Monday, April 11, 2011

৯ এইচএসসি পরীক্ষার্থী আহত, হাসপাতালে শুয়ে পরীক্ষা

নাটোরের লালপুরে গতকাল রবিবার ভটভটিতে (অবৈধ যান) চেপে এইচএসসি (বিএম) পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ির ধাক্কায় ৯ পরীক্ষার্থী আহত হয়। তাদের দ্রুত লালপুর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়ার পর বিশেষ ব্যবস্থায় পরীক্ষা নেওয়া হয়। লালপুর-গোপালপুর সড়কের শিমুলতলায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
লালপুর হাসপাতাল ও পরীক্ষাকেন্দ্র সূত্র জানায়, দুপুর ২টায় অনুষ্ঠেয় কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন-১ বিষয়ে পরীক্ষা দিতে দেড়টার দিকে গোপালপুর পৌর টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থীরা লালপুর পাইলট বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে যাচ্ছিল। লালপুর-গোপালপুর সড়কের শিমুলতলায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ভটভটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। ভটভটি উল্টে গিয়ে ইঞ্জিনের গরম পানিতে ৯ পরীক্ষার্থীর শরীর ঝলসে যায়। তারা হলো_আরজিনা খাতুন, পাপ্পু হাসান, ফারজানা খাতুন, শাহিনা খাতুন, জান্নাতুল মোস্তারি, সাবিনা ইয়াসমিন, রঙ্গিলা খাতুন, শারমিন সুলতানা ও অধরা চৌধুরী।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার আবদুর রাজ্জাক জানান, আহত পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে সিটে বসে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের পরিস্থিতি না থাকায় হাসপাতালের বেডে বিশেষ ব্যবস্থায় পরীক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়। লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জহিরুল ইসলাম জানান, পরীক্ষার্থীদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পরামর্শক্রমে তিনি তাদের হাসপাতালের বেডে পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন। পরীক্ষাকেন্দ্র সচিব ও মঞ্জিলপুকুর কৃষি, কারিগরি ও বাণিজ্যিক মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মো. সাইফুল ইসলাম জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পরামর্শ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে আহতদের বিশেষ ব্যবস্থায় পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।
লালপুর থানার ওসি (তদন্ত) সিরাজুল ইসলাম জানান, পরীক্ষার্থীদের সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা গ্রহণে পুলিশ সার্বিক সহযোগিতা করেছে। লালপুর ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিনকে মোবাইলে পাওয়া যায়নি।

টপ অব দ্য ডে

বিশ্বকাপের ফাইনালে টেন্ডুলকার-শেবাগের দুটো মূল্যবান উইকেট পেলেও শ্রীলঙ্কাকে জয় এনে দিতে পারেননি লাসিথ মালিঙ্গা। আইপিএলে সেই ক্ষোভ মেটালেন মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের প্রথম ম্যাচেই। এবার তিনি টেন্ডুলকারের দলের জয়ের নায়ক আর শেবাগের দলের ঘাতক। মাত্র ১৩ রানে ৫ উইকেট নেওয়া মালিঙ্গার জন্যই দিলি্ল ডেয়াডেভিলস বিধ্বস্ত।

এবার নেহা ধুপিয়া

যুবরাজ সিংয়ের প্রেমিকার তালিকায় যুক্ত হলেন বলিউডের অন্যতম আইটেম গার্ল নেহা ধুপিয়া। আমিশা প্যাটেলের সঙ্গে যুবরাজের গোপন সম্পর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই জড়িয়ে গেলেন নেহা। সম্প্রতি একটি পার্টিতে দুজনকেই অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা গেছে। ক্যামেরাবন্দী হয়েছে তাদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তগুলো। কিন্তু খবরটি ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন যুবরাজ ও নেহা। সম্পর্কের বিষয়টি তারা অস্বীকার করলেও পার্টির প্রকাশিত ছবিগুলো তুলে ধরছে সত্যতা।

