Sunday, April 10, 2011

দাউদ ইব্রাহীমের প্রেমিকা

করিনা কাপুরকে ঝরনার তলায় দাঁড়িয়ে 'রাম তেরি গঙ্গা মইলি' গান গাইতে দেখা যেতে পারে। অবাক হওয়ার কিছু নেই। শোনা যাচ্ছে, একতা কাপুর 'ওয়ান্স আপন এ টাইম ইন মুম্বই'র সিক্যুয়্যেলে দাউদ ইব্রাহীমের প্রেমিকা হিসেবে মন্দাকিনীর চরিত্র অফার করেছেন কারিনাকে। কারিনাও মৌখিকভাবে 'হ্যাঁ' বলেছেন। অক্ষয় কুমার দাউদের চরিত্রে অভিনয় করবেন ঠিক হয়ে গেছে। পরিচালনা করছেন মিলন লুথারিয়া।

Saturday, April 9, 2011

সাক্ষাৎকার (জোর করে প্রেম হয় না)

নার্গিস আলমগীর
 প্রবাসফেরত, ডুয়েল সিটিজেন, কবি-গীতিকার নার্গিস আলমগীর দেশেই বাকি জীবনটা কাটাতে চান। স্বদেশে থেকেই চালাতে চান তার সৃষ্টিকর্ম। প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি নিয়ে আজ তার সাক্ষাৎকার।

আপনার গান, কবিতা, গীতিকাব্যের মধ্যে ধর্ম, সাধনা, আধ্যাতিকতার প্রভাব বেশি কেন? এর রহস্য কি?

এটি আসলে আমার জন্মগত বিষয়। ছোটবেলা থেকেই ধর্ম, সৃষ্টি, স্রষ্টা, প্রকৃতি আমাকে বেশি ভাবিয়েছে। এখনো ভাবায়। এ কারণেই আমার লেখালেখিতে এ ভাবনার প্রভাব বেশি।

সুদূর আমেরিকায় দীর্ঘদিন পাশ্চাত্য জীবনযাপনেও কিভাবে এ ভাব ও চিন্তা ধরে রেখেছিলেন?

ব্যাপারটি আসলে একেবারেই মানসিক। দেশ-প্রবাসের দূরত্ব এ ভাবনাকে বদলাতে পারে না। আমেরিকায়ও আমি বাংলাদেশকে খুঁজেছি। ফ্লোরিডার বোকারটনেও আমি দেখেছি নবাবগঞ্জের বারুয়াখালীকে। সেখানে গল্প, কবিতা, গান ইত্যাদি সৃষ্টিশীলতায় আমার এ জীবন ও প্রকৃতিবাদী ভাব- ধারণা কোনো অসুবিধা হয়নি। এতে প্রবাসীদের সহায়তা ও সমর্থন পেয়েছি। বিভিন্ন উপলক্ষে ও উৎসবে সেখানে বাঙালি সাহিত্য-সংস্কৃতিচর্চায় আমার কোনো সমস্যা হয়নি। আমেরিকানসহ অন্য বিদেশিরাও আমাদের বাঙালি সাহিত্য-সংস্কৃতিচর্চায় বিমোহিত হয়েছেন।

বিভিন্ন গান ও কবিতায় আপনি প্রেম-ভালোবাসাকে অতিমাত্রায় আধ্যাতিকতা ও ভাববাদী বিষয় হিসেবে তুলে ধরছেন। এর কারণ কি?

এর কারণও ভাবনায় আমার নিজস্বতা। স্রষ্টা, স্রষ্টার সৃষ্টি ও প্রকৃতির প্রতি বেশি শরণাপন্ন হওয়ায় এমনটি হচ্ছে। স্রষ্টা এবং প্রকৃতির কাছে আমাদের ফিরে যেতেই হবে। এর বাইরে আমাদের আর কোনো বিকল্প নেই। আমার উপলব্ধি হচ্ছে প্রেম-ভালোবাসায় জোরাজুরি চলে না। জোর করে প্রেম হয় না। তা ভেতর থেকে আসতে হয়। এর মধ্যে পারস্পরিক নির্ভরতা, বিশ্বস্ততা এবং সর্বোপরি ঐশ্বরিক টান থাকতে হয়। এর নামই প্রেম।

এখন কি নিয়ে ব্যস্ত?

