Saturday, April 9, 2011

ছিনতাইকারীর কবলে অরুনা

অভিনেত্রী ও নির্মাতা অরুণা বিশ্বাস ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছিলেন। সম্প্রতি তিনি ছোটভাই পরিচালক মিঠু বিশ্বাসের ধানমণ্ডির বাসা থেকে নিজের বাসায় ফেরার সময় একটি প্রাইভেট কার তার পথ রোধ করে। ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে তার দুটি মোবাইল সেট, হীরার আংটি, অলঙ্কার, নগদ টাকা নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে তিনি ধানমণ্ডি থানায় একটি মামলা করেছেন। অরুণা বিশ্বাস বলেন, ছিনতাইয়ের পরের দিন আমার নতুন ধারাবাহিক নাটক 'লড়াই'র শুটিং ছিল মানিকগঞ্জে। তাই আগের দিন শুটিং নিয়ে আলোচনা করতে মিঠুর বাসায় গিয়েছিলাম।

অসিনকে সালমানের চুমু!



বলিউড অভিনেতা সালমান খান ছবিতে নায়িকার সঙ্গে চুমু খাওয়ার দৃশ্যে অভিনয়ে যথেষ্ট অনাগ্রহী। এবার সেই অনাগ্রহের অবসান হতে যাচ্ছে। পরিচালক ও নায়িকার অনুরোধে তিনি এবার চুমু খাওয়ার দৃশ্যে অভিনয় করবেন। আনিস বাজমি পরিচালিত ছবিটির নাম 'রেডি'। নির্মাতা অসিনকে চুমু খাওয়ার প্রস্তাব করলে সালমান সঙ্গে সঙ্গেই তা প্রত্যাখ্যান করেন। এরপর তিনি দীর্ঘদিন ধরে সালমানকে এতে রাজি করানোর চেষ্টায় ছিলেন। শেষে পরিচালক এবং নায়িকার প্রচেষ্টায় সেটা সফল হয়েছে। পরিচালক ও নায়িকা সালমানকে বলেন, ছবির গল্পের প্রয়োজনে আসলে এ ধরনের দৃশ্য সংযোজন করতে হচ্ছে। সালমানও শেষ পর্যন্ত তাতে রাজি হন।

সালমান এ ধরনের দৃশ্যে অভিনয় করতে রাজি হয়েছেন, এটি অনেকে এখনো বিশ্বাস করতে পারছেন না।

আবারও হৃদয় খান



হৃদয় খানের জিঙ্গেল করা 'আমার রবি' বিজ্ঞাপনটি এখন প্রচার হচ্ছে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে। বিজ্ঞাপনটি নির্মাণ করেছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এরই মাঝে বিজ্ঞাপনটি দর্শকের মধ্যে দারুণ সাড়া ফেলেছে। সেই সঙ্গে হৃদয়ের জিঙ্গেলটিও। ফারুকী এবং হৃদয়_ দুজনেই প্রসংশা কুড়াচ্ছেন বিভিন্ন মহল থেকে। প্রথমবারের মতো কোনো মুঠোফোন কোম্পানির বিজ্ঞাপনের জন্য জিঙ্গেল তৈরি করে তাক লাগিয়ে দেন হৃদয়। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই হৃদয় খান আবারও মুঠোফোনের জিজ্ঞেল তৈরি করছেন। এবারও নির্মাতা সেই মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এবার তাদের বিজ্ঞাপন বাংলালিংকের জন্য। জানা গেছে, দেড় মিনিট দৈর্ঘ্যের এ বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেলটি সাজানো হয়েছে শুধু সংলাপ দিয়ে। এরই মাঝে জিঙ্গেলটির কাজ শেষ হয়েছে। এ প্রসঙ্গে হৃদয় খান বলেন,'সরয়ার ভাইয়ের কাজে বাড়তি মজা আছে। আছে আনন্দ। রবির কাজটি করে প্রচুর সাড়া পেয়েছি। সেই ধারাবাহিকতায়ই এ কাজটি করছি। আশা রাখি, এটিও সবাই পছন্দ করবে।' মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, 'এখনই কিছু বলবো না। শুধু জেনে রাখেন, চমক আছে; চমক।

