Wednesday, December 29, 2010

চোর ধরলে পুরস্কার

রংপুরের পুলিশ সুপার সালেহ্ মুহাম্মদ তানভীর গরুচোর ও ডাকাত ধরতে পুরস্কার ঘোষণা করেছেন। গতকাল সোমবার বিকেলে বদরগঞ্জ থানা চত্বরে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এ ঘোষণা দেন তিনি। পুলিশ সুপার বলেন, গরু হচ্ছে কৃষকের সম্পদ। কৃষিকাজে গরুর অবদান রয়েছে। গরুচোর ও ডাকাতদের হাতেনাতে ধরতে পারলে তাৎক্ষণিক নগদ অর্থে পুরস্কৃত করা হবে। তিনি গ্রাম পুলিশের সমস্যার কথা শোনেন এবং তা সমাধানে উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দেন।

বিজ্ঞাপন

ইন্টারনেট সংযোগ: মাসিক মাত্র ৭০০ টাকায় ৫১২ কে বি পি এস তারবিহিন ওয়াইম্যাক্স ইন্টারনেট ঢাকা শহরে সরবরাহ করি। মডেম ১৩০০ টাকা। ৩৫৯ মুক্তবাংলা, মিরপুর -১।০১৭৩৩ ৯৯ ২৩ ৯৮