প্রভার মেডিটেশন

নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার মানসিক যন্ত্রণা থেকে বেরিয়ে আসতে মেডিটেশন করছেন মডেল ও অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা। তিনি মেডিটেশনের ওপর কোর্স করছেন। প্রভা জানিয়েছেন, মেডিটেশন করার পর তিনি প্রাণবন্ত হয়ে উঠছেন। নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস বাড়ছে। ক্ষমাশীলও হয়েছেন। তাই তার সঙ্গে যারা অন্যায় করেছেন, তাদের ক্ষমা করে দিয়েছেন। প্রভা এখন ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে চতুর্থ বর্ষের পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত।

Sunday, April 10, 2011

কেনাকাটায় আয়ু বাড়ে

দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার উপায় খুঁজে বের করতে মানুষের চেষ্টার কোনো শেষ নেই। দীর্ঘায়ু লাভের পেছনে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণ, নিরুদ্বিগ্ন জীবনযাপন, ব্যায়াম ইত্যাদি প্রক্রিয়ার কথা আমরা এতদিন জেনেছি।
কিন্তু সম্প্রতি তাইওয়ানের একদল গবেষক জানাচ্ছেন অন্য কথা। তাদের দাবি, নিয়মিত কেনাকাটা যারা করেন তারা তুলনামূলকভাবে বেশিদিন বাঁচেন। গবেষকরা বলেন, শারীরিক ও মানসিক দুর্বলতার মতো বিষয়ের সঙ্গে মানিয়ে চলার পরও দেখা যায়, যারা সপ্তাহে এক বা তার চেয়ে কম কেনাকাটা করেন তাদের চেয়ে দৈনিক কেনাকাটা করেন এমন নারী-পুরুষ বেশিদিন বাঁচেন। তাইওয়ানের ইনস্টিটিউট অব পপুলেশন হেলথ সায়েন্সেসের য়ু-হুং চ্যাংয়ের নেতৃত্বে একদল গবেষক এ গবেষণা করেন বলে বিবিসি অনলাইন জানায়। জার্নাল অব এপিডেমিওলজি অ্যান্ড কমিউনিটি হেলথে প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে বলা হয়, সঙ্গ, ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস মেনে চলার সুযোগ প্রদান করতে পারে কেনাকাটা। তাইওয়ানে নিজেদের বাড়িতে বসবাসকারী ৬৫ বছরের ১ হাজার ৮৫০ জন নারী-পুরুষের ওপর ১৯৯৯-২০০০ সালে এ গবেষণা চালানো হয়। এতে দেখা যায়, যারা অনিয়মিত কেনাকাটা করেন তাদের চেয়ে নিয়মিত কেনাকাটা করেন যারা তাদের দ্রুত মৃত্যুর সম্ভাবনা ২৭ শতাংশ কম।

