Saturday, April 16, 2011

তরমুজ কাহিনী

গ্রীষ্মের শুরু থেকেই বাজারে স্তূপাকারে সাজানো থাকে তরমুজ। জ্ঞানীর বচনে তরমুজকে বলা হয় ফলের রাজা। এ ফল ত্বক ভেজা রাখে। তরমুজ ভিটামিন 'এ' ও 'সি'-সমৃদ্ধ ফল। এর ৯৭ ভাগই জলীয় অংশ। গরমে ক্রমাগত ঘাম হওয়ার জন্য যে জলীয় অংশ শরীর থেকে বেরিয়ে যায়, তা পূরণ করতে সাহায্য করে তরমুজ। তাছাড়া তরমুজের আরও অনেক গুণ আছে। সমপ্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে তরমুজ শরীরে উত্তেজক হিসেবেও কাজ করে। কাঁঠাল আরেকটি পুষ্টিকর ফল। বাজারে প্রথমে কাঁচা কাঁঠাল ও পরে পাকা কাঁঠাল পাওয়া যায়। কাঁচা কাঁঠাল তরকারি হিসেবে বেশ ভালো, পুষ্টিকর আর সুস্বাদু। পাকা কাঁঠালে আছে শর্করা, আমিষ, ভিটামিন ও খনিজ লবণ। অনেক এলাকার মানুষ ভাতের বিকল্প পাকা কাঁঠাল খেয়ে থাকে। আর কাঁঠালের বিচিও খেতে যেমন স্বাদ তেমনি পুষ্টিগুণে অনন্য। লিচুর মৌসুম খুব বেশি সময় স্থায়ী হয় না। সুস্বাদু ফল হিসেবে এর জনপ্রিয়তাও অনেক বেশি। লিচু একটি উৎকৃষ্ট ফল। এতে আছে ভিটামিন ও খনিজ লবণ। তাই দাম বেশি হলেও যতটা সামর্থ্যে কুলায় লিচু খাওয়া উচিত।
গ্রীষ্মকালীন ফলের রাজা আম। পুরো বর্ষাজুড়েই বাজারে আমের আমদানি থাকে। তাছাড়া এ ফল সারাবছরই পাওয়া যায়। ১০০ গ্রাম পাকা আমে ১০০-১,৫০০ আইইউ ভিটামিন 'এ' থাকে। জামে লৌহ থাকে সবচেয়ে বেশি। বলা হয় জাম খেলে রক্ত পরিষ্কার হয়। আরেকটি ভিটামিন 'সি'যুক্ত ফল হলো আনারস। সর্দি-কাশি ও জ্বর হলে আনারস খেলে উপকার হয় এবং জ্বরের তাপমাত্রা কমিয়ে আনে। গরম দুপুরে শর্করা, প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ লবণসমৃদ্ধ এক গ্লাস বেলের শরবত খেলে কার না প্রাণ জুড়ায়! কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বেলের জুড়ি নেই। ছোট শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই খেতে পারেন। ১০০ গ্রাম কলায় থাকে ১৫৩ কিলোক্যালরি শক্তি ও শর্করা।

