Saturday, March 30, 2013

লটারি জিতে হাজার কোটি টাকা!

শিকে ছিঁড়েছে তো ছিঁড়েছে, লটারি জিতে এক লাফে হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থের মালিক বনে গেছেন ফ্রান্সের এক ব্যক্তি। গতকাল শুক্রবার এই লটারির ফল ঘোষণা করা হয় বলে ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’র খবরে জানানো হয়।
ভাগ্যবান ওই ব্যক্তির নাম প্রকাশ না করে খবরে জানানো হয়, লটারিতে জয়ী হয়ে বাংলাদেশি মুদ্রায় তিনি এক হাজার ২৯৬ কোটি ৬২ লাখ টাকা (১৩ কোটি ২৪ লাখ ৮৬ হাজার ৭৪৪ ইউরো) পেয়েছেন।
ওই ব্যক্তি নিয়মিত লটারির কুপন কিনে ভাগ্য পরীক্ষা করতেন। গত শুক্রবার লটারির ফল ঘোষণার সময় বিজয়ী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষিত হয়।

লঙ্কা জয়ের পর...

‘আমরা করব জয়’ গাইতে সোহাগ গাজীকে একটুও অপেক্ষা করতে হয়নি। ওয়ানডে অভিষেকেই ড্রেসিংরুমে সুর মিলিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বিজয় সংগীতের সঙ্গে। পরের ম্যাচে আবারও। তার পরও শ্রীলঙ্কায় এসে ‘আমরা করব জয়’ গাইতে পারার মহিমাটা আলাদা হয়ে ধরা দিচ্ছে এই অফ স্পিনারের কাছে, ‘কী যে ভালো লেগেছে, বলে বোঝাতে পারব না।’
শেন জার্গেনসেনও ‘আমরা করব জয়’ গাইতে শিখে গেছেন। চর্চা করার সুযোগ যে খুব ঘন ঘনই মিলছে! বাংলাদেশ দলের অস্ট্রেলিয়ান কোচের এখন পর্যন্ত দুর্দান্ত রেকর্ড। প্রথম সিরিজেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনটি জয়। শ্রীলঙ্কায় প্রথম সাফল্যের ইতিহাসেও লেখা থাকল তাঁর নাম। কাল দুপুরে টিম হোটেলে হাসতে হাসতে বললেন, ‘কথা-টথা বোধ হয় ভুল হয়ে যায়, তবে দলের সঙ্গে আমিও গলা ছেড়ে গাই।’
একটা সুবিধা তো আছেই। কথা আলাদা হতে পারে, সুরটা তো বিশ্বজনীন। ‘উই শ্যাল ওভারকাম’ তো কতই গেয়েছেন জীবনে! একজন কোচের জীবনে সবচেয়ে বড় আনন্দ হলো খেলোয়াড়দের ভালো করতে দেখা, জয় যেটির চূড়ান্ত পুরস্কার। জয়ের প্রতিক্রিয়া থেকে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে পরিবর্তনটাও খুব ভালো বুঝতে পারছেন জার্গেনসেন, ‘আগে জেতার পর খেলোয়াড়েরা যেন বুঝতে পারত না, কী করবে। এখন উদ্যাপনটা খুব স্বতঃস্ফূর্ত হয়। কাল (পরশু) তো ড্রেসিংরুমে আমরা কোচিং স্টাফরাও ইচ্ছামতো লাফালাফি করেছি।’
তা লাফালাফি করার মতোই এক জয়। শ্রীলঙ্কায় এর আগের সব কটি সফর যেখানে লজ্জা আর লাঞ্ছনার প্রতিশব্দ হয়ে আছে, সেখানে এসে এবার ওয়ানডে সিরিজে ড্র। বৃষ্টি হয়তো আশীর্বাদ হয়েই এসেছিল, তার পরও ৮০ বলে ১০৫ রানও একেবারে সহজ ব্যাপার ছিল না। আবেগের আতিশয্যে মুশফিকুর রহিম যে এটিকে ‘দেশের বাইরে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়’ বলে ফেললেন, সেটি নিয়েও তাই ভ্রু কোঁচকানোর কিছু নেই। এই দিনে কোনো কিছুই ধরতে নেই। নইলে মুশফিকুরকে কার্ডিফের কথা মনে করিয়ে দেওয়া যেত। পোর্ট অব স্পেন বা গায়ানার কথাও।
