Sunday, April 17, 2011

কিং কোবরা

ভারতীয় কোবরাকে বলা হয় সর্প জাতির রাজা। কারণ এর মেজাজ-মর্জি, আকার, চলাফেরা, আক্রমণের ভঙ্গি এবং বিষের পরিমাণ সত্যিই তাকে দিয়েছে রাজা হওয়ার যোগ্যতা। দীর্ঘদিন তাই সে রাজা হয়েই আছে। কিন্তু এবার বুঝি আর সে আসন আর থাকল না। কারণ কেনিয়ায় এমন এক প্রজাতির কোবরা আবিষ্কৃত হয়েছে যা সাধারণ কোবরার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি বিষ উৎপাদন করতে পারে এবং আকারেও বড়। এ কোবরার ক্রমাগত ছোবলে ২০ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটতে পারে। সাপটি লম্বায় ২ দশমিক ৬ মিটার। ২০০৪ সালের জুনে কেনিয়ার ওয়াটামু সমুদ্র এলাকার বায়োকিন সাপের খামার থেকে সর্পবিদ জেমস অ্যাশ এ সাপটি শনাক্ত করেন। এর গায়ের রং বাদামি, যা কিছুটা কালো গলা কোবরার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। কালো গলা কোবরাগুলো বড় জোর দুই মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। বিজ্ঞানীদের মতে, নতুন আবিষ্কৃত সাপটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কোবরা সাপ। জেমস অ্যাশের নামানুসারে সাপটির নাম রাখা হয়েছে 'নাজা অ্যাশেই'। সাপটির বিষ থলিতে জমা থাকে ৬.২ মিলি লিটার বিষ। সর্প বিশেষজ্ঞ উলফগ্যাং উস্টার ও ডোনাল্ড জি ব্রাডলি বলেন, এ নতুন প্রজাতি উত্তর ও দক্ষিণ কেনিয়ার শুষ্ক নিচু ভূমিতে, উত্তর উগান্ডা, দক্ষিণ ইথিওপিয়া ও দক্ষিণ সোমালিয়ায় দেখতে পাওয়া যায়। বায়োকিন সাপ খামারের মালিক রয়জান টেলর বলেন, কেনিয়ার উপকূলে এ ধরনের সাপ দেখতে পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞরা জানান, এ সাপের আবিষ্কার পশ্চিম ও উত্তর আফ্রিকার প্রজাতিগুলো শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। আফ্রিকান কোবরা নিয়ে এতদিন কৌতূহলের শেষ ছিল না_ বিশ শতকে এসে এগুলোকে বিশেষভাবে শনাক্ত করা হলেও পাওয়া যায়নি আসল পরিচয়। আক্রমণাত্মক ও বিষাক্ত নাজা অ্যাশেই উৎপাদন করতে পারে প্রায় এক ডজন কোবরার মতো বিষ। এর অনুপাত প্রকৃতির সবচেয়ে বড় কিং কোবরার চেয়েও বেশি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ নতুন প্রজাতিটি একটি খরগোশকে নির্দ্বিধায় গিলে ফেলতে পারে। এছাড়া আড়াই ফুট লম্বা গিরগিটি ও ৫ ফুট লম্বা বিষধর সাপ খেতে পারে। খামারের মালিক টেলর বিবিসিকে বলেন, সর্প দংশনের চিকিৎসায় অ্যান্টিভেনম উৎপাদনের জন্য সর্প বিষয়ের ওপর আরও অধিক গবেষণা করা দরকার। টেলর একজন প্রকৃতিবিদ, যার অবদান নতুন উদ্ভাবনে বিপ্লব ঘটিয়েছে। বিশ্ববিখ্যাত সংরক্ষক রিচার্ড লিকি বলেছেন, 'বৃহৎ প্রজাতির ওপর এ আবিষ্কার সত্যি উত্তেজনাকর।'