হারিয়ে যাওয়া চীনা পিরামিড

পিরামিড বলতেই যে দেশটির নাম আমাদের চোখের সামনে ভেসে উঠে তার নাম মিসর। কিন্তু পিরামিড শুধু মিসরীয়রাই তৈরি করেনি। আরও অনেক দেশের মানুষ পিরামিড তৈরি করেছেন। হয়তো পৃথিবীর ইতিহাসে সেসব দেশের নাম সেভাবে লিখে রাখা হয়নি। চীন এমনই একটি দেশ_ যে দেশের প্রাচীন নাগরিকরা আজ থেকে প্রায় ২ হাজার বছর আগে তৈরি করেছিলেন অপার সৌন্দর্যের প্রতীক চীনা পিরামিড। হার্টউইক-হাউসডরফ নামক একজন গবেষক তার Chinese Roswell (১৯৯৮) নামক গ্রন্থে চীনের হারিয়ে যাওয়া পিরামিড ঐতিহ্যের কথা নিপুণভাবে বর্ণনা করেছেন। হাউসডরফ (Hausdorfs) প্রায় ৫০ বছর আগের ডকুমেন্টারি, বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা, বই, উপন্যাস, চলচ্চিত্র ইত্যাদি গবেষণাপূর্বক গ্রন্থটি রচনা করেছেন। হাউসডরফ বলেন, প্রায় ২ হাজার বছরের এই পুরনো পিরামিড দেখতে ছিল সাদা-লালচে ও ধূসর বর্ণের। গাউসম্যানস নামক আরেক আমেরিকান গবেষক হারিয়ে যাওয়া চীনা পিরামিডগুলোর ওপর গবেষণা করেছেন প্রায় ১০ বছর। তিনি চীনা পিরামিডগুলোর নাম দেন 'The white pyramid। তিনি 'Gaussman's Story (২০০২) নামক গ্রন্থে চীনা পিরামিডের কথা বর্ণনা করেছেন। চীনা এসব পিরামিডের অবস্থান ছিল সিয়ান (Sian) পর্বতের পাদদেশে। মিসরীয় পিরামিডগুলোর মতো দেখতে এসব পিরামিডের উচ্চতা ছিল ১ হাজার ফুট প্রস্ত ১ হাজার পাঁচশ ফুট সর্বনিম্ন পিরামিডটির উচ্চতা ছিল প্রায় ৪৫০ ফুট। সে তথ্যগুলো বিভিন্ন গবেষণার প্রেক্ষিতে পাওয়া যায়। কিন্তু প্রশ্ন হলো_ চীনে যদি পিরামিড থাকতই তাহলে তার অস্তিত্ব নেই কেন? গবেষকরা এক্ষেত্রে বলেন, চীনা পিরামিডগুলো চীনের যে রাজ্যে তৈরি করা হয়েছিল তা ছিল স্থাপত্য বা স্থাপনা তৈরির সম্পূর্ণ অনুপযুক্ত জায়গা। যে কারণে পিরামিডগুলো স্থায়ী হয়নি। পিরামিডগুলোর অস্তিত্ব যেভাবে সিয়ান প্রদেশে না থাকলেও এখনও ধ্বংসাবশেষ রয়ে গেছে। যার মাধ্যমে প্রাচীন চীনা সভ্যতার অনেক নিদর্শনই খুঁজে পাওয়া যায়। প্রত্নতাত্তি্বকরা নানা গবেষণার মাধ্যমে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন যে, চীনা পিরামিডগুলো কোনো রাজার আমলে তৈরি করা হয়েছিল। খ্রিস্টপূর্ব-১৫৭-৮৭ অব্দে সম্রাট 'Liu che' চীনা পিরামিডগুলো তৈরি করেন। তবে তৎকালীন এগুলো মন্দির হিসেবেই পরিচিত ছিল। সিয়ান পাহাড়ের পাদদেশে সম্রাট 'Liu che শত শত মন্দির তৈরি করেন। প্রাচীন এসব প্রত্নতাত্তি্বক নিদর্শনের ছবি দেখে অনুধাবন করা যায়, পিরামিডগুলো ছিল অস্বাভাবিক সুন্দর ও নিপুণ হস্তে তৈরি করা। গবেষকরা হারিয়ে যাওয়া এই পিরামিডের মাঝে খুঁজে পেয়েছেন হাজার বছরের পুরাতন কাঁসা, পিতল, লৌহ, মুদ্রাক্ষর ও নাম না জানা অনেক উপকরণ। যে উপকরণের সঙ্গে মিশে আছে হাজার হাজার বছরের পুরাতন চীনা ঐতিহ্য, কৃষ্টি ও সভ্যতা।

