে সুরুচির ছাপ থাকে না। কখনো কখনো তারা ভোজনরসিকও হন। তলপেটে তিল থাকলে গোপনাঙ্গে বিভিন্ন অসুখের আশঙ্কা থাকে। কখনও কখনও এর উল্টোও ঘটে।
বুক : বুকের ডানদিকে তিল থাকলে অর্থ ও সুখ্যাতি দুই-ই অর্জিত হয়। এরা উদার স্বভাবের হন। তবে সতর্ক না হলে অর্জিত সম্পদ বেহাত হতে পারে। বুকের বাঁ দিকে তিল থাকলে সাফল্য অর্জন কম হলেও তা দীর্ঘায়িত হয়। এরা জীবনে খুব বড় হতে না পারলেও জীবন সুখেই কাটে। বুকের মাঝখানে তিল দুর্ভাগ্যের পরিচায়ক। দাম্পত্য জীবনে পরকীয়া সমস্যা হতে পারে। মাঝে-মধ্যে অর্থ-কষ্টও হতে পারে।
পায়ের পাতা : ডান পায়ের পাতায় তিল ভ্রমণের সম্ভাবনা ইঙ্গিত করে। বাঁ পায়ের পাতায় যাদের তিল থাকে তারাও জীবনে ভ্রমণের সুযোগ পান, কিন্তু প্রায়ই তারা নিস্ফল ভ্রমণে সময় ও অর্থ অপচয় করেন।
কপাল : কপালের ডানদিকে তিল থাকা বিশেষ সৌভাগ্যের পরিচায়ক। প্রবল মানসিক শক্তিতে বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করতে পারেন তারা। সাধারণত এরা হন সৌভাগ্যবান। কপালের বাঁ দিকে তিল থাকলে দুর্ভাগ্য হাতছানি দেয়। প্রচুর অর্থোপার্জন করেও তারা সঞ্চয়ী হন না। কখনো কখনো নৈতিক স্খলনও ঘটে। কপালের মাঝখানে তিলধারীরা বিশ্বস্ত প্রেমিক হন। খুব সুখী হন বিবাহিত জীবনে।
হাত : ডান হাতে তিল থাকলে কর্মোদ্যমী হন। কিন্তু বাঁ হাতে তিল থাকলে কর্মোদ্যমী হলেও কাজের যথাযথ মূল্যায়ন প্রায়ই হয় না।
নিতম্ব : পুরুষের নিতম্বে তিল কামুক ও আবেদনময় স্বভাবের পরিচায়ক। অন্যদিকে মহিলাদের ক্ষেত্রে তা বেশি সন্তান প্রজননের ইঙ্গিত দেয়। এরা পুরুষের চাইতেও বেশি কামুক হন। অনেক ক্ষেত্রে এ কারণটাই তাদের দাম্পত্য জীবনে কাল হয়ে দাঁড়ায়।
নাক : নাকে তিল থাকা বিশেষ সৌভাগ্যের লক্ষণ। ডানে তিল সৌভাগ্যের মাত্রা ইঙ্গিত করে। নাকের বাঁ দিকে তিলধারীরা সৌভাগ্যের দেখা পান। আর নাকে তিলধারী নারীরা স্বামীর ভালোবাসা বেশি পান।
কাঁধ : ডান-বাঁ, যে কাঁধেই তিল থাকুক তা কঠোর পরিশ্রমের নির্দেশনা দেয়। ডান কাঁধে তিল থাকলে পরিশ্রমে সাফল্যের দেখা মেলে। কিন্তু বা কাঁধের তিল কিছুটা দুর্ভাগ্যেরও ইংগিত দেয়।
গলা : গলায় তিল সৌভাগ্যের নির্দেশনা দেয়। ডান দিকে থাকলে এর পূর্ণ কার্যকারিতা দেখা যায়; গলার বাঁ দিকে থাকলেও কখনো কখনো সম্পদহানি ঘটে। বৈবাহিক জীবনে জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। পুরুষের গলায় তিল থাকলে স্ত্রীর ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়।
আঙুল : ডান হাতের বুড়ো আঙুলে তিল থাকলে বিপরীত লিঙ্গের মাধ্যমে আর্থিক সচ্ছলতা আসার সম্ভাবনা থাকে। আর তর্জনির তিল কর্মস্থলে সাফল্য নির্দেশ করে।

৭৫ লাখ আমেরিকানের লিভ টুগেদার

