Sunday, April 17, 2011

বাংলাদেশ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন

ডেভিস কাপ টেনিস
ডেভিস কাপ টেনিসের গ্রুপ-৪ এর খেলায় বাংলাদেশ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এর সুবাদে তারা গ্রুপ-৩ এর খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করল। গতকাল চূড়ান্ত পর্বের খেলায় বাংলাদেশ ২-১ ম্যাচে জর্ডানকে হারিয়ে এ যোগ্যতা অর্জন করে। অপর খেলায় কিরগিজস্তান ২-১ ম্যাচে ইরাককে হারিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গী হয়েছে। আগামী বছর এ দুটি দল ডেভিস কাপ এশিয়া/ওশানিয়া অঞ্চল গ্রুপ-৩ এর খেলায় অংশগ্রহণ করবে।

আইপিএলে সৌরভ

কোচি তাস্কার্সের তারকা ক্রিকেটার স্টিভ স্মিথ ইনজুরির কারণে আইপিএল থেকে ছিটকে পড়েছেন। আর এ কারণেই কোচির কর্তারা চাইছেন স্মিথের পরিবর্তে সৌরভ গাঙ্গুলিকে দলে নিতে। কিন্তু এবার বাঁধা হয়ে দাঁড়াল সৌরভের বেস প্রাইস। আইপিএলের নিয়মানুযায়ী, যদি কোনো ক্রিকেটারের পরিবর্তে কাউকে নিতে হয়, তাহলে উভয় ক্রিকেটারের বেস প্রাইস সমান হতে হবে। নিলামে দাদার বেস প্রাইস ছিল ১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। আর স্মিথের ৯৩ লাখ। তাই বেস প্রাইসের পার্থক্যের কারণেই এ আসরে হয়তো বা আর খেলা হচ্ছে না গাঙ্গুলির। তবে কোচির কর্মকর্তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কোচির আবেদন অনুযায়ী সৌরভ খেলতে পারবেন কি না তা নিয়ে বোর্ডেও আলোচনা চলছে।
তাদের বিশ্বাস, শেষ পর্যন্ত হয়তো বা কোনো একটা পথ বেরোবে। চতুর্থ আইপিএলে হয়তো বা দেখাও যেতে পারে দাদাকে।

