Sunday, July 3, 2011

দ্রাবিড়ের ‘৪০০’

ক্যারিয়ারে অনেক মাইলফলক ছুঁয়েছেন, ব্যাট হাতে অর্জন করেছেন অনেক কিছু। পরশু ব্যতিক্রমী আর অদ্ভুত এক মাইলফলক ছুঁলেন রাহুল দ্রাবিড়। টেস্ট ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে উইকেটের এক প্রান্ত থেকে দেখেছেন আরেক প্রান্তে ৪০০তম উইকেটের পতন। শুরুটা ছিল সৌরভ গাঙ্গুলীর আউট দেখে, ১৯৯৬ সালে লর্ডসে অভিষেক ইনিংসে নন-স্ট্রাইক প্রান্ত থেকে সৌরভকে বোল্ড হতে দেখেছিলেন অ্যালান মুলালির বলে। ২৬৩তম ইনিংসে ‘দর্শক’ দ্রাবিড়ের ৪০০তম উইকেট অভিনব মুকুন্দ। সঙ্গী ব্যাটসম্যানকে আউট হতে দেখলে কারও নিশ্চয়ই ভালো লাগে না। তবে ওই ‘৪০০’ সংখ্যাটাই আবার ব্যাট হাতে দ্রাবিড়ের অসাধারণ মনোযোগ আর দৃঢ়তার প্রতীক। রেকর্ডটা তাই গর্বেরও। এমনি কি আর তিনি ‘দ্য ওয়াল’!
৫৫ রানে আউট হয়ে নিজের ওপর নিশ্চয়ই বিরক্ত হয়েছেন দ্রাবিড়, তবে এই ইনিংসটা পরশু আরেকটি রেকর্ডের দিকেও আরেক ধাপ এগিয়ে নিয়েছে তাঁকে। শচীন টেন্ডুলকারকে (৫৯) ছাড়িয়ে টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ফিফটি আপাতত এককভাবে দ্রাবিড়ের (৬০)। দীর্ঘদিন ধরে রেকর্ডটি ধরে রাখা অ্যালান বোর্ডার এখন ঢিলছোড়া দূরত্বে (৬৩)। ‘ছোট্ট’ আরেকটা অর্জনও এসেছে পরশু। লক্ষ্মণের সঙ্গে ৬৫ রানের জুটির পথে পেছনে ফেলেছেন ডেসমন্ড হেইন্স ও রিচি রিচার্ডসনের জুটিকে (৩৬৫০)। দ্রাবিড়-লক্ষ্মণ জুটির চেয়ে (৩৬৮২) বেশি রান আছে এখন আর ১০ জুটির। এর একটিতেও আছেন দ্রাবিড়। শচীন টেন্ডুলকারের সঙ্গে জুটিতে তাঁর রান ৬৩৫২, আর মাত্র ১৩১ রান করলেই হেইন্স-গ্রিনিজ জুটিকে পেছনে ফেলে টেস্ট ইতিহাসের সফলতম জুটি হয়ে যাবেন দুই ভারতীয় গ্রেট। ওই রেকর্ডটা স্রেফ সময়ের ব্যাপার।
‘দর্শক ব্যাটসম্যান’ রেকর্ডের ৪০০ ক্লাবে খুব শিগগির একজন সঙ্গী পেয়ে যাবেন দ্রাবিড়। বারবাডোজ টেস্টের চতুর্থ ইনিংসের আগ পর্যন্ত ৩৯৪ জন ব্যাটসম্যানকে আউট হতে দেখেছেন শিবনারায়ণ চন্দরপল। সেরা পাঁচজনের তালিকা পাশে দেওয়া হলো। অনেকের কৌতূহল থাকতে পারে, তালিকার ষষ্ঠ জনের নামটাও তাই জানানো যাক—৩১৮ সঙ্গীকে আউট হতে দেখেছেন শচীন টেন্ডুলকার।

ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়ে পার হলো অর্থবছরের শেষ সপ্তাহ

দেশের শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখী ভাবের মধ্য দিয়ে ২০১০-১১ অর্থবছর শেষ হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে শেয়ারবাজারে মন্দাভাব শুরু হয়। কিন্তু জুন মাসের শেষ সপ্তাহে বাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। এ সময়ে বাজারে মূল্য সূচক, দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ ও বাজার মূলধন বেশ খানিকটা বেড়েছে। এ সময় লেনদেন করা বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দামও বেড়েছে।
বাজার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, বাজারে তারল্য সংকটের পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার অভাবে দীর্ঘদিন ধরে বাজারে মন্দাভাব ছিল। কিন্তু সদ্য শুরু হওয়া ২০১১-১২ অর্থবছরে ঘোষিত বাজেটে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের মাধ্যমে অপ্রদর্শিত আয় বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ায় বাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ আমানতের হারের ক্ষেত্রে কিছুটা শিথিলতা দেখানোয় বাজারে তারল্য সংকট কিছুটা কেটে যাবে এমন আশা করছেন বিনিয়োগকারীরা। আর এসব কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা আস্থা বেড়েছে। এর ফলে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অপ্রদর্শিত আয় বিনিয়োগের মাধ্যমে বৈধ করার সুযোগ দেওয়ায় বাজারে সাময়িকভাবে ঊর্ধ্বমুখীভাব দেখা যেতে পারে। তবে বাজারে স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে হলে তারল্য সংকট কাটানোর পাশাপাশি ভালো শেয়ারের সরবরাহ বাড়াতে হবে। তা না হলে দীর্ঘমেয়াদে বাজারে স্থিতিশীলতা ধরে রাখা যাবে না। তারা বাজারে স্থিতিশীলতা আনার স্বার্থে ধীরে ধীরে সরকারি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বাজারে ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছেন। একই সঙ্গে যেসব কোম্পানির শেয়ার বাজারে আসার অপেক্ষায় রয়েছে, সেগুলো দ্রুত বাজারে আনার ব্যবস্থা করতে হবে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে পাঁচ দিনে ডিএসইতে চার হাজার দুই কোটি ৭৯ লাখ টাকার ৪১ কোটি ৯০ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহের মোট লেনদেন দুই হাজার ২১৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকার ২৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকার তুলনায় ৮০ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেশি। অর্থবছরের শেষ সপ্তাহে অর্থাৎ গত সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে ৮০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহের গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিল প্রায় ৪৪২ কোটি টাকা।
সপ্তাহের শুরুর দিন রোববার ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল দুই লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ৮৫ হাজার কোটি টাকায়। আর সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ছিল পাঁচ হাজার ৮৪৭ দশমিক ২৬ পয়েন্ট। সপ্তাহের শেষে তা বেড়ে ছয় হাজার ১১৭ দশমিক ২৩ পয়েন্টে উন্নীত হয়েছে। এ হিসাবে মূল্যসূচক ২৩৪ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট বেড়েছে। শতাংশের হিসাবে যা ৪ দশমিক ৬২ শতাংশ। এ সপ্তাহে লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দর বেড়েছে। এ সময়ে দাম বেড়েছে ২২৩টির, কমেছে ৩৯টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে সাতটি কোম্পানির শেয়ারের দর।
সপ্তাহের লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে ছিল ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, মবিল যমুনা, সাউথইস্ট ব্যাংক, এমআই সিমেন্ট, গ্রামীণফোন, বেক্সিমকো লিমিটেড, আফতাব অটোমোবাইল, ওয়ান ব্যাংক, লংকা বাংলা ফাইন্যান্স ও ন্যাশনাল ব্যাংক।
দাম বাড়ার দিক থেকে শীর্ষে ছিল ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, স্কয়ার টেক্সটাইল, বিচ হ্যাচারি, এমআই সিমেন্ট, কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স, পিপলস ইন্স্যুরেন্স, সাউথইস্ট ব্যাংক এবং মার্কেন্টাইল ব্যাংক।

গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজে ভর্তি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ দিচ্ছে। ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে এসব শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। আবেদন করতে হবে আগামী ৭ জুলাইয়ের মধ্যে। ৩০ ক্রেডিটের এই কোর্সে ইংরেজি মাধ্যমে পাঠদান করা হবে। এই কোর্সের ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে প্রতি শুক্র ও শনিবার। যেকোনো শিক্ষার্থী ডিগ্রি বা স্নাতক পাস করলেই এই কোর্সে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে কোনো শিক্ষার্থীর যদি শিক্ষাজীবনে তৃতীয় শ্রেণী থাকে, তিনি ভর্তির জন্য বিবেচিত হবেন না। আবেদনপত্র সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে ৮০০ টাকা দিয়ে সংগ্রহ করতে হবে। এই কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ জুলাই শুক্রবার সকাল ১০টায়।
এই কোর্স বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়ারম্যান, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ, কক্ষ নম্বর: ৫০১০, কলাভবন, পঞ্চম তলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ফোন: ৯৬৬১৯০০-৭৩, বর্ধিত: ৬৭৯১।
ওয়েবসাইট: www.devstud-udhaka.ac.bd

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মাস্টার্স কোর্সে ভর্তি

মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে মাস্টার্স কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। আবেদন করতে হবে আগামী ১০ জুলাইয়ের মধ্যে। হায়ার এডুকেশন কোয়ালিটি এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে এমএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এ কোর্সে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের যেকোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি থাকতে হবে। আবেদনপত্র সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে সংগ্রহ করা যাবে। তা ছাড়া www.mbstu.ac.bd থেকে আবেদনপত্র ডাউনলোড করে প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১২ জুলাই মঙ্গলবার। বিস্তারিত তথ্য বিজ্ঞপ্তি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট (www.mbstu.ac.bd) থেকে জানা যাবে। ফোন: ০৯২১-৬২৪০৫, ০১৭১১-২৬৯৬৩০, ০১৭১১-৪৫১৬২৮

মাস্টার ইন ইনফরমেশন টেকনোলজিতে শিক্ষার্থী ভর্তি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইআইটি) ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার ইন ইনফরমেশন টেকনোলজিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করবে। আবেদন করতে হবে আগামী ১ জুনের মধ্যে। কম্পিউটার বিজ্ঞান বা সমমানের বিষয়ে চার বছরের ব্যাচেলর ডিগ্রিধারী হলে এই কোর্সে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনপত্র ইনস্টিটিউট থেকে ৫০০ টাকা দিয়ে সংগ্রহ করতে হবে।
এই কোর্সে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ জুন আর ফল প্রকাশ করা হবে ৫ জুন। ২ জুলাই থেকে এই কোর্সের ক্লাস শুরু হবে। এই কোর্স বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে ইনস্টিটিউট ইন ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইআইটি), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা ১০০০, ফোন: ৯৬৬১৯২০-৬৩০৪, ৯৬৭৫২১৫ ই-মেইল: iit@univdhaka.edu

সাঁকো ভেঙে পড়ে শিশুর মৃত্যু

বরগুনার আমতলী উপজেলার কচুপাত্রা গ্রামে গতকাল শনিবার সাঁকো ভেঙে খালের পানিতে পড়ে মেহেদী (৭) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
মেহেদী খলিল মিয়ার ছেলে এবং কচুপাত্রা রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্র। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুর ১২টার দিকে কচুপাত্রা বাজারে মেহেদী তার দাদার মাছের আড়ত থেকে মাছ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বিদ্যালয়সংলগ্ন সাঁকো পার হওয়ার সময় সেটি ভেঙে খালের পানিতে পড়ে তলিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে খোঁজাখুঁজির প্রায় এক ঘণ্টা পর খাল থেকে তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।