কবিতা ও গান লিখছি। একটি নাটকের গল্প ও সংলাপেও সময় দিচ্ছি। আর বাংলা নববর্ষে 'নোলক-মুহিনের মিক্সড 'শূন্য হয়ে পুণ্য', মনি জামানের 'কুড়ি টাকা' এবং জীবকের 'আরো আছে গান' অ্যালবামের একসঙ্গে প্রকাশনা উৎসব হবে। এ নিয়ে একটু ব্যস্ত আছি। আর বারী সিদ্দিকীর মিক্সড অ্যালবাম 'সুরের মূর্ছনা'র প্রস্তুতিও চলছে।

এর আগের অ্যালবামগুলোর কি অবস্থা? শ্রোতাদের রেসপন্স কেমন?

বারী সিদ্দিকীর 'মানব প্রেম' ও নোলকের 'আনন্দ দিন'-এ ভালো রেসপন্স পেয়েছি। মুহিন-নাজুর মিক্সড 'ছুঁই তোমাকে'ও বেশ ভালো হয়েছে। এরা প্রত্যেকেই চমৎকার গায়।

শিল্পী নির্বাচনে আপনি নতুনদের বেশি প্রায়োরিটি দেন কেন?

নতুন হলেও এরা গায় ভালো। চেষ্টা করে আরও ভালো করতে। তাদের এই চেষ্টা ও উদ্যমকে কাজে লাগানো উচিত। এ জন্য তাদের ইন্সপায়ার করতে আমার বেশ ভালো লাগে।

পুরনোদের ব্যাপারে কি আপনার কোনো অনীহা আছে? বারী সিদ্দিকী ছাড়া পুরনো কাউকে তো আপনার কাজের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে না।

এ অভিযোগ একটুও সত্যি নয়। পুরনোরা তো এমনিতেই প্রতিষ্ঠিত। তাদের নাম, যশ, খ্যাতি সবই আছে। নতুনদের একটু সেই সুযোগ দেওয়া উচিত। আর বারী সিদ্দিকীর ব্যাপারে আমার ভাবনা ও মূল্যায়ন একটু অন্যরকম। কারণ আমার লেখা কিছু গানের ভাব ও বাণী তার কণ্ঠে বেশি মানানসই হয়।

আমাদের কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ আপনার রান্নাবান্নার কথা লিখেছেন তার 'কাঠপেন্সিলে'। সেখানে তিনি এনেছেন আপনার 'ডিজিটাল জাউ'-এর কথা। ডিজিটাল জাউ আসলে কি?

হুমায়ূন ভাই চমৎকার মানুষ। তিনি শুধু লেখক, সাহিত্যিকই নন, একজন ভাবুকও। আমি পাটশাক দিয়ে একটি ভেষজ রেসিপি করেছিলাম। তা তিনি তার কলমের তুলিতে এমনভাবে তুলে ধরেছেন যে, আমি বিস্মিত হয়েছি। মনে মনে একটু লজ্জাও পেয়েছি।

ছিনতাইকারীর কবলে অরুনা

অভিনেত্রী ও নির্মাতা অরুণা বিশ্বাস ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছিলেন। সম্প্রতি তিনি ছোটভাই পরিচালক মিঠু বিশ্বাসের ধানমণ্ডির বাসা থেকে নিজের বাসায় ফেরার সময় একটি প্রাইভেট কার তার পথ রোধ করে। ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে তার দুটি মোবাইল সেট, হীরার আংটি, অলঙ্কার, নগদ টাকা নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে তিনি ধানমণ্ডি থানায় একটি মামলা করেছেন। অরুণা বিশ্বাস বলেন, ছিনতাইয়ের পরের দিন আমার নতুন ধারাবাহিক নাটক 'লড়াই'র শুটিং ছিল মানিকগঞ্জে। তাই আগের দিন শুটিং নিয়ে আলোচনা করতে মিঠুর বাসায় গিয়েছিলাম।

অসিনকে সালমানের চুমু!