২০০৫ সালে কার্ডিফের জয়টা এমন এক সময়ে, অস্ট্রেলিয়াকে যখন অন্য দলগুলো শুধু স্বপ্নেই হারাতে পারত। ২০০৭ বিশ্বকাপে পোর্ট অব স্পেনে ভারতের বিপক্ষে জয়টা তো সম্ভবত বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে তাৎপর্যময়। সেই জয়ের তরীতে ভেসে সুপার এইটে গিয়ে গায়ানায় যখন গ্রায়েম স্মিথের দলকে হারাল বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা তখন ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর।
কার্ডিফের রূপকথা ড্রেসিংরুম থেকে দেখেছেন। তবে পোর্ট অব স্পেন ও গায়ানায় মাঠেই জয়োল্লাস করেছেন মুশফিকুর নিজেও। সেসব ভুলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়টাকে এক নম্বর বলে ফেলার কারণ হয়তো একটাই—শ্রীলঙ্কায় এর আগে কখনোই কিছু জিততে না পারা।
২০০৬ সালে বাংলাদেশ সফরের সময় সনাৎ জয়াসুরিয়া বাংলাদেশ কোন কোন বড় দলকে হারিয়েছে শোনার পর গর্ব করে বলেছিলেন, ‘তোমরা এখনো আমাদের হারাতে পারোনি।’ নিয়তির কী খেলা, সেই সিরিজেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম জয়। সাত বছরের মধ্যে শ্রীলঙ্কা বলতে গেলে বাংলাদেশের প্রিয় প্রতিপক্ষে পরিণত! বড় দলগুলোর মধ্যে শ্রীলঙ্কাকেই সবচেয়ে বেশিবার হারিয়েছে বাংলাদেশ। গত পরশুর আগ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার সঙ্গী ছিল ভারত। এখন বাংলাদেশের ‘দৈত্য বধ’-এর তালিকায় শ্রীলঙ্কার নাম আসছে চারবার। তিনবার ভারতের।
‘দৈত্য বধ’ কথাটাও বোধ হয় এখন আর খাটছে না। আবদুর রাজ্জাক তো বলেই দিলেন, ‘ওয়ানডেতে এমন কোনো দল নেই, যাদের আমরা হারাতে পারি না।’ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগের তিনটি জয়ের প্রথম দুটিতে ছিলেন না। ২০০৯ সালের দ্বিতীয় জয়ের সময় বোলিং অ্যাকশনের কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ ছিলেন। তাই তাঁর আনন্দটা একটু বেশি, ‘৫ উইকেট পেলাম। ২০০ উইকেটও হলো। টিমও জিতল। এই ম্যাচ থেকে আমি আর কীই-বা চাইতে পারতাম!’
মুশফিকুর রহিম এশিয়া কাপের সাফল্যভাস্বর ২০১২ শেষ হওয়ার পর নতুন বছরের লক্ষ্য ঠিক করেছিলেন দেশের বাইরে ভালো খেলা। বছরের প্রথম সফরেই সেই লক্ষ্যে যাত্রায় অবিস্মরণীয় এক সূচনা। প্রথমবারের মতো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট ড্র, শ্রীলঙ্কায় প্রথম শ্রীলঙ্কা-বধ—আগামীকালের টি-টোয়েন্টিটাও জিতে গেলে হয়েই গেল!
তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডের মাহাত্ম্য তো শুধু জয়ে শেষ নয়, টি-টোয়েন্টির প্র্যাকটিসটাও তো সেরে ফেলা গেছে তাতে!

