Monday, January 14, 2013

১৫ মিনিট সুনিধি



সুনিধি চৌহান ঢাকায় এসেছিলেন একটি কনসার্টে গান গাইতে। সেদিনই দুপুরে সময় দিলেন। শর্ত ছিল, ১৫ মিনিট কথা বলা যাবে। মেকআপ নেননি বলে ছবিও তোলা যাবে না। ১৫ মিনিট শেষে অবশ্য ওঠার তাড়া দেননি, ছবি তুলতেও আপত্তি করেননি। এই সময়ে তাঁর নানা কাজ নিয়ে বললেন অনেক কিছুই
‘আমিই এ সময়ের সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় সংগীতশিল্পী’—ছয় বছর আগে হিন্দুস্তান টাইমস-এ ছাপা হয়েছিল সুনিধির এই বক্তব্য। এখনো কি তা-ই মনে করেন তিনি? 
‘এমন কথা তো আমি বলিনি।’
কিন্তু ওটা তো তাঁর উদ্ধৃতি হিসেবেই ছাপা হয়েছিল!
‘ওটা তাদেরই বক্তব্য। আমার মুখে বসিয়ে দিয়েছে তারা। আমি নিজে এমন কিছু বলিনি।’
সুনিধি বলুন বা না-ই বলুন, এই সময়ে জনপ্রিয় গানের হিসাবে তিনিই সবার চেয়ে এগিয়ে তা তো অনেকেই মানবেন। 
সুনিধির আইটেম গানের সংখ্যাই বেশি। এই সময়ের ‘শিলা কি জওয়ানি’. ‘হালকাট জওয়ানি’ ‘আ জারা’ সবই তো তাঁর গাওয়া। তবে এই গানগুলোকে ‘আইটেম সং’ বলতে কিছুটা আপত্তি তাঁর। ‘আইটেম সং নয়, বরং স্পেশাল সং বলুন।’ বলেছেন তিনি। ‘একটি সিনেমার প্রথম পরিচয় হিসেবে কিন্তু এই গানগুলোই আসে।’
সুনিধিকে বৈচিত্র্যময় কেন বলা হচ্ছে? ‘শিলা কি জওয়ানি’র মতো গানে যেমন, তেমনি ‘ইশক সুফিয়ানা’র মতো রোমান্টিক গানেও তাঁর সমান দখল। আর একজন শিল্পীর জন্য এই বৈচিত্র্য থাকাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বলেই মানেন তিনি।
তবে কি কোনো সংগীতশিল্পীকে গানের সব শাখাতেই সমান দক্ষ হতে হবে? কেউ বিশেষ কোনো শাখায় খুব ভালো, আর বাদবাকিতে মোটামুটি, তাঁর বেলায়? ‘দেখুন, আজকের প্লেব্যাক গানের যুগে সব ধরনের গান গাইতে পারাটা খুব জরুরি। তবে তা না হলে চলবেই না তা তো নয়।’ বললেন তিনি।
‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এর বিচারক হিসেবে কাজ করছেন তিনি। নতুন শিল্পীদের কি বৈচিত্র্য ধরে রাখার পরামর্শই দেবেন? ‘আমি কাউকেই কোনো নির্দেশ দিতে চাই না। নতুনদের আমি সাহায্য করতে পারি। নানা তথ্য দিতে পারি। কিন্তু সে কী করবে, কোন ধরনের গান গাইবে, সেটা সম্পূর্ণ তারই সিদ্ধান্ত।’ বললেন সুনিধি।
‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এরই প্রসঙ্গে আসে, এই সময়ের রিয়েলিটি শোগুলোর বাস্তবতার কথা। প্রায়ই দেখা যাচ্ছে, বিচারকদের মধ্যে তর্কাতর্কি থেকে ঝগড়া হচ্ছে, প্রতিযোগীর সঙ্গে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন বিচারকও, মঞ্চ ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। এগুলো কি আসলেই ঘটে, নাকি টিআরপি বাড়ানোর কৌশল? 
‘প্রতিটি শোরই কোড অব কন্ডাক্ট থাকে। সেই অনুযায়ীই শো চলতে থাকে। আমাকে কেউ বলে দেয়নি যে কোনো বিশেষ আচরণ করতে হবে বা চিত্রনাট্য তৈরি করেও এ ধরনের কিছু করা হচ্ছে না। আমি যেমন, তেমনই থাকছি রিয়েলিটি শোতে। বিচারক হিসেবে আমার কাজের প্রতি আমি খুবই সচেতন। সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অন্য কিছু নিয়ে আমি ভাবি না।’
এক বছরে একটাই একক গানের অ্যালবাম বেরিয়েছে সুনিধির। তবে খুব তাড়াতাড়ি আবার একটি একক অ্যালবাম করার ইচ্ছা আছে বলে জানালেন। 
মাইকেল জ্যাকসন আর হুইটনি হিউসটনকে আদর্শ মানেন তিনি। আর লতা মঙ্গেশকর, আশা ভোঁসলে তাঁর অনুপ্রেরণা।
১৯৯৯ সালে মাস্ত ছবির গান দিয়ে প্রথম আলোচনায় আসা সুনিধির। এত বছরে নতুন অনেক শিল্পী এসেছেন। অনেকেই ভালো করছেন। এটা কি সুনিধিকে প্রতিযোগিতার মুখে ফেলে? ‘আমাদের চলচ্চিত্রশিল্প অনেক বড়। অনেকেই ভালো গাইছেন। প্রচুর কাজের সুযোগ আছে এখানে। এখানে প্রতিযোগিতার তেমন কোনো ব্যাপার নেই। যাঁর যাঁর যোগ্যতা অনুয়ায়ীই সবাই কাজ করছেন।’ বলেন তিনি।


