Saturday, September 4, 2010

নতুন মাদারবোর্ড বাজারে

ফক্সকনের নতুন মাদারবোর্ড বাজারে এনেছে বিজনেসল্যান্ড লিমিটেড। গেমারদের জন্য এক বিশেষ এ মাদারবোর্ডে রয়েছে এক্স৪৮ এক্সপ্রেস চিপসেট, তিনটি পিসিআইই এক্স ১৬ জেন ২.০ স্লট, ডুয়েল গিগাবিট ল্যান ইত্যাদি। কোরটুকোয়ড, কোরটুএক্সিট্রিম, কোরটুডুয়ো ইত্যাদি প্রসেসর সমর্থিত মাদারবোর্ডটির দাম তিন হাজার ৪০০ টাকা।

নতুন এলসিডি মনিটর বাজারে

স্যামসাংয়ের ফুল এইচডি ইকোফিট সিরিজের ২৭ ইঞ্চি প্রশস্ত পর্দার পি২৭৭০এইচ মডেলের নতুন এলসিডি মনিটর বাজারে এনেছে স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেড। ৬৩ মিলিমিটার পুরুত্বের এ মনিটরে রয়েছে ম্যাজিক ব্রাইট-থ্রি, অফ টাইমার, ইমেজ সাইজ কালার ইফেক্ট, সেফ মোড, রেজুলেশন ১৯২০ বাই ১০৮০, বৈপরীত্য অনুপাত ৭০০০০:১, রেসপন্স টাইম মাত্র দুই মিলি সেকেন্ড, ওজন ৬ দশমিক ৭ কেজি ইত্যাদি। এ ছাড়া মনিটরে কানেক্টর হিসেবে রয়েছে ডিভিআই-আই, এইচডিএমআই, অডিও আউট ও অপটিক্যাল আউট সুবিধা। তিন বছরের বিক্রয়োত্তর সুবিধাসহ দাম ৩৭ হাজার টাকা।

ডেলের সেন্টার অব এক্সিলেন্সি চালু

কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডেল বাংলাদেশে প্রযুক্তিগত বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে চালু করেছে ডেল সেন্টার অব এক্সিলেন্স। এখন থেকে দ্য এক্সপ্রেস সিস্টেমস লিমিটেড ও ডেল যৌথভাবে নতুন এই সুবিধাটি প্রদান করবে। এর ফলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রযুক্তিগত বিভিন্ন কাজ আরও সাবলীলভাবে করতে পারবে। গত বুধবার রাজধানীর একটি রেস্তোরাঁয় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে ডেল বাংলাদেশের মহাব্যবস্থাপক মীর সাদাত আলী বলেন, ‘ডেল সব সময়ই নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় সেন্টার অব এক্সিলেন্স নামের এই নতুন প্রযুক্তিটি শুরু করা হলো।’
দ্য এক্সপ্রেস সিস্টেমস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল ফাত্তাহ্্ বলেন, ‘সব বড় বড় প্রতিষ্ঠান এখন প্রযুক্তিনির্ভর। প্রতিষ্ঠানগুলোতে একটি প্রযুক্তি কতটা উপযোগী, তা নির্ণয় করার কোনো প্রযুক্তি ছিল না। নতুন এই সেবাটির মাধ্যমে এটি করা যাবে। তিনি আরও জানান, শুরুতে প্রতিষ্ঠানগুলোর চাহিদা অনুযায়ী আমরা বিনা মূল্যে তা করে দেব।’ এই সেবার ফলে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তির বাজারে এক আমূল পরিবর্তন আসবে বলে তিনি মনে করেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, খুব শিগগিরই বড় পরিসরে এ কার্যক্রম চালু করা হবে। সেন্টার অব এক্সিলেন্সের নানা দিক নিয়ে কথা বলেন রিজিওনাল এন্টারপ্রাইজ ডিরেক্টর ডেলের সাউথ এশিয়া এএসজি গ্রুপের অ্যান্ডি সিম। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডেল ও দ্য এক্সপ্রেস সিস্টেমস লিমিটেডের কর্মকর্তাগণ।

