Saturday, September 25, 2010

আগামী মাসেই ‘আলোর পিঠে আঁধার’





গায়িকা কৃষ্ণকলি ইসলামের প্রথম অ্যালবাম সূর্যে বাঁধি বাসা এসেছিল বেঙ্গল মিউজিক থেকে। আগামী অক্টোবরে আসছে তাঁর দ্বিতীয় একক আলোর পিঠে আঁধার। এখন পর্যন্ত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত না হলেও অ্যালবামটি পুরোপুরিভাবে প্রস্তুত হয়ে আছে। শিল্পীর মাধ্যমে জানা গেছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানও চূড়ান্ত হয়ে যাবে। কৃষ্ণকলি ইসলাম আট মাস ধরে তাঁর দ্বিতীয় একক অ্যালবামের কাজ করে আসছিলেন। আ্য্যলবামে মোট গান থাকছে আটটি। সবগুলো গানের কথা, সুর ও সংগীত করেছেন কৃষ্ণকলি নিজেই। অ্যালবামে গানের কথাগুলো হচ্ছে: ‘আলো ফোটা খুব ফোটা’, ‘ঘুরে ঘুরে’, ‘গল্প ছিল আকাশেতে’, ‘সাদামাটা চেহারার অফিসার’, ‘নাচতো কালি’, ‘চাঁদ খুঁজে খুঁজে’, ‘যাও হারাও’ এবং ‘হাত ধরেছি হাঁটছি’।
অ্যালবামটি প্রসঙ্গে কৃষ্ণকলি ইসলাম বলেন, ‘আমি সাধারণত যে ধরনের গান করে থাকি, সে রকমই কিছু নতুন গান থাকছে এবারের অ্যালবামে। ‘আলোর পিঠে আঁধার’-এ কাজ করতে গিয়ে বেশ কিছু যন্ত্রণাদায়ক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হয়েছে। আমার এই অ্যালবামে দেশি বাদ্যযন্ত্র ব্যবহারের চেষ্টা করেছি, যা নিঃসন্দেহে শ্রোতাদের ভালো লাগবে। এ ছাড়া আমার অ্যালবামে পাহাড়ি সুরের কয়েকটি গানও রয়েছে। বব মার্লেকে অনুসরণ করেও একটি গান থাকছে অ্যালবামটিতে। থাকছে আরাধনা সংগীতও। সবকিছু মিলিয়ে অন্যরকম একটি অ্যালবাম হচ্ছে আলোর পিঠে আঁধার।’

প্রতি কেজি ঘি-মাখনের দাম তিন পয়সা!