লঙ্কান ক্রিকেটারদের নিয়ে নানা সন্দেহ

পরপর দুইবার ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেও খালি হাতে ফিরতে হলো শ্রীলঙ্কাকে। এবার ভারতের কাছে হেরে শিরোপার দ্বারপ্রান্তে পেঁৗছেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারল না তারা। বিশ্বকাপ ফাইনাল পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। কিন্তু ফাইনালে হারের পরই হঠাৎ করে সবকিছু কেমন যেন এলোমেলো হয়ে গেল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটে। বিশ্বকাপের পর থেকে শ্রীলঙ্কান খেলোয়াড়দের সঙ্গে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দূরত্ব যে ক্রমেই বেড়ে চলেছে।
প্রথমে অধিনায়ক সাঙ্গাকারা দায়িত্ব ছেড়ে দিলেন, কারণ হিসেবে উল্লেখ করলেন দেশের ক্রিকেটের স্বার্থের কথা। তার পথ ধরেই হাঁটলেন সহঅধিনায়ক জয়াবর্ধনে। প্রথমে ভাবা হচ্ছিল দেশকে বিশ্বকাপ এনে দিতে ব্যর্থ হয়ে ভদ্রতার খাতিরেই হয়তো দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন তারা। তখন অনেকেই তাদের 'দায়স্বীকার' গুণের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছে। তবে পরে যখন সাবেক ক্রিকেটার অরবিন্দ ডি সিলভার নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটিও মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই মন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিল তখন অনেকের মনেই সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করল শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটে এমন ধারাবাহিক পদত্যাগকে ঘিরে। সন্দেহের তীর তাক করা হলো ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দিকে।
সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে যখন জানানো হলো যে, আইপিএলে অংশগ্রহণকারী ক্রিকেটারদের দেশে ফিরে আসতে হবে তখন সবাই মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গেছে যে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটে রাজনীতির প্রভাবেই এমন ধারাবাহিক পদত্যাগ। কারণ আইপিএলে অংশ নেওয়ার আগে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা বোর্ডের সঙ্গে 'নক' (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) স্বাক্ষর করেছে যেখানে স্পষ্ট করে উল্লেখ আছে ক্রিকেটারদের ২০ মে এর আগ পর্যন্ত ডেকে পাঠাবে না বোর্ড। অথচ এখন সবাইকে ৫ মে এর মধ্যেই দেখা করতে বলা হয়েছে। কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে যে, আগামী ১০ মে ইংল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা দেবে শ্রীলঙ্কা দল।
শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের এমন সব কাণ্ডে অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে শুরু করেছে কেন হঠাৎ করেই খেলোয়াড়দের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ল ক্রীড়া মন্ত্রণালয়? স্পষ্ট করে কেউই বলছেন না, তবে ধারণা করা হচ্ছে যে দেশটি মনে করছে ভারতের সঙ্গে বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটিতে জুয়াড়িদের কাছ থেকে টাকা খেয়ে স্পট ফিক্সিংয়ের আশ্রয় নিয়েছিল শ্রীলঙ্কার কিছু কিছু ক্রিকেটার। এ বিষয়ে নাকি ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বোর্ডের আলোচনাও হয়েছে। তাদের সন্দেহের তীর অধিনায়ক সাঙ্গাকারা, ব্যাটসম্যান থারাঙ্গা, বোলার পেরেইরা, কুলাসেকারাদের দিকে।
বিশ্বকাপের ভারত-শ্রীলঙ্কা ফাইনাল ম্যাচটি ভালোভাবে বিশ্লেষণ করলে শ্রীলঙ্কার সন্দেহবাদীরা অবশ্য তর্কের রশদ পেতেও পারেন। সে ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট করতে নামা শ্রীলঙ্কা প্রথম ১০ ওভারে তুলে মাত্র ৩১ রান এক উইকেট হারিয়ে। ওপেনার থারাঙ্গা ২০ বল খেলে করেন মাত্র ২ রান। আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান দিলশান ৪৯ বলে করেন ৩৩ রান।
অবশেষে জয়াবর্ধনের কল্যাণে ভারতকে ২৭৫ রানের জয়ের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় শ্রীলঙ্কা। তবে লাসিথ মালিঙ্গা বাদে অন্যসব বোলার ঝলসে উঠতে ব্যর্থ হলে ৬ উইকেটের পরাজয়বরণ করতে হয় লঙ্কানদের। প্যারেরা ও কুলাসেকারা খুবই বাজে বল করেন। এদিন মাঠে শ্রীলঙ্কার ফিল্ডিং দেখেও যদি দাবি করা হয় লঙ্কান খেলোয়াড়রা স্পট ফিক্সিংয়ের কবলে পড়েছিল, তাহলেও প্রতিবাদ করার মতো খুব বেশি কিছু থাকবে না। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা সত্যিই জুয়াড়িদের কবলে পড়েছিল কি না তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে আইপিএল থেকে লঙ্কান ক্রিকেটারদের এমন তলবে মনে করা হচ্ছে দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সেই রকম কিছুর ইঙ্গিত পেয়েই কঠোরতা দেখাচ্ছেন খেলোয়াড়দের প্রতি।

ক্রিকেটে ব্যর্থতার শেষ কোথায়?

