Monday, February 11, 2013

বাংলাদেশ পাড়ি দেবে গুগলের স্ট্রিট ভিউ গাড়ি

রাজধানী ঢাকা, বন্দরনগর চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলবে বিখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন ওয়েবসাইট গুগলের গাড়ি। গাড়িটি গুগল ম্যাপে বাংলাদেশের পথঘাটের ছবি, আকর্ষণীয় পর্যটন স্থানগুলোর ছবি, বিভিন্ন মজাদার রেস্টুরেন্টের অবস্থান—সবই তুলে দেবে।
বিশেষ ক্যামেরা বসানো এই গাড়ির তোলা প্যানারোমিক ছবির মাধ্যমে এখন বিশ্বের এক প্রান্তের আগ্রহী ব্যবহারকারী খুব সহজে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত এলাকার ছবি দেখতে পাবেন। বিদেশি পর্যটকেরা পাবেন বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রের দিকনির্দেশনা। একই সঙ্গে গুগলে দেওয়া বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের প্রচার বাড়বে। জনপ্রিয় এই গুগল স্ট্রিট ভিউ সেবা এখন বিশ্বের ৪০টি দেশে বিদ্যমান।
গতকাল শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারের স্থানীয় একটি হোটেলে গুগলের স্ট্রিট ভিউ গাড়ি বাংলাদেশে চলার জন্য অবমুক্ত করা হয়। অনুষ্ঠানে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রযুক্তি অর্থনৈতিক উন্নয়নের বড় চালিকাশক্তি। ইন্টারনেট হচ্ছে প্রযুক্তির শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি সম্ভব। স্ট্রিট ভিউয়ের বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন বাংলাদেশের মানুষের বিভিন্ন প্রয়োজন মেটাতে সাহায্য করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
গুগল এশিয়া প্যাসিফিকের পাবলিক পলিসি অ্যান্ড গভর্নমেন্ট রিলেশন বিভাগের পরিচালক অ্যান লেভিন এবং গুগলের এমারজিং মার্কেটিং অ্যাট গুগল এশিয়া প্যাসিফিকের প্রধান জেমস ম্যাকলার ক্যামেরা লাগানো গুগলের গাড়িটিকে বাংলাদেশে স্বাগত জানান।
অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান, পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। আশা করছি, গুগল ম্যাপে স্ট্রিট ভিউয়ে তোলা ছবি ও দিকনির্দেশনা বাংলাদেশে পর্যটন খাতের উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।’
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বাংলাদেশে ‘গুগল ম্যাপস স্ট্রিট ভিউ’ আনতে গুগলকে সহযোগিতা করছে। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্যে উদ্ভাবনী প্রযুক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
গুগল এশিয়া প্যাসিফিকের অ্যান লেভিন বলেন, ঢাকা এবং চট্টগ্রামে স্ট্রিট ভিউ ড্রাইভিং চালুর এই উদ্যোগে স্ট্রিট ভিউর ছবিগুলো বাংলাদেশের ব্যস্ত রাস্তাকে নতুন আঙ্গিকে দেখার সুযোগ করে দেবে। সেই সঙ্গে বৈদেশিক বিনিয়োগ ও পর্যটক—দুটোকেই বাংলাদেশের দিকে আকৃষ্ট করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। গুগল ম্যাপে পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের ৩৬০ ডিগ্রি প্যানারোমিক ছবি শেয়ার করা হবে বলে জানান অ্যান।
গুগলের স্ট্রিট ভিউয়ের একটি তথ্যচিত্র উপস্থাপন করে জেমস ম্যাকলার বলেন, গুগল স্ট্রিট ভিউ ব্যবহারকারীর জন্য সব ধরনের সুবিধা বজায় রাখার পাশাপাশি মানুষের গোপনীয়তা রক্ষার ক্ষেত্রে কঠোর নীতি অনুসরণ করে। তিনি আরও বলেন, গুগল মুখমণ্ডল এবং গাড়ির নম্বরপ্লেট ঝাপসা করার একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে যেন সেগুলোকে শনাক্ত করা না যায়। এ ছাড়া ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে তাদের কোনো ছবি ঝাপসা করার অনুরোধ পেলে গুগল তা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে।

