Wednesday, August 3, 2011

খোশ আমদেদ মাহে রমজান

রহমত, মাগফেরাত ও নাজাতের মাস রমজানের দ্বিতীয় দিন আজ। আমাদের সবার পরম সৌভাগ্য আমরা মহিমান্বিত এই মাসকে আমাদের সামনে হাজির পেয়েছি। পবিত্র মাহে রমজানে নাজিল হয়েছিল পবিত্র কোরআন। পবিত্র কোরআনের সূরা বাকারায় এ কথাটি বলে তাগিদ দেওয়া হয়েছে 'সুসংবাদ তোমাদের মধ্যে যাহারা এই মাস পাইবে তাহারা যেন এই মাসে সিয়াম পালন করে।'
আল্লাহর অসীম রহমতের এই মাসে সব বান্দারই লক্ষ্য থাকা উচিত মহান স ষ্টার নৈকট্য অর্জন করা। রোজার প্রথম বৈশিষ্ট্য হলো আল্লাহর ওপর প্রগাঢ় বিশ্বাস স্থাপন। রোজাদার ব্যক্তির অন্তরে আল্লাহর প্রতি ঐকান্তিক বিশ্বাস জন্মে এবং আল্লাহর প্রেমে তার অন্তর উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। সে বিশ্বাস করে, আল্লাহপাক সর্বশক্তিমান, সর্বপরিজ্ঞাত এবং সর্বস্থানে বিরাজিত। তিনি বিচারের দিনের মালিক। এই বিশ্বাস নিয়ে রোজাদার একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য নিজের সব ক্ষুধা-পিপাসা, কাম-ক্রোধ, লোভ-লালসা ইত্যাদি দমনপূর্বক রোজা রাখে। নিজেকে পরিশুদ্ধ করার শপথ নেয়।
চরিত্র সংশোধন রোজার একটি মুখ্য উদ্দেশ্য। রোজা মানুষের ভেতর ও বাহির উভয় দিকের ভুলত্রুটি সংশোধনে বিরাট ভূমিকা পালন করে। মানুষের বাতেন বা ভেতরের অবস্থাকে পরিবর্তন করা এবং তার স্বভাবকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলা রোজার মাধ্যমেই সম্ভব। এ পরিপ্রেক্ষিতে রোজা মানুষকে দুনিয়ার লোভ-লালসা, অতিরিক্ত সম্পদ অর্জনের আকাক্সক্ষা ইত্যাদি থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। আর কলবের বিশুদ্ধতার দ্বারাই তা সম্ভব হতে পারে। মহানবী (সা.) ইরশাদ করেন, 'মনোযোগের সহিত শোন! শরীরের মধ্যে একটি গোস্তপিণ্ড রহিয়াছে, যতক্ষণ উহা ভালো থাকিবে, সমস্ত দেহ ভালো থাকিবে, আর যখন উহা বিগড়াইয়া যাইবে, তখন সমস্ত দেহ বিগড়াইয়া যাইবে। শুনিয়া রাখ! উহা হইতেছে কলব। কলবকে সুস্থ রাখার পূর্ণ ব্যবস্থা রোজার মধ্যে রহিয়াছে। আর কলবের অবস্থাকে পবিত্র ও নির্মল করিবার জন্য নামাজের পরই রোজার স্থান।'
মাহে রমজান বান্দার জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের রহমতবিশেষ। এ মাসকে আল্লাহ বান্দাদের হেদায়েতের জন্য বারবার বেছে নিয়েছেন। এই মাসে যেমন পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে তেমনি অতীতের নবীদের ওপর বিভিন্ন আসমানি কিতাব নাজিল হয়েছে। এই পবিত্র মাসে মানুষ নিজেদের পরিশুদ্ধ করার সুযোগ পায়। আল্লাহর নির্দেশিত পথে চলার মাধ্যমে আমরা পরিশুদ্ধ হওয়ার এ সুযোগকে কাজে লাগাতে পারি। মহান আল্লাহ আমাদের সে তওফিক দান করুন।

