Wednesday, July 27, 2011

জ্যাকুলিন ইন

ইয়ানা গুপ্তা মার্ডার ২ এর আইটেম গানে নেচেছিলেন। সে গানটিই টিভিতে প্রচারে এসেছে; কিন্তু বদলে গেছে পাত্রী! গানে ইয়ানার নামগন্ধও নেই! ইয়ানার বদলে সেখানে আইটেমে কোমর দুলাচ্ছেন জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ। সম্প্রতি টেলিভিশনে মার্ডার ২-এ ইয়ানা'র সেই একই আইটেম গানটি প্রচার হয়; কিন্তু ভাট ব্রাদার্সের তেলেসমাতিতে সেখানে কোমর দুলিয়েছেন জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ।
সে গান থেকে ইয়ানা একেবারে হাওয়ায় উবে গেছেন যেন! এদিকে পরিচালক
মোহিত সূরি অবশ্য শাক দিয়ে মাছ ঢাকার খানিক চেষ্টা করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, ইয়ানা ভিলেনের অংশটিতে আছেন, আর ভিলেন প্রশান্ত নারায়ণের বিষয়টি আগে থেকে সবাইকে জানাতে চাননি তারা।
এটা চমক হিসেবেই রাখতে চেয়েছেন।

জন-দীপিকা সম্পর্ক

রনবীরের সঙ্গে দীপিকার আর বিপাশা বাসুর সঙ্গে জনের ছাড়াছাড়ির পর দিনকাল বোধহয় ভালোই যাচ্ছে তাদের। লন্ডনে নির্মিতব্য এক ছবির শুটিংয়ের ফাঁক-ফোকরগুলো নাকি জন ভালোই জমিয়ে তুলেছেন ছবির অভিনেত্রী বলিউড সেনসেশন দীপিকা পাড়ুকোনের সঙ্গে! দীপিকা-জন নাকি বেশ ঘনিষ্ঠ সময় কাটিয়েছেন সেখানে। জন-দীপিকা জুটির প্রথম ছবি এটি।
আর সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হওয়ার লক্ষণ বলতে শুটিংয়ের লোকজন যা খেয়াল করেছেন; তার মধ্যে পড়ে_ উচ্চস্বরে মজার সব জোকস শোনানো, ফাঁক পেলেই কফি ব্রেক নেওয়া, মানে, আশপাশের কোথাও দলছুট হয়ে কফি খাওয়া, কিংবা নিছক উধাও হয়ে যাওয়া! একটি সূত্রের বরাতে সংবাদ মাধ্যমটি জানিয়েছে, এসব কফি ব্রেকে জন নাকি বিপাশার সঙ্গে তার বিচ্ছেদের আদ্যোপান্ত শুনিয়েছেন দীপিকাকে।

৩ বছর ধরে স্ত্রীর রক্ত পান! ( Belive It or Not, But It's 100% True)

অবিশ্বাস্য হলেও ঘটনাটি সত্যি। বিশিষ্ট আমেরিকান লেখিকা স্টিফানি মেয়ারের লেখা টোয়াইলাইট ছবিতে যারা ভ্যাম্পায়ারকে মানুষের রক্ত খেতে দেখেছেন ঘটনাটি ঠিক তেমনি। ভারতের মধ্য প্রদেশের এক গ্রামের পাষণ্ড স্বামী তার স্ত্রীর রক্ত পান করেছে তিন বছর ধরে। এতদিন কেউ জানত না। সইতে না পেরে স্ত্রী নিজেই এ অবিশ্বাস্য ঘটনা ফাঁস করেছে। মধ্য প্রদেশের দামো জেলার ২২ বছরের স্ত্রী দীপা আরিবার পুলিশকে জানায়, স্বামী মহেষ বিগত তিন বছর ধরে তার রক্ত পান করেছে। সে প্রতিদিন সিরিঞ্জ দিয়ে তার বাহু থেকে রক্ত বের করে নিত। মহেশ সেই রক্ত একটি শূন্য গ্লাসে রাখতো এবং তৃপ্তির সঙ্গে ৩ বছর তার রক্ত পান করেছে। প্রতিদিন সে রক্ত নিত। দীপাকে সে হুমকি দিত। বলত এ ঘটনা ফাঁস করে দিলে তাকে মেরে ফেলা হবে। ২০০৭ সালে শিকারপুরা গ্রামের দীপার সঙ্গে কৃষিশ্রমিক মহেষের বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক মাস পর মহেষ তার স্ত্রীর শিরা থেকে রক্ত নিতে শুরু করে। রক্ত নিয়ে সে মজা করে পান করত। মহেষ বলত রক্ত পান করায় সে বলবান হচ্ছে। দীপা গর্ভবতী হলেও মহেষ রক্ত নেয়া বন্ধ করেনি। সাত মাস আগে দীপা পুত্র সন্তানের মা হয়েছে। মা হওয়ার পর সে প্রতিবাদ করতে শুরু করে। দীপা পুলিশকে আরও জানায়, স্বামী রক্ত নেয়ার পর তার মাথা ঘুরাত। বমি বমি লাগত। প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করা হতো। অবশেষে এ মাসের গোড়ার দিকে দীপা তার সন্তানকে কোলে নিয়ে স্বামীর বাড়ি থেকে বাপের বাড়িতে পালিয়ে আসে। পিতার বাড়িতে এসে সে পুলিশকে সব ঘটনা খুলে বলে। তবে এখানেও তাকে নিয়ে টানাহেঁচড়া কম হয়নি। শিকারপুরা গ্রামের লোকদের চাপে পুলিশ মামলা নিতে বাধ্য হয়।

