Thursday, January 10, 2013

এক টেরাবাইট পেন ড্রাইভ!

এক টেরাবাইট তথ্য ধারণক্ষমতার পেন ড্রাইভ বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে কিংস্টন। গত সোমবার এ ইউএসবি ড্রাইভের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্ল্যাশ ড্রাইভ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট পিসিম্যাগ।
কিংস্টন জানিয়েছে, পেন ড্রাইভ আকৃতির ছোটো এ ডিভাইসটির নাম কিংসটন ডেটা ট্রাভেলার হাইপার এক্স প্রিডেটর ৩.০, এটি দ্রুতগতিতে তথ্য স্থানান্তরে সক্ষম।
যদিও কিংস্টন পেনড্রাইভটির দাম এখনও প্রকাশ করেনি তবে ধারণা করা হচ্ছে, এর দাম প্রায় দুই হাজার ডলার হতে পারে।

পানিতেও ব্যবহার করা যাবে স্মার্টফোন

পানিতেও কোনো ক্ষতি হবে না, এমন স্মার্টফোন বাজারে নিয়ে আসছে সনি। যুক্তরাষ্ট্রের লাগ ভেগাস সম্মেলন কেন্দ্রে গতকাল মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক শো ২০১৩-তে নতুন এ স্মার্টফোনটি প্রদর্শিত হচ্ছে।
এক্সপেরিয়া জেড নামের তৈরি বিশেষ এ স্মার্টফোনটি গোসলখানায়ও ব্যবহার করা যাবে কোনো ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা ছাড়াই। জাপানে পানিবান্ধব বিভিন্ন পণ্য থাকলেও স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে এ ধরনের সুবিধা কমই আছে। এক্সপেরিয়া জেড স্মার্টফোনটি হাই ডায়নামিক রেঞ্জ সুবিধার রেকর্ডিং সুবিধাযুক্ত। থাকছে ৫ ইঞ্চি পর্দা, ফোরজি সুবিধা, ১৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা ইত্যাদি। সনি মোবাইলের নির্বাহী স্টিভ ওয়াকের বলেন, আপনি যদি গোসল করার সময় হাই ডেফিনেশন ছবি দেখতে চান, তাহলে আপনার জন্য এ স্মার্টফোন। এ ছাড়া আপনার এ স্মার্টফোনটি যদি ময়লাযুক্ত হয়ে যায়, সুন্দর করে ধুয়ে নিতে পারবেন! 
এবারের প্রদর্শনীতে নতুন এ ফোনটি প্রদর্শিত হলেও বাজারে আসবে আরও পরে। নানা ধরনের নতুন সব সুবিধা যুক্ত হওয়ায় অনেক ব্যবহারকারীদের ফোনটি বেশ পছন্দসই হবে বলেও ধারণা নির্মাতাদের। যাঁদের ফোন বেশি পানিতে পড়ে কিংবা যাঁরা পানিতে পড়ার পর প্রিয় স্মার্টফোনটি নষ্ট হয়ে যাবে বলে ভয়ে থাকেন, তাঁরা এ ফোন ব্যবহারের মাধ্যমে পাবেন স্বস্তি। এখন অপেক্ষা নতুন এ ফোন বাজারে আসার।