রহস্যময় নিউপোর্ট টাওয়ার

বিশ্বে রয়েছে নানা ধরনের রহস্যঘেরা জায়গা, স্থাপত্য কিংবা ভবন। রহস্যঘেরা নিউপোর্ট টাওয়ার তার মধ্যে অন্যতম। রোড দ্বীপে অবস্থিত এই পুরনো টাওয়ারটি সম্পূর্ণ পাথরের তৈরি। রোড দ্বীপের অধিবাসীরা এ জন্য এই টাওয়ারকে old Stone Mill, Viking Power, land mark Power ইত্যাদি নামে অভিহিত করে থাকে। রহস্যময় এই টাওয়ারটির উচ্চতা ২৪ ফুট, যদিও টাওয়ারটি সংলগ্ন ছোট ছোট আরও অনেক টাওয়ার রয়েছে। টাওয়ারটি ১৭ শতকের দিকে পুনরায় সংস্কার করা হলেও তৈরি করা হয়েছে ১১ শতকের দিকে। আটটি পিলার, ৬টি দরজার সমন্বয়ে নিউপট্ টাওয়ারটি তৈরি করা হয়েছে। পিলারগুলোর গায়ে ডোরাকাটা দাগে অঙ্কন করা হয়েছে নানা প্রজাতির প্রাণীর ছবি, নাম ও আরও অনেক কিছু। জিম ব্রানডন নামক একজন আমেরিকান গবেষক ও প্রকৌশলী নিউপোর্ট টাওয়ারকে কেন রহস্যজনক টাওয়ার বলা হয় এর কারণ অনুসন্ধান করার চেষ্টা করেছেন। ব্রানডন প্রাচীন এই টাওয়ারের নানা উপকরণ, লেখা, কারুকার্য নিয়ে প্রায় ১ বছর গবেষণা করে দেখেছেন যে, নিউপট্ টাওয়ারটি যে পাথর দ্বারা তৈরি করা হয়েছে তা প্রাচীন ম্যাগনেট জাতীয় পাথর। এই ম্যাগনেট জাতীয় পাথরের গায়ে রয়েছে চৌম্বক ক্ষমতা যা সহজেই লৌহ জাতীয় পদার্থকে আকৃষ্ট করতে পারে। ম্যাগনেট ছাড়াও টাওয়ারের ৩য় ও ৪র্থ তলার মানুষের পায়ের চিহ্ন, প্রাচীন নকশা, মানুষের মাথার খুলি ইত্যাদি পাওয়া যায়। এ থেকে অনুমান করা যায় যে, প্রাচীনকালে এই টাওয়ারটিতে মানুষ হত্যা করা হতো। কোনো পাপাচার বা অপরাধের জন্য অপরাধী ব্যক্তিকে এখানেই ফাঁসিতে ঝুলানো হতো বলে একাধিক সূত্রে তথ্য পাওয়া যায়। ১৯৪৬ সালে অধ্যাপক P. Lovfold নামক একজন গবেষক সুইডেন ও নরওয়েতে ১৪ ফুট উচ্চতা সমমানের টাওয়ারের অস্তিত্ব আবিষ্কার করেন। নিউপট্ টাওয়ারের সঙ্গে এদের অন্তঃমিল হলো একই ধরনের ও একই সময়ের তৈরি বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। নিউপোর্ট টাওয়ারের মাঝে যেসব হস্তলিখিত পাথর পাওয়া গেছে তা চীনা ভাষায় লিখিত বলে তাত্তি্বকরা একমত পোষণ করেন। পর্যটকদের প্রশ্ন হতে পারে নিউপোর্ট টাওয়ারটি আসলে কোথায় অবস্থিত? নিউপোর্ট টাওয়ারের অবস্থান আমেরিকায় কিন্তু তৈরি করেছেন চীনা শাসকরা। রহস্যজনক এই টাওয়ারের মাঝে এখনো মানুষের শরীরের আভাস পাওয়া যায়। কাছে থেকে মনে হয় ভেতরে কোনো যুবক দাঁড়িয়ে কাউকে কাছে ডাকছে...।

