Saturday, September 25, 2010

মহাকাশ স্টেশনে ফিরে গেলেন তিন নভোযাত্রী

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে পৃথিবীতে আসার সময় প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে তিনজন নভোযাত্রী আবার ওই স্টেশনে ফেরত গেছেন। রাশিয়ার সয়ুজ নভোযানে করে দুই রুশ ও এক মার্কিন নভোযাত্রী পৃথিবীর দিকে রওনা হওয়ার কথা ছিল। আজ শনিবার পর্যন্ত তাঁদের যাত্রা স্থগিত করা হয়েছে।
রাশিয়ার কেন্দ্রীয় মহাকাশ সংস্থা রসকসমস জানায়, তিন নভোযাত্রী পৃথিবীর পথে যাত্রা করলে হঠাৎ করেই বিভিন্ন কম্পিউটার প্রযুক্তিগত সমস্যার সংকেত দেয়। এ ধরনের সংকেতের কারণ এখনো অস্পষ্ট। রসকসমসের প্রধান আনাতোলি পারমিনভ সাংবাদিকদের জানান, প্রযুক্তিবিদদের প্রাথমিক বিশ্লেষণে জানা গেছে, কম্পিউটার কোনো কারণে ভুল সংকেত গ্রহণের কারণে এ সমস্যা হয়ে থাকতে পারে। মহাকাশ স্টেশন থেকে নভোযান সয়ুজের প্রবেশের দরজা বন্ধ করার পর এ সমস্যা হয়।

৪০০ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া ভাষার সন্ধান




ভাবের আদান-প্রদানের স্বার্থেই ভাষার আবির্ভাব ঘটে মানবজীবনে। কালের বিবর্তনে পৃথিবীতে যেমন বহু ভাষার আগমন ঘটে, তেমনি নানা কারণে বহু ভাষা হারিয়েও যায়। তেমনি কয়েক শ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া একটা ভাষার সন্ধান পেয়েছেন প্রত্নতাত্তি্বকরা। ৪০০ বছরের পুরনো একটি চিঠির উল্টোদিকে ভাষাটির লিখিত রূপ পাওয়া গেছে। পেরুর ১৭ শতকের একটি খনন এলাকা থেকে প্রত্নতত্ত্ববিদরা চিঠিটি আবিষ্কার করেন। চিঠির উল্টোদিকের আঁকিবুকি দেখে তাঁরা ধারণা করছেন, পেরুর উত্তরাঞ্চলীয় আদিবাসীদের হারিয়ে যাওয়া ভাষা এটি।
পেরুর রাজধানী লিমার ৩৪৭ মাইল উত্তরে ত্রুজিল্লোর কাছে এল ব্রুজো প্রত্নতাত্তি্বক খনন এলাকায় ১৭ শতকের ম্যাগদালেনা ডি কাও ভিয়েজো গির্জার ধ্বংসাবশেষে অনুসন্ধান চালান আন্তর্জাতিক প্রত্নতত্ত্ববিদদের একটি দল। চিঠিটি পাওয়া যায় গির্জার ধ্বংসাবশেষের ইটের স্তূপের ভেতরে। গির্জাটিতে ২০০ বছর ডোমিনিকান খ্রিস্টান ভিক্ষুদের বসবাস ছিল। চিঠিটি ২০০৮ সালে পাওয়া গেলেও এত দিন বিষয়টি গোপন রাখা হয়। কারণ, প্রত্নতাত্তি্বকরা ভাষাটির ব্যাপারে সঠিক তথ্য-প্রমাণ জোগাড় করতে সময় নিতে চেয়েছেন। চলতি মাসে আমেরিকান নৃতত্ত্ববিদদের জার্নালে চিঠিটি প্রকাশ করা হয়েছে।
হার্ভার্ডস পিবডি মিউজিয়াম অব আর্কিওলজি অ্যান্ড এথনোলজির প্রত্নতাত্তি্বক জেফরি কুইল্টার বলেন, 'গবেষণা থেকে এটাই প্রতীয়মান যে চিঠিটিতে একটি ভাষার প্রমাণ মেলে, যা কয়েক শ বছর আগে পৃথিবী থেকে হারিয়ে গেছে। ভাষাটি সংখ্যাতাত্তি্বক।'
প্রত্নতাত্তি্বকরা চিঠিটির একটি কপি প্রকাশ করেছেন। তাতে দেখা যায়, স্প্যানিশ ভাষায় লিখিত কতগুলো সংখ্যার একটি কলাম এবং ওই সংখ্যাগুলোর সামনে তার অনুবাদ রয়েছে। তবে যে ভাষায় অনুবাদ হয়েছে সেই ভাষাটির অস্তিত্ব এখন আর নেই।
কুইল্টার বলেন, 'যে ভাষাটি আবিষ্কৃত হয়েছে, তা ১৬ কিংবা ১৭ শতকেও কেউ দেখেনি বা শোনেনি।' তবে তিনি জানান, ভাষাটিতে 'কোয়েচুয়া' নামের একটি প্রাচীন ভাষার প্রভাব রয়েছে।
কোয়েচুয়া ভাষায় এখনো আন্দেজ এলাকার কয়েক লাখ লোক কথা বলে। তিনি এও জানান, এটা স্প্যানিশ ঔপনিবেশিক যুগের একটা ভাষার লিখিত রূপও হতে পারে। পেরুর উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলের জেলেরা (স্প্যানিশ ভাষায় যাদের পেসকাদোরা বলা হয়) ওই ভাষায় কথা বলত। তবে পেসকাদোরা ভাষার কোনো তথ্য সংরক্ষিত নেই।