বলিউড অভিনেতা সালমান খান ছবিতে নায়িকার সঙ্গে চুমু খাওয়ার দৃশ্যে অভিনয়ে যথেষ্ট অনাগ্রহী। এবার সেই অনাগ্রহের অবসান হতে যাচ্ছে। পরিচালক ও নায়িকার অনুরোধে তিনি এবার চুমু খাওয়ার দৃশ্যে অভিনয় করবেন। আনিস বাজমি পরিচালিত ছবিটির নাম 'রেডি'। নির্মাতা অসিনকে চুমু খাওয়ার প্রস্তাব করলে সালমান সঙ্গে সঙ্গেই তা প্রত্যাখ্যান করেন। এরপর তিনি দীর্ঘদিন ধরে সালমানকে এতে রাজি করানোর চেষ্টায় ছিলেন। শেষে পরিচালক এবং নায়িকার প্রচেষ্টায় সেটা সফল হয়েছে। পরিচালক ও নায়িকা সালমানকে বলেন, ছবির গল্পের প্রয়োজনে আসলে এ ধরনের দৃশ্য সংযোজন করতে হচ্ছে। সালমানও শেষ পর্যন্ত তাতে রাজি হন।

সালমান এ ধরনের দৃশ্যে অভিনয় করতে রাজি হয়েছেন, এটি অনেকে এখনো বিশ্বাস করতে পারছেন না।

আবারও হৃদয় খান



হৃদয় খানের জিঙ্গেল করা 'আমার রবি' বিজ্ঞাপনটি এখন প্রচার হচ্ছে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে। বিজ্ঞাপনটি নির্মাণ করেছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এরই মাঝে বিজ্ঞাপনটি দর্শকের মধ্যে দারুণ সাড়া ফেলেছে। সেই সঙ্গে হৃদয়ের জিঙ্গেলটিও। ফারুকী এবং হৃদয়_ দুজনেই প্রসংশা কুড়াচ্ছেন বিভিন্ন মহল থেকে। প্রথমবারের মতো কোনো মুঠোফোন কোম্পানির বিজ্ঞাপনের জন্য জিঙ্গেল তৈরি করে তাক লাগিয়ে দেন হৃদয়। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই হৃদয় খান আবারও মুঠোফোনের জিজ্ঞেল তৈরি করছেন। এবারও নির্মাতা সেই মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এবার তাদের বিজ্ঞাপন বাংলালিংকের জন্য। জানা গেছে, দেড় মিনিট দৈর্ঘ্যের এ বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেলটি সাজানো হয়েছে শুধু সংলাপ দিয়ে। এরই মাঝে জিঙ্গেলটির কাজ শেষ হয়েছে। এ প্রসঙ্গে হৃদয় খান বলেন,'সরয়ার ভাইয়ের কাজে বাড়তি মজা আছে। আছে আনন্দ। রবির কাজটি করে প্রচুর সাড়া পেয়েছি। সেই ধারাবাহিকতায়ই এ কাজটি করছি। আশা রাখি, এটিও সবাই পছন্দ করবে।' মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, 'এখনই কিছু বলবো না। শুধু জেনে রাখেন, চমক আছে; চমক।

রাখী সাওয়ান্তের বিরুদ্ধে এফআইআর

জয়পুরের স্থানীয় আদালত পুলিশকে বলিউড আইটেম গার্ল রাখী সাওয়ান্তসহ মোট আটজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন। জানা গেছে, এক ব্যক্তিকে ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে এই এফআইআর দায়ের করতে বলা হয়েছে। 'রাখি কা স্বয়ম্বর' টিভি শো'য়ের চিত্রনাট্য রচয়িতা হিসেবে নিজেকে দাবি করায় গৌরব তিওয়ারি নামের এক ব্যক্তিকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছেন রাখী, রাহুল মহাজনসহ আরও ছয় ব্যক্তি। আর সে কারণেই তাদের বিরুদ্ধে এই এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গৌরব বলেছেন, প্রকৃত লেখক আমি নিজে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ না করেই চিত্রনাট্য ব্যবহার করেছে।

