Saturday, May 11, 2013

অপহরণের ১০ বছর পর তিন নারী জীবিত উদ্ধার!

যুক্তরাষ্ট্রে ওহাইও অঙ্গরাজ্য থেকে অপহরণের এক দশক পর তিন নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার জরুরি সেবা নাম্বার ৯১১তে সাহায্যের জন্য তাদের একজনের ফোন পাওয়ার পরেই ওহাইও’র ক্লিভল্যান্ডের একটি বাড়ি থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। ওই বাড়ি থেকে তিন ভাইকে আটক করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, তিনজনের মধ্যে আমেন্ডা বেরি পুলিশকে ফোন করেন এবং তাদের উদ্ধার করার অনুরোধ জানান।

তিনি ফোনে বলেন, “ আমাকে সাহায্য করুন, আমি আমেন্ডা বেরি। আমি অপহৃত হয়েছিলাম, আমি ১০ বছর যাবৎ নিখোঁজ। আমি এখানে, আমি এখন মুক্ত।”

এরপর দ্রুত পুলিশ সেখানে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। এসময় একটি ছয় বছরের শিশুকে উদ্ধা করা হয়েছে।

২০০৩ সালের ২১ এপ্রিল ১৬ বছর বয়েসে আমেন্ডা বেরি তার চাকুরি থেকে ফেরার পথে অপহৃত হন। এর এক বছর পর ১৪ বছর বয়সে জিনা ডিজিজাস স্কুল থেকে ফেরার পথে এবং মিশেল নাইট ২০০২ সালে অপহৃত হন।

তিন নারীকে কিভাবে উদ্ধার করা হয় পুলিশ এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানায় নি। তারা তিনজনই সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ

মুখ দিয়ে লিখে এসএসসি পাস!

হাত দুটি’র আঙ্গুল অচল। তবুও শৈশবে মা-বাবার কাছে বায়না ধরে স্কুলে যাওয়ার। সেই শৈশবে প্রথম শ্রেণী।

এরপর প্রাথমিকের গণ্ডি পেরিয়ে মাধ্যমিক। এবার মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোনোর জন্য এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ ৩.৫০ পেয়েছে ফিরোজ। মুখে কলম আঁকড়ে লিখে ভালো রেজাল্ট করায় সহপাঠীরা খুশি।

পুরো নাম ফেরদৌস আলম ফিরোজ। সাহাবুদ্দিন-ফিরোজা দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে সবার বড় সে। বাড়ি লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে চতুর্থ শ্রেণীর  চাকরি করেন বাবা সাহাবুদ্দিন। সেখান থেকে যা পান তা দিয়ে সংসার চলে কোনো মতো।

এসএসসি পরীক্ষায় উপজেলার কাউয়ামারী আপ্তার উদ্দিন প্রধান উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল সে।

ফিরোজের মা ফিরোজা বেগম বাংলানিউজকে জানান, হাত দুটি দিয়ে কোনো কাজ করতে পারে না তার ছেলে। শুধু ডান হাতের বুড়ো আঙ্গুলগুলো একটু-আধটু শক্তি আছে। ভাত খেতে পারে না। তাই পরিবারের অন্যদের সহযোগিতায় খেতে হয়।

প্রতিবন্ধী ফিরোজ বাংলানিউজকে বলেন, ‍“আমি লেখাপড়া করে প্রতিবন্ধী শব্দটিকে জয় করতে চাই। দোয়া করবেন আমি যেন ভালোভাবে পড়ালেখা শেষ করতে পারি।”

প্রধান শিক্ষক আখেরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, “শারীরিক অক্ষমতা বাধা হতে পারেনি তার। মুখের সাহায্যে কলম ধরে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ ৩.৫০ পেয়ে আমাদের স্কুলের সম্মান বাড়িয়েছে।”

ধসের শঙ্কা নিয়ে ঢাবির কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর হলবাস

হলের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য ফাটল, ঘন ঘন প্লাস্টার খসে পড়া আর মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হলেই যেকোনো সময় ধসে পরতে পারে হলের পুরো কাঠামো— এভাবেই আতঙ্কের মধ্যে হলবাস করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি হলের হাজার হাজার শিক্ষার্থী। সম্প্রতি মুহসীন হলের টিভি কক্ষের ছাদের একটি বড় অংশের প্লাস্টার ধসে ২ শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ আতঙ্ক আরও বেড়ে যায়। আর আতঙ্ক বৃদ্ধির নতুন কারণ হিসেবে তো আগেই যোগ হয়েছে সাভারের রানা প্লাজা ধসে পড়ার মতো ভয়াবহ ঘটনা।

