একটি ছাগল রাখার জায়গা না দেওয়াকে কেন্দ্র করে ম্যাকাও দম্পতি প্রিন্স ও
প্রিন্সেসকে আলাদা করার অভিযোগ উঠেছে। ওই ছাগলের মালিক রাজধানীর কলাবাগান
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক।
প্রিন্সেসের মালিক আবদুল ওয়াদুদ অভিযোগ করেন, কলাবাগান থানার ওসি এক
সপ্তাহের জন্য একটি ছাগল তাঁর বাড়িতে রাখতে বলেছিলেন। নেব, নিচ্ছি বলে গত
চার মাসেও তিনি ছাগলটি ফেরত নেননি। বাড়িতে গরুর সঙ্গে একই ঘরে ছাগল থাকায়
নানা সমস্যা হচ্ছিল।
২ জানুয়ারি ওয়াদুদ ছাগলটি নেওয়ার জন্য ওসিকে তাগাদা দেন। ক্লোজ সার্কিট
ক্যামেরায় থাকা ভিডিওচিত্র অনুযায়ী, ৩ জানুয়ারি সকালে কলাবাগান থানার পুলিশ
ওসির ছাগলটি নিয়ে যায়। ওইদিন বিকেলেই আদালতের আদেশ তামিল করার কথা বলে
প্রিন্সকে নিয়ে যায় একই থানার পুলিশ।
প্রিন্সকে নেওয়ার আগে ম্যাকাও দম্পতির ডিম দেখিয়ে তা ফোটা পর্যন্ত সময়
চাওয়া হয়। কিন্তু পুলিশ সেই সময়টুকুও দেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ
বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও প্রতিপালন সমিতির যুগ্ম সম্পাদক মো. ইউনুস মিয়া।
আবদুল ওয়াদুদের আইনজীবী বরুণ কুমার বিশ্বাস জানান, আদালতের আদেশ তামিল করার
সময় ছিল ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত। তার আগে ১০ জানুয়ারি আদালত মামলা খারিজ
করেছেন। আর থানার ওসি ছাগলটি ফেরত নেওয়ার দিনই (৩ জানুয়ারি) প্রিন্সকে নিয়ে
যান। আইনজীবী বলেন, আদালত যেহেতু মামলা খারিজ করে দিয়েছেন, সেহেতু প্রথম
আদেশও খারিজযোগ্য এবং পুলিশের উচিত পাখিটি ফিরিয়ে এনে ওদের সংসার রক্ষা
করা।
অভিযোগ রয়েছে, ছাগল নেওয়া ছাড়াও মসজিদের জন্য চাহিদামতো চাঁদা না দেওয়ায়
ক্ষুব্ধ হন ওসি এনামুল হক। ২ জানুয়ারি ওসি এনামুল প্রিন্সেসের মালিক আবদুল
ওয়াদুদের কাছে তাঁর গ্রামের একটি মসজিদের জন্য ৪০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে
অনুরোধ করেন। আবদুল ওয়াদুদ পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা দেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে এনামুল হক বলেন, ‘আমার থানার কারও কারও সঙ্গে
তাঁর (ওয়াদুদ) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকতে পারে। কিন্তু আমার সঙ্গে মাখামাখি
নেই।’ মসজিদের জন্য চাঁদা চাওয়া প্রসঙ্গে ওসি বলেন, তিনি এমন চাঁদা চাননি।
অন্যের বাসায় ছাগল রাখা প্রসঙ্গে ওসি বলেন, ‘আমি এমন কিছু জানি না।’ ক্লোজ
সার্কিট ক্যামেরায় এ সংক্রান্ত ছবি থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যা-ই থাক,
আমি জানি না।’
মামলা খারিজ করার পর প্রিন্সকে ফেরত দেওয়া হবে কি না, তা জানতে চাইলে এনামুল বলেন, ‘আদালতের রায় নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না।’