এই তো কিছুদিন আগেও বাংলাদেশের ক্রিকেটে সুবাতাস বইছিল। জয়ের পর জয় পেয়ে উল্লাসে ভাসছিল সারাদেশ। হঠাৎ করে ক্রিকেটে ভয়ঙ্করী কালোমেঘ দেখা দিয়েছে। সাজানো-গুছানো সাকিবদের ঘর লণ্ডভণ্ড না হয়ে যায় এ আতঙ্কে সবাই অস্থির। বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজে কাছে ৫৮ ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৭৮ রানে অলআউট হয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে টাইগাররা। ধাক্কা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে না দাঁড়াতে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হোয়াইটওয়াশ। আসলে বিশ্বকাপে শিরোপা ধরে রাখতে না পারলেও অসিদের শক্তির সঙ্গে টাইগারদের তুলনা চলে না। সে কারণে তাদের কাছে টানা তিন ম্যাচ হারাটা বাংলাদেশের মতো দলের বড় বিপর্যয় হতে পারে না। কিন্তু সিরিজের তিন ম্যাচে সাকিব-তামিমদের পারফরম্যান্স ছিল বড্ড হতাশাজনক। শেষ ম্যাচে ব্যাটিং ঝলক বাদ দিলে অস্ট্রেলিয়া এবার বাংলাদেশকে নিয়ে ছেলেখেলা করছে বললেও ভুল হবে না। তুলনামূলক শক্তিশালী মানে এই নয় যে, ক্লার্কদের সামনে সাকিবরা দাঁড়াতেই পারবে না। ২০০৫ সালে যে সময় অস্ট্রেলিয়ার দুর্দান্ত ফর্ম, তখন আশরাফুলের সেঞ্চুরিসহ অস্ট্রেলিয়াকে ঠিকই বাংলাদেশ পরাজিত করেছিল। এটা ঠিক, সিরিজে এবার বাংলাদেশ কোনো ম্যাচ জিতবে তা কেউ আশা করেনি। কিন্তু লড়াই করে ক্লার্ক-পন্টিংদের ঘাম ঝরাবে এ প্রত্যাশাটুকু ঠিকই করা হয়েছিল। শেষ ম্যাচে ওয়াটসনদের ৩৬১ রানের জবাবে ইমরুলরা ২৯৫ করে ব্যাটিংয়ে ঝলক দেখান। তারপরও এ নিয়ে নানা গুঞ্জন রয়েছে। কেননা কেউ কেউ বলেন, আকাশ ছোঁয়ার মতো স্কোর গড়ার পর অসিরা রিলাক্স মুডে ফিল্ডিং করেছিল বলেই বাংলাদেশ হাত খুলে খেলার সুযোগ পেয়েছে।
বাংলাদেশ যে ভালো খেলতে পারে এটা কেন জানি কেউ এখন বিশ্বাস করতে পারছে না। অথচ ক্রিকেটে সাকিবদের কৃতিত্ব তো একেবারে কম নয়। টেস্ট খেলুড়ে প্রতিটি দলকেই তারা হারিয়েছে। স্ট্যাটাস পাওয়ার পর চার বছরের মাথায় টেস্টে সিরিজ জেতার রেকর্ডও রয়েছে, যা পৃথিবীর অনেক শক্তিশালী দেশের নেই। এই তো সেদিন নিউজিল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলকে হোয়াইটওয়াশ করে বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল সাকিবরা। প্রত্যাশা ছিল বিশ্বকাপে কম করে হলেও কোয়ার্টার ফাইনালে খেলবে সাকিবরা। তা আর হয়নি, গ্রুপ ম্যাচ খেলেই আসরকে গুডবাই জানিয়েছে তারা। এ নিয়ে আফসোস থাকলেও তেমনভাবে ক্ষোভ নেই কারও মাঝে। কেননা এমন ফল হতেই পারে। ২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতের মতো বিখ্যাত দল তো গ্রুপ ম্যাচ খেলেই বিদায় নিয়েছিল। আসলে ব্যর্থতা থাকবেই কিন্তু তার কারণ তো খতিয়ে দেখতে হবে। ভারত ব্যর্থতার পোস্টমর্টেম করেছিল বলেই তো আটাশ বছর পর তারা বিশ্বকাপে শিরোপা ফিরে পেয়েছে। প্রতিটি দেশে ব্যর্থতার পর ঢালাওভাবে আলোচনা হয়। কোথায় কোনো শূন্যতা বা রহস্য খুঁজে পেলে কর্মকর্তারা তদন্ত করে তা উদ্ধার করেন। বাংলাদেশে আজ পর্যন্ত ক্রিকেটে কোনো তদন্তই হয়নি। সাফল্য পেলে মিষ্টি বিতরণের ধুম পড়ে যায়। ব্যর্থতা হলে সবাই বোবা হয়ে যায়। এবার অবশ্য যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার আশার আলো জ্বালিয়েছিলেন। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের মিশন শেষ হওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে তিনি দৃঢ়ভাবে বলেছিলেন, মাঠের ব্যর্থতা ও আয়োজনের ত্রুটি সবকিছুরই তদন্ত হবে। যদি কেউ দোষী হন কাউকে ছাড় দেওয়া যাবে না। কই ক্রীড়া অভিভাবক তো মুখে বলেই খালাস, বাস্তবে তিনি যে কিছু করবেন তার লক্ষণ কিন্তু দেখা যাচ্ছে না। সবচেয়ে অবাক করেছেন বিসিবির কর্মকর্তারা। বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে এত বড় লজ্জা পেল, এ নিয়ে এখন পর্যন্ত তারা কোনো আলোচনা করল না। এর মধ্যে বোর্ডের নির্বাহী কমিটির এক সভা হয়ে গেছে। সেখানে বিশ্বকাপ বা অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম দুই ম্যাচে ভরাডুবি নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি। আলোচনা হয়েছে কোচ ও সিলেকটর বদল নিয়ে। দুটো বিষয়ই খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ক্রিকেটাররা কেন লাগাতার খারাপ খেলেই যাচ্ছে, এ নিয়ে আলোচনা করাটা কি জরুরি ছিল না। শ্রীলঙ্কার দিকে বোর্ড কর্মকর্তারা কি নজর দেন না। বিশ্বকাপে রানার্স আপ হয়েছে তারা, অথচ এ নিয়ে সেখানে তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে। এতটা কঠিন অবস্থা যে আইপিএল খেলতে থাকা ক্রিকেটারদেরও দেশে ফেরত আনা হয়েছে।