Tuesday, July 26, 2011

ইত্যাদি'তে সামিনা

জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান 'ইত্যাদি'তে গান গাইলেন কণ্ঠশিল্পী সামিনা চৌধুরী। মোহাম্মদ রফিকউজ্জামানের কথা এবং আলী আকবর রূপুর সুরে গানটি গেয়েছেন তিনি। গানের কথায় উঠে এসেছে বর্ষা ঋতু। গানের কথা হচ্ছে_ 'যারে যারে মেঘ যারে/ বাদলেরই মাসে সে যদি না আসে/ কদম-কেয়া কি মন ভরে দিতে পারে'। সব বয়স এবং সব শ্রেণী পেশার মানুষের প্রিয় অনুষ্ঠান 'ইত্যাদি'র আগামী পর্ব প্রচার হবে ২৯ জুলাই, শুক্রবার রাত ৮ টার বাংলা সংবাদের পর। 'ইত্যাদি'র রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন।

দ্বিতীয় উজ্জ্বলতম নক্ষত্র পিউনি

পিউনি! দারুণ সুন্দর নাম। পিউনি আমাদের গ্যালাক্সির দ্বিতীয় উজ্জ্বলতম নক্ষত্র। ৩.২ মিলিয়ন সূর্য যে পরিমাণ আলো ছড়াতে পারবে, পিউনি একাই সে আলো ছড়াতে থাকে। তা প্রথমটা কে? এর নামটাও বেশ সুন্দর, 'ইটা কারিনা'। ইটা কারিনা একাই ৪.৭ মিলিয়ন সূর্য।

যা হোক কারিনার কথা বাদ দিয়ে পিউনির কথাই বলি। এই মাত্র কয়েক দিন আগে পিউনিকে আবিষ্কার করেছে বিজ্ঞানীরা। এত উজ্জ্বল একটি নক্ষত্র আর আবিষ্কার হলো মাত্র কয়েক দিন আগে? কারণ এর চারপাশ ঘিরে আছে ঘন মহাকাশীয় ধূলিকণা আর গ্যাস। অবশেষে নাসার স্পিটজার টেলিস্কোপের ধূলিকণা-ভেদী ইনফ্রারেড চোখে ধরা পড়ল এই পিউনি। এর উজ্জ্বলতাও মাপা হয়েছে স্পিটজারের ইনফ্রারেড স্পেক্টোগ্রাফ দিয়ে। পিউনি কত বড়? ১০০টি সূর্য পাশাপাশি বসিয়ে এর ব্যাস বরাবর আটকে রাখা যাবে। তবে এত বড় জায়ান্ট আকৃতির এবং 'ওলফ-রায়েত' ক্যাটাগরির নক্ষত্রগুলো বেশিদিন বাঁচে না। খুব বেশি হলে কয়েক মিলিয়ন বছর। মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মতে, পিউনি যে কোনো মুহূর্তে ফেটে যেতে পারে, যাকে বলে 'সুপারনোভা ব্লাস্ট'। আর এর বিস্ফোরণে কাছাকাছি ঘূর্ণায়মানরত গ্রহগুলো তো ভস্মীভূত হবেই এবং প্রচুর শিশু তারার জন্ম হবে, যারা কিনা আকৃতিতে আমাদের সূর্যের চেয়েও বড় হতে পারে। ভাগ্য ভালো যে, আমাদের সূর্য এত বড় জায়ান্ট নক্ষত্র না, না হলে আমাদের পৃথিবী কবেই ভস্মীভূত হয়ে যেত।

জিনের মধ্যে জিন রহস্য!

