Tuesday, May 17, 2011

প্রস্তাবে 'না' বিদ্যার

আবেদনময়ী হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে বেশির ভাগ অভিনেত্রী জিরো ফ্যাট বা ওজন কমাতে ব্যস্ত থাকেন। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম বলিউডের বিদ্যা বালান। সম্প্রতি 'ডার্টি পিকচার' নামের একটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি। কাহিনীর চরিত্র অনুযায়ী পরিচালক তাকে ওজন কমাতে বলেন। প্রস্তাবে রাজি হননি বিদ্যা। তিনি বলেছেন, আপাতত এ রকম কোনো ইচ্ছে নেই। কারণ শারীরিক আবেদন নয়, অভিনয় দিয়েই দর্শকহৃদয়ে জায়গা পেতে চাই।

সুরার জন্মবৃত্তান্ত

সুবিখ্যাত কবি ওমর খৈয়ামের একটি অনবদ্য রচনা_ 'এইখানে এই তরুতলে, তুমি আমি কুতুহলে আর কটা দিন কাটিয়ে যাব প্রিয়ে, সঙ্গে রবে সুরার পাত্র, অল্প কিছু আহার মাত্র, আর একখানি কাব্য হাতে নিয়ে'। সুরসিক খৈয়াম যার এত গুণগান করেছেন তার সম্পর্কে কিছু জানার চেষ্টা করা যাক। সুরা নিয়ে পৃথিবীর দেশে দেশে রয়েছে নানা রকম নিয়ম-কানুন, রীতিনীতি, বিধি-নিষেধ। কোথাও সুরাপান কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হলেও পৃথিবীর এমন অনেক দেশ আছে যেখানে আপ্যায়ন থেকে শুরু করে পানীয় হিসেবে এর ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। ইসলামের বিধানমতে আমাদের দেশে মদ্যপান কঠোরভাবে নিষিদ্ধ এবং তা রাখা ও বিক্রি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। তবে কিছু বৈধ নিয়ন্ত্রিত বার রয়েছে রাজধানী ঢাকা শহরে এবং দেশের অন্য বড় শহরগুলোতে। যা হোক, সুরার ইতিহাস কত দিনের? কবে, কি জন্য মদ তৈরি করা হয়েছিল এবং কি কারণে তৈরি করেছিল? আর নেশা হিসেবে কবে থেকে মদ পান শুরু হয়_ এ নিয়ে বিস্তর বিতর্ক রয়েছে। তবে সম্প্রতি আবিষ্কৃত তথ্য থেকে ধারণা পাওয়া যায়, ছয় হাজার বছর আগ থেকে পৃথিবীতে সুরা তৈরি এবং পান করার প্রচলন ছিল। পশ্চিম পারস্যের জাগরাউস পর্বতরাজি অঞ্চলে সাম্প্রতিক এক খননকাজের সময় দুই হাতলবিশিষ্ট একটি পানীয়ের ভাঙা আধার পাওয়া যায়। একদল গবেষক ভাঙা টুকরোগুলো জোড়া দিয়ে পানীয় আধারটি পুনর্গঠন করেন। দেখা গেল, ব্রোঞ্জ-পূর্ব যুগের সুমেরীয় সভ্যতার আমলে তৈরি করা হয়েছিল এই পানীয় আধার। তখন সবেমাত্র লিপির আবিষ্কার হয়েছে এবং পানি সেচের মাধ্যমে চাষাবাদের কাজও প্রথম প্রথম করা হচ্ছে। উদ্ধার করা পাত্রের তলায় লাল দাগ দেখে এবং পরীক্ষা করে জানা যায়, এতে তরল পদার্থ রাখা হতো। বাটলার ও তার সহযোগীরা দাগটির ইনফ্লারেড বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, এতে ফেনোলিক এসিড ও টারটারিক এসিড রয়েছে। দাগের ঠিক উল্টো দিকে রয়েছে একটি ছিদ্র। পাত্র যেন ফেটে না যায় সে জন্যই এ ব্যবস্থা। সুরার এ ইতিহাস থেকে এটা বেশ ভালোভাবেই বোঝা যায়, আমাদের পূর্বপুরুষও বেশ রসিক ছিলেন, তা না হলে এমন সৃষ্টিকর্ম কি তারা আমাদের জন্য রেখে যেতেন?

