Tuesday, April 2, 2013

যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূর মুখে কাপড় বেঁধে নির্যাতন

স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি করা যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় গত শনিবার রাতে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার টরকীর চর গ্রামে গৃহবধূ ঝিনুক বেগমের মুখে কাপড় বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ঝিনুক বেগম অভিযোগ করেন, শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে যৌতুকের টাকা নিয়ে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে পিটিয়ে জখম করেন। নির্যাতন সইতে না পেরে কান্নাকাটি ও চিৎকার শুরু করলে তাঁর মুখে কাপড় বেঁধে বেদম মারপিট করা হয়। এতে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এরপর তাঁর আর কিছু মনে নেই।
এ ঘটনায় গতকাল সোমবার সকালে ঝিনুক বেগমের বাবা রুহুল আমিন ঘরামি বাদী হয়ে মেয়ের স্বামী জসিম হাওলাদার, ভাশুর লিটন হাওলাদার ও শ্বশুর মজিবর হাওলাদারকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে গৌরনদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
টরকীর চর গ্রামের বাসিন্দা মনির হোসেন, জবেদ আলী ব্যাপারীসহ কয়েকজন জানান, গত রোববার সকালে ঝিনুককে বাড়ির আঙিনায় অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আবদুস সালাম দেওয়ান জানান, রোগীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে এবং মুখমণ্ডল থেকে কীটনাশকের দুর্গন্ধ পাওয়া গেছে। তবে কীটনাশক পানের কোনো লক্ষণ ছিল না।
অভিযোগের ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে কাউকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তবে মুঠোফোনে অভিযোগ অস্বীকার করে জসিম হাওলাদার বলেন, ঝগড়াঝাঁটি হয়েছে—এ কথা সত্য। কিন্তু নির্যাতনের অভিযোগ সত্য নয়।
গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

প্রথম দিনে অনুপস্থিত ৯২৯৭, বহিষ্কার ৩৩

উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে সারা দেশে গতকাল সোমবার শুরু হয়েছে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। পরীক্ষার প্রথম দিনে ১০ বোর্ডে অনুপস্থিত ছিল নয় হাজার ২৯৭ জন শিক্ষার্থী এবং বহিষ্কৃত হয়েছে ৩৩ জন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণকক্ষের হিসাব অনুযায়ী অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঢাকা বোর্ডে এক হাজার ৬২৩, রাজশাহীতে এক হাজার ১১৬, যশোরে ৮৪৬, কুমিল্লায় ৮৪১, চট্টগ্রামে ৬৯৭, সিলেটে ৩৭৩, বরিশালে ৩১৪, দিনাজপুরে ৬৬৩, মাদ্রাসা বোর্ডে এক হাজার ৫০৪ এবং কারিগরি বোর্ডে এক হাজার ৩২০ পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।
বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ২০ জনই কারিগরি বোর্ডের শিক্ষার্থী। বাকিদের মধ্যে নয়জন মাদ্রাসার, দুজন কুমিল্লার, একজন সিলেটের ও দিনাজপুর বোর্ডের একজন শিক্ষার্থী। নিয়ন্ত্রণকক্ষ জানিয়েছে, তাদের কাছে কোনো ধরনের অস্বাভাবিক খবর আসেনি।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ঢাকা কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি আবারও পরীক্ষার সময়ে হরতাল না দেওয়ার জন্য রাজনৈতিক দলসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি পরীক্ষার সময়ে হরতালের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক, শিক্ষাবিদ, পেশাজীবী, সুশীল সমাজসহ সর্বস্তরের সচেতন জনগণের প্রতি সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।
এ সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এম গোলাম ফারুক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফাহিমা খাতুন, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তাসলিমা বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এবার আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীন আলিম ও কারিগরি বোর্ডের অধীন এইচএসসি (ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা) পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ১০ লাখ ১২ হাজার ৫৮১ জন।

‘ভগবান যেন চোখটি ভালো করে দেন’

