ফুটবলে বাংলাদেশের মান কখনো আহামরি ভালো ছিল না। তার পরও ফুটবল নিয়ে দেশের মানুষের উন্মাদনার শেষ ছিল না। স্টেডিয়ামে ফুটবল খেলা হলে দুপুরের মধ্যে গ্যালারি ভরে যেত। সেই সব দৃশ্য এখন অতীত হয়ে গেছে। বর্তমান প্রজন্মের কেউ বিশ্বাসই করতে চায় না একসময় মোহামেডান-আবাহনীর খেলা মানেই পুরো দেশে উত্তেজনা ছড়িয়ে যেত। আসলে তাদেরই বা দোষ কি, কেননা এখন বড় দুই দলের ফুটবল লড়াইয়ে তো হাতে দর্শক গোনা যায়।
ফুটবলে এত করুণ হাল হলেও বাংলাদেশের এক ফুটবলার বিদেশিদের হৃদয়ে এখনো ঠাঁই পেয়ে আছেন। অনেকে বিশ্বাস করবেন না, তার পরও সত্যি যে প্রতিবেশী কলকাতার ফুটবলপ্রেমীরা এখনো বাংলাদেশের এক ফুটবলারকে ভুলতে পারেননি। তিনি বেঁচেও নেই, কয়েক বছর আগে ভক্তদের কাঁদিয়ে চিরবিদায় নিয়েছেন। হ্যাঁ বাংলাদেশের মাঠকাঁপানো প্রয়াত ফুটবলার মোনেম মুন্নার কথা বলছি। মুন্না কি শুধু বাংলাদেশের দর্শকদের মন জয় করেছিলেন? না, কলকাতার দর্শকরা এখনো তাকে স্মরণ করেন। তা না হলে কলকাতাবিখ্যাত নিউমার্কেটের অধিকাংশ দোকানে তার ছবি টাঙিয়ে রাখা হবে কেন? অবশ্য মুন্নার ছবি বিশেষ এক দলের সমর্থকরা টাঙিয়ে রেখেছেন। ১৯৮৯ সালে তিনি কলকাতা লিগে ইস্টবেঙ্গলে খেলতে যান। এর আগেও কলকাতা মাঠে অনেক বিদেশিই খেলে যান। কিন্তু মুন্নার পারফরম্যান্স এখনো স্মরণীয় হয়ে আছে তাদের মাঝে। সেবার লিগে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় ইস্টবেঙ্গল। দুর্দান্ত খেলেছিলেন মোনেম মুন্না। এতটা অসাধারণ যে ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকরা নিজেদের কোনো ফুটবলারের ছবি না টাঙালেও মুন্নার ছবি এখনো দেয়ালে আটকিয়ে রেখেছেন। মুন্নার পর আরেক বাংলাদেশি খেলোয়াড় কলকাতার দর্শকদের হৃদয় জয় করতে যাচ্ছেন। তিনি আর কেউ নন, ক্রিকেটে জাতীয় দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আইপিএল খেলতে এবার তিনি কলকাতা নাইট রাইডার্সের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলার জন্য নাইটের পক্ষে প্রথম দুটো ম্যাচে মাঠে নামতে পারেননি। কিন্তু যে দুই ম্যাচে তিনি মাঠে নেমেছেন তাতেই কলকাতাবাসীর হৃদয় জয় করতে শুরু করেছেন। সৌরভ গাঙ্গুলি বাদ পড়ায় নাইট রাইডার্সে ভারতীয় বাঙালি কোনো খেলোয়াড় ছিলেন না। এ নিয়ে কলকাতাবাসী আক্ষেপে ফুঁসে উঠেছিলেন। কিন্তু পরের দেশ হলেও একমাত্র বাঙালি খেলোয়াড় হয়ে সাকিব মাঠে নামায় সেই আক্ষেপ কমতে শুরু করেছে। রবিবার ইডেন গার্ডেনে রাজস্থানের বিরুদ্ধে সাকিব যে বোলিং প্রদর্শন করেছেন তা দেখে তো কলকাতার দর্শকরা মহাখুশি। পরদিন যেসব পত্রিকায় সাকিবের ছবি ছাপা হয়েছে তা কেটে দোকানপাট এমনকি বাসায়ও টাঙানো শুরু হয়েছে। কলকাতা থেকে প্রকাশিত এক দৈনিক উল্লেখ করেছে, সাকিবের ভিউকার্ড চড়া দামেও কাউকে কাউকে কিনতে দেখা গেছে। যত ম্যাচ যাবে কলকাতার দর্শকদের মাঝে সাকিবের জনপ্রিয়তা ততই বৃদ্ধি পাবে বলে পত্রিকাটি উল্লেখ করেছে।
