Thursday, February 7, 2013

ফ্রিজ ও ওয়াশিং মেশিনে ইন্টারনেট!

দক্ষিণ কোরিয়ার ইলেকট্রনিক পণ্য নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান স্যামসাং তৈরি করছে ইন্টারনেট ব্রাউজ করার সুবিধাযুক্ত ফ্রিজ ও ওয়াশিং মেশিন। শিগগিরই ইউরোপের বাজারে স্যামসাংয়ের নতুন এ পণ্যগুলো পাওয়া যাবে। খবর ‘টেলিগ্রাফ অনলাইন’-এর।
স্যামসাং কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্যামসাং ব্র্যান্ডের টি৯০০০ মডেলের ফ্রিজের সঙ্গে থাকবে বিল্ট-ইন অ্যান্ড্রয়েড ট্যাবলেট। অর্থাত্ ট্যাবলেট কম্পিউটারের সুবিধা পাওয়া যাবে ফ্রিজে। এ ফ্রিজ ব্যবহারকারী ইন্টারনেট থেকে রেসিপি দেখতে পারবেন, অনলাইনে কেনাকাটা করতে পারবেন এবং ফ্রিজের সঙ্গে থাকা ক্যামেরার মাধ্যমে চাইলে বাড়ির সদস্যদের ওপর নজর রাখতেও পারবেন।
স্যামসাংয়ের ১২ কেজি ওজনের ওয়াশিং মেশিনটিও স্মার্ট। স্মার্টফোনের অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে দূর থেকেই এ মেশিনকে নির্দেশ দেওয়া যাবে।
স্যামসাংয়ের ডিজিটাল অ্যাপ্লায়েন্সেস বিপণন বিভাগের প্রধান রাসেল ওয়েন্স স্যামসাংয়ের নতুন এ পণ্যগুলো চলতি বছরেই ইউরোপের বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে লাসভেগাসে অনুষ্ঠিত সিইএস মেলায় টি৯০০০ মডেলের ফ্রিজ দেখিয়েছিল স্যামসাং। অ্যান্ড্রয়েড ট্যাবলেটযুক্ত ফ্রিজ ও ইন্টারনেট সুবিধার ওয়াশিং মেশিনের দাম-সংক্রান্ত কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি স্যামসাং।

অ্যাপলঅ্যাপ চার হাজার কোটি ডাউনলোড

অ্যাপল কম্পিউটারের অনলাইন দোকান অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপস নামানোর (ডাউনলোড) সংখ্যা চার হাজার কোটি ছাড়িয়েছে। ২০০৮ সালে অ্যাপলের অ্যাপ নামানোর এ স্টোর চালু হয়। গত বছরেই অ্যাপ নামানোর সংখ্যা দুই হাজার কোটি ছাড়িয়েছিল। এর মধ্যে শুধু ডিসেম্বর মাসেই ২০০ কোটির বেশি অ্যাপস নামানো হয়েছে। সম্প্রতি অ্যাপল এ তথ্য প্রকাশ করে। তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে অ্যাপস স্টোরে ৫০ কোটি সক্রিয় অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এ ছাড়া অ্যাপ্লিকেশনের সংখ্যা প্রায় সাত লাখ ৭৫ হাজার।
অ্যাপস ডাউনলোড বাড়ার পাশাপাশি লাভবান হচ্ছেন অ্যাপস নির্মাতারা।গত চার বছরে শুধু অ্যাপস তৈরি করে ডেভেলপাররা আয় করেছেন ৭০০ কোটি ডলার।অ্যাপলের অপারেটিং সিস্টেমের পাশাপাশি বর্তমানে জনপ্রিয় আরেকটি অপারেটিং সিস্টেম হচ্ছে অ্যান্ড্রয়েড। গত বছরের মাঝামাঝি অ্যান্ড্রয়েডের প্লে স্টোর থেকে দুই হাজার ৫০০ কোটি অ্যাপস ডাউনলোড হয়েছে।
অ্যাপস ডাউনলোডের এমন সংখ্যায় আশাবাদী হয়ে উঠেছেন অ্যাপস নির্মাতারা। আর শুধু অ্যাপস বানানোর অনেস প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে বিশ্ব জুড়ে।এ অবস্থাকে অ্যাপস নির্মাতাদের জন্য দারুণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, এর ফলে দারুণ সব অ্যাপস যেমন তৈরি হবে, তেমনি নির্মাতারাও লাভবান হবেন।

ব্যাটসম্যান ওয়াটসনই যথেষ্ট!