লেখক : খতিব, গুলশান সেন্ট্রাল জামে মসজিদ, ঢাকা।

Monday, August 1, 2011

মুখের লালায় বয়স নির্ণয়

কথিত আছে মেয়েরা নাকি সঠিক বয়স বলে না। নিজেকে যারা চিরতরুণ হিসেবে উপস্থাপন করতে চান তাদেরও অবশ্য এমন বাতিক আছে। তবে কারণে অকারণে যারা বয়স লুকাতে চান তাদের জন্য সাবধান বাণী শুনিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এখন থেকে যেখানে সেখানে থুথু ফেলতে সাবধান। কারণ সামান্য থুথুই বলে দিতে পারে সঠিক বয়স।
লস অ্যাঞ্জেলেসে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালির্ফোনিয়ার জিন বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, মানুষের মুখের লালা দিয়েই তারা বের করতে পারবেন সঠিক বয়স।
গবেষণার প্রধান মানব জিনবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. এরিক ভিলাইন বলেন, 'আমাদের গবেষণায় যতখানি অগ্রগতি হয়েছে তাতে বয়স নির্ধারণের ক্ষেত্রে একটা নির্ভরযোগ্য উত্তর আমরা পেয়েছি।'
তিনি বলেন, শুধু লালার একটি নমুনা নিয়েই আমরা বলতে পারব ওই ব্যক্তির বয়স কত। তার সম্পর্কে আর বেশি কিছু জানার প্রয়োজন হবে না।
বিজ্ঞানীরা এ প্রক্রিয়াকে 'মিথাইলেশন' নাম দিয়েছেন। এটা হলো মানুষের ডিএনএ'র চারটি গাঠনিক উপাদানের (অ্যাডেনিন, গুয়ানিন, সাইটোসিন, থায়োমিন) এক প্রকার রাসায়নিক পরিবর্তন।
এর ব্যাখ্যায় ভিলাইন বলেন, যেহেতু আমাদের বয়স অনুযায়ী জিনের কিছু অংশে গাঠনিক পরিবর্তন আসে সেহেতু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পারিপাশ্বর্িকতারও প্রভাব পড়তে পারে আমাদের ডিএনএ তে।
তিনি জানান, মানুষের যত বয়স হয় এবং বয়স বৃদ্ধি জনিত বিভিন্ন রোগের কারণে মিথাইলেশনের নকশাতেও পরিবর্তন ঘটে। আর এ পরিবর্তন দেখেই বয়স নির্ধারণ করা যায়। অপরাধীর সঠিক বয়স নিরুপণেও এই গবেষণার ফলাফল একটি মোক্ষম হাতিয়ার হতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

ইলেক্ট্রনিক পাদুকা ( Electronic Shoes)

মোবাইল কোম্পানির বদৌলতে শীঘ্রই বাজারে আসছে 'স্মার্ট স্লিপার্স' নামে তৃতীয় প্রজন্মের পাদুকা। এর সুকতলার মধ্যে বসানো থাকবে 'অ্যাক্সিলোমিটার' নামে বিশেষ ধরনের ইলেক্ট্রনিক চিপ। হাঁটতে গিয়ে হোঁচট খেলে কিংবা উল্টে পড়লে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিপদ সঙ্কেত পাঠাতে শুরু করবে স্বজন কিংবা বন্ধুর নম্বরে। সঙ্গে থাকবে দুর্ঘটনাস্থলের অবস্থান এবং টেক্সট বার্তা। বাজারে আসার আগেই অবশ্য বিভিন্ন মহলে বিপুল সাড়া ফেলেছে এই পাদুকা। এর বাণিজ্যিক উৎপাদনে বিনিয়োগ করতে সাগ্রহে এগিয়ে এসেছে ভেরিজন এবং এটিঅ্যান্ডটি নামে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম দুই মোবাইল কোম্পানি। তৃতীয় প্রজন্মের এসব পাদুকা প্রতি জোড়ার উৎপাদনে ব্যয় হচ্ছে ৬৩ পাউন্ড। গ্রাহকদের জন্য প্রতি মাসে ১৬ পাউন্ডের বিনিময়ে এ সেবা প্রদানের চিন্তাভাবনা করছে কোম্পানিগুলো।

সিদ্দিক এবং আগুনের 'হ্যাটট্রিক ফেল'