প্রতি কেজি গাওয়া ঘি, খাঁটি মাখনের দাম তিন পয়সা। শুধু তা-ই নয়, পটোল, ফুলকপি, বাঁধাকপি, চালকুমড়া, গাজর, ঝিঙেসহ ১১ ধরনের সবজির কেজি এক থেকে তিন পয়সা।
এটাকে কোনো বাজার বা হাটের মূল্যতালিকা মনে করে খুশি হওয়ার সুযোগ নেই। মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের পথ্য সরবরাহের দরপত্রে এই দাম ধরা হয়েছে। এই দাম উল্লেখ করে খাদ্য সরবরাহের আদেশ পেয়েছে আল আমিন এন্টারপ্রাইজ।
তবে রোগী ও সেবিকাদের অনেকেই অভিযোগ করেন, সরকার-নির্ধারিত খাদ্যতালিকার সঙ্গে ঠিকাদারের সরবরাহ করা খাবারের কোনো মিল থাকে না। অধিকাংশ রোগী পুষ্টিকর খাবার পাচ্ছে না। তারা বাইরে থেকে খাবার কিনতে বাধ্য হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলতি বছর পথ্য সরবরাহের জন্য গত ২ আগস্ট দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে সাতটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। সর্বনিম্ন দর প্রস্তাব করে গত ৩০ আগস্ট খাবার সরবরাহের কাজ পায় আল আমিন এন্টারপ্রাইজ। এর স্বত্বাধিকারী মো. নুরুল আমিন সরদার।
দরপত্রে প্রতি কেজি মসলা ২৫-৫০ পয়সা, কাঁচামরিচ ও রসুন এক টাকা, খাঁটি ছানার রসগোল্লা ও চমচমের মূল্য এক টাকা এবং প্রতিটি কচি ডাব ২৫ পয়সা উল্লেখ করা হয়েছে। এভাবে ওই দরপত্রে চাল, ডাল, মাছ, মাংস ছাড়া অন্য সব খাদ্যপণ্যের দাম অবিশ্বাস্যভাবে কম দেখানো হয়েছে।
শিবচরের পৌরবাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি গাওয়া ঘিয়ের দাম ৬০০ টাকা, কাঁচামরিচ ৫০ টাকা, রসুন ২০০ টাকা, আলু ১৪ টাকা, পটোল ১৬ টাকা, ফুলকপি-বাঁধাকপি প্রতি পিস ১৫-২০ টাকা, চালকুমড়া ১৫ টাকা, কচি ডাব ১৫ টাকা এবং রসগোল্লা ও চমচম ১৪০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে।
ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে জানা যায়, প্রত্যেক রোগীকে প্রতিদিন ৭৫ টাকার মধ্যে ৪০০ গ্রাম চাল, ৫০ গ্রাম করে চিনি ও ঘি, ৭৫ গ্রাম পাউরুটি, একটি করে ডিম ও কলা, ১৩৮ গ্রাম মাছ/মাংস এবং ২০০ গ্রাম তরকারি দেওয়ার কথা থাকলেও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বাস্তবে তা দিচ্ছে না।
হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি জামাল হাওলাদার গতকাল বলেন, ‘গত ১২ দিনে দুপুরে ও রাতে মোটা চালের ভাত, পাঙাশ মাছ ও পাতলা ডাল খেতে দিয়েছে। সকালে পাউরুটি, ডিম আর চিনি দেওয়া হয়। পাউরুটি থেকে দুর্গন্ধ পাওয়া যায়। ঈদের দিন মাংস দিয়েছিল। এখন বাড়ি থেকে এনে খাই।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই সেবিকা বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিম্নমানের খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। গত সাত বছরে ঘি, মাখন ও কচি ডাব রোগীদের দিতে তাঁরা দেখেননি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মতিউর রহমান বলেন, ‘এই মূল্যতালিকা দেখে আমিও বিস্মিত হয়ে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে মো. নুরুল আমিন সরদার পথ্য সরবরাহের কাজ পেয়েছেন। তবে নির্ধারিত খাবার তাঁকে অবশ্যই সরবরাহ করতে হবে।’
মাদারীপুরের সিভিল সার্জন আবু বক্কর মোল্লা মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, অনেক বছর ধরে এভাবেই দরপত্র-প্রক্রিয়া চলছে।
‘গতবার সঠিক দাম ধরেও খাদ্য সরবরাহের আদেশ পাইনি’ উল্লেখ করে ঠিকাদার নুরুল আমিন সরদার বলেন, ‘যেসব খাদ্যদ্রব্য কম লাগে, আমার তালিকায় সেগুলোর দাম কম ধরা হয়েছে। চাল, ডাল, মাছ, মাংসের দাম বর্তমান বাজার অনুযায়ী ধরা হয়েছে।’