‘ভগবানের কাছে একটাই চাওয়া, আমার মেয়ের চোখটি যেন ভালো করে দেন। আমার মেয়ে যেন আবার আগের মতো হয়, আবার পড়ালেখা করতে পারে।’ এই চাওয়া অন্তু বড়ুয়ার মা শিল্পী বড়ুয়ার। অন্তু বড়ুয়া নগরের জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গত ২৮ মার্চ চট্টগ্রামে ১৮-দলীয় জোটের টানা ৩৬ ঘণ্টা হরতালের সময় ককটেল বিস্ফোরণে চোখে আঘাত পায় অন্তু। গত রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে অন্তুকে ভর্তি করা হয় রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে। গতকাল সোমবার বিকেলে অন্তুর চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ড বসে। ছয় সদস্যবিশিষ্ট এই বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অন্তুর চিকিৎসা আপাতত এই হাসপাতালেই চলবে। কাল বুধবার আবার অন্তুর সার্বিক বিষয়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।
গতকাল দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে কথা হলো অন্তু মা-বাবার সঙ্গে। হাসপাতালের শয্যায় বিমর্ষ অন্তু। গণমাধ্যমের কর্মীদের প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে কিছুটাও বিরক্তও সে।
গতকাল স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, স্বাস্থ্যসচিব এম এম নিয়াজউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক জুলফিকার আলীসহ অনেকেই অন্তু বড়ুয়াকে দেখতে হাসপাতালে যান। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া থেকে শুরু করে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দেন তাঁরা।
হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক দীন মো. নুরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, বর্তমানে অন্তুর ৭০ শতাংশ দৃষ্টি ঠিক আছে। তবে তার চোখের অবস্থা আরও খারাপ হবে কি না, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। ছয় মাস থেকে এক বছর পরে গিয়ে তা হয়তো বলা যাবে। চোখের আঘাতের ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে রেটিনা, কর্নিয়া, লেন্সে ক্ষতি হতে পারে। এ কারণে গ্লুকোমা হতে পারে, চোখে ছানিও পড়তে পারে।
চিকিৎসকেরা জানালেন, অন্তুর চোখের বাইরের দিকে পাঁচটি সেলাই দিতে হয়েছে। ব্যান্ডেজ খোলা হলেও সে ভালো করে তাকাতে পারছে না। ঝাপসা দেখছে।
অন্তুর মা বলেন, ‘আমার মেয়ে চোখ হারাতে বসেছে। এর যে কী যন্ত্রণা, তা আমি বুঝতে পারছি। আর কোনো মাকে বা অভিভাবককে যেন এই পরিস্থিতির মুখে পড়তে না হয়।’
পাশে বসা অন্তুর বাবা ব্যাংক কর্মকর্তা অঞ্জন বড়ুয়া বলেন, ‘সরকার অপরাধীদের শাস্তি দেবে। আমরা সরকারের কাছে জীবনের নিরাপত্তা চাই।’
প্রধানমন্ত্রী অন্তুর চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়ায় অন্তুর বাবা ও মা প্রধানমন্ত্রী এবং সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