Friday, November 12, 2010

ডাকাত ঠেকাতে রাতভর পাহারা

রাজধানীর কদমতলী থানার হাবিবনগরে রাত নামতেই তরুণ ও বয়োজ্যেষ্ঠরা দল বেঁধে বেরিয়ে পড়েন পাহারা দিতে। সবার হাতে লাঠি ও টর্চ, মুখে বাঁশি। দুটি দলে ভাগ হয়ে তাঁরা প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তার এ-মাথা থেকে ও-মাথা পর্যন্ত টহল দেন। কয়েকজন দাঁড়িয়ে থাকেন গলিমুখে। সন্দেহজনক কাউকে আসতে দেখলেই সংকেত দেওয়া হয়।
গত সোম ও মঙ্গলবার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এই চিত্র। জানা গেছে, কেবল হাবিবনগর নয়, ঢাকার দক্ষিণে মহাসড়কসংলগ্ন কদমতলী ও ডেমরা থানাধীন ডগাইর, মুসলিমনগর, পারডগাইর, কোনাপাড়া, রায়েরবাগ, মেডিকেল রোড, বাদশা মিয়া রোড, মুজাহিদনগর, মেরাজনগর, কদমতলী, মোহাম্মদবাগসহ ডিএনডি বাঁধের ভেতরের সবগুলো মহল্লাতেই এই চিত্র।
ডাকাতদের হাত থেকে বাঁচতেই এত আয়োজন। এসব এলাকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটছে অহরহ। আর ডাকাত দলের উপদ্রব থেকে বাঁচতেই পুলিশের ওপর ভরসা না রেখে রাতভর এভাবেই পাহারা বসিয়েছে এলাকার মানুষ।
হাবিবনগর সমাজকল্যাণ সংঘের সভাপতি মনিরুল ইসলাম মানিক বললেন, ‘আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। শিশুদের জিম্মি করে, মারধর করে ডাকাতি হচ্ছে। ছেলেমেয়ের সামনে বৃদ্ধ বাবা-মাকে মারা হচ্ছে। এদের অত্যাচারের কারণেই সবাই কঠোর হয়েছেন।’ গত শুক্রবার রাতে এই হাবিবনগরেই ডাকাত সন্দেহে পাঁচজনকে পিটিয়ে মারা হয়।
কয়েকটি ঘটনা: ব্যবসায়ী জুয়েল মিয়ার সাড়ে তিন বছরের মেয়ে তাসমিয়া অন্তরা ভয়ে-আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। কুঁকড়ে থাকে সব সময়। গত মাসে ডাকাত হানা দিয়েছিল এই বাড়িতে। কলাপসিবল গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে তারা তাসমিয়াকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। একপর্যায়ে শিশুটির হাঁটুর ওপর ছোরার উল্টোপিঠ দিয়ে সজোরে আঘাত করে তারা। এর ১০ দিন আগে বাড়ির নিচতলা থেকে জুয়েলের ছোট ভাই সোহেলের মোটরসাইল চুরি হয়ে যায়।
এর এক সপ্তাহ আগে একসঙ্গে তিন বাড়িতে ডাকাতি হয়। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মাসুদ খানের ৭০ বছরের বৃদ্ধ বাবা আফজাল খানকে নির্মমভাবে মারধর করে ডাকাতেরা। আফজাল খান এখনো সোজা হয়ে হাঁটতে পারেন না।
মাসুদ খানের স্ত্রী আমেনা বিনতে আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাত ১২টা-সাড়ে ১২টার দিকে শাবল দিয়ে দরজা ভাঙতে থাকে ডাকাতেরা। টের পেয়ে চিৎকার শুরু করি। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে পড়ে ডাকাতেরা। ঘরে ঢুকেই বাবাকে দেখতে পেয়ে তাঁর পিঠে শাবল দিয়ে আঘাত করে। শোবার ঘরে ঢুকে একজন আমার চুলের মুঠি আর গলায় দা ধরে বলে, একটা শব্দও করবি না। ভারী জিনিসপত্র (গহনা) কোথায় রাখছিস। এসব বলতে বলতে তারা নিজেরাই আলমারি খুলে ফেলে। আমার কান থেকে দুল টেনে খুলে নেয়।’
হাজীর বিল (ক্যানাল পাড়) এলাকার বাসিন্দা মোশাররফের বাসায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুবার হানা দেয় ডাকাতেরা। গত আগস্ট মাসের শুরুতে এক মঙ্গলবার হানা দিয়ে এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে ব্যর্থ হয়ে ফিরে গেলেও পরের মঙ্গলবার আবারও হানা দেয় ডাকাতেরা। প্রায় দেড় মাস হাসপাতালে থেকে এসে এলাকা ছেড়েছেন কাপড় ব্যবসায়ী মোশাররফ। নিজের বাড়ি ভাড়া দিয়ে অন্য জায়গায় বাসা ভাড়া নিয়েছেন তিনি।
আতঙ্ক আরও বেড়েছে: এলাকাবাসী বলেছে, পাঁচ ডাকাত মারার পর হাবিবনগর এলাকার আতঙ্ক আরও বেড়েছে। শুক্রবার ভোরে ধরা পড়া এক ডাকাতের মুঠোফোনে কল এলে স্থানীয় এক যুবক সেই ফোন ধরে। অপর প্রান্ত থেকে হুমকি দেওয়া হয়, ‘ভালোয় ভালোয় ছাড়বি, নইলে তোদের এলাকার অবস্থা আরও কাহিল করে দেব।’ এর পর থেকে আতঙ্ক আরও বেড়েছে। অনেক ভাড়াটে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। সব রকম নাগরিক সুবিধা থাকা সত্ত্বেও এখানে বাড়িভাড়া এখন খুবই কম। তিন কক্ষের টাইলস করা বাড়ির ভাড়া সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা। তবু ভাড়াটে পাওয়া যায় না।
কঠোর নিয়মে পাহারা: এলাকার স্থানীয় যুবক লিটন, মানিকসহ অন্যরা জানান, আগে থেকেই এলাকায় পাহারা দেওয়া হতো। কিন্তু শিশু আর বৃদ্ধদের ওপর নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সবাই বসে পাহারা জোরালো করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর সাত দিনের মাথায়ই মারা পড়ল পাঁচ ডাকাত।
এলাকার স্থানীয় সামাজিক সংগঠনগুলো এ বিষয়ে কড়া নিয়ম চালু করেছে। এলাকাভেদে প্রতি সপ্তাহে বা ১৫ দিনে একবার প্রতি বাড়ি থেকে একজন করে লোককে পাহারায় অংশ নিতে হবে।
হাবিবনগর খানকা রোড পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন শিকদার জানান, এলাকায় প্রতি রাতে প্রায় ৩০ জন পাহারা দেন। বয়োজ্যেষ্ঠ ও যুবকদের দুটি দল খানকা রোড এলাকা পাহারা দেয়। এখানে প্রায় ১২০টি বাড়ি রয়েছে। প্রতি বাড়ি থেকে অন্তত একজনকে সপ্তাহে এক রাত পাহারা দিতে হয় এবং প্রতিটি বাড়ির বাইরে বাতি জ্বালানোর নিয়ম করা হয়েছে। তবে ২০ বছরের নিচে কাউকে পাহারায় নেওয়া হয় না। আর চাকরিজীবীরা পাহারা দেন বৃহস্পতি অথবা শুক্রবার রাতে।
উল্লেখ্য, গত ৪ সেপ্টেম্বর ডেমরার ডগাইরে ডাকাতদের হামলায় একজন নিরাপত্তারক্ষী নিহত হন এবং আহত হন আরও ছয়জন।
অপর্যাপ্ত পুলিশি তৎপরতা: ‘পুলিশ ডাকাইত পাহারা দিব কী, ডাকাইতে পুলিশরে চউক্ষে চউক্ষে রাহে।’ এভাবেই পুলিশ-ডাকাতের সমীকরণ ব্যাখ্যা দিয়েছেন হাবিবনগর এলাকার বাসিন্দারা।
কদমতলী থানা সূত্র জানায়, থানায় গাড়ি রয়েছে মাত্র একটি। সেই গাড়ি ব্যবহার করছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। প্রয়োজনে সেই গাড়ি দিয়েই কাজ চালানো হচ্ছে।
পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার গাজী মোজাম্মেল হক জানান, এলাকার মানুষ এখন বুঝতে পারছে যে পুলিশের জনবল পর্যাপ্ত নয়। এ কারণে তারা মাঠে নেমেছে, দল বেঁধে মহল্লা পাহারা দিচ্ছে। পুলিশও বিষয়টিকে উৎসাহিত করছে।
কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী আইয়ুবুর রহমান প্রথম আলোকে জানান, থানায় এখন ৫৫ জন কনস্টেবল ও ৪০ জন কর্মকর্তা (এসআই ও এএসআই) রয়েছেন। কয়েকটি গাড়ি রিকুইজিশন করে কাজ চালানো হচ্ছে। গত এক মাসে তিনটি ডাকাতি মামলা হয়েছে বলে তিনি জানান।