শরীরে তিলের তাৎপর্য

মানুষের শরীরের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন রকম তিল হতে পারে। স্থানভেদে এসব তিল বিভিন্ন তাৎপর্য বহন করে। কারও ক্ষেত্রে শুভ। আবার কারও ক্ষেত্রে অশুভ। এ তাৎপর্য নির্ভর করে চারটি বিষয়ের ওপর। সেগুলো হলো_ আয়তন, রং, কেশময়তা ও আকার। অর্থাৎ চারটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে ফলাফল। তিল খুব বেশি গাঢ় রংয়ের হলে ফল অশুভ। তিলের ওপর লোম বেশি হলে লক্ষণ অশুভ। স্থানভেদে এসব তিলের তাৎপর্য পাল্টে যায়। বিভিন্ন জার্নাল, পঞ্জিকা এবং এ সংক্রান্ত সর্বশেষ গবেষণালব্ধ তথ্যাদি নিয়ে লিখেছেন_ শামছুল হক রাসেল
গাল : ডান গালে তিল সৌভাগ্যের প্রতীক। বিবাহিত জীবনে এরা খুব সুখী হয়। অপরদিকে কোনো নারীর বাঁ গালে তিল থাকলে দাম্পত্য জীবন নিরানন্দে কাটে। এদের কারও কারও কাছে সাফল্য ধরা দেয় ঠিকই, কিন্তু তা বহু কাঠখড় পোড়ানোর পর। ততদিনে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য অনেক দূর চলে যায়।
চিবুক : চিবুকের যে কোনোদিকে তিল থাকা অতি সৌভাগ্যের লক্ষণ। চিবুকে তিলধারীরা খুব সহজে জনপ্রিয়তা পায়। রাজনীতিতে তাদের শক্ত অবস্থান হয়। পাশাপাশি তারা আর্থিক সৌভাগ্যবান হন। তারা প্রেমিক মনের হন। তবে অতিরঞ্জিত হওয়ার কারণে প্রেমিক-প্রেমিকার দূরত্ব বাড়ে।
কান : ডান কানে তিলধারীরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত হন। বিশেষ করে পিতা-মাতার প্রতি একনিষ্ঠ হন। বাঁ কানে তিল দায়িত্বজ্ঞানহীনতা নির্দেশ করে।
চোখ : ডান চোখের ভেতরে কিংবা আশপাশে তিল তীক্ষ্ন বুদ্ধি-বিবেচনা বোঝায়। তারা আবার কখনো কখনো নিষ্ঠুরও হন। তবে বৈষয়িক কর্মকাণ্ডে সফল হন। বাঁ চোখে তিলধারীকে সাধারণত কর্ম ও ব্যক্তিজীবনে দুর্ভোগে পড়েন। বা চোখে তিলের কারণে দাম্পত্যে সন্দেহ বাড়তে পারে। শেষ বয়সে স্বাস্থ্যহানি ঘটতে পারে।
পিঠ : পিঠে তিল থাকা উদারতার লক্ষণ। এরা দয়ালু ক্ষমতাবান সাহসী ও দৃঢ়চেতা হন। এরা যেমন পরামর্শ শোনেন, অন্যকে পরামর্শ দিতেও পছন্দ করেন। যুক্তিতর্কে তাদের সঙ্গে পেরে ওঠা কঠিন। আর পিঠের নিচের দিকে তিল থাকলে এরা কিছুটা আরামপ্রিয় হন; বিপরীত লিঙ্গের প্রতি দুর্ণিবার আকর্ষণ থাকে। পিঠের নিচ দিকে তিলধারী মেয়েরা হন যথেষ্ট আবেদনময়ী।
বাহু : ডান বাহুতে তিল থাকা সৌভাগ্যের পরিচায়ক। এরা বুদ্ধি ও শক্তিতে বেশ এগিয়ে থাকেন। আর্থিকভাবেও স্বাচ্ছন্দ্যে থাকেন। এদের দাম্পত্য জীবন হয় মধুর। বাম বাহুতে তিল থাকলে দুর্ভাগ্য পিছু ছাড়তে চায় না।
গোড়ালি : গোড়ালিতে তিলধারীরা পণ্ডিত মনষ্ক হন। মেয়েদের গোড়ালিতে তিল থাকলে কাজ-কর্মে চটপটে হন। বিশেষ করে রান্না-বান্নায় পারদর্শী হন।
পেট : পেটে তিল থাকা শুভ নয়। সাধারণত পেটে তিলধারীরা অলস ও কামুক স্বভাবের হন। তাদের আচার-আচরণে সুরুচির ছাপ থাকে না। কখনো কখনো তারা ভোজনরসিকও হন। তলপেটে তিল থাকলে গোপনাঙ্গে বিভিন্ন অসুখের আশঙ্কা থাকে। কখনও কখনও এর উল্টোও ঘটে।
বুক : বুকের ডানদিকে তিল থাকলে অর্থ ও সুখ্যাতি দুই-ই অর্জিত হয়। এরা উদার স্বভাবের হন। তবে সতর্ক না হলে অর্জিত সম্পদ বেহাত হতে পারে। বুকের বাঁ দিকে তিল থাকলে সাফল্য অর্জন কম হলেও তা দীর্ঘায়িত হয়। এরা জীবনে খুব বড় হতে না পারলেও জীবন সুখেই কাটে। বুকের মাঝখানে তিল দুর্ভাগ্যের পরিচায়ক। দাম্পত্য জীবনে পরকীয়া সমস্যা হতে পারে। মাঝে-মধ্যে অর্থ-কষ্টও হতে পারে।
পায়ের পাতা : ডান পায়ের পাতায় তিল ভ্রমণের সম্ভাবনা ইঙ্গিত করে। বাঁ পায়ের পাতায় যাদের তিল থাকে তারাও জীবনে ভ্রমণের সুযোগ পান, কিন্তু প্রায়ই তারা নিস্ফল ভ্রমণে সময় ও অর্থ অপচয় করেন।
কপাল : কপালের ডানদিকে তিল থাকা বিশেষ সৌভাগ্যের পরিচায়ক। প্রবল মানসিক শক্তিতে বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করতে পারেন তারা। সাধারণত এরা হন সৌভাগ্যবান। কপালের বাঁ দিকে তিল থাকলে দুর্ভাগ্য হাতছানি দেয়। প্রচুর অর্থোপার্জন করেও তারা সঞ্চয়ী হন না। কখনো কখনো নৈতিক স্খলনও ঘটে। কপালের মাঝখানে তিলধারীরা বিশ্বস্ত প্রেমিক হন। খুব সুখী হন বিবাহিত জীবনে।
হাত : ডান হাতে তিল থাকলে কর্মোদ্যমী হন। কিন্তু বাঁ হাতে তিল থাকলে কর্মোদ্যমী হলেও কাজের যথাযথ মূল্যায়ন প্রায়ই হয় না।
নিতম্ব : পুরুষের নিতম্বে তিল কামুক ও আবেদনময় স্বভাবের পরিচায়ক। অন্যদিকে মহিলাদের ক্ষেত্রে তা বেশি সন্তান প্রজননের ইঙ্গিত দেয়। এরা পুরুষের চাইতেও বেশি কামুক হন। অনেক ক্ষেত্রে এ কারণটাই তাদের দাম্পত্য জীবনে কাল হয়ে দাঁড়ায়।
নাক : নাকে তিল থাকা বিশেষ সৌভাগ্যের লক্ষণ। ডানে তিল সৌভাগ্যের মাত্রা ইঙ্গিত করে। নাকের বাঁ দিকে তিলধারীরা সৌভাগ্যের দেখা পান। আর নাকে তিলধারী নারীরা স্বামীর ভালোবাসা বেশি পান।
কাঁধ : ডান-বাঁ, যে কাঁধেই তিল থাকুক তা কঠোর পরিশ্রমের নির্দেশনা দেয়। ডান কাঁধে তিল থাকলে পরিশ্রমে সাফল্যের দেখা মেলে। কিন্তু বা কাঁধের তিল কিছুটা দুর্ভাগ্যেরও ইংগিত দেয়।
গলা : গলায় তিল সৌভাগ্যের নির্দেশনা দেয়। ডান দিকে থাকলে এর পূর্ণ কার্যকারিতা দেখা যায়; গলার বাঁ দিকে থাকলেও কখনো কখনো সম্পদহানি ঘটে। বৈবাহিক জীবনে জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। পুরুষের গলায় তিল থাকলে স্ত্রীর ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়।
আঙুল : ডান হাতের বুড়ো আঙুলে তিল থাকলে বিপরীত লিঙ্গের মাধ্যমে আর্থিক সচ্ছলতা আসার সম্ভাবনা থাকে। আর তর্জনির তিল কর্মস্থলে সাফল্য নির্দেশ করে।

