'আমি গাড়ি নিয়ে ফিরছি, তুই বাসা রেডি কর'। নতুন গাড়ি কিনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এস কে রেজাউল হক রাজু ছোট ভাই সাজুকে মোবাইলে এ কথা বলছিলেন। নতুন গাড়ি নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শখের নতুন গাড়ি নিয়ে নতুন বাসায় আসতে পারেননি তিনি। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডে ট্রাকের চাপায় মৃত্যু হয়েছে তার।
রাজুর বাড়ি ঢাকার দনিয়া এলাকায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগ থেকে মাস কয়েক আগে এমবিএ পরীক্ষা দেন। পরীক্ষা শেষে ইন্টার্নি করেন ঢাকার বেসরকারি একটি ব্যাংকে। ১০-১২ দিন আগে ইন্টার্নশিপের প্রতিবেদন জমা দিতে আসেন চট্টগ্রামে।
ছোট ভাই সাজু জানান, তার বড় ভাইকে নিয়ে বাবা-মার অনেক স্বপ্ন। তারও (রাজু) আশা ছিল পরীক্ষা শেষ করেই কোনো বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করবেন। এ জন্য প্রচুর প্রস্তুতিও নেন। কিন্তু তার আর কোনো কাজ লাগলো না। সাজু জানান, ভাইয়ের শখ ছিল একটি নতুন গাড়ি কেনার। ছেলের শখ পূরণে মা কামরুন নাহারও উদার। চট্টগ্রাম যাওয়ার সময় নতুন গাড়ি কেনার টাকাও দেন মা। চট্টগ্রাম থেকেই কিনেন শখের নতুন গাড়ি। ঢাকার দনিয়ার বর্তমান বাসায় গাড়ি রাখার জায়গা না থাকায় নতুন বাসা নেন বনশ্রীতে। বুধবার রাতেই কথা হয় তার সঙ্গে। তখন তিনি নতুন বাড়ি 'রেডি' করার কথা বলেন। নতুন বাসা সাজানোও হয়। কিন্তু যার জন্য এ সাজানো তিনিই হারিয়ে গেলেন। চট্টগ্রাম থেকে নিজেই গাড়ি চালিয়ে ঢাকায় ফিরছিলেন রাজু। কিন্তু সীতাকুণ্ডে একটি ট্রাক চাপা দেয় গাড়িটিকে। ঘটনাস্থলেই মারা যান রাজু।
বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের সামনে বুক চাপড়ে বিলাপ করেন মা কামরুন নাহার। বলেন_'এখন আমার সব শেষ। আমি আমার সোনাকে ছাড়া বাঁচতে পারব না। সকালেই আমার সঙ্গে কথা হয়েছিল। কথা ছিল সে ফেরার পর নতুন বাসায় উঠবে। পড়ালেখার কারণে সাতবছর আমার ছেলেকে ভালো করে দেখিনি। ও ঢাকায় ফিরে যাবে এজন্য আমি ছিলাম সবচেয়ে খুশি। কিন্তু সবকিছুই শেষ হয়ে গেল।
রাজুর বাড়ি ঢাকার দনিয়া এলাকায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগ থেকে মাস কয়েক আগে এমবিএ পরীক্ষা দেন। পরীক্ষা শেষে ইন্টার্নি করেন ঢাকার বেসরকারি একটি ব্যাংকে। ১০-১২ দিন আগে ইন্টার্নশিপের প্রতিবেদন জমা দিতে আসেন চট্টগ্রামে।
ছোট ভাই সাজু জানান, তার বড় ভাইকে নিয়ে বাবা-মার অনেক স্বপ্ন। তারও (রাজু) আশা ছিল পরীক্ষা শেষ করেই কোনো বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করবেন। এ জন্য প্রচুর প্রস্তুতিও নেন। কিন্তু তার আর কোনো কাজ লাগলো না। সাজু জানান, ভাইয়ের শখ ছিল একটি নতুন গাড়ি কেনার। ছেলের শখ পূরণে মা কামরুন নাহারও উদার। চট্টগ্রাম যাওয়ার সময় নতুন গাড়ি কেনার টাকাও দেন মা। চট্টগ্রাম থেকেই কিনেন শখের নতুন গাড়ি। ঢাকার দনিয়ার বর্তমান বাসায় গাড়ি রাখার জায়গা না থাকায় নতুন বাসা নেন বনশ্রীতে। বুধবার রাতেই কথা হয় তার সঙ্গে। তখন তিনি নতুন বাড়ি 'রেডি' করার কথা বলেন। নতুন বাসা সাজানোও হয়। কিন্তু যার জন্য এ সাজানো তিনিই হারিয়ে গেলেন। চট্টগ্রাম থেকে নিজেই গাড়ি চালিয়ে ঢাকায় ফিরছিলেন রাজু। কিন্তু সীতাকুণ্ডে একটি ট্রাক চাপা দেয় গাড়িটিকে। ঘটনাস্থলেই মারা যান রাজু।
বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের সামনে বুক চাপড়ে বিলাপ করেন মা কামরুন নাহার। বলেন_'এখন আমার সব শেষ। আমি আমার সোনাকে ছাড়া বাঁচতে পারব না। সকালেই আমার সঙ্গে কথা হয়েছিল। কথা ছিল সে ফেরার পর নতুন বাসায় উঠবে। পড়ালেখার কারণে সাতবছর আমার ছেলেকে ভালো করে দেখিনি। ও ঢাকায় ফিরে যাবে এজন্য আমি ছিলাম সবচেয়ে খুশি। কিন্তু সবকিছুই শেষ হয়ে গেল।
No comments:
Post a Comment