আপাতত চলচ্চিত্রেই




নওশীনের প্রথম চলচ্চিত্র সুয়া চান পাখি। এই ছবির কাজের সময় তিনি বলেছিলেন, ভালো চরিত্র পেলে চলচ্চিত্রে নিয়মিত কাজ করবেন। প্রথম ছবির কাজ শেষ হওয়ার আগেই নওশীন হ্যালো অমিত নামের আরও একটি ছবির কাজ শুরু করেছেন। এ দুটো ছবির কাজ নিয়ে তিনি ভীষণ ব্যস্ত। তিনি বললেন, ‘এখন এই দুটো চলচ্চিত্রেই বেশি মনোযোগ দিচ্ছি।’
নওশীন জানালেন, চলচ্চিত্রের ব্যস্ততার কারণে নাটকের জন্য আলাদা করে তেমন সময় দিতে পারছেন না। তিনি বললেন, ‘আগামী ১ অক্টোবর যেতে হবে যুক্তরাষ্ট্রে। সেখান থেকে ফিরেই আবার চলচ্চিত্রের শুটিং। নাটকে অভিনয় করব, তবে এখন নয়। ছবি দুটি শেষ হওয়ার পরই নাটকের কাজ শুরু করব। তবে খুব বেশি নাটকে কাজ করতে চাই না।’
এবার ঈদে হাতেগোনা মাত্র কয়েকটি কাজ করেছেন নওশীন। তিনি বললেন, ‘ভালো মানের অল্প নাটকে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি। কারণ, এবার ঈদে যে কটি নাটকে কাজ করেছি, অনেকের কাছ থেকেই এর প্রশংসা পেয়েছি।’