মা হচ্ছেন শ্রাবন্তী



অভিনেত্রী শ্রাবন্তী মা হচ্ছেন। জুন মাস নাগাদ তার কোলজুড়ে আসবে নতুন অতিথি। খবরটি জানিয়েছেন শ্রাবন্তীর স্বামী খোরশেদ আলম। তিনি আরও জানান, উন্নত চিকিৎসা এবং নিরাপদে প্রথম সন্তানের মুখ দেখতে চান শ্রাবন্তী-আলম দম্পতি। আর তাই আমেরিকায় উড়াল দিয়েছেন শ্রাবন্তী। থাকবেন বোনের বাসায়। মাতৃত্বকালীন অবসরের সময়টুকু কোনোরকম ঝামেলা চান না তারা।

শ্রাবন্তী আমেরিকায় স্থানীয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিচ্ছেন নিয়মিত। কোনো সমস্যা নেই, বেশ সুস্থ আছেন তিনি। খোরশেদ আলম এনটিভির অনুষ্ঠান বিভাগে কর্মরত। ছুটি নিয়ে মাঝে মধ্যে তিনিও দেখে আসছেন স্ত্রীকে। খোরশেদ আলম বলেন, 'ও [শ্রাবন্তী] ভালো আছে। আমরা অপেক্ষা করছি সন্তানের মুখ দেখার জন্য। আমাদের জন্য সবাই একটু দোয়া করবেন।'

তেমন কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই গত বছর শ্রাবন্তী বিয়ে করেন খোরশেদ আলমকে। তার হঠাৎ এ বিয়েতে ভক্ত এবং মিডিয়ার অনেকেই চমকে গিয়েছিলেন। বিয়ের পর থেকে শ্রাবন্তীর মধ্যে আসে বিশাল এক পরিবর্তন। নিজের স্বভাবজাত চঞ্চলতা-হেঁয়ালি ভুলে সংসার সমুদ্রে ডুব দেন তিনি। আর তাই সংসার মনোযোগী শ্রাবন্তীর মা হওয়ার খবরটি নিকটজনের কাছে সুখবরই বটে।

গৌরিপুরে হাজার কোটি টাকার রেমিটেন্স কুমিল্লার লন্ডনি শহর



কুমিল্লার দাউদকান্দি ও তিতাস উপজেলার সাড়ে পাঁচ হাজার দক্ষ-অদক্ষ শ্রমিক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করছেন। ২০১০ সালে তাদের পাঠানো প্রায় এক হাজার কোটি টাকার রেমিটেন্সের কারণে দাউদকান্দি ও তিতাস উপজেলার মধ্যবর্তী গৌরীপুর বাজার এখন লন্ডনি শহর নামে পরিচিতি পাচ্ছে। বেসরকারি সংস্থা রামরু ও এএইচআরডিটি'র জরিপে এ তথ্য জানা যায়।

সূত্রমতে, এ দুই উপজেলার গ্রামগুলোর মানুষের প্রধান কাজ ছিল কৃষি। দোচালা টিনের ঘরের সেই গ্রামগুলোতে গড়ে উঠেছে বিদেশি ডিজাইন করা ভবন। তাই দুই উপজেলার মধ্যে গৌরীপুর বাজারকে বলা হয় লন্ডনি শহর। এটি একটি মফস্বলের বাজার হলেও দেখতে অনেক জেলা শহরকেও ছাড়িয়ে গেছে। এ বাজারে রয়েছে বিভিন্ন ব্যাংকের ১৩টি শাখা। দাউদকান্দি ও তিতাসের প্রবাসীরা ২০১০ সালে ৯৯০ কোটি ৬০ লাখ টাকা ২৭টি সংস্থার মাধ্যমে দেশে পাঠিয়েছেন। প্রতি বছরই গৌরীপুর বাজারের সব ব্যাংকের শাখা চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে লাভজনক হিসেবে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে আসছে বলে ব্যাংকের ব্যবস্থাপকরা জানান। আর বিদেশিদের রেমিটেন্স নিয়েই ব্যাংকগুলো সারাদিন ব্যস্ত থাকে। বিদেশি রেমিটেন্সের কারণে গৌরীপুর বাজারে জায়গার দাম রাতারাতি বেড়ে গেছে। গড়ে উঠেছে ৪/৬ তলা বিল্ডিং, ভাড়াও বাড়ছে ঢাকা শহরের মতো। গৌরীপুর বাজারের এক শতাংশ জায়গার দাম ৬৫/৭০ লাখ টাকা। প্রবাসীদের পরিবারবর্গ অনেকেই গ্রাম ছেড়ে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার জন্য বেশির ভাগ গৌরীপুর বাজারে বাড়ি তৈরি করে কিংবা ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন।

দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর, আঙ্গাউড়া, জিংলাতলী, গোপচর, চান্দেরচর, লক্ষ্মীপুর, ওলানপাড়া, চরমাহমুদ্দী। এছাড়া তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি, শোলাকান্দি, শাহপুর, মজিদপুর, গোপালপুরের লোকজন বেশি বিদেশে থাকে। সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স আসে সৌদি আরব, কুয়েত, দুবাই, বাহরাইনসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশ। এ ছাড়া আরও রয়েছে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, ইতালি, ফ্রান্স, সিঙ্গাপুর, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, কানাডা, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তায় আছেন প্রবাসী পরিবারবর্গ ।
কুমিল্লা

চুরি ঠেকানোর যন্ত্র



মোটরসাইকেল চুরি রোধে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মোটরসাইকেল সিকিউরিটি এলার্ট তৈরি করেছেন নওগাঁর রাশেদুল বারী রাশেদ নামের এক খুদে বিজ্ঞানী।

ছোটবেলা থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি কোনো না কোনো কিছু আবিষ্কারের চিন্তা তার মাথায় লেগে থাকত। স্কুলের টিফিন না খেয়ে বাঁচিয়ে ওই টাকা দিয়ে রেডিওর যন্ত্রপাতি ও তাতাল কিনে আনত। পড়াশোনা করার পর বাবা-মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে শুধু আবিষ্কারের চিন্তা মাথায় থাকত। এ ব্যাপারে বাবা-মার হাতে ধরা পড়ে বারবার মার খেতে হতো এবং জিনিসপত্র কেড়ে নিয়ে নষ্ট করে দিত। তবুও থেমে থাকেনি তার চিন্তা। ২০০১ সালে ছাত্রাবস্থায় হঠাৎ করে ব্যাটারি ছাড়া সোলার পাওয়ার দিয়ে রেডিও আবিষ্কার করে এলাকাবাসীকে তাক লাগিয়ে দেয়। খবর পেয়ে আশপাশের গ্রাম থেকে লোকজন আসে ব্যাটারি ছাড়া রেডিও সঞ্চালন দেখার জন্য। তারপর থেকে এলাকার লোকজন তাকে বিজ্ঞানী বলে ডাকত। ছাত্রাবস্থায় ২০০৩ সালে মোবাইলের নষ্ট ব্যাটারি দিয়ে টর্চলাইট তৈরি করে সবাইকে অবাক করে দিল। টর্চলাইট দেখার জন্য বাসায় ভিড় করত এলাকাবাসী। তখনও বাজারে চায়না টর্চলাইট আসেনি। ২০০৪ সালে সে নিজেই রিচার্জেবল ফ্যান তৈরি করল। কিন্তু কোনো কিছুই ব্যাণিজ্যিকভাবে করত না। ২০০৪ সালে ভূগোল বিভাগে বগুড়া সরকারি আযীযুল হক বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে এমএসসি পাস করে। এনার্জি সেভিং নষ্ট বাল্ব দিয়ে আইপিএস তৈরি করেও এলাকাবাসীকে হতবাক করে দেয়। সে নওগাঁ অফিসে আসার পর থেকে নওগাঁয় ব্যাপক গাড়ি হারাতে লাগল। আইনশৃক্সখলা বাহিনী কোনো কিছু্ই করতে পারছে না। কিভাবে চোরের হাত থেকে গাড়ি রক্ষা করা যায়। চাকরির পাশাপাশি আবিষ্কারের কাজ এগুতে থাকে। তথ্য-প্রযুক্তির যুগে অতি সহজে ডিজিটাল পদ্ধতিতে কিভাবে চুরি রোধ করা যায়। চিন্তা-ভাবনা করতে করতে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে পরামর্শ নেন। একদিন তার নিজের গাড়িতে তা প্রয়োগ করতে থাকে এবং তা সফল হন। চোরেরা মোটরসাইকেলটি তালা ভেঙে নিয়ে যেতে লাগলে সঙ্গে সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে রিং আসতে থাকবে। তখনই বুঝতে হবে তার গাড়ি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু গাড়ি কিছুতেই চালু করতে পারবে না। এতে খরচ পড়ে মাত্র দুই হাজার টাকা। এটা তৈরি করতে মোবাইলের সিম, মাদার বোর্ড, আর কিছু প্রয়োজনীয় উপকরণ দরকার। যা দিয়ে দামি মোটরসাইকেল রক্ষা করা যায়। এনিয়ে নওগাঁ শহরে বেশ সাড়া পড়েছে।