রাখী সাওয়ান্তের বিরুদ্ধে এফআইআর

জয়পুরের স্থানীয় আদালত পুলিশকে বলিউড আইটেম গার্ল রাখী সাওয়ান্তসহ মোট আটজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন। জানা গেছে, এক ব্যক্তিকে ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে এই এফআইআর দায়ের করতে বলা হয়েছে। 'রাখি কা স্বয়ম্বর' টিভি শো'য়ের চিত্রনাট্য রচয়িতা হিসেবে নিজেকে দাবি করায় গৌরব তিওয়ারি নামের এক ব্যক্তিকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছেন রাখী, রাহুল মহাজনসহ আরও ছয় ব্যক্তি। আর সে কারণেই তাদের বিরুদ্ধে এই এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গৌরব বলেছেন, প্রকৃত লেখক আমি নিজে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ না করেই চিত্রনাট্য ব্যবহার করেছে।

মা হচ্ছেন শ্রাবন্তী



অভিনেত্রী শ্রাবন্তী মা হচ্ছেন। জুন মাস নাগাদ তার কোলজুড়ে আসবে নতুন অতিথি। খবরটি জানিয়েছেন শ্রাবন্তীর স্বামী খোরশেদ আলম। তিনি আরও জানান, উন্নত চিকিৎসা এবং নিরাপদে প্রথম সন্তানের মুখ দেখতে চান শ্রাবন্তী-আলম দম্পতি। আর তাই আমেরিকায় উড়াল দিয়েছেন শ্রাবন্তী। থাকবেন বোনের বাসায়। মাতৃত্বকালীন অবসরের সময়টুকু কোনোরকম ঝামেলা চান না তারা।

শ্রাবন্তী আমেরিকায় স্থানীয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিচ্ছেন নিয়মিত। কোনো সমস্যা নেই, বেশ সুস্থ আছেন তিনি। খোরশেদ আলম এনটিভির অনুষ্ঠান বিভাগে কর্মরত। ছুটি নিয়ে মাঝে মধ্যে তিনিও দেখে আসছেন স্ত্রীকে। খোরশেদ আলম বলেন, 'ও [শ্রাবন্তী] ভালো আছে। আমরা অপেক্ষা করছি সন্তানের মুখ দেখার জন্য। আমাদের জন্য সবাই একটু দোয়া করবেন।'

তেমন কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই গত বছর শ্রাবন্তী বিয়ে করেন খোরশেদ আলমকে। তার হঠাৎ এ বিয়েতে ভক্ত এবং মিডিয়ার অনেকেই চমকে গিয়েছিলেন। বিয়ের পর থেকে শ্রাবন্তীর মধ্যে আসে বিশাল এক পরিবর্তন। নিজের স্বভাবজাত চঞ্চলতা-হেঁয়ালি ভুলে সংসার সমুদ্রে ডুব দেন তিনি। আর তাই সংসার মনোযোগী শ্রাবন্তীর মা হওয়ার খবরটি নিকটজনের কাছে সুখবরই বটে।

গৌরিপুরে হাজার কোটি টাকার রেমিটেন্স কুমিল্লার লন্ডনি শহর



কুমিল্লার দাউদকান্দি ও তিতাস উপজেলার সাড়ে পাঁচ হাজার দক্ষ-অদক্ষ শ্রমিক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করছেন। ২০১০ সালে তাদের পাঠানো প্রায় এক হাজার কোটি টাকার রেমিটেন্সের কারণে দাউদকান্দি ও তিতাস উপজেলার মধ্যবর্তী গৌরীপুর বাজার এখন লন্ডনি শহর নামে পরিচিতি পাচ্ছে। বেসরকারি সংস্থা রামরু ও এএইচআরডিটি'র জরিপে এ তথ্য জানা যায়।