পরপর ৩ বার ফেল করে হ্যাটট্রিক পূরণ করেছেন সিদ্দিক ও আগুন। বাস্তবে নয়, এ রকম চরিত্রেই তাদের দেখা যাবে আগামী ঈদের জন্য নির্মিত একটি একক নাটকে। নাটকটির নাম 'হ্যাটট্রিক ফেল'। এটি রচনা করেছেন হাশিম রনি এবং পরিচালনা করেছেন এসএএম সুমন। নাটকের কাহিনীতে সিদ্দিক, সাজু এবং নাফিসা ৩ বন্ধু। নাফিসা ডিগ্রিতে পড়ে আর দুইবার ফেল করে সিদ্দিক ও সাজু এখনও ইন্টারমিডিয়েটের বাধা ডিঙাতে পারেনি। সাজু এবং সিদ্দিক এবার অবশ্যই পাস করবে এ রকম কথা দিয়েছিল নাফিসাকে। আবার দুই বন্ধুর সঙ্গে পড়ার ইচ্ছাতেই ডিগ্রি পরীক্ষায় ফেল করে নাফিসা। ফলে মুরুবি্বদের বকাঝকা শুনতে হয় নাফিসাকে। যথারীতি রেজাল্টের দিন আসে। রেজাল্ট বের হয়। পাস করার মিস্টিও বিতরণ করে সাজু-সিদ্দিক। কিন্তু গোপন বিষয় ফাঁস হয়ে যায়। পাস নয় এবারও ফেল করেছে দুই বন্ধু। ফেলের বিষয় গোপন করতেই মিস্টি বিতরণের নাটক করে দুজন।

বেকহ্যামের ইচ্ছা

কয়েকদিন আগেই এক কন্যাসন্তানের গর্বিত পিতা হয়েছেন ডেভিড বেকহ্যাম। এই কন্যাসহ মোট চার সন্তানের জনক ইংল্যান্ড ফুটবলের এই সাবেক অধিনায়ক। অথচ আরও একটি সন্তান চান তিনি। এ রকমই একটি ইচ্ছা পোষণ করেছেন স্ত্রী ভিক্টোরিয়ার কাছে। বেকহ্যাম বলেছেন, সব সময় বলে এসেছি একটা বড় পরিবার চাই। কমপক্ষে পাঁচটি সন্তান চেয়েছিলাম। যদি ভাগ্যবান হই, তাহলে আরও একটি সন্তানের অভিভাবক হতে পারি।

জেরিনের ওজন সমস্যা ( Over weight Zerin Khan)

প্রথম ছবি বীর সাফল্যের মুখ না দেখলেও ব্লকব্লাস্টার ছবি রেডি'র একটি গানের মাধ্যমেই দর্শক হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন জেরিন খান। ছবিটির ক্যারেক্টার ঢিলা গানটি এখন সবার মুখে মুখে। কিন্তু অভিনয় বা নাচের দক্ষতার চেয়ে বেশি আলোচনা চলছে তার ওজন নিয়ে। নিজের এই স্থূলতা প্রসঙ্গে জেরিন বলেছেন, বারবার সমালোচিত হচ্ছি এ কারণে। আমার ওজন এখন জাতীয় ইস্যু হয়ে গেছে। খুব শীঘ্রই তা নিয়ন্ত্রণে আনব।