৭৫ লাখ আমেরিকানের লিভ টুগেদার

বিশ্বজুড়েই লিভ টুগেদার আস্তে আস্তে জনপ্রিয় হয়ে ওঠছে। তবে বিশ্বমোড়ল আমেরিকায় লিভ টুগেদারের জনপ্রিয়তা নিছক কোন পারিবারিক কারনে নয়। আমেরিকানরা লিভ টুগেদার করছে অর্থ সাশ্রয়ের উদ্দেশ্যে। বিয়ে হয়নি, অথচ স্বামী-স্ত্রীর ন্যায় একত্রে বসবাস করছেন এমন আমেরিকান নারী-পুরুষের সংখ্যা ৭৫ লাখ। ইউএস সেনসাস ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ৬৯/৭০ বছরের অধিক বয়সী অনেক অবিবাহিত আমেরিকানও 'লিভ টুগেদার' করছেন। বিয়ে মানেই পারিবারিক মেলবন্ধন। দায়-দায়িত্ব সন্তান-সন্ততি ইত্যাদি নানা বিষয়ের জটিল সমাবেশ। আর এই জটিলতা এড়াতেই বিয়ে ছেড়ে লিভ টুগেদারের দিকে ঝুঁকছেন আমেরিকানরা। শুধু আমেরিকানরাই নয়, ওখানে বসবাসরত বাংলাদেশীসহ অন্যান্য অভিবাসীদের মধ্যেও লেগেছে এই ছোঁয়া। লিভ টুগেদারের ক্ষেত্রে পুরুষ আর নারী একেবারে স্বামী-স্ত্রীর ন্যায় একসঙ্গে বসবাস করে। সামাজিকভাবে জৈবিক চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি উভয়ে সমানভাবে সংসারের খরচ বহন করে। আর শেষ বয়সে অবসরের ভাতা পৃথকভাবে পাওয়ায় তাদের দিন কাটছে চমৎকারভাবে।
গত দু'বছর ধরেই অর্থনৈতিক মন্দা আর দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারনে স্বল্প আয়ী আমেরিকানরা নাজুক পরিস্থিতিতে রয়েছেন। এমনি কঠিন পরিস্থিতিতে যারা চাকরি হারাচ্ছেন, তাদের অবস্থা অকল্পনীয়। কিন্তু জীবন তো থেমে থাকে না। বিকল্প হিসেবে অনেকের বিয়ের বয়স পেরিয়ে গেলেও শুধু খরচের কথা ভেবে বিয়ে করা হয়ে ওঠে না। আর তাই বিকল্প উপায় খোঁজা। আবার অনেকে ২০/২৫ বছর যাবত বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড হিসেবে বাস করে সন্তানাদি নেয়ার পরও আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হননি। চাকরি অথবা ব্যবসা থেকে অবসর নিয়েছেন, তবুও বিয়ে করছেন না। এমন আমেরিকানদের ব্যাপারে ইউএসএ টুডে অনুসন্ধানী এক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেখানে সামগ্রিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে উদাহরণ টেনে বলা হয়েছে, ৭১ বছর বয়েসী টম ব্ল্যাক এবং ৬৯ বছর বয়েসী গ্রিটা কহেন গত ১৩ বছর যাবত 'লিভ টুগেদার' করছেন। দিনভর একত্রে চলাফেরা করেন। কেনাকাটা করেন একত্রে। রান্না অথবা হোটেলের ব্যয়ও ফিফটি ফিফটি হারে বহন করেন। এর ফলে এ দম্পতির অবসর সময় আনন্দে কাটছে। অবসরভাতা অথবা সোস্যাল সিকিউরিটি বেনিফিট হিসেবে তারা আলাদাভাবে যে চেক পাচ্ছেন তা দিয়ে উভয়ের মাসিক খরচে ঘাটতি পড়ে না। একইভাবে অনেক কর্মজীবী প্রেমিক-প্রেমিকারাও একই বিছানায় থাকা সত্বেও বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছেন না খরচের কথা চিন্তা করে। তাদের ধারণা, বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বাস করতে ব্যয় বাড়বে। এই ধারা চলতে থাকলে আমেরিকানদের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্কের ভিত্তি শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে ঠেকে, এখন দেখার বিষয় সেটাই।