পরীক্ষায় প্রতিবন্ধীরা ১৫ মিনিট অতিরিক্ত সময় পাবে

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাসহ দেশের সব পাবলিক পরীক্ষায় প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ১৫ মিনিট সময় বরাদ্দ দেওয়া হবে। এ বছর প্রথম অনুষ্ঠেয় জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা (জেএসসি) এবং জুনিয়র স্কুল দাখিল পরীক্ষা (জেডিসি) থেকে এই সুযোগ পাবে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা। এ পরীক্ষায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের পাশাপাশি সেরিব্রাল পালসিজনিত (অপরিণত মস্তিষ্কে আঘাতজনিত কারণে শারীরিক প্রতিবন্ধিতা) এবং শারীরিক প্রতিবন্ধীরাও প্রথমবারের মতো শ্রুতিলেখক নিয়োগের সুযোগ পাবে।
গত বুধবার আন্তশিক্ষা বোর্ডের সভায় এ বিষয়টি চূড়ান্তভাবে অনুমোদন পেয়েছে।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ফাহিমা খাতুন প্রথম আলোকে বলেন, গত মে মাসে উপকমিটির সভায় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত সময় হিসেবে ১৫ মিনিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। গতকাল শ্রুতিলেখক নিয়োগ এবং অতিরিক্ত ১৫ মিনিট সময় বরাদ্দের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে।
জেএসসি পরীক্ষাসংক্রান্ত নীতিমালাতেও এ বিষয় দুটির উল্লেখ আছে। পাবলিক পরীক্ষায় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য সময় বাড়াতে প্রতিবন্ধীদের সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরে আবেদন জানিয়ে আসছিল। অন্যদিকে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের সঙ্গে অন্য প্রতিবন্ধীদের জন্য স্ক্রাইবার বা শ্রুতিলেখক নিয়োগের বিষয়টিও বিভিন্নভাবে সরকারের দৃষ্টিতে আনা হয়। ৮ সেপ্টেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এক চিঠিতে জানানো হয়, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং শারীরিক প্রতিবন্ধীদের (হাত নেই বা হাতের গঠন এমন যে সেই হাত দিয়ে লেখা সম্ভব নয়) তাদের জন্য শ্রুতিলেখক নিয়োগের ব্যাপারে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটিতে বিষয়টি আলোচনা হয় এবং সবাই এ বিষয়ে একমত প্রকাশ করেন। সভা সূত্র জানায়, এখন থেকে সব পাবলিক পরীক্ষায় সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরাও শ্রুতিলেখক নিয়োগের সুযোগ পাবে। তবে এ জন্য তাদের যথাযথ প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রবেশপত্র হাতে পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করতে হবে। আবেদন করার এক বা দুই কর্মদিবসের মধ্যে এ-সংক্রান্ত অনুমতিপত্র দেওয়া হবে।
তবে প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার জন্য অতিরিক্ত ১৫ মিনিট সময় বরাদ্দ দেওয়াকে পর্যাপ্ত মনে করছেন না জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের সভাপতি খন্দকার জহুরুল আলম। তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত এক ঘণ্টা সময় দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছি। কেননা, শ্রুতিলেখকের সাহায্যে পরীক্ষা দিতে অনেক সময় বেশি লাগে। তার পরও সরকারের এ উদ্যোগ প্রশংসনীয়।’
ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, প্রথম উদ্যোগ হিসেবে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষায় ১৫ মিনিট সময় বাড়ানো হয়েছে। ভবিষ্যতে বিষয়টি আরও পর্যালোচনা করা হবে।

সজিনা' ফলবে বারো মাস




কাপ্তাই উপজেলার নারানগিরি এলাকায় রাইখালী কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে উদ্ভাবিত ভেষজ গুণসমৃদ্ধ মৌসুমি সবজি সজিনা এখন সারা বছরই গাছে ধরবে। একটি মৌসুমি সবজি সারা বছরের উৎপাদন লাভের সাফল্যে দেশে এক দুর্লভ অর্থকরী ফসলের সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত করেছে বলে কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা মত প্রকাশ করেছেন।
সজিনা ভেষজ গুণসমৃদ্ধ একটি ঔষধি সবজি ফসলের জাত। সাধারণ মানুষের নৈমিত্তিক আহারে সজিনা একটি প্রিয় সবজি। সুস্বাদু, পুষ্টিকর তদুপরি ঔষধি গুণান্বিত এ সবজির চাহিদা এবং দামি হলেও দেশে এর আবাদে তেমন উদ্যোগী ভূমিকা না থাকায় সজিনা প্রায় বিলুপ্ত ফসলের জাতে পরিণত হয়। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যে সজিনা গাছে ধরে এবং পুরো বছরে মাত্র ৮-১০ দিন এ সজিনা চড়া দামে বাজারে পাওয়া যায়। সম্প্রতি রাইখালী কৃষি গবেষণা কেন্দ্র সজিনার ওপর গবেষণা চালিয়ে এ দুর্লভ উদ্ভিদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার পাশাপাশি এর বারোমাসি জাত উদ্ভাবনে সাফল্য অর্জনে সক্ষম হয়।