জিনের সংযুক্তি টানাপড়েনের গবেষণা জেনোমিক্সই সম্পূর্ণ নয়। এ বিষয়টি সম্প্রতি বিজ্ঞানীদের দারুণ ভাবিয়ে তুলেছে। জিনের গঠন নেড়েচেড়ে তার উৎপন্ন প্রোটিন পর্যন্ত জানা হয়ে গেছে। এমন দুই বা তার বেশি প্রোটিন পরস্পর কিভাবে বিক্রিয়া করে তাই জানার সময়। এ সময় যদি কেউ বলেন_ না, জেনোমিক্সই সম্পূর্ণতা পায়নি। তখন বিষয়টি গোলমাল লাগবেই। এটাই স্বাভাবিক। কেন জিনের সংযুক্তির খোঁজ সম্পূর্ণ নয়! বিজ্ঞানীরা বলছেন, একই ধরনের জিন থেকে তৈরি যমজ শিশু কিভাবে বড় হলে বদলে যায়। আচার-ব্যবহার থেকে তাদের শারীরিক গঠন কেন দু'জনের মধ্যে পার্থক্য এনে দেয়? এটি জেনোমিক্স বা জিনতত্ত্বে নেই। এটাও পরীক্ষিত সত্য, যমজ ভাই বা বোনের মধ্যে ছোটবেলায় অনেক মিল থাকলেও বয়সের সঙ্গে এই মিল কমে আসে। দু'জনের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা থেকে উর্বরা শক্তি, মস্তিষ্কের বুদ্ধিমত্তা থেকে শারীরিক সৌষ্ঠব সবটাই কেমন যেন পাল্টে যায়। এমনকি রাসায়নাগারে তৈরি ক্লোনিংয়ের ক্ষেত্রেও এ ধরনের পরিবর্তন দেখা যায়। মনে করুন ডলির কথা। ডলিকে ক্লোনিং করে সার্থক ভেড়ার রূপ দেওয়া হলেও সে স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুত বার্ধ্যকে পেঁৗছে গেল। আর্থারাইটিস তাকে গ্রাস করে নিল। যমজ বা ক্লোনিংয়ের ক্ষেত্রে ব্যাপারটি একই। একই জিনগত প্রক্রিয়ায় তৈরি দুই ক্ষেত্রেই চারিত্রিকগত প্রভেদ চোখে পড়ার মতো। এসব থেকেই জিনের বাইরেও কিছু নিয়ামকের কথা ঘোরাফিরা করছিল বিজ্ঞানীদের মনে। যারা নিশ্চিত ছিলেন জেনেটিক্স বা জিনতত্ত্ব শুধু জিনের নিয়ামক শক্তি নয়। এতদিন জিনের 'ডিএনএ'-কে কোষের চর্বি বলে মনে করতেন সবাই। কিন্তু বাস্তবক্ষেত্রে ঘটনা ডিএনএ তার একচ্ছত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারছে না। এই জাতীয় প্রশ্নের সমাধানে জীববিজ্ঞানে এক নতুন ধারা আসছে। এর নাম এপি জেনেটিক্স। যদিও 'এপি জেনিটিক্স' শব্দটি খুব একটি নতুন নয়। ১৯৪২ সালে জীববিজ্ঞানী সিএইচ ওয়েডিংটন এই নতুন শাখার বিষয়ে প্রথম ধারণা দিয়েছেন। তিনি এপি জেনেটিক্সের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছিলেন_ এপি জেনেটিক্স জীববিজ্ঞানের এমনই একটি শাখা, যা জিন ও তার উৎপাদন নিয়ে চর্চা করে। জিনের পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রক্রিয়ার সম্ভাব্য ব্যাখ্যা দেয়। জিনের পরিপ্রেক্ষিতে বাহ্যিক গঠন নিয়ে ধারণা দেয় এই শাখা। দীর্ঘ ১০০ বছর অতিক্রান্ত। ওয়েডিংটন তার মতবাদ দিয়েছেন। আজও তার চিন্তা প্রাণী বিজ্ঞানীদের নতুন করে ভাবাচ্ছে। কারণ জিনের গঠনশৈলী থেকে তার প্রকাশভঙ্গি জানা গেলেই জীবের গোটা বিষয়টি বোঝা সম্ভবপর হচ্ছে না। আধুনিক গবেষণা ওয়েডিংটনের ধারণাকে সমর্থন করেছে। এটা পরীক্ষাগতভাবে জানা গেছে। জিনোমে ডিএনএ-র চারটি তথ্যধারী বেসে (অ.ঞ..েঈ) যাবতীয় কোষের স্বভাবের খতিয়ান থাকে না। কিছু অতিরিক্ত তথ্যসূত্রও স্তন্যপায়ীর জিনোমের বহিঃস্তর হিসেবে জমা হয়ে থাকে। ব্যাপারটা অনেকটা তেলভর্তি পাত্র না পাত্রভর্তি তেলের মতো। বলা হচ্ছে, এপি জেনেটিক কোষের একটি অংশের তথ্যবিষয়ক ধারণা, যা কোষ বিভাজনের সময় বংশধারায় ঢুকে পড়ে। কিন্তু ডিএনএ গঠন পুনঃসংযুক্তির সময় অংশ নেয় না। বংশগত হয়েও ডিএনএ সংশ্লেষণে অনুপস্থিত এই এপি জিন। এপি জেনেটিক্স নিজে তো অংশ নেয় না, উল্টা ডিএনএ রাসায়নিক পুনর্গঠনকে প্রভাবিত করে। ডিএনএ-র সঙ্গে সরাসরি যুক্ত প্রোটিনকে (হিসটোন) পরিবর্তন করে দেয়।