Monday, May 16, 2011

পালিয়ে বিয়েবার্ষিকী পালন

আগামী জুনের প্রথম সপ্তাহে নিজেদের ৩৮তম বিয়েবার্ষিকী পালন করার উদ্দেশ্যে ফ্রান্সে পাড়ি জমাবেন অমিতাভ বচ্চন এবং জয়া বচ্চন। কিন্তু সঙ্গে নিচ্ছেন না বচ্চন পরিবারের কাউকেই। জানা গেছে, বন্ধু-বান্ধব আর আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে লুকিয়ে দু'জনে ফ্রান্সে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। কিছুদিন আগে প্যারিসে গিয়েছিলেন বিগ বি। তারপরই রোমান্টিক এ শহরটির প্রেমে পড়ে যান তিনি। ফিরে এসেই জয়াকে কথা দেন, এই গরমে বিয়েবার্ষিকীর আগে কিংবা পরে প্যারিসে ঘুরতে যাবেন তারা। শহরের বাইরেও ঘোরার তালিকা থেকে বাদ যাবে না। এ সময় ছেলে অভিষেক আর পুত্রবধূ ঐশ্বরিয়া ব্যস্ত থাকবেন কাজে। জুনিয়র বচ্চন থাকবেন ছবির শুটিংয়ে রাশিয়ায়। অ্যাশ থাকবেন কান ফিল্ম ফেস্টিভালের অনুষ্ঠানে। আর তাই হাজারো কর্ম ব্যস্ততার মাঝে দু'জন দু'জনকে আরও কাছে পেতে পালাচ্ছেন।

বয়োসন্ধিকালীন সমস্যা

আমরা প্রত্যেক অভিভাবকই উদ্বিগ্ন থাকি কোনোমতে যেন সন্তানের টিনএজ বয়সটা ভালোভাবে পার করা যায়। আসলে উদ্বিগ্ন হওয়ার কি কোনো কারণ আছে, তা নিচের আলোচনা থেকে কিছুটা ধারণা পাওয়া যেতে পারে।

এই সময়ে পরিবর্তন_ হঠাৎ শরীরের গঠনের কারণে, হরমোনের কারণে, আবেগের কারণে, চাওয়া-পাওয়ার কারণে ইত্যাদি।

সাইকোলজিস্টদের মতে, বয়োসন্ধিকালে অনেকেই নিজের মতো করে পৃথিবীকে দেখতে চায় ব্যাখ্যা করতে, ভাবতে চায়, নিজেকে মনে করে অথরিটি, অন্যের সমালোচনা গ্রহণ করতে চায় না, অন্যের ভুল ধরতে চায়, তাদের মধ্যে ভাবনা আসে সবাই যেন তাদের দিকে মনোযোগ দেবে, তারা হলো সেন্টার অব অ্যাটেনশন।