Thursday, September 30, 2010

 অর্ণবের ‘রোদ বলেছে হবে’




দুই বছর পর আসছে অর্ণবের নতুন অ্যালবাম। অর্ণব জানালেন, এটি তাঁর চতুর্থ একক অ্যালবাম। এর নাম রোদ বলেছে হবে। আর ৩ অক্টোবর অ্যালবামটি বাজারে আসছে অর্ণবের নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে। এরই মধ্যে তিনি নতুন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান গড়েছেন। এর নাম দিয়েছেন ‘আধখানা মিউজিক’।
অর্ণব বললেন, ‘যেহেতু অ্যালবামটি আমারই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে বের হচ্ছে, তাই বেশি ভালো লাগছে। অ্যালবামের পুরো কাজের ওপর আমার একটা নিয়ন্ত্রণ ছিল। অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে কাজ করতে গেলে অনেক অনুরোধ শুনতে হয়। এটা এখানে হয়নি। নিজের ইচ্ছামতো কাজ করেছি। যা পছন্দ হয়েছে, তা-ই চূড়ান্ত করেছি।’
তিনি জানালেন, এরই মধ্যে অ্যালবামের সব কটি গানের কথা, সুর ও স্বরলিপি কপিরাইটের আওতায় নিবন্ধন করিয়েছেন।
অর্ণব বললেন, ‘এই গানগুলো আমাদের সম্পদ। এগুলো যদি কপিরাইট নিবন্ধনের অভাবে পাইরেসি হয়ে যায়, তাহলে আমাদের থাকলটা কী? শ্রোতাদের অনুরোধ করব, সবাই আসল অ্যালবামটি কিনে শুনুন।’
অর্ণব তাঁর তিনটি একক অ্যালবামের প্রচ্ছদে নতুনত্ব আনার জন্য নানা ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর ভাষায়, ‘এরপর অন্যান্য প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ওই প্রচ্ছদগুলোর ভাবনা হুবহু কপি করেছে। এবার আরও আকর্ষণীয় করার চেষ্টা করেছি। সঙ্গে থাকছে ১৬ পাতার একটি কমিক বই। আমি চারুকলার ওপর পড়াশোনা করেছি। তাই কমিক বইটির লেখা ও আঁকা দুটোই নিজে করেছি।’
অ্যালবামের গানগুলো প্রসঙ্গে অর্ণব বললেন, ‘অ্যালবামটি শোনার পর শ্রোতারাই তা ভালো বলতে পারবে। আমি শুধু বলব, প্রতিটি অ্যালবামেই আমি নিজেকে ভাঙার চেষ্টা করি। নতুন কিছু যোগ করার চেষ্টা থাকে। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি।’
অ্যালবামটি বাজারে আনতে সহযোগিতা করছে রবি। রবি রেডিওতে সব কটি গানই পাওয়া যাচ্ছে। আর অ্যালবামটি বিপণনের দায়িত্বে আছে বিএস ডিস্ট্রিবিউশন।