তেঁতুলিয়ায় ১৪৪ ধারা জারি

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বিবদমান দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সংঘর্ষ এড়াতে ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় গতকাল শুক্রবার রাত ১২টা থেকে উপজেলা প্রশাসন আজ শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করে।
পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে তেঁতুলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষের মধ্যে কোন্দল চলছে। আহ্বায়ক কমিটি আজ তেঁতুলিয়া সদর এলাকার চৌরাস্তায় দলীয় কার্যালয় চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগের দ্বিবার্ষিক সম্মেলন ডাকে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে অপর পক্ষ এই সম্মেলন প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনিরুজ্জামান প্রথম আলো ডটকমকে জানান, অপ্রীতিকর অবস্থা এড়াতে আজ রাত ১২টা পর্যন্ত তেঁতুলিয়া চৌরাস্তা ও আশপাশে ৫০০ মিটার এলাকাজুড়ে ১৪৪ ধারা বহাল থাকবে।

রাজধানীতে পাকিস্তানি ও জামায়াত নেতাসহ গ্রেপ্তার ১৬

রাজধানীর কাঁঠালবাগান, নিকুঞ্জ ও বংশালে অভিযান চালিয়ে চার পাকিস্তানিসহ ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল সন্ধ্যা সাতটা থেকে আটটা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে ডিএমপি কমিশনারের মুখপাত্র মনিরুল ইসলাম এ কথা জানান।
ডিএমপি কমিশনারের মুখপাত্র জানান, আটক চার পাকিস্তানি হলেন: সাঈদ উদ্দিন, মোহাম্মদ ফারহান, রুবিনা বেগম ও নার্গিস আক্তার। এ ছাড়া, জামায়াতের নেতা চিকিত্সক ফরিদ উদ্দিন আহমদ, ফরিদ উদ্দিন মাসুদ, মিজানুর রহমান, মাহফুজুর রহমানসহ আরও ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে মনিরুল ইসলাম দাবি করেন, হরকাতুল জিহাদ, হরকাতুল মুজাহিদীনসহ যেসব জঙ্গি সংগঠনের কর্মকাণ্ড স্থবির ও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল, তাদের আবার চাঙা করার চেষ্টা করছিলেন ফরিদ উদ্দিন আহমদ। তিনি তাঁর অনুসারীদের কাছে ‘তাত্ত্বিক গুরু’ হিসেবে পরিচিত। তিনি সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ থেকে চিকিত্সাবিদ্যায় পড়াশোনা শেষ করেন। সেখানকার ছাত্র থাকা অবস্থায় তিনি মেডিকেল কলেজ ছাত্রশিবিরের সভাপতি ছিলেন। পরে ফরিদ উদ্দিন আহমদ সিলেট মহানগর জামায়াতের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। এরপর তিনি মাদারীপুরে প্রায় এক যুগ জেলা জামায়াতের আমির ছিলেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে তিনি প্রার্থী হয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন। তিনি দেশে বড় ধরনের নাশকতা সৃষ্টির জন্য জঙ্গিদের সংগঠিত করার চেষ্টা করছিলেন।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য দিয়েছেন বলে দাবি করেন মনিরুল ইসলাম। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ব্যাপারে তাঁর ভাষ্য, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন ব্যাংকে ডাকাতি করে অর্থ জোগাড় করার পর তা দিয়ে পাকিস্তান থেকে অস্ত্র কেনা। এ ছাড়া, চার পাকিস্তানি জাল অর্থ ব্যবসায়ী তাঁদের আয়ের একটা অংশ জঙ্গিদের সংগঠিত করার কাজে ব্যয় করতে ফরিদ উদ্দিন আহমদকে দিতেন।
ডিএমপি কমিশনারের মুখপাত্রের দাবি, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে আটটি হাতবোমা, প্রায় দেড় কোটি ভারতীয় ও পাকিস্তানি জাল রুপি, বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম ইত্যাদি উদ্ধার করা হয়েছে।
ডিবি পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মসিউর রহমান প্রথম আলো ডটকমকে জানান, এই ১৬ ব্যক্তির বিরুদ্ধে রাজধানীর কলাবাগান, খিলক্ষেত ও বংশাল থানায় তিনটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