এক সময় না হয় বাংলাদেশের ক্রিকেটে কোনো অবস্থান ছিল না। এখন তো ক্রিকেট মানচিত্রে সাকিবরা একটা জায়গা করতে পেরেছে। ক্রিকেটে সাফল্য ও ব্যর্থতার সঙ্গে যেখানে দেশের মান-ইজ্জত জড়িয়ে গেছে সেখানে সব কিছুতেই জবাবদিহিতা বাধ্যতামূলক। আ হ ম মুস্তফা কামাল সভাপতি হওয়ার পর দৃঢ়ভাবে বলেছিলেন, যে কোনো কাজে ক্রিকেটার এবং কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতা থাকতে হবে। কই তার নেতৃত্বে তো বোর্ডে আরও বেশি বিশৃক্সখলা চলছে। তিনি অবশ্য অস্বীকার করেন, কিন্তু স্বচ্ছতা দেখাতে ক্রিকেটে ব্যর্থতা নিয়ে বোর্ড মিটিংয়ে আলোচনা হয় না কেন। গুঞ্জন রয়েছে, এর পেছনে কর্মকর্তাদের বড় ধরনের ভূমিকা রয়েছে। তাদের ইন্ধনে দলের ভেতরে এমনি গ্রুপিং তৈরি হয়েছে যে ক্রিকেটাররা মাঠে তাদের স্বাভাবিক নৈপুণ্য প্রদর্শন করতে ভুলেই গেছেন। বোর্ড মিটিংয়ে আলোচনা হলে তাদের ফেঁসে যাওয়ার আশঙ্কা আছে বলেই কি আলোচনা করতে ভয় হয়। তাহলে আর ক্রিকেট স্বচ্ছ পথে চলবে কিভাবে? জেমি সিডন্সের বদলে নতুন কোচ নিয়োগ ও সিলেকটর রদবদলের চিন্তা করা হচ্ছে। যতই পরিবর্তন আসুক না কেন আসল জায়গায় যদি ঘষামাজা না করা হয় ক্রিকেটের গতি এক জায়গাতেই থেমে থাকবে। আইসিসি কিন্তু সব দলেরই পারফরম্যান্স গভীরভাবে পর্যালোচনা করে। খারাপ খেলার বদৌলতে জিম্বাবুয়ের কপালে যে কি জুটেছে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা কি ভুলে গেছেন। ক্রিকেটকে আসলে এভাবে হাঁটতে দেওয়া যায় না। কর্মকর্তারা যদি নীরব থাকেন, এ ব্যাপারে সরকারের এগিয়ে আসাটা জরুরি হয়ে পড়েছে। তা না হলে এমনও সময় আসতে পারে যেদিন আইসিসি বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাসও বাতিলের চিন্তা-ভাবনা করতে পারে।