আজ ধামরাইয়ের শ্রীশ্রী যশোমাধব রথযাত্রা

ঢাকার অদূরে ধামরাইয়ে আজ রোববার শুরু হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী শ্রীশ্রীযশোমাধবের রথযাত্রা উৎসব। বিকেল পাঁচটায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন আনুষ্ঠানিকভাবে এ উৎসবের উদ্বোধন করবেন।
উৎসবের আয়োজক ও যশোমাধব মন্দির পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, যশোমাধব মন্দির থেকে রথ টেনে প্রায় ২০০ গজ দূরের অপর একটি মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হবে। ১১ জুলাই উল্টো রথযাত্রার মধ্য দিয়ে এ উৎসবের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি হবে। তবে লোকজ মেলা চলবে এক মাস ধরে।
যশোমাধবের এ রথযাত্রা মূলত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসব। এ কারণে ধামরাইয়ের ঘরে ঘরে এখন উৎসবের আমেজ। এ উৎসব ঘিরে ধামরাই শহরের প্রধান সড়কের দুই পাশে বসেছে লোকজ মেলা। এতে কুটির শিল্পের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দুই শর বেশি দোকানি। আয়োজন করা হয়েছে পুতুলনাচ ও সার্কাসের। এ লোকজ মেলায় সব ধর্মের মানুষ অংশ নেয়।
যশোমাধব মন্দির পরিচালনা কমিটির সদস্য সুকান্ত বণিক বলেন, ১০৭৯ সাল থেকে যশোমাধব রথযাত্রা উৎসব শুরু হয়। পালবংশের শেষ রাজা যশোবন্ত পালের সময় মাটির ঢিবি খুঁড়ে মাধব মূর্তির সন্ধান মেলে। রাজা তখনকার পণ্ডিত গৌর রায়কে এ মূর্তিপূজার দায়িত্ব দেন। একপর্যায়ে মাধবের নামের আগে রাজা যশোবন্ত পালের নামের অর্ধেক অংশ জুড়ে দিয়ে বিগ্রহটির নাম রাখা হয় ‘যশোমাধব’। পরে পণ্ডিত গৌর রায় এ ‘যশোমাধব’ মূর্তির পূজার দায়িত্ব তাঁর জামাতা রামজয় মৌলিককে দেন। এরপর এলাকাবাসী রামজয় মৌলিককে নিয়ে আসেন ধামরাইয়ে। তখন ‘যশোমাধবকে’ ঘিরে ধামরাইয়ে গড়ে ওঠে মন্দির। এরপর ওই মন্দির থেকে শুরু হয় রথাযাত্রার।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী: রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক বাণী দিয়ে শ্রীশ্রীযশোমাধবের রথযাত্রা উৎসবের সাফল্য কামনা করেছেন। এ উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাঁরা।
রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান তাঁর বাণীতে বলেন, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এ দেশে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ যুগ যুগ ধরে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করে নিজ নিজ ধর্ম ও অনুষ্ঠানাদি স্বাধীনভাবে পালন করছে। আমি আশা করি, এ রথযাত্রা সবার মধ্যে আরও সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ রথযাত্রার সার্বিক সাফল্য কামনা করে বলেন, ‘জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সব সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন গড়ে তুলতে এ রথযাত্রা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশা করি।’

১৭ জুলাই পবিত্র শবে বরাত

আগামী ১৭ জুলাই রোববার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে বরাত পালিত হবে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বলা হয়, বাংলাদেশের আকাশে গতকাল হিজরি সনের পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে ৪ জুলাই সোমবার থেকে পবিত্র শাবান মাস শুরু হবে এবং ১৭ জুলাই রোববার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে বরাত পালিত হবে।