লটারি জেতাই কাল হলো তাঁর

মাত্র ৬০ ডলারের লটারি কিনে জিতেছিলেন ৪ লাখ ২৫ হাজার ডলার (প্রায় তিন কোটি ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকা)। কিন্তু টাকার চেকটি ইস্যু হওয়ার পরদিনই জগত্ ছেড়ে চলে যান তিনি। প্রথমদিকে সবার কাছে মৃত্যুটি একটি স্বাভাবিক ঘটনা বলেই মনে হয়েছিল।
কিন্তু লটারি জেতা, মৃত্যু এবং একটি ফোন পুরো ঘটনাটিকে নাটকীয় রূপ দিয়েছে। পুলিশ বলছে, মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। তবে উরুজ খান নামের ভারতীয় বংশোদ্ভূত এ আমেরিকান ব্যবসায়ী ঠিক কীভাবে মারা যান সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, বিষপ্রয়োগে হত্যা করা হয় তাঁকে।
এনডিটিভি জানায়, ৪৬ বছরের ওই ব্যবসায়ী শিকাগোর বাসায় মাঝরাতে হঠাত্ চিত্কার করে ওঠেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিত্সকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। উরুজের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে জানান চিকিত্সকরা। 
এর কয়েকদিন পর পুলিশের কাছে একটি ফোন আসে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি পুলিশকে জানান, উরুজের ওপর প্রাণঘাতী সায়ানাইড ব্যবহার করা হয়েছিল। এ সূত্র ধরে তদন্তে নামে পুলিশের একটি দল।
উরুজের স্ত্রী শাবানা আনসারি বলেন, ‘আমি মনে করি না, তাঁর প্রতি কারো আক্রোশ ছিল বা তাঁর সাথে কারো শত্রুতা ছিল।’ উরুজ লটারিতে জেতা টাকা ঋণ পরিশোধে, ব্যবসা বাড়াতে ও সেন্ট জুড চিলড্রেন’স রিসার্চ হাসপাতালের জন্য অনুদানে খরচ করতে চেয়েছিলেন।
উরুজ ১৯৮৯ সালে ভারতের হায়দরাবাদ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যান। শিকাগো শহরে লন্ড্রির দোকান ছিল তাঁর। গত বছরের জুনে ওই দোকানের আসা-যাওয়ার পথের সেভেন ইলেভেন নামের দোকান থেকে দুটি লটারি কেনেন তিনি। এর মধ্যে একটি টিকেটেই ভাগ্য পরিবর্তন হয়ে যায় তাঁর। ট্যাক্স বাদ দিয়ে ওই লটারিতে জেতেন সোয়া চার লাখ ডলার। গত বছরের ১৯ জুলাই তাঁর নামে চেকটি ইস্যু করা হয়। এর পরদিন মারা যান তিনি।
কর্তৃপক্ষ এখন তদন্ত করে দেখছে, উরুজকে হত্যা করা হয়েছে কিনা। তবে পুলিশ এখনও সন্দেহজনক কোনো উপাদান কিংবা জড়িত কোন ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে পারেনি। এ কারণে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না, উরুজকে সত্যি হত্যা করা হয়েছে কিনা। 
কর্তৃপক্ষ আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে উরুজের মরদেহ কবর থেকে তুলে অতিরিক্ত কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরিকল্পনা করছে। কুক এলাকার গবেষণাগার পরীক্ষক স্টিফেন চিনা জানান, ‘মামলা শুরুর আগে এ সম্পর্কে যত বেশি তথ্য পাওয়া যাবে ততই ভালো।’ তবে, উরুজকে যে হত্যা করা হয়েছে এমন ধারণার ব্যতিক্রম কোন ফল পরীক্ষা থেকে পাওয়া যাবে না।
কিছুদিন আগে উরুজ মক্কা থেকে হজ পালন করে দেশে ফিরেছিলেন। তাঁর পরিবার জানিয়েছে, হজ থেকে ফিরে তিনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, তিনি কখনো কোন অবস্থায় বাজি ধরবেন না।

