Friday, April 29, 2011

মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায় উইলিয়াম-কেট

প্রেম থেকে পরিণয় : গোটা লন্ডনই যেন বিয়ে বাড়ি
বিয়ের আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি আছে। বর প্রিন্স উইলিয়াম ও কনে কেট মিডলটনের সময়টা সত্যি কেমন কাটছে তা শুধু তারাই বলতে পারবেন। তবে এ নিয়ে বিশ্বে হইচইয়ের কমতি নেই। বিশেষ করে ব্রিটেন যেন ভাসছে আনন্দের জোয়ারে। প্রিন্স উইলিয়ামের মা প্রয়াত প্রিন্সেস ডায়ানা হয়তো দূর থেকে ছেলের এই আনন্দের মুহূর্তগুলো দেখে তার সংসারজীবন নিয়ে আশীর্বাদই করছেন।
বিশ্বের সেরা বিয়েগুলোর মধ্যে অন্যতম উইলিয়াম-কেটের বিয়ে নিয়ে মুখরোচক গল্পের অভাব নেই। অনেকে বলছেন প্রিন্স চার্লস ও প্রিন্সেস ডায়ানার বিয়ের চেয়েও মহা ধুমধামে হতে যাচ্ছে উইলিয়াম-কেটের বিয়ে। কিন্তু যে যা-ই বলুন, ব্রিটিশরা এ কথা কখনোই মানতে নারাজ, চার্লস-ডায়ানার বিয়েকে ছাড়িয়ে যাবে উইলিয়ামের বিয়ে। কারণ ডায়ানা যে আসন করে নিয়েছিলেন মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায়। দীর্ঘ এই সময়ে পৃথিবী অনেক এগিয়ে গেছে। এগিয়েছে প্রযুক্তি। মানুষ বেড়েছে। তাই মহা ধুমধামে হতেই পারে উইলিয়াম-কেটের বিয়ে। তাই বলে চার্লস-ডায়ানার বিয়েকে কখনোই ছাড়াতে পারবে না এ বিয়ে। কারণ পৃথিবী যে এখনো ডায়ানার শোকে শোকাচ্ছন্ন। প্রিন্সেসের কথা মনে হলেই এক আবেগ আচ্ছন্ন করে তোলে ব্রিটিশদের।
তবে এ কথা সত্য, উইলিয়াম-কেটের বিয়ের অপেক্ষায় বিশ্ব উন্মুখ। ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে অনুষ্ঠিত হবে, ঠিক যেখানে অনুষ্ঠিত হয়েছিল প্রিন্সেস ডায়ানার শেষকৃত্য। বিশ্বের ৩০০ কোটি মানুষ টিভির পর্দায় সরাসরি দেখতে পাবে এ বিয়ের অনুষ্ঠান।
এরই মধ্যে বিয়ের চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার রাতে উইলিয়াম ও মিডলটন কেট উভয়ের পরিবারের সদস্যরা হবু দম্পতিকে নিয়ে অংশ নিয়েছেন বিয়ের মহড়ায়। উপস্থিত ছিলেন উইলিয়ামের একমাত্র ভাই প্রিন্স হ্যারি। গাঁটছড়া বাঁধার আগে সর্বশেষ স্বাধীন মুহূর্তগুলো উপভোগ করে নিচ্ছেন বর-কনে। এর অংশ হিসেবে উইলিয়াম গত রাতটা কাটিয়েছেন বাবা প্রিন্স চার্লস ও ভাই হ্যারির সঙ্গে রাজপ্রাসাদ ক্ল্যারেন্স হাউসে। এ বিয়ে নিয়ে খুশি দাদি রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও তার স্বামী প্রিন্স ফিলিপও।
কেট মিডলটনের রাত কেটেছে পাঁচ তারকা গোরিং হোটেলে। এখানে তার সঙ্গে ছিলেন বাবা মাইকেল, মা ক্যারোল, বোন পিপা ও ভাই জেমস। এরই মধ্যে হোটেলে আনা হয়েছে কনের বিয়ের পোশাক। ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে হোটেল করিডর।
কনে কেটের বয়স ২৯ বছর, যেখানে বর উইলিয়ামের ২৮। বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবেই দেখছে উভয় পরিবার। আজ বাবার হাত ধরে কেট আসবেন উইলিয়ামের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়তে। বিয়ে পড়াবেন ক্যান্টারবেরির আর্চবিশপ ড. রোয়ান উইলিয়ামস।
রাজদম্পতির বিয়ে অনুষ্ঠান এক ঝলক দেখতে শত শত পর্যটক জড়ো হচ্ছেন ব্রিটেনে। এরই মধ্যে শুধু লন্ডনেই এসেছেন প্রায় ছয় লাখ লোক।
এদিকে বিয়ের দিনটি অ্যাবে থাকবে তাজা ফুলের এক রাজ্য। এ জন্য ব্যস্ত সেখানকার মালীরা। বিয়েতে রাজকীয় গাড়িবহরে থাকছে ঘোড়ার গাড়িও।
বিয়ের দিনকে সবার কাছে উপভোগ্য করে তুলতে ঘোষণা করা হয়েছে সরকারি ছুটি। সূত্র : এএফপি, রয়টার্স, বিবিসি।