অবিশ্বাস্য সত্যি



পাথরখেকো মানুষ : চীনের দক্ষিণাঞ্চলের হুনান প্রদেশের বাসিন্দা দেং দিনে প্রায় ৫০টি পাথরের টুকরা ভক্ষণ করেন। রাস্তা তৈরির কাজে ব্যবহৃত পাথরগুলো তিনি ভাতের সঙ্গে গলাধকরণ করেন। তার স্বাস্থ্য ভালো এবং হৃদযন্ত্র বা পেটে কোনো অসুবিধা নেই বরং নির্দিষ্ট পরিমাণ পাথর না খেতে পেলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।

দেড় মাইল দীর্ঘ চিঠি : একজন ভারতীয় বিশ্বশান্তির আবেদন জানিয়ে দ্বিতীয় জন পল পোপের কাছে দেড় মাইল লম্বা একটি চিঠি লেখেন। দক্ষিণাঞ্চলীয় কেরালা রাজ্যের রিগান জন সাড়ে তিন বছরে এ পত্রটি লেখা শেষ করেন, যার ওজন ছিল ১০০ কেজি।

সবচেয়ে লম্বা দাড়ি : নরওয়ের হ্যানস এন ল্যানসেথ (১৮৪৬-১৯৭২) নামের এক লোকের দাড়ি ছিল সাড়ে সতের ফুট। এই দাড়ি তার মৃত্যুর পর কেটে ওয়াশিংটনের স্মিথ সেনিয়ার ইনস্টিটিউট জাদুঘরে রাখা হয়।

৪৫০ বছরের জেল : ব্রাজিলের রাজধানী রেওডি জেনেরিওর একজন বিচারক এক খুনিকে ৪৫০ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেছেন। নগরীর এক বস্তির ২১ ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে পাউলে বোবার্টো অ্যালডানেঞ্জাকে এ দণ্ড প্রদান করা হয়।

বই লিখে রাজা হওয়া : ঐতিহাসিক জো ডি বারোস ১৪৯৬ সালে পর্তুগালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পর্তুগালের প্রাচীন ইতিহাসের ওপর মস্তবড় একটি গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। তৎকালীন সময় পর্তুগালের রাজা ছিলেন জোয়াও (তৃতীয়), তিনি বারোসের গ্রন্থটি পড়ে মুগ্ধ হলেন এবং তাকে ডেকে তৎক্ষণাৎ পুরস্কৃত করলেন। বারোসকে একটি গ্রন্থ রচনার জন্যই দেওয়া হয়েছিল প্রায় ১,৩৩,৪৬০ বর্গমাইলের একটি রাজ্য।

এটি ব্রাজিলের অন্তর্গত ম্যারাহো স্টেট নামে একটি রাজ্য, যার এলাকার বিস্তার ছিল বর্তমান নিউইয়র্কের চেয়েও তিনগুণ বড়।

হেনরি ডবি্লউ লংফেলো : হেনরি ডবি্লউ লংফেলো ছিলেন একজন বিশ্ব বিখ্যাত ইংরেজ কবি। তবে তার ছিল ১৮ সংখ্যার ভাগ্য। তিনি তার সাহিত্যজীবনে ১৮টি কাব্যগ্রন্থ রচনা করেছিলেন। তিনি যখন ইংল্যান্ডের বোডোইন কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন তখন তার বয়স ১৮ বছর। প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার ১৮ বছর পর দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮ বছর ইংরেজি ভাষার অধ্যাপক ছিলেন। অধ্যাপক থাকাকালেই ১৮ মার্চ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেদিন রাতেই তিনি মারা যান। তার জীবনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলোতে ঘুরে ফিরে ১৮ সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে বারবার। প্রীতম সাহা সুদীপ