বেদখলে নগরীর সরকারি যাত্রী ছাউনি

মিরপুর বিআরটিসি বাস কাউন্টারের সামনে নাজিয়া সুলতানা তার বয়স্ক মাকে নিয়ে দীর্ঘক্ষণ বাসের অপেক্ষায় ছিলেন। পাশে যাত্রী ছাউনি থাকলেও সেখানে মাকে বসানোর সুযোগ পান না নাজিয়া। ছাউনির অর্ধেকজুড়ে 'অলি জেনারেল স্টোর'। বাকি জায়গায় পত্রিকাসহ বিভিন্ন পণ্যের হকাররা নিজেদের পসরা সাজিয়ে বসেছে। ভোগান্তির কারণে অনেকটা বিরক্তি প্রকাশ করেই নাজিয়া বলেন, 'শহরে এখন শুধু নামেই যাত্রী ছাউনি আছে। কিন্তু এর অধিকাংশই ব্যবহার হচ্ছে ব্যবসায়িক কাজে।'
এ তো গেল মিরপুর এলাকার চিত্র। কিন্তু পথ চলতে গিয়ে গোটা রাজধানীতেই সরকারি অর্থায়নে নির্মিত যাত্রী ছাউনিগুলো আর সাধারণ যাত্রীদের কাজে আসছে না। এগুলো যে শুধু ব্যবসায়িক কাজেই ব্যবহার হচ্ছে, তা নয়, যাত্রীদের বদলে অনেক সময় পুলিশ সদস্যদেরও দল বেঁধে ছাউনিগুলোতে অলস সময় কাটাতে দেখা যায়। বিশেষ করে প্রেসক্লাব ও শাহবাগ এলাকায় এটি নিয়মিত ব্যাপার। অন্যদিকে বেসরকারি মোবাইল ফোন কোম্পানিসহ বিভিন্ন পণ্যের বিশাল বিলবোর্ডও এখন গিলে খাচ্ছে নগরীর যাত্রী ছাউনিগুলো। কিন্তু এদিকে যেন দৃষ্টি দেওয়ার কেউ নেই। ঢাকায় নির্মিত অধিকাংশ যাত্রী ছাউনিই বর্তমানে ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার হচ্ছে। ফলে যাত্রী ছাউনিতে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রী ও ক্লান্ত পথচারীরা এখন আর এগুলো ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন না। যাত্রী ছাউনিগুলোতে মূলত মোবাইল ফোন রিচার্জ, জেনারেল স্টোর, ওষুধের দোকান, ফাস্টফুডের দোকানসহ বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিটি করপোরেশনের কাছ থেকে প্রথমে বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো যাত্রী ছাউনিগুলো লিজ নেন। পরবর্তীতে এ প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে চুক্তি অনুযায়ী বিভিন্ন এলাকার মাঝারি শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা মাসিক ভাড়ার ভিত্তিতে যাত্রী ছাউনিগুলো খুচরা দোকানদারদের ভাড়া দেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৯৮৫-৮৬ সালে ঢাকা সিটি করপোরেশন (ডিসিসি) নগরীতে প্রায় দেড়শ' যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করে। সে সময় চুক্তির মাধ্যমে ডিসিসির সম্পত্তি বিভাগ থেকে যাত্রী ছাউনির একটি অংশে সংবাদপত্রের দোকান তৈরি করা যাবে এমন ব্যবস্থা রাখা হয়। এ চুক্তির মেয়াদ ২০১৩-১৪ সালে শেষ হওয়ার কথা।
কিন্তু শুধু সংবাদপত্রের দোকান তৈরির কথা থাকলেও পরে অবৈধভাবে যাত্রী ছাউনিগুলোর বাণিজ্যিক ব্যবহার শুরু হতে থাকে। ডিসিসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা যাত্রী ছাউনি থেকে কয়েকবার অবৈধ স্থাপনাগুলো সরিয়ে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা আদালতের ইনজেকশন নিয়ে ডিসিসিকে তাদের অবৈধ স্থাপনা ভেঙে ফেলা থেকে বিরত রাখেন। ডিসিসি জানায়, বর্তমানে নগরীতে ডিসিসির মাত্র ২৫ থেকে ৩০টির মতো যাত্রী ছাউনি অবশিষ্ট আছে। এ ব্যাপারে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন বিপন কুমার সাহা বাংলাদেশ প্রতিদিনের কাছে বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, 'অসাধু ব্যবসায়ীরা কোর্ট থেকে স্টে অর্ডার নিয়ে যাত্রী ছাউনিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করছেন। আমরা চাই যাত্রীদের সুবিধার্থে দেশের বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো যাত্রী ছাউনি নির্মাণে এগিয়ে আসবে। এতে ছাউনিগুলোতে অন্যরা দোকান তৈরির সুযোগ পাবেন না এবং যাত্রীরাও আর ভোগান্তির শিকার হবেন না।
সম্প্রতি মিরপুর ১১ থেকে ১০ নম্বর পর্যন্ত তিনটি যাত্রী ছাউনি ঘুরে দেখা যায়, এগুলোর উল্লেখযোগ্য পরিমাণ জায়গায় গড়ে উঠেছে খাবার ও ওষুধের দোকান। ১০ নম্বর এলাকার সিটি করপোরেশন কার্যালয়ের সামনেই যাত্রী ছাউনিতে গড়ে উঠেছে 'অলি' নামক জেনারেল স্টোর। এ ছাউনির সামনে অবস্থিত বিআরটিসি কাউন্টারে অপেক্ষমাণ যাত্রীদের যাত্রী ছাউনির পর্যাপ্ত জায়গার অভাবে প্রধান সড়কেই ঝুঁকি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এ ব্যাপারে দোকানের মালিক মুন্না জনান, বছরখানেক আগে 'নেপচুন' নামক একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এ যাত্রী ছাউনিতে দোকান নির্মাণের জন্য জমা বাবদ ৫০ হাজার টাকা জমা দেন। মাসে তাকে ভাড়া দিতে হয় আরও ৪ হাজার টাকা। এখানে দাঁড়িয়ে থাকা এক যাত্রী বলেন, 'যাত্রী ছাউনির অবৈধ স্থাপনার কারণে রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে সাধারণ যাত্রীদের বাসের অপেক্ষায় দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। তবে বেশি কষ্ট হয় নারী, শিশু ও বয়স্কদের। দোকানের মালিক মুন্না বলেন, 'লোকসমাগম বেশি হওয়ায় ২০১২ এর বিশ্বকাপের পর এ জায়গাটিতে দোকান দিয়েছি। ব্যবসা ভালো হচ্ছে।' একই দিন সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নগরীর ধানমন্ডি সিটি কলেজের সামনের যাত্রী ছাউনিটিতে অবৈধভাবে জেনারেল স্টোর, মোবাইল ফোন রিচার্জের দোকান ও ফটোকপির দোকান গড়ে উঠেছে। এতে গণপরিবহনের জন্য অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীসহ সাধারণ যাত্রীদের ছাউনির ব্যবহারের বদলে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
এ ছাড়া কলেজ গেটের সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল ও আসাদগেটে 'আড়ং'-এর উল্টোদিকের যাত্রী ছাউনিগুলোতে ওষুধ ও খাবারের দোকান তৈরি করা হয়েছে। ঢাকার পুরনো ও অপরিষ্কার যাত্রী ছাউনিগুলোর ভগ্নদশাই বলে দেয়, বহু আগে নির্মাণের কারণে এর বেশির ভাগই এখন ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া নোংরা পরিবেশের কারণে অব্যবহৃত থাকায় অনেক ছাউনিতে মাদকাসক্ত ও ভবঘুরে মানুষ থাকতে শুরু করেছেন। 