ভেতরে এক ধরনের সামুদ্রিক ঝড়ের মতো উদ্ভব হয়, যাকে Inner turmoil বলে। নিজেকে উপস্থাপন করা, প্রতিযোগিতায় ছেড়ে দেওয়া, অজানাকে জানার আগ্রহ-কৌতূহল জাগে। এই কৌতূহলের কারণে অনেকে নেশায় আসক্ত হতে পারে। দেখি না একটু খেয়ে কেমন লাগে এ রকম কৌতূহল জাগে। Rebellious Bahaviour করা। মোটর কার চালানো, অস্বাভাবিকভাবে যত্রতত্র দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানো। কি করছে, কি পরিণত হতে পারে_ এরকম কোনো হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। অনেক ছেলে-মেয়ে প্রেমে পড়ে যায়, কিন্তু এই Romantic Love বেশিদিন থাকে না। বাবার সঙ্গে কনফ্লিক্ট-এর কারণে হঠাৎ আচার-ব্যবহারের পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। এতে অনেকে রাগ করে স্কুলে যাওয়াই বন্ধ করে দেয়। তারপর একসময় লেখাপড়াই বন্ধ হয়ে যায়। আবার অনেককে দেখা যায়, অশোভনীয় আচরণ করতেও দ্বিধাবোধ করে না। নিজেকে বিভিন্ন পরিবেশ-পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিতে পারে না।

সন্তানদের নিয়ে বাবা-মা চিন্তিত হন যেসব কারণে_

সন্তান বেশ কিছুদিন স্কুলে অনুপস্থিত থাকলে, স্কুল থেকে পালালে, রেজাল্ট খারাপ হলে এবং খারাপ ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে মিশতে শুরু করলে। বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, বাবা-মা সবার কাছ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিলে। ছেলে-মেয়েরা খাবার না খেলে। অথবা বেশি বেশি খাবার খেলে। বারবার দুর্ঘটনায় পড়লে, খারাপ আচরণ করলে। যেমন নিজের ভুলের কারণে বারবার দুর্ঘটনায় পতিত হলে। বিষণ্নতায় ভুগলে। ছেলে-মেয়েরা যখন বলে কিছুই ভালো লাগছে এবং চরম অস্বস্তিতে ভোগে। একদম চুপচাপ হয়ে যায়, কারও সঙ্গে কথাবার্তা তেমন বলে না।

মেসির ঢাকা আসা অনিশ্চিত!

