পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া দুই বান্ধবী শখ করে ট্রেনে উঠেছিলো বগুড়া স্টেশন থেকে। লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে চড়ে তারা চলে আসে লালমনিরহাট স্টেশনে। লালমনিরহাট থেকে ট্রেন আর না ছাড়ায় তারা স্টেশনে নেমে পড়ে। কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে প্ল্যাটফরমে। তারপর সেখান থেকে বেরিয়ে এদিক ওদিক ঘুরতে ঘুরতে যায় লালমনিরহাট শহরের শাহজাহান কলোনীতে। তাদের গতিবিধি লক্ষ্য করে সন্দেহ হওয়ায় এক ব্যক্তি বিষয়টি পুলিশকে জানায়। পুলিশ তাদের নিয়ে যায় থানায়। থানায় তারা পুলিশকে জানায়, দুজন স্কুল পালিয়ে শখ করে ট্রেনে উঠেছিলো। তাদের বাড়ি বগুড়ায়। তারা দুজনেই বগুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী। লালমনিরহাট সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুস সোবহান জানান, গতকাল সকালে লালমনিরহাট শহরের শাহজাহান কলোনী থেকে শিশু দুটিকে উদ্ধার করা হয়। এদের একজনের নাম সাজিদা ইসলাম মীম (১১)। সে বগুড়ার উত্তর শেওলা পাড়ার সফিকুল ইসলামের মেয়ে। অন্যজন মোহসিনা মুস্তাদী তিথী (১০)। সে বগুড়ার বিদ্যানন্দ পাড়ার আবু নোমানের মেয়ে। এসআই আব্দুস সোবহান জানান, মেয়ে দুটি বুধবার স্কুল থেকে পালিয়ে বগুড়া রেলষ্টেশনে আসে। তারা ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লালমনিরহাটগামী আন্তঃনগর ট্রেন লালমনি এক্সপ্রেসে উঠে পড়ে। ট্রেনটি বগুড়া থেকে ছেড়ে লালমনিরহাট যায়। লালমনিরহাট শেষ স্টেশন হওয়ার তারা আর যেতে না পেরে স্টেশনে নেমে পড়ে। উদ্দেশ্যবিহীনভাবে ঘুরতে ঘুরতে চলে যায় লালমনিরহাট শহরের শাহজাহান কলোনীতে। সেখানে মেয়ে দুটিকে দেখে সন্দেহ হওয়ায় এক ব্যক্তি বিষয়টি সদর থানাকে অবহিত করেন। মীমের পিতা সফিকুল ইসলাম জানান, বুধবার স্কুল ছুটির পর থেকে তাদের না পেয়ে সারা রাত নিকটাত্মীয়সহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করা হয়েছে। কিন্তু না পেয়ে তারা যারপর নাই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন। মেয়েকে ফিরে পেয়ে তারা হাফ ছেড়ে বাঁচলেন।
No comments:
Post a Comment