পেস বোলিং অলরাউন্ডার-খরার এই যুগে ছিলেন অমূল্য এক রত্ন। কিন্তু নিজের শরীরের সঙ্গে পেরে না ওঠায় নিজেই আপাতত বিসর্জন দিয়েছেন অলরাউন্ডার সত্তা। তবে রত্নের মূল্য তাতে খুব একটা কমছে না। ক্যারিয়ারের নতুন অধ্যায়ের প্রথম দিনেই শেন ওয়াটসন বুঝিয়ে দিলেন, শুধু ব্যাটসম্যান ওয়াটসনও অমূল্য এক সম্পদ। সাত মাস পর ওয়ানডে খেলতে নেমেই দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। ৩৯ রানে জিতে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ জিতে গেল দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই।
এমনিতে ওয়াটসনের সেঞ্চুরি যেমন হয়, পেশিশক্তির সেই প্রদর্শনী ছিল না কাল। নিখুঁত টাইমিংয়ে ফিল্ডিংয়ের ফাঁক খুঁজে নেওয়া দারুণ সব বাউন্ডারি ছিল ইনিংসের অলংকার। মানুকা ওভালের ব্যাটিং-স্বর্গে ওয়াটসন-ফিঞ্চের উদ্বোধনী জুটি গড়ে দেয় বড় ইনিংসের ভিত্তি। ৯৩ বলে ৮৯ রানের জুটি, গত মার্চে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই ওয়ার্নার-ওয়াটসনের ১১৮ রানের পর ওপেনিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় উইকেটে ওয়াটসন ও হিউজের জুটিতে এসেছে ১১০ বলে ১১২। ওয়াটসনের পঞ্চাশে ছিল সাত চার, ১০২ বলে ছোঁয়া সেঞ্চুরিতে ১১টি চার। সেঞ্চুরির পর অবশ্য একটু শক্তির প্রদর্শনী ছিল, পরের ৮ বলে ২ ছক্কা, ১ চারে করেছেন ২২!
হিউজকে শুরুতে একটু অপ্রতিভ মনে হচ্ছিল। তবে উইকেটে একটু থিতু হওয়ার পর চাবুকের মতো খেলেছেন একের পর এক কাট শট। প্রথম ৩২ বলে করেছিলেন ১০, পরের ৬১ বলে ৭৬। সেঞ্চুরিটা প্রাপ্য ছিল, কিন্তু তা পাননি স্যামির স্লোয়ারে কট বিহাইন্ড হয়ে। কাইরন পোলার্ডের অসাধারণ তিনটি ক্যাচে শেষ দিকে উইকেট পড়েছে নিয়মিত। জর্জ বেইলির ২২ বলে ৪৪ রানে তবু শেষ ১০ ওভারে ৮৯ তুলেছে অস্ট্রেলিয়া। যেটির ফল রাজধানী শহরের মাঠে প্রথম তিন শ ছাড়ানো স্কোর।
চোট পেয়ে ফিল্ডিংয়ে শেষ দিকে মাঠে না থাকায় ওপেন করতে পারেননি ক্রিস গেইল। কাইরান পাওয়েল ও ডেভন টমাসের উদ্বোধনী জুটি অবশ্য ৫২ বলে ৫৪ রান তুলে ভালো একটা সূচনাই এনে দিয়েছিল। এরপর দুই ব্রাভোর দারুণ এক জুটি জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিল ক্যারিবিয়ানদের। ডোয়াইন ব্রাভোকে ফিরিয়ে ১১০ বলে ১১৪ রানের জুটি ভাঙেন স্টার্ক। এরপর বিস্ফোরক সব ব্যাটসম্যান থাকলেও সুবিধা করতে পারেননি কেউই। এক ওভারেই ড্যারেন ব্রাভো ও ক্রিস গেইলকে বোল্ড করেছেন ফকনার, পরে স্যামি-নারাইনকেও বোল্ড করে তৃতীয় ওয়ানডেতেই পেয়েছেন ৪ উইকেট। ২৪তম জন্মদিনে ছোটো ব্রাভো ছুঁয়েছেন ক্যারিয়ার-সেরা ইনিংস (৮৬)। আন্দ্রে রাসেলের ৩১ বলে ৪৩ শুধু ব্যবধানই কমাতে পেরেছে। সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ হবে কাল সিডনিতে।