আজ শেষ হচ্ছে মোবাইল মেলা

ঢাকায় তিন দিনের মোবাইল ফোন মেলা আজ শেষ হচ্ছে। আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ মেলায় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন প্রদর্শনী এবং বিক্রি করছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। গতকাল শুক্রবার মেলায় গিয়ে দেখা গেছে, আটটি প্রতিষ্ঠান নিজেদের বিভিন্ন মডেলের মোবাইল ফোন প্রদর্শন করছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে ম্যাক্সিমাস, হায়ার, ইনটেক্স, সিম্পনি, স্প্রিন্ট, মাইক্রোম্যাক্স, হুয়াউই ও জেডটিই। মেলায় সর্বনিম্ন এক হাজার ৩০০ টাকায় মোবাইল ফোন পাওয়া যাচ্ছে। মেলায় ঘুরতে আসা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী কাজী সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, মেলায় বিশেষ ছাড়ে মোবাইল পাওয়া যাবে ভেবেই এসেছেন। ঘুরে দেখার পাশাপাশি পছন্দ হলে কেনার কথা জানান তিনি।
মেলায় মোবাইল ফোন ছাড়াও রয়েছে ইন্টারনেট মডেম কেনার সুযোগ। সিটিসেলের প্যাভিলিয়নে ইউএসবি ইন্টারনেট মডেমের সঙ্গে রয়েছে বিশেষ অফার। আয়োজকেরা জানান, দেশে নতুন বিভিন্ন মোবাইল ফোন ক্রেতা এবং আগ্রহীদের মাঝে উপস্থাপন করতে এ ধরনের আয়োজন করা হয়েছে। বিভিন্ন মডেলের মোবাইল ফোন কিনলে থাকছে বিশেষ মূল্যছাড়সহ অফার সুবিধা। মেলায় প্রবেশমূল্য ২০ টাকা। প্রবেশ টিকিটের ওপর থাকছে র‌্যাফেল ড্র এবং পুরস্কার।
মেলা চলবে সকাল ১০টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত। মেলার মূল আয়োজক সাউথ এশিয়া মোবাইল ফোরাম, সহকারী আয়োজক বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, প্রধান পৃষ্ঠপোষক সিটিসেল, সহ-পৃষ্ঠপোষক মাইক্রোম্যাক্স, জেডটিই ও হুয়াই।