সারা দেশে ২৭ হাজার মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে

চলতি বছরে শারদীয় দুর্গোত্সবে সারা দেশে প্রায় ২৭ হাজার মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় এক হাজার বেশি। আজ নগরের ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি সুব্রত চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল (অব.) সি আর দত্ত বীর উত্তম।
দেশের সব জেলা থেকে প্রতিনিধিরা সভায় যোগ দেন এবং আসন্ন শারদীয় দুর্গোত্সবের প্রস্তুতি ও নানা সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন।
সভায় বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতারা জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনেই অর্পিত সম্পত্তি (শত্রুসম্পত্তি) আইনের অভিশাপ থেকে জাতিকে মুক্তি দিতে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন।
সভায় বলা হয়, ইতিমধ্যে এই কালো আইন থেকে মুক্তির লক্ষ্যে আয়োজিত জাতীয় কনভেনশনে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। উত্তরাধিকার ও সহ-অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সম্পত্তি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। বক্তারা বলেন, ২০০১ সালে প্রণীত অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইনকে ভিত্তি করে এবং প্রস্তাবিত সংশোধনীসমূহ সংযুক্ত করেই জাতীয় স্বার্থে সংশোধিত আইন প্রণয়ন করতে হবে।
সভায় হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মপরিধি বাড়িয়ে ফাউন্ডেশনে রূপান্তর, দেবোত্তর সম্পত্তি সুরক্ষায় বোর্ড গঠন, ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের বেহাত হওয়া সম্পত্তি পুনরুদ্ধার, মা ভবানী মন্দির, রমনা কালীমন্দির ও মা আনন্দময়ী আশ্রমের দেবোত্তর ভূমিতে মন্দির ও আশ্রম যথাযথ আঙ্গিকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং জাতীয় শিক্ষানীতিতে প্রতিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে হিন্দু ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ বাধ্যতামূলক করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্তের দাবি জানানো হয়।

সেরিব্রাল ম্যালেরিয়ার জীবাণু গরিলা থেকে!





বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল, মশার কামড়ে আমাদের যে সেরিব্রাল ম্যালেরিয়া হয়, এর জীবাণু এসেছে শিম্পাঞ্জি থেকে। কিন্তু সম্প্রতি একদল বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, শিম্পাঞ্জি নয়, সম্ভবত গরিলা থেকেই এই জীবাণুর উৎপত্তি। যুক্তরাষ্ট্র, আফ্রিকার তিনটি দেশ ও ইউরোপের বিজ্ঞানীদের একটি দল গরিলার মল পরীক্ষা করে ম্যালেরিয়ার যে জীবাণু পেয়েছে, এর সঙ্গেই মানুষে সংক্রমিত ম্যালেরিয়ার জীবাণুর সবচেয়ে বেশি মিল রয়েছে।
বিজ্ঞানবিষয়ক ন্যাচার সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণাপত্রে গবেষকেরা জানান, তাঁরা গরিলার মল থেকে পাওয়া ম্যালেরিয়ার জীবাণুর ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখেছেন। এর সঙ্গে মানুষের দেহে সংক্রমিত ম্যালেরিয়ার জীবাণুর ডিএনএর মিল রয়েছে। গবেষণার জন্য পশ্চিম ও পূর্ব আফ্রিকার গরিলা, শিম্পাঞ্জি ও বেবুনের মলের দুই হাজার ৭০০ নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
গবেষকদলের সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালাবামার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক বিয়াট্রিস হান বলেন, ‘আমরা এসব নমুনা থেকে ম্যালেরিয়ার জীবাণু প্লাজমোডিয়ামের ডিএনএ আলাদা করে সেগুলো মিলিয়ে দেখি। দেখা যায়, মানুষের শরীরে পাওয়া প্লাজমোডিয়ামের ডিএনএর সঙ্গে শিম্পাঞ্জির শরীরে পাওয়া প্লাজমোডিয়ামের ডিএনএর মিল কম, বরং গরিলার শরীরে পাওয়া প্লাজমোডিয়ামের ডিএনএর সঙ্গে মিল বেশি।’
এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীদের ধারণা, বিবর্তনের প্রক্রিয়ার ধাপ অনুযায়ী মানুষের পূর্বপুরুষ শিম্পাঞ্জি। ৫০ থেকে ৭০ লাখ বছর আগে শিম্পাঞ্জি ও মানুষ আলাদা হতে শুরু করে। সেই ধারায় প্লাজমোডিয়ামের জীবাণুরও বিবর্তন ঘটে। কিন্তু নতুন এই গবেষণার ফল সেই ধারণাকে বদলে দিতে যাচ্ছে। 

Friday, September 24, 2010

নাবিকদের ভুলেই টাইটানিক ডুবেছে!