শিক্ষার্থীরা জানান, যেকোনো সময় ভূমিকম্প বা অন্য যেকোনো কারণে হল ধসে পড়তে পারে। তাই এখানে আমাদের সময় কাটাতে হয় এক ধরনের আতঙ্কের মধ্য দিয়ে। তাছাড়া মাঝে মাঝে প্লাস্টার ধসে আহতও হতে হচ্ছে কাউকে কাউকে। কম মাত্রার ভূমিকম্প হলেই শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে হল থেকে বের হওয়ার জন্য ছোটাছুটি শুরু করে দেন । অনেকেই প্রাণভয়ে দু’তলা কিংবা তিন তলা থেকে লাফিয়েও পড়েন।

সংশ্লিষ্ট হলগুলোর প্রাধ্যক্ষরা জানান, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে তার‍া লিখিতভাবে হল ভবন সংস্কারের বিষয়টি জানান। কিন্তু আবেদনে প্রশাসন এতই সামান্য অর্থ দেয় যে, তা দিয়ে পুরোপুরি সংস্কার সম্ভব হয় না।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্র জানায়, অর্থের অভাবেই তারা পুরোপুরি সংস্কার করতে পারছেন না।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও বিশেষজ্ঞরা বেশ কয়েকটি হলকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে— ‘৬৭ সালে নির্মিত মুহসীন হল, ’৬২ সালে নির্মিত মাস্টার দা সূর্যসেন হল, ’৫৭ সালে নির্মিত জহুরুল হক হল, ’৬৬ সালে নির্মিত স্যার পি জে হার্টস ইন্টারন্যাশনাল হল ও ’৬৩ সালে নির্মিত রোকেয়া হল।

এছাড়া ফজলুল হক মুসলিম হল, শহীদুল্লাহ হল, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলও রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ হলের তালিকায়।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মুহসীন হল, সূর্যসেন হল, ফজলুল হক হল, জহুরুল হক হলের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে ফাটল। এসব হলের বিমগুলোতেও দেখা দিয়েছে গভীর ফাটল। প্রায়ই প্লাস্টার খসে পড়াও একটি আতঙ্ক উদ্রেককারী ঘটনা। হল প্রশাসনের কাছে বারবার জানিয়েও তারা এর কোনো স্থায়ী প্রতিকার পাচ্ছেন না। এর মধ্যে মুহসীন হলের অবস্থাই বেশি নাজুক।

বুয়েটের বিশেষজ্ঞ শিক্ষকরা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশলীরা  মনে করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি হল ভূমিকম্প ঝুঁকিতে থাকলেও ’৭০ সালের আগে নির্মিত ভবনগুলোই তুলনামূলক বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জগন্নাথ হলের পুরাতন ভবনসমূহ, এসএম হল, শহীদুল্লাহ হল, ফজলুল হক মুসলিম হল, মুহসীন হল, সার্জেন্ট জহুরুল হক হল এবং মাস্টার দা সূর্য সেন হল।

বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েটি হল ঝুঁকিপূ্র্ণ, ভূমিকম্পের জন্য তো বটেই। কারণ এগুলো বেশির ভাগই নির্মাণের পর প্রায় ৬০-৭০ বছর অতিক্রম করেছে। আর যে সব হলে ফাটল দেখা দিয়েছে তার বেশির ভাগই অনেক আগে তৈরি, তখন ভবন নির্মাণে ভূমিকম্পের কথা চিন্তা করা হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, “সাভার ট্রাজেডিতে সতর্ক হয়ে আমরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন হলের স্থায়িত্ব এবং বর্তমান অবস্থার ওপর এক্সপার্টদের দ্বারা সার্ভে চালাচ্ছি। একটি বিখ্যাত বিদেশী কোম্পানির সহায়তায় খুব শীঘ্রই একটি সমীক্ষা চালানো হবে। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

