রায়ান ক্লেরির বয়স ১৯। রায়ান একাকী, নিঃসঙ্গ এক টিনএজার। লন্ডনের পূর্বে উইকফোর্ড শহরের একটি বাড়িতে বাবা-মা ও ভাইয়ের সঙ্গে থাকেন রায়ান। কালেভদ্রে তাঁদের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। শোয়ার ঘর ছেড়ে পারতপক্ষে বের হন না তিনি। এই ছেলেই কিন্তু ইন্টারনেট ও প্রযুক্তিতে তুখোড়। অনলাইন তথা সাইবার দুনিয়ায় অপ্রতিরোধ্য। ছোট ওই কামরায় সব সময় একটা ডিমলাইট জ্বলে। স্বল্প আলোয় কাজ করতে পছন্দ করেন রায়ান। সেখানে আছে একটি কম্পিউটার, দুটি মনিটর, একটি ল্যাপটপ, ভাঙা একটা টিভি আর কিছু ইলেকট্রনিক সামগ্রী। এসব দিয়েই যুক্তরাষ্ট্র ও ুযুক্তরাজ্যের বাঘা প্রযুক্তিবিদদের ঘুম হারাম করে দিয়েছেন রায়ান।
একে একে তিনি মার্কিন সিনেট, সিআইএ ও যুক্তরাজ্যের গুরুতর অপরাধ দমনসংক্রান্ত বিশেষ সংস্থার (এসওসিএ) ওয়েবসাইটের নিরাপত্তাব্যবস্থা গুঁড়িয়ে দিয়েছেন। গত বছর ব্রিটিশ পর্নোগ্রাফিক ইন্ডাস্ট্রি, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব দ্য পর্নোগ্রাফিক ইন্ডাস্ট্রির ওয়েবসাইটে আক্রমণ চালান রায়ান ও তাঁর সঙ্গী-সাথিরা। স্রেফ তথ্য ফাঁসের ধান্ধায় ওইসব সাইটে সাইবার হামলা চালিয়েছিলেন রায়ান ও তাঁর সাইবার-বন্ধুরা। এ যেন আরেক জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। রায়ানসহ আরও কজন মিলে গড়ে তোলেন হ্যাকিংয়ের দলটি। যার নাম লুলজ সিকিউরিটি (লুলজসেক)। লুলজসেকের অন্য সদস্যরা হলেন সাবু (ধারণা করা হয় সে-ই দলনেতা), ন্যাকোমিস, টপিয়ারি, টিফ্লো, কায়লা, জয়পি ৯১ ও অ্যাভুনিট। এসবই ছদ্মনাম। তাঁদের আসল পরিচয় কেউ জানে না। লুলজসেকের একের পর এক হামলায় টালমাটাল হয়ে পড়ে বড় বড় সব প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট। ২০ জুন রাতে এফবিআই ও স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড যৌথ অভিযান চালায় রায়ানদের বাংলোয়। গ্রেপ্তার করা হয় এই কম্পিউটার-বিস্ময়কে।
চোখের সামনে প্রিয় কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও একের পর এক যন্ত্রপাতি বাজেয়াপ্ত হতে দেখে নিজেকে ধরে রাখতে পারেন না রায়ান। একসময় আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে বসেন। ছেলের কথা শুনে মা রিতা ক্লেরি তো ভয়ে অস্থির। কারণ, রায়ান যা বলে, তা করে ছাড়ে। কোনো স্কুলই নিতে চাইত না রায়ানকে, তাঁর মানসিক ও আচরণগত সমস্যার কারণে। চিকিৎসকেরা বলছেন, রায়ান অটিজমে ভুগছে। কিন্তু সে দুর্দান্ত প্রতিভার অধিকারী। ২৫ জুন রায়ানকে লন্ডনের এক আদালতে হাজির করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো পড়ে শোনানো হয় তা এ রকম—‘রায়ান ক্লেরি, ইন্টারনেটে অসম্ভব ক্ষমতাধর একজন মানুষ। পৃথিবীর যে কারও কম্পিউটারে হামলা চালানোর দক্ষতা তাঁর আছে। এরই মধ্যে তিনি লাখ খানেক কম্পিউটারে আক্রমণ চালিয়েছেন।’ সেদিন রায়ানের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জামিন হয়নি।তবে ২৭ জুন আদালত তাঁর আবেদন মঞ্জুর করেন। কিন্তু শর্ত জুড়ে দেন, জামিন পেলেও তাকে নখদন্তহীন সর্পের মতো বাস করতে হবে। রিতা ক্লেরির ভয়টা এখানেই। কম্পিউটার, ইন্টারনেট ছাড়া রায়ান টিকতেই পারে না। এসব ছেড়ে সে কীভাবে সময় কাটাবে, সেটাই এখন দুশ্চিন্তার বিষয়! ওয়েবসাইট অবলম্বনে