‘আগে বউকে অত্যাচার করেছি এখন বুঝি, তা ভুল ছিল’

‘আগে বউ ও বোনকে মনের অজান্তে অনেক অত্যাচার করেছি, এখন বুঝতে পারি, তা ভুল ছিল। আগে মেয়েদের ইভ টিজিংয়ের শিকার হতে দেখলে হাসিঠাট্টা করতাম। আর এখন তা প্রতিরোধে এগিয়ে যাই।’
দিনাজপুরের আবুল বাসেত এভাবেই জানালেন তাঁর উপলব্ধির কথা। গতকাল বুধবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে কেয়ার বাংলাদেশের নারী নির্যাতন প্রতিরোধবিষয়ক প্রকল্প ‘প্রতিরোধ’-এর সফলতা প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।
‘প্রতিরোধ’ প্রকল্পটি সম্পর্কে জানানোর জন্য ব্র্যাক সেন্টারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
২০০৭ সাল থেকে শুরু হওয়া প্রকল্পটি খুলনা, দিনাজপুর, ঢাকা ও টাঙ্গাইলের যৌনকর্মী এবং নির্যাতনের শিকার নারীদের জন্য পরিচালনা করা হয়। প্রকল্পের উপকারভোগীরা এর মেয়াদ বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এ কে এম শহীদুল হক বলেন, ‘দেশে নির্যাতনের শিকার নারীদের জন্য আইন আছে। কিন্তু পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় নারীরা সহজে আইনের আশ্রয় নিতে চান না। এ জায়গায় এনজিওসহ বিভিন্ন সংস্থাকে মধ্যস্থতা করতে হবে।’
কমিশনার আরও বলেন, নারীরা নির্যাতনের শিকার হলেও সব নির্যাতনের ঘটনা রেকর্ড হচ্ছে না। যৌনকর্মীদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশে এ পেশাটি থাকলেও আইনে তার স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। তবে পুলিশকর্মীরা যৌনকর্মীদের সহায়তা করতে বাধ্য।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) চেয়ারপারসন হামিদা হোসেন নারী নির্যাতনের কারণ খুঁজে বের করা এবং পারিবারিক নির্যাতনের শিকার নারীদের জন্য করা আইনটি সংসদে দ্রুত পাসের ওপর গুরুত্ব দেন। প্রকল্প শেষ হলেই নারীদের আবার আগের অবস্থায় চলে যাওয়ার সমস্যা সমাধানের বিষয়টি জাতীয় পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে বলেও তিনি মত দেন।
ঢাকার যৌনকর্মীদের একটি সংগঠনের নেত্রী রাজিয়া বেগম বলেন, ‘ভাসমান যৌনকর্মীরা আগে থানা থেকে সাহায্য পেত না, বর্তমানে থানা সাহায্য করে। থানার বড় কর্মকর্তাসহ অন্যদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
প্রকল্পটির প্রয়োজনীয়তা প্রসঙ্গে দিনাজপুরের একটি মাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক আজিজুল হক বলেন, ‘যে ইউনিয়নে এ প্রকল্প চলছে, সেখানে বাল্যবিবাহের সুযোগ নেই। বিয়ের তথ্য সবাই জেনে ফেলে।’