আর্জেন্টিনা ও নাইজেরিয়া ফুটবল দল সেপ্টেম্বরে ঢাকায় আসছে। দুই দলকে ঢাকায় আনতে যে অর্থ ব্যয় হবে তা জোগাড় করে ফেলেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। বেক্সিমকো পুরো ট্যুরের পৃষ্ঠপোষকতা করছে। কিছুদিন আগে বাফুফের সঙ্গে এ কোম্পানির চুক্তি হয়। কিন্তু স্পন্সরের টাকার পরিমাণ সম্পর্কে ফেডারেশন কোনো তথ্য দিতে পারেনি। ধারণা করা হচ্ছে, ৩০ বা ৩৫ কোটি টাকা এক্ষেত্রে ব্যয় হবে। পৃষ্ঠপোষকতা করলেও বেক্সিমকো এখান থেকে কোনো লাভ নেবে না। টিকিট বিক্রি থেকে যে অর্থ উঠে আসবে তা পুরোটা চলে যাবে বাফুফের ফান্ডে। আসলে লাভ না লোকসান এ নিয়ে সাধারণ ফুটবলপ্রেমীদের কোনো মাথাব্যথা নেই। স্বপ্নের আর্জেন্টিনার খেলা স্বচক্ষে দেখবে এটা তাদের বড় পাওয়া।
কিন্তু যে তারকা দেখতে ফুটবলপ্রেমীদের মূল আগ্রহ সেই লিওনেল মেসি ঢাকায় আসবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় দেখা গেছে। বাফুফে থেকে গতকাল বলা হয়েছে, মেসি আসছেন তা শতভাগ নিশ্চিত। কিন্তু ভারতীয় মিডিয়ায় যে খবর প্রকাশ হচ্ছে তাতে মেসি কলকাতাতেই আসবেন কি না তা নিশ্চিত নয়। ঢাকা আসার আগে আর্জেন্টিনা কলকাতায় আসবে, কলকাতায় যে প্রতিষ্ঠান সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের নিয়ে আসছে তাদের মাধ্যমে মেসিদের ঢাকা আনা হচ্ছে। এ ব্যাপারে বাফুফে আর্জেন্টিনা বা নাইজেরিয়ার সঙ্গে সরাসরি আলাপ করেনি। আসলে আলাপ করবে সে পথও নেই। কারণ এ ধরনের বিশ্ববিখ্যাত দলকে আনতে হলে এজেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়। সেই এজেন্টই দলগুলোর সঙ্গে টাকা-পয়সার আলাপের মাধ্যমে ট্যুর নিশ্চিত করে। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন নিজেই বলেছেন চুক্তির প্রধান শর্ত হচ্ছে মেসিকে আনতে হবে। কেননা মেসিকে দেখার জন্যই বাংলাদেশের যত আগ্রহ। বাস্তবে কিন্তু এ দেশের মানুষ আর্জেন্টিনাকে চেনে ও জানে ম্যারাডোনার কারণে। একসময় বিশ্ব ফুটবল বলতে এ দেশের ক্রীড়ামোদীরা শুধু ব্রাজিলকে চিনত। কিন্তু ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপে ম্যারাডোনার জাদুকরী নৈপুণ্য দেখার পর দৃশ্য পুরোপুরি পাল্টে যায়। আর্জেন্টিনার নাম নিতে পুরো বাংলাদেশই যেন পাগল। বাংলাদেশের দর্শকদের কাছে ম্যারাডোনা এখনো তুলনাহীন। তার পরও তার কিছুটা ছায়া মেসির ভেতরে খুঁজে পেয়েছে তারা। এখন সেই স্বপ্নের তারকা মেসি যদি সত্যিই ঢাকায় না আসেন তাহলে আর্জেন্টিনার আগমনকে কেন্দ্র করে ততটা উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যাবে কি? হয়তো যারা বিশাল অর্থ দিয়ে গ্যালারিতে হাজির হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তারাও মুখ ফিরিয়ে নেবেন। শুধু মেসি নন, আরেক তারকা হিগুয়েনও আর্জেন্টিনার সফরসঙ্গী না-ও হতে পারেন। কেননা ২০১০ সালে বিশ্বকাপের পর এ দুই তারকা খুব একটা বিশ্রাম পাননি। বিশেষ করে মেসির দম ফেলার সময় নেই বললেই চলে। স্পেনের লা লিগা শেষ হলে তিনি লম্বা এক বিশ্রাম নিতে চাচ্ছেন। সে কারণেই মেসির কলকাতায় না আসার সম্ভাবনা বেশি। যতই চুক্তিতে লেখা থাকুক না কেন কলকাতায় না এলে তো মেসির ঢাকা আসার প্রশ্নই ওঠে না।
এদিকে কলকাতায় আর্জেন্টিনার ট্যুর নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কিছুদিন আগে কলকাতার এক স্যাটেলাইট চ্যানেলে অলইন্ডিয়া ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের এক কর্মকর্তা বলেছেন, আর্জেন্টিনার ট্যুর সম্পর্কে তারা কিছু জানেন না। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, তাদের অনুমতি ছাড়া আর্জেন্টিনাকে কীভাবে কলকাতা আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা তারা তদন্ত করে দেখবেন। অবশ্য পশ্চিমবঙ্গের এক ফুটবল কর্মকর্তা বলেছেন, এতে নিশ্চয়ই অলইন্ডিয়া ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের অনুমতি রয়েছে। তা না হলে ট্যুর এতদূর কোনোভাবেই এগিয়ে আসত না। যাক, মেসির কলকাতা না আসার গুঞ্জন বা আর্জেন্টিনার ট্যুর নিয়ে ভারতে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে তাতে যেন সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ঢাকা সফর বাতিল না হয়ে যায় তা দেখবার বিষয় রয়েছে। বাফুফের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে তাতে নাকি উল্লেখ আছে, কোনো কারণে ট্যুর বাতিল হলে পুরো অর্থই ফিরিয়ে দেওয়া হবে। অর্থ না হয় ফিরে পাবে কিন্তু মেসিকে সামনে থেকে দেখার তো সুযোগ পাবে না।