আবিদ, আমরা আর কখনো সমুদ্রে যাব না

শুক্রবার দুপুরে ফেসবুকে আবিদের একটি স্টাটাস দেখলাম। আবিদ লিখেছে, 'পাসিং অ্যা ওয়ান্ডারফুল টাইম উইথ মাত্রা অ্যাট কক্সবাজার'। চারশ উনিশটি কমেন্ট পড়েছে। কিন্তু একটার উত্তরও তুমি দিলে না আবিদ। এই তোমার ওয়ান্ডারফুল টাইম পাস, তাই না? সমুদ্রের কাছ থেকে যতটুকু আনন্দ তুমি পেয়েছিলে, তার পুরোটাই ছিল ছল। বঙ্গোপসাগর তোমাকে ভুলিয়ে-ভালিয়ে পানিতে নামিয়ে নিস্তেজ করে দিল। তুমি বুঝনি আবিদ, তুমি বুঝনি। তোমার ওই মিষ্টি হাসি, আর ভালো মানুষিও সমুদ্রের হিংস্রতা থেকে তোমাকে বাঁচাতে পারেনি।
কক্সবাজার যাওয়ার আগে তোমার সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল। তুমি বলেছিলে, 'ভাই সমুদ্রে যাচ্ছি। ঢাকায় ফিরে কথা হবে।' তুমি তোমার একটা ইন্টারভিউ চেয়েছিলে। এই তো ঢাকায় ফিরে তোমার ইন্টারভিউ দেওয়ার কথা। কিন্তু যখন তুমি এলে, নিশ্চুপ হয়ে। কই ইন্টারভিউটা তো দিলে না আবিদ। যে কথা রাখতে পারবে না সে কথা দিলে কেন! তোমার জন্য আমার পাতায় রাখা পাঁচ কলাম ছয় ইঞ্চি জায়গা কিছু একটা দিয়ে ভরা যাবে। কিন্তু তোমার চিরতরে চলে যাওয়ায় যে শূন্যতা তৈরি হলো তা কি দিয়ে ভরব?
আবিদ তুমি তোমার নতুন একক অ্যালবামের কাজ শেষ করে গেছ। অ্যালবামের নাম রেখেছ 'নব আনন্দে জাগো'। কত গল্প করতে, ফাহমিদা আপা গান গেয়েছে, এলিটা আপা গেয়েছে। শ্রোতাদের ভালো লাগবে। এই তো ক'দিন পরই অ্যালবামটি প্রকাশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পারলে না। কতটা ভালোবাসা নিয়ে গানগুলো তুমি করেছিলে, তা তোমার কাছের মানুষরা জানে। গানগুলো হয়তো প্রকাশ পাবে, কিন্তু তুমি থাকবে না। তোমার কণ্ঠ বাজবে, তুমি বাঁশ আর মাটির ঘরে শুয়ে শুয়ে শুনবে। কিন্তু জিজ্ঞেস করতে পারবে না, 'ভাই কেমন হয়েছে গানগুলো?'
আবিদ, তোমার একটা গোপন শখ ছিল। অনেকেই হয়তো জানে না। নাটকে অভিনয় করার ইচ্ছা তোমার ছিল। কিন্তু লজ্জায় খুব একটা বলতে না কাউকে। আমি জানি, কিছুদিনের মধ্যেই তুমি অভিনেতা হয়েও যেতে। কিন্তু তোমার এই ইচ্ছাটা আর পূরণ হবে না। দু'তিন জন বন্ধু মিলে তোমরা নাটক প্রযোজনাও করতে চেয়েছিলে ; কিন্তু পারলে না। সব ইচ্ছা যখন পূরণ হওয়ার পথে তখন তুমি চলে গেলে।
মাত্র ২৫ বছর বয়স। চিরতরে চলে যাওয়ার জন্য এটা কোনো বয়সই না। ভালো মানুষেরা কি ক্ষণজন্মা হয়? আবিদ তোমাকে যারা ভালোবাসে, পছন্দ করে, তারা এখন সমুদ্রকে ঘৃণা করে। সমুদ্রের সৌন্দর্যে আমরা আর ভুলব না। আবিদ, আমরা আর কখনো সমুদ্রে যাব না। কারণ আমরা তোমার চেয়ে সমুদ্রকে বেশি ভালোবাসি না কখনো।