সাকিবে মুগ্ধ শাহরুখ

বাংলাদেশ সদ্যসমাপ্ত সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার কাছে 'হোয়াইটওয়াটশ' হওয়ার পর সবার ধারণা ছিল সাকিবকে কলকাতা নাইট রাইডার্সের অতিরিক্ত তালিকাতেই থাকতে হবে। তাছাড়া রাজস্থানের বিরুদ্ধে মাঠে নামানোর তো প্রশ্নই ওঠে না। কেননা রাজস্থানের তারকা ক্রিকেটার শেন ওয়াটসন কয়েকদিন আগেই যেভাবে বাংলাদেশি বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালিয়েছেন, তাই সাকিবকে না নেওয়াটা স্বাভাবিকই ছিল। তবে সে াতের বিপরীতে দাঁড়িয়েও যে সাকিব অস্ট্রেলিয়ার সিরিজে ভালো করেছেন, তাই 'কিনা পাছে লোকে কিছু বলে' তা চিন্তা না করে বাংলাদেশের অধিনায়ককে একাদশে রেখেছিলেন কলকাতার কোচ ডেভ হোয়াটমোর। সাকিবও তার সাবেক গুরুর সম্মান রেখেছেন দুই উইকেট নিয়ে। তাছাড়া ফর্মের তুঙ্গে থাকা শেন ওয়াটসনের উইকেটটি নিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। ঠিক সময়মতো ওয়াটসনকে আউট করতে না পারলে রাজস্থানের রান যে আরও অনেক বেশি হতো তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই প্রথম ম্যাচেই দুই উইকেট পাওয়ায় সাকিবের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট কলকাতা নাইট রাইডার্সের মালিক বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। সাকিবের ওপর দারুণ খুশি কলকাতার দর্শকও। আর এ কারণেই আজকের ম্যাচেও মাঠে দেখা যেতে পারে বাংলাদেশের অধিনায়ককে। ইডেন গার্ডেনে ফিরতি ম্যাচে আজ রাজস্থান রয়েলসের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে কলকাতা নাইট রাইডার্স।
তিন ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শাহরুখের দল ইতোমধ্যেই পয়েন্ট তালিকার চতুর্থ স্থানে চলে এসেছে ।