প্রিন্স-প্রিন্সেসের সংসার ভাঙার পেছনে ওসি!

একটি ছাগল রাখার জায়গা না দেওয়াকে কেন্দ্র করে ম্যাকাও দম্পতি প্রিন্স ও প্রিন্সেসকে আলাদা করার অভিযোগ উঠেছে। ওই ছাগলের মালিক রাজধানীর কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক।
প্রিন্সেসের মালিক আবদুল ওয়াদুদ অভিযোগ করেন, কলাবাগান থানার ওসি এক সপ্তাহের জন্য একটি ছাগল তাঁর বাড়িতে রাখতে বলেছিলেন। নেব, নিচ্ছি বলে গত চার মাসেও তিনি ছাগলটি ফেরত নেননি। বাড়িতে গরুর সঙ্গে একই ঘরে ছাগল থাকায় নানা সমস্যা হচ্ছিল।
২ জানুয়ারি ওয়াদুদ ছাগলটি নেওয়ার জন্য ওসিকে তাগাদা দেন। ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় থাকা ভিডিওচিত্র অনুযায়ী, ৩ জানুয়ারি সকালে কলাবাগান থানার পুলিশ ওসির ছাগলটি নিয়ে যায়। ওইদিন বিকেলেই আদালতের আদেশ তামিল করার কথা বলে প্রিন্সকে নিয়ে যায় একই থানার পুলিশ।
প্রিন্সকে নেওয়ার আগে ম্যাকাও দম্পতির ডিম দেখিয়ে তা ফোটা পর্যন্ত সময় চাওয়া হয়। কিন্তু পুলিশ সেই সময়টুকুও দেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও প্রতিপালন সমিতির যুগ্ম সম্পাদক মো. ইউনুস মিয়া।
আবদুল ওয়াদুদের আইনজীবী বরুণ কুমার বিশ্বাস জানান, আদালতের আদেশ তামিল করার সময় ছিল ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত। তার আগে ১০ জানুয়ারি আদালত মামলা খারিজ করেছেন। আর থানার ওসি ছাগলটি ফেরত নেওয়ার দিনই (৩ জানুয়ারি) প্রিন্সকে নিয়ে যান। আইনজীবী বলেন, আদালত যেহেতু মামলা খারিজ করে দিয়েছেন, সেহেতু প্রথম আদেশও খারিজযোগ্য এবং পুলিশের উচিত পাখিটি ফিরিয়ে এনে ওদের সংসার রক্ষা করা।
অভিযোগ রয়েছে, ছাগল নেওয়া ছাড়াও মসজিদের জন্য চাহিদামতো চাঁদা না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হন ওসি এনামুল হক। ২ জানুয়ারি ওসি এনামুল প্রিন্সেসের মালিক আবদুল ওয়াদুদের কাছে তাঁর গ্রামের একটি মসজিদের জন্য ৪০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে অনুরোধ করেন। আবদুল ওয়াদুদ পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা দেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে এনামুল হক বলেন, ‘আমার থানার কারও কারও সঙ্গে তাঁর (ওয়াদুদ) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকতে পারে। কিন্তু আমার সঙ্গে মাখামাখি নেই।’ মসজিদের জন্য চাঁদা চাওয়া প্রসঙ্গে ওসি বলেন, তিনি এমন চাঁদা চাননি। অন্যের বাসায় ছাগল রাখা প্রসঙ্গে ওসি বলেন, ‘আমি এমন কিছু জানি না।’ ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় এ সংক্রান্ত ছবি থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যা-ই থাক, আমি জানি না।’
মামলা খারিজ করার পর প্রিন্সকে ফেরত দেওয়া হবে কি না, তা জানতে চাইলে এনামুল বলেন, ‘আদালতের রায় নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না।’