Sunday, July 31, 2011

'সুনীড়' এখন শোকের নীড়

ক্লোজআপ ওয়ান তারকা আবিদের খুলনা মহানগরীর মিয়াপাড়ার ১৮/১ 'সুনীড়' বাড়িটিতে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই অসংখ্য মানুষের ভীড়। সবার মুখ মলিন। বুকে জমাটবাধা দীর্ঘশ্বাসে গুমোট ভারি পরিবেশ। থেকে থেকে মুর্ছা যাচ্ছেন আবিদের মা রমা রহমান। তার আহাজারিতে আগতদের চোখে জল আসে। সুনীড় এখন পরিণত হয়েছে শোকের নীড়ে। মা আহাজারি ক'রে বলতে থাকেন, 'আমার বাপি অনেক স্বপ্ন দেখাতো। স্টুডিও করবে। নতুন এ্যালবাম বের হবে, আরো কতো কি। সব শেষ। এমন কেন হলো? আমিতো ওকে ঢাকায় রেখে ওর গন্ধ নিয়েই বেঁচে ছিলাম। এমন কেন হলো? এখন বাঁচবো কি নিয়ে?' উপস্থিত লোকজন এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন না। সবাই কেঁদে বুক ভাসান। আত্মিয়রা জানান, শুক্রবার বিকেলে আবিদ মা'কে মোবাইল ফোনে বলেছিলেন 'মা কক্সবাজারের বৌদ্ধ মন্দির দেখেছি। কিছুক্ষণ পরে সাগর সৈকতে যাবো। তুমি চিন্তা করো না। তখন মা বলেছিলেন, সাবধানে থাকিস বাবা। সেই সাবধান বানী আর কাজে এলো না। আবিদের পুরো নাম মীনা আবিদ শাহরিয়ার বাপি (২৫)। মা আদর করে বাপি বলেই ডাকতেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে আবিদ বড়। ছোট ভাই মীনা বাঁধন শাহরিয়ার অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র। বাবা মীনা মিজানুর রহমান খুলনার বিশিষ্ট আইনজীবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠক। আবিদের ছোট বেলা থেকেই গানের প্রতি ছিলো প্রবল আসক্তি। শেষমেশ ২০০৫ সালের প্রথম ক্লোজআপ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে দেশের মানুষের মন জয় করেন। তার অসাধারন ভরাট কণ্ঠে গাওয়া 'পাগলা হাওয়ার বাদল দিনে......., কিংবা 'এই খানে এক নদী ছিল....' হাজারও বাঙালীর মনে জায়গা করে নেয়। গতকাল শনিবার সকালে তার লাশ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার লোকজন তাকে দেখতে আসেন ও তার মরদেহে পুস্পস্তবক অর্পন করেন। পরে বিকেলে বেসরকারি টেলিভিশন এনটিভি কার্যালয়ে তার জানাযা হয়, সন্ধ্যায় আবিদের লাশ খুলনায় পৌছায়। রাতেই জানাযা শেষে গ্রামের বাড়ি মহেশ্বরপাশার পারিবারিক কবর স্থানে তাকে দাফন করার কথা। ঢাকা থেকে আবিদের লাশের সঙ্গে ক্লোজআপ তারকা মুহিন, সাবি্বর, কিশোর, পুলক, মেহরাবও খুলনায় যান। আমাদের কক্সবাজার প্রতিনিধি জানান, অনেক খোঁজাখুজির পর আবিদের অপর বন্ধু নিখোঁজ আশিকের লাশ গতকাল সকালে উদ্ধার করা হয়েছে।

হতাশ ক্যাটরিনা

সালমান নয় এবার চকোলেট বয় আমির খানের জন্য হতাশ হলেন ক্যাটরিনা কাইফ। সম্প্রতি ধুম-থ্রি ছবিতে আমিরের বিপরীতে অভিনয়ের কথা ছিল হালের এই বলিউড সেনশেসনের। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত করণ জোহরের একটি ছবিতে আগে থেকেই সিডিউল থাকায় ধুম-থ্রি'র জন্য সময় বের করতে পারেননি ক্যাটরিনা। ফলে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেকটা হতাশ হয়েই এ ছবির প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন তিনি।

Friday, July 29, 2011

ভিসা জটিলতায় সাকিবদের ফ্লাইট বিলম্বিত

৪০ ঘণ্টার ওপর ভ্রমণ করে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এখন জিম্বাবুয়েতে। এর আগে জিম্বাবুয়েতে ক্রিকেট খেলেছেন ক্রিকেটাররা। কিন্তু এত লম্বা ভ্রমণ কখনো করেননি সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মোহাম্মদ আশরাফুলরা। দেড় দিনের দীর্ঘ ভ্রমণে ক্লান্ত হলেও আজ অনুশীলন করবেন ক্রিকেটাররা, জানিয়েছে বিসিবি। অবশ্য দোহা থেকে জিম্বাবুয়ে যাওয়ার আগে ভিসা জটিলতায় পড়তে হয়েছিল জাতীয় দলকে। দক্ষিণ আফ্রিকার ভিসা না থাকায় দোহা ইমিগ্র্যান্ট জাতীয় দলকে বিমানে উঠতে দিচ্ছিল না। ৪৫ মিনিট অপেক্ষার পর ওঠার অনুমতি পাওয়া যায় বিশেষ সুবিধায়।