তীব্র শৈত্যপ্রবাহে কাবু দেশ, ৫৭ বছরের রেকর্ড ভেঙ্গে তাপমাত্রা ৩.২

নজীরবহীন শৈত্যপ্রবাহে কাবু হয়ে গেছ বাংলাদেশ। কনকনে শীত আর প্রবল কুয়াশার ফলে ঢাকাসহ সারা দেশেই কয়েকদিন ধরে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে।
দিনের বেলাও হেডলাইট চালিয়ে গাড়ি চালাচ্ছেন চালকরা। বিশেষ করে হিমালয়ের নিকটবর্তী হওয়ায় দেশের উত্তরাঞ্চলে ঘন কুয়াশার জন্য কয়েকদিন ধরে সূর্য দেখা যাচ্ছে না। বাংলাদেশে গত ৪৫ বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বুধবার, ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে শুধুমাত্র জানুয়ারি মাস বিবেচনায় এটি ৫৭ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। ১৯৫৫ সালে দিনাজপুরে রেকর্ড করা হয়েছিল ৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এর আগে ১৯৬৮ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল শ্রীমঙ্গলে ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ শাহ আলম চীনের সংবাদ মাধ্যম সিনহুয়াকে বলেন, তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে কমে গিয়েছে। ঢাকা থেকে ৩৩৮ কিলোমিটার দূরের দিনাজপুর জেলায় তাপমাত্রা কমে ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে দাঁড়িয়েছে। তিনি জানান, বুধবার রাজধানী ঢাকার রেকর্ড করা তাপমাত্রা ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ১৯৬৪ সালের পর থেকে সর্বনিম্ন। সেসময় ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মার্শাল ও মেহরাবের ডাবল সেঞ্চুরি

