Thursday, April 28, 2011

ক্যাটরিনার পথে বোন ইসাবেল

ক্যাটরিনা কাইফের পথে পা বাড়াচ্ছেন ছোট বোন ইসাবেল কাইফ। খুব শীঘ্রই তাকে বলিউডে দেখা যেতে পারে। সম্প্রতি একটি ছবি প্রযোজনায় হাত দিয়েছেন ক্যাট। ইতোমধ্যে এর প্রাথমিক প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছে। ছবিটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে ইসাবেলকে নেওয়ার চিন্তা করছেন তিনি। অনেকের মতে, ছোট বোনকে ব্রেক দিতেই ক্যাটের এই ছবি। ইসাবেলকে দর্শকরা কিভাবে নেবেন সেটাই দেখার অপেক্ষা।

Wednesday, April 27, 2011

ক্যাটের নতুন চমক

'শিলা'র পর এবার নতুন আইটেম ধামাকা নিয়ে আসছেন ক্যাটরিনা কাইফ। 'মেরে ব্রাদার কি দুলহান' ছবির একটি আইটেম গানে আবার নিজের নাচের ঝলক দেখাবেন ক্যাট। 'শিলা কি জাওয়ানি'-এর মতো নয়, এবারের আইটেম গানটি তৈরি হচ্ছে 'তেজাব' ছবিতে করা মাধুরী দীক্ষিতের 'এক দো তিন' গানটির মতো। দেখা যাবে, আশপাশে হৈচৈ করতে থাকা মাতালদের হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে নাচছেন ক্যাট। যশরাজ স্টুডিওতে চলছে চিত্রায়ণের কাজ। সোহেল খানের সংগীত পরিচালনায় এই গানের কোরিওগ্রাফি করেছেন বস্কো সিজার। ক্যাটরিনা বললেন, 'অন্য রকম একটা আইটেম গানে নাচছি। পথের পাশের মদের দোকানের মতো সেটে কাজ চলছে। আশা করছি, গানটি শিলার চেয়েও চমকদার হবে।

তিন চাকার সুপারসনিক

আগামী দশকের গাড়ি দেখতে কেমন হবে সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে একটি নকশা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। তিন চাকার একটি বৈদ্যুতিক গাড়ির নকশা তৈরি করে এক হাজার প্রতিযোগীর মধ্যে প্রথম পুরস্কারটি বগলদাবা করেছেন সার্বিয়ার এক নকশাবিদ। আগামী দশকের গাড়ির সেরা সেই নকশাবিদের নাম মার্কো লুকোভিচ। তিনি টেনথ মিশিগান চ্যালেঞ্জ ডিজাইন ২০১১ প্রতিযোগিতায় সেরা ঘোষিত হয়েছেন। লুকোভিচ তার নকশা করা গাড়িটির নাম দিয়েছেন 'সুপারসনিক'। তবে, নাম সুপারসনিক হলেও তিন চাকার এই বৈদ্যুতিক গাড়িটি শব্দের গতি অতিক্রম করতে পারবে না। গাড়িটির নকশার সঙ্গে সুপারসনিক প্লেনের মিল রয়েছে। গাড়িটির পেছনের দুটি চাকার সঙ্গেই আলাদা আলাদা বৈদ্যুতিক মোটর রয়েছে, রকেটের আদলে তৈরি এই গাড়িটিতে সামনে চালক ছাড়াও পেছনে একজন আরোহীর বসার ব্যবস্থা থাকছে। আগামীতে গাড়িটিতে ক্ষুদ্রাকৃতির লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ব্যবহারের ব্যবস্থা থাকবে যার মাধ্যমে একে সেলফোনের মতোই সহজে চার্জ দেওয়া যাবে। গাড়ির সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটির অটোমেটিক পাইলট মোড, যার মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজ থেকেই চলতে পারে এটি। ২০২১ সালেই হয়তো লুকোভিচের নকশা করা এই তিন চাকার 'সুপারসনিক'-এর দেখা মিলতে পারে।

হাতঘড়িতেও ফেসবুক!