Friday, March 29, 2013

লিস্টারশায়ারে সাকিব


সাকিব আল হাসানকে চুক্তিবদ্ধ করেছে ইংলিশ কাউন্টি দল লিস্টারশায়ার। ফ্রেন্ডস লাইফ টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতার এবারের মৌসুমে লিস্টারশায়ারের হয়ে দেখা যাবে বাংলাদেশের তারকা এই অলরাউন্ডারকে।
ক্রিকইনফোর খবরে বলা হয়, এ মৌসুমে দ্বিতীয় বিদেশি ক্রিকেটার হিসেবে সাকিবকে চুক্তিবদ্ধ করেছে লিস্টারশায়ার। তবে খবরে চুক্তির বিস্তারিত জানানো হয়নি। এর আগে সাকিব খেলেছেন কাউন্টি দল উস্টারশায়ারের হয়ে।
আইসিসির সর্বশেষ প্রকাশিত ওয়ানডে অলরাউন্ডারের তালিকায় সবার ওপরে সাকিব। টেস্টে আছেন দুই নম্বরে। আর টি-টোয়েন্টির অলরাউন্ডারের তালিকায় সাকিবের অবস্থান সপ্তম। এমন একজন ক্রিকেটারকে পেয়ে উচ্ছ্বসিত লিস্টারশায়ারের প্রধান কোচ ফিল হুইটিকেস। তিনি বলেন, ‘আমি সত্যি আনন্দিত। আমরা এমন একজনকে চুক্তিবদ্ধ করতে পেরেছি, যে ওয়ানডেতে বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার।’
২৬ বছর বয়সী সাকিবকে পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন দলের প্রধান নির্বাহী মাইক সিডালও। তিনি বলেন, ‘সাকিবের মতো অভিজ্ঞ ও প্রতিভাধর একজন ক্রিকেটারকে চুক্তিবদ্ধ করতে পেরে আমরা আনন্দিত। টি-টোয়েন্টিতে তাঁর রেকর্ড অসাধারণ। দলে তাঁকে দেখার অপেক্ষায় আছি আমি।’
পায়ে অস্ত্রোপচার হওয়ায় আপাতত ক্রিকেটের বাইরে আছেন সাকিব। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ডান পায়ের কাফ মাসলে অস্ত্রোপচার হয় তাঁর। এ কারণে শ্রীলঙ্কা সফরে ছিলেন না। সফল অস্ত্রোপচার শেষে ৬ মার্চ সন্ধ্যায় দেশে ফেরেন তিনি। আগামী মাসের মাঝামাঝি সময়ে জিম্বাবুয়ে সফরে দেশের হয়ে মাঠে নামতে আশাবাদী সাকিব।

নিয়ম ভেঙে তরুণীর পা ধুয়ে দিলেন পোপ

চার্চের নিয়ম ভেঙে হলি থার্সডের আনুষ্ঠানিকতার সময় কিশোরদের পাশাপাশি দুই তরুণীর পা ধুয়ে দিয়েছেন নতুন পোপ ফ্রান্সিস। এরপর তাঁদের পায়ে চুমুও খেয়েছেন। এ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, রোমের ক্যাসেল দেল মারমো কিশোর অপরাধ কেন্দ্রে গতকাল বৃহস্পতিবার দুই তরুণী ও ১০ জন কিশোরের পা ধুয়ে দিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস। এরপর তিনি তাঁদের পা মুছে চুমু খেয়েছেন।
এর আগে কোনো পোপ কোনো নারীর পা ধুয়ে দেননি এবং পায়ে চুমুও খাননি। পোপ ফ্রান্সিসের এই পদক্ষেপ রক্ষণশীলদের মধ্যে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। সমালোচকেরা বলছেন, পোপ একটি প্রশ্নবিদ্ধ উদাহরণ স্থাপন করেছেন।
ভ্যাটিকান থেকে প্রকাশ করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ৭৬ বছর বয়সী ফ্রান্সিস মেঝেতে হাঁটু গেড়ে বসে কয়েকজন কিশোর-কিশোরীর পায়ে পানি ঢালছেন। তাঁদের মধ্যে কৃষ্ণাঙ্গ-শ্বেতাঙ্গ, নারী ও পুরুষ রয়েছে। এমনকি কারও কারও পায়ে উল্কিও ছিল। এরপর পোপ তাঁদের পা মুছে দিয়েছেন এবং ঝুঁকে তাঁদের পায়ে চুমু দিয়েছেন।
কিশোর অপরাধীদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তৃতায় পোপ ফ্রান্সিস বলেন, ‘ভালোবাসা ও সেবার উদাহরণ হিসেবে ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার প্রাক্কালে যিশু তাঁর ভক্তদের পা ধুয়ে দিয়েছেন। এটা একটা প্রতীক। একটা চিহ্ন। তোমাদের পা ধুয়ে দেওয়ার অর্থ আমি তোমাদের সেবায় নিয়োজিত।’
১৪ থেকে ২১ বছর বয়সী ওই অপরাধীদের উদ্দেশে ফ্রান্সিস বলেন, ‘পরস্পরকে সাহায্য করো। এটাই যিশুর শিক্ষা। আমি তাই করছি। আমি আমার অন্তর থেকেই এটা করছি। কারণ, এটা আমার দায়িত্ব। একজন যাজক হিসেবে আপনাদের সেবা করা আমার দায়িত্ব।’