জয় পেল শ্রীলঙ্কা

অবশেষে জয়ের মুখ দেখেছে শ্রীলঙ্কা। টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ ও ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে কোণঠাসা হওয়া সিংহের মতো ঘুরে দাঁড়িয়েছে লঙ্কানরা। ৮ উইকেটের দাপুটে এই জয় দিয়ে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতা ফিরিয়েছে সফরকারীরা। জয়ের জন্য ১৭১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১০ ওভার হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় শ্রীলঙ্কা।
৮ উইকেটের বড় ব্যবধানের জয় পেলেও শুরুটা ভালোভাবে করতে পারেননি লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। প্রথম ওভারেই ওপেনার উপুল থারাঙ্গার উইকেট তুলে নিয়েছিলেন ক্লিন্ট ম্যাককে। তবে এরপর দীর্ঘ সময় ধরে অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের হতাশায় পুড়িয়েছেন আরেক ওপেনার তিলকারত্নে দিলশান ও লাহিরু থিরিমানে। দ্বিতীয় উইকেটে ১৩৭ রানের চমত্কার এক জুটি গড়ে দলকে সহজ জয়ের পথে নিয়ে যান এই দুই ব্যাটসম্যান। ইনিংসের ৩৪তম ওভারে এই জুটি ভাঙতে সক্ষম হন বেন কাটিং। ৫১ রান করে ফিরে যান দিলশান। তবে ততক্ষণে জয় প্রায় নিশ্চিতই হয়ে গেছে শ্রীলঙ্কার। জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় বাকি রানগুলো অনায়াসেই সংগ্রহ করেছেন থিরিমানে ও জানিথ পেরেরা। ১০২ রানের দারুণ এক শতকের ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন থিরিমানে। 
এর আগে টসে জিতে লঙ্কান অধিনায়ক মাহেলা জয়াবর্ধনে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাট করতে পাঠান। অধিনায়কের সিদ্ধান্তের যথার্থতা বেশ ভালোভাবেই প্রমাণ করেছেন শ্রীলঙ্কার পেসাররা। প্রথম সাত ওভারের মধ্যে মাত্র ১২ রান সংগ্রহ করতেই সাজঘরে ফেরেন দুই অসি ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ও ফিলিপ হিউজেস। তৃতীয় উইকেটে ৩৯ রানের জুটি গড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন অধিনায়ক জর্জ বেইলি ও ডেভিড হাসি। কিন্তু ১৭তম ওভারে বেইলি রানআউটের ফাঁদে পড়লে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে যায় স্বাগতিকেরা। ২৬ রান করে ফিরে যান বেইলি। এরপর খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সাজঘরের পথ ধরেন স্টিভেন স্মিথ, ডেভিড হাসি ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। সে সময় ২৫ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ছিল ৮৩ রান। দলের ভয়াবহ এই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মধ্যে লড়াকু মনোভাব নিয়ে মাঠে নামেন ব্রাড হাডিন। সপ্তম উইকেটে বেন কাটিংকে সঙ্গে নিয়ে তিনি গড়েন ৫৭ রানের এক গুরুত্বপূর্ণ জুটি। শেষ পর্যায়ে হাডিনের ৬৭ বলে ৫০ রানের ইনিংসে ভর করেই ১৭০ রানের সম্মানজনক সংগ্রহ জমা করে অস্ট্রেলিয়া। কাটিংয়ের ব্যাট থেকে এসেছে ২৭ রান।