সাত দিনের রিমান্ডে তিন ব্লগার


ইন্টারনেটে বিভিন্ন ব্লগে ইসলাম ধর্ম নিয়ে উসকানিমূলক মন্তব্য ও কটূক্তি করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া তিন ব্লগারকে সাত দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার দুপুুরে ঢাকার মহানগর হাকিম তারেক মইনুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন: মশিউর রহমান বিপ্লব, রাসেল পারভেজ ও সুব্রত শুভ। গতকাল রাতে রাজধানীর ইন্দিরা রোড, মনিপুরিপাড়া ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন পলাশী এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
ডিবি পুলিশ আজ দুপুরে ওই তিনজনকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে। আদালত প্রত্যেকের জন্য সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে, তাঁদের জামিনের আবেদন করা হলে আদালত তা নাকচ করে দেন।
আজ দুপুর ১২টায় মিন্টো রোডে ডিবির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ওই তিনজনের কাছ থেকে একটি ডেস্কটপ কম্পিউটার, একটি ল্যাপটপ, দুটি ইন্টারনেট সংযোগের মডেম ও একটি এক্সটারনাল হার্ডডিস্ক উদ্ধার করা হয়েছে।
মিডিয়া সেন্টার থেকে জানানো হয়, মশিউর রহমান বিপ্লব ফেসবুকে ‘আল্লামা শয়তান’ নামে, সামহয়্যারইন ও নাগরিক ব্লগে ‘শয়তান’ এবং আমার ব্লগে ‘নেমেসিস’ ছদ্মনামে লেখালেখি করেন। রাসেল পারভেজ আমার ব্লগে ‘রাসেল পারভেজ’, সামহয়্যারইন ব্লগে ‘রাসেল’ ও ‘অপবাক’ ছদ্মনামে লেখালেখি করেন। আর সুব্রত শুভ সামহয়্যারইন ব্লগে ‘সাদা মুখোশ’, আমার ব্লগে ‘সুব্রত শুভ’, নাগরিক ব্লগে ‘আজাদ’, ইস্টেশন ব্লগে ‘লালু কসাই’ ছদ্মনামে লিখতেন। প্রকৃতিবাদে বিশ্বাসী এই ব্লগাররা ইন্টারনেটে বিভিন্ন ব্লগে তাঁদের লেখালেখির মাধ্যমে ইসলামসহ বিভিন্ন ধর্মের প্রবর্তকদের বিতর্কিতভাবে উপস্থাপন করে ধর্মপ্রাণ মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করে আসছিলেন।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে ডিবির পশ্চিম ও উত্তর বিভাগের উপকমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম জানান, গোপন খবরের ভিত্তিতে ডিবির অতিরিক্ত উপকমিশনার মশিউর রহমান, মো. শহীদুল্লাহ, মানস কুমার পোদ্দারের নেতৃত্বে একটি দল গতকাল সোমবার রাত পৌনে ১০টায় ফার্মগেটের ইন্দিরা রোড ও মনিপুরিপাড়া এলাকা থেকে মশিউর রহমান ও রাসেল পারভেজকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁদের তথ্যের ভিত্তিতে দিবাগত রাত পৌনে তিনটার দিকে পলাশী মোড় থেকে সুব্রত শুভকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উপকমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামের ভাষ্য, ডিবির সাইবার ক্রাইম ইউনিট দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন ইন্টারনেট ব্যবহার করে ধর্ম নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য লিখতেন। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও হার্ডডিস্ক থেকে এর প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাঁদের আইনের আওতায় নেওয়া হয়েছে।
কথিত ‘নাস্তিক’ ব্লগারদের গ্রেপ্তার ও শাস্তিসহ ১৩ দফা দাবিতে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচির সঙ্গে এই গ্রেপ্তারের কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কি না, জানতে চাইলে মোল্যা নজরুল ইসলাম জানান, হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের সঙ্গে এর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। আইনের পরিপন্থী কাজ করায় ও অন্যের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

‘পুলিশ কনস্টেবলরা তখন কী করছিলেন?’