সুসময় পার করছেন মার্শাল আইয়ুব। ব্যাট হাতে নেমেই আলো ছড়াচ্ছেন এই তরুণ ক্রিকেটার। বিশেষ করে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল)। বিসিএল এখন মার্শালময়। আগের দুই ম্যাচের মতো বিসিএলের তৃতীয় ম্যাচেও সেঞ্চুরি করেছেন মার্শাল। এবার সেঞ্চুরিতে থেমে থাকেননি মার্শাল, প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন বিসিএলে। ২৫১ রানে ব্যাট করে এখন ধীর পায়ে এগোচ্ছেন ট্রিপল সেঞ্চুরির দিকে। বগুড়া শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনের পক্ষে মার্শালই ডাবল সেঞ্চুরি করেননি, সাবেক টেস্ট ক্রিকেটার মেহরাব হোসেন জুনিয়রও ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন। মেহরাব ব্যাট করছেন ২০৬ রানে। দুজন কাল ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের পুরোটা সময় ব্যাট করলে ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোনের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ৫২৮ রান তুলেছে সেন্ট্রাল জোন। রান পাহাড়ে চড়ে সেন্ট্রাল জোনের বিসিএলের ফাইনাল খেলা অনেকটাই নিশ্চিত।
ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনের কথা লিখতে হলে লিখতে হবে শুধু মার্শাল আইয়ুবের কথা। বিসিএলের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ান প্রথম দুই ম্যাচেও সেঞ্চুরি করেন। প্রথম ম্যাচে প্রাইম ব্যাংক সাউথ জোনের বিপক্ষে করেছিলেন ১২৫ রান এবং দ্বিতীয় ম্যাচে বিসিবি নর্থ জোনের বিপক্ষে ১৩১ রান করেন মার্শাল। গতকাল ২৫১ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন মার্শাল ৩২৩ বলে ২৭ বাউন্ডারি ও ৩ ওভার বাউন্ডারিতে। ম্যাচের প্রথম দিন অপরাজিত ছিলেন ৯৫ রানে। দিনের শুরুতেই আসরের টানা তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন মার্শাল ১৪৩ বলে। এরপর ১৫০ রান করেন নতুন বল নেওয়ার পর ২৫৭ বলে। ডাবল সেঞ্চুরি করেন ২৬৮ বলে ১৯ বাউন্ডারি ও ২ ওভার বাউন্ডারিতে। ১৪তম ওয়ালটন জাতীয় ক্রিকেটেও মার্শাল একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন। ২০৬ রানের ইনিংসটি খেলেছিলেন আসরের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রামের বিপক্ষে। মেহরাব ২০৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ৩৫১ বলে ২৬ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায়। ম্যাচের প্রথমদিন অপরাজিত ছিলেন ৭৫ রানে। সেঞ্চুরি করেন লাঞ্চ বিরতির আগে ১৯৮ বলে। ১৫০ করেন ২৫৭ বলে ২১ বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারিতে এবং ডাবল সেঞ্চুরি করেন ৩৪৪ বলে ২৫ বাউন্ডারি ও ২ ওভার বাউন্ডারিতে।
এই দুই ব্যাটসম্যান জুটি বাঁধেন ৫৬ রানে ৪ উইকেটের পতনের পর। এরপর দুজনে অবিচ্ছিন্ন থেকে ১১৮.৪ ওভার ব্যাটিং করেন। দুজনে জুটি বেঁধে রান করেন ৪৭২। যা বাংলাদেশের সব ধরনের উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি। এ ছাড়া এটাই প্রথম বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে চার শতাধিক রানের জুটি এবং প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে চতুর্থর্ সর্বোচ্চ রানের জুটি। চতুর্থ উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রানের জুটি ভারতের বিজয় হাজারে ও গুল মোহাম্মদের, ৫৭৭ রান। বারোদার পক্ষে ১৯৪৬-৪৭ সালে করেছিলেন দুজনে। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৫০০ রানের জুটি রয়েছে তিনটি। সব ধরনের উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি কুমারা সাঙ্গাকারা ও মাহেলা জয়াবর্ধনের, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৬২৪, ২০০৬ সালে কলম্বোয়। ডাবল সেঞ্চুরি ২০ হাজার টাকা করে বোনাস পেয়েছেন দুই ক্রিকেটার। ডাবল সেঞ্চুরি উচ্ছসিত মার্শাল আইয়ুব বলেন, 'আমার লক্ষ্য জাতীয় দলে খেলা। আমি সে লক্ষ্যেই ব্যাটিং করছি। ডাবল সেঞ্চুরি করতে পেরে আমার ভালো লাগছে।' জুটি গড়ার ব্যাখ্যায় মেহরাব বলেন, 'মার্শাল অসাধারণ ফর্মে রয়েছেন। সে তিন ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছেন। কাল অসাধারণ ব্যাটিং করেছেন তিনি। ৫৬ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর আমাদের টার্গেট ছিল একটি জুটি গড়ে দলকে একটি শক্ত অবস্থানে নিয়ে যাওয়া।'