বিস্ময়কর আমাজান অভিযান

কত মানুষ কি করছে। কেউ হেঁটেই সমুদ্র পাড়ি দিচ্ছে আবার কেউ পানির ওপর রীতিমতো হেঁটে সবাইকে চমকে দিচ্ছে। তবে এবার নতুন করে আরও একটি হাঁটার কাহিনী বিশ্বব্যাপী বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করল। হেঁটে পৃথিবীর দীর্ঘতম বন আমাজন পাড়ি দেওয়ার এক দুঃসাহসী পরিকল্পনা আঁটলেন সাবেক ব্রিটিশ সেনা অকুতোভয় অ্যাড স্ট্যাফোর্ড। পূর্বঅভিজ্ঞতা নেই। শুধু জানা আছে, তার আগে আর কেউ সাহস করেননি এ কাজে। সফল হলেই বিশ্বরেকর্ড। সব গুছিয়ে রওনা হলেন একদিন। শুরু হলো নতুন অধ্যায়। তবে আমরা সেই দুঃসাহসী অ্যাড স্ট্যাফোর্ডের কাছ থেকেই শুনব তার এই অভিযানের কথা। বিখ্যাত ইংরেজি পত্রিকা ডেইলি মেইল থেকে ভাষান্তর করে আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো : আমাজানের গহিন বন। ঘন পত্রপল্লবের শামিয়ানা ফুঁড়ে সূর্যের আলো ঢুকতে পারে না। রবারের ডিঙিটাকে পানিতে নামাতে যাচ্ছি, চোয়ের সতর্ক কণ্ঠ, পেছনে, অ্যাড! ঘুরেই হিম হয়ে গেল বুকের রক্ত। পাঁচ ক্যানোভর্তি (বিশেষ ধরনের নৌকা) অর্ধনগ্ন লালমুখো একদল আদিবাসী। ধনুকে টানটান বিষাক্ত তীর। মেয়েদের হাতে চকচকে ধারাল দা। মনে হলো থমকে গেছে সময়। চো আর আমার অবস্থা দাঁড়াল ফাঁদে আটকাপড়া বুনো জন্তুর মতো। একটাই ভাবনা ঘুরপাক দিচ্ছে মাথায়-ওরা কী জানে না এসবের জন্য আমাদের হাতে সময় নেই এক মুহূর্ত! হেঁটে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মাইল দীর্ঘ আমাজান পাড়ি দেওয়ার চিন্তা প্রথম মাথায় আসে ২০০৫ সালে। দিনগুলো ছিল ঠাণ্ডা। জঙ্গল নিয়ে দিবাস্বপ্ন দেখা শুরু হলো আমার। মনে হলো, অরণ্যে সূর্য নিশ্চয়ই আরও উষ্ণ। সামনে কী অপেক্ষা করছে ধারণা ছিল না। শীঘ্রই এলাম বিশ্বের গভীরতম কোলচা ক্যানিয়নে। দেখা হলো হাজার বছর আগে মমিকৃত ইনকাদের সঙ্গে। সামনে কুখ্যাত রেড জোন। মাদক কারবারি আর সন্ত্রাসবাদী দলের ঘাঁটি। ওজ নামে এক পেরুভিয়ান গাইড জুটিয়ে নিলাম। মাইলের পর মাইল গোপন কোক ক্ষেত। গুলি খেয়ে মরার ভয়ে কেটে পড়ল ওজ। পুয়ের্টো ওকোপার কাছে ইলিয়াস নামে ১৬ বছরের এক আশানিনকা ইন্ডিয়ান ছেলেকে বানালাম গাইড। গল্পচ্ছলে ওর পরিবার সম্পর্কে জানতে চাইলাম। জানাল ছয় দিন আগে ওর মাকে গলায় পেরেক ঢুকিয়ে হত্যা করেছে গোত্রের লোকেরা। কেন, তা জানার আগ্রহ উবে গেল নিমেষে।