কারিশমার দ্বিতীয় ইনিংস

দীর্ঘ আট বছর বিরতির পর আবারও বলিউডে পা রাখতে যাচ্ছেন কারিশমা কাপুর। বিয়ের পর ঘর-সংসার নিয়ে পুরোপুরি ব্যস্ত ছিলেন তিনি। কিন্তু অভিনয় জগতে তার ফিরে আসা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে তিনি নিজেই এ বিষয়ে মুখ খুললেন। কারিশমা বলেছেন, ভক্তদের টানে ফিরে এলাম। নতুন করে নিজেকে প্রস্তুত করছি। ইতোমধ্যে কয়েকটি ছবির প্রস্তাবও পেয়েছি। অভিনয়ের দ্বিতীয় ইনিংসে দর্শকরা তাকে কীভাবে গ্রহণ করবেন সেটাই এখন দেখার অপেক্ষায়।

Thursday, April 28, 2011

অস্বীকার করলেন ইয়ানা গুপ্তা

ছয় মাসের বন্ধুত্বের অবসান ঘটালেন বলিউডের অন্যতম আবেদনময়ী আইটেম গার্ল ইয়ানা গুপ্তা। সম্প্রতি একটি রিয়ালেটি শোতে নৃত্য পরিচালক সালমানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হন ভারতীয় বংশোদ্ভূত চেক প্রজাতন্ত্রের এই মডেল। শুটিংয়ের ফাঁকে চুটিয়ে প্রেম চলে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা গেছে তাদের। কিন্তু রিয়ালেটি শো শেষ হওয়ার পর ভেস্তে গেছে সে সম্পর্ক। খবরের সত্যতাও স্বীকার করেছেন ইয়ানা।

ক্যাটরিনার পথে বোন ইসাবেল

ক্যাটরিনা কাইফের পথে পা বাড়াচ্ছেন ছোট বোন ইসাবেল কাইফ। খুব শীঘ্রই তাকে বলিউডে দেখা যেতে পারে। সম্প্রতি একটি ছবি প্রযোজনায় হাত দিয়েছেন ক্যাট। ইতোমধ্যে এর প্রাথমিক প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছে। ছবিটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে ইসাবেলকে নেওয়ার চিন্তা করছেন তিনি। অনেকের মতে, ছোট বোনকে ব্রেক দিতেই ক্যাটের এই ছবি। ইসাবেলকে দর্শকরা কিভাবে নেবেন সেটাই দেখার অপেক্ষা।

