ভারতের নয়াদিল্লিতে গত ডিসেম্বরে চলন্ত বাসে মেডিকেলের ছাত্রীকে গণধর্ষণ
করার ঘটনা সারা বিশ্বে হইচই ফেলে দেয়। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে
ভারতের সরকারের প্রচেষ্টার কোনো কমতি নেই। এ নিয়ে বসে নেই সে দেশের
প্রকৌশলীরাও। তাঁরা এক অভিনব অন্তর্বাস উদ্ভাবন করেছেন। এই অন্তর্বাসের
বৈদ্যুতিক শক ধর্ষণ প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
নতুন এই অন্তর্বাস বাজারের সাধারণ অন্তর্বাস থেকে একটু আলাদা। এর নামকরণ
করা হয়েছে সোসাইটি হারনেসিং ইকুইপমেন্ট (এসএইচই)। এতে এক ধরনের বিশেষ
সংবেদী যন্ত্রাংশ থাকবে, যা ৩৮০০ কিলো ভোল্টের শক দিতে পারবে। কারও মাধ্যমে
আক্রান্ত হলে যন্ত্রাংশটি চালু হবে। আর আক্রমণকারীকে ৮২ বারের চেয়ে বেশি
শক দেওয়া যাবে। এই অন্তর্বাসের ভেতরের অংশে বিশেষ পলিমার থাকবে। এতে
অন্তর্বাস পরা ব্যক্তির শরীরে শক লাগবে না।
অন্তর্বাসটির অন্যতম উদ্ভাবক চেন্নাইয়ের এসআরএম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল
বিভাগের শিক্ষার্থী মনীষা মোহন। এই উদ্ভাবনে তাঁকে সাহায্য করেছেন তাঁরই
সহপাঠী রিম্পি ত্রিপাঠি ও নীলাদ্রি বসু পাল।
মনীষা আরও জানান, চলতি মাসের মধ্যে এই অন্তর্বাসের বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাতকরণের কাজ চলছে। টাইমস অব ইন্ডিয়া।
অবস্থান শনাক্তকরণ যন্ত্রের সঙ্গে অন্তর্বাসের এসএইচই যন্ত্র যুক্ত থাকে।
অন্তর্বাস পরা কোনো মেয়েকে আক্রমণকারী নিগৃহীত করার চেষ্টা করলে তাৎক্ষণিক পুলিশ ও পরিবারের কাছে এসএমএস পাঠাবে।
যন্ত্রটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে আক্রমণকারীকে নিবৃত্ত করতে শক দেবে। যার মাত্রা ৩৮০০ কিলোভোল্ট
আক্রান্ত হওয়া মাত্র টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যন্ত্রটি সক্রিয় হবে।