Thursday, September 2, 2010

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ১ম বর্ষে ভর্তি

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল, পুরকৌশল, যন্ত্রকৌশল, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল এবং স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের বিভিন্ন বিভাগে স্নাতক কোর্সে ২০১০-২০১১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিচ্ছু বাংলাদেশের নাগরিকদের কাছ থেকে নির্ধারিত ফরমে দরখাস্ত আহ্বান করেছে। যেসব ছাত্রছাত্রী ২০০৭ বা ২০০৮ সালে মাধ্যমিক বা তার সমমানের পরীক্ষায় এবং ২০১০ সালে উচ্চমাধ্যমিক বা তার সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে, অথবা ২০০৭ সালে মাধ্যমিক বা তার সমমানের পরীক্ষায় এবং ২০০৯ সালে উচ্চমাধ্যমিক বা তার সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে কিন্তু উচ্চমাধ্যমিক বা তার সমমানের পরীক্ষার সংশোধিত ফলাফল ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ তারিখের পরে শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রকাশিত হয়েছে, অথবা যেসব ছাত্রছাত্রী ২০০৬ সালের নভেম্বর বা তার পরে GCE ‘O’ লেভেল এবং ২০০৯ সালের নভেম্বর বা তার পরে GCE ‘A’ লেভেল সার্টিফিকেট প্রাপ্ত হয়েছে, অন্যান্য শর্তপূরণ সাপেক্ষে শুধু তারাই ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করতে পারবে। যেসব ছাত্রছাত্রী এর আগে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে, তারা এই ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা: [ক] প্রার্থীকে বাংলাদেশের যেকোনো মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড/মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড/কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে গ্রেড পদ্ধতিতে ৫.০০ এর স্কেলে কমপক্ষে জিপিএ ৪.০০ পেয়ে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট/দাখিল/সমমানের পরীক্ষায় পাস অথবা বিদেশি শিক্ষা বোর্ড থেকে সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে সমতুল্য গ্রেড পেয়ে পাস হতে হবে।
প্রার্থীকে বাংলাদেশের যেকোনো মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড/মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড/কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন ও ইংরেজি এই চার বিষয়ে মোট জিপি ন্যূনতম ১৯.০০ পেয়ে উচ্চমাধ্যমিক/আলিম/সমমানের পরীক্ষায় পাস অথবা বিদেশি শিক্ষা বোর্ড থেকে সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে সমতুল্য গ্রেড পেয়ে পাস হতে হবে।
সঠিক আবেদনকারীর মধ্য হতে বাছাই করে সর্বাধিক ছয় হাজার ৩০০ আবেদনকারীকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে; তবে ৬৩০০তম সকল আবেদনকারীকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে।
[খ] GCE ‘O’ লেভেল এবং GCE ‘A’ লেভেল পাস করা প্রার্থীদের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য GCE ‘O’ লেভেল পরীক্ষায় কমপক্ষে পাঁচটি বিষয়ে (গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন এবং ইংরেজিসহ) গড়ে B গ্রেড এবং GCE ‘A’ লেভেল পরীক্ষায় গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়ন এই তিন বিষয়ের প্রতিটিতে A গ্রেড পেয়ে পাস হতে হবে।
[গ] ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য সব আদিবাসী প্রার্থীকে ন্যূনতম যোগ্যতা পূরণ করতে হবে।
‘ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য আবেদনকারীদের তালিকা’ বিশ্ববিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে এবং ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
আসন সংখ্যা: পার্বত্য চট্টগ্রাম ও অন্যান্য এলাকার আদিবাসী প্রার্থীদের জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের জন্য মোট তিনটি এবং স্থাপত্য বিভাগে একটি সংরক্ষিত আসনসহ সর্বমোট আসন সংখ্যা সর্বোচ্চ ৯৬৫টি।
আবেদন করার নিয়ম: ভর্তির প্রয়োজনীয় তথ্যাবলি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট (www.buet.ac.bd)-এ পাওয়া যাবে। ওয়েবসাইটে প্রদত্ত নির্দেশনা মোতাবেক অনলাইনে আবেদন ফরম যথাযথভাবে পূরণ করে জমা দিতে হবে। জমা দেওয়ার পর একটি Application Serial No. প্রদান করা হবে এবং পরবর্তী সময়ে এই নম্বরের বিপরীতে টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল দিয়ে SMS-এর মাধ্যমে আবেদন ও ভর্তি পরীক্ষা বাবদ প্রদেয় ফি জমা দিতে হবে।
ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদনের ফরম কেবলমাত্র অনলাইনে পূরণ করা যাবে এবং আবেদন ফি টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল দিয়ে SMS-এর মাধ্যমে প্রদানযোগ্য হবে। আবেদনের ফরম অনলাইনে পূরণসংক্রান্ত যেকোনো সহযোগিতার জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিসের ভর্তি শাখায় বৃহস্পতি, শুক্রবার ও সরকার ঘোষিত ছুটির দিন ছাড়া যেকোনো দিন যোগাযোগ করা যেতে পারে।
জেনে রাখুন:
ভর্তি পরীক্ষায় গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন এবং ইংরেজি বিষয়ের প্রশ্নমানের শতকরা ৫০ ভাগ Objective Type হবে, যার মূল্যায়ন OMR দ্বারা করা হবে। এই অংশের প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য অন্য একটি সঠিক উত্তরের এক চতুর্থাংশ নম্বর কর্তন করা হবে। বাকি অংশের প্রশ্ন প্রণয়ন ও মূল্যায়ন প্রচলিত পদ্ধতিতে করা হবে। মুক্তহস্ত অঙ্কন পরীক্ষার প্রশ্ন প্রণয়ন ও মূল্যায়ন সম্পূর্ণভাবে প্রচলিত পদ্ধতিতে করা হবে। Website for Application: www.buet.ac.bd

মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি

মডেল টেস্ট-২  অংশ-৫
মেডিকেলে ভর্তিচ্ছু প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আজ একটি মডেল টেস্টের ৫ম অংশ ছাপা হলো।
২৪। সম্প্রতি আখের ছোবড়া থেকে অণুজীবের সাহায্যে এ দেশের প্রযুক্তি ব্যবহার করে বায়োফুয়েল তৈরি করেছেন কারা? তাঁরা কোন পেশার সঙ্গে জড়িত? তাঁরা কোন অণুজীব ব্যবহার করে বায়োইথানল তৈরি করেছেন?
(ক) বায়োফুয়েল তৈরি করেছেন অধ্যাপক ডোনাল্ড জেমস গোমেজ ও ফিরোজ আহমেদ। অধ্যাপক ডোনাল্ড গোমেজ নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইফ সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক আর ফিরোজ আহমেদ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তাঁরা ট্রাইকোভার্মা ভিরিডি ও স্যাকারোমাইসিস সেরিভিসিই নামের দুটি অণুজীব (ছত্রাক) ব্যবহার করে বায়োইথানল তৈরি করেছেন। (খ) বায়োফুয়েল তৈরি করেছেন অধ্যাপক শিল্পা গোমেজ ও ফিরোজ জামান। শিল্পা গোমেজ নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োইথাইল বিভাগের এবং ফিরোজ জামান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তাঁরা ট্রাইকোলেমা ভিবরিও ও ক্যারোমেল সারকোসিস নামের দুটি ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করে বায়োইথানল তৈরি করেছেন। (গ) বায়োফুয়েল তৈরি করেছেন অধ্যাপক ডি কস্তা ও ফিরোজ খান। অধ্যাপক ডি কস্তা বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজের অণুজীব বিভাগের শিক্ষক এবং ফিরোজ খান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োজ্বালানি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান। তাঁরা স্কেলেরোভার্মা ও ক্যানডিডা অ্যালবিক্যানস নামের দুটি ভাইরাস ব্যবহার করে বায়োইথানল তৈরি করেছেন। (ঘ) বায়োফুয়েল তৈরি করেছেন নটর ডেম কলেজের ফাদার ডোনাল্ড গোমেজ ডি কস্তা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
ড. ফিরোজ আলী। তাঁরা দুজনেই পেশায় শিক্ষক ও গবেষক। ফাদার ডোনাল্ড গোমেজ ডি কস্তা নটর ডেম কলেজের উদ্ভিদবিদ্যার শিক্ষক আর ড. ফিরোজ আলী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক (জৈব প্রযুক্তি বিভাগের)। তাঁরা ব্যাকটেরিয়া ই.কোলাই ও স্টেফাইলোকক্কাস ব্যবহার করে বায়োইথানল তৈরি করেছেন।
২৫। মাইটোসিস বিভাজনের মেটাফেজ পর্যায়ে কী কী ঘটনা ঘটে?
(ক) নিউক্লিয়ার মেমব্রেন ও নিউক্লিয় প্লাজমের বিলুপ্তি ঘটে। স্পিন্ডল যন্ত্রের গঠন অপূর্ণ হয় এবং ক্রোমোজোমগুলো এর বায়বীয় অঞ্চলে এসে ক্রোমোজোমের মাধ্যমে অটোজোমাল তন্তুর সঙ্গে লেগে যায়। স্পিন্ডল যন্ত্রের গঠন সম্পূর্ণ হয়, এ পর্যায়ে ক্রোমোজোমগুলোকে সবচেয়ে বেশি বড় ও মোটা দেখায়। (খ) নিউক্লিয়ার মেমব্রেন ও নিউক্লিওলাসের পরিপূর্ণভাবে বিলুপ্তি ঘটে। স্পিন্ডল যন্ত্রের গঠন পরিপূর্ণ হয় এবং ক্রোমোজোমগুলো এর বিষুবীয় অঞ্চলে এসে সেন্ট্রোমিয়ারের দ্বারা ক্রোমোজোমাল তন্তুর সঙ্গে লেগে যায়। এ সময়ে ক্রোমোজোমগুলোকে সবচেয়ে খাটো ও মোটা মনে হয়। প্রতিটি ক্রোমোজোমের ক্রোমাটিড দুটির আকর্ষণ কমতে থাকে এবং বিকর্ষণ শুরু হয়। কিন্তু সেন্ট্রোমিয়ার তখনো অবিভক্ত থাকে। (গ) নিউক্লিয়ার মেমব্রেন ও নিউক্লিওলাসের সমাপ্তি ঘটতে থাকে। প্রোটিন নির্মিত ও দুই মেরু যুক্ত তন্তুবিশিষ্ট একটি স্পিন্ডল যন্ত্রের আবির্ভাব ঘটে। স্পিন্ডল যন্ত্রে দুই ধরনের তন্তু হয়। ক্রোমোজোমের সেন্ট্রোমিয়ারের সঙ্গে যুক্ত ক্রোমোজোমাল বা আকর্ষণ তন্তু স্পিন্ডল যন্ত্রের মধ্যভাগে থাকে।
(ঘ) নিউক্লিওপ্লাজমের মেমব্রেন ও নিউক্লিওলাসের সমাপ্তি ঘটতে পারে। শর্করা ও সেলুলোজ নির্মিত দুই মেরু যুক্ত তন্তুবিশিষ্ট দুটি স্পিন্ডল যন্ত্রের আবির্ভাব ঘটে। স্পিন্ডল যন্ত্রে তিন ধরনের তন্তু দেখা যায়। ক্রোমোজোমের সেন্ট্রোমিয়ারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ক্রোমোজোমাল তন্তুগুলো সর্বাপেক্ষা মোটা হয় এই পর্বে।

