খেলোয়াড়দের কাজই খেলা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটানো। তাদের ধ্যান-ধারণা, চিন্তা-চেতনা সব কিছুই থাকে খেলাধুলাকে ঘিরেই। যাপিত জীবনের পুরোটাই যেন তাদের ক্রীড়াকেন্দ্রিক। কিন্তু তারপরও পরম সত্যটি হচ্ছে, তারা মানুষ। মেশিন তো নয় যে, দিনরাত ক্লান্তিহীনভাবে কাজ করে যাবে। টানা কাজ করার পর অবসাদ আসবেই। তবে সম্প্রতি আইসিসি সূচি যেন ক্রিকেটারদের মেশিন বানিয়ে দিয়েছে। একের পর এক সিরিজ খেলে ক্রিকেটাররা যেন ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত হয়ে পড়েছে। যেন তাদের হাতে দম ফেলানোর ফুরসতটুকুও নেই।
প্রথমে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের কথা চিন্তা করুন, নিউজিল্যান্ডের পর জিম্বাবুয়ে সিরিজ। তারপর বিশ্বকাপের টানা দেড় মাস। এরপরই অস্ট্রেলিয়া সিরিজ। ক্রিকেটারদের ক্লান্ত করে দিয়েছে। মনে হতে পারে যে, বাংলাদেশ গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেওয়ায় তারা অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগে বেশ কয়েক দিন সময় পেয়েছে। তবে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের অবস্থা চিন্তা করলে তো তাদের বোরট ছাড়া অন্য কিছু ভাবাই কঠিন। কেননা ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অ্যাশেজ ও সাত ওয়ানডের রেশ কাটতে না কাটতেই বিশ্বকাপ। তার পরপরই বাংলাদেশ সফর। এরপর আবার আইপিএলে দুই মাস টানা খেলতে হবে।
টানা একের পর এক সিরিজ থাকার কারণেই আগামী জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারতের শীর্ষ পাঁচ ক্রিকেটারকে বিশ্রাম দেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে ওই সিরিজে শচীন টেন্ডুলকার, অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি, বিরেন্দর শেবাগ, হরভজন সিং ও জহির খানের খেলার সম্ভাবনা কম। তাহলে বলা যায় যে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ভারতের দ্বিতীয় সারির দলই যাচ্ছে। এতে ক্রিকেট যে তার আসল রূপ হারাচ্ছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
ক্লান্ত লঙ্কান ক্রিকেটাররাও। তারা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজের পরই শুরু করেছিল বিশ্বকাপ মিশন। জুলাইয়ের ২ তারিখ বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পরই আবার ক্রিকেটাররা আইপিএল নিয়ে মহাব্যস্ত। আবার আইপিএল শেষ হওয়ার আগেই ইংল্যান্ড সফর। একই সমস্যায় নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররাও।
দেড় মাসের লম্বা বিশ্বকাপ আসরের পরই দুই মাস দীর্ঘ টুর্নামেন্ট আইপিএল যেন ক্রিকেটারদের ক্লান্ত করে দিচ্ছে। যদিও বিশ্বকাপ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আর আইপিএল ভারতের ঘরোয়া লিগ। কিন্তু খেলেন তো একই ক্রিকেটাররা। তাছাড়া বর্তমানে আইপিএল আইসিসির অনুমতি প্রাপ্ত পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ঘরোয়া আসর। এই দুটি আসরের সময় সাড়ে তিন মাস। এ ছাড়া আগে পিছে বিভিন্ন দেশের দু-একটি সিরিজ তো রয়েছেই। তাই একটানা এই দীর্ঘ সময় মাঠে থেকে ফিটনেস ধরে রাখা কঠিন সাধ্যই বটে। আর এই দীর্ঘ সময় খেলার কারণেই ইতোমধ্যেই অনেক তারকা ক্রিকেটার ইনজুরিতে পড়েছেন। ইংল্যান্ডের তারকা ক্রিকেটার কেভিন পিটারসেন ও স্টুয়াড ব্রড, আহমেদ শেহজাদ ইনজুরিতে পড়ার কারণ হিসেবে টানা ম্যাচ খেলাকেই দায়ী করেছেন চিকিৎসকরা। এই কারণে ইনজুরিতে পড়েছেন অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ স্মিথ, নিউজিল্যান্ডের অলরাউন্ডার জ্যাকব ওরাম, ভারতের পেস বোলার প্রভিন কুমার, আশিষ নেহরা, শ্রীলঙ্কার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডোয়াইন ব্রাভো। এ ছাড়া তারকা ক্রিকেটারদের অনেকেই হালকা ইনজুরি নিয়েও খেলছেন। তাই ক্রিকেট বিশ্লেষকদের আশঙ্কা আইসিসির লম্বা সূচির কারণে ক্রিকেট আকর্ষণই হারিয়ে ফেলে কিনা! চলমান আইপিএলে ক্রিকেটারদের ক্লান্ত মুখোচ্ছবিই তা বলে দেয়। এক্ষেত্রে আইসিসি কর্মকর্তাদের দূরদর্শিতার অভাবকেই দায়ী করছেন অনেকে। কেননা তারা যখন সূচি তৈরি করেন তখন কী খেয়াল থাকে না যে, লম্বা সূচিতে ক্লান্ত হয়ে পড়তে পারেন ক্রিকেটাররা! মাঠে ক্রিকেটারদের পরিশ্রান্ত চেহরা তো ক্রিকেটের বিবর্ণ রূপকেই নির্দেশ করে।