সাকিবকে পেছনে ফেললেন হাফিজ


পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত সিরিজে হেরেছে কিন্তু দাপুটে পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেছেন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। তিন ম্যাচের মধ্যে দুটিতেই ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। তিন ম্যাচে সাত নম্বরে ব্যাটিং করেও ২০৩ রান করেছেন ধোনি। এর মধ্যে দুই ম্যাচেই ছিলেন অপরাজিত। দুর্দান্ত এই পারফরম্যান্সের জন্য আইসিসির কাছ থেকেও একটা পুরস্কার পেয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক। আইসিসি প্রকাশিত সর্বশেষ ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়ে দুই ধাপ উন্নতি হয়েছে তার। ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এখন চতুর্থ স্থানে ধোনি। র‌্যাংকিংয়ে উন্নতি ঘটানো ভারতের অপর দুই খেলোয়াড় সুরেশ রায়না ২৬তম (একধাপ উন্নতি) ও যুবরাজ সিং ৪১তম। অন্যদিকে এক ধাপ নিয়ে নেমে গেছেন বিরাট কোহলি। এখন তিনি রয়েছেন তৃতীয় স্থানে।
ব্যাটিংয়ে সবচেয়ে বেশি উন্নতি হয়েছে পাকিস্তানি ওপেনার নাসির জামশেদের। ৪৫ ধাপ ওপরে উঠে তিনি রয়েছেন ৩১তম স্থানে। চেন্নাই ও কলকাতায় পর পর দুটি সেঞ্চুরিসহ উভয় দলের মধ্যেই সিরিজে সর্বোচ্চ ২৪১ রান করেন তিনি। ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কারও পেয়েছেন এই পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান। খেলোয়াড়ি জীবনের সেরা ৫৮৮ রেটিং পয়েন্ট অর্জন করেন নাসির। ব্যাটিংয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে দুই প্রোটিয়াস ব্যাটসম্যান হাশিম আমলা ও এবিডি ভিলিয়ার্স। আইসিসি ওয়ানডে বোলিং র‌্যাংকিংয়ে সেরা বিশে ভারতের একমাত্র বোলার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। গতকাল প্রকাশিত র‌্যাংকিংয়ে দুই ধাপ অবনমন হয়ে তিনি রয়েছেন সপ্তম স্থানে। ভারতীয় পেসার ইশান্ত শর্মা ২৪ ধাপ এগিয়ে রয়েছেন ৭২তম স্থানে। আর পাকিস্তানের দুই বোলার সাঈদ আজমল ও মোহাম্মদ হাফিজ রয়েছেন যথাক্রমে তালিকার প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে। সিরিজে ১০.৭৫ গড়ে মোট ৮ উইকেট নেওয়া শীর্ষ বোলার আজমল খেলোয়াড়ি জীবনের সেরা ৮০১ রেটিং পয়েন্ট অর্জন করেছেন। অল রাউন্ডারের তালিকায় দুই ধাপ এগিয়ে ভারতের রবীন্দ জাদেজা রয়েছেন সপ্তম স্থানে। আর সাকিবকে পেছনে ফেলে শীর্ষে রয়েছেন পাকিস্তানের হাফিজ। 

Monday, December 19, 2011

শীতে দুই জেলায় আরও নয়জনের মৃত্যু ( Please Help to Helpless People in this Winter)