আফ্রিদির পরবর্তী টার্গেট

নানা বিতর্কিত ইস্যু পাড়ি দিয়ে অবিশ্বাস্যভাবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছিল পাকিস্তান। কিন্তু ভারতের সঙ্গে হেরে শিরোপা জয়ের স্বপ্ন ভঙ্গ হয় তাদের। এবার অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদির চোখ পরবর্তী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দিকে। আসরটি আগামী বছর শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হবে। পাকিস্তানের একটি দৈনিকের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে আফ্রিদি বলেছেন, মূল বিশ্বকাপ না পাওয়ার ব্যর্থতা টি-টোয়েন্টি জয় করে পূরণ করতে চাই।

সুন্দরীতমা

পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরী নারী কে? একটু ভাবুন। উত্তর পেয়েছেন! যারা পাননি তাদের জন্য উত্তর_ জেনিফার লোপেজ। মার্কিন মুল্লুকের একটি জনপ্রিয় ম্যাগাজিনের জরিপে তিনি সেরা সুন্দরী নির্বাচিত হয়েছেন। তার বয়স ৪১। কিন্তু এই বয়সে লোপেজ সৌন্দর্য দিয়ে অনেক তরুণীকে পেছনে ফেললেন। ম্যাগাজিনটি পৃথিবীর সুন্দরীদের নিয়ে একটি তালিকা প্রকাশ করে। সেই তালিকায় শীর্ষ নামটি লোপেজের। আর তাই ওই ম্যাগাজিনে এবারের প্রচ্ছদ কন্যাও হলেন এই গায়িকা-অভিনেত্রী।

বলিউডে মিস বলিউড

এবারের মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতার মিস বলিউড মুকুটটি জয় করেন অঙ্কিতা মহাপাত্র। মুকুট পরার কিছুক্ষণের মধ্যেই বলিউড জগতে নাম লিখিয়েছেন তিনি। সুযোগটি করে দিয়েছেন প্রতিযোগিতায় উপস্থিত প্রখ্যাত প্রযোজক সাজিদ নাদিওয়ালা। আগামী মাসে অঙ্কিতাকে নিয়ে ছবির কাজ শুরু করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। নাদিওয়ালার মতে, এ সুন্দরীর মধ্যে অভিনয়শৈলীর সব বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান যা তাকে দ্রুত খ্যাতির শীর্ষে নিয়ে যাবে।

কারিনার নতুন খান

সম্প্রতি একটি ছবিতে আমির খানের বিপরীতে অভিনয় করতে গিয়ে প্রেমিক সাইফ আলী খানকে যথেষ্ট সময় দিতে পারছেন না কারিনা কাপুর। কাজের ফাঁকেও দেখা করার সুযোগ হচ্ছে না বলিউডের এই আলোচিত প্রেমিকযুগলের। এমনকি শুটিং স্পটেও সাইফকে এড়িয়ে চলছেন কারিনা। সাইফ নয় বর্তমানে আমিরের প্রতি অতিরিক্ত আগ্রহ দেখাচ্ছেন তিনি। অনেকের মতে, কারিনার প্রেমের দ্বিতীয় ইনিংসে এই নতুন খানকে দেখা যেতে পারে।