সূত্রমতে, এ দুই উপজেলার গ্রামগুলোর মানুষের প্রধান কাজ ছিল কৃষি। দোচালা টিনের ঘরের সেই গ্রামগুলোতে গড়ে উঠেছে বিদেশি ডিজাইন করা ভবন। তাই দুই উপজেলার মধ্যে গৌরীপুর বাজারকে বলা হয় লন্ডনি শহর। এটি একটি মফস্বলের বাজার হলেও দেখতে অনেক জেলা শহরকেও ছাড়িয়ে গেছে। এ বাজারে রয়েছে বিভিন্ন ব্যাংকের ১৩টি শাখা। দাউদকান্দি ও তিতাসের প্রবাসীরা ২০১০ সালে ৯৯০ কোটি ৬০ লাখ টাকা ২৭টি সংস্থার মাধ্যমে দেশে পাঠিয়েছেন। প্রতি বছরই গৌরীপুর বাজারের সব ব্যাংকের শাখা চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে লাভজনক হিসেবে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে আসছে বলে ব্যাংকের ব্যবস্থাপকরা জানান। আর বিদেশিদের রেমিটেন্স নিয়েই ব্যাংকগুলো সারাদিন ব্যস্ত থাকে। বিদেশি রেমিটেন্সের কারণে গৌরীপুর বাজারে জায়গার দাম রাতারাতি বেড়ে গেছে। গড়ে উঠেছে ৪/৬ তলা বিল্ডিং, ভাড়াও বাড়ছে ঢাকা শহরের মতো। গৌরীপুর বাজারের এক শতাংশ জায়গার দাম ৬৫/৭০ লাখ টাকা। প্রবাসীদের পরিবারবর্গ অনেকেই গ্রাম ছেড়ে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার জন্য বেশির ভাগ গৌরীপুর বাজারে বাড়ি তৈরি করে কিংবা ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন।

দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর, আঙ্গাউড়া, জিংলাতলী, গোপচর, চান্দেরচর, লক্ষ্মীপুর, ওলানপাড়া, চরমাহমুদ্দী। এছাড়া তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি, শোলাকান্দি, শাহপুর, মজিদপুর, গোপালপুরের লোকজন বেশি বিদেশে থাকে। সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স আসে সৌদি আরব, কুয়েত, দুবাই, বাহরাইনসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশ। এ ছাড়া আরও রয়েছে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, ইতালি, ফ্রান্স, সিঙ্গাপুর, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, কানাডা, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তায় আছেন প্রবাসী পরিবারবর্গ ।
কুমিল্লা

চুরি ঠেকানোর যন্ত্র



মোটরসাইকেল চুরি রোধে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মোটরসাইকেল সিকিউরিটি এলার্ট তৈরি করেছেন নওগাঁর রাশেদুল বারী রাশেদ নামের এক খুদে বিজ্ঞানী।