সৌদিতে সিআইএর গোপন ড্রোন ঘাঁটি!

চালকবিহীন বিমান (ড্রোন) পরিচালনার জন্য সৌদি আরবে একটি গোপন বিমানঘাঁটি চালাচ্ছে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ। নিউইয়র্ক টাইমস-এর এক খবরে এ কথা বলা হয়েছে।
আরব উপদ্বীপে অবস্থানরত আল-কায়েদার সদস্যদের খুঁজে বের করতে দুই বছর ধরে ইয়েমেনভিত্তিক এই বিমানঘাঁটি পরিচালিত হচ্ছে। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে এই ঘাঁটি থেকে নিক্ষিপ্ত ড্রোন হামলায় মার্কিন বংশোদ্ভূত ধর্মীয় নেতা আনোয়ার আল-আওলাকি নিহত হন। মার্কিন গণমাধ্যমগুলো তখন থেকে ওই ঘাঁটির খবর জানলেও তা প্রকাশ করেনি।
খবরে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে ইয়েমেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ওই ঘাঁটির নির্মাণকাজ শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কর্মকর্তারা পত্রিকাটিকে জানান, আওলাকিকে হত্যা করতেই ঘাঁটিটি প্রথম ব্যবহার করে সিআইএ।
কর্মকর্তারা বলেন, তারপর থেকে আল-কায়েদার আরব উপদ্বীপে অবস্থানরত নেতাদের ধরতে এবং হত্যা করতে সিআইএকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সিআইএর ড্রোন হামলা চালানোর ক্ষেত্রে ইয়েমেন সরকারের অনুমতির প্রয়োজন নেই।
ওয়াশিংটন পোস্ট-এর ভিন্ন এক খবরে বলা হয়, গোপন বিমানঘাঁটি নির্মাণে প্রধান মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেন সৌদি আরবে দায়িত্ব পালনকারী সিআইএর সাবেক প্রধান এবং প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সন্ত্রাসবাদবিরোধী উপদেষ্টা জন ব্রেনান।
খবরে উল্লেখ করা হয়, সৌদি আরব হলো ইসলামের পবিত্রতম অনেক স্থাপনার আবাসভূমি। মার্কিন বাহিনী মোতায়েন করার পর সেখানে ওসামা বিন লাদেনের মতো বিশ্বাসঘাতকের দেখা মেলে।
মার্কিন বিচার বিভাগের একটি নথি ফাঁস হয়ে যাওয়ার পরপরই গোপন বিমানঘাঁটি পরিচালনার খবরটি প্রকাশ পায়। নথিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে অবস্থানকারী মার্কিন নাগরিক যারা আল-কায়েদার জ্যেষ্ঠ নেতা বলে অভিযুক্ত ছিলেন, তাঁদের ব্যাপারে তদন্ত সংশ্লিষ্ট নথিতে এ তথ্য ছিল।
এদিকে এনবিসি নিউজের খবরে বলা হয়, নথিটি মার্কিন সিনেটের গোয়েন্দা ও বিচারিক কমিটির সদস্যদের কাছে দেওয়া হয়েছিল।
ড্রোন হামলা চালিয়ে আওলাকিকে হত্যার আগে নথিটি লেখা হয়। পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও ইয়েমেনে শতশত আল-কায়েদা সদস্যকে হত্যার উদ্দেশ্যে ওবামার অধীনে ড্রোন হামলা বাড়িয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র