তিনি আরও বলেন, “যে সব হলে ফাটল দেখা দিচ্ছে বা প্লাস্টার ধসে পড়ছে সেসব হলে আমরা মেরামত কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। জিয়াউর রহমান ও বঙ্গবন্ধু হলে কাজ চলছে। মুহসীন হলের এক অংশের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে, কিন্তু অর্থের অভাবে পুরোটা সম্পন্ন করা যায়নি। আমরা ২০১১ সালের দিকে সংস্কারের জন্য ১৬ কোটি টাকা পাই, এর পুরো অর্থ এখনো হাতে আসেনি। টাকা পেলে বাকিগুলোতে দ্রুত হাত দেওয়া হবে।”

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ইন্টারন্যাশনাল হলে পিছনের স্টাফ কোয়ার্টার, আইবিএর হোস্টেল, ফজলুল হক হলের একটি ব্লক, জহুরুল হক হলের এক্সটেনশন বিল্ডিংয়ের অবস্থা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এসব ভবনে যেকোনো সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, কিছু কিছু ভবন এতটাই অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে যেগুলো সংস্কার করলেও কোনো লাভ হবে না। সেজন্য নতুন কোনো হল নির্মিত হলে তাতে ঝঁকিপূর্ণ হলের শিক্ষার্থীদের স্থানান্তরিত করে সেটা ভেঙে ফেলে নতুন করে তৈরি করতে হবে। তা না হলে কেবল সংস্কার ভূমিকম্প রোধ করতে পারবে না।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য় অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বাংলানিউজকে বলেন, “আর্থিক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বত্রই সংস্কার কাজ চলছে।  নতুন নতুন হল নির্মাণ করা হচ্ছে। ধীরে ধীরে এসব সমস্যা কেটে যাবে।”

উল্লেখ্য, ১৯৮৫ সালের ১৫ই অক্টোবর জগন্নাথ হলের  টিভি কক্ষের ছাদ ধসে ৩৯ শিক্ষার্থীর প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

সাভারের ‘মৃত্যুকূপ’ থেকে ফেরা জিয়া জিপিএ-৫ পেয়েছে

গরিব ঘরের সন্তান জিয়াউর রহমান। একটি ভালো কলেজে ভর্তির টাকা জোগার করতেই সাভারের রানা প্লাজায় চাকরি নিয়েছিল সে। কিন্তু ভয়াবহ ভবন ধসে গুরুতর আহত জিয়া কবির কবিতার মতোই, মৃত্যুর মুখ থেকে জীবনের দিকে পালিয়ে আসে।

মৃত্যুকূপ থেকে ফিরে জীবনের চরম এ দুঃসময়ের মধ্যেও সুসংবাদ হচ্ছে, এবারের এসএসসি পরীক্ষায় এই মেধাবী জিপিএ-৫ পেয়েছে। কিন্তু পরম আনন্দের মধ্যেও দুঃশ্চিন্তা যেন পিছু ছাড়ছে না তার।

ভালো কলেজে ভর্তি অত:পর লেখাপড়া চালিয়ে যেতে প্রয়োজন টাকা। কিন্তু সেই টাকা কে দেবে, কিভাবে জোগার হবে, সেই চিন্তায় অস্থির জিয়া ও তার পরিবার।

মেধাবী জিয়ার সোজাসাপ্টা ভাষ্য, “আমি ভালো কলেজে ভর্তি হতে চাই। লেখাপড়া করে বড় চিকিৎসক হতে চাই।”

জানা গেছে, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামের মজুর আব্দুল হেলিমের ৪ সন্তানের মধ্যে জিয়া তৃতীয়। ঢাকায় তার বাবা দিনমজুর ও মা জুলেখা খাতুন গৃহ পরিচারিকার কাজ করেন।

প্রতিকূল পরিস্থিতিতে দারিদ্র্যের যাতাকলে পিষ্ট হয়েও এবারের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছে জিয়া।

জিয়া বলেন, “আমার আত্মবিশ্বাস ছিল ভালো করবো। সেই বিশ্বাস থেকেই এইচএসসি’তে ভালো কলেজে ভর্তির টাকা জোগার করতে সাভারের রানা প্লাজার পোশাক কারখানায় কাজ নিয়েছিলাম। ২৫ এপ্রিল আল্লাহ’র অশেষ রহমতে ‘ভয়ঙ্কর মৃত্যুকূপ’ থেকে প্রাণে রক্ষা পেয়েছি। কিন্তু এখন আমার স্বপ্ন কিভাবে পূরণ হবে কিছুই জানি না।”