ছোটবেলা থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি কোনো না কোনো কিছু আবিষ্কারের চিন্তা তার মাথায় লেগে থাকত। স্কুলের টিফিন না খেয়ে বাঁচিয়ে ওই টাকা দিয়ে রেডিওর যন্ত্রপাতি ও তাতাল কিনে আনত। পড়াশোনা করার পর বাবা-মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে শুধু আবিষ্কারের চিন্তা মাথায় থাকত। এ ব্যাপারে বাবা-মার হাতে ধরা পড়ে বারবার মার খেতে হতো এবং জিনিসপত্র কেড়ে নিয়ে নষ্ট করে দিত। তবুও থেমে থাকেনি তার চিন্তা। ২০০১ সালে ছাত্রাবস্থায় হঠাৎ করে ব্যাটারি ছাড়া সোলার পাওয়ার দিয়ে রেডিও আবিষ্কার করে এলাকাবাসীকে তাক লাগিয়ে দেয়। খবর পেয়ে আশপাশের গ্রাম থেকে লোকজন আসে ব্যাটারি ছাড়া রেডিও সঞ্চালন দেখার জন্য। তারপর থেকে এলাকার লোকজন তাকে বিজ্ঞানী বলে ডাকত। ছাত্রাবস্থায় ২০০৩ সালে মোবাইলের নষ্ট ব্যাটারি দিয়ে টর্চলাইট তৈরি করে সবাইকে অবাক করে দিল। টর্চলাইট দেখার জন্য বাসায় ভিড় করত এলাকাবাসী। তখনও বাজারে চায়না টর্চলাইট আসেনি। ২০০৪ সালে সে নিজেই রিচার্জেবল ফ্যান তৈরি করল। কিন্তু কোনো কিছুই ব্যাণিজ্যিকভাবে করত না। ২০০৪ সালে ভূগোল বিভাগে বগুড়া সরকারি আযীযুল হক বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে এমএসসি পাস করে। এনার্জি সেভিং নষ্ট বাল্ব দিয়ে আইপিএস তৈরি করেও এলাকাবাসীকে হতবাক করে দেয়। সে নওগাঁ অফিসে আসার পর থেকে নওগাঁয় ব্যাপক গাড়ি হারাতে লাগল। আইনশৃক্সখলা বাহিনী কোনো কিছু্ই করতে পারছে না। কিভাবে চোরের হাত থেকে গাড়ি রক্ষা করা যায়। চাকরির পাশাপাশি আবিষ্কারের কাজ এগুতে থাকে। তথ্য-প্রযুক্তির যুগে অতি সহজে ডিজিটাল পদ্ধতিতে কিভাবে চুরি রোধ করা যায়। চিন্তা-ভাবনা করতে করতে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে পরামর্শ নেন। একদিন তার নিজের গাড়িতে তা প্রয়োগ করতে থাকে এবং তা সফল হন। চোরেরা মোটরসাইকেলটি তালা ভেঙে নিয়ে যেতে লাগলে সঙ্গে সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে রিং আসতে থাকবে। তখনই বুঝতে হবে তার গাড়ি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু গাড়ি কিছুতেই চালু করতে পারবে না। এতে খরচ পড়ে মাত্র দুই হাজার টাকা। এটা তৈরি করতে মোবাইলের সিম, মাদার বোর্ড, আর কিছু প্রয়োজনীয় উপকরণ দরকার। যা দিয়ে দামি মোটরসাইকেল রক্ষা করা যায়। এনিয়ে নওগাঁ শহরে বেশ সাড়া পড়েছে।

অবিশ্বাস্য সত্যি



পাথরখেকো মানুষ : চীনের দক্ষিণাঞ্চলের হুনান প্রদেশের বাসিন্দা দেং দিনে প্রায় ৫০টি পাথরের টুকরা ভক্ষণ করেন। রাস্তা তৈরির কাজে ব্যবহৃত পাথরগুলো তিনি ভাতের সঙ্গে গলাধকরণ করেন। তার স্বাস্থ্য ভালো এবং হৃদযন্ত্র বা পেটে কোনো অসুবিধা নেই বরং নির্দিষ্ট পরিমাণ পাথর না খেতে পেলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।

দেড় মাইল দীর্ঘ চিঠি : একজন ভারতীয় বিশ্বশান্তির আবেদন জানিয়ে দ্বিতীয় জন পল পোপের কাছে দেড় মাইল লম্বা একটি চিঠি লেখেন। দক্ষিণাঞ্চলীয় কেরালা রাজ্যের রিগান জন সাড়ে তিন বছরে এ পত্রটি লেখা শেষ করেন, যার ওজন ছিল ১০০ কেজি।