সজিনা তরকারির তালিকায় অনেকের প্রিয় একটি সবজি। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এই জাতীয় সবজি অনেকের প্রত্যাশা থাকলেও দুষ্প্রাপ্য ও দুর্মূল্যের কারণে বাজারে সহজে এ সবজি মেলে না। তদুপরি মৌসুমি ফসল হিসেবে যখন তখন এটি বাজারে পাওয়াও যায় না। বাংলা নববর্ষে মিশ্র সবজির তরকারি রান্নায় সজিনার সমন্বয় ঘটাতে প্রত্যয়ী হয়ে পড়ে অনেকে। বাজারে তখন আঁটি আকারে সজিনা সবজির প্রতিযোগিতামূলক বিকিকিনিও দেখা যায়। ভরা মৌসুমেও সজিনার অপর্যাপ্ততায় বাজারে সজিনার চাহিদায় ক্রেতাদের মধ্যে কেনার প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করে।
রাইখালী কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে সরেজমিনে সজিনার ওপর গবেষণা ক্ষেত্র পরিদর্শন করে দেখা গেছে, সজিনা ধরার মৌসুম ফেব্রুয়ারি-এপ্রিল হলেও গবেষণা বাগানের গাছে ফুল আর ফসলের পর্যায়ক্রমিক উৎপাদনের সমারোহ। একদিকে ফুল অপরদিকে কচি সজিনা এবং অন্যদিকে পরিপক্ব সজিনা শিম জাতীয় ফসল। একই গাছে পর্যায়ক্রমে সজিনা ধরার এই আবহ আগামীতে এ জাতীয় ফসলের বারোমাসি উৎপাদনের সম্ভাবনার পরিবেশ তৈরি করেছে।
রাইখালী কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এস এম হারুনুর রশিদ জানান, গবেষণাকৃত সজিনার গাছে ফুল আর ফল দুটোই এক সঙ্গে ধরেছে। দেশে কোথাও একই গাছে এই ধরনের ফলনের অবস্থা দেখা যায়নি। নতুনভাবে এখানে সজিনার ফলনের পরিবেশ বারোমাসি জাতের উদ্ভাবনের সম্ভাবনা বিরাজমান। দেশের মাটি ও আবহাওয়ায় সজিনা আবাদের অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। এ অবস্থায় সজিনার বারোমাসি আবাদের সম্ভাবনা কাজে লাগানোর যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। সজিনার বর্তমান চাহিদা এবং এর বাজার দাম হিসেবে এই সবজি আবাদে সহজলভ্যতার পাশাপাশি আর্থিক উপার্জনেরও সম্ভাবনার দিক উন্মোচিত করবে।
সম্ভাব্যতাকে সার্থক করতে দেশের মাটি ও আবহাওয়ার অনুকূল পরিবেশে সজিনা আবাদ প্রত্যন্ত এলাকায় ছড়িয়ে দিতে রাইখালী কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে ইতিমধ্যে সজিনার গবেষণা ও আবাদের ব্যাপ্তি ঘটাতে ব্যাপক প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে। বারোমাসি সজিনার বাণিজ্যিক চাষাবাদে কৃষকদের মাঝে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ব্যাপক সম্ভাবনা বিরাজমান বলে কৃষি বিজ্ঞানীরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আগামী মাসেই ‘আলোর পিঠে আঁধার’





