৮১তে পা দিলেন বাংলা ছায়াছবির কিংবদন্তি নায়িকা সুচিত্রা সেন। আজ তার ৮০তম জন্মবার্ষিকী। আজ এ জন্মদিনেও অন্তরালেই থাকলেন তিনি। ১৯৫২ সালে 'শেষ কোথায়' চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে রুপালি পর্দায় উপস্থিত হয়ে পরবর্তীতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন জনপ্রিয় নায়িকা হিসেবে।
রূপালি পর্দা থেকে বিদায় নেওয়ার পর থেকেই লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান তিনি। গৃহবন্দী জীবনই তার পছন্দ। তার এই গৃহবন্দীত্ব নিয়ে প্রচলিত রয়েছে নানা কথা। কেউ বলেন, উত্তম কুমারের বিরহ এবং সর্বশেষ মৃত্যুতে তিনি ব্যাথিত। তাই অন্তরালে থেকেই তার ভালোবাসার প্রমাণ দিচ্ছেন। কেউ আবার বলছেন, বার্ধক্যের জীর্ণতা ঢাকতেই তার এই স্বেচ্ছা বন্দীত্ব। আরেকটি মতানুসারে এক দুর্ঘটনায় তার মুখমণ্ডল ঝলসে গেছে সেই বিভৎসতা লুকাতে এমন অন্দরবাস। সুচিত্রা সেন তো প্রায় তিন দশক ধরে অন্তরালেই রয়েছেন। কলকাতার বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের বাড়িটি তার একমাত্র ঠিকানা। তার বয়স বাড়ছে, সঙ্গে ঘিরে ধরছে নি:সঙ্গতা নামক এক অক্টোপাস। মেয়ে মুনমুন বা তার নাতনি রিয়া, রাইমা সবসময় নিজেদের ব্যস্ততার কারণে দেখা করতে পারেন না। তাই ক্রমেই সেই অক্টোপাস যেন গ্রাস করছে সুচিত্রা সেন নামক একটি প্রতিষ্ঠানকে। একসময় যার মৃদু হাসির ঝলক দেখতে হলগুলোতে ভিড় উপচে পড়তো, সেই সুচিত্রা কদিন পরপরই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এখনো তিনি পুরোপুরি সুস্থ নন। নিজের ওপর পুরোপুরি ভরসা রাখতে পারছেন না সুচিত্রা। তাই বৃদ্ধ বয়সে একাকিত্ব সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যায় সহায়তা পেতে কলকাতা পুলিশের প্রকল্পে লিখিত ভাবে আবেদন করেছেন। প্রবীণদের জন্য এই সহায়তা প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে 'প্রণাম'। প্রণামের সদস্য হলে বিনামূল্যে পাওয়া যাবে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত সহায়তা।
সুচিত্রা সেনের জন্ম ১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল পাবনার সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার সেনডাঙ্গার জমিদার বাড়িতে। তার বাবা ছিলেন করুণাময় দাসগুপ্ত। বাবা-মায়ের পঞ্চম সন্তান ছিলেন সুচিত্রা। ১৯৪৭ সালে শিল্পপতি দিবানাথ সেন-এর সঙ্গে তার বিয়ে হয় । ১৯৫২ সালে 'শেষ কোথায়' ছবিতে তার প্রথম অভিনয় শুরু হলেও ওই ছবিটি মুক্তি পায়নি। ওই বছরেই উত্তম কুমারের সঙ্গে তার প্রথম মুক্তি প্রাপ্ত ছবি 'সাড়ে চুয়াত্তর'। সেই ছবিটিই বক্স অফিসে যথেষ্ট সাড়া ফেলেছিল। তারপর থেকে আর সুচিত্রাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এরপর শাপমোচন, সবার উপরে, মরণের পারে, প্রণয় পাশা, সপ্তপদী, দ্বীপ জেলে যাই, মেজো বউ, হারানো সুর, জীবন তৃষ্ণাসহ একাধিক ছবিতে অভিনয় করেন। ১৯৫৫ সালে তিনি হিন্দি ভাষায় 'দেবদাস' ছবিতে অভিনয় করেন।
'সাত পাকে বাঁধা' ছবিতে তিনি প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী হিসেবে ১৯৬৩ সালে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন। বাংলা চলচ্চিত্র জগতের মহানায়ক উত্তম কুমারের সঙ্গেই তিনি সবচেয়ে বেশি অভিনয় করেছিলেন। তার জন্মদিন উপলক্ষে আজ বুধবার বাংলার প্রত্যেকটি টেলিভিশন চ্যানেলে সুচিত্রা অভিনিত বিভিন্ন ছবি সমপ্রচার করবে।
অভিনয়ের জন্য নিজেই 'সুচিত্রা' নামটি বেছে নিয়েছিলেন। সুচিত্রা সেনের অভিনয় জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয় দেবকীকুমার বসু পরিচালিত 'ভগবান শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য' চলচ্চিত্রটি। পরবর্তী ছবি একই বছর, 'সাড়ে চুয়াত্তর'। পরিচালক নির্মল দে। কিন্তু সুচিত্রা-উত্তম জুটির সেই ম্যাজিক তখনো শুরু হয়নি। অগ্রদূত পরিচালিত 'অগি্নপরীক্ষা'য় (১৯৫৪) অভিনয় করে সুচিত্রা-উত্তম জুটি পাকাপাকি হয়ে যায়। হিন্দি-বাংলা মিলিয়ে মোট ৬০টি ছবিতে অভিনয় করেন কিংবদন্তি এই নায়িকা।