শাহবাগে জনতার ঢল, প্রতিবাদের জোয়ার

সকালের আলো ফুটতে না ফুটতেই রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে প্রতিবাদী আন্দোলনকারীদের সমাগম বাড়তে শুরু করেছে। নেমেছে জনতার ঢল।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতা আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনের মতো প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। এ কর্মসূচি পালনে জড়ো হয়েছেন সর্বস্তরের শত শত মানুষ।
রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদেরও এই আন্দোলনে শামিল হতে দেখা গেছে। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে শাহবাগ মোড়ে তীরন্দাজ নাট্যদলের কর্মীরা প্রতিবাদী পথনাটক মঞ্চস্থ করেন। বেলা সোয়া ১১টার দিকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কুশপুত্তলিকায় জুতাপেটা ও পরে তাতে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা।
বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান শাহবাগে গিয়ে আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা যা করতে পারিনি, এ তরুণ প্রজন্মই তা করে দেখাবে। সে বিশ্বাস আমাদের আছে। এবং তারা তা করে দেখিয়েছে।’
বিকেল তিনটার দিকে সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘রক্তের দামে কেনা এই বাংলাদেশ। আজ যখন তোমাদের দেখি, তখন মনে হয়—আমি এক নতুন বাংলাদেশ রেখে যাচ্ছি। এই অগ্রগতি কেউ রুখতে পারবে না। রাজাকারেরা ফাঁসিতে ঝুলবে। জামায়াত শিবির নিশ্চিহ্ন হবে।’
জানা গেছে, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, ইডেন কলেজ, ঢাকা কলেজ, সিটি কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সংহতি প্রকাশ করে কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। এ ছাড়া সাবেক ফুটবালার ও ক্রিকেটাররাও এই আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে অংশ নিয়েছেন।
প্রতিবাদের রাত: রায় প্রত্যাখ্যান করে মঙ্গলবার বিকেলেই শাহবাগ মোড়ে বিক্ষোভ শুরু করেছিল ব্লগার ও ফেসবুক অ্যাক্টিভিস্ট নেটওয়ার্ক। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সর্বস্তরের মানুষ তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। সন্ধ্যায় প্রজ্বলিত মোমবাতি ও মশালের আলোয় শাহবাগে সৃষ্টি হয় প্রতিবাদী আবহ। বিক্ষোভকারীরা কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবি করে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। ছিল প্রতিবাদী গান ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী।
রাত একটার দিকে ওই দিনের মতো কর্মসূচি শেষ করে বুধবার সকাল সাতটায় আবার শাহবাগে জড়ো হওয়ার ঘোষণা দেন উদ্যোক্তারা। তবে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা সাধারণ মানুষ এই সময় জানান, তাঁরা সারা রাত এখানেই থাকবেন। রাতেই কাদের মোল্লার প্রতীকী ফাঁসি দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এর পর আরও কয়েক দফায় তাঁকে প্রতীকী ফাঁসি দেওয়া হয়। এ সময় তরুণ-তরুণীদের কণ্ঠে ধ্বনিত হয় প্রতিবাদী গান।
রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে অনেক ছাত্র পেপার-কম্বল নিয়ে জড়ো হন শাহবাগে। দুটি বড় পর্দায় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন চলচ্চিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়। খণ্ডে খণ্ডে বিভক্ত হয়ে রাতভর চলে প্রতিবাদী গান।

যানবাহন চলাচলে বাধা
প্রতিবাদ আন্দোলনের কারণে যান চলাচল বন্ধ রাখতে চারুকলা ইনস্টিটিউটের সামনে, আজিজ সুপার মার্কেট, রূপসী বাংলা হোটেলের সামনে ও শিশুপার্কের সামনে কাঁটাতারের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে পুলিশ।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম প্রথম আলো ডটকমকে জানান, আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাস্তায় এ বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। শাহবাগ মোড় দিয়ে যান চলাচল না করতে রাজধানীবাসীকে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

Monday, January 14, 2013

স্যামসাং আনল ১১০ ইঞ্চি ইউএইচডি, ওএলইডি, এলইডি টিভি (ভিডিও)