পুলিশ কি আঙুল চুষবে—প্রশ্ন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেছেন, ‘পুলিশের সামনে, নিরাপত্তা কর্মীদের সামনে যদি সাধারণ মানুষকে খুন করা হয়, তবে কি পুলিশ আঙুল চুষবে? পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এগুলো বন্ধ করার জন্য।’ আজ শুক্রবার দুপুরে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার আলিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এর আগে ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চাঁদের মধ্যে ছবি রেখে এত বড় একটি মিথ্যা কথা বলে দেশের মধ্যে এতগুলো লোক তারা মারল। এর ক্ষতিপূরণ কে দেবে? এর ক্ষতিপূরণ বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আর জামায়াতে ইসলামীকে দিতে হবে।’ জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ করা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে দাবি উঠলে জামায়াত নিষিদ্ধ করা হবে।
ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কচুয়ার বিতারা ইউনিয়নের উত্তর শিবপুর গ্রামে বিদ্যুত্সংযোগ উদ্বোধন করেন। এ সময় চাঁদপুরের পুলিশ সুপার আমির জাফর, কচুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী পাটোয়ারী, ভাইস চেয়ারম্যান কামরুন নাহার, ৩ নম্বর বিতারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইসহাক শিকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


রাজ্জাকের ২০০

টেস্টে ব্যাটসম্যানদের জন্য যা সেঞ্চুরি, বোলারদের জন্য তা ইনিংসে ৫ উইকেট। কিন্তু ওয়ানডেতে কি দ্বিতীয়টিকে একটু এগিয়ে রাখা উচিত?
টেস্টের বিচার এক রকম, ওয়ানডের অন্য রকম। টেস্টে যতক্ষণ ইচ্ছা ব্যাটিং-বোলিং করা যায়। ওয়ানডেতে তা ওভার-নির্দিষ্ট। তা ৫০ ওভারের মধ্যে সেঞ্চুরি করা বেশি কঠিন নাকি ১০ ওভারের মধ্যে ৫ উইকেট নেওয়া? তর্ক হতেই পারে। সাহায্যে আসতে পারে একটা তথ্য। টেস্টে ইনিংসে ৪ উইকেটের হিসাব থাকে না। ওয়ানডেতে কিন্তু থাকে। তার মানে কি ওয়ানডেতে ৪ উইকেটই টেস্টে ৫ উইকেটের সমান?
তা-ই যদি হয়, তাহলে ৫ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব টেস্টের চেয়ে ওয়ানডেতে বড় হয়ে যায়। তার মানে তো সেঞ্চুরির চেয়েও। এই বিচারে কাল পাল্লেকেলেতে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার ইনিংস শেষে তিলকরত্নে দিলশানের চেয়ে আবদুর রাজ্জাকই এগিয়ে!