ভারতে আবারও গণধর্ষণ

সারা ভারত যখন ধর্ষণের প্রতিবাদে সরব, ঠিক তখনই দেশটিতে আরেকটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটল। রাজধানী নয়াদিল্লিতে গণধর্ষণের কয়েক সপ্তাহ পরই এমন একটি ঘটনা ঘটেছে উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য পাঞ্জাবে। এর দায়ে রাজ্য পুলিশ ছয় ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারও করেছে। এ ঘটনায় আরও একজনকে পুলিশ খুঁজছে।
রাজ্য পুলিশের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, গণধর্ষণের সর্বশেষ শিকার ওই নারীর বয়স ২৯ বছর। তিনি গত শুক্রবার রাতে বাসে করে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু বাসের চালক তাঁকে গ্রামের কাছে না নামিয়ে অমৃতসর থেকে দূরে এক নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাঁকে ধর্ষণ করে। তবে ওই নারীর সর্বশেষ অবস্থার বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর রাজধানী দিল্লিতে এক মেডিকেলছাত্রী বাসে ধর্ষণের শিকার হন। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ছাত্রীকে চিকিত্সার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। সেখানে কয়েক দিনের চিকিত্সা শেষে ওই ছাত্রী ২৯ ডিসেম্বরে মারা যান। এ ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

Thursday, January 10, 2013

পরিণীতির নতুন রূপ

ইশকজাদে আর লেডিস ভার্সেস রিকি বহেল—দুটি ছবিতেই পরিণীতি চোপড়াকে দেখা গেছে সাদামাটা মিষ্টি মেয়ের রূপে। এবার নিজেকে বদলাচ্ছেন তিনি। দারুণ গ্ল্যামারাস চেহারায় নিজেকে উপস্থাপন করবেন নির্মাতা শাদ আলীর নতুন ছবিতে কিল দিল-এ। ক্যাথরিন হাইল অভিনীত দি আগলি ট্রুথ ছবির মতো কিছুটা হবে কিল দিল। তাই ভারত আর ইউরোপের নানা জায়গায় কেনাকাটা করে বেড়াচ্ছেন তিনি। বললেন, ‘এটা আমার প্রথম গ্ল্যামারাস চরিত্র। সালোয়ার-কামিজ পরা মেয়ের ইমেজ থেকে আমি বেরিয়ে আসতে চাই। ভারতীয় পোশাক আমি পছন্দ করি। কিন্তু পাশ্চাত্যের পোশাকও আমাকে মানায়। এ ছবিতে তেমন পোশাকই পরব।’
ককটেল ছবিতে দীপিকা পাড়ুকোনের চরিত্রটি পরিণীতির খুব পছন্দের। আর তেমনই নাকি হতে যাচ্ছে কিল দিল ছবিতে তাঁর চরিত্রটি। মুম্বাই মিরর।