নিঃসঙ্গ এক হ্যাকার

রায়ান ক্লেরির বয়স ১৯। রায়ান একাকী, নিঃসঙ্গ এক টিনএজার। লন্ডনের পূর্বে উইকফোর্ড শহরের একটি বাড়িতে বাবা-মা ও ভাইয়ের সঙ্গে থাকেন রায়ান। কালেভদ্রে তাঁদের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। শোয়ার ঘর ছেড়ে পারতপক্ষে বের হন না তিনি। এই ছেলেই কিন্তু ইন্টারনেট ও প্রযুক্তিতে তুখোড়। অনলাইন তথা সাইবার দুনিয়ায় অপ্রতিরোধ্য। ছোট ওই কামরায় সব সময় একটা ডিমলাইট জ্বলে। স্বল্প আলোয় কাজ করতে পছন্দ করেন রায়ান। সেখানে আছে একটি কম্পিউটার, দুটি মনিটর, একটি ল্যাপটপ, ভাঙা একটা টিভি আর কিছু ইলেকট্রনিক সামগ্রী। এসব দিয়েই যুক্তরাষ্ট্র ও ুযুক্তরাজ্যের বাঘা প্রযুক্তিবিদদের ঘুম হারাম করে দিয়েছেন রায়ান।
একে একে তিনি মার্কিন সিনেট, সিআইএ ও যুক্তরাজ্যের গুরুতর অপরাধ দমনসংক্রান্ত বিশেষ সংস্থার (এসওসিএ) ওয়েবসাইটের নিরাপত্তাব্যবস্থা গুঁড়িয়ে দিয়েছেন। গত বছর ব্রিটিশ পর্নোগ্রাফিক ইন্ডাস্ট্রি, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব দ্য পর্নোগ্রাফিক ইন্ডাস্ট্রির ওয়েবসাইটে আক্রমণ চালান রায়ান ও তাঁর সঙ্গী-সাথিরা। স্রেফ তথ্য ফাঁসের ধান্ধায় ওইসব সাইটে সাইবার হামলা চালিয়েছিলেন রায়ান ও তাঁর সাইবার-বন্ধুরা। এ যেন আরেক জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। রায়ানসহ আরও কজন মিলে গড়ে তোলেন হ্যাকিংয়ের দলটি। যার নাম লুলজ সিকিউরিটি (লুলজসেক)। লুলজসেকের অন্য সদস্যরা হলেন সাবু (ধারণা করা হয় সে-ই দলনেতা), ন্যাকোমিস, টপিয়ারি, টিফ্লো, কায়লা, জয়পি ৯১ ও অ্যাভুনিট। এসবই ছদ্মনাম। তাঁদের আসল পরিচয় কেউ জানে না। লুলজসেকের একের পর এক হামলায় টালমাটাল হয়ে পড়ে বড় বড় সব প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট। ২০ জুন রাতে এফবিআই ও স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড যৌথ অভিযান চালায় রায়ানদের বাংলোয়। গ্রেপ্তার করা হয় এই কম্পিউটার-বিস্ময়কে।
চোখের সামনে প্রিয় কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও একের পর এক যন্ত্রপাতি বাজেয়াপ্ত হতে দেখে নিজেকে ধরে রাখতে পারেন না রায়ান। একসময় আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে বসেন। ছেলের কথা শুনে মা রিতা ক্লেরি তো ভয়ে অস্থির। কারণ, রায়ান যা বলে, তা করে ছাড়ে। কোনো স্কুলই নিতে চাইত না রায়ানকে, তাঁর মানসিক ও আচরণগত সমস্যার কারণে। চিকিৎসকেরা বলছেন, রায়ান অটিজমে ভুগছে। কিন্তু সে দুর্দান্ত প্রতিভার অধিকারী। ২৫ জুন রায়ানকে লন্ডনের এক আদালতে হাজির করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো পড়ে শোনানো হয় তা এ রকম—‘রায়ান ক্লেরি, ইন্টারনেটে অসম্ভব ক্ষমতাধর একজন মানুষ। পৃথিবীর যে কারও কম্পিউটারে হামলা চালানোর দক্ষতা তাঁর আছে। এরই মধ্যে তিনি লাখ খানেক কম্পিউটারে আক্রমণ চালিয়েছেন।’ সেদিন রায়ানের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জামিন হয়নি।তবে ২৭ জুন আদালত তাঁর আবেদন মঞ্জুর করেন। কিন্তু শর্ত জুড়ে দেন, জামিন পেলেও তাকে নখদন্তহীন সর্পের মতো বাস করতে হবে। রিতা ক্লেরির ভয়টা এখানেই। কম্পিউটার, ইন্টারনেট ছাড়া রায়ান টিকতেই পারে না। এসব ছেড়ে সে কীভাবে সময় কাটাবে, সেটাই এখন দুশ্চিন্তার বিষয়! ওয়েবসাইট অবলম্বনে