Wednesday, April 27, 2011

ক্যাটের নতুন চমক

'শিলা'র পর এবার নতুন আইটেম ধামাকা নিয়ে আসছেন ক্যাটরিনা কাইফ। 'মেরে ব্রাদার কি দুলহান' ছবির একটি আইটেম গানে আবার নিজের নাচের ঝলক দেখাবেন ক্যাট। 'শিলা কি জাওয়ানি'-এর মতো নয়, এবারের আইটেম গানটি তৈরি হচ্ছে 'তেজাব' ছবিতে করা মাধুরী দীক্ষিতের 'এক দো তিন' গানটির মতো। দেখা যাবে, আশপাশে হৈচৈ করতে থাকা মাতালদের হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে নাচছেন ক্যাট। যশরাজ স্টুডিওতে চলছে চিত্রায়ণের কাজ। সোহেল খানের সংগীত পরিচালনায় এই গানের কোরিওগ্রাফি করেছেন বস্কো সিজার। ক্যাটরিনা বললেন, 'অন্য রকম একটা আইটেম গানে নাচছি। পথের পাশের মদের দোকানের মতো সেটে কাজ চলছে। আশা করছি, গানটি শিলার চেয়েও চমকদার হবে।

তিন চাকার সুপারসনিক

আগামী দশকের গাড়ি দেখতে কেমন হবে সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে একটি নকশা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। তিন চাকার একটি বৈদ্যুতিক গাড়ির নকশা তৈরি করে এক হাজার প্রতিযোগীর মধ্যে প্রথম পুরস্কারটি বগলদাবা করেছেন সার্বিয়ার এক নকশাবিদ। আগামী দশকের গাড়ির সেরা সেই নকশাবিদের নাম মার্কো লুকোভিচ। তিনি টেনথ মিশিগান চ্যালেঞ্জ ডিজাইন ২০১১ প্রতিযোগিতায় সেরা ঘোষিত হয়েছেন। লুকোভিচ তার নকশা করা গাড়িটির নাম দিয়েছেন 'সুপারসনিক'। তবে, নাম সুপারসনিক হলেও তিন চাকার এই বৈদ্যুতিক গাড়িটি শব্দের গতি অতিক্রম করতে পারবে না। গাড়িটির নকশার সঙ্গে সুপারসনিক প্লেনের মিল রয়েছে। গাড়িটির পেছনের দুটি চাকার সঙ্গেই আলাদা আলাদা বৈদ্যুতিক মোটর রয়েছে, রকেটের আদলে তৈরি এই গাড়িটিতে সামনে চালক ছাড়াও পেছনে একজন আরোহীর বসার ব্যবস্থা থাকছে। আগামীতে গাড়িটিতে ক্ষুদ্রাকৃতির লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ব্যবহারের ব্যবস্থা থাকবে যার মাধ্যমে একে সেলফোনের মতোই সহজে চার্জ দেওয়া যাবে। গাড়ির সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটির অটোমেটিক পাইলট মোড, যার মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজ থেকেই চলতে পারে এটি। ২০২১ সালেই হয়তো লুকোভিচের নকশা করা এই তিন চাকার 'সুপারসনিক'-এর দেখা মিলতে পারে।

হাতঘড়িতেও ফেসবুক!

এবার হাতঘড়িতেও ব্যবহার করা যাবে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুক। ফলে হাতঘড়ি এখন আর কেবল সময় দেখানোর কাজেই সীমাবদ্ধ থাকছে না। এখন ফেসবুকের আপডেট জানা, এমনকি চ্যাটিংও করা যাবে হাতের ঘড়িটি ব্যবহার করেই। যে কোনো জায়গা থেকেই ফেসবুক প্রোফাইলের আফডেট খোঁজ-খবর নেওয়া যাবে। আর এমনই একটি ঘড়ি তৈরি করেছে কানাডার একটি কোম্পানি। ফেসবুক আপডেট করা যায় এমন হাতঘড়ি তৈরি করেছে কানাডিয়ান কোম্পানি ইনপ্লাস। এই হাতঘড়িটিতে স্মার্টফোন বা কম্পিউটার সংযোগ দিয়ে প্রোগ্রামের আওতায় আনা যায় এবং এর ফলে ইনস্ট্যান্ট নোটিফিকেশন এবং অ্যালার্ট দেখা যায়। ইনপ্লাসের পক্ষ থেকে এই ঘড়িটিকে বলা হচ্ছে 'হ্যাকারের নিখুঁত যন্ত্র' যার পুরোটাই প্রোগ্রাম করা সম্ভব। ডেভেলপাররা ঘড়িটির ১.৩ ইঞ্চি ওএলইডি ডিসপ্লে, ভাইব্রেটিং মোটর, বাটন, টাইমার, অ্যালার্টসহ প্রতিটি যন্ত্রাংশ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। এ ঘড়িটিতে থাকছে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোডের সুবিধা। ঘড়িটি খুব শীঘ্রই মানুষের হাতে হাতে পেঁৗছানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছে কোম্পানিটি