এবার হাতঘড়িতেও ব্যবহার করা যাবে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুক। ফলে হাতঘড়ি এখন আর কেবল সময় দেখানোর কাজেই সীমাবদ্ধ থাকছে না। এখন ফেসবুকের আপডেট জানা, এমনকি চ্যাটিংও করা যাবে হাতের ঘড়িটি ব্যবহার করেই। যে কোনো জায়গা থেকেই ফেসবুক প্রোফাইলের আফডেট খোঁজ-খবর নেওয়া যাবে। আর এমনই একটি ঘড়ি তৈরি করেছে কানাডার একটি কোম্পানি। ফেসবুক আপডেট করা যায় এমন হাতঘড়ি তৈরি করেছে কানাডিয়ান কোম্পানি ইনপ্লাস। এই হাতঘড়িটিতে স্মার্টফোন বা কম্পিউটার সংযোগ দিয়ে প্রোগ্রামের আওতায় আনা যায় এবং এর ফলে ইনস্ট্যান্ট নোটিফিকেশন এবং অ্যালার্ট দেখা যায়। ইনপ্লাসের পক্ষ থেকে এই ঘড়িটিকে বলা হচ্ছে 'হ্যাকারের নিখুঁত যন্ত্র' যার পুরোটাই প্রোগ্রাম করা সম্ভব। ডেভেলপাররা ঘড়িটির ১.৩ ইঞ্চি ওএলইডি ডিসপ্লে, ভাইব্রেটিং মোটর, বাটন, টাইমার, অ্যালার্টসহ প্রতিটি যন্ত্রাংশ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। এ ঘড়িটিতে থাকছে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোডের সুবিধা। ঘড়িটি খুব শীঘ্রই মানুষের হাতে হাতে পেঁৗছানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছে কোম্পানিটি

ইয়াহু বাজ বন্ধ

সার্চ জায়ান্ট ইয়াহুর অন্যতম সার্ভিস ইয়াহু বাজ ইতোমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে। ইয়াহু বাজ সার্ভিসটি গত ২১ এপ্রিলের পর আর ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এ সার্ভিসটি বন্ধ করে

এবার ভারতীয় ব্রেইল মোবাইল

দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশ্বব্যাপী কাজ করে যাচ্ছে বিভিন্ন সংস্থা। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রযুক্তি। এমনকি নিত্যনতুন এসব প্রযুক্তিকে তাদের দোরগোড়ায় নিয়ে আসছে বিভিন্ন কোম্পানি। বিজ্ঞানের কল্যাণে এসব প্রতিবন্ধীর জন্য ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে ব্রেইল বুক, ব্রেইল কম্পিউটার এমনকি ব্রেইল মোবাইল। এবার পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভারতে চালু হচ্ছে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের ব্যবহার উপযোগী বিশেষ ধরনের মোবাইল ফোন। সম্প্রতি দেশটির ইনটেক্স টেকনোলজিস নামক একটি প্রতিষ্ঠান ইনটেক্স ভিশন নামের ব্রেইল মোবাইল ফোন তৈরি করেছে। ইনটেক্স-এর তৈরি করা এই বিশেষ মোবাইল ফোনে রয়েছে ডুয়াল সিম ব্যবহারের সুবিধা এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের ব্যবহার সহায়ক বড় আকারের ব্রেইল কি প্যাড। এ ছাড়াও রয়েছে টকিং কি প্যাড অপশন যা টাইপ করা মোবাইল নম্বরটি পড়ে শোনাবে। মোবাইলটিতে বিনোদন উপযোগী ফিচার হিসেবে এফএম রেডিও, অডিও প্লেয়ার, ২ গিগাবাইটেরও বেশি অতিরিক্ত মেমোরি কার্ড ব্যবহারের সুযোগ, টর্চ, মোবাইল ট্র্যাকার, কি প্যাড লক, ৫০০ নম্বর সংরক্ষণ এবং ২৫০ এসএমএস সংরক্ষণের সুবিধাও রয়েছে। ইনটেক্স ভিশন মোবাইল ফোনে রয়েছে এসওএস ফিচার। যার মাধ্যমে চারটি ইমার্জেন্সি নম্বর সংরক্ষণ করার সুবিধা আছে। এসওএস বাটনটিতে চাপ দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রথম জরুরি নম্বরটিতে কল চলে যাবে। ভারতে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের বিষয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য ব্লাইন্ড (ন্যাব) মোবাইল ফোনটি চালু করেছে। উল্লেখ্য, বিশ্বে ভারতেই সবচেয়ে বেশিসংখ্যক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী রয়েছে।

নতুন জুটি প্রকাশ-ইশানা

তন্ময় তানসেনের চলচ্চিত্র 'তোমায় দিলাম পৃথিবী'র মাধ্যমে জুটি হচ্ছেন প্রকাশ ও ইশানা। প্রকাশ বাংলাদেশী ছেলে। কিন্তু তার প্রথম ছবি কলকাতার। অভিনয় করেছিলেন রাইমা সেনের বিপরীতে। তাই বলা যায় এবারই বাংলাদেশে অভিনয় করতে যাচ্ছেন তিনি। ছবির গল্পে দেখা যাবে, একটি অবৈধ পন্থায় মোবাইলের কারণে প্রকাশের জীবনে একটি বড় পরিবর্তন চলে আসে। পরে অবশ্য এই পরিবর্তনের ধারায় প্রকাশ তার আগের জীবনেই ফিরে যায়। চলচ্চিত্র প্রসঙ্গে প্রকাশ বলেন, 'দেশে একটি ভালো ছবিতে কাজ করার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। অপেক্ষা শেষ হলো'।