অদম্য এ মেধাবী’র বাবা-মায়ের স্বপ্ন তাদের ছেলে চিকিৎসক হবে।

এ প্রসঙ্গে জিয়া বলেন, “বাবা-মায়ের ভীষণ ইচ্ছা আমি ভালো কলেজে পড়বো। চিকিৎসক হবো। মানবতার সেবা করবো। কিন্তু এরজন্য তো প্রয়োজন অর্থ। সেই অর্থই তো আমাদের নেই।”

দারিদ্র্যের অন্ধকার ঘরে এক টুকরো আশার আলো জ্বালিয়েছেন জিয়া। ছেলের এ ফলাফলে খুশি বাবা আব্দুল হেলিম ও মা জুলেখা বেগমও। কিন্তু তাদের মুখে হাসি নেই।

সংসার চালাতেই যেখানে চরম হিমশিম খেতে হয়, সেখানে ছেলের শিক্ষা খরচ কিভাবে চালাবেন, এ নিয়ে ভীষণ চিন্তিত জিয়ার বাবা-মা।

জিয়ার বাবা আব্দুল হেলিম বলেন, “আমরা দরিদ্র মানুষ। কেউ যদি আমার ছেলেকে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে সাহায্যের জন্যে এগিয়ে আসতেন তবে আমাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হতো।”

জিয়ার কৃতিত্বের প্রশংসা করে ঈশ্বরগঞ্জ বিশ্বেশ্বরী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসিম উদ্দিন জানান, “শত অভাব ও দুঃখ জিয়াকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। প্রতি ক্লাসেই সে মেধার স্বাক্ষর রেখেছে। মেধাবী এ তরুণকে অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌছাঁতে সবার সহযোগিতার প্রয়োজন।”

কক্সবাজারে পর্ণো ভিডিও চক্রের ৫ নারীসহ আটক ১৫

কক্সবাজার শহরের কলাতলীর হোটেল মোটেল জোনের সি ভিউ অ্যাপার্টম্যান্ট থেকে বৃহস্পতিবার রাতে পর্ণো ভিডিও তৈরি চক্রের  ৫ নারী সদস্যসহ ১৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

আটকদের মধ্যে রয়েছেন এ চক্রের প্রধান হোতা কক্সবাজার হোটের মোটেল  ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদারের ছোট ভাই জসিম উদ্দিন। জমিস উদ্দিন কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকার মৃত আশরাফজ্জামানের ছেলে।

আটক অন্যান্যরা হলেন, লাইট হাউজ এলাকার মৃত আমির হোসেনের ছেলে আবদুর রাজ্জাক, পোকখালী নতুন বাজার এলাকার অজি উল্লাহ ছেলে মো. সেলিম উল্লাহ, র্পূব পোকখালী এলাকার মো. ইলিয়াছের ছেলে আইয়ুব, একই এলাকার মোজাফ্ফর আহমদের ছেলে এনামুল কবির, লাইট হাউজ এলাকার মৃত আলমের ছেলে শুক্কুর আলী, বিডিআর ক্যাম্প এলাকার ইয়াদ করিমের ছেলে সাদেকুর রহমান, ভারুয়াখালি এলাকার মৃত এমদাদুলের ছেলে সেলিম উল্লাহ, বরগুনার আব্দু রহমান ব্যাপারীর ছেলে সুমন এবং বড় মহেশখালী নুর মোহাম্মদের ছেলে সাইদ।

আটক চক্রের নারী সদস্যরা হলেন, রোহিঙ্গা আমেনা, চকরিয়ার সুমি, রামুর ইয়াসমিন, চকরিয়ার সায়েমা এবং লোহাগড়ার রুজিনা।

সিভিউ অ্যাপার্টমেন্টির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, কক্সবাজার হোটের মোটেল  ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদারের ছোট ভাই জসিম উদ্দিন ও তার সহযোগী সেলিম মিলে একটি চক্র পর্ণো ছবি তৈরি করে আসছে। রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে পর্ণো ভিডিওসহ এদের আটক করে।

কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জমিস উদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালিয়ে অসামাজিক কাজ করার সময় ৫ নারী সহ ১৫ জনকে আটক করা হয়।