রূপালি পর্দা থেকে বিদায় নেওয়ার পর থেকেই লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান তিনি। গৃহবন্দী জীবনই তার পছন্দ। তার এই গৃহবন্দীত্ব নিয়ে প্রচলিত রয়েছে নানা কথা। কেউ বলেন, উত্তম কুমারের বিরহ এবং সর্বশেষ মৃত্যুতে তিনি ব্যাথিত। তাই অন্তরালে থেকেই তার ভালোবাসার প্রমাণ দিচ্ছেন। কেউ আবার বলছেন, বার্ধক্যের জীর্ণতা ঢাকতেই তার এই স্বেচ্ছা বন্দীত্ব। আরেকটি মতানুসারে এক দুর্ঘটনায় তার মুখমণ্ডল ঝলসে গেছে সেই বিভৎসতা লুকাতে এমন অন্দরবাস। সুচিত্রা সেন তো প্রায় তিন দশক ধরে অন্তরালেই রয়েছেন। কলকাতার বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের বাড়িটি তার একমাত্র ঠিকানা। তার বয়স বাড়ছে, সঙ্গে ঘিরে ধরছে নি:সঙ্গতা নামক এক অক্টোপাস। মেয়ে মুনমুন বা তার নাতনি রিয়া, রাইমা সবসময় নিজেদের ব্যস্ততার কারণে দেখা করতে পারেন না। তাই ক্রমেই সেই অক্টোপাস যেন গ্রাস করছে সুচিত্রা সেন নামক একটি প্রতিষ্ঠানকে। একসময় যার মৃদু হাসির ঝলক দেখতে হলগুলোতে ভিড় উপচে পড়তো, সেই সুচিত্রা কদিন পরপরই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এখনো তিনি পুরোপুরি সুস্থ নন। নিজের ওপর পুরোপুরি ভরসা রাখতে পারছেন না সুচিত্রা। তাই বৃদ্ধ বয়সে একাকিত্ব সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যায় সহায়তা পেতে কলকাতা পুলিশের প্রকল্পে লিখিত ভাবে আবেদন করেছেন। প্রবীণদের জন্য এই সহায়তা প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে 'প্রণাম'। প্রণামের সদস্য হলে বিনামূল্যে পাওয়া যাবে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত সহায়তা।
সুচিত্রা সেনের জন্ম ১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল পাবনার সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার সেনডাঙ্গার জমিদার বাড়িতে। তার বাবা ছিলেন করুণাময় দাসগুপ্ত। বাবা-মায়ের পঞ্চম সন্তান ছিলেন সুচিত্রা। ১৯৪৭ সালে শিল্পপতি দিবানাথ সেন-এর সঙ্গে তার বিয়ে হয় । ১৯৫২ সালে 'শেষ কোথায়' ছবিতে তার প্রথম অভিনয় শুরু হলেও ওই ছবিটি মুক্তি পায়নি। ওই বছরেই উত্তম কুমারের সঙ্গে তার প্রথম মুক্তি প্রাপ্ত ছবি 'সাড়ে চুয়াত্তর'। সেই ছবিটিই বক্স অফিসে যথেষ্ট সাড়া ফেলেছিল। তারপর থেকে আর সুচিত্রাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এরপর শাপমোচন, সবার উপরে, মরণের পারে, প্রণয় পাশা, সপ্তপদী, দ্বীপ জেলে যাই, মেজো বউ, হারানো সুর, জীবন তৃষ্ণাসহ একাধিক ছবিতে অভিনয় করেন। ১৯৫৫ সালে তিনি হিন্দি ভাষায় 'দেবদাস' ছবিতে অভিনয় করেন।
'সাত পাকে বাঁধা' ছবিতে তিনি প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী হিসেবে ১৯৬৩ সালে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন। বাংলা চলচ্চিত্র জগতের মহানায়ক উত্তম কুমারের সঙ্গেই তিনি সবচেয়ে বেশি অভিনয় করেছিলেন। তার জন্মদিন উপলক্ষে আজ বুধবার বাংলার প্রত্যেকটি টেলিভিশন চ্যানেলে সুচিত্রা অভিনিত বিভিন্ন ছবি সমপ্রচার করবে।
অভিনয়ের জন্য নিজেই 'সুচিত্রা' নামটি বেছে নিয়েছিলেন। সুচিত্রা সেনের অভিনয় জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয় দেবকীকুমার বসু পরিচালিত 'ভগবান শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য' চলচ্চিত্রটি। পরবর্তী ছবি একই বছর, 'সাড়ে চুয়াত্তর'। পরিচালক নির্মল দে। কিন্তু সুচিত্রা-উত্তম জুটির সেই ম্যাজিক তখনো শুরু হয়নি। অগ্রদূত পরিচালিত 'অগি্নপরীক্ষা'য় (১৯৫৪) অভিনয় করে সুচিত্রা-উত্তম জুটি পাকাপাকি হয়ে যায়। হিন্দি-বাংলা মিলিয়ে মোট ৬০টি ছবিতে অভিনয় করেন কিংবদন্তি এই নায়িকা।
No comments:
Post a Comment