গেরিলা : বুকে হু হু কাঁপন ধরায়

বাংলাদেশি হিসেবে আমাদের নির্দিষ্ট কিছু আবেগ আছে। তবে সবচেয়ে বড় আবেগের বিষয় মুক্তিযুদ্ধ_ আমাদের মুক্তির যুদ্ধ। অনেকে বলেন, আমাদের দেশপ্রেম কমে যাচ্ছে। কিন্তু কারো সামনে মুক্তিযুদ্ধ সঠিকভাবে উপস্থাপন করা হলে তার বুক হু হু করে কেঁপে উঠবেই। অজান্তেই চোখের কোণ
দিয়ে এক ফোঁটা হলেও জল গড়িয়ে পড়বে। 'দেশপ্রেম' শব্দটি তখন সার্থকতা নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। 'গেরিলা' যারা দেখেছেন এ
বিশ্বাস তাদের।
দেশের বেশ কয়েকটি হলে এখন চলছে মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত চলচ্চিত্র 'গেরিলা'। মুক্তিযুদ্ধের কিছু ভয়াবহ দৃশ্য এখানে দেখানো হয়েছে। যা দেখে নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়েছে নতুন করে। তারা যেন স্বচক্ষে দেখেছেন যুদ্ধের সময়কার পাক হানাদের বর্বরতা। এই প্রতিবেদকের মতো যারা বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান তারা তাদের প্রিয় পিতার বর্ণনায় নিশ্চয় শুনেছেন হানাদারদের নৃসংশতার কথা। কিন্তু ওই বর্ণনা কখনো সখনো এক কান দিয়ে ঢুকে অন্য কান দিয়ে বেরিয়ে গেছে। হৃদয় কিছুটা স্পর্শ করলেও কাঁপন ধরেনি। কিন্তু 'গেরিলা' দেখে বারবার কেঁপে উঠছে দেহ; মনও। অজান্তেই দর্শক বলে উঠছে, উফ, কী ভয়ঙ্কর... কী নৃসংশ... কী নির্মম... কতটা পাশবিক... কতটা অমানবিক... আহ্ এভাবেই আমাদের দেশের মানুষ নির্যাতিত হয়েছিল একাত্তরে। কোনও কোনও দর্শকের দু'হাত মুঠো বন্দী হয়ে যাচ্ছিল। যেন এখনই ঝাঁপিয়ে পড়বে পর্দায়_ মুক্তিযুদ্ধে। 'গেরিলা' দেখে তারা বুঝেছে_ নিজেদের প্রিয় পিতা, অগ্রজ এবং স্বজনরা কেন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অতটা আবেগী হয়ে মানসপটের গল্প আওড়ান বারবার। মুক্তিযুদ্ধের ছবি এদেশের মানুষ আগেও দেখেছে। সেখানে মুক্তিযুদ্ধ অতটা স্পষ্ট হয়নি। তাই হয়তো অনেকেই হা-ই তুলেছেন চোখ কচলাতে-কচলাতে। কিন্তু 'গেরিলা'র ক্ষেত্রে উল্টো স্রোত বইল। চোখের পলক কি পড়েছিল কারো? উত্তর জানা নেই।
'গেরিলা' চলচ্চিত্রের রয়েছে অসাধারণ এক শক্তি। পর্দায় যখন মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি আর্মির বুকের রক্ত ঝরাত কিংবা উড়িয়ে দিত তাদের আস্তানা; দর্শকও তখন চিৎকার করে উঠেছে। 'আমরা পেরেছি, আমরাই জয়ী'_ তাদের চিৎকারের অন্তর্নিহিত অর্থ নিশ্চয় এটাই। আর এ কারণেই ছবির শেষে অনেক দর্শক স্লোগান তুলেছেন, 'জয় বাংলা... জয় বাংলা...'। আবার যেন মুক্তিযুদ্ধে ফিরে গেছি আমরা। শো শেষে অনেক প্রবীণ চোখ মুছতে মুছতে বেরিয়ে এসেছেন। 'গেরিলা' দেখে যুদ্ধের স্মৃতি কাঁদাচ্ছে তাদের।
'গেরিলা' বিভিন্ন দিক থেকেই ব্যতিক্রম এবং একটি পরিপূর্ণ শিল্পসম্মত চলচ্চিত্র। যেমন এর চিত্রায়ণ, তেমনি শিল্পনির্দেশনা। সংগীতও কোনো অংশে কম যায় না। আর অভিনয়! এক কথায় অসাধারণ। 'গেরিলা'য় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক অভিনয়শিল্পীই চমৎকার অভিনয় করেছেন। তাদের মধ্যে দু'জনের কথা না বললেই নয়। কেন্দ্রীয় চরিত্রের জয়া আহসান আর শতাব্দী ওয়াদুদ। জয়ার অভিনয় যতটা আবেগী করেছে, শতাব্দীর অভিনয় করেছে ঠিক ততটাই হিংস্র। শতাব্দী দুটো চরিত্রে অভিনয় করেছেন। দুটোই পাকিস্তানি আর্মি অফিসারের। সব পাকিস্তানি আর্মিই '৭১-এ একইরকম ছিল, সমান ছিল তাদের পৈশাচিকতা_ শতাব্দীর চরিত্র দুটো বোধহয় সেই ইঙ্গিতই দিল। হিটলাররূপী শতাব্দী ওয়াদুদের দ্বিতীয় চরিত্রটি আরও একটি ইঙ্গিত দিল। আর তা হচ্ছে হিটলরা যুগে যুগে ফিরে আসেন।
'গেরিলা' চলচ্চিত্রের পরিচালক দেশের বিশিষ্ট নাট্য নিদের্শক নাসির উদ্দীন ইউসুফ নিজেই একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি সৈয়দ শামসুল হকের উপন্যাস 'নিষিদ্ধ লোবান' এবং নিজের মুক্তিযুদ্ধের অভিজ্ঞতা নিয়ে নতুন প্রজন্মের জন্য নির্মাণ করেছেন চলচ্চিত্রটি। তার এই সৃষ্টি বাংলাদেশীদের কতটা ঋণী করেছে তা প্রকাশ করা কঠিন। আগামী প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ধারনা দেবে 'গেরিলা'। তবে সবশেষে শেষ কথা_ অহংকার করার মতো মুক্তিযুদ্ধের একটি চলচ্চিত্র পেয়ে গেছি আমরা।