অ্যাশ নয় মাধুরী

অমিতাভ ও হেমামালিনী অভিনীত 'সাত্যে পে সাত্যা' ছবিটি নতুন করে তৈরি হতে যাচ্ছে বলিউডে। সত্তর দশকের জনপ্রিয় সেই ছবিটি রিমেক করবেন প্রযোজক আস্থাভিনায়েক। প্রাথমিক পর্যায়ে হেমা চরিত্রে ঐশ্বরিয়াকে নিতে চাইলেও পরবর্তীতে মাধুরী দীক্ষিতকে চুক্তিবদ্ধ করান প্রযোজক। এ প্রসঙ্গে আস্থাভিনায়েক বলেছেন, দর্শকদের কাছে মাধুরীর গ্রহণযোগ্যতা এখনো বিদ্যমান। তিনিই পারবেন হেমার চরিত্রকে পরিপূর্ণভাবে ফুটিয়ে তুলতে।

আবারও মার্ডার করার ইচ্ছা...

শ্রীলঙ্কান বংশোদ্ভূত বলিউড সুন্দরী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ কতটা আবেদনময়ী তা বোঝা গিয়েছিল 'মার্ডার টু' ছবিতে। নিজের সুঠাম দেহের নানা কৌশল দেখিয়ে দর্শককেও মার্ডার করেছিলেন তিনি। সেই স্মৃতি থেকে এখনো মনে মনে সুখ পান জ্যাকুলিন। তাই আবারও দর্শককে মার্ডার করতে চান তিনি। এবার বিবসনা হওয়ার ইচ্ছা তার। ছবিতে খোলামেলা অভিনয়ের আকাক্সক্ষার কথা সম্প্রতি প্রকাশ করেছেন তিনি। বলেছেন, 'এখন পর্যন্ত যে ক'টি বলিউড ছবিতে অভিনয় করেছি, তার মধ্যে 'মার্ডার টু' ছবিতেই সবচেয়ে আবেদনময়ী ভঙ্গিতে দেখা গেছে আমাকে। শরীরকে আকর্ষণীয় অবয়ব দিতে কঠোর পরিশ্রম করেছি আমি। রুপালি পর্দায় আবারও শরীর প্রদর্শনে আমার কোনো আপত্তি নেই। অপেক্ষায় আছি প্রস্তাবের।'

Saturday, May 14, 2011

প্রস্তুত রয়েছেন সোনাক্ষী

বর্তমানে বেশিরভাগ অভিনেত্রীর ক্যারিয়ার প্রভাবিত হয় মায়ের সিদ্ধান্তে। অনেক ক্ষেত্রে তাদের মতামত অগ্রাহ্য করতে পারেন না নামি-দামি প্রযোজকরাও। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম দাবাং চলচ্চিত্র খ্যাত সোনাক্ষীর মা পুনম সিনহা। তিনি বলেছেন, ক্যারিয়ার গঠনে সন্তানের সিদ্ধান্তে নাক গলানো উচিত নয়। বলিউডের অভিনয় যুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্তুত রয়েছে সোনাক্ষী। নিজের যোগ্যতায় সে এগিয়ে যাবে।