‘আমার বাবা যখন শিবিরের কর্মীদের হাতে মার খাচ্ছিলেন, তখন তাঁর সঙ্গে থাকা পুলিশ কনস্টেবলরা কী করছিলেন? এ প্রশ্নটি আমার মনে বারবার ঘুরপাক খাচ্ছে।’
আজ মঙ্গলবার এ কথা বলছিলেন রাজশাহীতে শিবিরকর্মীদের বেদম পিটুনিতে আহত উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে ফয়সাল সিদ্দিকী (২৬)।  তিনি বলেন, ‘কেবল পুলিশ নয়, ঘটনাস্থলে তো র্যাবও মোতায়েন ছিল, তারা কেন এগিয়ে আসেনি? এ কথা গতকাল সিএমএইচে (সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল) বাবাকে দেখতে আসা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে করেছিলাম। এর কোনো উত্তর মেলেনি।’
প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে ফয়সাল জানান, ওই দিন ঘটনাস্থল উপশহর পুলিশ ফাঁড়িতে সকাল থেকে দায়িত্ব পালন করছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। একটি পিকআপ ভ্যানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন চালকসহ আরও ১৩ জন পুলিশ সদস্য। ভ্যানের সামনের আসনে বসেছিলেন জাহাঙ্গীর। জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা যখন মিছিল বের করে চার রাস্তার মোড়ে এসে ককটেল ছুড়তে থাকেন, তখন পিকআপের পেছন থেকে পুলিশ কনস্টেবলরা বের হয়ে গেলেও কোনো পাল্টা জবাব দেননি; বরং ঘটনাস্থল থেকে তাঁরা সরে যান। এই সুযোগে তাঁর বাবা জাহাঙ্গীর আলমকে একা পেয়ে হামলা চালান জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা।
ফয়সাল অভিযোগ করেন, সকাল ১০টার দিকে তাঁর বাবা ওই হামলার শিকার হলেও পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁদের কোনো খবর দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, ‘ঝর্ণা নামের এক মহিলা ঘটনাস্থল থেকে বাবাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান এবং তিনিই আমাদের বাসায় খবর দেন।’
রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতকোত্তর করা ফয়সালের প্রথমে ধারণা ছিল, রাজশাহী শহরের ভদ্রা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন তাঁরা। তাই রাজশাহী শহরে জাহাঙ্গীর আলমের যথেষ্ট পরিচিতি আছে। এ জন্য তাঁর বাবা হয়তো সামান্য আহত হতে পারেন। কিন্তু এই হামলা যে এতটা ভায়বহ, তা বুঝতে পারেননি।
ফয়সালের মতে, শিবিরের বেশির ভাগ কর্মীই বাইরে থেকে এসে এ ধরনের হামলার কাজ করে থাকেন। সম্প্রতি রাজশাহী শহরে যেসব শিবিরকর্মী এসব ঘটনা ঘটাচ্ছেন, অজ্ঞাত কারণে তাঁরা প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এই হামলার সঙ্গে স্থানীয় শিবিরের কিছু নেতা-কর্মী জড়িত থাকতে পারেন বলে ফয়সালের সন্দেহ।
এ ব্যাপারে বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান মুঠোফোনে প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, জাহাঙ্গীরের সঙ্গে থাকা ১২ জন কনস্টেবলের মধ্যে ছয়জনই নতুন নিয়োগ পেয়েছেন। শিবিরের আক্রমণে বিচলিত হয়ে তাঁরা পাল্টা অ্যাকশনে যেতে পারেননি। এ ঘটনায় এজাহারভুক্ত ২৩ ও অজ্ঞাত ৩৫ জনকে আসামি করে গতকাল রাত ১১টায় একটি মামলা হয়েছে। জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া রিভলবারটি উদ্ধার করা গেছে। হামলার সঙ্গে জড়িত থাকা সোহান নামের একজনকে চাপাতিসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এদিকে সিএমএইচে চিকিত্সাধীন জাহাঙ্গীর আলমের শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো জানিয়ে ফয়সাল বলেন, ‘চিকিত্সকেরা জানিয়েছেন, আমার বাবার মাথা থেঁতলে যাওয়ায় আঠা না দিয়ে নয়টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। ফেটে গেলে হয়তো বিপদ হতে পারত। তবে উচ্চমাত্রায় ডায়াবেটিসের কারণে ভীতি এখনো কাটেনি। মাঝেমধ্যে জ্ঞান ফিরলেও এ জন্যই আবার অচেতন হয়ে পড়ছেন তিনি। তাই চিকিত্সকেরা এখনো বাবাকে আইসিইউতে রেখেছেন।