ফুটবলে এত করুণ হাল হলেও বাংলাদেশের এক ফুটবলার বিদেশিদের হৃদয়ে এখনো ঠাঁই পেয়ে আছেন। অনেকে বিশ্বাস করবেন না, তার পরও সত্যি যে প্রতিবেশী কলকাতার ফুটবলপ্রেমীরা এখনো বাংলাদেশের এক ফুটবলারকে ভুলতে পারেননি। তিনি বেঁচেও নেই, কয়েক বছর আগে ভক্তদের কাঁদিয়ে চিরবিদায় নিয়েছেন। হ্যাঁ বাংলাদেশের মাঠকাঁপানো প্রয়াত ফুটবলার মোনেম মুন্নার কথা বলছি। মুন্না কি শুধু বাংলাদেশের দর্শকদের মন জয় করেছিলেন? না, কলকাতার দর্শকরা এখনো তাকে স্মরণ করেন। তা না হলে কলকাতাবিখ্যাত নিউমার্কেটের অধিকাংশ দোকানে তার ছবি টাঙিয়ে রাখা হবে কেন? অবশ্য মুন্নার ছবি বিশেষ এক দলের সমর্থকরা টাঙিয়ে রেখেছেন। ১৯৮৯ সালে তিনি কলকাতা লিগে ইস্টবেঙ্গলে খেলতে যান। এর আগেও কলকাতা মাঠে অনেক বিদেশিই খেলে যান। কিন্তু মুন্নার পারফরম্যান্স এখনো স্মরণীয় হয়ে আছে তাদের মাঝে। সেবার লিগে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় ইস্টবেঙ্গল। দুর্দান্ত খেলেছিলেন মোনেম মুন্না। এতটা অসাধারণ যে ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকরা নিজেদের কোনো ফুটবলারের ছবি না টাঙালেও মুন্নার ছবি এখনো দেয়ালে আটকিয়ে রেখেছেন। মুন্নার পর আরেক বাংলাদেশি খেলোয়াড় কলকাতার দর্শকদের হৃদয় জয় করতে যাচ্ছেন। তিনি আর কেউ নন, ক্রিকেটে জাতীয় দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আইপিএল খেলতে এবার তিনি কলকাতা নাইট রাইডার্সের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলার জন্য নাইটের পক্ষে প্রথম দুটো ম্যাচে মাঠে নামতে পারেননি। কিন্তু যে দুই ম্যাচে তিনি মাঠে নেমেছেন তাতেই কলকাতাবাসীর হৃদয় জয় করতে শুরু করেছেন। সৌরভ গাঙ্গুলি বাদ পড়ায় নাইট রাইডার্সে ভারতীয় বাঙালি কোনো খেলোয়াড় ছিলেন না। এ নিয়ে কলকাতাবাসী আক্ষেপে ফুঁসে উঠেছিলেন। কিন্তু পরের দেশ হলেও একমাত্র বাঙালি খেলোয়াড় হয়ে সাকিব মাঠে নামায় সেই আক্ষেপ কমতে শুরু করেছে। রবিবার ইডেন গার্ডেনে রাজস্থানের বিরুদ্ধে সাকিব যে বোলিং প্রদর্শন করেছেন তা দেখে তো কলকাতার দর্শকরা মহাখুশি। পরদিন যেসব পত্রিকায় সাকিবের ছবি ছাপা হয়েছে তা কেটে দোকানপাট এমনকি বাসায়ও টাঙানো শুরু হয়েছে। কলকাতা থেকে প্রকাশিত এক দৈনিক উল্লেখ করেছে, সাকিবের ভিউকার্ড চড়া দামেও কাউকে কাউকে কিনতে দেখা গেছে। যত ম্যাচ যাবে কলকাতার দর্শকদের মাঝে সাকিবের জনপ্রিয়তা ততই বৃদ্ধি পাবে বলে পত্রিকাটি উল্লেখ করেছে।
No comments:
Post a Comment