পুরস্কৃত হলো তরুণদের তিনটি উদ্ভাবনী প্রযুক্তি

‘বিজয়ী হতে পেরে ভালো লাগছে। চেষ্টা করেছি ভালো কিছু করার, যার মাধ্যমে সত্যিকারের উপকার পাওয়া যাবে।’ এমন অনুভূতির কথা জানালেন সিটি ফাইন্যানশিয়াল আইটি কেস কম্পিটিশন (সিএফআইসিসি) প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য নাসির খান। তরুণ শিক্ষার্থীদের জন্য এ ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন বেশ সময়োপযোগী বলেও জানান তিনি।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ নেটওয়ার্কের (ডি.নেট) আয়োজনে এবং সিটি ফাউন্ডেশনের পৃষ্ঠপোষকতায় দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হলো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি প্রকল্পের প্রতিযোগিতা (সিএফআইসিসি)। গতকাল বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণ প্রকল্পকে পুরস্কৃত করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘আমাদের দেশের বড় একটি অংশের শিশুরা বিদ্যালয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় না। এর পরও যারা উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে, তারা যথেষ্ট সৌভাগ্যবান।’ তিনি বলেন, শুরু থেকে অর্ধেক শিশু বিদ্যালয়ে যায়, যার মধ্যে বড় একটি অংশ প্রাথমিক পর্যায় পার করার আগেই ঝরে পড়ে। তিনি বলেন, উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হলেই আসলে মানুষ হওয়া যায় না, এর জন্য প্রয়োজন নৈতিক শিক্ষা। একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষ নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমে পূর্ণ শিক্ষিত হতে পারেন।
পরে প্রধান অতিথি বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। প্রতিযোগিতায় সেরা হয়েছে ইউনাইটেড আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোর ডাইমেনশন দলের তৈরি সেবাধর্মী ব্যবসা বিষয়ে গ্রাহকদের সন্তুষ্টি সম্পর্কে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন একটি সফটওয়্যার প্রকল্প। বিজয়ী দলের সদস্যরা হলেন ফিরোজ ব্যাপারী, সাবরিনা হক, আমিনুল ইসলাম ও নাসির খান। বিজয়ী দল পুরস্কার হিসেবে পেয়েছে পাঁচ হাজার ডলার।
প্রথম রানার্সআপ হয়েছে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের স্ট্রেইড দলের ডিআইএফ মাইক্রো ব্যাংকিং সলিউশন প্রকল্প এবং দ্বিতীয় রানার্সআপ হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অক্টাভিয়ান দলের ভার্চুয়াল মানি ট্রান্সজেকশন প্রকল্প। প্রথম রানার্সআপ ও দ্বিতীয় রানার্সআপ দল পুরস্কার হিসেবে পেয়েছে যথাক্রমে দুই হাজার ডলার ও এক হাজার ডলার।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন সিটি কান্ট্রি কর্মকর্তা মামুন রশিদ। দ্বিতীয় সিএফআইসিসি সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন প্রতিযোগিতার পরিচালক মাহমুদ হাসান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অধ্যাপক সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার, বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, ডি. নেটের নির্বাহী চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, মাইক্রোসফট বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার ফিরোজ মাহমুদসহ প্রতিযোগিতার বিচারকেরা। অনুষ্ঠান শেষে সবাইকে ধন্যবাদ জানান ডি.নেটের নির্বাহী পরিচালক অনন্য রায়হান।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এই প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য ছিল বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির সফল প্রয়োগের জ্ঞান বাড়ানো। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্নাতক স্তরের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে প্রতিযোগিতায় তিনটি ধাপের মাধ্যমে বিজয়ী নির্বাচন করা হয়। প্রতিযোগিতার বিজয়ী দলের আর্থিক পুরস্কার ছাড়াও ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।

মুঠোফোনে ফরম বিতরণ শুরু আজ, ভর্তি পরীক্ষা ৪ নভেম্বর

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তি পরীক্ষার আবেদনপত্র বিতরণ আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে। এবার তিনটি অনুষদের সাতটি বিভাগে শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। আগ্রহী শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ কমাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মুঠোফোনে খুদে বার্তা (এসএমএস) আদান-প্রদানের মাধ্যমে ভর্তি ফরম বিতরণ শুরু করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ভর্তি ফরম গ্রহণ ও জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২০ অক্টোবর। ২৫ অক্টোবর ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা ও ক্রমিক নম্বর প্রকাশ করা হবে। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৪ নভেম্বর এবং ফলাফল প্রকাশ করা হবে ১১ নভেম্বর।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ‘ক’ ও ‘খ’ দুটি গ্রুপে ফরম বিতরণ করা হবে। ‘ক’ গ্রুপে রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগগুলো এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ। ‘খ’ গ্রুপে রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগগুলো, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগ। ভর্তি পরীক্ষার ফি ‘ক’ বিভাগের জন্য ৪৫০ টাকা এবং ‘খ’ বিভাগের জন্য ৫৫০ টাকা।
বিদেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা খুদে বার্তার মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন না। এসব শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে আবেদন ফরম ডাউনলোড করে নিতে হবে। এরপর নির্ধারিত ফি সোনালী ব্যাংক চুয়েট শাখায় পরিশোধ করে পূরণ করা আবেদন ফরম রেজিস্ট্রার অফিসে জমা দিতে হবে। চুয়েটের ওয়েবসাইট: www.cuet.ac.bd