সেঞ্চুরি বা ৫ উইকেট উদ্যাপন করার মতোই ব্যাপার। দুজনই তা করলেন। তবে রাজ্জাকের উদ্যাপনটা ৫ উইকেট পাওয়ার আনন্দ ছাপিয়ে আরও বৃহত্তর মাত্রা পেল। এই ৫ উইকেটেই যে ছুঁয়ে ফেললেন ওয়ানডেতে ২০০ উইকেটের মাইলফলক।
ওয়ানডে ইতিহাসে রাজ্জাকের এই অর্জন বুদ্বুদ তুলেই মিলিয়ে যাবে। খুব বড় কিছু তো নয়, তাঁর আগে আরও ৩৩ জন বোলার সদস্যপদ পেয়েছেন এই ‘টু হান্ড্রেড ক্লাব’-এর। তবে শুধুই বাংলাদেশ ক্রিকেটের আয়নায় আবদুর রাজ্জাকের এই অর্জন প্রতিবিম্বিত ‘কীর্তি’ বলে। বাংলাদেশের কোনো বোলারের ২০০ উইকেট তো এই প্রথম।
শুধু বাঁহাতি স্পিনারের প্রজাতিটা আলাদা করে নিলে রাজ্জাক ছাড়া আর মাত্র দুজন আছেন এই ক্লাবে। সবার ওপরে যাঁর নাম, তিনি কাল ম্যাচের মাঝখানে সংবাদ সম্মেলন করলেন। শ্রীলঙ্কার টি-টোয়েন্টি দলে রামিথ রামবুকওয়ালে নামের এক তরুণকে নেওয়া হয়েছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে বলার মতো তেমন পারফরম্যান্স নেই। তথ্যমন্ত্রীর ছেলে পরিচয়টাই তাঁর দলভুক্তিতে বড় ভূমিকা রেখেছে সাধারণ ধারণা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে তীব্র সমালোচনাও হয়েছে। সেটির জবাব দিতেই সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিলেন প্রধান নির্বাচক সনাৎ জয়াসুরিয়া। ‘জবাব’ যা দিলেন, তাতে অবশ্য স্থানীয় সাংবাদিকদের কেউই আগের ধারণা থেকে সরে আসার কোনো কারণ দেখছেন না।
বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের আড়ালে তাঁর বোলার পরিচয়টা প্রায়ই হারিয়ে যায়। অথচ বাঁহাতি স্পিনে জয়াসুরিয়ার ৩২৩ উইকেট। কালকের আগ পর্যন্ত জয়াসুরিয়া ছাড়া আর যে একজন বাঁহাতি স্পিনারের ২০০ উইকেট ছিল, তাঁর নাম ড্যানিয়েল ভেট্টোরি (২৮২)। রাজ্জাকের গল্পটা এই দুজনের চেয়ে অনেক বেশি রোমাঞ্চকর। অনেক বেশি সংগ্রামমুখরও। মুত্তিয়া মুরালিধরনকে যে যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে, সেটির সঙ্গে তুলনা চলে না। কিন্তু মুরালির দেশে রাজ্জাকের ২০০ উইকেটের কীর্তি মনে করিয়ে দিচ্ছে দুজনের মিলটা। বোলিং অ্যাকশন নিয়ে রাজ্জাককেও তো কম ভুগতে হয়নি। এক দিক থেকে তো একটু বেশিই। মুরালি তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কখনো ‘নিষিদ্ধ’ হননি, যে বিড়ম্বনা বিনিদ্র অনেক রাত্রি উপহার দিয়েছে রাজ্জাককে।