টাইটানিকের ডুবে যাওয়াটা নিছক কোনো দুর্ঘটনা ছিল না। নাবিকদের ভুলেই জাহাজটি ডুবেছে। যে হিমশৈলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে জাহাজটি ডুবেছে, সেটি এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু নাবিকেরা বোকার মতো ভুল পথে জাহাজটি পরিচালনা করায় এ ঘটনা ঘটেছে।
নতুন প্রকাশিত একটি বইয়ে এসব দাবি করা হয়েছে। গুড অ্যাজ গোল্ড নামের বইটি লিখেছেন লেডি প্যাটেন। ওই ট্র্যাজেডি থেকে বেঁচে যাওয়া টাইটানিকের সেকেন্ড অফিসার চার্লস লাইটোলারের নাতনি হলেন প্যাটেন।
১৯১২ সালের ১০ এপ্রিল সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে টাইটানিক। ১৫ এপ্রিল আটলান্টিক মহাসাগরে বিশালকায় এক হিমশৈলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এটি ডুবে যায়। এতে এক হাজার ৫১৭ জন আরোহীর প্রাণহানি ঘটে। এত দিন বিশ্বাস করা হয়েছে, অতি দ্রুতগতিতে চালানোর কারণে ও নাবিকেরা সঠিক মুহূর্তে হিমশৈলটি দেখতে না পাওয়ায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
কিন্তু ঘটনার প্রায় ১০০ বছর পর নতুন এ বইয়ে বলা হয়েছে, হিমশৈলটি এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল। তবে নাবিকেরা এটি দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং ভুল পথে জাহাজটি পরিচালনা করেন। নাবিকেরা পরক্ষণেই ভুল বুঝতে পারলেও ততক্ষণে বড় দেরি হয়ে যায়। দানবাকৃতির হিমশৈলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বিলাসবহুল এ জাহাজের পার্শ্বদেশ ছিদ্র হয়ে যায়।
বইটিতে বলা হয়েছে, তার পরও যাত্রী ও নাবিকদের বাঁচানো সম্ভব ছিল। যদি জাহাজটি চালানো তখনই বন্ধ করে দেওয়া হতো। কিন্তু সেখানেও মারাত্মক ভুল করা হয়েছে। জাহাজটি চালিয়ে নেওয়া হয়েছে। ফলে জাহাজের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে এটি ডুবে গেছে।
এত দিন এসব তথ্য গোপন রেখেছিলেন চার্লস লাইটোলার ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। চার্লস লাইটোলার এ ট্র্যাজেডি নিয়ে করা দুটি তদন্তেই তথ্য আড়াল করেছেন। তাঁর আশঙ্কা ছিল, এসব তথ্য ফাঁস করে দিলে জাহাজের মালিকেরা ক্ষতিপূরণ পাবেন না। তা ছাড়া সহকর্মীদের চাকরির কথা চিন্তা করেও এ তথ্য প্রকাশ করেননি তিনি।
কিন্তু লাইটোলারের নাতনি লেডি প্যাটেন এত দিন পর তথ্য প্রকাশ না করে আর পারেননি। তিনি বলেছেন, টাইটানিকের ব্যাপারটি দুর্ঘটনা হিসেবেই দেখা হচ্ছে। কিন্তু সত্য হলো, নাবিকেরা হিমশৈলটি এড়াতে পারতেন। ভুল করেছেন তাঁরা।
বইটিতে বলা হয়েছে, পালের পরিবর্তে বাষ্পের সাহায্যে জাহাজ চালাতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। বাষ্পের সাহায্যে জাহাজ চালানোর সময় বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুতগতিতে চলছিল জাহাজটি।
লেখিকা লেডি প্যাটেন আরও বলেছেন, টাইটানিকের ফার্স্ট অফিসার উইলিয়াম মুরডক দুই মাইল আগে থেকেই হিমশৈলটি দেখতে পেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর নির্দেশ সঠিকভাবে বুঝতে পারেননি থার্ড অফিসার রবার্ট হিচিনস। উইলিয়াম মুরডক ‘সামনের দিকে তাকিয়ে এ নির্দেশ দেওয়ায়’ তাঁদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। মারডকের নির্দেশমতো হিচিনস জাহাজের মোড় বাঁ দিকে না ঘুরিয়ে ডান দিকে ঘুরিয়েছিলেন। অবশ্য পরক্ষণেই তাঁকে ভুল ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ততক্ষণে হিমশৈলের খুব কাছাকাছি চলে আসে জাহাজ। এর অগ্রভাগ হিমশৈলের সঙ্গে আঘাত লেগে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
প্যাটেনের দাদা লাইটোলার গুরুতর এ ভুলের কথা তখনকার একটি বৈঠক থেকে জানতে পারেন। জাহাজটি ডুবে যাওয়ার একেবারে শেষ মুহূর্তে চারজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাকে নিয়ে মারডকের কেবিনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
প্যাটেন বলেন, এরই মধ্যে টাইটানিকের মালিকানা প্রতিষ্ঠান হোয়াইট স্টার লাইনের চেয়ারম্যান ব্রুস ইসমেই জাহাজের ক্যাপ্টেনকে পাল তুলে চালিয়ে যেতে বলেন। এতে জাহাজের গতি কমে যায়। এর ফলে জাহাজের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢোকার পরিমাণ বেড়ে যায়। এতে জাহাজটি দ্রুত ডুবে যায়।