এক গ্রামে মাসাটো নামে মেয়েদের থুতু দিয়ে বানানো এক প্রকার চোলাই দিয়ে আপ্যায়ন করা হলো আমাদের। না খেলে অপমান! বাধ্য হয়ে গিলতে হলো তা-ই। পামাকিয়ারিতে বালতি ভর্তি পানি ছুড়ে মারা হলো আমাদের ওপর। বন্ধুভাবাপন্ন এক ইন্ডিয়ান জানাল, পরের গ্রামে আমাকে চড়ানোর জন্য শূল বানিয়ে অপেক্ষা করছে সবাই। আমি নাকি ওদের মাটির নিচে থাকা তেল চুরি করতে আসছি। আমার মন খারাপ হয়ে গেল এসব শুনে। এ সময় গাইড হিসেবে যোগ দিল ৩০ বছরের টসবগে যুবক চো। হাঁটার গতি এখন মন্থর। নদী কোথাও আঁকাবাঁকা, কোথাও খাড়া ঢালু। বুক সমান নিবিড় ঘাসবন। হাঁটতে গেলে জড়িয়ে যায় পায়ে। আগস্টের ২৪ তারিখে শুরুতেই বলা খুনে ইন্ডিয়ানগুলোর সামনে পড়লাম আমরা। ওরা আমাদের বন্দি করে নিয়ে গেল প্রধান কুঁড়েতে। গ্রামপ্রধান জানালেন বিনা অনুমতিতে এলাকায় ঢুকে আমরা নিয়ম ভঙ্গ করেছি। ব্যাখ্যা শুনে শান্ত হলো। যেতে দেবে, শর্ত একটাই, গ্রামপ্রধান আর তার ভাইকে আমাদের গাইড হিসেবে নিতে হবে। দা দিয়ে ঝোপ কেটে পথ বানিয়ে হাঁটছি। প্রতি মিনিটে গড়ে ১০টি মশার কামড় খাচ্ছি। একবার খেলাম মোরগের অণ্ডকোষ। আরেকবার বানরের মাংস। একবার খেলাম বিলুপ্তপ্রায় দুর্লভ প্রজাতির টাপির। একবার হাঁটার মাঝখানে আচমকা থামতে ইশারা করল চো। আঙ্গুল তুলল ঝোপের নিচে। কুণ্ডলী পাকিয়ে ফণা মেলে ছোবল দিতে প্রস্তুত কুখ্যাত এক পিট ভাইপার। এক ছোবলেই চুলের গোড়া, চোখ, কান আর নখের গোড়া থেকে বলক দিয়ে বেরিয়ে আসবে রক্ত। এ অভিজ্ঞতার মাঝেই আসবে মৃত্যু। ২০০৯ সালের ২১ ডিসেম্বর অভিযানের ২১ মাস পূর্ণ হলো। আমাজানের ওপর বিষিয়ে উঠেছে মন। কেবল ভাবছি বন্ধুদের মুখ। নিজেকে উজ্জীবিত রাখার জন্য আমি গাইতাম প্রয়াত রয় ক্যাসেলের গাওয়া 'ডেডিকেশন'। অবশেষে ৮ আগস্ট রোববার নাকে ভেসে এলো সমুদ্রের নোনা ঘ্রাণ। পিঠের ঝোলা ছুড়ে ফেললাম। ছুটে গিয়ে ঝাঁপ দিলাম অথৈ জলরাশির আটলান্টিকের বুকে। জীবনে এই প্রথমবার সাগর দেখছে চো। খতম হলো কিস্সা। ৮৬০ দিনে ৮ হাজার কিলোমিটারের বেশি পথ হাঁটা, ৯০ লাখ পদক্ষেপ, মাথাপিছু ২ লাখের বেশি মশার কামড়, ৬০০ মাকড়সার দংশন, এক ডজন বিছার কামড় আর একটি গিনেস বিশ্বরেকর্ড। জীবনে এত সুখ আগে কখনো পাইনি!