প্রথমে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের কথা চিন্তা করুন, নিউজিল্যান্ডের পর জিম্বাবুয়ে সিরিজ। তারপর বিশ্বকাপের টানা দেড় মাস। এরপরই অস্ট্রেলিয়া সিরিজ। ক্রিকেটারদের ক্লান্ত করে দিয়েছে। মনে হতে পারে যে, বাংলাদেশ গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেওয়ায় তারা অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগে বেশ কয়েক দিন সময় পেয়েছে। তবে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের অবস্থা চিন্তা করলে তো তাদের বোরট ছাড়া অন্য কিছু ভাবাই কঠিন। কেননা ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অ্যাশেজ ও সাত ওয়ানডের রেশ কাটতে না কাটতেই বিশ্বকাপ। তার পরপরই বাংলাদেশ সফর। এরপর আবার আইপিএলে দুই মাস টানা খেলতে হবে।
টানা একের পর এক সিরিজ থাকার কারণেই আগামী জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারতের শীর্ষ পাঁচ ক্রিকেটারকে বিশ্রাম দেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে ওই সিরিজে শচীন টেন্ডুলকার, অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি, বিরেন্দর শেবাগ, হরভজন সিং ও জহির খানের খেলার সম্ভাবনা কম। তাহলে বলা যায় যে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ভারতের দ্বিতীয় সারির দলই যাচ্ছে। এতে ক্রিকেট যে তার আসল রূপ হারাচ্ছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
ক্লান্ত লঙ্কান ক্রিকেটাররাও। তারা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজের পরই শুরু করেছিল বিশ্বকাপ মিশন। জুলাইয়ের ২ তারিখ বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পরই আবার ক্রিকেটাররা আইপিএল নিয়ে মহাব্যস্ত। আবার আইপিএল শেষ হওয়ার আগেই ইংল্যান্ড সফর। একই সমস্যায় নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররাও।
দেড় মাসের লম্বা বিশ্বকাপ আসরের পরই দুই মাস দীর্ঘ টুর্নামেন্ট আইপিএল যেন ক্রিকেটারদের ক্লান্ত করে দিচ্ছে। যদিও বিশ্বকাপ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আর আইপিএল ভারতের ঘরোয়া লিগ। কিন্তু খেলেন তো একই ক্রিকেটাররা। তাছাড়া বর্তমানে আইপিএল আইসিসির অনুমতি প্রাপ্ত পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ঘরোয়া আসর। এই দুটি আসরের সময় সাড়ে তিন মাস। এ ছাড়া আগে পিছে বিভিন্ন দেশের দু-একটি সিরিজ তো রয়েছেই। তাই একটানা এই দীর্ঘ সময় মাঠে থেকে ফিটনেস ধরে রাখা কঠিন সাধ্যই বটে। আর এই দীর্ঘ সময় খেলার কারণেই ইতোমধ্যেই অনেক তারকা ক্রিকেটার ইনজুরিতে পড়েছেন। ইংল্যান্ডের তারকা ক্রিকেটার কেভিন পিটারসেন ও স্টুয়াড ব্রড, আহমেদ শেহজাদ ইনজুরিতে পড়ার কারণ হিসেবে টানা ম্যাচ খেলাকেই দায়ী করেছেন চিকিৎসকরা। এই কারণে ইনজুরিতে পড়েছেন অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ স্মিথ, নিউজিল্যান্ডের অলরাউন্ডার জ্যাকব ওরাম, ভারতের পেস বোলার প্রভিন কুমার, আশিষ নেহরা, শ্রীলঙ্কার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডোয়াইন ব্রাভো। এ ছাড়া তারকা ক্রিকেটারদের অনেকেই হালকা ইনজুরি নিয়েও খেলছেন। তাই ক্রিকেট বিশ্লেষকদের আশঙ্কা আইসিসির লম্বা সূচির কারণে ক্রিকেট আকর্ষণই হারিয়ে ফেলে কিনা! চলমান আইপিএলে ক্রিকেটারদের ক্লান্ত মুখোচ্ছবিই তা বলে দেয়। এক্ষেত্রে আইসিসি কর্মকর্তাদের দূরদর্শিতার অভাবকেই দায়ী করছেন অনেকে। কেননা তারা যখন সূচি তৈরি করেন তখন কী খেয়াল থাকে না যে, লম্বা সূচিতে ক্লান্ত হয়ে পড়তে পারেন ক্রিকেটাররা! মাঠে ক্রিকেটারদের পরিশ্রান্ত চেহরা তো ক্রিকেটের বিবর্ণ রূপকেই নির্দেশ করে।
No comments:
Post a Comment