৮ জানুয়ারি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের লাসভেগাসে শুরু হওয়া কনজুমার ইলেকট্রনিক শো ২০১৩-তে বিভিন্ন মডেলের টেলিভিশন দেখিয়েছে স্যামসাং। এক খবরে টেলিগ্রাফ অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে। সিইএস মেলায় আলট্রা হাই ডেফিনেশন বা ইউএইচডি, লাইট এমিটিং ডায়োড বা এলইডি, অর্গানিক লাইট এমিটিং ডায়োড বা ওএলইডি প্রযুক্তির বাঁকানো টেলিভিশন এনেছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠানটি।
১১০ ইঞ্চির টেলিভিশন:
স্যামসাং যে টেলিভিশনগুলো এনেছে তার মধ্যে সবার নজর কেড়েছে ১১০ ইঞ্চি মাপের ইউএইচডি টিভি। ২০১৩ সালের শেষদিকে এ টেলিভিশনটির বিক্রি শুরু করবে প্রতিষ্ঠানটি। কোয়াড কোর প্রসেসরযুক্ত এ টিভিতে কণ্ঠস্বর শনাক্তকরণ, অঙ্গভঙ্গি শনাক্তকরণ প্রযুক্তি রয়েছে। এ ছাড়াও এটি বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন সমর্থন করবে।
এলইডির নতুন সংস্করণ:
১১০ ইঞ্চি ইউএইচডি টিভির পাশাপাশি এলইডি এফ ৮০০০ মডেলের স্মার্ট টিভি প্রদর্শন করছে স্যামসাং। কোয়াড কোর প্রসেসরযুক্ত এ টেলিভিশন কণ্ঠস্বর শনাক্ত করতে পারে এবং এতে উন্নত সার্চ সুবিধা রয়েছে।
বাঁকানো ওএলইডি:
এলইডির উন্নত সংস্করণ ছাড়াও নতুন অর্গানিক লাইট এমিটিং ডায়োড বা ওএলইডি প্রযুক্তির বাঁকানো টেলিভিশন প্রদর্শন করছে স্যামসাং। এ প্রযুক্তির টিভি শক্তিসাশ্রয়ী এবং উন্নত ছবি দেখাতে পারে।

