কাছিম নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস ফুসফুসের সাহায্যে সম্পন্ন করে। যে কোনো ফুসফুসওয়ালা স্থলজ প্রাণীকে কিছুক্ষণ পানির রাখলেই সে দম বন্ধ হয়ে মারা যাবে। ব্যাঙ এবং কুমিরেরও ফুসফুস থাকে। অথচ এরা পানির প্রাণী হলে কি হবে, সব সময় এরা পানির থাকে না। ব্যাঙ বা কুমির কিছুক্ষণ পরপরই পানির ওপরে নাকের ফুটো দুটি ভাসিয়ে রেখে সহজেই বাতাস নিয়ে শ্বাসকার্য চালাতে পারে। আমরা জানি, কাছিম যখন ডাঙায় থাকে তখন ফুসফুস দিয়েই সে তার শ্বাসকার্য চালায়। অনেক সময় পানিতে ভেসে থাকা অবস্থায় নাক পানির ওপরে রেখে বাইরে থেকে বাতাস টানে। কাছিম অনেক সময়েই পানির বেশ গভীরে দীর্ঘ সময় কাটিয়ে থাকে। ফুসফুস দিয়ে পানি থেকে বাতাস বা অক্সিজেন গ্রহণ করা যায় না। তা ছাড়া মাছের মতো কাছিমের ফুলকা নেই। সুতরাং এরকম প্রাণীর পক্ষে অনেকক্ষণ পানির নিচে থাকলে দম বন্ধ হয়ে মারা যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কিন্তু কাছিমকে পানিতে ডুবে দম বন্ধ হয়ে মারা যেতে দেখা যায় না। এর কারণ কি?
এর আসল রহস্য হলো, কাছিমের পৌষ্টিকনালি বা খাদ্যনালির প্রথম দিকটা অর্থাৎ গলার পেছন দিকটায় এবং খাদ্যনালির শেষ অংশটায়-যেখানে মল জমা থাকে, সেই অংশ দুটিতে ভেতরকার চামড়া খুবই পাতলা হয়। তা ছাড়া এতে রক্তনালি এত বেশি করে থাকে যে, ওই অংশগুলো মাছের ফুলকার মতো লাল দেখায়। ওই অংশ দুটির কাজও অনেকটা মাছের ফুলকার মতো। কাছিম পানিতে ডুবে থাকাকালীন ফুসফুসের মুখটা বন্ধ করে রাখে, যাতে সেদিক দিয়ে পানি না ঢুকতে পারে। সেই সময়ে সে পায়ু পথ দিয়ে বারবার খাদ্যনালিতে পানি ঢোকাতে থাকে। পানি ওই রক্তনালি সমৃদ্ধ ত্বকের সংস্পর্শে এলে মাছের ফুলকা যেভাবে পানি থেকে অক্সিজেন নিয়ে শ্বাসকার্য চালায়, ঠিক তেমনিভাবে কাছিমের শ্বাসকার্য চলে। অর্থাৎ পানিতে ডুবে থাকার সময় কাছিম এই গৌণ শ্বাসঅঙ্গ দিয়ে শ্বাসকার্য চালায়। ফলে তার দম বন্ধ হয়ে মারা যাওয়ার কোনো কারণ ঘটে না। আর এভাবেই কাছিম পানির নিচে স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করে।
এর আসল রহস্য হলো, কাছিমের পৌষ্টিকনালি বা খাদ্যনালির প্রথম দিকটা অর্থাৎ গলার পেছন দিকটায় এবং খাদ্যনালির শেষ অংশটায়-যেখানে মল জমা থাকে, সেই অংশ দুটিতে ভেতরকার চামড়া খুবই পাতলা হয়। তা ছাড়া এতে রক্তনালি এত বেশি করে থাকে যে, ওই অংশগুলো মাছের ফুলকার মতো লাল দেখায়। ওই অংশ দুটির কাজও অনেকটা মাছের ফুলকার মতো। কাছিম পানিতে ডুবে থাকাকালীন ফুসফুসের মুখটা বন্ধ করে রাখে, যাতে সেদিক দিয়ে পানি না ঢুকতে পারে। সেই সময়ে সে পায়ু পথ দিয়ে বারবার খাদ্যনালিতে পানি ঢোকাতে থাকে। পানি ওই রক্তনালি সমৃদ্ধ ত্বকের সংস্পর্শে এলে মাছের ফুলকা যেভাবে পানি থেকে অক্সিজেন নিয়ে শ্বাসকার্য চালায়, ঠিক তেমনিভাবে কাছিমের শ্বাসকার্য চলে। অর্থাৎ পানিতে ডুবে থাকার সময় কাছিম এই গৌণ শ্বাসঅঙ্গ দিয়ে শ্বাসকার্য চালায়। ফলে তার দম বন্ধ হয়ে মারা যাওয়ার কোনো কারণ ঘটে না। আর এভাবেই কাছিম পানির নিচে স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করে।
No comments:
Post a Comment