এলসিডি মনিটরের দামে পরিবর্তন

প্রস্তাবিত বাজেটে ১৯ ইঞ্চির চেয়ে বড় পর্দার এলসিডি মনিটরে করা আরোপ করায় এলসিডি মনিটরের দামে বেশ পরিবর্তন দেখা গেছেবাজারে। বিক্রেতারা জানান অন্যান্য পণ্যের দাম আগের মতোই আছে। গতকাল শনিবার পাওয়া যন্ত্রাংশের দাম নিচে দেওয়া হলো—
প্রসেসর: ইন্টেল কোর আই৫ (৩.২০ গি.হা) ১৫,৪০০, ইন্টেল সেলেরন ১.৮ গি.হা ২,৯৫০; ইন্টেল কোর আই-৩ ৩.০৬ গি.হা. ৯,১০০ টাকা। পেন্টিয়াম ডুয়েল কোর২.৮ গি.হা. ৫,০৫০; কোর টু কোয়াড ১২,৫০০ টাকা। মাদারবোর্ড: গিগাবাইট জি এ৪১ এমটি-ডি-৩ ৪,১৫০; জি৪১এমটি-ইএস২ এল ৪,০০০; জি ৪১এম কমবো ৪,২০০; এইচ৫৫এম-ডিটুএইচ ৭,৫০০ টাকা। ইন্টেল ডিএইচ৫৫পিজে ৬,৮০০, ডিজি৩৩টিএলএম ৭,০০০ টাকা। আসুস পি৫জি-৪১টি-এমএলএক্স৪১০০ ১৭,৫০০; জি৪১ ৩,৯০০ টাকা। ফক্সকন জি৩১ এমভি ৩,০০০; এইচ৪১ এমএক্সইভি ৩,৩০০; এইচ৫৫ এক্সভি ৫,১০০ টাকা। র্যাম: ২ গি.বা. ডিডিআর-২ ১,৭০০, ২ গি.বা. ডিডিআর টু ২,২০০, ২ গি.বা. ডিডিআর-৩ ১,৫০০ টাকা। হার্ডডিস্ক ড্রাইভ: ৩২০ গি.বা. ৩,১০০; ৫০০ গি.বা. ৩,২৫০ টাকা। হিটাচি ১ টেরাবাইট ৪,৬১৫; ২৫০ গি.বা. ৩,২৫০; ৫০০ গি.বা. ৩,৩০০; ১০০০ গি.বা. ৪,৭০০ টাকা। পেনড্রাইভ: অ্যাপাসার ৪ গি.বা. ৬০০, ৮ গি.বা. ১২৭৫-১৩০০ থেকে ১,০০০। এলসিডি মনিটর: স্যামসাং ১র্৭র্ ৮,২০০; ১৮.র্৫র্ ৮,০০০; ২র্০র্ ১১,৫০০; ২১.র্৫র্ ১৩,২০০; ২৩.র্৫র্ ২৪,২০০ টাকা। ফিলিপস ১৮.র্৫র্ ৮,১০০টাকা।ডেল ১৮.র্৫র্ ৭,৮০০ টাকা।এলজি ১৮.৫র্ র্ ৮,০০০; ১৬র্ র্ ৭,০০০; ১৭র্ র্ ৭,৫০০; ২১.৫র্ র্ ১০,৪০০ টাকা। হাইউন্দাই এলসিডি ১৮.