ব্যবসায়ীদের শপথ!

অসুস্থ গবাদিপশু জবাই ও মাংস বিক্রি করব না, অন্যকেও এ ব্যাপারে উৎসাহিত করব।’ গত সোমবার সকালে মাগুরা পুরাতন বাজারের ৫২ জন মাংস ব্যবসায়ী এমন শপথ নিয়েছেন। অ্যানথ্রাক্স রোগ প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের উদ্যোগে পুরাতন বাজার মাংস ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এই শপথ করেন ব্যবসায়ীরা। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নারায়ণ চন্দ্র রায় বলেন, ব্যবসায়ীরা স্বপ্রণোদিত হয়ে ওই শপথ করছেন। এতে তাঁরা আশ্বস্ত হয়েছেন।

পাঁচ রোভার স্কাউট

পায়ে হেঁটে ১০০ মাইল পথ পাড়ি দেওয়ার পথে যাত্রা করেছে পাঁচ রোভার স্কাউট। গতকাল বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে যাত্রা শুরু করে পাঁচ দিনে এই দলটি সিরাজগঞ্জ জেলা সদরে পৌছাবে। এই পাঁচ দিনে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’, ‘বৃক্ষরোপণ’, ‘নারী নির্যাতন’, ‘জনসংখ্যা সমস্যা’ ও ‘পরিবেশ সংরক্ষণ’—এই পাঁচটি বিষয়ে বিভিন্ন এলাকায় পথসভা ও জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালাবে রোভাররা।
পায়ে হেঁটে ১০০ মাইল পাড়ি দেওয়ার এই দলে যেসব রোভার স্কাউট রয়েছে তারা হচ্ছে, সিনিয়র রোভারমেট সিদ্ধার্থ দেব মজুমদার, রোভারমেট মো. রেজওয়ানুর রহমান, মোহাম্মদ আবুল হাশেম, সহকারী রোভারমেট মোহাম্মদ ইব্রাহীম ও নাজমুল কবির আল মেহমুদ।