মারাত্মক ঝুঁকিতে মেঘনা ও মেঘনা-গোমতী সেতু

মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে মেঘনা ও মেঘনা-গোমতী সেতু দুটি। মেঘনা সেতুর ৫ ও ১০নং পিলারের (পেয়ার) চারপাশ থেকে মাটি সরে গিয়ে নদীতে গভীর গর্তের (স্কার) সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া মেঘনা ও মেঘনা-গোমতী সেতুর ওপরের কংক্রিটের পাটাতনকে (ডেক বা উপরিভাগ) সংযুক্তির জন্য পিলারগুলোর (পেয়ার) ওপরে বসানো রাবারের বিয়ারিংও অতিরিক্ত যানবাহন চলাচলের কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুটি সেতুর উপরিভাগই (ডেক) অনেক ক্ষেত্রে ক্ষয় হয়ে গেছে। নদী শাসন ছাড়াই এ দুটি সেতু নির্মিত হওয়ায় বন্যার কারণে নদীর তীর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সড়কপথে রাজধানীর সঙ্গে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সরাসরি সংযোগে মেঘনা এবং মেঘনা-গোমতীর কোনো বিকল্প নেই। ফলে গুরুত্বপূর্ণ এ সেতু দুটির মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা ঢাকা-চট্টগ্রামের সরাসরি যোগাযোগকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। এটা যে কতটা গণদুর্ভোগের কারণ হতে পারে তা ২০০৮ সালের মে-জুন মাসে যাত্রী সাধারণ হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিল। সে সময় দাউদকান্দি প্রান্তে মেঘনা-গোমতী সেতুতে যান চলাচল বন্ধ রেখে এবং কখনো একপাশ দিয়ে যান চলাচলের সুযোগ দিয়ে সেতুর এক্সপানশন জয়েন্ট মেরামত-প্রতিস্থাপন করা হয়। কিন্তু এবার দুটি সেতুরই বড় ধরনের মেরামত কাজ করতে হবে। তবে অর্থাভাবে এ কাজ এক বছরেরও বেশি সময় বিলম্বিত হয়েছে। এখন জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) কাছে এ জন্য পৌনে ২শ কোটি টাকা চাওয়া হবে। এ জন্য একটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) তৈরি করা হলেও তা অনুমোদিত হয়নি। ১৯৯১ সালে ৯০৩ মিটার মেঘনা সেতু এবং ১৯৯৫ সালে ১৪১০ মিটার দীর্ঘ মেঘনা-গোমতী সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। টপোগ্রাফিক সার্ভে ও কন্ডিশন সার্ভে পরিচালনার মাধ্যমে সেতুর অবস্থা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সেতু দুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ঝুঁকির ব্যাপকতা নির্ণয় ও একে যান চলাচলের জন্য নিরাপদ করতে গত বছরের এপ্রিলে একটি পরামর্শক সংস্থা নিয়োগ করা হয়। পরামর্শক সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেতু দুটিতে অতিরিক্ত যান চলাচলের কারণে ব্রিজ ডেকের হিন্স বিয়ারিং ও এক্সপানশন জয়েন্ট সিস্টেম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিপূর্বে বন্যার কারণে নদীর তীর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেতুর ৫ ও ১০নং পিলারের চারদিকে গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া সেতু দুটির উপরিভাগই অনেক ক্ষেত্রে ক্ষয় হয়েছে। পরামর্শক সংস্থা সেতু দুটিকে ঝুঁকিমুক্ত করার জন্য কয়েকটি কার্যক্রম চিহ্নিত করেছে। ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮১ কোটি ৮২ লাখ টাকা। এ জন্য মেঘনা ও মেঘনা-গোমতী সেতুর পুনর্বাসন নামে একটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) প্রণয়ন করা হয়েছে। গত ৩ মে সড়ক ও রেলপথ বিভাগের সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় প্রকল্প প্রস্তাব থেকে কিছু অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বাদ দিয়ে ১৭০ কোটি ৭০ লাখ ৬০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