রাজ্জাককে আবিষ্কারের কৃতিত্বটা সাবেক প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদের। নিজে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার সময় দেখেছেন, রাজ্জাককে মারা কত কঠিন। ২০০৪ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের ওয়ানডে দলে তাই নিয়ে নিলেন তাঁকে। পরদিন গ্রেনাডায় সিরিজের শেষ ম্যাচে অভিষেক হচ্ছে জেনে রাতে ঘুমুতে গেলেন রাজ্জাক। সকালে বৃষ্টিতে ম্যাচ কমে গেল ২৫ ওভারে। পেস-সহায়ক কন্ডিশনে একজন বাড়তি পেসার খেলানোর সিদ্ধান্তে রাজ্জাকের আর খেলাই হলো না। শুধু যাওয়া আর আসাই হয়ে থাকল তাঁর সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের স্মৃতি।
ওয়ানডে অভিষেকের জন্য বেশি দিন অবশ্য অপেক্ষা করতে হয়নি। সেটি এই মুরালির দেশেই। এশিয়া কাপে হংকংয়ের বিপক্ষে অভিষেকেই ৩ উইকেট। পাকিস্তানের বিপক্ষে পরের ম্যাচে ১০ ওভারে ৩৬ রানে ২ উইকেট, কিন্তু সেই ম্যাচের পর প্রশ্ন উঠল বোলিং অ্যাকশন নিয়ে। সেটি শুধরে-টুধরে ফিরলেন। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের এক নম্বর বোলারের স্বীকৃতি এবং চাপ দুটিই বয়ে চলারও সেই শুরু। বড় ধাক্কাটা ২০০৮ সালে। যখন দ্বিতীয়বার ‘রিপোর্টেড’ হয়ে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ হয়ে গেলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। ১৫ ডিগ্রি পর্যন্ত হাত বাঁকানো আইনসিদ্ধ, তাঁর বেঁকে যায় ২৮ ডিগ্রি। ক্যারিয়ার নিয়েই তখন বড় প্রশ্ন।
কিন্তু আবদুর রাজ্জাক বড় শক্ত ধাতুতে গড়া। ঘণ্টার পর ঘণ্টা নেটে কাটিয়ে আবারও শুধরেছেন নিজেকে। ফিরতে পারবেন কিনা, সংশয় ছিল অনেকের মনেই। রাজ্জাকের নিজের বুকও কি দুরুদুরু করেনি! শেষ পর্যন্ত দুঃসহ সেই সময়কে জয় করে ঠিকই ফিরেছেন এবং বলতে গেলে ফেরার দিন থেকেই আবার বাংলাদেশের এক নম্বর স্পিনার।
রেকর্ডই তাঁর পক্ষে কথা বলে। কিন্তু পুরোটা কি বলে? মারদাঙ্গা ক্রিকেটের এই যুগে ৪.৪৮ ইকোনমি রেটকে যথেষ্টই ভালো বলতে হবে। কিন্তু এতে তো আর লেখা নেই যে, রাজ্জাক তাঁর ১০ ওভারের ৬/৭ ওভারই করেন পাওয়ার প্লেতে। পেসাররা মার খাচ্ছেন, অধিনায়কের সহায় রাজ্জাক। কোনো ব্যাটসম্যান ঝড় তুলছেন, রাজ্জাককে ডাকো। দিনে দিনে রাজ্জাকের নামের প্রতিশব্দ হয়ে উঠেছে ‘নির্ভরতা’।
২০০ উইকেটের মালাটা তাঁর চেয়ে ভালো আর কার গলায় মানাত!