দুটি মেডিকেল কলেজকে আরও দেড় হাজার ফরম দেওয়া হয়েছে

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজকে আরও এক হাজার ও সোহ্রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজকে ৫০০ ফরম দিয়েছে। গতকাল বুধবার এ দুটি কলেজকে অতিরিক্ত ফরম দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন) খন্দকার মো. সিফায়েত উল্লাহ গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, সলিমুল্লাহ মেডিকেলের পরীক্ষা হবে ইডেন কলেজে আর সোহ্রাওয়ার্দী মেডিকেলের পরীক্ষা হবে তেজগাঁও কলেজে। কেন্দ্র দুটিতে পাঁচ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ফরমের চাহিদা বেশি হওয়ায় এ দুটি কলেজকে অতিরিক্ত দেড় হাজার ফরম দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজে ৫০০ ফরম দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও পরীক্ষা কেন্দ্র জটিলতার কারণে কর্তৃপক্ষ তা নিতে রাজি হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার দেশের ১৮টি সরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফরম বিতরণ শুরু হয়। কিন্তু মঙ্গলবারই রাজধানীর তিনটি কলেজের নির্ধারিত ফরম বিক্রি হয়ে যায়।
জানা যায়, সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাওয়া ৫০০ ফরম সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে বিতরণ শুরু হলে দুপুরের মধ্যেই তা বিক্রি হয়ে যায়। দুপুরে অধিদপ্তরে কাছ থেকে আরও ৫০০ ফরম পেয়ে বিতরণ শুরু করে কর্তৃপক্ষ। সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ফরম বিতরণ করা হয়। অবশিষ্ট ফরম আজ বৃহস্পতিবার বিতরণ করা হবে।
কলেজের অধ্যক্ষ এম এ আজহার প্রথম আলোকে বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যোগাযোগ করে দুই দফায় এক হাজার ফরম পাওয়া গেছে।
ঢাকা মেডিকেলে অনিয়মের তদন্ত: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক খন্দকার মো. সিফায়েত উল্লাহ জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি ফরম বণ্টন নিয়ে একজন কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। ওই অভিযোগের সত্যতা তদন্ত করে জরুরি ভিত্তিতে একটি প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য কলেজের অধ্যক্ষকে বলা হয়েছে। দুই-এক দিনের মধ্যে প্রতিবেদন পাওয়া যাবে বলে তিনি আশা করেন।

ডিভি-২০১২ লটারি ভিসার রেজিস্ট্রেশনের সময়সীমা ঘোষণা

যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের জন্য ডিভি-২০১২ লটারি ভিসার রেজিস্ট্রেশনের সময়সীমা ঘোষণা করা হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ডিভি-২০১২ লটারি ভিসার জন্য আগামী ৫ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন-প্রক্রিয়ায় চাপ এড়াতে আগ্রহীদের অপেক্ষা না করে শুরু থেকেই রেজিস্ট্রেশন করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলীয় সময় ৩ নভেম্বর ২০১০ বুধবার মধ্যরাতের মধ্যে রেজিস্ট্রেশনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। পরিবর্তিত নিয়ম অনুযায়ী কেবল অনলাইনেই ডিভি লটারির জন্য রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। www.dvlottery.state.gov ওয়েবসাইটে আগ্রহীদের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। আবেদনের বিস্তারিত নিয়মাবলিও ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। মার্কিন অভিবাসন আইন অনুযায়ী, যেসব দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে কম অভিবাসন হয়েছে, সেসব দেশের নাগরিকেরাই এ আবেদনের যোগ্য। বছরে এসব দেশের সর্বোচ্চ সাড়ে পাঁচ হাজার নতুন অভিবাসীকে লটারির মাধ্যমে অভিবাসনের জন্য বাছাই করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের নাগরিকেরা ডিভি ২০১২ সালের লটারি ভিসার জন্য উপযুক্ত বলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে।

Saturday, September 18, 2010

জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা: বহুনির্বাচনী প্রশ্নোত্তর: সামাজিক বিজ্ঞান