এদিকে খোদ কক্সবাজার হোটের মোটেল ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের ছোট ভাইকে হোটেল মোটেল জোনে অসামাজিক কার্যকলাপ ও পর্ণো ফ্লিম তৈরির সঙ্গে জড়িত থাকায়ে আটক হওয়ায় শহরে জুড়ে তুমুল সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে, কক্সবাজার হোটের মোটেল ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ
 সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজারের আবাসিক হোটেল কেন্দ্রিক পর্ণো ভিডিও তৈরি করে তা বাজারজাত করে আসছে। কক্সবাজারের প্রায় ৩০টি হোটেল এ চক্রটির নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে। চক্রটির সঙ্গে রয়েছে নারী সদস্যরাও। এতে হোটেল মোটেল ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

১৯ ঘণ্টা পর সিরিয়ায় ইন্টারনেট চালু!

টানা ১৯ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর সিরিয়ায় আবার চালু হয়েছে ইন্টারনেট সুবিধা। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই ইন্টারনেট সংযোগ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে দেশটি। অপটিক্যাল ফাইবার কেব্‌লের ত্রুটির কারণেই এমনটি হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকারি গণমাধ্যম। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য এ কথা মানতে নারাজ। গত নভেম্বরে টানা তিন দিন দেশটিতে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ছিল। অনেকের ধারণা, বিদ্রোহ দমাতে সরকার ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করেছিল।
তানজিল আহমেদ জনি, সূত্র: বিবিসি

ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি

পদ ও যোগ্যতা : রেজিস্ট্রার। স্নাতকোত্তর।
অভিজ্ঞতা : ১৫ বছর।
বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে।
বয়সসীমা : সর্বোচ্চ ৫৫ বছর।
কাজের জায়গা : ঢাকা।
আবেদনের শেষ তারিখ : ১৯ মে।
ছবি এবং পূর্ণাঙ্গ সিভিসহ আবেদন করুন।
ঠিকানা : ভাইস চ্যান্সেলর, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, প্লট-এ/২, মেইন রোড, জহুরুল ইসলাম সিটি, আফতাবনগর, ঢাকা-১২১২। সূত্র : প্র.আ।

ওএমসি গ্রুপ

পদ ও যোগ্যতা : সেলস এক্সিকিউটিভ। স্নাতক। তবে এইচএসসি পর্যন্ত বিজ্ঞান শাখার ছাত্র হতে হবে।
অভিজ্ঞতা : এক বছর।
বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে।
বয়সসীমা : সর্বোচ্চ ৩০ বছর।
কাজের জায়গা : ঢাকা।
আবেদনের শেষ তারিখ : ১৭ মে।
ছবি এবং পূর্ণাঙ্গ সিভিসহ আবেদন
ঠিকানা : ওভারসিস মার্কেটিং করপোরেশন লিমিটেড, ইউনিক ট্রেড সেন্টার (লেভেল-১৫), ৪ পান্থপথ, ঢাকা-১২১৫। সূত্র : www.bdjobs.com

বিডি ফাইন্যান্স

পদ ও যোগ্যতা : হেড অব সিআরএম। সিএ/মাস্টার্স।
অভিজ্ঞতা : ৮ বছর।
বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে।
বয়সসীমা : অনূর্ধ্ব ৪০ বছর।
কাজের জায়গা : ঢাকা।
আবেদনের শেষ তারিখ : ২০ মে।
ছবি এবং পূর্ণাঙ্গ সিভিসহ আবেদন করুন।
ঠিকানা : হেড অব এইচআর, বিডি ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড, বায়তুল হোসেন বিল্ডিং (২য় তলা), ২৭ দিলকুশা সি/এ, ঢাকা-১০০০। সূত্র : www.bdjobs.com

ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স

পদ ও যোগ্যতা : ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার-সিভিল।
অভিজ্ঞতা : প্রতিষ্ঠিত কোনো কনস্ট্রাকশন কম্পানিতে পাঁচ থেকে সাত বছর কাজের অভিজ্ঞতা।
বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে।
বয়সসীমা : ২৫ থেকে ৩৫ বছর।
আবেদনের শেষ তারিখ : আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে। দুই কপি পাসপোর্ট আকারের ছবি এবং সিভিসহ আবেদন করুন। ঠিকানা : ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স কম্পানি, এনএলআই টাওয়ার, ৫৪, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫। সূত্র : প্র.আ।