ইয়াহু বাজ বন্ধ

সার্চ জায়ান্ট ইয়াহুর অন্যতম সার্ভিস ইয়াহু বাজ ইতোমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে। ইয়াহু বাজ সার্ভিসটি গত ২১ এপ্রিলের পর আর ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এ সার্ভিসটি বন্ধ করে

এবার ভারতীয় ব্রেইল মোবাইল

দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশ্বব্যাপী কাজ করে যাচ্ছে বিভিন্ন সংস্থা। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রযুক্তি। এমনকি নিত্যনতুন এসব প্রযুক্তিকে তাদের দোরগোড়ায় নিয়ে আসছে বিভিন্ন কোম্পানি। বিজ্ঞানের কল্যাণে এসব প্রতিবন্ধীর জন্য ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে ব্রেইল বুক, ব্রেইল কম্পিউটার এমনকি ব্রেইল মোবাইল। এবার পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভারতে চালু হচ্ছে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের ব্যবহার উপযোগী বিশেষ ধরনের মোবাইল ফোন। সম্প্রতি দেশটির ইনটেক্স টেকনোলজিস নামক একটি প্রতিষ্ঠান ইনটেক্স ভিশন নামের ব্রেইল মোবাইল ফোন তৈরি করেছে। ইনটেক্স-এর তৈরি করা এই বিশেষ মোবাইল ফোনে রয়েছে ডুয়াল সিম ব্যবহারের সুবিধা এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের ব্যবহার সহায়ক বড় আকারের ব্রেইল কি প্যাড। এ ছাড়াও রয়েছে টকিং কি প্যাড অপশন যা টাইপ করা মোবাইল নম্বরটি পড়ে শোনাবে। মোবাইলটিতে বিনোদন উপযোগী ফিচার হিসেবে এফএম রেডিও, অডিও প্লেয়ার, ২ গিগাবাইটেরও বেশি অতিরিক্ত মেমোরি কার্ড ব্যবহারের সুযোগ, টর্চ, মোবাইল ট্র্যাকার, কি প্যাড লক, ৫০০ নম্বর সংরক্ষণ এবং ২৫০ এসএমএস সংরক্ষণের সুবিধাও রয়েছে। ইনটেক্স ভিশন মোবাইল ফোনে রয়েছে এসওএস ফিচার। যার মাধ্যমে চারটি ইমার্জেন্সি নম্বর সংরক্ষণ করার সুবিধা আছে। এসওএস বাটনটিতে চাপ দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রথম জরুরি নম্বরটিতে কল চলে যাবে। ভারতে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের বিষয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য ব্লাইন্ড (ন্যাব) মোবাইল ফোনটি চালু করেছে। উল্লেখ্য, বিশ্বে ভারতেই সবচেয়ে বেশিসংখ্যক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী রয়েছে।

নতুন জুটি প্রকাশ-ইশানা

তন্ময় তানসেনের চলচ্চিত্র 'তোমায় দিলাম পৃথিবী'র মাধ্যমে জুটি হচ্ছেন প্রকাশ ও ইশানা। প্রকাশ বাংলাদেশী ছেলে। কিন্তু তার প্রথম ছবি কলকাতার। অভিনয় করেছিলেন রাইমা সেনের বিপরীতে। তাই বলা যায় এবারই বাংলাদেশে অভিনয় করতে যাচ্ছেন তিনি। ছবির গল্পে দেখা যাবে, একটি অবৈধ পন্থায় মোবাইলের কারণে প্রকাশের জীবনে একটি বড় পরিবর্তন চলে আসে। পরে অবশ্য এই পরিবর্তনের ধারায় প্রকাশ তার আগের জীবনেই ফিরে যায়। চলচ্চিত্র প্রসঙ্গে প্রকাশ বলেন, 'দেশে একটি ভালো ছবিতে কাজ করার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। অপেক্ষা শেষ হলো'।