একে একে তিনি মার্কিন সিনেট, সিআইএ ও যুক্তরাজ্যের গুরুতর অপরাধ দমনসংক্রান্ত বিশেষ সংস্থার (এসওসিএ) ওয়েবসাইটের নিরাপত্তাব্যবস্থা গুঁড়িয়ে দিয়েছেন। গত বছর ব্রিটিশ পর্নোগ্রাফিক ইন্ডাস্ট্রি, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব দ্য পর্নোগ্রাফিক ইন্ডাস্ট্রির ওয়েবসাইটে আক্রমণ চালান রায়ান ও তাঁর সঙ্গী-সাথিরা। স্রেফ তথ্য ফাঁসের ধান্ধায় ওইসব সাইটে সাইবার হামলা চালিয়েছিলেন রায়ান ও তাঁর সাইবার-বন্ধুরা। এ যেন আরেক জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। রায়ানসহ আরও কজন মিলে গড়ে তোলেন হ্যাকিংয়ের দলটি। যার নাম লুলজ সিকিউরিটি (লুলজসেক)। লুলজসেকের অন্য সদস্যরা হলেন সাবু (ধারণা করা হয় সে-ই দলনেতা), ন্যাকোমিস, টপিয়ারি, টিফ্লো, কায়লা, জয়পি ৯১ ও অ্যাভুনিট। এসবই ছদ্মনাম। তাঁদের আসল পরিচয় কেউ জানে না। লুলজসেকের একের পর এক হামলায় টালমাটাল হয়ে পড়ে বড় বড় সব প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট। ২০ জুন রাতে এফবিআই ও স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড যৌথ অভিযান চালায় রায়ানদের বাংলোয়। গ্রেপ্তার করা হয় এই কম্পিউটার-বিস্ময়কে।
চোখের সামনে প্রিয় কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও একের পর এক যন্ত্রপাতি বাজেয়াপ্ত হতে দেখে নিজেকে ধরে রাখতে পারেন না রায়ান। একসময় আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে বসেন। ছেলের কথা শুনে মা রিতা ক্লেরি তো ভয়ে অস্থির। কারণ, রায়ান যা বলে, তা করে ছাড়ে। কোনো স্কুলই নিতে চাইত না রায়ানকে, তাঁর মানসিক ও আচরণগত সমস্যার কারণে। চিকিৎসকেরা বলছেন, রায়ান অটিজমে ভুগছে। কিন্তু সে দুর্দান্ত প্রতিভার অধিকারী। ২৫ জুন রায়ানকে লন্ডনের এক আদালতে হাজির করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো পড়ে শোনানো হয় তা এ রকম—‘রায়ান ক্লেরি, ইন্টারনেটে অসম্ভব ক্ষমতাধর একজন মানুষ। পৃথিবীর যে কারও কম্পিউটারে হামলা চালানোর দক্ষতা তাঁর আছে। এরই মধ্যে তিনি লাখ খানেক কম্পিউটারে আক্রমণ চালিয়েছেন।’ সেদিন রায়ানের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জামিন হয়নি।তবে ২৭ জুন আদালত তাঁর আবেদন মঞ্জুর করেন। কিন্তু শর্ত জুড়ে দেন, জামিন পেলেও তাকে নখদন্তহীন সর্পের মতো বাস করতে হবে। রিতা ক্লেরির ভয়টা এখানেই। কম্পিউটার, ইন্টারনেট ছাড়া রায়ান টিকতেই পারে না। এসব ছেড়ে সে কীভাবে সময় কাটাবে, সেটাই এখন দুশ্চিন্তার বিষয়! ওয়েবসাইট অবলম্বনে
No comments:
Post a Comment