পরপর দুইবার ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেও খালি হাতে ফিরতে হলো শ্রীলঙ্কাকে। এবার ভারতের কাছে হেরে শিরোপার দ্বারপ্রান্তে পেঁৗছেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারল না তারা। বিশ্বকাপ ফাইনাল পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। কিন্তু ফাইনালে হারের পরই হঠাৎ করে সবকিছু কেমন যেন এলোমেলো হয়ে গেল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটে। বিশ্বকাপের পর থেকে শ্রীলঙ্কান খেলোয়াড়দের সঙ্গে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দূরত্ব যে ক্রমেই বেড়ে চলেছে।
প্রথমে অধিনায়ক সাঙ্গাকারা দায়িত্ব ছেড়ে দিলেন, কারণ হিসেবে উল্লেখ করলেন দেশের ক্রিকেটের স্বার্থের কথা। তার পথ ধরেই হাঁটলেন সহঅধিনায়ক জয়াবর্ধনে। প্রথমে ভাবা হচ্ছিল দেশকে বিশ্বকাপ এনে দিতে ব্যর্থ হয়ে ভদ্রতার খাতিরেই হয়তো দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন তারা। তখন অনেকেই তাদের 'দায়স্বীকার' গুণের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছে। তবে পরে যখন সাবেক ক্রিকেটার অরবিন্দ ডি সিলভার নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটিও মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই মন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিল তখন অনেকের মনেই সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করল শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটে এমন ধারাবাহিক পদত্যাগকে ঘিরে। সন্দেহের তীর তাক করা হলো ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দিকে।
সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে যখন জানানো হলো যে, আইপিএলে অংশগ্রহণকারী ক্রিকেটারদের দেশে ফিরে আসতে হবে তখন সবাই মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গেছে যে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটে রাজনীতির প্রভাবেই এমন ধারাবাহিক পদত্যাগ। কারণ আইপিএলে অংশ নেওয়ার আগে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা বোর্ডের সঙ্গে 'নক' (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) স্বাক্ষর করেছে যেখানে স্পষ্ট করে উল্লেখ আছে ক্রিকেটারদের ২০ মে এর আগ পর্যন্ত ডেকে পাঠাবে না বোর্ড। অথচ এখন সবাইকে ৫ মে এর মধ্যেই দেখা করতে বলা হয়েছে। কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে যে, আগামী ১০ মে ইংল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা দেবে শ্রীলঙ্কা দল।
শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের এমন সব কাণ্ডে অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে শুরু করেছে কেন হঠাৎ করেই খেলোয়াড়দের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ল ক্রীড়া মন্ত্রণালয়? স্পষ্ট করে কেউই বলছেন না, তবে ধারণা করা হচ্ছে যে দেশটি মনে করছে ভারতের সঙ্গে বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটিতে জুয়াড়িদের কাছ থেকে টাকা খেয়ে স্পট ফিক্সিংয়ের আশ্রয় নিয়েছিল শ্রীলঙ্কার কিছু কিছু ক্রিকেটার। এ বিষয়ে নাকি ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বোর্ডের আলোচনাও হয়েছে। তাদের সন্দেহের তীর অধিনায়ক সাঙ্গাকারা, ব্যাটসম্যান থারাঙ্গা, বোলার পেরেইরা, কুলাসেকারাদের দিকে।
বিশ্বকাপের ভারত-শ্রীলঙ্কা ফাইনাল ম্যাচটি ভালোভাবে বিশ্লেষণ করলে শ্রীলঙ্কার সন্দেহবাদীরা অবশ্য তর্কের রশদ পেতেও পারেন। সে ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট করতে নামা শ্রীলঙ্কা প্রথম ১০ ওভারে তুলে মাত্র ৩১ রান এক উইকেট হারিয়ে। ওপেনার থারাঙ্গা ২০ বল খেলে করেন মাত্র ২ রান। আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান দিলশান ৪৯ বলে করেন ৩৩ রান।
অবশেষে জয়াবর্ধনের কল্যাণে ভারতকে ২৭৫ রানের জয়ের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় শ্রীলঙ্কা। তবে লাসিথ মালিঙ্গা বাদে অন্যসব বোলার ঝলসে উঠতে ব্যর্থ হলে ৬ উইকেটের পরাজয়বরণ করতে হয় লঙ্কানদের। প্যারেরা ও কুলাসেকারা খুবই বাজে বল করেন। এদিন মাঠে শ্রীলঙ্কার ফিল্ডিং দেখেও যদি দাবি করা হয় লঙ্কান খেলোয়াড়রা স্পট ফিক্সিংয়ের কবলে পড়েছিল, তাহলেও প্রতিবাদ করার মতো খুব বেশি কিছু থাকবে না। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা সত্যিই জুয়াড়িদের কবলে পড়েছিল কি না তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে আইপিএল থেকে লঙ্কান ক্রিকেটারদের এমন তলবে মনে করা হচ্ছে দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সেই রকম কিছুর ইঙ্গিত পেয়েই কঠোরতা দেখাচ্ছেন খেলোয়াড়দের প্রতি।