অনলাইনে আবেদনপত্র ১৮ অক্টোবর থেকে

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক সম্মান শ্রেণীতে ভর্তির আবেদনপত্র ১৮ অক্টোবর থেকে অনলাইনে পাওয়া যাবে। ভর্তি পরীক্ষা হবে ১৭ ডিসেম্বর।
গতকাল বুধবার গাজীপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রথম বর্ষ সম্মান শ্রেণীতে অনলাইন ভর্তিবিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধনকালে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য তোফায়েল আহমদ চৌধুরী এসব তথ্য জানান।
কর্মশালায় জানানো হয়, শিক্ষার্থীরা ১৮ অক্টোবর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদনপত্র জমা দিতে পারবে। এ ক্ষেত্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে আবেদনপত্র পূরণ করার পর একটি প্রিন্ট কপি আবেদন ফিসহ সংশ্লিষ্ট কলেজে জমা দিতে হবে।
উচ্চমাধ্যমিকে মানবিক বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের www.nu-ba.info, ব্যবসায় শিক্ষার শিক্ষার্থীদের www.nu.bbs.info, বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীদের www.nu-bsc.info ওয়েবসাইটে ভর্তির জন্য আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে। ভর্তি পরীক্ষা ১৭ ডিসেম্বর শুক্রবার বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকপূর্ব শিক্ষাবিষয়ক স্কুলের ডিন মোবাশ্বেরা খানমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সহ-উপাচার্য (একাডেমিক) আবু সাঈদ খান, কম্পিউটার ও আইসিটি ইউনিটের পরিচালক মুমিনুল ইসলাম প্রমুখ বত্তব্য দেন।

হাইড্রোলিক হর্ন আমদানি নিষিদ্ধ হচ্ছে

শব্দ ও পরিবেশদূষণ রোধে হাইড্রোলিক হর্ন আমদানি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যোগাযোগ মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠক শেষে যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। যোগাযোগসচিব মোজাম্মেল হক খান ও স্বরাষ্ট্রসচিব আবদুস সোবহান শিকদার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক সম্পর্কে যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘রাজধানীর যানজট নিরসন এবং পরিবহনব্যবস্থার উন্নয়নে বাস-র‌্যাপিড-ট্রানজিট (বিআরটি) পদ্ধতি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য ছয়টি করিডরও চূড়ান্ত করা হয়েছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে উত্তরা-টঙ্গী-গাজীপুর করিডর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা হবে। ২০১২ সালে এর নির্মাণকাজ শুরু হবে।
প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করা অন্য পাঁচটি করিডর হচ্ছে যাত্রাবাড়ী থেকে কাঁচপুর, শ্যামপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ, দারুস সালাম থেকে সাভার, টঙ্গী থেকে আশুলিয়া ও খিলক্ষেত থেকে পূর্বাচল।
মন্ত্রী বলেন, রুট পারমিটের যেসব আবেদন রয়েছে, সেগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যানবাহনে এফএম রেডিও সংযোগের বিষয়ে আগের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা হাইওয়েতে চলতে না পারার বিষয়টি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান।
বৈঠকে বিআরটিএকে দক্ষ ও শক্তিশালী করতে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস এবং আরও জনবল নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়া রাজধানীতে মিনিবাসের পরিবর্তে বড় বাস নামানোর জন্য মালিকদের প্রতি অনুরোধ করা হয়।