সেঞ্চুরিয়ান শচীনের জরিমানা

৬৬ বলে ঠিক ১০০ রানই করলেন শচীন টেন্ডুলকার। ইনিংসের শেষ বলে সেঞ্চুরি করার পরও তার দল পরাজিত হয়েছে। এর চেয়ে দুখের আর কি হতে পারে? তবে শচীনের পিছু ছাড়ছে না দুঃখ। পরাজয়ের দুখের সঙ্গে যোগ হলো এবার জরিমানাও। কোচি তুসকার কেরালার বিপক্ষে স্লো ওভার রেটের কারণে শচীনকে জরিমানা করা হয়েছে। গত পরশু রাতে কোচির বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ৬৬ বলে ৩ ছয় এবং ১২টি চারের সাহায্যে এক অসাধারণ সেঞ্চুরি করেন শচীন টেন্ডুলকার। দলকে নিয়ে যান ১৮২ রানের নিরাপদ স্থানে। কিন্তু কোচি আরও একটু বেশিই জ্বলে উঠেছিল। ম্যাককুলাম (৮১) এবং জয়াবর্ধনের (৫৬) রান দিয়ে বিজয় অর্জন করে নেয় কোচি। কোচির বিজয় রথ থামাতে গিয়ে শচীন টেন্ডুলকার বারবার বোলিং পরিবর্তন কিংবা সতীর্থদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়েছেন। এই করতে গিয়ে স্লো ওভার রেটের কবলে পড়তে হলো তাকে। শচীন টেন্ডুলকারকে ২০ হাজার ইউএস ডলার জরিমানা করা হয়েছে।
একদিকে সেঞ্চুরি করার পরও পরাজয়ের দুঃখ অপরদিকে জরিমানা। তবে শচীন বৃদ্ধ বয়সে এসেও দেখিয়ে যাচ্ছেন তার ব্যাটিং কারিশমা। আইপিএলের গত আসরে শচীন টেন্ডুলকার ছিলেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। এবারেও কি ক্রিকেটের মহারাজ হতে যাচ্ছেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক? এখনো পর্যন্ত ২০১ রান করে তিনিই তো সবার ওপরে আছেন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা জ্যাক ক্যালিসের রান ১৮৭।

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ক্রিকেট!

ফুটবলের জন্য খবরটি অবশ্যই দুঃসংবাদই বলা চলে। কেননা সরকারের একটি প্রভাবশালী মহল চিন্তা-ভাবনা করছেন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ক্রিকেট ফিরিয়ে আনার। বিশ্বকাপ চলাবস্থায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বঙ্গবন্ধুতে ক্রিকেট ফিরিয়ে আনার কথা বলেছিলেন। অনেকে তার এ বক্তব্যকে মোটেই গুরুত্ব দেননি। ভেবেছিলেন মন্ত্রী কথায় কথায় এ কথা বলেছেন। তাছাড়া এত টাকা খরচের পর ক্রিকেট বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ফিরিয়ে আনলে সরকারই বিতর্কের মধ্যে পড়ে যাবে। যতই বিতর্ক হোক না কেন, বাস্তবতা চিন্তা করে সরকারের এক বিশেষ মহল জোরালো তৎপরতা শুরু করে দিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের এক কর্মকর্তা এ ব্যাপারে বলেন, ফুটবল উন্নয়নের কথা চিন্তা করে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম থেকে ক্রিকেট সরিয়ে নেওয়া হয়। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে ফুটবলে উন্নতির কোনো লক্ষণ নেই। এত বড় স্টেডিয়ামে ফুটবল অনুষ্ঠিত হচ্ছে একেবারে দর্শকশূন্য অবস্থায়। সুতরাং সরকারের বিশেষ এক মহল কোনো অবস্থাতেই এককভাবে এখানে ফুটবল আয়োজনের আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। তারা চাচ্ছেন অতীতের মতো ফুটবলের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুতে ক্রিকেট অনুষ্ঠিত হোক। ক্রিকেট নামাতে হলে বঙ্গবন্ধুর অ্যাথলেটিক্স-ট্র্যাক সরাতেই হবে। এতে অপচয় হবে কোটি কোটি টাকা। সরকারের নীতি নির্ধারকরা মনে করছেন কোনো ভালো কাজের জন্য অর্থ অপচয় হলে তাতে বিতর্কের কিছু হবে না। মিরপুরে ক্রিকেট থাকাতে সেখানে আবার ট্র্যাক বসানো সম্ভব নয়। এমনও হতে পারে ঢাকার বাইরে কোনো বিভাগীয় স্টেডিয়ামে অ্যাথলেট-ট্র্যাক বসানো হবে। সূত্র জানিয়েছে, এ ধরনের প্রস্তাব আপাতত মৌখিকভাবেই হচ্ছে। আগামী বাজেট অধিবেশনের আগে লিখিত প্রস্তাব আকারে তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে।