৪। কখন বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়?
(ক) ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ (খ) ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ (গ) ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ (ঘ) ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল
৫। বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতির নাম কী?
(ক) সৈয়দ নজরুল ইসলাম (খ) শেখ মুজিবুর রহমান
(গ) খোন্দকার মোশতাক আহমদ
(ঘ) কর্নেল আতাউল গনি ওসমানী
৬। বাংলাদেশের আইনসভা মোট কতজন সদস্য নিয়ে গঠিত?
(ক) ৩১০ জন (খ) ৩১৫ জন (গ) ৩০০ জন (ঘ) ৩৩০ জন
৭। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মূলনীতি কোনটি?
(ক) সমাজতন্ত্র (খ) ধর্মনিরপেক্ষতা
(গ) জাতীয়তাবাদ (ঘ) সংসদীয় গণতন্ত্র
৮। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয় কত সালের কত তারিখে?
(ক) ১৯৭১ সালের ২ মার্চ (খ) ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ (গ) ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর (ঘ) ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ
৯। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে নতুন সংবিধান রচনার জন্য গণপ্রতিনিধিদের নিয়ে একটি পরিষদ গঠিত হয়। এ পরিষদের প্রথম অধিবেশন বসে—
(ক) ১৯৭২ সালের ৯ এপ্রিল (খ) ১৯৭২ সালের ১০ এপ্রিল
(গ) ১৯৭২ সালের ১০ মার্চ (ঘ) ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল
১০। খসড়া সংবিধানে উল্লেখ আছে সংসদীয় সরকার প্রতিষ্ঠার কথা। এখানে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত মন্ত্রিসভা শাসনকার্য পরিচালনা করবে এবং মন্ত্রিসভা যৌথভাবে দায়ী থাকবে—
(ক) জনগণের নিকট (খ) সংসদের নিকট
(গ) প্রধানমন্ত্রীর নিকট (ঘ) রাষ্ট্রপতির নিকট
১১। বাংলাদেশের সংবিধান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে—
(ক) অনুমোদনের পদ্ধতি দ্বারা
(খ) ক্রমবিবর্তনের পদ্ধতি দ্বারা (গ) বিপ্লবের মাধ্যমে (ঘ) আলাপ-আলোচনার পদ্ধতি দ্বারা
১২। সংবিধানে নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে, সেখানে উল্লেখ আছে। জীবনধারণের অধিকার আর আছে—
i. মত প্রকাশের স্বাধীনতা ii. অবাধে চলাফেরার স্বাধীনতা
iii. পেশা, বৃত্তি ও সম্পত্তি ভোগের স্বাধীনতা
নিচের কোনটি সঠিক
(ক) i (খ) ii (গ) i ও ii (ঘ) i, ii ও iii
১৩। গণতন্ত্রকে মূল সংবিধানে মৌলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়। প্রকৃতপক্ষে—
i. ব্যক্তিস্বাধীনতা রক্ষার জন্য ii. ধর্মীয় মূল্যবোধ বৃদ্ধির জন্য
iii. নাগরিক মূল্যবোধ বৃদ্ধির লক্ষ্যে
নিচের কোনটি সঠিক
(ক) iii (খ) i ও ii (গ) ii ও iii (ঘ) i, ii ও iii
১৪। বাংলাদেশের সংবিধানের রাষ্ট্রীয় মূলনীতি উল্লেখ রয়েছে। এসব মূলনীতির প্রতিফলন লক্ষ করা যায়—
i. আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে ii. আইনের ব্যাখ্যাদানের ক্ষেত্রে iii. আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i (খ) i ও ii (গ) ii ও iii (ঘ) i, ii ও iii
১৫। ১৯৭২ সালের মূল সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকার রাষ্ট্রীয় মূলনীতি গ্রহণ করে। মূলত মূলনীতি হচ্ছে নিচে উল্লিখিত-
i. জাতীয়তাবাদ ii. অর্থনৈতিক মুক্তি iii. ধর্মনিরপেক্ষতা
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i (খ) ii (গ) i ও ii (ঘ) i ও iii
১৬। খসড়া সংবিধান তৈরি করার পর গণপরিষদে সংবিধানের ওপর সাধারণ আলোচনা ও সংশোধনী শেষ করে—
i. ১৯৭২ সালের ৩০ অক্টোবর ii. ১৯৭২ সালের ২৯ নভেম্বর iii. ১৯৭৩ সালের ২৯ নভেম্বর
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i (খ) ii (গ) iii (ঘ) i, ii ও iii

সঠিক উত্তর: অধ্যায়-১৩ (১ম পরিচ্ছেদ: ক): ৪। খ ৫। খ ৬। গ ৭। গ ৮। খ ৯। খ ১০। খ ১১। ঘ ১২। ঘ ১৩। গ ১৪। ঘ ১৫। ঘ ১৬। ক।