টেলিটক থ্রিজির গ্রাহক ১ লাখ

দেশে তৃতীয় প্রজন্মের (থ্রিজি) মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা এক লাখ পেরিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ‘স্মার্টফোন এক্সপো ২০১৩’ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন টেলিটকের বিপণন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মুজিবুর রহমান।
মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন, ১৪ অক্টোবর দেশে প্রথমবারের মতো থ্রিজি সেবা চালু করে টেলিটক। শুরুতে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেও পরে দ্রুত বাড়তে থাকে টেলিটকের সিমের চাহিদা। সম্প্রতি নতুন ইন্টারনেট মডেম বাজারে এনেছে টেলিটক। এ মডেম বিক্রিতেও প্রচুর সাড়া মিলেছে। টেলিটকের থ্রিজি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করে আরও গ্রাহক বাড়ানোর কাজ চলছে বলেও জানান তিনি। একই সঙ্গে টেলিটকের নেটওয়ার্ক শক্তিশালী ও বিটিএস বাড়ানোর কাজ চলছে। 
মুজিবুর রহমান আরও জানান, গ্রাহকসংখ্যা ও টেলিটক থ্রিজি নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করছে টেলিটক। থ্রিজি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এবং তরুণদের মধ্যে আগ্রহ তৈরি করতে এবারের স্মার্টফোন এক্সপোতে অংশ নিচ্ছে টেলিটক। ১১ জানুয়ারি থেকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ‘এক্সপো মেকার’ আয়োজিত স্মার্টফোন এক্সপোতে বিভিন্ন অফার নিয়ে হাজির হবে টেলিটক।’
মুজিবুর রহমান বলেন, টেলিটকের থ্রিজিকে পরীক্ষামূলক বলা হলেও এটি পরীক্ষামূলক নয়। টেলিটকের থ্রিজি ব্যবসায়িক দিক থেকেই দেখা হচ্ছে। টেলিটকের গ্রাহক সেবার মান বাড়ানো ও টেলিটক গ্রাহক সেবার পরিধি আরও বাড়ানো হচ্ছে। শিগগিরই বিভাগীয় শহরগুলোতে থ্রিজি চালুর ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।
শিগগিরই বেসরকারি অপারেটরদের থ্রিজি নেটওয়ার্ক স্থাপনের অনুমতি দেবে সরকার। এ পরিস্থিতিতে টেলিটক অন্যান্য অপারেটরের সঙ্গে ভালোভাবেই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকবে বলে জানিয়েছেন টেলিটকের মহাব্যবস্থাপক।

সাশ্রয়ী দামের আইফোন আনবে অ্যাপল!

সাশ্রয়ী দামের আইফোনের একটি সংস্করণ বাজারে আনতে পারে অ্যাপল। চলতি বছরেই এ আইফোনের দেখা মিলতে পারে। নতুন সংস্করণের এ আইফোন বাজারে আনতে কাজ শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাজারে অ্যাপলের পণ্য ঘিরে সব সময় উন্মাদনা থাকে। প্রযুক্তি বিষয়ক বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অ্যাপলের নতুন পণ্য ঘিরে খবর প্রকাশিত হতে দেখা যায়। সম্প্রতি আইফোনের নতুন একটি সংস্করণ আসছে বলেও খবর রটেছে। সাশ্রয়ী মডেলটি ‘আইফোন মিনি’ হতে পারে বলেও অনেক প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে। 
এক খবরে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সাশ্রয়ী সংস্করণের আইফোন বর্তমানে বাজারে থাকা আইফোনের মতো হতে পারে। তবে নতুন সংস্করণে ব্যবহূত হবে সাশ্রয়ী উপাদান। ধাতব কাঠামোর পরিবর্তে ব্যবহূত হবে প্লাস্টিকের কাঠামো।
সাশ্রয়ী দামের স্মার্টফোন তৈরির বিষয়ে অ্যাপলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। 
বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্ট্র্যাটেজি অ্যানালিটিক্সের গবেষকেরা জানিয়েছেন, বাজারে সাশ্রয়ী দামের স্মার্টফোনের চাহিদা রয়েছে। সাশ্রয়ী দামের স্মার্টফোনের বাজারে আধিপত্য বিস্তার করেছে অ্যাপলের প্রতিদ্বন্দ্বী দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান স্যামসাং। স্যামসাংয়ের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলতি বছরের শেষ প্রান্তিক অর্থাত্ অক্টোবর মাস থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সাশ্রয়ী সংস্করণের আইফোন বা ‘আইফোন মিনি’ বাজারে আনতে পারে অ্যাপল। দক্ষিণ এশিয়ার বাজারের কথা ভেবেই এ স্মার্টফোন বাজারে আনতে যাচ্ছে অ্যাপল।
স্ট্র্যাটেজি অ্যানালিটিক্সের গবেষক নেইল মাউসটন রয়টার্সকে জানিয়েছেন, চলতি বছরে স্মার্টফোন বাজার ২৭ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। এক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়া, উত্তর আমেরিকা, চীনে স্মার্টফোন বিক্রি হবে সবচেয়ে বেশি।