সবচেয়ে লম্বা দাড়ি : নরওয়ের হ্যানস এন ল্যানসেথ (১৮৪৬-১৯৭২) নামের এক লোকের দাড়ি ছিল সাড়ে সতের ফুট। এই দাড়ি তার মৃত্যুর পর কেটে ওয়াশিংটনের স্মিথ সেনিয়ার ইনস্টিটিউট জাদুঘরে রাখা হয়।

৪৫০ বছরের জেল : ব্রাজিলের রাজধানী রেওডি জেনেরিওর একজন বিচারক এক খুনিকে ৪৫০ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেছেন। নগরীর এক বস্তির ২১ ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে পাউলে বোবার্টো অ্যালডানেঞ্জাকে এ দণ্ড প্রদান করা হয়।

বই লিখে রাজা হওয়া : ঐতিহাসিক জো ডি বারোস ১৪৯৬ সালে পর্তুগালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পর্তুগালের প্রাচীন ইতিহাসের ওপর মস্তবড় একটি গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। তৎকালীন সময় পর্তুগালের রাজা ছিলেন জোয়াও (তৃতীয়), তিনি বারোসের গ্রন্থটি পড়ে মুগ্ধ হলেন এবং তাকে ডেকে তৎক্ষণাৎ পুরস্কৃত করলেন। বারোসকে একটি গ্রন্থ রচনার জন্যই দেওয়া হয়েছিল প্রায় ১,৩৩,৪৬০ বর্গমাইলের একটি রাজ্য।

এটি ব্রাজিলের অন্তর্গত ম্যারাহো স্টেট নামে একটি রাজ্য, যার এলাকার বিস্তার ছিল বর্তমান নিউইয়র্কের চেয়েও তিনগুণ বড়।

হেনরি ডবি্লউ লংফেলো : হেনরি ডবি্লউ লংফেলো ছিলেন একজন বিশ্ব বিখ্যাত ইংরেজ কবি। তবে তার ছিল ১৮ সংখ্যার ভাগ্য। তিনি তার সাহিত্যজীবনে ১৮টি কাব্যগ্রন্থ রচনা করেছিলেন। তিনি যখন ইংল্যান্ডের বোডোইন কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন তখন তার বয়স ১৮ বছর। প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার ১৮ বছর পর দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮ বছর ইংরেজি ভাষার অধ্যাপক ছিলেন। অধ্যাপক থাকাকালেই ১৮ মার্চ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেদিন রাতেই তিনি মারা যান। তার জীবনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলোতে ঘুরে ফিরে ১৮ সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে বারবার। প্রীতম সাহা সুদীপ

বিয়ে ঠেকাতে মোবাইল টাওয়ারে

বাবা-মায়ের চাপিয়ে দেয়া বিয়ে ঠেকাতে নানা কৌশলের আশ্রয় নেন ছেলে-মেয়েরা। হরেক রকমের প্রতিবাদের কথাও শোনা যায়। কিন্তু ঊষা বালা নামে ২২ বছরের এক তরুণী ৬০ ফুট উঁচু মোবাইল টাওয়ারে উঠে বাবা-মায়ের পছন্দের ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টার প্রতিবাদ জানায়।