মন চায় শাহবাগে ছুটে যেতে: প্রধানমন্ত্রী

রাজধানীর শাহবাগে কাদের মোল্লাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে চলা প্রতিবাদ আর আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আন্দোলনরত তরুণ প্রজন্মকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে মনে হয়েছে এ এক অভূতপূর্ব গণজাগরণ। তিনি বলেন, ‘আমার মনও শাহবাগের আন্দোলনে ছুটে যেতে চায়।’
আজ রোববার জাতীয় সংসদে বক্তব্য দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমি তরুণ প্রজন্মকে বলতে চাই, আমরাও তোমাদের সঙ্গে একমত। তোমাদের শপথ বাস্তবায়নে যা যা করা দরকার, আমরা করব। তরুণ প্রজন্ম জাতীয় সংসদে যে স্মারকলিপি দিয়েছে, তার প্রতিটি কথা যুক্তিসংগত।’

ট্রাইব্যুনালের প্রতি অনুরোধ

ট্রাইব্যুনাল প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের ব্যবস্থা করা হবে। এবার ক্ষমতায় এসে সেই অঙ্গীকারই বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, বিচারের রায় দেবেন ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু আইন মেনেই তাঁরা চলবেন। তার পরও ট্রাইব্যুনালের কাছে প্রধানমন্ত্রী অনুরোধ করেন, মানুষের আকাঙ্ক্ষা ও গণদাবি যেন তাঁরা বিবেচনায় নেন। মহান সংসদের মাধ্যমে ট্রাইব্যুনালের কাছে মানুষের আকাঙ্ক্ষা বিবেচনা করার অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী। ট্রাইব্যুনালের বিচারের ক্ষেত্রে আইনি কোনো দুর্বলতা থাকলে সেটি অবশ্যই সংশোধন করা হবে বলে আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী। বিচার যাতে সুষ্ঠুভাবে চলে, সবাইকে সেই পরিবেশ সৃষ্টি করার আহ্বান জানান তিনি।

জীবন দিয়ে হলেও বিচার করব

প্রধানমন্ত্রী তরুণ প্রজন্মকে আশ্বস্ত করে বলেন, সব যুদ্ধাপরাধীর বিচার হবে। যত বাধাবিপত্তিই আসুক, জীবন দিয়ে হলেও তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবেন বলে জানান। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের ঠাঁই বাংলাদেশে হবে না। এইটুকু তরুণ প্রজন্মকে বলতে চাই।’

উপস্থিত সব সাংসদ একাত্ম

সংসদে তরুণ প্রজন্মের দেওয়া স্মারকলিপিকে যুক্তিসংগত অভিহিত করেন শেখ হাসিনা। তিনি তরুণ প্রজন্মের আন্দোলনের সঙ্গে একমত পোষণ করেন। শুধু প্রধানমন্ত্রী একা নন। জাতীয় সংসদে উপস্থিত সব সাংসদ তরুণ প্রজন্মের দাবির সঙ্গে একাত্ম বলে ঘোষণা দেন শেখ হাসিনা।

আন্দোলনকারীদের অভিনন্দন

মানবতাবিরোধী অপরাধী কাদের মোল্লার রায়ে এ দেশের তরুণসমাজ জেগে ওঠায় তাঁদের অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, তারা যদি জেগে না উঠত, তাহলে সারা দেশের মানুষও সোচ্চার হতো না।

অভূতপূর্ব জাগরণ

শাহবাগের আন্দোলনকে অভূতপূর্ব জাগরণ হিসেবে অভিহিত করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, তারা অদ্ভুত ঘটনা ঘটিয়েছে। অভূতপূর্ব জাগরণ সৃষ্টি করেছে। জাগরণ সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে গেছে। প্রতিটি জেলা, প্রতিটি উপজেলায় সব জায়গায় মানুষ সোচ্চার হয়ে উঠেছে। আন্দোলনে সোচ্চার শিশু, নারী, বৃদ্ধ, তরুণ-তরুণী সবাইকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।

শাহবাগ নয়, স্বাধীনতার তরুণ প্রজন্ম স্কোয়ার
আন্দোলনের কারণে শাহবাগের নাম আর শাহবাগ না থেকে স্বাধীনতার তরুণ প্রজন্ম স্কয়ার হতে পারে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, স্বাধীনতার আগে ওই এলাকায় শাহবাগ নামে একটি হোটেল ছিল। তাই সেখানকার নাম শাহবাগ রাখা হয়। এই নামে একধরনের পাকিস্তানি গন্ধ আছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
হাল ছাড়িনি
বক্তব্যের শুরুতে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর অত্যাচার ও নির্যাতনের বর্ণনা দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সব হারানোর শোক ও ব্যথা বুকে নিয়েও বাংলার জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। স্বাধীনতার চেতনাকে সমুন্নত রাখার জন্য বার বার বাধার মুখে পড়েছি। কখনও গুলি, কখনো গ্রেনেড হামলা হয়েছে। কিন্তু কখনো হাল ছাড়িনি।’ তিনি বলেন, ‘তরুণ প্রজন্ম এখন স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ। তাদের চেতনায় উদ্বুদ্ধ পুরো জাতি। চেতনার স্ফুলিঙ্গ যেভাবে ছড়িয়ে গেছে, সেখান থেকে মনে হয় এত দিনের সংগ্রাম সব সার্থক হয়েছে।’
শান্তিতে মরতে পারব
আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তোমরা যে প্রতিভা দেখিয়েছ, তাতে মনে হয় এখন খুব স্বস্তিতে মরতে পারব। শান্তিতে মরতে পারব।’ প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, তরুণ প্রজন্মের আজকের আন্দোলন দেখে তারাই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে বলে বিশ্বাস করেন তিনি। তারুণ্যের আজকের আন্দোলন দেখে আর কোনো দিন এ দেশে রাজাকার, আলবদরের ঠাঁই হবে না—এ বিশ্বাস তৈরি হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন।

ছাত্রসমাজ যেন লেখাপড়া চালিয়ে যায়

প্রধানমন্ত্রী আন্দোলনরত ছাত্রসমাজের উদ্দেশে বলেন, তারা যেন লেখাপড়া চালিয়ে যায়। দৈনন্দিন কাজকর্ম ঠিকভাবে করে। তার পাশাপাশি আন্দোলন চলতে পারে। সে জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় ঠিক করে নেওয়া যেতে পারে।

Saturday, February 9, 2013

সুপার সিক্সে জয় অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও কিউইদের

মহিলা বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সুপার সিক্সে শুক্রবার জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়ার নিউজিল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ২ রানে পরাজিত করে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে। প্রথমে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া ৪৪.৪ ওভারে মাত্র ১৪৭ রানে অলআউট হয়ে যায়। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন সারা কোটে। এছাড়া লিসা স্তালেকার করেন ৪১ রান। ইংল্যান্ডের পক্ষে স্রাবসোল ২৪ রানে ৩টি এবং ক্যামেরিন ব্রান্ট, এ্যারন ব্রিন্ডল ও হলি কলভেন ২টি করে উইকেট লাভ করেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে লিডিয়া গ্রিনওয়ের ৪৯ এবং লরা মার্শের ২২ রানে ভর করে ৪৭.৩ ওভারে ১৪৫ রানেই থেমে যায় ইংলিশদের ইনিংস। অস্ট্রেলিয়ার হলি ফার্লিং ৩৫ রানের বিনিময়ে ৩টি এবং জুলি হান্টার ও মেগান স্কুট ২টি করে উইকেট নেন। মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত অপর ম্যাচে নিউজিল্যান্ড ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করে শ্রীলঙ্কাকে। লো স্কোরিং ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৪২ ওভারে মাত্র ১০৩ রানেই গুটিয়ে যায় লঙ্কানদের ইনিংস। দিলানি মান্ডোরা দলের সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন। এছাড়া দীপিকা রসাঙ্গিকা করেন ২০ রান। কিউই দলের হয়ে লিয়া তাহুহু ২৭ রানে ৪টি, সিয়ান রুক ১৬ রানে ৩টি এবং ফ্রান্সেস ম্যাককে ১৮ রানে ২ উইকেট নেন।
জবাবে খেলতে নেমে মাত্র ২৩ ওভারে ২ উইকেট হারিয়েই ১০৮ রান করে নিউজিল্যান্ড। ফ্রান্সেস ম্যাককে ৩৯ এবং সোফি ডিভাইন ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া সুজি বেটস করেন ৩৭ রান। শ্রীলঙ্কার পক্ষে ২৭ রানে একাই ২ উইকেট নেন ইনোকা রানা বীরা। কটকে অনুষ্ঠিত একমাত্র ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২ উইকেটে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৩০ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ৪৫.৩ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৩৪ রান সংগ্রহ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন ত্রিশা চেটি। এছাড়া ক্রি-জেলডা ব্রিটস ৪৪, মিগনন ডু প্রিজ ৩১ এবং ডেন ভ্যান নিয়েকার্ক ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন। কিউইদের হয়ে ৪৩ রানে সর্বোচ্চ ২ উইকেট শিকার করেন ত্রেমানে স্মার্ট। ক্যারিবীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ৭৫ রান আসে স্টেফানে টেইলরের ব্যাট থেকে। এছাড়া কিচিয়া নাইট ৪৬, শেনানি ক্যাম্পবেল ৩৩ এবং দিন্দ্রা ডাটন করেন ২৪ রান। প্রোটিয়াসদের পক্ষে ৪৭ রানে ৩ উইকেট নেন ভ্যান নিয়েকার্ক।