মোবাইলের দুনিয়া

মোবাইল শব্দটা উচ্চারণ করলেই সবার সামনে ভেসে ওঠে মোবাইল ফোনের ছবি। মোবাইল মানে কিন্তু কেবল ফোন নয়। মোবাইল শব্দের অর্থ হচ্ছে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরযোগ্য। আর তাই ফোন ছাড়াও আরও অনেক কিছুই মোবাইল হতে পারে। বিশ্বব্যাপী জীবনের গতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে মোবাইল টয়লেট এমনকি মোবাইল বাড়ি পর্যন্ত দেখা যায় অহরহ। আমাদের দেশেও এর ব্যতিক্রম নয়। আমাদের মোবাইল কোর্টের কথাই ধরা যাক। ভেজালবিরোধী অভিযান কিংবা ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারীদের শাস্তি প্রদানের জন্য বর্তমানে প্রায়ই বিভিন্ন স্থানে মোবাইল কোর্ট বসছে। শুধু তাই নয়, বিশ্বব্যাপী মোবাইল লাইব্রেরির ধারণাও এখন দারুণ জনপ্রিয়। মোবাইল লাইব্রেরিকে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি বলা যেতে পারে। বিশেষভাবে নির্মিত মোটর যানে এই ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি স্থাপিত হয়। ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি এক শহর থেকে অন্য শহরে এমনকি শহর ছাড়িয়ে দূরবর্তী অঞ্চলের বইপ্রেমিক পাঠকের ঘরের দরজায় গাড়িভর্তি বই নিয়ে হাজির হয়। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের (১৯৩৯-১৯৪৫) পর থেকে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে সর্বপ্রথম মোবাইল লাইব্রেরির প্রচলন হয়। এ প্রসঙ্গে আমাদের দেশে অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের উদ্যোগে পরিচালিত বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ পাঠাগারের কথা বলা যেতে পারে। আমাদের দেশের বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে মোবাইল লাইব্রেরির অগ্রযাত্রায় মাইলফলক। মোবাইল হোম বা মোবাইল বাড়ির ধারণা এখন অনেকটাই প্রতিষ্ঠিত। সাধারণত মোবাইল হোম অনেক চাকা বা হুইলের ওপর স্থাপিত। বিশেষ উন্নত প্রযুক্তি ও গৃহ নির্মাণের হালকা সাজসরঞ্জামের মাধ্যমে স্থানান্তরযোগ্য বাড়ি তৈরির প্রচলন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাধারণত মোবাইল হোমের দৈর্ঘ্য ১৫ থেকে ২০ মিটার, চওড়া ৩.৫ থেকে ৮.৫ মিটার হয়। মোবাইল হোমে শোবার ঘর, কিচেন, বাথরুম, টয়লেট সবকিছুরই ব্যবস্থা রয়েছে। আর বিশ্বব্যাপী মোবাইল ফোনের দোর্দণ্ড প্রতাপের কথা না বললেও চলে। তাই বলা চলে মোবাইলের দুনিয়া।

পানির নিচে কাছিমের দম বন্ধ হয় না কেন?

কাছিম নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস ফুসফুসের সাহায্যে সম্পন্ন করে। যে কোনো ফুসফুসওয়ালা স্থলজ প্রাণীকে কিছুক্ষণ পানির রাখলেই সে দম বন্ধ হয়ে মারা যাবে। ব্যাঙ এবং কুমিরেরও ফুসফুস থাকে। অথচ এরা পানির প্রাণী হলে কি হবে, সব সময় এরা পানির থাকে না। ব্যাঙ বা কুমির কিছুক্ষণ পরপরই পানির ওপরে নাকের ফুটো দুটি ভাসিয়ে রেখে সহজেই বাতাস নিয়ে শ্বাসকার্য চালাতে পারে। আমরা জানি, কাছিম যখন ডাঙায় থাকে তখন ফুসফুস দিয়েই সে তার শ্বাসকার্য চালায়। অনেক সময় পানিতে ভেসে থাকা অবস্থায় নাক পানির ওপরে রেখে বাইরে থেকে বাতাস টানে। কাছিম অনেক সময়েই পানির বেশ গভীরে দীর্ঘ সময় কাটিয়ে থাকে। ফুসফুস দিয়ে পানি থেকে বাতাস বা অক্সিজেন গ্রহণ করা যায় না। তা ছাড়া মাছের মতো কাছিমের ফুলকা নেই। সুতরাং এরকম প্রাণীর পক্ষে অনেকক্ষণ পানির নিচে থাকলে দম বন্ধ হয়ে মারা যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কিন্তু কাছিমকে পানিতে ডুবে দম বন্ধ হয়ে মারা যেতে দেখা যায় না। এর কারণ কি?
এর আসল রহস্য হলো, কাছিমের পৌষ্টিকনালি বা খাদ্যনালির প্রথম দিকটা অর্থাৎ গলার পেছন দিকটায় এবং খাদ্যনালির শেষ অংশটায়-যেখানে মল জমা থাকে, সেই অংশ দুটিতে ভেতরকার চামড়া খুবই পাতলা হয়। তা ছাড়া এতে রক্তনালি এত বেশি করে থাকে যে, ওই অংশগুলো মাছের ফুলকার মতো লাল দেখায়। ওই অংশ দুটির কাজও অনেকটা মাছের ফুলকার মতো। কাছিম পানিতে ডুবে থাকাকালীন ফুসফুসের মুখটা বন্ধ করে রাখে, যাতে সেদিক দিয়ে পানি না ঢুকতে পারে। সেই সময়ে সে পায়ু পথ দিয়ে বারবার খাদ্যনালিতে পানি ঢোকাতে থাকে। পানি ওই রক্তনালি সমৃদ্ধ ত্বকের সংস্পর্শে এলে মাছের ফুলকা যেভাবে পানি থেকে অক্সিজেন নিয়ে শ্বাসকার্য চালায়, ঠিক তেমনিভাবে কাছিমের শ্বাসকার্য চলে। অর্থাৎ পানিতে ডুবে থাকার সময় কাছিম এই গৌণ শ্বাসঅঙ্গ দিয়ে শ্বাসকার্য চালায়। ফলে তার দম বন্ধ হয়ে মারা যাওয়ার কোনো কারণ ঘটে না। আর এভাবেই কাছিম পানির নিচে স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করে।