১৫ মিনিট সুনিধি



সুনিধি চৌহান ঢাকায় এসেছিলেন একটি কনসার্টে গান গাইতে। সেদিনই দুপুরে সময় দিলেন। শর্ত ছিল, ১৫ মিনিট কথা বলা যাবে। মেকআপ নেননি বলে ছবিও তোলা যাবে না। ১৫ মিনিট শেষে অবশ্য ওঠার তাড়া দেননি, ছবি তুলতেও আপত্তি করেননি। এই সময়ে তাঁর নানা কাজ নিয়ে বললেন অনেক কিছুই
‘আমিই এ সময়ের সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় সংগীতশিল্পী’—ছয় বছর আগে হিন্দুস্তান টাইমস-এ ছাপা হয়েছিল সুনিধির এই বক্তব্য। এখনো কি তা-ই মনে করেন তিনি? 
‘এমন কথা তো আমি বলিনি।’
কিন্তু ওটা তো তাঁর উদ্ধৃতি হিসেবেই ছাপা হয়েছিল!
‘ওটা তাদেরই বক্তব্য। আমার মুখে বসিয়ে দিয়েছে তারা। আমি নিজে এমন কিছু বলিনি।’
সুনিধি বলুন বা না-ই বলুন, এই সময়ে জনপ্রিয় গানের হিসাবে তিনিই সবার চেয়ে এগিয়ে তা তো অনেকেই মানবেন। 
সুনিধির আইটেম গানের সংখ্যাই বেশি। এই সময়ের ‘শিলা কি জওয়ানি’. ‘হালকাট জওয়ানি’ ‘আ জারা’ সবই তো তাঁর গাওয়া। তবে এই গানগুলোকে ‘আইটেম সং’ বলতে কিছুটা আপত্তি তাঁর। ‘আইটেম সং নয়, বরং স্পেশাল সং বলুন।’ বলেছেন তিনি। ‘একটি সিনেমার প্রথম পরিচয় হিসেবে কিন্তু এই গানগুলোই আসে।’
সুনিধিকে বৈচিত্র্যময় কেন বলা হচ্ছে? ‘শিলা কি জওয়ানি’র মতো গানে যেমন, তেমনি ‘ইশক সুফিয়ানা’র মতো রোমান্টিক গানেও তাঁর সমান দখল। আর একজন শিল্পীর জন্য এই বৈচিত্র্য থাকাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বলেই মানেন তিনি।
তবে কি কোনো সংগীতশিল্পীকে গানের সব শাখাতেই সমান দক্ষ হতে হবে? কেউ বিশেষ কোনো শাখায় খুব ভালো, আর বাদবাকিতে মোটামুটি, তাঁর বেলায়? ‘দেখুন, আজকের প্লেব্যাক গানের যুগে সব ধরনের গান গাইতে পারাটা খুব জরুরি। তবে তা না হলে চলবেই না তা তো নয়।’ বললেন তিনি।
‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এর বিচারক হিসেবে কাজ করছেন তিনি। নতুন শিল্পীদের কি বৈচিত্র্য ধরে রাখার পরামর্শই দেবেন? ‘আমি কাউকেই কোনো নির্দেশ দিতে চাই না। নতুনদের আমি সাহায্য করতে পারি। নানা তথ্য দিতে পারি। কিন্তু সে কী করবে, কোন ধরনের গান গাইবে, সেটা সম্পূর্ণ তারই সিদ্ধান্ত।’ বললেন সুনিধি।
‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এরই প্রসঙ্গে আসে, এই সময়ের রিয়েলিটি শোগুলোর বাস্তবতার কথা। প্রায়ই দেখা যাচ্ছে, বিচারকদের মধ্যে তর্কাতর্কি থেকে ঝগড়া হচ্ছে, প্রতিযোগীর সঙ্গে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন বিচারকও, মঞ্চ ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। এগুলো কি আসলেই ঘটে, নাকি টিআরপি বাড়ানোর কৌশল? 
‘প্রতিটি শোরই কোড অব কন্ডাক্ট থাকে। সেই অনুযায়ীই শো চলতে থাকে। আমাকে কেউ বলে দেয়নি যে কোনো বিশেষ আচরণ করতে হবে বা চিত্রনাট্য তৈরি করেও এ ধরনের কিছু করা হচ্ছে না। আমি যেমন, তেমনই থাকছি রিয়েলিটি শোতে। বিচারক হিসেবে আমার কাজের প্রতি আমি খুবই সচেতন। সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অন্য কিছু নিয়ে আমি ভাবি না।’
এক বছরে একটাই একক গানের অ্যালবাম বেরিয়েছে সুনিধির। তবে খুব তাড়াতাড়ি আবার একটি একক অ্যালবাম করার ইচ্ছা আছে বলে জানালেন। 
মাইকেল জ্যাকসন আর হুইটনি হিউসটনকে আদর্শ মানেন তিনি। আর লতা মঙ্গেশকর, আশা ভোঁসলে তাঁর অনুপ্রেরণা।
১৯৯৯ সালে মাস্ত ছবির গান দিয়ে প্রথম আলোচনায় আসা সুনিধির। এত বছরে নতুন অনেক শিল্পী এসেছেন। অনেকেই ভালো করছেন। এটা কি সুনিধিকে প্রতিযোগিতার মুখে ফেলে? ‘আমাদের চলচ্চিত্রশিল্প অনেক বড়। অনেকেই ভালো গাইছেন। প্রচুর কাজের সুযোগ আছে এখানে। এখানে প্রতিযোগিতার তেমন কোনো ব্যাপার নেই। যাঁর যাঁর যোগ্যতা অনুয়ায়ীই সবাই কাজ করছেন।’ বলেন তিনি।


প্রিন্স-প্রিন্সেসের সংসার ভাঙার পেছনে ওসি!