এক টেস্ট ও পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ খেলতে সাকিব, তামিম, ইমরুল কায়েস, জুনায়েদ সিদ্দিকী, আশরাফুলরা বুধবার সকাল ৯টায় কাতার এয়ারওয়েজে ঢাকা ছাড়েন। দোহায় ১৩ ঘণ্টার ট্রানজিট শেষে সেখান থেকে তারা উড়ে যান জোহানেসবার্গ। জোহানেসবার্গে চার ঘণ্টার ট্রানজিট শেষে গতকাল মধ্যরাত দেড়টায় ক্রিকেটাররা পেঁৗছেন হারারেতে। সেখান থেকে ওঠেন হোটেল রেইবো টাওয়ারে। জিম্বাবুয়ে সফরে এই হোটেলেই সব সময় অবস্থান করেন ক্রিকেটাররা। দেশ ছাড়ার আগে বাংলাদেশ অধিনায়ক নিজেদের ফেবারিট দাবি করলেও সাফল্য পেতে পুরো দলকে একটি ইউনিট হিসেবে খেলতে হবে বলে জানান। তিনি বলেন, 'দীর্ঘদিন পর টেস্ট খেলব। তার পরও আমরাই ফেবারিট। অবশ্য সেখানে সাফল্য পেতে হলে পুরো দলকেই একটি ইউনিট হিসেবে খেলতে হবে।' বিশেষ করে বোলারদের কথা বলেন তিনি। 'টেস্ট জিততে হলে দুই ইনিংসে বোলারদের ২০ উইকেট নিতে হবে। সেটা করতে পুরো বোলিং বিভাগকে একটি ইউনিট হিসেবে খেলতে হবে।' যদিও দলের বোলিং বিভাগের মধ্যে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা নেই কারোরই। পুরো স্কোয়াডে আফ্রিকান প্রতিনিধিদের বিপক্ষে টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে একমাত্র আশরাফুলের। দেশ এবং জিম্বাবুয়ের মাটিতে আফ্রিকান প্রতিনিধিদের বিপক্ষে টেস্ট খেলেছেন আশরাফুল। জিম্বাবুয়ের মাটিতে সাকিব নিজে এবং আবদুর রাজ্জাক রাজ ছাড়া দলের চার পেসারের তিনজন শফিউল ইসলাম সুহাশ, রবিওল ইসলাম ও রুবেল হোসেনের খেলার কোনো অভিজ্ঞতা নেই।

৪-৮ আগস্ট প্রথম টেস্ট খেলতে নামার আগে ৩০ জুলাই-১ আগস্ট একটি তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন সাকিবরা। নাসির হোসেন, শফিউল, রবিওল, রুবেলদের মতো অনেকেই যেমন প্রথমবার ভ্রমণ করছেন জিম্বাবুয়ে; তেমনি নতুন কোচ স্টুয়ার্ট লয়েরও বাংলাদেশের কোচ হিসেবে প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট। তাই স্বাভাবিকভাবেই একটু উত্তেজনা চুয়ে গেছে সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডারকে। তিনি বলেন, 'প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট হিসেবে জিম্বাবুয়ের চেয়ে ভালো জায়গা আর হতে পারে না। ক্রিকেট খেলার জন্য জিম্বাবুয়ে আদর্শ জায়গা।'

কোচের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট কিংবা ক্রিকেটারদের অনেকেরই প্রথম সফর। কিন্তু সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে ১৪ মাস পর বাংলাদেশের টেস্ট খেলা এবং ছয় বছর স্বেচ্ছানির্বাসনে থাকার পর জিম্বাবুয়ের আবার টেস্ট আঙিনায় ফেরা। তাই দুই দলের ক্রিকেটাররাই ওয়ানডে সিরিজের চেয়ে একটু বেশিই চাপে থাকবেন টেস্ট ম্যাচ নিয়ে।



ফিকশ্চার

জুলাই ৩০ _ ১ আগস্ট : তিন দিনের ম্যাচ

আগস্ট ৪ _ ৮ : একমাত্র টেস্ট

আগস্ট ১২ : প্রথম ওয়ানডে

আগস্ট ১৪ : দ্বিতীয় ওয়ানডে

আগস্ট ১৬ : তৃতীয় ওয়ানডে

আগস্ট ১৯ : চতুর্থ ওয়ানডে

আগস্ট ২১ : পঞ্চম ওয়ানডে