গায়িকা কৃষ্ণকলি ইসলামের প্রথম অ্যালবাম সূর্যে বাঁধি বাসা এসেছিল বেঙ্গল মিউজিক থেকে। আগামী অক্টোবরে আসছে তাঁর দ্বিতীয় একক আলোর পিঠে আঁধার। এখন পর্যন্ত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত না হলেও অ্যালবামটি পুরোপুরিভাবে প্রস্তুত হয়ে আছে। শিল্পীর মাধ্যমে জানা গেছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানও চূড়ান্ত হয়ে যাবে। কৃষ্ণকলি ইসলাম আট মাস ধরে তাঁর দ্বিতীয় একক অ্যালবামের কাজ করে আসছিলেন। আ্য্যলবামে মোট গান থাকছে আটটি। সবগুলো গানের কথা, সুর ও সংগীত করেছেন কৃষ্ণকলি নিজেই। অ্যালবামে গানের কথাগুলো হচ্ছে: ‘আলো ফোটা খুব ফোটা’, ‘ঘুরে ঘুরে’, ‘গল্প ছিল আকাশেতে’, ‘সাদামাটা চেহারার অফিসার’, ‘নাচতো কালি’, ‘চাঁদ খুঁজে খুঁজে’, ‘যাও হারাও’ এবং ‘হাত ধরেছি হাঁটছি’।
অ্যালবামটি প্রসঙ্গে কৃষ্ণকলি ইসলাম বলেন, ‘আমি সাধারণত যে ধরনের গান করে থাকি, সে রকমই কিছু নতুন গান থাকছে এবারের অ্যালবামে। ‘আলোর পিঠে আঁধার’-এ কাজ করতে গিয়ে বেশ কিছু যন্ত্রণাদায়ক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হয়েছে। আমার এই অ্যালবামে দেশি বাদ্যযন্ত্র ব্যবহারের চেষ্টা করেছি, যা নিঃসন্দেহে শ্রোতাদের ভালো লাগবে। এ ছাড়া আমার অ্যালবামে পাহাড়ি সুরের কয়েকটি গানও রয়েছে। বব মার্লেকে অনুসরণ করেও একটি গান থাকছে অ্যালবামটিতে। থাকছে আরাধনা সংগীতও। সবকিছু মিলিয়ে অন্যরকম একটি অ্যালবাম হচ্ছে আলোর পিঠে আঁধার।’

প্রতি কেজি ঘি-মাখনের দাম তিন পয়সা!

প্রতি কেজি গাওয়া ঘি, খাঁটি মাখনের দাম তিন পয়সা। শুধু তা-ই নয়, পটোল, ফুলকপি, বাঁধাকপি, চালকুমড়া, গাজর, ঝিঙেসহ ১১ ধরনের সবজির কেজি এক থেকে তিন পয়সা।
এটাকে কোনো বাজার বা হাটের মূল্যতালিকা মনে করে খুশি হওয়ার সুযোগ নেই। মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের পথ্য সরবরাহের দরপত্রে এই দাম ধরা হয়েছে। এই দাম উল্লেখ করে খাদ্য সরবরাহের আদেশ পেয়েছে আল আমিন এন্টারপ্রাইজ।
তবে রোগী ও সেবিকাদের অনেকেই অভিযোগ করেন, সরকার-নির্ধারিত খাদ্যতালিকার সঙ্গে ঠিকাদারের সরবরাহ করা খাবারের কোনো মিল থাকে না। অধিকাংশ রোগী পুষ্টিকর খাবার পাচ্ছে না। তারা বাইরে থেকে খাবার কিনতে বাধ্য হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলতি বছর পথ্য সরবরাহের জন্য গত ২ আগস্ট দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে সাতটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। সর্বনিম্ন দর প্রস্তাব করে গত ৩০ আগস্ট খাবার সরবরাহের কাজ পায় আল আমিন এন্টারপ্রাইজ। এর স্বত্বাধিকারী মো. নুরুল আমিন সরদার।
দরপত্রে প্রতি কেজি মসলা ২৫-৫০ পয়সা, কাঁচামরিচ ও রসুন এক টাকা, খাঁটি ছানার রসগোল্লা ও চমচমের মূল্য এক টাকা এবং প্রতিটি কচি ডাব ২৫ পয়সা উল্লেখ করা হয়েছে। এভাবে ওই দরপত্রে চাল, ডাল, মাছ, মাংস ছাড়া অন্য সব খাদ্যপণ্যের দাম অবিশ্বাস্যভাবে কম দেখানো হয়েছে।
শিবচরের পৌরবাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি গাওয়া ঘিয়ের দাম ৬০০ টাকা, কাঁচামরিচ ৫০ টাকা, রসুন ২০০ টাকা, আলু ১৪ টাকা, পটোল ১৬ টাকা, ফুলকপি-বাঁধাকপি প্রতি পিস ১৫-২০ টাকা, চালকুমড়া ১৫ টাকা, কচি ডাব ১৫ টাকা এবং রসগোল্লা ও চমচম ১৪০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে।
ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে জানা যায়, প্রত্যেক রোগীকে প্রতিদিন ৭৫ টাকার মধ্যে ৪০০ গ্রাম চাল, ৫০ গ্রাম করে চিনি ও ঘি, ৭৫ গ্রাম পাউরুটি, একটি করে ডিম ও কলা, ১৩৮ গ্রাম মাছ/মাংস এবং ২০০ গ্রাম তরকারি দেওয়ার কথা থাকলেও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বাস্তবে তা দিচ্ছে না।
হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি জামাল হাওলাদার গতকাল বলেন, ‘গত ১২ দিনে দুপুরে ও রাতে মোটা চালের ভাত, পাঙাশ মাছ ও পাতলা ডাল খেতে দিয়েছে। সকালে পাউরুটি, ডিম আর চিনি দেওয়া হয়। পাউরুটি থেকে দুর্গন্ধ পাওয়া যায়। ঈদের দিন মাংস দিয়েছিল। এখন বাড়ি থেকে এনে খাই।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই সেবিকা বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিম্নমানের খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। গত সাত বছরে ঘি, মাখন ও কচি ডাব রোগীদের দিতে তাঁরা দেখেননি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মতিউর রহমান বলেন, ‘এই মূল্যতালিকা দেখে আমিও বিস্মিত হয়ে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে মো. নুরুল আমিন সরদার পথ্য সরবরাহের কাজ পেয়েছেন। তবে নির্ধারিত খাবার তাঁকে অবশ্যই সরবরাহ করতে হবে।’
মাদারীপুরের সিভিল সার্জন আবু বক্কর মোল্লা মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, অনেক বছর ধরে এভাবেই দরপত্র-প্রক্রিয়া চলছে।
‘গতবার সঠিক দাম ধরেও খাদ্য সরবরাহের আদেশ পাইনি’ উল্লেখ করে ঠিকাদার নুরুল আমিন সরদার বলেন, ‘যেসব খাদ্যদ্রব্য কম লাগে, আমার তালিকায় সেগুলোর দাম কম ধরা হয়েছে। চাল, ডাল, মাছ, মাংসের দাম বর্তমান বাজার অনুযায়ী ধরা হয়েছে।’