একা থাকতে চান বিপাশা

শেষ পর্যন্ত বিপাশা বসু স্বীকার করলেন, জন আব্রাহামের সঙ্গে তার সম্পর্ক আর নেই।
বলিউডের এই তারকাকে নিয়ে ভারতের গণমাধ্যমগুলোতে বেশ কিছুদিন ধরেই কানাঘুষা চলছিল। কিন্তু বিপাশা এই বিষয়টিতে এতদিন মুখ খোলেননি। স্বীকার করছিলেন না আব্রাহামের সঙ্গে তার সম্পর্কচ্ছেদের কথা। তবে তার মোবাইল ফোনটি প্রকাশ করে দিল বিপাশার মনের কথা। 'হ্যাঁ, একা থাকাই সবচেয়ে ভালো...' এই বার্তাটি ছড়িয়েছে তার মুঠোফোন থেকে। একবার নয়, ছয়বার তার মোবাইল নম্বর থেকে এসেছে এই বার্তাটি।
এই কথাটি অন্য যে কেউ তার মোবাইল থেকে পাঠাতে পারেন। মোবাইল ফোন সার্ভিসের মাধ্যমে আপত্তিকর এরকম অনেক কিছুই ঘটতে পারে। এখন এই কথাগুলো বলছেন বিপাশা বসু, যখন বুঝতে পেরেছেন এই বার্তাটি আদৌ তার পাঠানো ঠিক হয়নি।