মডেল টেস্ট-২: অংশ-৫ সঠিক উত্তর: ২৪। ক, ২৫। খ।

চাকরির তথ্য নিয়ে নতুন ওয়েবসাইট

চাকরির তথ্য নিয়ে ইন্টারনেটে চালু হয়েছে জবসবাজার ডটকম (www.jobsbaazar.com) ঠিকানার একটি ওয়েবসাইট।
এতে বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত চাকরির খবরের
পাশাপাশি সব ধরনের নিয়োগ বিজ্ঞতির খবর পাওয়া যাবে।

জিমেইলে ই-মেইল বাছাইয়ের বিশেষসুবিধা

ওয়েবভিত্তিক জনপ্রিয় ই-মেইল সেবা জিমেইলে এবার যোগ হয়েছে ‘প্রায়োরিটি ইনবক্স’ নামের নতুন একটি সুবিধা। প্রায়ই গুগল জিমেইলে নতুন নতুন বৈশিষ্ট্য সংযোজন করে যাচ্ছে। নতুন এ সেবা সম্পর্কে গুগল জানায়, গ্রাহকদের ই-মেইল ব্যবহারের ক্ষেত্রে যাতে চাপের সৃষ্টি না হয় সে জন্য নতুন এ সেবা। ইতিমধ্যে অনেকেই নতুন এ সেবার পরীক্ষামূলক (বেটা) সংস্করণ ব্যবহারের সুযোগ পেলেও সব ব্যবহারকারী আজ ১ সেপ্টেম্বর থেকে এ সুবিধা পাবেন। ক্রমাগত আসা ই-মেইলের কারণে যাতে ওভারলোড সমস্যা না হয় সে জন্য চালু করা এ সেবায় যুক্ত হয়েছে ইমপোর্টেন্ট, ইমপোর্টেন্ট অ্যান্ড আনরিড, স্টারড আইটেমস এবং এভরিথিং এলস নামের চারটি অপশন। নতুন এ অপশনে গুরুত্বপূর্ণ ই-মেইলকে বিশেষ গুরুত্বসহকারে রাখা যাবে আবার না পড়া মেইলের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রাখা যাবে।
গুগলের মতে, এ সেবাটি অনেকটা ব্যক্তিগত সহকারীর মতো কাজ করবে। জিমেইলের পরিচালক কেইথ কোলমেন বলেন, বিভিন্ন বার্তার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা সহজে পেতে এ সেবা বিশেষ সহায়ক। তিনি বলেন, এমন কিছু শব্দ নির্বাচনের মাধ্যমে যেমন গুরুত্বপূর্ণ ই-মেইলে আলাদাভাবে পাওয়া যাবে, তেমনি বাজে ই-মেইলও চিহ্নিত করা যাবে সহজে। বিশ্বের অনেক প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান প্রতিদিন যে পরিমাণ ই-মেইল আদান-প্রদান করে তারও বিশেষ সুবিধা পাবে এ সেবার মাধ্যমে। সারা বিশ্বে নিয়মিত ই-মেইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৫০ কোটি, যার মধ্যে প্রতি সেকেন্ডে স্প্যাম ছাড়া ১০ লাখ মেইল আদান-প্রদান হয়!
কোলমেন বলেন, ‘আমরা দেখেছি প্রায় শতকরা ১৩ ভাগ অগুরুত্বপূর্ণ ই-মেইল শুধু শুধু ইনবক্সে জমে থাকে। এখন এ সেবার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ই-মেইল আলাদা করার ফলে কাজ সহজ হবে। নতুন এ সেবায় ইনবক্সের ওপরে যুক্ত হয়েছে যেকোনো ই-মেইলকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ চিহ্নিত করার সুযোগ এবং যুক্ত হয়েছে নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তন করে নেওয়ার সুযোগও।