প্রথমে অধিনায়ক সাঙ্গাকারা দায়িত্ব ছেড়ে দিলেন, কারণ হিসেবে উল্লেখ করলেন দেশের ক্রিকেটের স্বার্থের কথা। তার পথ ধরেই হাঁটলেন সহঅধিনায়ক জয়াবর্ধনে। প্রথমে ভাবা হচ্ছিল দেশকে বিশ্বকাপ এনে দিতে ব্যর্থ হয়ে ভদ্রতার খাতিরেই হয়তো দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন তারা। তখন অনেকেই তাদের 'দায়স্বীকার' গুণের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছে। তবে পরে যখন সাবেক ক্রিকেটার অরবিন্দ ডি সিলভার নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটিও মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই মন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিল তখন অনেকের মনেই সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করল শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটে এমন ধারাবাহিক পদত্যাগকে ঘিরে। সন্দেহের তীর তাক করা হলো ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দিকে।
সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে যখন জানানো হলো যে, আইপিএলে অংশগ্রহণকারী ক্রিকেটারদের দেশে ফিরে আসতে হবে তখন সবাই মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গেছে যে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটে রাজনীতির প্রভাবেই এমন ধারাবাহিক পদত্যাগ। কারণ আইপিএলে অংশ নেওয়ার আগে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা বোর্ডের সঙ্গে 'নক' (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) স্বাক্ষর করেছে যেখানে স্পষ্ট করে উল্লেখ আছে ক্রিকেটারদের ২০ মে এর আগ পর্যন্ত ডেকে পাঠাবে না বোর্ড। অথচ এখন সবাইকে ৫ মে এর মধ্যেই দেখা করতে বলা হয়েছে। কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে যে, আগামী ১০ মে ইংল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা দেবে শ্রীলঙ্কা দল।
শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের এমন সব কাণ্ডে অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে শুরু করেছে কেন হঠাৎ করেই খেলোয়াড়দের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ল ক্রীড়া মন্ত্রণালয়? স্পষ্ট করে কেউই বলছেন না, তবে ধারণা করা হচ্ছে যে দেশটি মনে করছে ভারতের সঙ্গে বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটিতে জুয়াড়িদের কাছ থেকে টাকা খেয়ে স্পট ফিক্সিংয়ের আশ্রয় নিয়েছিল শ্রীলঙ্কার কিছু কিছু ক্রিকেটার। এ বিষয়ে নাকি ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বোর্ডের আলোচনাও হয়েছে। তাদের সন্দেহের তীর অধিনায়ক সাঙ্গাকারা, ব্যাটসম্যান থারাঙ্গা, বোলার পেরেইরা, কুলাসেকারাদের দিকে।
বিশ্বকাপের ভারত-শ্রীলঙ্কা ফাইনাল ম্যাচটি ভালোভাবে বিশ্লেষণ করলে শ্রীলঙ্কার সন্দেহবাদীরা অবশ্য তর্কের রশদ পেতেও পারেন। সে ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট করতে নামা শ্রীলঙ্কা প্রথম ১০ ওভারে তুলে মাত্র ৩১ রান এক উইকেট হারিয়ে। ওপেনার থারাঙ্গা ২০ বল খেলে করেন মাত্র ২ রান। আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান দিলশান ৪৯ বলে করেন ৩৩ রান।
অবশেষে জয়াবর্ধনের কল্যাণে ভারতকে ২৭৫ রানের জয়ের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় শ্রীলঙ্কা। তবে লাসিথ মালিঙ্গা বাদে অন্যসব বোলার ঝলসে উঠতে ব্যর্থ হলে ৬ উইকেটের পরাজয়বরণ করতে হয় লঙ্কানদের। প্যারেরা ও কুলাসেকারা খুবই বাজে বল করেন। এদিন মাঠে শ্রীলঙ্কার ফিল্ডিং দেখেও যদি দাবি করা হয় লঙ্কান খেলোয়াড়রা স্পট ফিক্সিংয়ের কবলে পড়েছিল, তাহলেও প্রতিবাদ করার মতো খুব বেশি কিছু থাকবে না। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা সত্যিই জুয়াড়িদের কবলে পড়েছিল কি না তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে আইপিএল থেকে লঙ্কান ক্রিকেটারদের এমন তলবে মনে করা হচ্ছে দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সেই রকম কিছুর ইঙ্গিত পেয়েই কঠোরতা দেখাচ্ছেন খেলোয়াড়দের প্রতি।
No comments:
Post a Comment