ভারতের রাজস্থানের বিকানির শহরে ব্যতিক্রমী এ প্রতিবাদের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় পুলিশ জানায়, বাবা-মা জোর করে বিয়ে দিতে চাইলে ঊষা বালা ৬০ ফুট উঁচু টাওয়ারটিতে চড়ে বসে। বিয়ে প্রত্যাহার না করা হলে টাওয়ারের ওপর থেকে সে লাফ দেবে বলেও হুমকিও দেয়। জানা গেছে, ঊষার বিয়ে তার বাবা-মা ৩ মাস আগেই ঠিক করেছিলেন। কিন্তু ঊষা বিয়েতে রাজি হচ্ছিল না। কারণ, সে একটি আধ্যাতিক সংগঠনের সঙ্গে চলে যেতে চায়। ঊষার বাবা-মা এটি মেনে নিতে পারেননি। তারা তাকে জোর করে বিয়ে দিতে চেষ্টা করেন। অবশেষে ঊষা এই অভিনব প্রতিবাদ জানায়। পরে অবশ্য ঊষাকে বিয়ে স্থগিত করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলে সে নেমে আসে। কিন্তু বিপত্তির তখনো বাকি ছিল তার জন্য। কারণ, বাবা-মায়ের সিদ্ধান্তের হাত থেকে নিস্তার পেলেও পুলিশ ঠিকই গ্রেফতার করে তাকে। পরে অবশ্য ঊষা জামিনে মুক্তি পায়।

একটি স্বপ্নের মৃত্যু

'আমি গাড়ি নিয়ে ফিরছি, তুই বাসা রেডি কর'। নতুন গাড়ি কিনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এস কে রেজাউল হক রাজু ছোট ভাই সাজুকে মোবাইলে এ কথা বলছিলেন। নতুন গাড়ি নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শখের নতুন গাড়ি নিয়ে নতুন বাসায় আসতে পারেননি তিনি। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডে ট্রাকের চাপায় মৃত্যু হয়েছে তার।

রাজুর বাড়ি ঢাকার দনিয়া এলাকায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগ থেকে মাস কয়েক আগে এমবিএ পরীক্ষা দেন। পরীক্ষা শেষে ইন্টার্নি করেন ঢাকার বেসরকারি একটি ব্যাংকে। ১০-১২ দিন আগে ইন্টার্নশিপের প্রতিবেদন জমা দিতে আসেন চট্টগ্রামে।

ছোট ভাই সাজু জানান, তার বড় ভাইকে নিয়ে বাবা-মার অনেক স্বপ্ন। তারও (রাজু) আশা ছিল পরীক্ষা শেষ করেই কোনো বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করবেন। এ জন্য প্রচুর প্রস্তুতিও নেন। কিন্তু তার আর কোনো কাজ লাগলো না। সাজু জানান, ভাইয়ের শখ ছিল একটি নতুন গাড়ি কেনার। ছেলের শখ পূরণে মা কামরুন নাহারও উদার। চট্টগ্রাম যাওয়ার সময় নতুন গাড়ি কেনার টাকাও দেন মা। চট্টগ্রাম থেকেই কিনেন শখের নতুন গাড়ি। ঢাকার দনিয়ার বর্তমান বাসায় গাড়ি রাখার জায়গা না থাকায় নতুন বাসা নেন বনশ্রীতে। বুধবার রাতেই কথা হয় তার সঙ্গে। তখন তিনি নতুন বাড়ি 'রেডি' করার কথা বলেন। নতুন বাসা সাজানোও হয়। কিন্তু যার জন্য এ সাজানো তিনিই হারিয়ে গেলেন। চট্টগ্রাম থেকে নিজেই গাড়ি চালিয়ে ঢাকায় ফিরছিলেন রাজু। কিন্তু সীতাকুণ্ডে একটি ট্রাক চাপা দেয় গাড়িটিকে। ঘটনাস্থলেই মারা যান রাজু।

বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের সামনে বুক চাপড়ে বিলাপ করেন মা কামরুন নাহার। বলেন_'এখন আমার সব শেষ। আমি আমার সোনাকে ছাড়া বাঁচতে পারব না। সকালেই আমার সঙ্গে কথা হয়েছিল। কথা ছিল সে ফেরার পর নতুন বাসায় উঠবে। পড়ালেখার কারণে সাতবছর আমার ছেলেকে ভালো করে দেখিনি। ও ঢাকায় ফিরে যাবে এজন্য আমি ছিলাম সবচেয়ে খুশি। কিন্তু সবকিছুই শেষ হয়ে গেল।