মোবাইল ও টাকা ফেরত দিলেন দারোগা!

গ্রাম পুলিশের সদস্য দুলালকে (৪৫) পিটিয়ে মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে থানা পুলিশের হুমায়ুন কবির নামে একজন পিএসআই। পরে অবশ্য আটক চৌকিদারকে থানা হতে ছেড়ে দেওয়া হয়। গতকাল ফেরত দেওয়া হয়েছে গ্রাম পুলিশের সদস্য দুলালের মোবাইল ও ১ হাজার ৩০০ টাকাও। ঘটনাটি ঘটেছে বাংলা নববর্ষের দিন বৃহস্পতিবার বিকালে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার গলাকাটা বাজারের পশ্চিমে নাককাটারচর নামক স্থানে। নাককাটারচরে জুয়ার আসরে গ্রেফতারি পারওয়ানাভুক্ত আসামি রয়েছে বলে চরআলগী ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ দুলাল থানা পুলিশকে মোবাইলে খবর দেয়। পরে থানার পিএসআই হুমায়ুনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সাদা পোশাকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এ সময় কর্তব্যরত গ্রাম পুলিশের সদস্য দুলালকে পিএসআই হুমায়ুন কবির মারধর শুরু করলে জুয়ার আসরে থাকা পলাতক আসামি এ সুযোগে পালিয়ে যায়। চৌকিদার দুলাল জানান, দারোগা হুমায়ুন তাকে পিটিয়ে তার মোবাইল ও ১ হাজার ৩০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। থানার পিএসআই হুমায়ুন কবির তার বিরুদ্ধে গ্রাম পুলিশের সদস্যের মোবাইল ও টাকা ছিনতাই করার অভিযোগ অস্বীকার করেন।

ঘুমানোর জের!

বিমান ওঠানামার ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনের সময় ঘুমিয়ে পড়ার দায়ে মার্কিন এক এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। নেভাদায় বুধবার এ ঘটনা ঘটে। চলতি বছরে যুক্তরাষ্ট্রে এ নিয়ে পাঁচবার এ ধরনের ঘটনা ঘটল। গতরাতে স্থানীয় সময় ২টার দিকে বিমানবন্দরের ট্রাফিক কন্ট্রোলার ঘুমিয়ে পড়লে প্রায় ১৬ মিনিট তার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকে। মেডিক্যাল বিমান থেকে এ সময় বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কন্ট্রোল রুম থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। অবশ্য এ ঘটনায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আল-জাজিরা।