অব্যাহত শৈত্যপ্রবাহে গত ৭২ ঘণ্টায় কুড়িগ্রামে আটজন ও খুলনায় গতকাল রোববার একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় শীতজনিত ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। হতদরিদ্র লাখ লাখ মানুষ তীব্র শীতে নাকাল হয়ে পড়েছে। 
প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক, আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
কুড়িগ্রাম: এ জেলার বিভিন্ন এলাকায় গত ৭২ ঘণ্টায় শীতজনিত অসুস্থতায় আরও অন্তত আটজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা হলেন: চিলমারী উপজেলার রমনাগ্রামের বদিউজ্জামান (৭০), রৌমারী উপজেরার ফকিরপাড়া গ্রামের আবদুল কাদের (৫৭), নাগেশ্বরী পৌরসভার চামটারপাড় গ্রামের আজিমুদ্দিন (৬২), একই উপজেলার সাতানা গ্রামের জমির উদ্দিন (৬৫), কচাকাটার ইন্দ্রো গ্রামের সোলায়মান (৮৫), চিলমারী উপজেলার পশ্চিম চিলমারী গ্রামের আমুদ্দি (৭৫) ও রাজারহাট উপজেলার মাস্টারপাড়া গ্রামের রহিমা বেওয়া (৬০), এবং উলিপুর উপজেলার হাতিয়ার রামরামপুর গ্রামের মিছির উদ্দিন (৭১)। এ নিয়ে জেলায় গত দুই সপ্তাহে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মুত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১৩ জনে। 
হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) নজরুল ইসলাম জানান, তীব্র শীতের কারণে হাইপার টেনশন, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও অন্তর্বিভাগে রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। 
এ অঞ্চলের হতদরিদ্র প্রায় আট লাখ মানুষ শীতবস্ত্রের অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। গতকাল সারা দিন ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল চারদিক। 
খুলনা: শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে গতকাল খুলনার দাকোপ উপজেলার কালাবগি গ্রামের কালাচাঁদ সরদার (৮১) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অন্তত ছয় শিশু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও জীবিতেষ বিশ্বাস বলেন, চলতি শৈতপ্রবাহের কারণে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে আজ (গতকাল) সকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ছয়টি শিশু ভর্তি হয়েছে। তবে এখন এরা আশঙ্কামুক্ত।
পঞ্চগড়: দেশের সবচেয়ে উত্তরের এ জেলায় শৈত্যপ্রবাহ আর ঘন কুয়াশা ক্রমেই বাড়ছে। এ কারণে জনজীবনে দুর্ভোগও বাড়ছে। দিনের অধিকাংশ সময়ই সূর্যের মুখ দেখা যায় না। দিনের বেলা আকাশ ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকে। রাতে ঝরছে কুয়াশা-বৃষ্টি। এক সপ্তাহ ধরে হাঁড়কাঁপানো শীতে জেলার সব শ্রেণী-পেশা ও বয়সের মানুষের জীবনে অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। দিনের বেলা ৭ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠানামা করলেও রাতে তাপমাত্রা আরও নিচে নেমে যায়। শীতে বৃদ্ধ ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি কাহিল হয়ে পড়েছে।
গত দুই দিনের তীব্র শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩০ শিশু পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এরা ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত।
পঞ্চগড় ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্রে জানা গেছে, শীতের কবল থেকে মানুষকে রক্ষার জন্য দুই হাজার ৩০০ কম্বল জেলার পাঁচটি উপজেলায় বিতরণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আরও ১০ হাজার কম্বল চেয়ে ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করা শুরু হয়েছে। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রয়োজনের তুলনায় তা খুবই কম। 
এদিকে, তীব্র শীতে আগাম জাতের আলু ও ধানের চারায় কোল্ড ইনজুরি রোগ দেখা দিয়েছে। কৃষি বিভাগ কৃষকদের বীজতলায় ওষুধ স্প্রে করার পরামর্শ দিয়েছে। 
নড়াইল: এখানে দুই দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। গতকাল সকাল ছয়টার দিকে নড়াইলে ছয় দশমিক শূন্য ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। শীতে সবচেয়ে বেশি বেকাদায় পড়েছে বস্তির বাসিন্দারা। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে এখন পর্যন্ত শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়নি।
জেলা ত্রাণ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে এক হাজার ১০০ কম্বল পাওয়া গেছে। এখনো বিতরণ শুরু হয়নি। 
সিভিল সার্জন আবদুস সামাদ জানান, শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। শীতের কারণে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা হাসপাতালে আসতে শুরু করেছে। 
রংপুর: জেলার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান বললেন, ‘শীতার্ত মানুষ ভিড় করছে ঠিকই, কিন্তু কম্বল না থাকলে আমরা কোথা থেকে দেব। ইতিমধ্যে জেলার আট উপজেলা ও তিন পৌরসভায় মাত্র সাড়ে পাঁচ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। ৫০ হাজার কম্বল চেয়ে ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠানো হয়েছে। 
ফরিদপুর: জেলা আবহাওয়া কার্যালয়ের দায়িত্বরত কর্মকর্তা সুরজুল আমীন বলেন, এ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গত শনিবার এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৭ রেকর্ড করা হয়। তবে আজ সোমবার থেকে অবস্থার উন্নতি ঘটতে পারে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) অরুণ চন্দ্র মহোত্তম বলেন, গত সপ্তাহে নয়টি উপজেলার শীতার্ত মানুষের মধ্যে তিন হাজার ৭৭২টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও পাঁচ হাজার কম্বল চেয়ে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে ফোন করা হয়েছে।
সৈয়দপুর: নীলফামারীর সৈয়দপুরে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আরও কমবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত তিন দিন ধরে এ অঞ্চলে সূর্যের মুখ দেখা যাচ্ছে না। 
সরকারিভাবে এ উপজেলায় শীতার্তদের মাঝে বিলি করতে ২৫০ ও পৌরসভা এলাকায় ২৮০টি কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