বর্ষবরণে চারুকলার প্রস্তুতি

মাত্র তিন দিন বাদেই আসছে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। বৈশাখকে ঘিরে নগরীর নানা উৎসব-অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও দেশে বর্ষবরণের সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকেই অনুষদের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মিলিত প্রয়াসে বর্ষবরণের প্রস্তুতি চলতে থাকে। চারুকলার বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থী ও সাবেক শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায় এ সময় জমজমাট হয়ে উঠে চারুকলা প্রাঙ্গণ। বর্ষবরণ প্রস্তুতির জন্য ইতোমধ্যেই চারুকলার শিক্ষার্থীরা জোরেশোরে মাঠে নেমেছেন। সময় স্বল্পতায় বেশিরভাগ ক্লাসই বন্ধ রেখে বৈশাখ প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হচ্ছে। আনুষ্ঠানিকভাবে ১ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ১৪১৮-এর বর্ষবরণ প্রস্তুতির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। গতকাল চারুকলা অনুষদে গিয়ে দেখা যায়, প্রবেশমুখেই শিক্ষার্থীরা তৈরি করছেন রঙিন মাটির সরা ও বিভিন্ন সামগ্রী। উৎসাহ নিয়ে বিক্রি করছে সে সামগ্রী। দূর-দূরান্ত থেকে আগত আগ্রহী দর্শকদের অনেকেই বৈশাখে প্রিয়জনকে উপহার দিতে কিনে নিয়েছেন বাহারি সামগ্রী। অল্প দূর এগোতেই চারুকলার মাঠে শিক্ষার্থীদের বিশালআকৃতির ময়ূর, কাকাতুয়া, বাঘ তৈরিতে ব্যস্ত দেখা যায়। মাঠের পাশের রুমগুলোতে একদল শিক্ষার্থী তুলির আঁচড়ে রাঙিয়ে তুলছিলেন রঙিন মুখোশ। বারান্দায় বসে মাটি ও কাগজ দিয়ে রাজা রানীর আদলে ভাস্কর্য তৈরি করছিলেন অপর শিক্ষার্থীরা।
মনের খোরাক মেটাতে প্রতি বৈশাখেই চারুশিল্পী ও চারু শিক্ষার্থীরা মাটির সরা, মুখোশ, জলচিত্র ও মাটির টেপা পুতুলে ফুটিয়ে তোলেন নকশা। শিক্ষার্থীরা জানান, সুন্দর এই সামগ্রী তৈরি করা হয় বিক্রির উদ্দেশ্যে। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি করে গঠিত হয় ফান্ড। ফান্ডের টাকা দিয়ে বৈশাখের ১৫ দিন পর চারুকলা ইনস্টিটিউটে উদযাপিত হয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। বেচে যাওয়া অবশিষ্ট অর্থ দিয়ে পরবর্তী বছরের বৈশাখ উদযাপনের জন্য তৈরি হয় ফান্ড। এ বছর বর্ষবরণ প্রস্তুতিতে চারুকলা অনুষদের ১০ম ব্যাচ থেকে ১৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছে। শিক্ষার্থীরা জানান প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত কাজ করলেও বৈশাখের দুই দিন আগে তাদের রাত জেগে বৈশাখের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে হয়।
চারুকলার ইনস্টিটিউটের ১৪১৮ সালে বর্ষবরণ প্রস্তুতির অন্যতম আকর্ষণ তার মঙ্গল শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রায় এ বছরের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে তৈরি করা 'প্রতীকী কুমির'। জানা যায়, কুমিরটির উপর প্রতীকী অর্থে বসে থাকবে বাঁশের তৈরি কিছু মানুষ। এই মানুষদের হাতে থাকবে কুমির বধের অস্ত্র। চারুকলার অনুষদের প্রিন্টিং ও ড্রয়িং বিভাগের অধ্যাপক নিসার হোসেইন বলেন, বাঙালি লোককাহিনীতে কুমির বধের কাহিনী রয়েছে। কুমিরটি আমাদের গ্রামীণ লোকশিল্পেরই একটি অংশ। জনগণ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কামনা করেন। এ কথা মাথায় রেখেই এবার মঙ্গল শোভাযাত্রায় যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবিতে প্রতীকী কুমিরটির ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া মঙ্গল শোভাযাত্রায় অন্যান্য আকর্ষণের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন লোকজ পাখি, শোলা ও কাঠের তৈরি রাজা-রানী, বাঘ ও লক্ষ্মীপ্যাচার মুখোশ। রয়েছে কাকাতুয়া, ময়ূর খরগোসের তৈরি বড় বড় শিল্পকর্ম। বৈশাখের দিন সকাল ৯টায় চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে যাত্রা করে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ, মৎস্য ভবন, শিশু পার্ক ও জাদুঘর হয়ে চারুকলায় এসে শেষ হবে।
গতকাল চারুকলার অনুষদের প্রধান ফটকের সামনেই বৈশাখ প্রস্তুতির ভিন্ন আমেজ চোখে পড়ে। কাচের চুড়ি বিক্রেতা বেদে নারীরা রংবেরংয়ের চুড়ির পসরা সাজিয়ে বসেছেন। তরুণীরা বৈশাখী শাড়ির সঙ্গে মিল রেখে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন হাতভর্তি চুড়ি। বৈশাখ উদযাপনে প্রতিবারের মতো এবারও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। বৈশাখের দিনে ডিআরইউ চত্বরে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠানে অতিথিদের জন্য থাকবে সকালের নাস্তা ও দুপুরের বিশেষ খাবার।