'এল ক্লাসিকো' উত্তেজনার একটি রাত

স্প্যানিশ লা লিগাতে আজকের রাতটি অন্য রাতের মতো নয়। 'এল ক্লাসিকো' নামক শব্দটি শুধু স্প্যানিশদের নয়, বিশ্বব্যাপীই এক আলাদা মাত্রা এনে দিয়েছে। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ফুটবল কিংবা ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেটের চেয়ে কোনো অংশেই কম নয় বার্সা-রিয়ালের ফুটবল দ্বৈরথ। বরং কিছু ক্ষেত্রে সম্ভবত সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে 'এল ক্লাসিকো'। এই মাত্রা বাড়ানোর জন্য দায়ী হতে পারেন লিওনেল মেসি-ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। বার্সা-রিয়াল দ্বৈরথে মেসি-রোনালদোর দিকেই তাকিয়ে থাকেন ভক্তরা। আজ আরও একটি 'এল ক্লাসিকো'। মৌসুমের দ্বিতীয় এবং লা লিগাতে ১৬২তম। সব মিলিয়ে বার্সা-রিয়ালের 'এল ক্লাসিকো' হতে যাচ্ছে ২১০তম। ২১০তম এ প্রতিযোগিতায় আসার পর বার্সা-রিয়াল নিজেদের দিকে পৃথিবীর প্রায় সব ফুটবল ভক্তরই দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। কাতালানদের অপ্রতিরোধ্য জয়যাত্রা ঠেকিয়ে দিতে গত মৌসুমেই রিয়াল মাদ্রিদে আগমন ঘটেছিল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। কিন্তু তিনি পারেননি। বরং 'এল ক্লাসিকো'তে টানা চারবারের পরাজয় নিয়েই শেষ হয়েছিল রিয়ালের গত মৌসুম। এবারেও বার্নাব্যুতে প্রথম 'এল ক্লাসিকো' জয় করেছে বার্সেলোনা। গত বছরের ২৯ নভেম্বরে ৫-০ ব্যবধানের বিশাল জয়টি বার্সেলোনার জন্য লা লিগাতে ১৯৯৪ সালের পর সর্বোচ্চ ব্যবধানের বিজয় ছিল।
বার্সেলোনা লা লিগাতে টানা পাঁচটি 'এল ক্লাসিকো' জয় করে রেকর্ড গড়ে নিয়েছে। টানা জয়ের রেকর্ডটি অবশ্য এখনো রিয়ালের ঝুলিতে রয়ে গেছে। তবে আজ বার্সেলোনা জয় পেলেই রিয়ালের সর্বোচ্চ টানা জয়ের রেকর্ডে ভাগ বসাতে পারবে। ১৯৬২ থেকে ১৯৬৫ সালের মধ্যে রিয়াল বার্সেলোনার বিপক্ষে টানা ৬ বার জয় পেয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। বার্সেলোনা কি তবে এবারে সেই রেকর্ড ছুঁতে যাচ্ছে?
রিয়াল মাদ্রিদ ৫-০ ব্যবধানের পরাজয়ের 'শক' নিয়ে নূ্য ক্যাম্পে খেলতে নামবে। নূ্য ক্যাম্পে প্রায় এক লাখ দর্শক বার্সেলোনার বিজয়ের জন্য চিৎকার করবে আজ। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো কি আজ এই চিৎকারের মাঝে নিজের শ্রেষ্ঠ ফুটবল উপহার দিতে পারবেন? যদি না পারেন রিয়ালের আজও কোনো আশা থাকবে না। যেসব উপায়ে রিয়াল মাদ্রিদ জয় পেতে পারে বার্সেলোনার বিপক্ষে তার একটি হলো রোনালদোর জ্বলে উঠা। আরও কয়েকটি বিষয়ও নিশ্চিত করতে হবে কোচ হোসে মরিনহোকে। বার্সেলোনার পাসিং এবং মুভিং পলিসির ওপর তীক্ষ্ন দৃষ্টি রেখে নিজের রণ কৌশল সাজাতে হবে। বার্সার মূল শক্তি এই পাসিং পদ্ধতিই। যে পদ্ধতিতে অনেকটা খেলে থাকে স্পেনের জাতীয় দল। বার্সেলোনার বাম পাশের আক্রমণ থেকে বাঁচার কৌশলও বের করতে হবে রিয়াল কোচকে। দানিয়েল আলভেস ফুল বেক খেলেও এ পাশে বেশ ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেছেন। কখনো কখনো তিনি জাভি-ইনিয়েস্তার বিকল্পও হয়ে ওঠছেন। এরপর আছে কেন্দ্রীয় রক্ষণভাগের দুর্বার বাধা। কেন্দ্রীয় রক্ষণভাগ সামলানোর দায়িত্ব কার্লোস পুয়লের। কিন্তু এই তারকা গত তিন মাস ধরেই বার্সার বাইরে। বর্তমানে পিকের পাশে থেকে এ দায়িত্ব বেশ ভালোভাবেই পালন করে যাচ্ছেন মাসকারেনো এবং বাসকুয়েটস। তারা বেশ ভালোভাবেই বার্সেলোনার কেন্দ্রীয় রক্ষণভাগ সামলে রাখছেন। যার কারণে বার্সেলোনার গোল পোস্ট অধিকাংশ সময়ই থাকে আক্রমণ মুক্ত। ভিক্টর ভালদেজ নিশ্চিন্ত থাকেন এ জন্যই। এই রক্ষণভাগ ভেঙে বল ভেতরে নিয়ে আসার কৌশলও ভাবতে হচ্ছে হোসে মরিনহোকে।
বার্সেলোনাকে অতিক্রম করার এক দুর্বার আকাক্সক্ষা নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদে এসেছিলেন হোসে মরিনহো। কিন্তু কোনোভাবেই থামাতে পারছেন না পেপ গার্ডিওলাকে। মেসির কোনো প্রতিষেধকই খুঁজে পাচ্ছেন না মরিনহো? গত 'এল ক্লাসিকো'তে মেসি কোনো গোল করতে পারেননি। কিন্তু গোল করিয়েছেন সতীর্থদের দিয়ে। মেসিকে গোল থেকে বিরত রেখে এক ধরনের সফলতা দেখিয়েছেন মরিনহো। কিন্তু একজনকে আটকাতে গিয়ে তিনি খুলে দিয়েছিলেন আরও অনেকের দুয়ার। ৫-০ ব্যবধানের বিশাল পরাজয়টি সেকথাই বলে। গার্ডিওলা-মরিনহোর এ যুদ্ধ কিভাবে শেষ হবে তা কেবল মাঠেই প্রমাণ হতে পারে। কিন্তু ইতোমধ্যেই লিওনেল মেসি ছাড়িয়ে গেছেন রোনালদোকে। অনেকটা এগিয়ে থেকেই আজ তিনি নিজের মাঠে খেলতে নামবেন চিরপ্রতিপক্ষের বিপক্ষে। মরিনহোর কৌশলকে কিভাবে পরাভূত করেন লিওনেল মেসি এ দৃশ্যগুলি দেখার জন্যও আজ দর্শকরা উন্মুখ হয়ে থাকবেন।
লা লিগার শেষ 'এল ক্লাসিকো' আজ। কিন্তু দর্শকদের হতাশার কিছু নেই। স্প্যানিশ সুপার কাপ এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগ দর্শকদের সামনে সুযোগ এনে দিয়েছে আরও তিনটি 'এল ক্লাসিকো' বেশি দেখার। ২০ ও ২৭ এপ্রিল এবং ৩ মে আরা তিনটি এল ক্লাসিকো হতে যাচ্ছে। প্রস্তুত হয়ে থাকাই ভালো।