কাল সমাবেশে যাবেন ক্রিকেটাররা

রবিবার খেলা নেই বিপিএলে। সে কারণে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে আন্দোলনরত জনতার ঢলে যোগ দিতে পারেন মুশফিকুর রহিমরা। তবে সেটা জাতীয় দলের ব্যানারে নয়, ইচ্ছা করলে ক্রিকেটারদের যে কেউ উত্তাল শাহবাগে যেতে পারেন। বোর্ড থেকে এমন অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে গতকাল জানিয়েছেন বিসিবির অ্যাডহক কমিটির সদস্য আই এইচ মল্লিক।
'খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকে অনেকেই বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করে অনুমতি চেয়েছে। কেউ যদি যেতে চায়, যেতে পারে', সাম্প্রতিক আন্দোলনে ক্রিকেটারদের যোগ দেওয়ার ব্যাপারে বোর্ডের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন আই এইচ মল্লিক। ৪ তারিখ থেকে বিপিএলে টানা ম্যাচ থাকায় এখনো শাহবাগের জনস্রোতে যোগ দেওয়ার সুযোগ হয়নি ক্রিকেটারদের। আজও খেলা আছে। তাই মল্লিকের ধারণা, 'কাল যেহেতু খেলা নেই তাই হয়তো অনেকেই যাবে।' এদিকে বৃহস্পতিবার রাতেই শাহবাগে ছড়িয়ে পড়ে চলমান আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করতে আসছে জাতীয় ক্রিকেট দল। কিন্তু এর সত্যতা মেলেনি ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট কোনো পর্যায়েই। তবে ক্রিকেটাররাও চান যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি হোক। নইলে শাহবাগে যাওয়ার জন্য বিসিবির অনুমতি চাইবেন কেন তাঁরা?

ছেলের হাতে প্রাণ হারালো মা

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে সৎ ছেলের হাতে খুন হয়েছেন মর্জিনা বেগম (৪০)। এই সময় তার হামলায় বাবা আবুল হাশেম ও তিন বছরের সৎ ভাই আবদুল্লাহ গুরুতর আহত হয়েছেন। আজ শনিবার সকালে উপজেলার মসূয়া ইউনিয়নের রামদি ও নরসিংদীর মনোহরদীর চরমান্দালিয়া এলাকার ব্রহ্মপুত্রের চরে এ নৃশংস ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আবুল হাশেমের প্রথম পক্ষের ছেলে বাবুল তার সৎ মা, বাবা ও ভাইয়ের ওপর হামলা চালায়। বাবুলের লাঠির আঘাতে মা মর্জিনা ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। এদিকে, বাবা হাশেমের সঙ্গে ছেলে বাবুলের সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জের ধরে সে বাবাসহ অন্যদের ওপর হামলা চালায় বলে জানায় এলাকাবাসী।
পুলিশ সূত্রে জানা যায় , কটিয়াদীর রামদির আবুল হাশেমের প্রথম স্ত্রী মারা গেলে মনোহরদী উপজেলার চরমান্দালীয়া গ্রামের মর্জিনা বেগমকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর প্রথম পক্ষের ছেলে বাবুল মিয়ার সঙ্গে হাশেমের সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এই নিয়ে তাদের মধ্যে বেশ কয়েকবার ঝগড়া বিবাদও হয়। এর জের ধরে আজ সকালে বাবুলের বাবা, মা ও ভাই জমিতে কাজ করার সময় তাদেরকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে বাবুল। ঘটনাস্থলেই মারা যান মা মর্জিনা ও গুরুতর আহত হাশেমকে প্রথমে কটিয়াদী হাসপাতালে ও পরে জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আর আহত তিন বছরের ভাই আবদুল্লাহ কটিয়াদী হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রয়েছে। হত্যাকাণ্ডটি দুই থানার সীমানায় হওয়ায় কটিয়াদী থানা মনোহরদী থানার পুলিশকে এ বিষয়টি জানালে মনোহরদী থানা পুলিশ লাশ ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যায়।