সোনার পুতুলের নামে প্রতারণা

ঘটকের মাধ্যমে যোগাযোগ হয় বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার জিয়ানগর সোনারপাড়া গ্রামের আমজাদ হোসেনের সঙ্গে। আমজাদ হোসেনের মেয়ের সঙ্গে বিয়ের কথাবার্তা পাকাপাকি হলে ঈদের আগে আমজাদ হোসেন জানান, মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার মতো টাকা তাঁর নেই, তবে একটি সোনার পুতুল আছে। পুতুলটির দাম অনেক। তিন লাখ টাকা দিয়ে ওই পুতুল নিয়ে বাকি টাকা যৌতুক হিসেবে গ্রহণ করবেন।
সেই কথামতো গত ১১ সেপ্টেম্বর আমজাদ হোসেনকে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা দিয়ে সোনার পুতুল নিয়ে যান সিরাজগঞ্জের মিরপুর সদর রেল কলোনির বাসিন্দা মনোয়ারা বেগম। কিন্তু দোকানে নিয়ে জানতে পারেন পুতুলটি তামার। পরে টাকা উদ্ধারের জন্য আমজাদ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ভয়ভীতি, এমনকি প্রাণনাশেরও হুমকি দেন। বাধ্য হয়ে থানায় মামলা করেন তিনি।
অভিযোগ রয়েছে, দুপচাঁচিয়া উপজেলার জিয়ানগর ইউনিয়নের সোনারপাড়া ও গুনাহার ইউনিয়নের তালুচবাজারসংলগ্ন কয়েকটি গ্রামের অনেকেই নকল সোনার পুতুল ব্যবসায় জড়িত। এসব ব্যবসায়ী স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিক ও পুলিশ প্রশাসনকে হাত করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ওই সব গ্রামের লোকজন সোনার পুতুলের লোভ দেখিয়ে বিভিন্নজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে এলাকায় নিয়ে আসে। তারপর সোনার প্রলেপ দেওয়া পুতুল ক্রেতাদের হাতে দিয়ে পুতুলের সোনার সামান্য টুকরো ক্রেতাদের ভেঙে দেয়। ওই অংশ পরীক্ষা করে সোনার প্রমাণ পাওয়ার পর ক্রেতারা ওই পুতুল লাখ লাখ টাকা দিয়ে কিনে নেন। কিন্তু প্রতারিত হয়ে টাকা উদ্ধার করতে এলে স্থানীয় লোকজনের হাতে নির্যাতনের শিকার হন অথবা কোনো ক্রেতা পুতুল না কিনে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয় দুর্বৃত্তরা তাঁদের টাকা কেড়ে নেয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রতি মাসেই চার-পাঁচজন মানুষ সোনার পুতুল কিনতে এসে প্রতারণার শিকার হন। তবে গত এক বছরে এ ধরনের প্রতারণার শিকার হয়ে থানায় মাত্র আট-নয়টি মামলা হয়েছে। পুলিশ ১৪-১৫ জনকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু প্রতারকেরা খুব সহজেই ছাড়া পেয়ে আবার ব্যবসা শুরু করে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের জয়দেবপুরের শিরিন আকতার সোনার পুতুল কিনতে এসে এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা খুইয়ে থানায় মামলা করেন। একইভাবে প্রতারণার শিকার হয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সেনাসদস্যের মা ও গোপালগঞ্জের এক পুলিশ কর্মকর্তার আত্মীয়। এই দুই ঘটনায় ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের চাপে থানার পুলিশ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় কিছু টাকা উদ্ধার করে দিয়েছে, তবে কোনো মামলা হয়নি।
উপজেলার তালুচবাজার পরিচালনা কমিটির সম্পাদক আবুল কালাম বলেন, স্থানীয় রাজনীতিক, জনপ্রতিনিধি ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজনকে ম্যানেজ করেই এলাকায় এ ব্যবসা চলছে। গুনাহার ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম খান এলাকায় পুতুল ব্যবসার কথা স্বীকার করে বলেন, এ ব্যবসায় পুলিশ সরাসরি জড়িত। পুলিশ ইচ্ছা করলেই এ ব্যবসা বন্ধ করতে পারবে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান খান বলেন, নকল পুতুল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে রাজনীতিকদের কোনো সম্পর্ক নেই।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, থানার কোনো পুলিশ কর্মকর্তা এ ঘটনায় জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি সুফিয়া নাজিম বলেন, এলাকায় লিফলেট বিতরণ ও পোস্টার সাঁটিয়ে গণসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এ ঘটনা রোধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের পরামর্শ এবং প্রতারিত ব্যক্তিরা থানায় এলে পুলিশকে মামলা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।