র্৫র্ ৭,৮০০; ১র্৯র্ ৯,৩০০; ২র্৭র্ ২৯,৫০০ টাকা। গ্রাফিকস কার্ড: গিগাবাইট এইচ ডি-৫৫৭০ ১গি.বা. ৫,৪০০, এক্সএফএক্স এইচ ডি-৫৬৭০ ১গি.বা.৭,৭০০ টাকা। আসুস: ২৫৬ মেগাবাইট ৪,১৫০, এক্সএফএক্স এইচডি৪৫৫০ ১ গি.বা. ৪,০০০, এইচডি৫৮৫০ ৭২৫ গি.বা. ১৫,৪০০ টাকা। ডিভিডি রাইটার/রি-রাইটার: স্যামসাং ৫২x২৪x৫২এক্স ১,৪০০ টাকা।আাাসুস ৫২x৩২x৫২এক্স ১,৫০০ টাকা।সনি ডিভিডি-আরডব্লিউ ১,৭০০ টাকা। কেসিং: ১,৫০০ থেকে ৫,০০০ টাকা। মাউস: ২৫০ থেকে ৯০০ টাকা। কি-বোর্ড: সাধারণ ২৫০ থেকে ২,৯০০ টাকা। মাল্টিমিডিয়া ৫০০ টাকা। স্পিকার: ৮০০ থেকে ৮০০০ টাকা। ইনস্পায়ার (৫:১) ৫,৪০০-৬,২০০; (৪:১) ৩,৭০০; (২: ১) ২,৩৫০-৩,১০০ টাকা। মাইক্রোল্যাব (২:১) ২,১৫০ থেকে ৩,০০০ টাকা।ক্রিয়েটিভ এসবিএস ৮০০ টাকা। গোল্ডেন ব্রিজ এফটি৮০৫ (২:১) ১,৩০০ টাকা। মডেম: মোবিডেটা ইডিজিই ২,২০০; এইচএসডিপিএ ৩,০০০ টাকা। জিপিআরএস: টেকনো টিএম০০৮ ২,৬০০ টাকা। মোবিডাটা ২,৪০০ টাকা (ইউএসবি)। টিভি কার্ড: এভারমিডিয়া ইন্টারনাল ৩,১০০; এক্সটারনাল ডাব্লিউ৭ ৪,৬০০ টাকা।রিয়েলভিউ আরভি ১,৬০০ টাকা।প্রিন্টার: ক্যানন পিক্সমা আইপি এমপি২৭৬ ৫,৯০০ টাকা। এইচপি১৬৬০ ডেস্কজেট ২,৬০০ টাকা। এপসন টি৬০ ১২,০০০ টাকা। এইচপি লেজার পি-১১০২ ৯,২০০ টাকা। ব্রাদার এইচএল ৫৩৪০ডি ১৬,৭০০ টাকা। স্যামসাং এমএল১৬৬০ (লেজার) ৫,৫০০। ডেল ৮,৯০০ থেকে ২৮,০০০ টাকা। পোর্টেবল হার্ডডিস্ক: ট্রানসেন্ড ৫০০ গি.বা ৫,১০০; ৩২০ গি.বা ৪,১০০; ৬৪০ গি.বা ৬,১০০-৬,৬০০, ২ টেরাবাইট ১১,৯০০ টাকা। এডেটা ৫০০ গি.বা. ৪,৮০০, ১ টে.বা. ৮,৫০০ টাকা। ইউপিএস: কেষ্টার ৬৫০ ভিএ ২,৬০০; ১২৫০ ভিএ ৪,৬০০ টাকা।