Saturday, April 16, 2011

'স্কাট তিশমা'র ইংরেজি গানে বর্ষবরণ

পরনে ছিল তার কালো রঙের মিনি স্কার্ট। উদ্ধত ভঙ্গিতে নাচছিলেন তিনি। এসেছিলেন বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করতে। অথচ কণ্ঠে ছিল তার ইংরেজি গান : 'ইটস মাই লাইফ'! পাঠক কথা হচ্ছে শিল্পী তিশমাকে নিয়ে। বৃহস্পতিবার নন্দন পার্কে 'প্রাণ ফ্রুটো' (একটি সফট ড্রিয়ং কোম্পানি) আয়োজিত বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে গান করতে এসেছিলেন এই শিল্পী। নন্দন পার্ক থেকে বিকালবেলা সরাসরি অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করা হয়। অনুষ্ঠানে শিল্পী তিশমার গাওয়া বিদেশি ভাষার গান ও পরিহিত পোশাকের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন পার্কে আগত দর্শক ও টিভি দর্শকরা। এদিন বৈশাখের উদযাপনে নন্দন পার্কে পরিবার-পরিজন নিয়ে হাজির হন হাজারো মানুষ। তাদের অনেকেই বৈশাখের দিন শিল্পী তিশমার পরিহিত পোশাক ও অন্য সংস্কৃতির গাওয়া গানে বিব্রত বোধ করেন। নন্দন পার্ক থেকে আগত দর্শক আসাদুর রহমান গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিন অফিসে ফোন করে এই প্রতিবেদককে বলেন, 'নববর্ষের দিন মা ও পরিবারকে নিয়ে গিয়েছিলাম নন্দন পার্কে । কিন্তু তিশমার উদ্ধত পরিবেশনায় বিব্রত হতে হয়। শিল্পীর গান পরিবেশনার একপর্যায়ে বাধ্য হয়েই পরিবারকে নিয়ে পার্ক থেকে বের হয়ে আসি।' আসাদুর বলেন, বছরের প্রথম দিনে অপসংস্কৃতি কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির গান পরিবেশন করা গেলেই দর্শকরা অনুষ্ঠানটি উপভোগ করতেন।

সাকিব আল হাসানকে অভিনন্দন

আইপিএলে কলকাতার নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলতে নেমে নিজের প্রথম ওভারেই উইকেট তুলে নিলেন সাকিব আল হাসান। তাকে অভিনন্দন জানাতে ছুটে এলেন অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর

সোনাক্ষির জয়জয়কার

দাবাং ছবি দিয়েই বলিউড কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী সোনাক্ষি সিনহা। জানিয়েছিলেন তার আগমনী বার্তা। ইতোমধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন ভক্তদের হৃদয়ে। এবার নাচের মাধ্যমে মাতালেন মঞ্চ। সম্প্রতি মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় তিনটি আইটেম গানে নাচেন সোনাক্ষি। মনোমুঙ্কর নাচ দেখে সবাই তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। এক্ষেত্রে কেউ কেউ তাকে হালের সেনসেশন দীপিকার চেয়েও এগিয়ে রাখেন। সোনাক্ষির এই জয়জয়কার কতদিন থাকে সেটাই দেখার অপেক্ষা।

রগচটা শোয়েব!

ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই নানা কারণে বিতর্কিত হয়েছেন পাকিস্তানের শোয়েব আকতার। বিতর্কের সেই ধারাবাহিকতা এবারের বিশ্বকাপেও বজায় ছিল। গ্রুপ পর্যায়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে রস টেলরের দুটি ক্যাচই ফেলে দেন উইকেটকিপার কামরান আকমল। পরবর্তীতে টেলরের ব্যাটিং কারিশমাই ত্বরান্বিত করে পাকদের পরাজয়। রাগের বশে বিরতির সময় কামরানকে লাথি মারেন শোয়েব। পরিণতিতে পরবর্তী ম্যাচগুলোতে তাকে আর প্রথম একাদশে দেখা যায়নি।

রণবীরের নতুন নায়িকা

অনুরাগ বসুর বহু প্রতীক্ষিত ছবি 'বরফি'তে দেখা যাবে এক নতুন নায়িকাকে। কলকাতায় এসে অনুরাগ জানিয়েছিলেন, নতুন নায়িকা হিসেবে তিনি বাঙালি মুখ খুঁজছেন। কিন্তু শেষমেশ তিনি বাঙালি নন, নায়িকা নিয়েছেন ভারতের দক্ষিণ থেকে। নায়িকার নাম ইলিনা ডি'ক্রুজ। তামিল ছবির একজন জনপ্রিয় নায়িকা তিনি। এবার অভিনয় করবেন রণবীর কাপুরের বিপরীতে। ছবিতে দেখা যাবে রণবীরকে পাওয়ার জন্য প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার সঙ্গে যুদ্ধ করছেন তিনি। ছবির শুটিং শুরু হয়েছে।