ফিসপ্লেট উপড়ে ফেলায় তূর্ণা নিশীথা লাইনচ্যুত



ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী তূর্ণা-নিশীথা ট্রেনের একটি ইঞ্জিনসহ ছয়টি বগি আজ মঙ্গলবার ভোররাতে লাইনচ্যুত হয়েছে। হরতালের প্রথম প্রহরে রেললাইনের ফিসপ্লেট উপড়ে ফেলায় কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার শ্রীমন্তপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন।
এ ঘটনায় ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট ও ময়মনসিংহ রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী মহানগর প্রভাতী এবং চট্টগ্রাম থেকে সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেসের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে।
বেলা দুইটার দিকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী দুর্ঘটনাস্থল শ্রীমন্তপুরে পৌঁছে। আর চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনটিও এ সময় শ্রীমন্তপুরে যায়। সেখানে যাত্রীরা ট্রেন বদল করে নিজ নিজ গন্তব্যে যান।
কুমিল্লা রেলওয়ের স্টেশনমাস্টার মোহাম্মদ হোসেন মজুমদার প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, খবর পেয়ে লাকসাম ও আখাউড়া থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন সকাল সাড়ে আটটার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে। বিকেল নাগাদ মেরামত কাজ শেষ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
স্টেশনমাস্টার মোহাম্মদ হোসেন মজুমদার আরও বলেন, তূর্ণা-নিশীথা ট্রেনটি কুমিল্লা থেকে রাত চারটা ২৫ মিনিটে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। কুমিল্লার শ্রীমন্তপুরে পৌঁছার পর ট্রেনটির একটি ইঞ্জিন ও পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়। রেললাইনের ফিসপ্লেট উপড়ে ফেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার কারণে কুমিল্লার রসুলপুর এলাকায় নোয়াখালী এক্সপ্রেস ট্রেন ও আখাউড়া রেলজংশনে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী মেইল ট্রেন আটকা পড়েছে।
ট্রেনের যাত্রী আবুল খায়ের গ্রুপের বিপণন বিভাগে কর্মরত খোরশেদ আলম বলেন, ‘আমি ছিলাম ট্রেনটির একেবারে পেছনের বগিতে। হঠাত্ ট্রেনের বিকট এক শব্দ হয়। পরে জানতে পারি, ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এ সময় যাত্রীরা চিত্কার করে নেমে যান। তখন অনেকে কমবেশি আহত হন।’
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ২০০৭ সালের ২ আগস্ট উপকূল ট্রেনকে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষাকারী স্থানীয় বাসিন্দা রকিবুল হাসান জানান, আগেও একই জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটেছিল।
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট ও ছাত্রশিবির আজ সারা দেশে হরতাল ডেকেছে। এই হরতালে আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য দুর্বৃত্তরা নাশকতা করেছে বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।

Monday, April 1, 2013

শেয়ারবাজারে বড় ধরনের দরপতন হয়েছে

দেশের শেয়ারবাজারে আজ সোমবার বড় ধরনের দরপতন হয়েছে। বেলা আড়াইটায় দিনের লেনদেন শেষে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রায় সব কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। ফলে সূচকের বড় পতন লক্ষ করা গেছে। এর প্রতিবাদে মতিঝিলে ডিএসইর সামনে বিক্ষোভ করেছেন বিনিয়োগকারীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ দরপতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলতে থাকলে বেলা দুইটার দিকে বিনিয়োগকারীরা ডিএসইর সামনে রাস্তায় নেমে আসেন। তাঁরা দরপতনের প্রতিবাদে এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও ডিএসইর সভাপতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজান উর রশিদ চৌধুরী প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, বাজারে অব্যাহতভাবে দরপতন চলছে। এ বিষয়ে বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ সংশ্লিষ্টরা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। উল্টো দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের বিভিন্ন সময়ের দায়িত্বহীন কথাবার্তা ও সিদ্ধান্ত বাজারে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। ফলে দরপতন ত্বরান্বিত হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা নিষ্ক্রিয় রয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ডিএসই সূত্রে জানা যায়, আজ দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক গতকালের চেয়ে ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ অর্থাত্ ১৩২ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেন হওয়া ২৬৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৩৯টির দাম কমেছে, বেড়েছে মাত্র ১১টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। আজ এই স্টক এক্সচেঞ্জে ১৩৮ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