এক টেরাবাইট পেন ড্রাইভ!

এক টেরাবাইট তথ্য ধারণক্ষমতার পেন ড্রাইভ বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে কিংস্টন। গত সোমবার এ ইউএসবি ড্রাইভের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্ল্যাশ ড্রাইভ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট পিসিম্যাগ।
কিংস্টন জানিয়েছে, পেন ড্রাইভ আকৃতির ছোটো এ ডিভাইসটির নাম কিংসটন ডেটা ট্রাভেলার হাইপার এক্স প্রিডেটর ৩.০, এটি দ্রুতগতিতে তথ্য স্থানান্তরে সক্ষম।
যদিও কিংস্টন পেনড্রাইভটির দাম এখনও প্রকাশ করেনি তবে ধারণা করা হচ্ছে, এর দাম প্রায় দুই হাজার ডলার হতে পারে।

পানিতেও ব্যবহার করা যাবে স্মার্টফোন

পানিতেও কোনো ক্ষতি হবে না, এমন স্মার্টফোন বাজারে নিয়ে আসছে সনি। যুক্তরাষ্ট্রের লাগ ভেগাস সম্মেলন কেন্দ্রে গতকাল মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক শো ২০১৩-তে নতুন এ স্মার্টফোনটি প্রদর্শিত হচ্ছে।
এক্সপেরিয়া জেড নামের তৈরি বিশেষ এ স্মার্টফোনটি গোসলখানায়ও ব্যবহার করা যাবে কোনো ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা ছাড়াই। জাপানে পানিবান্ধব বিভিন্ন পণ্য থাকলেও স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে এ ধরনের সুবিধা কমই আছে। এক্সপেরিয়া জেড স্মার্টফোনটি হাই ডায়নামিক রেঞ্জ সুবিধার রেকর্ডিং সুবিধাযুক্ত। থাকছে ৫ ইঞ্চি পর্দা, ফোরজি সুবিধা, ১৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা ইত্যাদি। সনি মোবাইলের নির্বাহী স্টিভ ওয়াকের বলেন, আপনি যদি গোসল করার সময় হাই ডেফিনেশন ছবি দেখতে চান, তাহলে আপনার জন্য এ স্মার্টফোন। এ ছাড়া আপনার এ স্মার্টফোনটি যদি ময়লাযুক্ত হয়ে যায়, সুন্দর করে ধুয়ে নিতে পারবেন! 
এবারের প্রদর্শনীতে নতুন এ ফোনটি প্রদর্শিত হলেও বাজারে আসবে আরও পরে। নানা ধরনের নতুন সব সুবিধা যুক্ত হওয়ায় অনেক ব্যবহারকারীদের ফোনটি বেশ পছন্দসই হবে বলেও ধারণা নির্মাতাদের। যাঁদের ফোন বেশি পানিতে পড়ে কিংবা যাঁরা পানিতে পড়ার পর প্রিয় স্মার্টফোনটি নষ্ট হয়ে যাবে বলে ভয়ে থাকেন, তাঁরা এ ফোন ব্যবহারের মাধ্যমে পাবেন স্বস্তি। এখন অপেক্ষা নতুন এ ফোন বাজারে আসার।