এবার উইজডেন টেস্ট একাদশে তামিম

উইজডেন টেস্ট একাদশে ওপেনার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল। কয়েকদিন আগেই উইজডেনের বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটার নির্বাচিত হন তিনি। এবার একাদশে জায়গা পেয়েছেন। কোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটারের জন্য যা সত্যিই গৌরবের ব্যাপার। উইজডেন টেস্ট একাদশে এবার অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোনো ক্রিকেটার নেই। সবচেয়ে বেশি পাঁচ খেলোয়াড় রয়েছে ভারতের। ওপেনিংয়ে ধারাবাহিকতা থাকার কারণে শেবাগের সঙ্গে ব্যাটিং উদ্বোধনীর জন্য তামিমকে বেছে নেওয়া হয়।
গত বছর মাত্র ৭টি টেস্ট খেলার সুযোগ পান তামিম। ১৪ ইনিংসে ৫৯.৭৮ গড়ে তিনি রান করেন ৮৩৭। যার মধ্যে ৩টি সেঞ্চুরি ও ৬টি হাফসেঞ্চুরি রয়েছে। তামিম ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ ১৫১ রানের ইনিংসটিও খেলেন গত বছর। ইংল্যান্ড সফরে লর্ডসে সেঞ্চুরি হাঁকান। পরের টেস্টেও ইংলিশদের বিরুদ্ধে চমৎকার শতক করে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেন। বাংলাদেশের এ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের স্ট্রাইক রেট অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি। গত বছর তার চেয়ে বেশি রান করেছেন, এমন ব্যাটসম্যানদের মধ্যে একমাত্র শেবাগের স্ট্রাইক রেটই তার চেয়ে বেশি। শেবাগ ৯০.৮০ আর তামিমের ৮০.৭১। তার অসাধারণ পারফরম্যান্সের কারণে বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে উইজডেনের টেস্ট একাদশে জায়গা পান তিনি। তামিম এখন পর্যন্ত ১৯টি টেস্ট খেলেছেন। ৪০.১৩ গড়ে করেছেন ১ হাজার ৪৪৫ রান। সর্বোচ্চ ১৫১। ৪টি সেঞ্চুরি ও ৮টি হাফসেঞ্চুরি রয়েছে তার ঝুলিতে।
উইজডেন টেস্ট দল : বীরেন্দর শেবাগ, তামিম ইকবাল, কুমার সাঙ্গাকারা, শচীন টেন্ডুলকার, জ্যাক ক্যালিস, ভিভিএস লক্ষ্মণ, মহেন্দ্র সিং ধোনি, গ্রায়েম সোয়ান, ডেল স্টেইন, জহির খান ও জেমস অ্যান্ডারসন। 