বিশ্বজুড়েই লিভ টুগেদার আস্তে আস্তে জনপ্রিয় হয়ে ওঠছে। তবে বিশ্বমোড়ল আমেরিকায় লিভ টুগেদারের জনপ্রিয়তা নিছক কোন পারিবারিক কারনে নয়। আমেরিকানরা লিভ টুগেদার করছে অর্থ সাশ্রয়ের উদ্দেশ্যে। বিয়ে হয়নি, অথচ স্বামী-স্ত্রীর ন্যায় একত্রে বসবাস করছেন এমন আমেরিকান নারী-পুরুষের সংখ্যা ৭৫ লাখ। ইউএস সেনসাস ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ৬৯/৭০ বছরের অধিক বয়সী অনেক অবিবাহিত আমেরিকানও 'লিভ টুগেদার' করছেন। বিয়ে মানেই পারিবারিক মেলবন্ধন। দায়-দায়িত্ব সন্তান-সন্ততি ইত্যাদি নানা বিষয়ের জটিল সমাবেশ। আর এই জটিলতা এড়াতেই বিয়ে ছেড়ে লিভ টুগেদারের দিকে ঝুঁকছেন আমেরিকানরা। শুধু আমেরিকানরাই নয়, ওখানে বসবাসরত বাংলাদেশীসহ অন্যান্য অভিবাসীদের মধ্যেও লেগেছে এই ছোঁয়া। লিভ টুগেদারের ক্ষেত্রে পুরুষ আর নারী একেবারে স্বামী-স্ত্রীর ন্যায় একসঙ্গে বসবাস করে। সামাজিকভাবে জৈবিক চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি উভয়ে সমানভাবে সংসারের খরচ বহন করে। আর শেষ বয়সে অবসরের ভাতা পৃথকভাবে পাওয়ায় তাদের দিন কাটছে চমৎকারভাবে।
গত দু'বছর ধরেই অর্থনৈতিক মন্দা আর দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারনে স্বল্প আয়ী আমেরিকানরা নাজুক পরিস্থিতিতে রয়েছেন। এমনি কঠিন পরিস্থিতিতে যারা চাকরি হারাচ্ছেন, তাদের অবস্থা অকল্পনীয়। কিন্তু জীবন তো থেমে থাকে না। বিকল্প হিসেবে অনেকের বিয়ের বয়স পেরিয়ে গেলেও শুধু খরচের কথা ভেবে বিয়ে করা হয়ে ওঠে না। আর তাই বিকল্প উপায় খোঁজা। আবার অনেকে ২০/২৫ বছর যাবত বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড হিসেবে বাস করে সন্তানাদি নেয়ার পরও আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হননি। চাকরি অথবা ব্যবসা থেকে অবসর নিয়েছেন, তবুও বিয়ে করছেন না। এমন আমেরিকানদের ব্যাপারে ইউএসএ টুডে অনুসন্ধানী এক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেখানে সামগ্রিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে উদাহরণ টেনে বলা হয়েছে, ৭১ বছর বয়েসী টম ব্ল্যাক এবং ৬৯ বছর বয়েসী গ্রিটা কহেন গত ১৩ বছর যাবত 'লিভ টুগেদার' করছেন। দিনভর একত্রে চলাফেরা করেন। কেনাকাটা করেন একত্রে। রান্না অথবা হোটেলের ব্যয়ও ফিফটি ফিফটি হারে বহন করেন। এর ফলে এ দম্পতির অবসর সময় আনন্দে কাটছে। অবসরভাতা অথবা সোস্যাল সিকিউরিটি বেনিফিট হিসেবে তারা আলাদাভাবে যে চেক পাচ্ছেন তা দিয়ে উভয়ের মাসিক খরচে ঘাটতি পড়ে না। একইভাবে অনেক কর্মজীবী প্রেমিক-প্রেমিকারাও একই বিছানায় থাকা সত্বেও বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছেন না খরচের কথা চিন্তা করে। তাদের ধারণা, বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বাস করতে ব্যয় বাড়বে। এই ধারা চলতে থাকলে আমেরিকানদের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্কের ভিত্তি শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে ঠেকে, এখন দেখার বিষয় সেটাই।