Friday, May 6, 2011

হারিয়ে যাচ্ছে দোয়েল

আগের মতো এখন আর দেখা মিলে না দোয়েল পাখির। ঢাকা চিড়িয়াখানার সংগ্রহে এ পাখিটি আছে_পাওয়া যায়নি এমন তথ্যও। তাছাড়া চিড়িয়াখানার গাছগাছালিতে টানা কয়েক ঘণ্টা খোঁজ করেও দোয়েল নজরে পড়েনি। প্রকৃতির রাজ্য থেকে দোয়েল হারিয়ে যায় কি-না_ এমন আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
ধীরে ধীরে দুর্লভ পাখির তালিকায় স্থান পেতে যাচ্ছে দোয়েল। আগামীতে বইয়ের পাতায় অথবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বরে গিয়ে ইট-পাথরের দোয়েল পাখি দেখতে হবে। যে দোয়েল উড়বে না, পাখা ও লেজ নাড়বে না। চিড়িয়াখানার কিউরেটর এবিএম শহিদুল্লাহর দাবি একটি দোয়েল আছে তাদের সংগ্রহে। সেখানে বেশির ভাগ দোয়েল পাখির খাঁচায় শালিক দিয়ে পূর্ণ করে রাখা হয়েছে। অথচ কয়েক বছর আগেও চিড়িয়াখানায় এবং দেশের আনাচে-কানাচে, বন-জঙ্গলে দোয়েল পাখি দেখা যেত। সম্প্রতি কয়েকজন পাখিবিশারদ জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান বা বোটানিক্যাল গার্ডেনে অনেক খোঁজাখুঁজির পর এক জোড়া দোয়েলের দেখা পান। এ ঘটনায় হৈচৈ পড়ে যায়। তারা বলেছেন, পরিবেশের বৈরী আচরণ ও বনাঞ্চল নষ্ট হওয়ায় পাখিদের বিচরণ ক্ষেত্র নষ্ট হয়ে গেছে। পাশাপাশি একশ্রেণীর পাখি শিকারীর কারণে তাদের আবাসস্থল নষ্ট হচ্ছে। এ কারণে পাখিরা নিরাপদ স্থান হিসেবে পাহাড়ের ঢালে কিংবা ঘন জঙ্গলে আবাসস্থল গড়ে তুলছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. খোরশেদ আলম অবাক বিস্ময়ে জানালেন, জাতীয় পাখি দোয়েল বিলুপ্তির পথে_ এটি ভাবা যায় না। দোয়েলের বংশ বৃদ্ধি করতে হবে। প্রজনন ক্ষেত্র সৃষ্টি করতে হবে। সব কিছু সরকারের উদ্যোগেই করতে হবে। নতুবা বিলুপ্তির তালিকায় স্থান করে নেবে দোয়েল। অনেকে দোয়েলকে ভিআইপি পাখি বলেই চিনে, জানে। আকারে ছয় ইঞ্চি এই পাখিটির ওজন ১৮ থেকে ২০ গ্রাম হয়ে থাকে। দোয়েল বাংলাদেশের স্থায়ী বাসিন্দা। আদি নিবাস প্রতিবেশী রাষ্ট্র নেপালের হিমালয়ের পাদদেশ। পুরুষ পাখির পিঠ হালকা কালো ও সাদা রঙে আবৃত। পালকের রং গাড় কালো। পাখার মাঝে সাদা রেখা আছে। আর চোখের ওপর স্পষ্ট সাদা ভ্রূ রেখা। স্ত্রী পাখির শরীর পুরোটাই সাদামাঠা কালো পালকে মোড়া। হিমালয় পর্বতের দক্ষিণে ভারত ও বাংলাদেশ থেকে চীন পর্যন্ত দোয়েলের বিচরণ। গ্রীষ্মে পাহাড়ের ঢালে বা ঘন বন জঙ্গলে এ পাখি বাসা বাঁধে। এরা এক সঙ্গে তিন থেকে পাঁচটি ডিম পারে। তারা সমতল ভূমিতে এবং ঝোঁপঝাড়ের আড়ালে মাটিতে হেঁটে পোকামাকড় শিকার করে। বাঁশঝাড় ও এর আশপাশে এদের সন্তর্পণে হেঁটে বেড়াতে দেখা যায়। তবে মানুষের সমাগম হলেই অতি সতর্ক দোয়েল ঝোঁপের আড়ালে গা ঢাকা দেয়।