টেন্ডুলকারের আরেকটি মাইলফলক

আরেকটা রেকর্ডের পাশে নাম লেখালেন শচীন টেন্ডুলকার। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ভারতের হয়ে সুনীল গাভাস্কারের সমান ৮১টি সেঞ্চুরি করে ফেললেন লিটল মাস্টার। ইরানি কাপে কাল সেঞ্চুরি করে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে পেরিয়ে গেছেন ২৫ হাজার রানের মাইলফলকও। ওয়েবসাইট।
ইরানি কাপে অবশিষ্ট ভারতের সঙ্গে ম্যাচে ভালোই বিপদে পড়েছিল লিটল মাস্টারের দল মুম্বাই। ৫২৬ রানের জবাবে একসময় ২৫৭ রানে হারিয়ে ফেলেছিল ৬ উইকেট। এই খাদ থেকে দলকে টেনে তুলতে হাতের তালুর মতোই পরিচিত ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন টেন্ডুলকার। তাঁর অপরাজিত ১৪০ রানের সৌজন্যেই প্রথম ইনিংসে ৪০৯ করতে পারে মুম্বাই। তাঁর ৮১ সেঞ্চুরির ১৮টি এসেছে মুম্বাইয়ের হয়ে রঞ্জিতে। বাকি সেঞ্চুরিগুলোর ৫১টি এসেছে ভারতের হয়ে, ৩টি দিলীপ ট্রফিতে, ২টি ইরানি কাপে, ৫টি ভারতের বিভিন্ন সফরে, ১টি সফরকারী একটা দলের বিপক্ষে, আরেকটি ইয়র্কশায়ারের হয়ে।
কমপক্ষে ৮১টি প্রথম শ্রেণীর সেঞ্চুরির মালিকদের অভিজাত ক্লাবের ৪৩তম সদস্য হলেন টেন্ডুলকার। তবে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ডটা একরকম অজেয়ই। সর্বোচ্চ ১৯৯টি সেঞ্চুরি করে অমর হয়ে আছেন ইংলিশ ব্যাটসম্যান জ্যাক হবস।

আন্দোলনে সৌদি প্রবাসীদের সংহতি

শাহবাগের আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছেন সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

রাজাকারদের ফাঁসির দাবিতে গড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে তারা সৌদি আরবের বিভিন্ন শহরে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করেছেন। তারা বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে কাদের মোল্লাসহ সব রাজাকারের ফাঁসি দাবি করেছেন।

শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শাহবাগের মহাসমাবেশ থেকে মাইকে এ খবর জানানো হয়।

এছাড়া ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ব্রিটেনসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেও প্রবাসী বাঙালিরা শাহবাগের আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে কর্মসূচি পালন করেছেন।

হানিফকে বোতল নিক্ষেপ সাহারাকে 'না'

শাহবাগের মঞ্চে বক্তব্য দিতে গিয়ে তোপের মুখে পড়লেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের মুখপাত্র মাহাবুব-উল আলম হানিফ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী সাহারা খাতুন।

হানিফকে লক্ষ্য করে গতকাল বোতল ছুড়ে মারেন বিক্ষোভকারীরা। আর সাহারা খাতুন ভাষণ দিতে গেলে 'না' বলে তাকে প্রত্যাখ্যান করেন তারা। বুধবার সন্ধ্যায় সংসদ উপনেতা সাজেদা চৌধুরীর সঙ্গেও একই ধরনের ঘটনা ঘটে।

কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে আন্দোলনরতরা বলছেন, 'সরকারের আপসের কারণেই এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তাই তাদের এখানে কোনো বক্তৃতা দেওয়ার অধিকার নেই।' তবে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী এবং বন ও পরিবেশমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদসহ আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশের সুযোগ পান। বিকালে শাহবাগ মোড়ে যান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। তিনি আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বিক্ষোভের কেন্দ্রস্থল মঞ্চে কথা বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাকে সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি। মুহুর্মুহু স্লোগানে তিনি কোনো কথা বলার সুযোগ পাননি। একপর্যায়ে স্লোগানের মধ্যেই কিছু বলার চেষ্টা করলে হানিফকে লক্ষ্য করে পানির বোতল ছুড়ে মারা হয়। সঙ্গে আসা সহকারীরা তাকে ঘিরে ধরলে তিনি রক্ষা পান। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তখনই ওই এলাকা ত্যাগ করতে বাধ্য হন মাহবুব-উল আলম হানিফ।