সারা দেশে ২৭ হাজার মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে

চলতি বছরে শারদীয় দুর্গোত্সবে সারা দেশে প্রায় ২৭ হাজার মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় এক হাজার বেশি। আজ নগরের ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি সুব্রত চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল (অব.) সি আর দত্ত বীর উত্তম।
দেশের সব জেলা থেকে প্রতিনিধিরা সভায় যোগ দেন এবং আসন্ন শারদীয় দুর্গোত্সবের প্রস্তুতি ও নানা সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন।
সভায় বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতারা জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনেই অর্পিত সম্পত্তি (শত্রুসম্পত্তি) আইনের অভিশাপ থেকে জাতিকে মুক্তি দিতে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন।
সভায় বলা হয়, ইতিমধ্যে এই কালো আইন থেকে মুক্তির লক্ষ্যে আয়োজিত জাতীয় কনভেনশনে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। উত্তরাধিকার ও সহ-অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সম্পত্তি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। বক্তারা বলেন, ২০০১ সালে প্রণীত অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইনকে ভিত্তি করে এবং প্রস্তাবিত সংশোধনীসমূহ সংযুক্ত করেই জাতীয় স্বার্থে সংশোধিত আইন প্রণয়ন করতে হবে।
সভায় হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মপরিধি বাড়িয়ে ফাউন্ডেশনে রূপান্তর, দেবোত্তর সম্পত্তি সুরক্ষায় বোর্ড গঠন, ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের বেহাত হওয়া সম্পত্তি পুনরুদ্ধার, মা ভবানী মন্দির, রমনা কালীমন্দির ও মা আনন্দময়ী আশ্রমের দেবোত্তর ভূমিতে মন্দির ও আশ্রম যথাযথ আঙ্গিকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং জাতীয় শিক্ষানীতিতে প্রতিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে হিন্দু ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ বাধ্যতামূলক করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্তের দাবি জানানো হয়।

সেরিব্রাল ম্যালেরিয়ার জীবাণু গরিলা থেকে!





বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল, মশার কামড়ে আমাদের যে সেরিব্রাল ম্যালেরিয়া হয়, এর জীবাণু এসেছে শিম্পাঞ্জি থেকে। কিন্তু সম্প্রতি একদল বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, শিম্পাঞ্জি নয়, সম্ভবত গরিলা থেকেই এই জীবাণুর উৎপত্তি। যুক্তরাষ্ট্র, আফ্রিকার তিনটি দেশ ও ইউরোপের বিজ্ঞানীদের একটি দল গরিলার মল পরীক্ষা করে ম্যালেরিয়ার যে জীবাণু পেয়েছে, এর সঙ্গেই মানুষে সংক্রমিত ম্যালেরিয়ার জীবাণুর সবচেয়ে বেশি মিল রয়েছে।
বিজ্ঞানবিষয়ক ন্যাচার সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণাপত্রে গবেষকেরা জানান, তাঁরা গরিলার মল থেকে পাওয়া ম্যালেরিয়ার জীবাণুর ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখেছেন। এর সঙ্গে মানুষের দেহে সংক্রমিত ম্যালেরিয়ার জীবাণুর ডিএনএর মিল রয়েছে। গবেষণার জন্য পশ্চিম ও পূর্ব আফ্রিকার গরিলা, শিম্পাঞ্জি ও বেবুনের মলের দুই হাজার ৭০০ নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
গবেষকদলের সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালাবামার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক বিয়াট্রিস হান বলেন, ‘আমরা এসব নমুনা থেকে ম্যালেরিয়ার জীবাণু প্লাজমোডিয়ামের ডিএনএ আলাদা করে সেগুলো মিলিয়ে দেখি। দেখা যায়, মানুষের শরীরে পাওয়া প্লাজমোডিয়ামের ডিএনএর সঙ্গে শিম্পাঞ্জির শরীরে পাওয়া প্লাজমোডিয়ামের ডিএনএর মিল কম, বরং গরিলার শরীরে পাওয়া প্লাজমোডিয়ামের ডিএনএর সঙ্গে মিল বেশি।’
এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীদের ধারণা, বিবর্তনের প্রক্রিয়ার ধাপ অনুযায়ী মানুষের পূর্বপুরুষ শিম্পাঞ্জি। ৫০ থেকে ৭০ লাখ বছর আগে শিম্পাঞ্জি ও মানুষ আলাদা হতে শুরু করে। সেই ধারায় প্লাজমোডিয়ামের জীবাণুরও বিবর্তন ঘটে। কিন্তু নতুন এই গবেষণার ফল সেই ধারণাকে বদলে দিতে যাচ্ছে। 

Friday, September 24, 2010

নাবিকদের ভুলেই টাইটানিক ডুবেছে!