একটি ছাগল রাখার জায়গা না দেওয়াকে কেন্দ্র করে ম্যাকাও দম্পতি প্রিন্স ও প্রিন্সেসকে আলাদা করার অভিযোগ উঠেছে। ওই ছাগলের মালিক রাজধানীর কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক।
প্রিন্সেসের মালিক আবদুল ওয়াদুদ অভিযোগ করেন, কলাবাগান থানার ওসি এক সপ্তাহের জন্য একটি ছাগল তাঁর বাড়িতে রাখতে বলেছিলেন। নেব, নিচ্ছি বলে গত চার মাসেও তিনি ছাগলটি ফেরত নেননি। বাড়িতে গরুর সঙ্গে একই ঘরে ছাগল থাকায় নানা সমস্যা হচ্ছিল।
২ জানুয়ারি ওয়াদুদ ছাগলটি নেওয়ার জন্য ওসিকে তাগাদা দেন। ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় থাকা ভিডিওচিত্র অনুযায়ী, ৩ জানুয়ারি সকালে কলাবাগান থানার পুলিশ ওসির ছাগলটি নিয়ে যায়। ওইদিন বিকেলেই আদালতের আদেশ তামিল করার কথা বলে প্রিন্সকে নিয়ে যায় একই থানার পুলিশ।
প্রিন্সকে নেওয়ার আগে ম্যাকাও দম্পতির ডিম দেখিয়ে তা ফোটা পর্যন্ত সময় চাওয়া হয়। কিন্তু পুলিশ সেই সময়টুকুও দেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও প্রতিপালন সমিতির যুগ্ম সম্পাদক মো. ইউনুস মিয়া।
আবদুল ওয়াদুদের আইনজীবী বরুণ কুমার বিশ্বাস জানান, আদালতের আদেশ তামিল করার সময় ছিল ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত। তার আগে ১০ জানুয়ারি আদালত মামলা খারিজ করেছেন। আর থানার ওসি ছাগলটি ফেরত নেওয়ার দিনই (৩ জানুয়ারি) প্রিন্সকে নিয়ে যান। আইনজীবী বলেন, আদালত যেহেতু মামলা খারিজ করে দিয়েছেন, সেহেতু প্রথম আদেশও খারিজযোগ্য এবং পুলিশের উচিত পাখিটি ফিরিয়ে এনে ওদের সংসার রক্ষা করা।
অভিযোগ রয়েছে, ছাগল নেওয়া ছাড়াও মসজিদের জন্য চাহিদামতো চাঁদা না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হন ওসি এনামুল হক। ২ জানুয়ারি ওসি এনামুল প্রিন্সেসের মালিক আবদুল ওয়াদুদের কাছে তাঁর গ্রামের একটি মসজিদের জন্য ৪০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে অনুরোধ করেন। আবদুল ওয়াদুদ পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা দেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে এনামুল হক বলেন, ‘আমার থানার কারও কারও সঙ্গে তাঁর (ওয়াদুদ) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকতে পারে। কিন্তু আমার সঙ্গে মাখামাখি নেই।’ মসজিদের জন্য চাঁদা চাওয়া প্রসঙ্গে ওসি বলেন, তিনি এমন চাঁদা চাননি। অন্যের বাসায় ছাগল রাখা প্রসঙ্গে ওসি বলেন, ‘আমি এমন কিছু জানি না।’ ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় এ সংক্রান্ত ছবি থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যা-ই থাক, আমি জানি না।’
মামলা খারিজ করার পর প্রিন্সকে ফেরত দেওয়া হবে কি না, তা জানতে চাইলে এনামুল বলেন, ‘আদালতের রায় নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না।’