হানিফের আগে মঞ্চে উঠে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দিতে গিয়েও পারেননি সাহারা খাতুন। তিনি দুপুরে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে ই-কমার্স মেলার উদ্বোধন করতে যান। সেই সুযোগে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু উপস্থিত জনতার মুহুর্মুহু 'না' 'না' ধ্বনিতে সুযোগ পাননি সাহারা। পরে তিনি জাদুঘরে নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ভিন্ন পথে ফিরে যান। তবে যাওয়ার আগে সবাইকে তিনি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় সংসদ উপনেতা সাজেদা চৌধুরী সংহতি প্রকাশ করতে গেলে প্রতিবাদকারীদের মধ্য থেকে কেউ একজন তাকে উদ্দেশ করে বোতল ছুড়ে মারেন। পরে তিনি দ্রুত সমাবেশস্থল ত্যাগ করেন। তখন স্লোগান ওঠে 'আপসনামার রায়, মানি না মানব না', 'রাজাকারের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান, মিষ্টি কথায় ভুলি না' ইত্যাদি।

এ প্রতিবাদ সমাবেশে অবশ্য সকালে আরও সংহতি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিন, সংসদ সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন প্রমুখ। বুধবার শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু সংহতি প্রকাশ করেন।

Friday, February 8, 2013

দর্শকদের গান লেখার সুযোগ

'ক্লোজআপ ওয়ান-তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ ২০১২'-এ শুরু হতে যাচ্ছে মৌলিক গানের রাউন্ড। এই রাউন্ডে প্রতিযোগিতার শীর্ষ ১০ প্রতিযোগী গাইবে মৌলিক গান। এ উপলক্ষে দর্শকদের গান লিখে পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন আয়োজকরা। দর্শকদের গান থেকেই সেরা ১০ গান নেওয়া হবে। গান পাঠানো যাবে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। ঠিকানা- পিও বঙ্ নম্বর ৪০৩৪ অথবা প্রযোজক, ক্লোজআপ ওয়ান, এনটিভি, বিএসইসি ভবন [৮তলা], ১০২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ানবাজার, ঢাকা-১২১৫।

'যৈবতী কন্যার মন'-এ তিশা

প্রয়াত নাট্যকার সেলিম আল দীনের আলোচিত মঞ্চনাটক 'যৈবতী কন্যার মন' নিয়ে নির্মিত হচ্ছে ধারাবাহিক নাটক। এরই মাঝে নাটকটি নির্মাণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। শিল্পী নির্বাচনও চূড়ান্ত হয়েছে। নাটকের মূল চরিত্র কালিন্ধীর ভূমিকায় অভিনয় করবেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। অন্যান্য চরিত্রে আরও অভিনয় করবেন করবেন শহীদুজ্জামান সেলিম, নাজনীন হাসান চুমকি, নাসিম প্রমুখ। পাশাপাশি বেশ কয়েকজন মঞ্চকর্মীকেও অভিনয়ে সুযোগ দেওয়া হবে। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে নবাবগঞ্জে নাটকটির শুটিং শুরু বলে জানা গেছে। ইলোরা লিলিথের টিভি নাট্যরূপে নাটকটি নির্মাণ করছেন পারভেজ আমিন। পরিচালক জানান, এসএটিভির জন্য নাটকটি নির্মাণ করা হচ্ছে।
পারভেজ আমিন বলেন 'আমি অনেক দিন ধরেই এ কাজটি করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। খুব কঠিন একটি কাজ করতে যাচ্ছি। সবার সহযোগিতা আর ভালোবাসা নিয়ে একটি ভালো কাজ উপহার দিতে চাই'।
সেলিম আল দীনের 'যৈবতী কন্যার মন' নাটকটি মঞ্চে এনেছিল ঢাকা থিয়েটার। দীর্ঘদিন এ নাটকের কোনো শো হচ্ছে না। নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছিলেন নাসির উদ্দীন ইউসুফ। মূল চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন শমী কায়সার। 'যৈবতী কন্যার মন' নিয়ে নির্মাতা নার্গিস আক্তারের চলচ্চিত্র নির্মাণের কথা রয়েছে।