Sunday, March 31, 2013

বোমায় কবজি উড়ে গেল পুলিশের





রাজশাহীতে আজ রোববার সকালে সংঘর্ষের সময় জামায়াত-শিবিরের বোমা হামলায় পুলিশের এক উপপরিদর্শকের (এসআই) হাতের কবজি উড়ে গেছে। তাঁকে প্রথমে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সা দেওয়া হয়। পরে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষে পুলিশের আরও ছয় সদস্যসহ অন্তত ৩২ জন আহত হয়েছে।
আহত এসআইয়ের নাম মকবুল হোসেন (২১)। তিনি রাজশাহী মহানগরের মতিহার থানার একজন শিক্ষানবিশ এসআই। প্রশিক্ষণ শেষ করে মাস খানেক আগে তিনি এই থানায় যোগ দেন। তাঁর বাবা আনসার আলী রাজশাহী মহানগর পুলিশের হাবিলদার (নিরস্ত্র) হিসেবে কর্মরত। তাঁর বাড়ি সিরাজগঞ্জে।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জামায়াত-শিবিরের ছোড়া বোমার আঘাতে মকবুলের হাতের কবজি উড়ে গেছে। আর ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, নিজেদের গ্রেনেড ছুড়তে গিয়ে পুলিশের ওই সদস্য আহত হয়েছেন।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের চিকিত্সক বি কে দাম প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, মকবুল হোসেনের ডান হাতের কবজি ও বাম হাতের তিনটি আঙুল উড়ে গেছে। বাম হাতের বাকি দুটি আঙুলও ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থান থেকে বোমার বেশ কিছু স্প্লিন্টার বের করা হয়েছে।
চিকিত্সক বি কে দাম আরও জানান, স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক ফোন করে মকবুল হোসেনের চিকিত্সার খোঁজ নেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তাঁকে উন্নত চিকিত্সার জন্য দ্রুত হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মকবুল হোসেন চিকিত্সকদের জানিয়েছেন, তাঁর মাথা বরাবর বোমাটি আসছিল। তিনি মাথা বাঁচাতে দুই হাত দিয়ে সেটি ঠেকানোর চেষ্টা করেন। তখনই এই দুর্ঘটনা ঘটে।
মকবুল হোসেনের বাবা আনসার আলী ছেলের সঙ্গে ঢাকায় যান। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ছেলে তাঁর সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। শুধু কয়েকবার চোখে মেলে তাকিয়েছেন। তবে ছেলের একজন সহকর্মী তাঁকে (আনসার) জানিয়েছেন, স্যার (মকবুল) মাথা বাঁচাতে দুই হাত দিয়ে বোমা ঠেকাতে গিয়েছিলেন।
এ ছাড়া সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত পুলিশের দাঙ্গা দমন বিভাগের (আরসিডি) কনস্টেবল রফিকুল ইসলামকে (২২) হাসপাতালের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। বোমার আঘাতে তাঁর বাম হাতের কুনুই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তিনি এখন শঙ্কামুক্ত। আহত অন্য পুলিশ সদস্যরা প্রাথমিক চিকিত্সা নিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরের বাটারমোড় এলাকায় জামায়াত-শিবিরের প্রায় ৩০০ নেতা-কর্মী মিছিল বের করেন। তাঁরা আমান ট্রেডিং করপোরেশনের সামনে এসে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান। পুলিশ তাঁদের ধাওয়া দিতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল, ককটেল ও হাত বোমা ছুড়তে থাকেন। পুলিশও পাল্টা রাবারের গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে সংঘর্ষ রানীবাজার এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
রানীবাজারের মোমিন সাইকেল স্টোরের স্বত্বাধিকারী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ১০ থেকে ১২ মিনিট এমন তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে যে তাঁরা বোমা আর সাউন্ড গ্রেনেডের বিকট শব্দে কিছু শুনতে পাননি। ধোঁয়ায় কিছু দেখাও যাচ্ছিল না। তাঁর দোকানের সামনে একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটেছে। অল্পের জন্য তিনি প্রাণে বেঁচে গেছেন। তিনি বলেন, ২১ বছর ধরে তিনি এই এলাকায় ব্যবসা করছেন। এমন ভয়ানক সংঘর্ষ কোনোদিন দেখেননি। তিনি জানান, জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের হাতে বাটুলও দেখা গেছে।
বাজারের মারুফ ইলেকট্রনিকসের স্বত্বাধিকারী ইসা শেখ বলেন, সংঘর্ষ এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে যে তিনি দোকানের পুরো শার্টারও নামাতে পারেননি। দোকানের ভেতরে দাঁড়িয়েই একজনের আর্তনাদ শুনেছেন তিনি। সংঘর্ষ থেমে গেলে বাইরে গিয়ে তিনি রাস্তায় রক্ত ও মাংস ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখেন।
রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, পুলিশ যে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ব্যবহার করে, তাতে কেউ আহত হয় না। শিবিরের শক্তিশালী বোমার আঘাতেই পুলিশ আহত হয়েছেন।
আর এ ব্যাপারে শিবিরের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রচার সম্পাদক মহসিন আলম মুঠোফোনে প্রথম আলো ডটকমের কাছে দাবি করেন, শিবিরের কাছে হাত উড়িয়ে দেওয়ার মতো কোনো অস্ত্র নেই। নিজের গ্রেনেড ছুড়তে গিয়েই পুলিশ আহত হয়েছে।