জয় পেল শ্রীলঙ্কা

অবশেষে জয়ের মুখ দেখেছে শ্রীলঙ্কা। টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ ও ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে কোণঠাসা হওয়া সিংহের মতো ঘুরে দাঁড়িয়েছে লঙ্কানরা। ৮ উইকেটের দাপুটে এই জয় দিয়ে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতা ফিরিয়েছে সফরকারীরা। জয়ের জন্য ১৭১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১০ ওভার হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় শ্রীলঙ্কা।
৮ উইকেটের বড় ব্যবধানের জয় পেলেও শুরুটা ভালোভাবে করতে পারেননি লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। প্রথম ওভারেই ওপেনার উপুল থারাঙ্গার উইকেট তুলে নিয়েছিলেন ক্লিন্ট ম্যাককে। তবে এরপর দীর্ঘ সময় ধরে অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের হতাশায় পুড়িয়েছেন আরেক ওপেনার তিলকারত্নে দিলশান ও লাহিরু থিরিমানে। দ্বিতীয় উইকেটে ১৩৭ রানের চমত্কার এক জুটি গড়ে দলকে সহজ জয়ের পথে নিয়ে যান এই দুই ব্যাটসম্যান। ইনিংসের ৩৪তম ওভারে এই জুটি ভাঙতে সক্ষম হন বেন কাটিং। ৫১ রান করে ফিরে যান দিলশান। তবে ততক্ষণে জয় প্রায় নিশ্চিতই হয়ে গেছে শ্রীলঙ্কার। জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় বাকি রানগুলো অনায়াসেই সংগ্রহ করেছেন থিরিমানে ও জানিথ পেরেরা। ১০২ রানের দারুণ এক শতকের ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন থিরিমানে। 
এর আগে টসে জিতে লঙ্কান অধিনায়ক মাহেলা জয়াবর্ধনে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাট করতে পাঠান। অধিনায়কের সিদ্ধান্তের যথার্থতা বেশ ভালোভাবেই প্রমাণ করেছেন শ্রীলঙ্কার পেসাররা। প্রথম সাত ওভারের মধ্যে মাত্র ১২ রান সংগ্রহ করতেই সাজঘরে ফেরেন দুই অসি ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ও ফিলিপ হিউজেস। তৃতীয় উইকেটে ৩৯ রানের জুটি গড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন অধিনায়ক জর্জ বেইলি ও ডেভিড হাসি। কিন্তু ১৭তম ওভারে বেইলি রানআউটের ফাঁদে পড়লে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে যায় স্বাগতিকেরা। ২৬ রান করে ফিরে যান বেইলি। এরপর খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সাজঘরের পথ ধরেন স্টিভেন স্মিথ, ডেভিড হাসি ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। সে সময় ২৫ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ছিল ৮৩ রান। দলের ভয়াবহ এই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মধ্যে লড়াকু মনোভাব নিয়ে মাঠে নামেন ব্রাড হাডিন। সপ্তম উইকেটে বেন কাটিংকে সঙ্গে নিয়ে তিনি গড়েন ৫৭ রানের এক গুরুত্বপূর্ণ জুটি। শেষ পর্যায়ে হাডিনের ৬৭ বলে ৫০ রানের ইনিংসে ভর করেই ১৭০ রানের সম্মানজনক সংগ্রহ জমা করে অস্ট্রেলিয়া। কাটিংয়ের ব্যাট থেকে এসেছে ২৭ রান।

ভারতে আবারও গণধর্ষণ

সারা ভারত যখন ধর্ষণের প্রতিবাদে সরব, ঠিক তখনই দেশটিতে আরেকটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটল। রাজধানী নয়াদিল্লিতে গণধর্ষণের কয়েক সপ্তাহ পরই এমন একটি ঘটনা ঘটেছে উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য পাঞ্জাবে। এর দায়ে রাজ্য পুলিশ ছয় ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারও করেছে। এ ঘটনায় আরও একজনকে পুলিশ খুঁজছে।
রাজ্য পুলিশের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, গণধর্ষণের সর্বশেষ শিকার ওই নারীর বয়স ২৯ বছর। তিনি গত শুক্রবার রাতে বাসে করে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু বাসের চালক তাঁকে গ্রামের কাছে না নামিয়ে অমৃতসর থেকে দূরে এক নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাঁকে ধর্ষণ করে। তবে ওই নারীর সর্বশেষ অবস্থার বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর রাজধানী দিল্লিতে এক মেডিকেলছাত্রী বাসে ধর্ষণের শিকার হন। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ছাত্রীকে চিকিত্সার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। সেখানে কয়েক দিনের চিকিত্সা শেষে ওই ছাত্রী ২৯ ডিসেম্বরে মারা যান। এ ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।