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি হলে ওয়াইফাই

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের দুটি আবাসিক হলে তারহীন ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক চালু করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেল চারটায় ‘তথ্যের অধিকার সবার, প্রযুক্তির পথে আরও এক ধাপ’—এ স্লোগানকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. সালেহউদ্দিন এ সংযোগের উদ্বোধন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হল ও বঙ্গবন্ধু হলে ওয়াইফাই চালু করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহারের দক্ষতা বাড়াতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ছাত্রদের জন্য ওয়াইফাই সুবিধা দেওয়া হলো। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শাবিপ্রবির অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, কোষাধ্যক্ষ ইলিয়াসউদ্দিন বিশ্বাস, প্রক্টর এস এম সাইফুল ইসলাম, অধ্যাপক ইয়াসমিন হক, অধ্যাপক সুশান্ত কুমার দাস, শাহপরান হলের প্রাধ্যক্ষ সৈয়দ হাসানুজ্জামান শ্যামল, বঙ্গবন্ধু হলের প্রাধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলামসহ অনেকে।
অনুষ্ঠানে মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ইন্টারনেট হচ্ছে বৃহৎ লাইব্রেরি। পড়াশোনা ও জ্ঞান অর্জনের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করাটা এখন থেকে আবাসিক শিক্ষার্থী সবার জন্য উন্মুক্ত হলো।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাহানারা ইমাম ছাত্রী হলে ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক চালু করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় দুটি ছাত্র হলে এ সুবিধা দেওয়া হয়। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারনেটে গতি আগের থেকে চার গুন বাড়িয়ে ৮ এমবিপিএস করা হয়েছে।

বাজারে এলো নতুন গ্রাফিক্স কার্ড

আসুসের এএইচ৫৫৭০ /ডিআই/ ১জিডি৩ মডেলের নতুন পিসিআই এক্সপ্রেস ২.১ বাস স্ট্যান্ডার্ডের গ্রাফিক্স কার্ড বাজারে এনেছে গ্লোবাল ব্র্যান্ড (প্রা.) লিমিটেড।
এটিআই রেডিয়ন এইচডি৫৫৭০ গ্রাফিক্স ইঞ্জিনের এই গ্রাফিক্স কার্ডটিতে রয়েছে ১ গিগাবাইট ডিডিআর ৩ ভিডিও মেমোরি, ৬৫০ মেগাহার্জ ইঞ্জিন ক্লক, ১.৬ গিগাহার্জ মেমোরি ক্লক, সর্বোচ্চ ২৫৬০ বাই ১৬০০ পিক্সেল রেজ্যুলেশন, ডিভিআই, ডি-সাব, এইচডিএমআই আউটপুট এবং এটি ডাইরেক্টএক্স১১, শেডার মডেল ৫.০, এইচডিসিপি সমর্থন করে। দাম সাত হাজার টাকা।