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সেরা চার বোলার
ম্যাচ রান উইকেট সেরা গড় ইকোনমি ৪/৫
আবদুর রাজ্জাক ১৪১ ৫৪৯৩ ২০০ ৫/২৯ ২৭.৪৬ ৪.৪৮ ৫/৪
মাশরাফি বিন মুর্তজা ১২৬ ৪৮৮২ ১৬১ ৬/২৬ ৩০.৩২ ৪.৬৩ ৫/১
সাকিব আল হাসান ১২৬ ৪৬১৭ ১৬০ ৪/১৬ ২৮.৮৫ ৪.২৯ ৪/০
মোহাম্মদ রফিক ১২৩ ৪৬১২ ১১৯ ৫/৪৭ ৩৮.৭৫ ৪.৩৯ ২/১

ভারতে হোলি ও দোল চলাকালে ৬১ জনের মৃত্যু

ভারতে গত বুধবার ও গতকাল বৃহস্পতিবার হোলি ও দোল উৎসব উদযাপনের সময় বিভিন্ন ঘটনায় ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর মধ্যে রাজধানী দিল্লিতে আটজন, ওডিশায় ১০ জন, অন্ধ্র প্রদেশ, গুজরাট ও উত্তর প্রদেশে ২৫ জন এবং পশ্চিমবঙ্গে ১০ জনসহ মোট ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। রং খেলা কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, জোর করে রং দেওয়া, রং খেলার পর গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে এবং মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাতে গিয়ে এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া উত্তর প্রদেশে বিষাক্ত মিষ্টি খেয়ে আটজনের মৃত্যু হয়।
হোলি উত্সবের দিন দিল্লিতে ১০ হাজার ৩৩৯ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে দিল্লি পুলিশ। পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা শহরে প্রকাশ্যে মদ্যপান, জোর করে রং দেওয়া, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে পুলিশ ৯৬৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

ককটেলের স্প্লিন্টারে স্কুলছাত্রী আহত

‘রাস্তায় কয়েকজন পিকেটার টায়ারে আগুন দিচ্ছিল। পরিস্থিতি দেখে তাড়াহুড়ো করে হাঁটতে শুরু করি। আমি ছিলাম বাম দিকে। মেয়ে আমার ডান হাত ধরে হাঁটছিল। হঠাৎ পর পর দুইটা বিকট শব্দ। তারপর আমার মেয়ে ডান চোখ চেপে ধরে কান্না শুরু করে। দেখি ওর চোখ থেকে রক্ত ঝরছে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চক্ষু বিভাগে কান্নাজড়িত কণ্ঠে প্রথম আলোকে এসব কথা বলেন ককটেল বিস্ফোরণে আহত স্কুলছাত্রী অন্তু বড়ুয়ার (১৪) মা শিল্পী বড়ুয়া। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো সকালে অন্তু আমার হাত ধরে চেরাগী পাহাড় এলাকার কোচিং সেন্টারে যাচ্ছিল। এ সময় আমার মেয়ে হরতালের নির্মম শিকার হয়।’
জানা গেছে, অন্তু নগরের অপর্ণাচরণ সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী। ১৮-দলীয় জোটের ডাকা ৩৬ ঘণ্টার হরতালের দ্বিতীয় দিন সকালে চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানার মোমিন রোডের হেমসেন লেনের মুখে টায়ারে আগুন দেওয়া হয়। এ সময় ওই পথ দিয়ে মায়ের সঙ্গে সে কোচিং সেন্টারে যাচ্ছিল।
ঘটনার পর অন্তুকে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চক্ষু বিভাগে ৪৮ নম্বর বেডে ভর্তি করানো হয়। দুপুরে চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচার করেন।
অন্তুর বাবা অঞ্জন বড়ুয়া ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘আমার কপালের দোষ। আমি ঈশ্বরের কাছে বিচার চাই। যারা এসব করছে তাদের যেন সুমতি হয়।’
গতকাল বিকেলে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, বিছানায় চোখ বুজে শুয়ে আছে অন্তু। কেমন লাগছে জানতে চাইলে মুখ দিয়ে শুধু গোঙানির মতো শব্দ করে আবার নীরব হয়ে যায় সে। হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার সুব্রত দাশ প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্প্লিন্টারের আঘাতে অন্তুর ডান চোখের কর্নিয়ায় কিছুটা আঁচড় লেগেছে। চোখের ভ্রুতে সেলাই দিতে হয়েছে। ডান গাল থেকে স্প্লিন্টার বের করা হয়েছে। সে অসম্ভব ভয় পেয়েছে। ভয় না কাটায় সে কথা বলছে না।’
কোতোয়ালি অঞ্চলের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মির্জা সায়েম মাহমুদ বলেন, ‘হরতাল-সমর্থকেরা যে টায়ারটিতে আগুন দেয়, তার ভেতরে একটি ককটেল ছিল। অন্য একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয় রাস্তায়। ককটেলের স্প্লিন্টারে স্কুলছাত্রী আহত হয়। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।’