মৌমাছি গুনগুন করে কেন?

আসলে মৌমাছি তাদের ডানা দুটিকে অতি দ্রুত উপর-নিচে আন্দোলিত করে। এর ফলে ডানার কাছাকাছি বায়ুতে ঘনীভবন ও অনুভবনের সৃষ্টি হয় এবং নির্দিষ্ট কম্পাঙ্কের তরঙ্গ উৎপন্ন হয়। এই তরঙ্গই আমাদের কানে মৌমাছির 'গুনগুন'।

বউ সুন্দরী আম

বউ সুন্দরী আমে ছেয়ে গেছে নওগাঁ জেলার হাটবাজার। এসব আম ফরমালিন মিশ্রিত হলেও দেদার কিনছে লোকজন। আম খেয়ে লাভ লোকসানের কথা না ভেবে মুখের স্বাদ মেটাতে এসব আম কিনছে ক্রেতারা। দোকানে সাজানো বউ সুন্দরীর টকটকে হলুদ রং মানুষের মন কাড়ছে সহজেই। লোভ সামলাতে না পেরে তাই অতিরিক্ত দামে ফরমালিন মিশ্রিত এসব আম কিনছেন তারা। ব্যবসায়ীরা জানায়, স্থানীয় জাতের আম এখনো হাটবাজারে ওঠেনি। তাই হাটবাজার ছেয়ে গেছে ভারতীয় বউ সুন্দরী আমে। এসব আম নওগাঁর সীমান্তবর্তী পত্নীতলার শিমুলতলী, ধামইরহাটের বস্তাবর, কালুপাড়া, চকচণ্ডী, চকিলাম ও সাপাহারের পাতাড়ী, হাঁপানীয়া, পোরশার নীতপুরসহ জেলার অন্যান্য সীমান্ত দিয়ে চোরাইপথে আনা হচ্ছে। বৈশাখের শুরু থেকেই এসব আম স্থানীয় ফলের দোকানগুলোতে শোভা পাচ্ছে। ফরমালিনসহ বিভিন্ন বিষাক্ত কেমিক্যালে পাকানোর ফলে স্বাস্থ্যহানি ঘটাসহ শরীরে নানা উপসর্গ দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকলেও মৌসুমের নতুন ফল হওয়ায় ক্রেতারা ঝোঁকের মাথায় আমগুলো দেদার ক্রয় করে খাচ্ছে। কিন্তু ভারত থেকে সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে বানের পানির মতো আসা বিষাক্ত কেমিক্যালে পাকানো ক্ষতিকারক এসব আম দোকানগুলোতে শোভা পেলেও প্রশাসনের কোনো নজরদারি নেই। ফলে ক্রেতারা বিষ সমতুল্য ওই সব আম ভক্ষণ করে চলেছে। এসব আম বিক্রিও হচ্ছে চড়া দামে। প্রতি কেজির মূল্য ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। সীমান্তে নিয়োজিত দুই দেশের সীমান্তরক্ষী ও অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই বিষাক্ত এসব আম নির্বিঘ্নে সীমান্তের ওপার থেকে এপার এনে বাজারজাত করা হচ্ছে বলে সচেতন ক্রেতারা জানান