আইপিএলে সাকিবের রাজসিক অভিষেক

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে রাজসিক অভিষেক হলো বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের। গতকাল রাজস্থান রয়েলসের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচেই ৩১ রানে দুই উইকেট নিয়েছেন তিনি। তবে অসি অলরাউন্ডার শেন ওয়াটসনকে আউট করতে পেরে দারুণ খুশি সাকিব। কেননা ওয়াটসনের কাছেই আইসিসি ওয়ানডে অলরাউন্ডারের শীর্ষস্থানটি তিনি হারিয়েছেন। তাছাড়া এক ওয়াটসনের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সেই তো দেশের মাটিতে 'হোয়াইটওয়াশে'র লজ্জা পেয়েছে বাংলাদেশ। তাই কাল কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে মাঠে নেমে রাজস্থানের ওয়াটসনকে দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করে মনের জ্বালা জুড়ালেন সাকিব।
অন্যদিকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজটিই ওয়াটসনের ভাগ্য খুলে দিয়েছে। সিরিজে তিন ম্যাচে ২৯৮ রানের পাশাপাশি তিনটি উইকেটও নিয়েছিলেন অসি অলরাউন্ডার শেন ওয়াটসন। এর মধ্যে দ্বিতীয় ম্যাচে রয়েছে অপরাজিত ১৮৫ রানের ইনিংস, যা এক ইনিংসে কোনো অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ রানের নতুন রেকর্ড। তাছাড়া এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ১৫টি ছক্কা হাঁকানোর বিশ্ব রেকর্ডও গড়েন তিনি। আর এই দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য পেয়েছেন আইসিসির সেরা অলরাউন্ডারের পুরস্কার। শেন ওয়াটসনের রেটিং পয়েন্ট ৪২৮। দ্বিতীয় স্থানে নেমে আসা সাকিবের পয়েন্ট ৩৮৪।

বেশকিছু দিন থেকে সাকিব ওয়ানডের সেরা অলরাউন্ডারের স্থানটি ধরে রেখেছিলেন। ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফর্ম দেখাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি শেষ হওয়া সিরিজে সাকিব যেন নিজের ছায়া হয়ে রইলেন। তিন ম্যাচে একটি হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেলেও বল হাতে ততটা সফল ছিলেন না তিনি। তাই অবশেষে সেরা অলরাউন্ডারের মুকুটটি হারালেন ওয়াটসনের কাছে। তবে সাকিবের বিরুদ্ধে ভালো খেলেই তাকে টপকানোটা ওয়াটসনের জন্য গর্বের হলেও সাকিবের জন্য তা ছিল কষ্টের। তাই যেন অসি অলরাউন্ডারের প্রতি কিছুটা আক্রোশ জন্মেছিল তার মনে। তাই কিনা কাল ওয়াটসনকে আউট করে একটু অন্য রকমভাবে উদযাপন করলেন সাকিব। প্রথম ম্যাচেই দুই উইকেট নেওয়ায় কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে সাকিবের অভিষেকটা হলো রাজকীয়। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে এর আগে আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের হয়ে খেলেছেন মোহাম্মদ আশরাফুল, কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন নড়াইল এক্সপ্রেস মাশরাফি বিন মর্তুজার। খেলেছেন ঘূর্ণি জাদুকর আবদুর রাজ্জাকও। কাল চতুর্থ বাংলাদেশি হিসেবে আইপিএলে নাম লেখালেন সাকিব আল হাসান।

শাকিরাকে নিয়ে সুখি পিকে

কলাম্বিয়ান পপ তারকা শাকিরাকে নিয়ে সুখেই আছেন বার্সেলোনা ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকে। তবে সম্প্রতি তাদেরকে নিয়ে মিডিয়ায় উল্টাপাল্টা খবর প্রকাশিত হওয়ায় বিরক্ত প্রকাশ করেছেন পিকে। ২৪ বছরের সাবেক এ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফুটবলার গত বিশ্বকাপ ফুটবলের অফিসিয়াল থিম সং 'ওয়াকা ওয়াকা'র ভিডিও শুটিংয়ে অংশ নেওয়ার সময় শাকিরার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। এরপর থেকেই দুজন দুজনের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েন। সমপ্রতি এক টুইটার বার্তায় বিশ্বকাপ জয়ী স্পেন দলের এই ফুটবলার লিখেছেন, 'সে (শাকিরা) শুধু এটুকুই দেখাতে চায় যে আমরা একটি ভালো অবস্থানে আছি। যেটাতে আমি সুখী এবং সুখী সেও। আর এটাই শেষ কথা।' পিকের সঙ্গে তার রোমান্সের বিষয় পত্রিকাগুলোতে প্রকাশ হওয়ার পর এ বছরের জানুয়ারিতে আর্জেন্টিনার সাবেক প্রেসিডেন্টের ছেলে আইনজীবী অ্যান্টনি ডি লা রুয়ার সঙ্গে ১১ বছরের সম্পর্কের অবসানের ঘোষণা দেন শাকিরা। ৩৪ বছর বয়সী এই পপ তারকরা গত মাসে টুইটার বার্তায় পিকের সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন।