চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুর থানা এলাকায় ছাত্রলীগের সঙ্গে
গ্রামবাসীর সংঘর্ষ ও গুলিবিনিময়ে একজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহত
লোকজনের মধ্যে অনেকে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
ফটিকছড়িতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহত এক ব্যক্তির মৃতদেহ ভুজপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে থেকে
উদ্ধার করা হয়েছে। সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে ঠিক কতজন নিহত বা আহত হয়েছেন, তা
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা যায়নি।সংঘর্ষ চলাকালে কমপক্ষে অর্ধশতাধিক গাড়ি
পোড়ানো হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত
দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জনা খান মজলিশ
ফটিকছড়িতে ১৪৪ ধারা জারি করেছেন বলে জানা গেছে। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া
পর্যন্ত ফটিকছড়িতে ১৪৪ ধারা বজায় থাকবে। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও বর্ডার গার্ড
বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন।
চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এ কে এম হাফিজ আক্তার প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলিবিনিময় চলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের ভাষ্য, হরতালবিরোধী একটি মিছিল নিয়ে আজ ফটিকছড়ি
থেকে ভুজপুর যাচ্ছিলেন ছাত্রলীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। বেলা দেড়টার দিকে
ছাত্রলীগের মিছিলটি ভুজপুর এলাকায় পৌঁছায়। ওই সময় একটি মসজিদ থেকে জোহরের
নামাজ আদায় করে বের হচ্ছিলেন মুসল্লিরা। এ সময় মুসল্লিদের মধ্য থেকে কেউ
একজন ছাত্রলীগের মিছিল লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়েন। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ
বেধে যায়। একপর্যায়ে মসজিদ থেকে মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়, এলাকায় সন্ত্রাসী
এসেছে। এ ঘোষণা শুনে গ্রাম থেকে লোকজন বেরিয়ে মিছিলকারীদের ঘেরাও করে হামলা
চালায়। এখনো সেখানে গুলিবিনিময় চলছে। অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে, এলাকায়
বেশ কয়েকটি লাশ পড়ে থাকতে দেখা গেছে।