Monday, July 25, 2011

নরকের দরজা!

তুর্কমেনিস্তানের ডারভেজ শহরে অবস্থিত এটি একটি জ্বলন্ত গর্ত। জ্বলন্ত জায়গাটি Door to Hell বা শয়তানের দরজা নামে সুপরিচিত। ১৯৭১ সাল থেকে জায়গাটি অবিরত দাউ দাউ করে জ্বলছে। ওই বছরই এখানে গ্যাস খনির সন্ধান পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে গবেষণা করে বিষাক্ত গ্যাসের ব্যাপারে গবেষকরা নিশ্চিত হন যার পরিমাণ ছিল সীমিত। সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে, এই গ্যাস জ্বালিয়ে শেষ করা হবে, ফলে এর বিষাক্ততা ছড়ানোর সুযোগ পাবে না। এরপর এখানে গর্ত করে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু গবেষকদের অবাক করে দিয়ে তা এখনো অর্থাৎ ৪০ বছর ধরে একাধারে জ্বলছে। অথচ গবেষকরা Door to Hell পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত ছিলেন যে, অল্প কয়েকদিনের মধ্যে এই গ্যাস শেষ হবে এবং আগুন নিভে যাবে।

লিপস্টিক কথন

লিপস্টিক এমন এক ধরনের
প্রসাধনী, যা নারীর সৌন্দর্য বাড়াতে ঠোঁঁটে প্রয়োগ করা হয়। তবে নারীরা এখন যে লিপস্টিক ব্যবহার করেন, তার ইতিহাস কিন্তু বহু পুরনো। গবেষকরা অনেকটাই নিশ্চিত হয়েছেন, প্রাচীন সিন্ধু সভ্যতায় নারীরা প্রথম মুখের সৌন্দর্য বাড়াতে ঠোঁটে লিপস্টিক ব্যবহার শুরু করে। প্রাচীন মিসরীয়রা সামুদ্রিক আগাছা থেকে উৎপন্ন লাল রঙের এক ধরনের পদার্থের সঙ্গে ০.০১ শতাংশ আয়োডিন এবং কিছু ব্রোমিন মিশিয়ে এমন এক রঞ্জক পদার্থ তৈরি করতেন, যা লিপস্টিক হিসেবে ব্যবহৃত হতো। মজার ব্যাপার হলো, রানী ক্লিউপেট্রা যে লিপস্টিক ব্যবহার করতেন, তা তৈরি করা হতো মেরুন রংয়ের বিটল পোকা থেকে। ফলে তার ঠোঁটে গাঢ় লাল আভা ফুটে উঠত। এছাড়া বেজ দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হতো পিঁপড়া।

ফুটন্ত মাটি!

নিউজিল্যান্ডের রোটোরোয়ায় অবস্থিত Taupo লেকে ফুটন্ত কাদা-মাটি দেখতে পাওয়া যায়। গবেষকদের ধারণা, নদী ও লেকের পানি নির্দিষ্ট এই জায়গার উত্তপ্ত পাথরের উপরে প্রবাহিত হয় বলে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তাই ব্যতিক্রমধর্মী এই জায়গাট!