CLICK THIS PIC :

রেকর্ড শিরোপা সেরেনার

২০০২, ২০০৩, ২০০৪, ২০০৭, ২০০৮ সালের পর এবার ২০১৩। রেকর্ড ষষ্ঠবারের মতো মায়ামি শিরোপা জিতলেন যুক্তরাষ্ট্রের টেনিস তারকা সেরেনা উইলিয়ামস।
মায়ামিতে রেকর্ড শিরোপা জয়ের পথে কাল শনিবার রাশিয়ার মারিয়া শারাপোভাকে ৪-৬, ৬-৩, ৬-০ গেমে হারান সেরেনা। ম্যাচশেষে নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সেরেনা জানিয়েছেন, ‘ষষ্ঠবারের মতো শিরোপা জেতাটা দারুণ। এই পর্যায়ে আসতে পারব, প্রতিযোগিতার শুরুতে সত্যি ভাবিনি আমি। তবে শেষ পর্যন্ত সব বাধা অতিক্রম করতে পেরেছি বলে ভালো লাগছে।’
মেয়েদের টেনিস র্যাঙ্কিংয়ে বর্তমানে সেরেনা শীর্ষে। শারাপোভার অবস্থান দ্বিতীয়। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচের আগে দারুণ একটা লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। তবে সেটা হয়নি। শারাপোভার বিপক্ষে টানা ১১তম জয় পেতে মোটেই বেগ পেতে হয়নি সেরেনাকে।
ম্যাচশেষে শারাপোভা বলেন, ‘আমি বেশ কিছু সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু ম্যাচটা জিততে পারিনি। আমি খেলছিলাম, তবে অবশ্যই তা জয় পাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না।
CLICK THIS PIC :

কথা বলছেন রাইডার


কথা বলতে পারছেন নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটার জেসি রাইডার। কোমার ধকল কাটিয়ে তিনি গতকাল কথা বলেছেন তার ম্যানেজার অ্যারোন ক্লে, তার মা এবং মেয়ে বন্ধুর সঙ্গে। তবে আক্রমণের সময়ের কথা তিনি কিছুই মনে করতে পারছেন না। শুধু সন্ত্রাসীদের হামলার দিন ওয়েলিংটনের হয়ে ব্যাট হাতে ক্যান্টরবুরির বিপক্ষে ‘ডাক’ মেরেছিলেন এতটুকুই তার মনে আছে। এরপর আর কি হয়েছে তিনি কিছুই বলতে পারছেন না। অ্যারোন ক্লে বলেন, কোন ধরনের সমস্যা ছাড়াই রাইডার এখন শ্বাস নিতে পারছেন। তবে পূর্ণ সুস্থ হতে তাকে আরও কিছুদিন হাসপাতালে থাকতে হবে। কয়েক দিন আমার মুখে হাসি ছিল না। আজ আমি হাসতে পারছি। বুধবার রাত সাড়ে ১২টার পর আইকম্যান নামক একটি পানশালার সামনে দুষ্কৃতকারীদের নৃশংস হামলার স্বীকার হন তিনি। এতে তার মাথা ফেটে যায় ও ফুসফুসে মারাত্মক জখম হয়। হাসপাতালে নেয়ার পর গভীর কোমায় চলে যান তিনি। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণ থেকে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন তিনি। ভিডিও ফুটজ দেখে তার ওপর হামলার সন্দেহে ২০ ও ৩৭ বছর বয়সী আটক দু’জনকে ৪ঠা এপ্রিল আদালতে হাজির করা হবে।
 CLICK THIS PIC :