বোর্ডের সমালোচনা করলেন মুরালি

শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের সমালোচনা করেছেন দলের সাবেক স্পিন জাদুকর মুত্তিয়া মুরালিধরন। আগামী মাসে ইংল্যান্ড সফরে যাবে শ্রীলঙ্কা। যে কারণে আইপিএলে অংশগ্রহণকারী ক্রিকেটারদের দেশে ফেরার জন্য প্রস্তুত হতে বলেছে লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)। আর বোর্ডের এ সিদ্ধান্তের জন্যই সমালোচনামুখর হন মুরালি। আইপিএলের খেলা শেষ হবে আগামী ২৮ মে। ভারতের জনপ্রিয় এ আসরে শ্রীলঙ্কার ১১ জন ক্রিকেটার বিভিন্ন দলে খেলছেন। বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৫ মের মধ্যে লঙ্কান ক্রিকেটারদের দেশে ফিরে আসতে হবে। কারণ পাঁচ টেস্ট, পাঁচ ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে ১০ মে দেশ ছাড়বেন লঙ্কান ক্রিকেটাররা।
একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মুরালি বলেন, আমার মনে হয় আগমী ২০ মে পর্যন্ত খেলোয়াড়দের সময় দেওয়া উচিত বোর্ডের। আমি জানি না, হঠাৎ করে কি এমন ঘটল। আগামী ৫ মের মধ্যে ক্রিকেটারদের দেশে ফেরার কথা বলছে বোর্ড। অথচ তারাই এনওসিতে (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) ২০ মে পর্যন্ত স্বাক্ষর করেছেন। যদি এটার পরিবর্তন করে ৫ মে করা হয় তবে এসএলসির ভুল হবে। আইপিএলে কোচির হয়ে খেলা মুরালি বলেন, ৫ মের মধ্যে ক্রিকেটাররা ফিরে গেলে অর্ধেক খেলেই তাদের আইপিএল শেষ করতে হবে। এতে তারা অনেক কিছু মিস করবে এমনকি হারাবে আত্মবিশ্বাসও।

বাংলাদেশ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন

ডেভিস কাপ টেনিস
ডেভিস কাপ টেনিসের গ্রুপ-৪ এর খেলায় বাংলাদেশ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এর সুবাদে তারা গ্রুপ-৩ এর খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করল। গতকাল চূড়ান্ত পর্বের খেলায় বাংলাদেশ ২-১ ম্যাচে জর্ডানকে হারিয়ে এ যোগ্যতা অর্জন করে। অপর খেলায় কিরগিজস্তান ২-১ ম্যাচে ইরাককে হারিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গী হয়েছে। আগামী বছর এ দুটি দল ডেভিস কাপ এশিয়া/ওশানিয়া অঞ্চল গ্রুপ-৩ এর খেলায় অংশগ্রহণ করবে।

আইপিএলে সৌরভ

কোচি তাস্কার্সের তারকা ক্রিকেটার স্টিভ স্মিথ ইনজুরির কারণে আইপিএল থেকে ছিটকে পড়েছেন। আর এ কারণেই কোচির কর্তারা চাইছেন স্মিথের পরিবর্তে সৌরভ গাঙ্গুলিকে দলে নিতে। কিন্তু এবার বাঁধা হয়ে দাঁড়াল সৌরভের বেস প্রাইস। আইপিএলের নিয়মানুযায়ী, যদি কোনো ক্রিকেটারের পরিবর্তে কাউকে নিতে হয়, তাহলে উভয় ক্রিকেটারের বেস প্রাইস সমান হতে হবে। নিলামে দাদার বেস প্রাইস ছিল ১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। আর স্মিথের ৯৩ লাখ। তাই বেস প্রাইসের পার্থক্যের কারণেই এ আসরে হয়তো বা আর খেলা হচ্ছে না গাঙ্গুলির। তবে কোচির কর্মকর্তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কোচির আবেদন অনুযায়ী সৌরভ খেলতে পারবেন কি না তা নিয়ে বোর্ডেও আলোচনা চলছে।
তাদের বিশ্বাস, শেষ পর্যন্ত হয়তো বা কোনো একটা পথ বেরোবে। চতুর্থ আইপিএলে হয়তো বা দেখাও যেতে পারে দাদাকে।