Sunday, September 4, 2011

শাহরুখের 'ঈদ পার্টি'


কোনো উপলক্ষ পেলেই পার্টিতে মেতে ওঠেন বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান। তবে ঈদ উপলক্ষে এ পর্যন্ত কোনো পার্টিই দেননি তিনি। এবারই প্রথম 'ঈদ পার্টি' দিলেন।
শাহরুখ বলেন, 'এর আগে কখনোই বড় আয়োজনে ঈদ উদযাপন করা হয়নি আমার। তবে এবার ঘটা করেই উৎসবটি পালন করলাম।' তিনি আরও বলেছেন, 'এবার আমার সন্তানদের সঙ্গে ঈদের নামাজও পড়লাম। আমার ছেলে আরিয়ান এবং মেয়ে সুহানার বয়স এখন ১৪ এবং ১১। আমি যে ধর্মের অনুসারী সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানার যথেষ্ট বয়স হয়েছে তাদের। ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে তাদের জানানোর জন্য আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে চাই। মূলত এই উদ্দেশ্যেই
ঈদ পার্টি করলাম।'৪৫ বছর বয়সী এই তারকার দুটি সন্তান, ছেলে আরিয়ান এবং মেয়ে সুহানা জন্মেছিল যথাক্রমে ১৯৯৭ এবং ২০০০ সালে।

বাঘ নিয়ে বিপাকে চেয়ারম্যান

বরিশালের গৌরনদী উপজেলার চাঁদশী ইউনিয়নের গোবর্ধন গ্রামে ধরা পড়েছে একটি অসুস্থ মেছো বাঘ। গত দু'দিন ধরে সেটি রয়েছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কৃষ্ণকান্ত দে'র হেফাজতে। বাঘটি দেখার জন্য সেখানে ভিড় করছে বহু মানুষ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বালিয়ারপাড় গ্রামের পানচাষি সিরাজ হাওলাদার শুক্রবার সকালে গোবর্ধন এলাকায় তার পান বরজে গিয়ে প্রায় ৪ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি অসুস্থ মেছো বাঘ দেখতে পান। খবর পেয়ে এলাকাবাসী সেটি দেখার জন্য পান বরজে ভিড় করে। কিন্তু কেউই বাঘটিকে ধরার সাহস করেনি। পরে চাঁদশী ইউপি চেয়ারম্যান কৃষ্ণকান্ত দে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঘটিকে ধরে বস্তাবন্দি করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা পশু হাসপাতালে নিয়ে যান। পশু চিকিৎসক মো. শাহ্ আলমের চিকিৎসা শেষে মেছো বাঘটি ইউপি চেয়ারম্যান তার বাড়িতে নিয়ে পোল্ট্রি ফার্মের ভেতর শিকল ও রশি দিয়ে বেঁধে রাখেন। ইউপি চেয়ারম্যান কৃষ্ণকান্ত দে জানান, মেছো বাঘটি নিয়ে তিনি বিপাকে পড়েছেন। বাঘটি দেখার জন্য বহু মানুষ তার বাড়িতে ভিড় করছে।