টাইটানিকের ডুবে যাওয়াটা নিছক কোনো দুর্ঘটনা ছিল না। নাবিকদের ভুলেই জাহাজটি ডুবেছে। যে হিমশৈলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে জাহাজটি ডুবেছে, সেটি এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু নাবিকেরা বোকার মতো ভুল পথে জাহাজটি পরিচালনা করায় এ ঘটনা ঘটেছে।
নতুন প্রকাশিত একটি বইয়ে এসব দাবি করা হয়েছে। গুড অ্যাজ গোল্ড নামের বইটি লিখেছেন লেডি প্যাটেন। ওই ট্র্যাজেডি থেকে বেঁচে যাওয়া টাইটানিকের সেকেন্ড অফিসার চার্লস লাইটোলারের নাতনি হলেন প্যাটেন।
১৯১২ সালের ১০ এপ্রিল সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে টাইটানিক। ১৫ এপ্রিল আটলান্টিক মহাসাগরে বিশালকায় এক হিমশৈলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এটি ডুবে যায়। এতে এক হাজার ৫১৭ জন আরোহীর প্রাণহানি ঘটে। এত দিন বিশ্বাস করা হয়েছে, অতি দ্রুতগতিতে চালানোর কারণে ও নাবিকেরা সঠিক মুহূর্তে হিমশৈলটি দেখতে না পাওয়ায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
কিন্তু ঘটনার প্রায় ১০০ বছর পর নতুন এ বইয়ে বলা হয়েছে, হিমশৈলটি এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল। তবে নাবিকেরা এটি দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং ভুল পথে জাহাজটি পরিচালনা করেন। নাবিকেরা পরক্ষণেই ভুল বুঝতে পারলেও ততক্ষণে বড় দেরি হয়ে যায়। দানবাকৃতির হিমশৈলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বিলাসবহুল এ জাহাজের পার্শ্বদেশ ছিদ্র হয়ে যায়।
বইটিতে বলা হয়েছে, তার পরও যাত্রী ও নাবিকদের বাঁচানো সম্ভব ছিল। যদি জাহাজটি চালানো তখনই বন্ধ করে দেওয়া হতো। কিন্তু সেখানেও মারাত্মক ভুল করা হয়েছে। জাহাজটি চালিয়ে নেওয়া হয়েছে। ফলে জাহাজের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে এটি ডুবে গেছে।
এত দিন এসব তথ্য গোপন রেখেছিলেন চার্লস লাইটোলার ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। চার্লস লাইটোলার এ ট্র্যাজেডি নিয়ে করা দুটি তদন্তেই তথ্য আড়াল করেছেন। তাঁর আশঙ্কা ছিল, এসব তথ্য ফাঁস করে দিলে জাহাজের মালিকেরা ক্ষতিপূরণ পাবেন না। তা ছাড়া সহকর্মীদের চাকরির কথা চিন্তা করেও এ তথ্য প্রকাশ করেননি তিনি।
কিন্তু লাইটোলারের নাতনি লেডি প্যাটেন এত দিন পর তথ্য প্রকাশ না করে আর পারেননি। তিনি বলেছেন, টাইটানিকের ব্যাপারটি দুর্ঘটনা হিসেবেই দেখা হচ্ছে। কিন্তু সত্য হলো, নাবিকেরা হিমশৈলটি এড়াতে পারতেন। ভুল করেছেন তাঁরা।
বইটিতে বলা হয়েছে, পালের পরিবর্তে বাষ্পের সাহায্যে জাহাজ চালাতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। বাষ্পের সাহায্যে জাহাজ চালানোর সময় বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুতগতিতে চলছিল জাহাজটি।
লেখিকা লেডি প্যাটেন আরও বলেছেন, টাইটানিকের ফার্স্ট অফিসার উইলিয়াম মুরডক দুই মাইল আগে থেকেই হিমশৈলটি দেখতে পেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর নির্দেশ সঠিকভাবে বুঝতে পারেননি থার্ড অফিসার রবার্ট হিচিনস। উইলিয়াম মুরডক ‘সামনের দিকে তাকিয়ে এ নির্দেশ দেওয়ায়’ তাঁদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। মারডকের নির্দেশমতো হিচিনস জাহাজের মোড় বাঁ দিকে না ঘুরিয়ে ডান দিকে ঘুরিয়েছিলেন। অবশ্য পরক্ষণেই তাঁকে ভুল ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ততক্ষণে হিমশৈলের খুব কাছাকাছি চলে আসে জাহাজ। এর অগ্রভাগ হিমশৈলের সঙ্গে আঘাত লেগে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
প্যাটেনের দাদা লাইটোলার গুরুতর এ ভুলের কথা তখনকার একটি বৈঠক থেকে জানতে পারেন। জাহাজটি ডুবে যাওয়ার একেবারে শেষ মুহূর্তে চারজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাকে নিয়ে মারডকের কেবিনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
প্যাটেন বলেন, এরই মধ্যে টাইটানিকের মালিকানা প্রতিষ্ঠান হোয়াইট স্টার লাইনের চেয়ারম্যান ব্রুস ইসমেই জাহাজের ক্যাপ্টেনকে পাল তুলে চালিয়ে যেতে বলেন। এতে জাহাজের গতি কমে যায়। এর ফলে জাহাজের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢোকার পরিমাণ বেড়ে যায়। এতে জাহাজটি দ্রুত ডুবে যায়।