লটারি জেতাই কাল হলো তাঁর

মাত্র ৬০ ডলারের লটারি কিনে জিতেছিলেন ৪ লাখ ২৫ হাজার ডলার (প্রায় তিন কোটি ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকা)। কিন্তু টাকার চেকটি ইস্যু হওয়ার পরদিনই জগত্ ছেড়ে চলে যান তিনি। প্রথমদিকে সবার কাছে মৃত্যুটি একটি স্বাভাবিক ঘটনা বলেই মনে হয়েছিল।
কিন্তু লটারি জেতা, মৃত্যু এবং একটি ফোন পুরো ঘটনাটিকে নাটকীয় রূপ দিয়েছে। পুলিশ বলছে, মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। তবে উরুজ খান নামের ভারতীয় বংশোদ্ভূত এ আমেরিকান ব্যবসায়ী ঠিক কীভাবে মারা যান সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, বিষপ্রয়োগে হত্যা করা হয় তাঁকে।
এনডিটিভি জানায়, ৪৬ বছরের ওই ব্যবসায়ী শিকাগোর বাসায় মাঝরাতে হঠাত্ চিত্কার করে ওঠেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিত্সকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। উরুজের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে জানান চিকিত্সকরা। 
এর কয়েকদিন পর পুলিশের কাছে একটি ফোন আসে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি পুলিশকে জানান, উরুজের ওপর প্রাণঘাতী সায়ানাইড ব্যবহার করা হয়েছিল। এ সূত্র ধরে তদন্তে নামে পুলিশের একটি দল।
উরুজের স্ত্রী শাবানা আনসারি বলেন, ‘আমি মনে করি না, তাঁর প্রতি কারো আক্রোশ ছিল বা তাঁর সাথে কারো শত্রুতা ছিল।’ উরুজ লটারিতে জেতা টাকা ঋণ পরিশোধে, ব্যবসা বাড়াতে ও সেন্ট জুড চিলড্রেন’স রিসার্চ হাসপাতালের জন্য অনুদানে খরচ করতে চেয়েছিলেন।
উরুজ ১৯৮৯ সালে ভারতের হায়দরাবাদ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যান। শিকাগো শহরে লন্ড্রির দোকান ছিল তাঁর। গত বছরের জুনে ওই দোকানের আসা-যাওয়ার পথের সেভেন ইলেভেন নামের দোকান থেকে দুটি লটারি কেনেন তিনি। এর মধ্যে একটি টিকেটেই ভাগ্য পরিবর্তন হয়ে যায় তাঁর। ট্যাক্স বাদ দিয়ে ওই লটারিতে জেতেন সোয়া চার লাখ ডলার। গত বছরের ১৯ জুলাই তাঁর নামে চেকটি ইস্যু করা হয়। এর পরদিন মারা যান তিনি।
কর্তৃপক্ষ এখন তদন্ত করে দেখছে, উরুজকে হত্যা করা হয়েছে কিনা। তবে পুলিশ এখনও সন্দেহজনক কোনো উপাদান কিংবা জড়িত কোন ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে পারেনি। এ কারণে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না, উরুজকে সত্যি হত্যা করা হয়েছে কিনা। 
কর্তৃপক্ষ আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে উরুজের মরদেহ কবর থেকে তুলে অতিরিক্ত কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরিকল্পনা করছে। কুক এলাকার গবেষণাগার পরীক্ষক স্টিফেন চিনা জানান, ‘মামলা শুরুর আগে এ সম্পর্কে যত বেশি তথ্য পাওয়া যাবে ততই ভালো।’ তবে, উরুজকে যে হত্যা করা হয়েছে এমন ধারণার ব্যতিক্রম কোন ফল পরীক্ষা থেকে পাওয়া যাবে না।
কিছুদিন আগে উরুজ মক্কা থেকে হজ পালন করে দেশে ফিরেছিলেন। তাঁর পরিবার জানিয়েছে, হজ থেকে ফিরে তিনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, তিনি কখনো কোন অবস্থায় বাজি ধরবেন না।